- Get link
- X
- Other Apps
সাক্ষ্য আইন পঞ্চম অধ্যায়-দালিলিক সাক্ষ্য।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬১ দলিলের বিষয়বস্তুর প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬২ প্রাথমিক সাক্ষ্য।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৩ মাধ্যমিক সাক্ষ্য।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৪ প্রাথমিক সাক্ষ্য দ্বারা দলিল প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৫ যে সমস্ত ক্ষেত্রে দলিল সম্পর্কে মাধ্যমিক সাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৬ দলিল দাখিল করার নােটিশ সংক্রান্ত নিয়মাবলী।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৭ দাখিলকৃত দলিলের লেখক বা স্বাক্ষরকারী বলে কথিত ব্যক্তির স্বাক্ষর ও হস্তাক্ষরের প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৮ যে দলিল সত্যায়িত করা আইনত আবশ্যক, তা সম্পাদনের প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৯ যেক্ষেত্রে সত্যয়নকারী সাক্ষ্য পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭০ সত্যায়িত দলিলের পক্ষ কর্তৃক সম্পাদনের স্বীকৃতি।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭১ সত্যয়নকারী সাক্ষী দলিল সম্পাদন অস্বীকার করলে সেক্ষেত্রে প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭২ যে দলিল প্রত্যয়িত করা আইনত দরকার নয়, তার প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৩ স্বীকৃত বা প্রমাণিত স্বাক্ষর, হস্তান্তর বা সীলের সাথে অপর কোন স্বাক্ষর বা তুলনা।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৪ সরকারি দলিল।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৫ বেসরকারি দলিল।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৬ সরকারি দলিলের জাবেদা নকল।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৭ জাবেদা নকল দাখিল করে দলিল প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৮ অপরাপর সরকারি দলিল প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬১ দলিলের বিষয়বস্তুর প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬২ প্রাথমিক সাক্ষ্য।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৩ মাধ্যমিক সাক্ষ্য।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৪ প্রাথমিক সাক্ষ্য দ্বারা দলিল প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৫ যে সমস্ত ক্ষেত্রে দলিল সম্পর্কে মাধ্যমিক সাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৬ দলিল দাখিল করার নােটিশ সংক্রান্ত নিয়মাবলী।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৭ দাখিলকৃত দলিলের লেখক বা স্বাক্ষরকারী বলে কথিত ব্যক্তির স্বাক্ষর ও হস্তাক্ষরের প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৮ যে দলিল সত্যায়িত করা আইনত আবশ্যক, তা সম্পাদনের প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৯ যেক্ষেত্রে সত্যয়নকারী সাক্ষ্য পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭০ সত্যায়িত দলিলের পক্ষ কর্তৃক সম্পাদনের স্বীকৃতি।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭১ সত্যয়নকারী সাক্ষী দলিল সম্পাদন অস্বীকার করলে সেক্ষেত্রে প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭২ যে দলিল প্রত্যয়িত করা আইনত দরকার নয়, তার প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৩ স্বীকৃত বা প্রমাণিত স্বাক্ষর, হস্তান্তর বা সীলের সাথে অপর কোন স্বাক্ষর বা তুলনা।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৪ সরকারি দলিল।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৫ বেসরকারি দলিল।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৬ সরকারি দলিলের জাবেদা নকল।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৭ জাবেদা নকল দাখিল করে দলিল প্রমাণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৮ অপরাপর সরকারি দলিল প্রমাণ।
