- Get link
- X
- Other Apps
Statements by Persons who cannot be called as Witnesses
যে সকল ব্যক্তিকে সাক্ষী হিসেবে আহ্বান করা যায় না তাদের বিবৃতি
ধারা ৩২ যে ব্যক্তি মৃত বা নিখোঁজ ইত্যাদি হয়েছে প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে তার বিবৃতি যে সমস্ত ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক
যে ব্যক্তি মৃত অথবা যাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না, অথবা যে সাক্ষ্য দেয়ার অযােগ্য হয়ে পড়েছে, অথবা যাকে হাজির করা এরূপ সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ যে, সংশ্লিষ্ট মামলার পরিস্থিতি বিবেচনায় আদালতের মতে তা অযােক্তিক, সেরূপ ব্যক্তির লিখিত বা মৌখিক বিবৃতি নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক বিষয়-
(১) যেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন ওঠে, সেক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে অথবা যে ঘটনার ফলে তার মৃত্যু ঘটিয়েছে, তৎসংশ্লিষ্ট কোন পরিস্থিতি সম্পর্কে যদি কোন বিবৃতি দিয়ে থাকে। অনুরূপ বিবৃতি দেয়ার সময় বিবৃতিদানকারীর মৃত্যুর আশঙ্কা উপস্থিত হয়ে থাকুক বা না থাকুক এবং যে মামলায় তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রশ্ন উঠে তার প্রকৃতি যাই হােক , উক্ত বিবৃতি প্রাসঙ্গিক।
(২) যেক্ষেত্রে বিবৃতিদানতকারী তার স্বাভাবিক কাজকর্ম প্রসঙ্গে যে বিবৃতি দেয় এবং বিশেষ করে যদি তার স্বাভাবিক কাজকর্ম প্রসঙ্গে বা পেশাগত কর্তব্য সম্পাদন প্রসঙ্গে কোন স্মারকলিপিতে বা খাতাপত্রে তা লিপিবদ্ধ হয়, অথবা যদি তার দ্বারা লিখিত বা স্বাক্ষরিত কোন অর্থ, পণ্য ঋণপত্র বা কোন সম্পত্তির প্রাপ্তি স্বীকারের রসিদে উক্ত বিবৃতি লিপিবদ্ধ হয়, অথবা যদি তার দ্বারা লিখিত বা স্বাক্ষরিত কোন বাণিজ্যে ব্যবহৃত দলিলে তা লিপিবদ্ধ হয় অথবা তা যদি ঐ ব্যক্তির লিখিত বা স্বাক্ষরিত কোন চিঠির বা সাধারণ যে কাগজে তারিখ দেয়া হয়, তদ্রুপ কোন দলিলের তারিখ প্রসঙ্গে লিপিবদ্ধ হয়।
(৩) সে বিবৃতি যদি বিবৃতিদানকারীর আর্থিক বা মালিকানাগত স্বার্থের পরিপন্থী হয়, অথবা বিবৃতি যদি এরূপ হয় যে, তা সত্য হলে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বা ক্ষতিপূরণের জন্য দেওয়ানি মামলা দায়ের হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় বা হয়ে থাকে।
(৪) যদি বিবৃতিতে সর্বসাধারণের কোন অধিকার বা প্রচলিত প্রথা বা সাধারণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ের অস্তিত্ব সম্পর্কে বিবৃতিদাতার অভিমত ব্যক্ত থাকে, এবং যার অস্তিত্ব থাকলে তা বিবৃতিদাতার অবগত থাকার সম্ভাবনা থাকে এবং সে বিবৃতি যদি সংশ্লিষ্ট অধিকার, প্রথা বা বিষয় সম্পর্কে বিরােধ সৃষ্টি হওয়ার পূর্বেই দেয়া হয়ে থাকে।
(৫) সে বিবৃতি যদি এমন ব্যক্তিদের মধ্যে রক্তের বৈবাহিক বা দত্তক সম্পর্কের অস্তিত্ব বিষয়ে হয়, যাদের মধ্যে অনুরূপ রক্তের বৈবাহিক বা দত্তক সম্পর্কের অস্তিত্ব বিষয়ে বিবৃতিদাতার অবগতির বিশেষ সূত্র আছে এবৎ যদি বিধিভুক্ত প্রশ্নটি উঠার পূর্বেই সে বিবৃতি দেয়া হয়ে থাকে।
(৬) যদি সে বিবৃতি কোন মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রক্তের, বৈবাহিক বা দত্তক সম্পর্কের অস্তিত্ব বিষয়ে হয় এবং তা যদি মৃত ব্যক্তিদের কারাে উইল বা পারবারিক বিষয়াদি সংক্রান্ত কোন দলিলে লিপিবদ্ধ হয় অথবা যদি কোন পারিবারিক কুঠি, করবে স্মৃতিফলক, পারিবারিক চিত্র বা অনুরূপ যে সব জিনিসে বিবৃতি লিপিবদ্ব করা হয়, তা তাতে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে এবং যদি বিরােধভুক্ত প্রশ্নটি উঠার পুর্বেই সে বিবৃতি দেয়া হয়ে থাকে।
(৭) যদি সে বিবৃতি এমন কোন দলিল উইল বা লিপিভুক্ত হয় যা ১৩ ধারা (ক) অনুচ্ছেদের উল্লিখিত কোন কার্যের সাথে সংশ্লিষ্ট।
(৮) যদি সে বিবৃতি কতিপয় ব্যক্তি প্রদত্ত হয়ে থাকে এবং বিচার্য বিচায় বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক কোন মানােভাব বা ধারণা তাতে ব্যক্ত হয়ে থাকে।
উদাহরণ- মৃত বা নিখোঁজ ব্যক্তির বিবৃতি প্রাসঙ্গিক
(ক) প্রশ্ন হচ্ছে খ-এর দ্বারা ক খুন হয়েছে কিনা অথবা ক-এর উপর পাশবিক অত্যাচার হওয়াকালে প্রাপ্ত আঘাতের ফলে সে মারা যায় কিনা অথবা প্রশ্ন হচ্ছে ক এমন পরিস্থিতিতে ক-এর দ্বারা খুন হয়েছে কিনা, যাতে ক-এর বিধবা স্ত্রী খ-এর বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করতে পারে। ক তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিচারাধীন হত্যা, পাশবিক অত্যাচার বা প্রতিকারেযােগ্য অন্যায় কার্যের উল্লেখ করে কোন বিবৃতি দিয়ে থাকলে তা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(খ) ক-এর জন্ম তারিখ সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। জনৈক মৃত সার্জন তার দৈনন্দিন কার্যাদি প্রসঙ্গে যে ডায়রী লিখতেন তাতে লিপিবদ্ধ আছে যে যে, একটি নির্দিষ্ট তারিখে ক-এর মাতার প্রসবকালে তিনি হাজির ছিলেন এবং সেদিন মহিলার একটি পুত্র সন্তান হয়েছিল। এটা একটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(গ) প্রশ হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোন একদিন ক চট্রগ্রামে ছিল কিনা। জনৈক মৃত আইন উপদেষ্টা তার দৈনন্দিন কার্য উপলক্ষে ডায়রী লিখতেন, তাতে এ মর্মে একটি বিবৃতি লিপিবদ্ধ আছে যে, একটি নির্দিষ্ট দিনে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ক-এর সাথে আলােচনা করার জন্য উক্ত আইন উপদেষ্টা চট্টগ্রামের কোন এক স্থানে ক-এর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এটা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(ঘ) প্রশ্ন হচ্ছে, একটি জাহাজ একটি নির্দিষ্ট দিনে চট্টগ্রাম পােতাশ্রয় হতে যাত্রা করেছিল কিনা। জাহাজ ভাড়াকারী বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের জনৈক মৃত সদস্য তাদের লন্ডনস্থ যে প্রতিনিধির কাছে মাল প্রেরিত হয়েছিল তার কাছে লিখিত পত্রে উল্লেখ করেছিল ফলে সে জাহাজটি একটি নির্দিষ্ট দিনে চট্টগ্রাম পােতাশ্রয় যাত্রা করেছিল। এটা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(ঙ) প্রশ্ন হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোন একটি জমির খাজনা ক কে দেওয়া হয়েছিল কিনা। ক-এর কাছে লিখিত তার মৃত প্রতিনিধির পত্রে উল্লেখ আছে যে, সে ক-এর পক্ষ হতে উক্ত খাজনা গ্রহণ করেছিল এবং ক-এর আদেশক্রমে টাকা নিজের নিকট রেখেছিল। এটা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(চ) প্রশ্ন হচ্ছে, ক এবং খ আইনসম্মতভাবে বিবাহিত কিনা। জনৈক পাদ্রী এ মর্মে বিবৃতি দিয়েছে যে, এমন পরিস্থিতিতে সে ঐ বিবাহ দিয়েছিল, যখন কোন উৎসব করলে তা অপরাধ হত এটা প্রাসঙ্গিক।
(ছ) প্রশ্ন হচ্ছে ক নামের যে লােকটি নিখােঁজ হয়েছে সে একটি নিদিষ্ট দিনে একটি চিঠি লিখেছে কিনা। ঐ ব্যক্তির লিখিত একটি চিঠিতে নির্দিষ্ট তারিখ দেওয়া আছে । এটা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(জ) প্রশ্ন হচ্ছে, একটি জাহাজ কি কারণে বিধ্বংস্ত হয়েছিল। উক্ত জাহাজের কাপ্তান, যাকে উপস্থিত করা সম্ভব নয়, তার যে আপত্তি লিপিবদ্ধ অছে,তাহা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(ঝ) প্রশ্ন হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোন একটি সড়ক সাধারণের ব্যবহৃত রাস্তা কিনা। ক নামক জনৈক মৃত গ্রাম্য প্রধান এ মর্মে বিবৃতি দিয়েছিল যে, সড়কটি সাধারণের ব্যবহার্য রাস্তা। এটা প্রাসঙ্গিক।
(ঞ) প্রশ্ন হচ্ছে কোন নির্দিষ্ট দিনে একটি নির্দিষ্ট বাজারে খাদ্য শষ্যের দর কি ছিল। জনৈক মৃত লোক তার দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজ কর্ম উপলক্ষে বাজার দর সম্পর্কে যে বিবৃতি দিয়েছিল। তা প্রসাঙ্গিক ঘটনা।