Chapter V -Of Documentary Evidence
সাক্ষ্য আইন পঞ্চম অধ্যায়-দালিলিক সাক্ষ্য
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬১ দলিলের বিষয়বস্তুর প্রমাণ
কোন দলিলের বিষয়বস্তু প্রথম শ্রেণীর সাক্ষ্য অথবা দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্যের দ্বারা প্রমাণ করা যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬২ প্রাথমিক সাক্ষ্য
প্রথম শ্রেণীর সাক্ষ্যর অর্থ হল সংশ্লিষ্ট দলিলটিই আদালতের পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপন করা।
ব্যাখ্যা ১- কোন দলিল কতিপয় খন্ডে সম্পাদিত হলে প্রত্যেক খন্ডই ঐ দলিলের প্রথম শ্রেণীর সাক্ষ্য।
কোন দলিল যখন মুড়ি সহ সম্পাদিত হয় এবং প্রত্যেকটি মুড়িই পক্ষগণের মধ্যে একজন বা কয়েকজন মাত্র কর্তৃক সম্পাদিত হয়, তখন প্রত্যেকটি মুড়ি এটার সম্পাদনকারী পক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম শ্রেণীর সাক্ষ্য।
ব্যাখ্যা ২ - যেক্ষেত্রে কিছু সংখ্যক দলিল একই পদ্ধতিতে প্রস্তুত হয়, যথা মুদ্রণ, লিথােগ্রাফ বা ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তার প্রত্যেকটিই অন্যগুলির বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রথম শ্রেণীর সাক্ষ্য কিন্তু যেক্ষেত্রে সেগুলি সবই একটি মূল দলিলের নকল, সেক্ষেত্রে ঐগুলি মূল দলিলটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রাথমিক সাক্ষ্য নয়।
উদাহরণ প্রাথমিক সাক্ষ্য
এক ব্যক্তির দখলে এমন কতকগুলি প্রচারপত্র আছে বলে দেখান হল, যার সবগুলি একটি মৌলিক দলিল হতে একই সময়ে মুদ্রিত হয়েছে। প্রচারপত্রগুলির যে কোন একটি অন্য একটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রথম শ্রেণীর সাক্ষ্য, কিন্ত সেগুলির একটিও মূল প্রচার পত্রের বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রথম শ্রেণীর সাক্ষ্য নয়।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৩ মাধ্যমিক সাক্ষ্য
দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য বলতে নিম্নলিখিতগুলি বুঝায়
(১) এ আইনে অত:পর বর্ণিত বিধান অনুসারে প্রদত্ত জাবেদা নকল;
(২) মূল দলিল হতে এরূপ যান্ত্রিক উপায়ে প্রস্তুত নকল, যাতে নকলের নির্ভুলতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়, এবং এরূপ নকলের সাথে মিলিয়ে নেওয়া অপর নকল;
(৩) মূল দলিল হতে প্রস্তুত করা অথবা মূল দলিলের সাথে মিলিয়ে নেওয়া নকল;
(৪) কোন দলিলের মুড়ি, যে পক্ষ উক্ত দলিল সম্পাদন করে না, তার বিরুদ্ধে তা ব্যবহারে ক্ষেত্রে;
(৫) যে ব্যক্তি কোন দলিল দেখিয়েছে, তার দেওযা ঐ দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মৌখিক বিবরন।
উদাহরণ -মাধ্যমিক সাক্ষ্য
(ক) একটি মূল দলিলের সাথে তার ফটোগ্রাফ মিলে দেখা না হয়ে থাকলেও যদি প্রমাণ করা হয় যে, ফটোগ্রাফটি যে দলিলের ফটোগ্রাফ, তাই মূল দলিল, তবে উক্ত ফটোগ্রাফ উক্ত মুল দলিলের দ্বিতীয় শ্রেণীর স্বাক্ষ্য বলে পরিগণিত হবে ।
(খ) নকল প্রস্তুত করণের যন্ত্র দ্বারা কোন চিঠির যে নকল প্রস্তুত করা হয়, তার সাথে ঐ চিঠির অপর একটি নকল মিলিয়ে নেওয়া হলে, তা চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে দ্বিতীয় শ্রেণীর স্বাক্ষ্য বলে পরিগণিত হবে, যদি প্রমাণ করা হয় যে যন্ত্র দ্বারা প্রস্তুত নকলগুলি মুল চিঠি হতে প্রস্তুত করা হয়েছে।
(গ) কোন নকল হতে যে প্রতিলিপি প্রস্তুত করা হয় এবং পরে যা মূল দলিলের সাথে মিলাইয় নেওয়া হয়, তা দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য। কিন্তু যে নকল হতে উক্ত প্রতিলিপি প্রস্তুত করা হয়, সে নকলটি মূল দলিলের সাথে মিলিয়ে নেওয়া হয়ে থাকলেও তা হতে যে প্রতিলিপি প্রস্তুত করা হয়, তা যদি মূল দলিলের সাথে মিলিয়ে নেওয়া না হয়, তবে সে প্রতিলিপি মুল দলিলের দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য হবে না।