(ট) প্রশ্ন হচ্ছে মৃত ক, খ-এর পিতা ছিল কিনা। খ তার পুত্র, এ মর্মে ক যে বিবৃতি দিয়েছিল, তা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(ঠ) প্রশ্ন হচ্ছে ক-এর জন্ম তারিখ কবে। ক-এর মৃত পিতা তার বন্ধুকে নির্দিষ্ট কোন দিনে ক-এর জন্মের কথা চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছিলেন তা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(ড) প্রশ্ন হচ্ছে, ক ও খ-এর বিবাহ হয়েছিল কিনা, এবং হয়ে থাকলে তা কবে হয়েছিল। খ-এর মৃত পিতা গ-এর একটি স্মারক খাতায় লিপিবদ্ধ আছে যে, একটি নির্দিষ্ট দিনে ক-এর সাথে তার কন্যা খ-এর বিবাহ হয়। এটা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(ঢ) একটি দোকানের জানালায় রক্ষিত একটি হাতে আঁকা ব্যাঙ্গচিত্রের দ্বারা মানহানির অভিযােগে ক খ-এর বিরুদ্ধে একটি দেওয়াণী মামলা দায়ের করল। ব্যঙ্গচিত্রের সাথে তা দ্বারা যে ব্যক্তির মানহানি হয়েছে তার সাদৃশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রশ্নে দর্শকবৃন্দের মন্তব্য প্রমাণ করা যেতে পারে।
ধারা ৩৩ কোন সাক্ষ্যে প্রদত্ত বিবৃতির সত্যতা পরবর্তী মামলায় প্রমাণের জন্য উক্ত সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা
কোন সাক্ষী কোন মামলার বিচারে বা আইনত সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষমতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তির কাছে যে সাক্ষ্য দেয় , ঐ সাক্ষীর মৃত্যু হলে, সন্ধান পাওয়া না গেলে, সে সাক্ষ্য দিতে অসমর্থ হয়ে পড়লে, বিরুদ্ধে পক্ষ তাকে সরিয়ে রাখলে, অথবা তাকে উপস্থিত করার জন্য যে সময় অর্থের প্রয়ােজন, মামলার অবস্থা বিবেচনায় আদালত তা অযৌক্তিক বলে মনে করলে, ঐ সাক্ষীর পুর্বোক্ত সাক্ষ্যে বর্ণিত কোন ঘটনার সত্যতা পরবর্তী কোন মামলায় বা একই মামলার পরবর্তী পর্যায়ে প্রমাণের জন্য প্রাসঙ্গিক হবে।
যদি-
পরবর্তী মামলা একই পক্ষদ্ধয়ের মধ্যে অথবা তাদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের মধ্যে হয়;
প্রথমােক্ত মামলায় সাক্ষীকে যদি বিরুদ্ধ পক্ষ জেরা করার অধিকার ও সুযােগ লাভ করে থাকে,
শেষােক্ত মামলার বিচার্য প্রশ্ন যদি মােটামুটিভাবে প্রথমােক্ত মামলার বিচার্য প্রশ্নের অনুরূপ হয়।
ব্যাখ্যা: কোন ফৌজদারি মামলার বিচার বা তদন্ত এ ধারার অর্থ মোতাবেক আসামি ও বাদীর মধ্যে মামলা বলে পরিগণিত হবে।
Statement made under Special Circumstances
বিশেষ অবস্থায় প্রদত্ত বিবৃতি
ধারা ৩৪ হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ বিষয় যখন প্রাসঙ্গিক
ব্যবসা প্রসঙ্গে নিয়মিত যে হিসাবের খাতা রাখা হয়, তাতে লিখিত কোন কিছুতে যখন এমন বিষয়ের উল্লেখ থাকে, যে বিষয়ে অনুসন্ধান করা আদালতের কর্তব্য, তখন তা প্রাসঙ্গিক। কিন্ত কেবলমাত্র এরূপ বিবৃতি কারাে উপর দায় আরােপ করার জন্য যথেষ্ট স্বাক্ষ্য বলে গণ্য হবে না।
উদাহরণ -হিসাবের খাতায় লিপিবদ্ধ বিষয় যখন প্রাসঙ্গিক
ক ১০০০ টাকার দাবীতে খ-এর বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করল। খ-এর কাছে তার উক্ত টাকা পাওনা আছে এটা প্রমাণ করার জন্য ক তার খাতায় লেখা হিসাব দেখালে । খাতায় লেখা হিসাবগুলি প্রাসঙ্গিক। কিন্তু যদি অপর কোন সাক্ষ্য না থাকে তবে খ-এর দেনা প্রমাণ করার জন্য তা যথেষ্ট নয়।
ধারা ৩৫ কর্তব্য সম্পাদন প্রসঙ্গে সরকারি দলিলে লিপিবদ্ধ বিষয়ের প্রাসঙ্গিকতা
কোন সরকারি বা অপর অফিসের কোন খাতায়, রেজিস্টারে বা নথিতে যদি কোন বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে, এবং কোন সরকারি কর্মচারী যদি তার চাকুরীর কর্তব্য পালন করে তা লিখে থাকে, অথবা অন্য কোন ব্যক্তি যদি, যে দেশে উক্ত খাতা, রেজিস্টার বা নথি রাখা হয়েছে তথাকার আইনের বিধান মােতাবেক তার উপর আরােপিত কর্তব্য পালন প্রসঙ্গে তা লিখে থাকে, তবে উক্ত লেখাই একটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
ধারা ৩৬ মানচিত্র, চার্ট ও পরিকল্পনায় প্রকাশিত বিবৃতির প্রাসঙ্গিকতা
যে সকল মানচিত্র বা নক্শা প্রকাশ্য বাজারে বিক্রয় হয়, অথবা যে সকল মানচিত্র বা পরিকল্পনা, সরকারি কর্তৃত্বাধীনে প্রণীত হয়, তাতে সাধারণত যে সমস্ত বিষয় প্রদর্শিত বা বর্ণিত থাকে, তৎসংক্রান্ত বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় সম্পর্কে ঐ মানচিত্র ইত্যাদিতে কোন বিবৃতি লিপিবদ্ধ থাকলে সেগুলিও প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
ধারা ৩৭ কোন আইন বা বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণের জ্ঞাতব্য ধরণের ঘটনা সম্পর্কিত বিবৃতির প্রাসঙ্গিকতা
সাধারণ দলিল জাতীয় কোন দলিলের অস্তিত্ব সম্পর্কে আদালতে যখন একটি অভিমতে উপনীত হতে হয়, তখন উক্ত দলিল সম্পর্কে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে পাশ করা কোন আইনে, অথবা এদশের জাতীয় সংসদের পাশ করা কোন আইনে কোন বিবৃতি থাকলে তা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
ধারা ৩৮ আইন গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত কোন আইন সম্পর্কিত বিবৃতির প্রাসঙ্গিকতা
কোন দেশের কোন আইন সম্পর্কে যখন আদালতকে কোন অভিমতে উপনীত হতে হয়, তখন উক্ত আইন সম্পর্কে ঐ দেশের সরকারের কর্তৃত্বাধীনে মুদ্রিত ও প্রকাশিত ও উক্ত আইন সম্বলিত কোন পুস্তকে, এবং ঐ দেশের আদালতসূহের সিদ্ধান্তের রিপাের্ট বলে কথিত কোন পুস্তকে প্রকাশিত অনুরূপ কোন সিদ্ধান্তের রিপাের্ট প্রাসঙ্গিক।
How much of a statement is to be proved
বিবৃতির কতটুকু অংশ প্রমাণ করতে হবে
ধারা ৩৯ বিবৃতি যখন কোন কথােপকথন, দলিল, গ্রস্থ অথবা পত্র বা কাগজ সমষ্টির অংশ বিশেষ হয়, তখন কি সাক্ষ্য দিতে হবে
যে বিবৃতি সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়া হয়, তা যখন কোন দীর্ঘতর, বিবৃতির অথবা কথােপকথনের বা বিচ্ছিন্ন দলিলের অংশ বিশেষ হয় অথবা এমন কোন দলিলে তা লিপিবদ্ধ থাকে যা একটি পুস্তকের বা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত পত্রসমষ্টি বা দলিল, সমষ্টির অংশবিশেষ তখন উক্ত বিবৃতি, কথােপকথন, দলিল, পুস্তক পত্রসমষ্টি বা দলিল সমষ্টির কেবলমাত্র সে অংশ সম্পর্কে সাক্ষ্য দিতে হবে, সংশ্লিষ্ট মামলা অন্তর্ভুক্ত বিবৃতির প্রকৃতি ও প্রভাব এবং যে পরিস্থিতিতে বিবৃতিটি প্রদত্ত হয়েছিল তা সম্যক উপলব্ধি করার জন্য আদালত যে অংশ প্রয়োজনীয় বলে মনে করেন।
ধারা ৪০ দ্বিতীয় বা মোকদ্দমার বিচার নিষিদ্ধ করার জন্য পূর্ববর্তী রায় প্রাসঙ্গিক
যে রায় ডিক্রী বা আদেশ বহাল থাকতে কোন আদালত আইনত কোন একটি দেওয়ানী মামলা আমলে নিতে পারেন না বা তার বিচার করতে পারেন না, যে ক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে, যে রায়, ডিক্রী বা আদেশের অস্তিত্ব যেক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক ঘটনা উক্ত দেওয়ানী মামলা আমলে নেওয়া বা তার বিচার করা সে আদালতের পক্ষে উচিত কিনা।
ধারা ৪১ প্রবেট, এখতিয়ার ইত্যাদির ক্ষেত্রে কোন রায়ের প্রাসঙ্গিকতা
প্রবেট, এডমিরালটি, বিবাহ ও দেউলিয়াত্ব বিষয়ক এখতিয়ার প্রয়ােগ কালে কোন উপযুক্ত আদালত তার চূড়ান্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রী বলে যখন কোন আইনগত চরিত্র কারাে উপর আরােপ করে বা কাউকেও তা হতে বঞ্চিত করে, অথবা কোন ব্যক্তিকে অনুরূপ চরিত্রের অধিকার অথবা নির্দিষ্ট কোন কিছুর অধিকারী বলে ঘােষণা করে এবং সে অধিকার কোন ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে নয়, সর্বাত্মক বলে ঘােষনা করে, তখন অনুরূপ কোন আইনগত চরিত্র বা অনুরূপ কোন কিছুর উপর কোন ব্যক্তির অধিকারের অস্তিত্ব যদি প্রাসঙ্গিক হয়, তবে উক্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রিও প্রাসঙ্গিক।