(ঘ) যে নকল মূল দলিলের সাথে মিলিয়ে নেওয়া হয়েছে তা সম্পর্কে মৌখিক বিবরণ, অথবা মুল দলিলের ফটোগ্রাফ বা যন্ত্র দ্বারা প্রস্তত নকল সম্পর্কে মৌখিক বিবরণ - কোনটাই মূল দলিলের দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য নয়।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৪ প্রাথমিক সাক্ষ্য দ্বারা দলিল প্রমাণ
এ আইনে অত:পর যে সমস্ত ব্যতিক্রম উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলি ব্যতীত অপর সমস্ত ক্ষেত্রে দলিলসমূহ অবশ্যই প্রথম শ্রেণীর সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণ করতে হবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৫ যে সমস্ত ক্ষেত্রে দলিল সম্পর্কে মাধ্যমিক সাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে
নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে কোন দলিলের অস্তিত্ব, অবস্থা বা বিষয়বস্তু সম্পর্কে দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে-
(ক) দলিলটি যার বিরুদ্ধে প্রমাণ করতে চাওয়া হচ্ছে, মূল দলিলটি তার দখলে বা কর্তৃত্বাধীনে আছে, অথবা আদালতের সমনের আওতার বাইরে বা এখতিয়ারের বাইরে কোন ব্যক্তির দখলে বা কর্তৃত্বাধীনে আছে বলে যদি দেখান হয় বা প্রতীয়মান হয়, অথবা যদি এমন ব্যক্তির দখলে বা কর্তৃত্বাধীনে তা থাকে, যে ব্যক্তি তা হাজির করতে আইনত বাধ্য, কিন্তু ৬৬ ধারায় উল্লেখিত নােটিশ দেয়া সত্ত্বেও সে ব্যক্তি যদি তা হাজির না করে ।
(খ) দলিলটি যার বিরুদ্ধে প্রমাণ করা হবে, সে ব্যক্তি বা তার কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধি মূল দলিলের অস্তিত, অবস্থা বা বিষয়বস্তু লিখিতভাবে স্বীকার করেছে বলে যখন প্রমাণ করা হয়।
(গ) মূল দলিল যেক্ষেত্রে বিনষ্ট হয়েছে বা হারিয়ে গিয়েছে, অথবা যেক্ষেত্রে মূল দলিলে বিষয়বস্তু সম্পর্কে সাক্ষ্য দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তি তার নিজের ত্রুটি বা অবহেলা ছাড়া অপর কোন কারণে যক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে তা হাজির করতে পারে না।
(ঘ) মূল দলিলটির প্রকৃতি যেক্ষেত্রে এরূপ যে সহজে তা স্তানান্তর করা যায় না ।
(ঙ) মূল দলিলটি যেক্ষেত্রে ৭৪ ধারায় বর্ণিত সর্বসাধারণের দলিলের আওতাভুক্ত।
(চ) মূল দলিটি যেক্ষেত্রে এমন যে, এ আইন বা বাংলাদেশে কার্যকরী অন্য কোন আইনে তার জাবেদা নকল সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করার বিধান আছে।
(ছ) কোন মূল দলিলে যখন অপরাপর এমন বহু সংখ্যক দলিলের বিবরণ থাকে যেগুলি আদালতের পরীক্ষা করে দেখা সুবিধাজনক নয, এবং যে ঘটনা প্রমাণ করতে হবে, তা ঐ সকল দলিলের সাধারণ ফলস্বরূপ।
উপরে বর্ণিত (ক), (গ) ও (ঘ) উদাহরণের ক্ষেত্রে দলিলটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে যে কোন দ্বিতীয় শ্রেণীর স্বাক্ষ্য গ্রহনযােগ্য হবে। উপরে বর্ণিত (খ) উদাহরণের ক্ষেত্রে উল্লিখিত স্বীকৃতি গ্রহণযােগ্য হবে। (ঙ) অথবা (চ) উদাহরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দলিলের জাবেদা নকল দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযােগ্য, কিন্তু অন্য কোন দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য গ্রহনযােগ্য নয়। (ছ) উদাহরণের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি দলিলগুলি পরীক্ষা করে দেখেছে এবং অনরূপ দলিল পরীক্ষা করে দেখার ব্যাপারে যে পারদর্শী দলিলগুলির সাধারণ ফল সম্পর্কে তার দ্বারা সাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৬ দলিল দাখিল করার নােটিশ সংক্রান্ত নিয়মাবলী
যেক্ষেত্রে কোন পক্ষ ৬৫ ধারার (ক) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত যে দলিলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য দিতে চায়, সে দলিল যার দখলে বা কর্তৃত্বধীনে আছে, তাকে বা তার এটর্নি বা উকিলকে তা উপস্থাপন করার জন্য পূর্বাহ্নে সে পক্ষ আইন মােতাবেক নােটিশ না দিলে দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য দেয়া যাবে না, আইনে অনুরূপ নােটিশ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু না থাকলে মামলার পরিস্থিতি বিবেচনায় আদালত যেরূপ যুক্তিসঙ্গত মনে করেন সেরূপ নােটিশ দিতে হবে। তবে দ্বিতীয় শ্রেণীর সাক্ষ্য গ্রহণযােগ্য করার জন্য নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে বা আদালত অপর যেক্ষেত্রে নােটিশ দেয়ার প্রযোজনীয়তা রহিত করেন সেক্ষেত্রে নােটিশ দিতে হবে-