উক্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রি দ্বারা চূড়ান্তরূপে প্রমাণিত হয় যে উক্ত রায় আদেশ বা ডিক্রি দ্বারা যে আইনগত চরিত্র আরােপিত হয়, তা কার্যকরী হবার সময় তা উদ্ভূত হয়েছিল।
উক্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রি দ্বারা কোন ব্যক্তিকে যে আইনগত চরিত্রের অধিকারী বলে ঘোষণা করা হয়, তাতে ওই ব্যক্তির অধিকার ঘোষণা করার সময় তাহার অনুরূপ অধিকার উদ্ভূত হয়েছিল। উক্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রি দ্বারা কোন ব্যক্তিকে যে আইনগত চরিত্র হতে বঞ্চিত করা হয়, তাহলে ওই ব্যক্তিকে তারা তারা বঞ্চিত করার সময় ওই ব্যক্তি উক্ত চরিত্র হারিয়েছিল।
এবং উক্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রি দ্বারা ব্যক্তি কে যা-কিছুর অধিকারী বলে ঘোষণা করা হয়, যে সম্পত্তি ওই ব্যক্তির সম্পত্তি বলে তাদের ঘোষণা করা হয়, সে সময় উক্ত সম্পত্তি তারই সম্পত্তি ছিল।
ধারা ৪২: ৪১ ধারায় উল্লেখিত রায় ছাড়া কোন রায় আদেশ বা ডিক্রীর প্রাসঙ্গিকতা ও পরিণাম
যে সকল রায়, আদেশ বা ডিক্রী ৪১ ধারায় উল্লিখিত হয়েছে তা ছাড়া অপরাপর রায়, আদেশ বা ডিক্রী যদি সাধারণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ধরনের বিষয় সম্পর্কিত হয়, তবে তদন্তের ক্ষেত্রে সেগুলি প্রাসঙ্গিক কিন্তু অনুরূপ রায়,আদেশ বা ডিক্রী তাতে বর্ণিত বিষয়ের চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।
উদাহরণ -৪১ ধারায় উল্লেখিত রায় ছাড়া কোন রায় আদেশ বা ডিক্রীর প্রাসঙ্গিকতা ও পরিণাম
ক-এর জমিতে অনধিকার প্রবেশ করার অভিযােগে খ-এর বিরুদ্ধে ক দেওয়ানি মামলা দায়ের করল। খ দাবী করল যে, ঐ জমিতে সাধারণের চলাচলের অধিকার আছে। ঐ জমিতে অনধিকার প্রবেশ করার অভিযােগে গ-এর বিরুদ্ধে ক মামলা করেছিল। সে মামলায় গ দাবী করেছিল যে, ঐ জমিতে সাধারণের চলাচলের অধিকার আছে। মামলায় বিবাদীর অনূকূলে যে ডিক্রী হয়েছিল, তা প্রাসঙ্গিক কিন্ত তা অনূরূপ অধিকার থাকা সম্পর্কে চূড়ান্ত প্রমাণ নয়।
ধারা ৪৩: ৪০ হতে ৪২ পর্যন্ত ধারায় উল্লিখিত রায় ইত্যাদি ছাড়া অপরাপর রায় ইত্যাদি যখন প্রসঙ্গিক
যে সকল রায়, আদেশ, বা ডিক্রী ৪০, ৪১, ও ৪২ ধারায় উল্লিখিত হয়েছে, তা ছাড়া অপরাপর রায়, আদেশ বা ডিক্রীর অস্তিত্ব যদি বিচার্য বিষয় না হয়, তবে তা অপ্রাসঙ্গিক।
(ক) গ একটি কুৎসা রটনা করার ফলে ‘ক’ ও ‘খ’ উভয়েরই মানহানি হওয়ায় তারা স্বতন্ত্রভাবে গ-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল। উভয় মামলাতেই গ বলল যে, মানহানিকর বলে কথিত ব্যাপারটি সত্য। পরিস্থিতি এরূপ যে, ব্যাপারটি উভয় ক্ষেত্রেই সত্য হতে পারে,অথবা কোন ক্ষেত্রেই সত্য না হতে পারে। গ তার আচরনের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে নি এ অজুহাতে ক, গ-এর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের ডিক্রী পেল। খ ও গ-এর মধ্যকার মামলায় তা অপ্রাসঙ্গিক।
ধারা ৪৩: ৪০ হতে ৪২ পর্যন্ত ধারায় উল্লিখিত রায় ইত্যাদি ছাড়া অপরাপর রায় ইত্যাদি যখন প্রাসঙ্গিক
যে সকল রায়, আদেশ, বা ডিক্রী ৪০, ৪১, ও ৪২ ধারায় উল্লিখিত হয়েছে, তা ছাড়া অপরাপর রায়, আদেশ বা ডিক্রীর অস্তিত্ব যদি বিচার্য বিষয় না হয়, তবে তা অপ্রাসঙ্গিক।
(ক) গ একটি কুৎসা রটনা করার ফলে ‘ক’ ও ‘খ’ উভয়েরই মানহানি হওয়ায় তারা স্বতন্ত্রভাবে গ-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল। উভয় মামলাতেই গ বলল যে, মানহানিকর বলে কথিত ব্যাপারটি সত্য। পরিস্থিতি এরূপ যে, ব্যাপারটি উভয় ক্ষেত্রেই সত্য হতে পারে,অথবা কোন ক্ষেত্রেই সত্য না হতে পারে। গ তার আচরনের যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে নি এ অজুহাতে ক, গ-এর বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের ডিক্রী পেল। খ ও গ-এর মধ্যকার মামলায় তা অপ্রাসঙ্গিক।
(খ) ক-এর স্ত্রী গ-এর সাথে অবৈধ সঙ্গম করার অভিযােগে খ-এর বিরুদ্ধে ক ফৌজদারি মামলা দায়ের করল । গ যে ক-এর স্ত্রী তা খ অস্বীকার করল কিন্তু অবৈধ সঙ্গমের দায়ে আদালত খ-কে শাস্তি দিল। পরবর্তীকালে ক-এর জীবদ্দশায় খ-কে বিবাহ করার দরুণ একই সময় দুই স্বামী গ্রহন করার অপরাধে গ-কে ফৌজদারিতে সােপর্দ করা হল। ক-এর বিরুদ্ধে আদালতের রায় এক্ষেত্রে গ-এর বিরুদ্ধে অপ্রাসঙ্গিক।
(গ) ক তার গরু চুরি করার অভিযােগে খ-কে ফৌজদারিতে সােপর্দ করে। মামলায় খ-এর সাজা হল। খ-এর সাজা হবার পূর্বে সে গ-এর কাছে যে গরু বিক্রয় করেছিল, সে গরুর জন্য ক পরবর্তীকালে গ-এর বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করল। খ-এর বিরুদ্ধে যে রায় হয়েছিল, ক ও গ-এর মধ্যকার মামলায় তা অপ্রাসঙ্গিক।
(ঘ) ক একটি জমির দখলের জন্য খ-এর বিরুদ্ধে একটি ডিক্রী পেল। এটার ফলে খ-এর পুত্র গ ক-কে হত্যা করল। এক্ষেত্রে উপরােক্ত রায়ের অস্তিত্ব প্রাসঙ্গিক কারণ তা হতে অপরাধের উদ্দেশ্য প্রতীয়মান হয়।
(ঙ) ক -এর বিরুদ্ধে চুরির অভিযােগ হল এবং ইতােপূর্বে সে চুরির দায়ে দন্ডিত হয়েছিল বলেও অভিযােগ করা হল। এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী দন্ডাদেশ বিচার্য বিষয় হিসাবে প্রাসঙ্গিক।
(চ) খ-কে হত্যা করার অভিযােগে ক-এর বিচার হচ্ছে। খ মানহানির দায়ে ক-কে ফৌজদারতি সােপর্দ করেছিল এবং ক দোষী সাব্যস্ত হয়ে দন্ডিত হয়েছিল, এটা ৮ ধারা মােতাবেক প্রাসঙ্গিক। কারণ, এটা হতে বিচার্য গ ঘটনার উদ্দেশ্যে প্রতীয়মান হয়।
ধারা ৪৪ রায় দেওয়ার জন্য প্রবঞ্চনা বা ষড়যন্ত্র অথবা আদালতের অযােগ্যতা প্রমাণ করা যেতে পারে
কোন দেওয়ানি মামলা বা অপর কোন মামলার কোন পক্ষ দেখাতে পারে যে, ৪০, ৪১ বা ৪২ ধারা মােতাবেক প্রাসঙ্গিক এবং বিরুদ্ধে পক্ষ কর্তৃক প্রমাণীত কোন রায়, আদেশ বা ডিক্রী এমন একটি আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হয়েছিল যে আদালত উক্ত রায়, আদেশ বা ডিক্রী দেয়ার যােগ্যতাসম্পন্ন নয়, অথবা প্রতারণা ও যােগসাজশক্রমে তা প্রদত্ত হয়েছিল।
ধারা ৪৫ বিশেষজ্ঞের অভিমত
যখন কোন বিদেশী আইন, অথবা বিজ্ঞান বা চারুকলা বিষয়ে অথবা হস্তাক্ষর বা টিপসহির সাদৃশ্যের প্রশ্নে আদালতেকে কোন অভিমতি উপনীত হতে হয়, তখন সংশ্লিষ্ট বিদেশী আইন, অথবা বিজ্ঞান বা চারুকলা বিষয়ে,অথবা হস্তাক্ষর বা টিপসহির সাদৃশ্যের প্রশ্নে যে সব ব্যক্তির বিশেষ পারদর্শিতা আছে, তাহদের অভিমত প্রাসঙ্গিক ঘটনা। ঐসব লােককে বিশেষজ্ঞ বলা হয়।
উদাহরন-বিশেষজ্ঞের অভিমত
(ক) প্রশ্ন হচ্ছে, বিষ, প্রয়ােগের দ্বারা ক-এর মৃত্যু হয়েছে কিনা। যে বিষ প্রয়ােগের দ্বারা ক-এর মৃত্যু ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে, সে বিষ প্রয়ােগের ফলে যে সব লক্ষন দেখা দেয়, তৎসম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের অভিমত প্রাসঙ্গিক
(খ) প্রশ্ন হচ্ছে, ক কোন একটি বিষয়ে কাজ করার সময় মানসিক বিকৃতির দরুন ঐ কাজের প্রকৃতি বুঝতে অপরাগ ছিল কিনা, অথবা সে যা করতেছিল, তা ভুল অথবা আইন রিরােধী একথা বুঝিতে অপরাগ ছিল কিনা। ক-এর মধ্যে যে সব লক্ষন দেখা গিয়েছিল সাধারণত সেগুলি মানসিক বিকৃতির লক্ষন কিনা, এবং অনুরূপ মানসিক বিকৃতির ফলে কেউ তার কৃতকর্মের প্রকৃতি অনুধাবন করতে অপরাগ হয় কিনা, অথবা তার ফলে তার কৃতকর্ম যে ভুল বা আইন বিরুদ্ধ তা বুঝতে অপারগ হয় কিনা সে সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের অভিমত প্রাসঙ্গিক।
(গ) প্রশ্ন হচ্ছে, বিশেষ একটি দলিল ক-এর দ্বারা লিখিত কিনা। ক-এর দ্বারা লিখিত বলে প্রমাণিত বা স্বীকৃতি হয়েছে, এরূপ আরেকটি দলিল উপস্থাপন করা হল। উভয় দলিল একই ব্যক্তির অথবা ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির দ্বারা লিখিত কিনা সে প্রশ্নে বিশেষজ্ঞদের অভিমত প্রাসঙ্গিক।
ধারা ৪৬ বিশেষজ্ঞের অভিমতের সাথে সংশ্লিষ্ট ঘটনা
বিশেষজ্ঞদের অভিমত যখন প্রাসঙ্গিক তখন যে সমস্ত ঘটনা উক্ত অভিমত সমর্থন করে অথবা উক্ত অভিমতের সাথে সামঞ্জস্যহীন, সেগুলি প্রাসঙ্গিক, যদিও সেগুলি অপর কোনভাবে প্রাসঙ্গিক নয়।
(ক) প্রশ্ন হচ্ছে ‘ক’ কে কোন বিশেষ একটি বিষ প্রয়ােগ করা হয়েছে কিনা। অন্যান্য যাদেরকে ঐ বিষ প্রয়ােগ করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে এমন কতকগুলাে লক্ষণ দেখা গিয়েছিল, বিশেষজ্ঞগণ সেগুলিকে এ বিশেষ লক্ষণ বলে স্বীকার বা অস্বীকার করেছিল তা প্রাসঙ্গিক।
(খ) প্রশ্ন হচ্ছে একটি পােতাশ্রয়ে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে তা একটি সামুদ্রিক প্রাচীরের দ্বারা হয়েছে কিনা। অন্য যে সব পােতশ্রয় অপরাপর ব্যাপারে একই অবস্থায় অবস্থিত কিন্তু সেখানে। অনুরূপ কোন সামুদ্রিক প্রাচীর নেই, এ সময়ে সে গুলিতেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে শুরু করেছে, এটা প্রাসঙ্গিক।
ধারা ৪৭ হস্তান্তর সম্পর্কে অভিমত যখন প্রাসঙ্গিক
একটি দলিল বা যে ব্যক্তির দ্বারা লিখিত বা স্বাক্ষরিত হয়েছে, সে সম্পর্কে আদালতকে যখন কোন অভিমতে উপনীত হতে হয়, তখন যে ব্যক্তির দ্বারা তা লিখিত বা স্বাক্ষরিত হয়েছে, বলে মনে করা হচ্ছে, সে ব্যক্তির দ্বারা তা লিখিত বা স্বাক্ষরিত হয়েছে বা হয় নি এ মর্মে উক্ত ব্যক্তির হস্তাক্ষরের সাথে পরিচিত কোন ব্যক্তির অভিমত প্রাসঙ্গিক।
ব্যাখ্যাঃ এক ব্যক্তি যখন অন্য এক ব্যক্তিকে লিখতে দেখেছে অথবা যখন প্রথমােক্ত ব্যক্তি শেষােক্ত ব্যক্তির কাছে প্রেরিত নিজের লিখিত বা নিজ কর্তৃত্বে লিখিত কোন লিপির উত্তরে তার কাছে হতে লিপি পেয়েছে, যা ঐ ব্যক্তির হাতের লেখা বলে বুঝতে দেওয়া হয়েছে অথবা যখন স্বাভাবিক কাজকর্ম প্রসঙ্গে শেষােক্ত ব্যক্তির দ্বারা লিখিত বলে যা বুঝতে দেয়া হয় এরুপ কাগজ পত্র বরাবরই প্রথমােক্ত ব্যক্তির কাছে দাখিল হয়ে থাকে, তখন প্রথমােক্ত ব্যক্তি শেষােক্ত ব্যক্তির হস্তাক্ষরের সাথে পরিচিত বলে ধরা হয়।
উদহারণ -হস্তান্তর সম্পর্কে অভিমত যখন প্রাসঙ্গিক
প্রশ্ন হচ্ছে নির্দিষ্ট কোন একটি চিঠি লন্ডস্থ ব্যবসায়ী ক-এর হাতের লেখা কিনা। খ চট্টগ্রামস্থ একজন ব্যবসায়ী। সে ক-এর কাছে চিঠিপত্র লিখে যে উত্তর পেয়েছে, সেগুলি ক-এর হাতের লেখা বলে বুঝতে দেয়া হয়েছে। খ-এর কেরানী -এর কর্তব্য গ এর খ-এর চিঠিপত্র দেখা ও নথিবদ্ধ করা। খ তার দালাল গ-এর সাথে পরামর্শ করার জন্য ক-এর কাছ হতে পাওয়া চিঠিগুলি বরাবর ঘ-এর সাথে পরমর্শ করার জন্য ক-এর কাছে হতে পাওয়া চিঠিগুলি বরাবর ঘ-কে দেখিয়ে থাকে। খ, গ অথবা ঘ কেউ যদিও কখনও ক-কে দেখে নি, তথাপি উপরােক্ত নির্দিষ্ট চিঠিখানি ক-এর হাতে লেখা কিনা সে প্রশ্নে গ ও ঘ-এর অভিমত প্রাসঙ্গিক।
ধারা ৪৮ অধিকার প্রথার অস্তিত্ব সম্পর্কে অভিমত যখন প্রাসঙ্গিক
কোন সাধারণ প্রথা বা অধিকারের অস্তিত্ব সম্পর্কে যখন আদালতকে কোন অভিমতে উপনীত হতে হয় তখন উক্ত প্রথা বা অধিকার অস্তিত্ব থাকলে যে সমস্ত ব্যক্তির জানা সম্ভব, তার অস্তিত্ব সম্পর্কে তাদের অভিমত প্রাসঙ্গিক।
ব্যাখ্যাঃ “সাধারণ প্রথা বা অধিকার” কথাটি বলতে যথেষ্ট সংখ্যক ব্যক্তির একটি শ্রেণীর মধ্যে সাধারণভাবে প্রচলিত প্রথা বা অধিকারও বুঝায়।
উদাহরণ -অধিকার প্রথার অস্তিত্ব সম্পর্কে অভিমত যখন প্রাসঙ্গিক
কোন একটি গ্রামের অধিবাসীদের নির্দিষ্ট কোন একটি কুপের জল ব্যবহার করার অধিকার থাকলে, তা এ ধারার অর্ধ অনুযায়ী সাধারণ অধিকার।
ধারা ৪৯ প্রচলিত রীতি-নীতি ইত্যাদি সম্পর্কে অভিমত যখন প্রাসঙ্গিক
আদালতকে যখন নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সম্পর্কে অভিমতে উপনীত হতে হয়, যথা: কোন প্রতিষ্ঠান বা পরিবারের প্রচলিত রীতি-নীতি ও মতবাদ, কোন ধর্মীয় বা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র ও পরিচালনা, অথবা কোন বিশেষ জেলায় বা বিশেষ শ্রেণীর ব্যক্তির মধ্যে ব্যবহৃত শব্দের অর্থ, তখন ঐ সম্পর্কে যাদের জ্ঞানের বিশেষ উৎস আছে, তাদের অভিমত প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
ধারা ৫০ আত্মীয়তা সম্পর্কে অভিমত যখন প্রাসঙ্গিক
যখন এক ব্যক্তির সাথে অন্য এক ব্যক্তির সম্পর্কের ব্যাপারে অভিমতে উপনীত হতে হয়, তখন পরিবারের সদস্য হিসাবে বা অপর ভাবে এ ব্যাপারে যার জ্ঞানের বিশেষ উৎস আছে, উক্ত সম্পর্কের অস্তিত্ব সম্পর্কে তার আচরণের মধ্য দিয়ে যে অভিমত ব্যক্ত হয়, তা প্রাসঙ্গিক ঘটনা। তবে তালাক আইনের কোন মামলায় বিবাহ করার জন্য অথবা দন্ডবিধির ৪৯৪, ৪৯৫, ৪৯৭ বা ৪৯৮ ধারার কোন ফৌজদারি মামলায় উক্ত অভিমত যথেষ্ট গণ্য হবে।
উদাহরণ -আত্মীয়তা সম্পর্কে অভিমত যখন প্রাসঙ্গিক
(ক) প্রশ্ন হচ্ছে, ক ও খ পরস্পর বিবাহিত কিনা। তাদের বন্ধু বান্ধবরা সাধারণত তাদেরকে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে অভ্যর্থনা ও তাদের সাথে তদ্রুপ ব্যবহার করেছে, এটা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
(খ) প্রশ্ন হচ্ছে ক, খ এর বৈধ ছেলে কিনা। পরিবারের সকল সদস্য ক এর সাথে ঠিক তাদের ছেলের মতোই ব্যবহার করেছে, এটা প্রাসঙ্গিক।
ধারা ৫১ মতামতের কারণ যখন প্রাসঙ্গিক
কোন জীবিত ব্যক্তির মতামত যখন প্রাসঙ্গিক, তখন ঐ মতামত যে সব ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত সেগুলিও প্রাসঙ্গিক।
উদাহরণ-মতামতের কারণ যখন প্রাসঙ্গিক
কোন বিশেষজ্ঞ কোন অভিমতে উপনীত হওয়ার জন্য তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিবরণ দিতে পারে।
Character when Relevant
চরিত্র যখন প্রাসঙ্গিক
ধারা ৫২ দেওয়ানি মামলায় কথিত আচরন প্রমাণ করার জন্য চরিত্র অপ্রাসঙ্গিক
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যেরূপ আচরণের অভিযােগ করা হয়েছে, তার চরিত্র অনুযায়ী তার পক্ষে ঐরূপ আচরণ সম্ভব অথবা অসম্ভব, তা দেওয়ানি মামলায় অপ্রাসঙ্গিক, কিন্ত অন্যভাবে প্রাসঙ্গিক বিষয় হতে চরিত্র যতটা জানা যায় ততটা প্রাসঙ্গিক।
ধারা ৫৩ ফৌজদারি মামলায় পূর্ববর্তী সচ্চরিত্র প্রাসঙ্গিক
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির চরিত্র ভালো, এটা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
ধারা ৫৪ পূর্ববর্তী অসচ্চরিত্র উত্তরদান প্রসংগ ব্যতীত অন্যভাবে প্রাসঙ্গিক নয়
ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির চরিত্র খারাপ, এটা অপ্রাসঙ্গিক। তবে তার চরিত্র ভাল এ মর্মে সাক্ষ্য দেয়া হয়ে থাকলে তার চরিত্র খারাপ এটা প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে।
ব্যাখ্যা ১ যে মামলায় কোন ব্যক্তির খারাপ চরিত্রই বিচার্য ঘটনা, সেক্ষেত্রে এ ধারা প্রযােজ্য নয়।
ব্যাখ্যা ২ খারাপ চরিত্রের সাক্ষ্য হিসাবে পূর্ববর্তী দন্ডাদেশ প্রাসঙ্গিক।
ধারা ৫৫ ক্ষতিপূরণ নির্ণয়ে চরিত্রের গুরুত্ব
কোন ব্যক্তির চরিত্র যদি এরূপ হয় যে, সে ব্যক্তির প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তদদ্বারা প্রভাবিত হয়, তবে দেওয়ানি মামলায় তা প্রাসঙ্গিক ঘটনা।
ব্যাখ্যাঃ ৫২, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ ধারায় “চরিত্র” শব্দটির দ্বারা খ্যাতি ও আচরণ উভয় বুঝায়। কিন্তু ৫৪ ধারায় যেরূপ বিধান আছে তা ব্যতীত অপরাপর ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সাধারণভাবে খ্যাতি ও আচরণ সম্পর্কে সাক্ষ্য দেয়া চলে, বিশেষ যে কাজের মধ্য দিয়ে খ্যাতি বা আচরণ প্রতীয়মান হয়, সে বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়া চলে না।