(১) যে দলিল প্রমাণ করতে হবে তাই যেক্ষেত্রে একটি নাটিশ
(২) মামলার প্রকৃতি বিবেচনায় যেক্ষেত্রে বিরুদ্ধ পক্ষ অবশ্যই একথা জানে যে দলিলটি তাকে হাজির করতে হবে;
(৩) যেক্ষেত্রে প্রতীয়মান হয় অথবা প্রমাণিত হয় যে, বিরুদ্ধ পক্ষ প্রতারণা বা বল প্রয়ােগের দ্বারা মূল দলিলটি হস্তগত করেছে।
(৪) যেক্ষেত্রে বিরুদ্ধ পক্ষ বা তার প্রতিনিধিমূলক দলিল আদালতে পেশ করেছে।
(৫) যেক্ষেত্রে বিরুদ্ধ পক্ষ বা তার প্রতিনিধি দলিলটি হারিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে।
(৬) দলিলটি যার দখলে আছে, সে ব্যক্তি যদি আদালতের নাগালের মধ্যে বা এখতিয়ারের আওতার মধ্যে না থাকে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৭ দাখিলকৃত দলিলের লেখক বা স্বাক্ষরকারী বলে কথিত ব্যক্তির স্বাক্ষর ও হস্তাক্ষরের প্রমাণ।
কোন দলিল যখন কোন ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত অথবা সম্পূর্ণ বা আংশিক লিখিত হয়েছে বলে দাবি করা হয়, তখন সে ব্যক্তির সাক্ষ্য অথবা দলিলের যে অংশ সে ব্যক্তির হাতের লেখায় লিখিত হয়েছে বলে দাবী করা হয়, সে অংশ যে যথার্থই তার হাতের লেখা তা প্রমাণ করতে হবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৮ যে দলিল সত্যায়িত করা আইনত আবশ্যক, তা সম্পাদনের প্রমাণ
কোন দলিল প্রত্যয়িত করা যদি আইনত প্রয়ােজনীয় হয়, তবে প্রত্যায়নকারী জীবিত থাকলে এবং আদালতের এখতিয়ারের আওতাধীন হলে এবং সাক্ষ্য দিতে সমর্থ হলে, সে দলিলের সম্পাদন প্রমাণ করার জন্য অন্ততপক্ষে একজন প্রত্যায়নকারী সাক্ষী তলব না করা পর্যন্ত দলিলটি সাক্ষ্য হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না । তবে উইল ছাড়া অপর কোন দলিল যদি ১৯০৮ সালের রেজিস্ট্রিকরণ আইনের বিধান মােতাবেক রেজিস্ট্রি করা হয়ে থাকে এবং যে ব্যক্তি কর্তৃক তা সম্পাদিত বলে বুঝতে দেয়া হয়, সে ব্যক্তি কর্তৃক তা সম্পাদনের কথা যদি নির্দিষ্টভাবে অস্বীকার করা না হয়, তা হলে সে দলিলের সম্পাদন প্রমাণ করার জন্য কোন প্রত্যয়নকারী সাক্ষীকে তলব করার দরকার হবে না।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৯ যেক্ষেত্রে সত্যয়নকারী সাক্ষ্য পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে প্রমাণ
প্রত্যয়নকারী কোন সাক্ষীকে যদি না পাওয়া যায়, অথবা দলিলটি যুক্তরাজ্য সম্পাদিত হয়েছে বলে যদি বুঝতে দেয়া হয়, তবে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, প্রত্যয়নকারী সাক্ষীদের মধ্যে অন্তত পক্ষে একজনের প্রত্যয়ন সে ব্যক্তির হাতের লেখা এবং যে ব্যক্তি দলিলটি সম্পাদন করেছে, তার স্বাক্ষর তারই স্বহস্তে প্রদত্ত।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭০ সত্যায়িত দলিলের পক্ষ কর্তৃক সম্পাদনের স্বীকৃতি
প্রত্যয়িত দলিলের কোন পক্ষ যদি স্বীকার করে যে, দলিলটি তার দ্বারা সম্পাদিত হয়েছে, তবে যদিও আইনত দলিলটির প্রত্যয়ন আৰশ্যক, তথাপি তার সম্পাদন সম্পর্কে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার স্বীকৃতিই যথেষ্ট প্রমাণ বলে পরিগণিত হবে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭১ সত্যয়নকারী সাক্ষী দলিল সম্পাদন অস্বীকার করলে সেক্ষেত্রে প্রমাণ
যদি প্রত্যয়নকারী সাক্ষী দলিলটির সম্পাদনের কথা অস্বীকার করে, বা স্মরণ করতে না পারে, তা হলে অপর সাক্ষ্য দ্বারা তার সম্পাদন প্রমাণ করা যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭২ যে দলিল প্রত্যয়িত করা আইনত দরকার নয়, তার প্রমাণ
কোন একটি দলিলের প্রত্যয়ন আইনত আবশ্যকীয় না হলেও যদি তা প্রত্যয়িত হয়ে থাকে তবে অপ্রত্যয়িত দলিল হিসেবেই তা প্রমাণ করা যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৩ স্বীকৃত বা প্রমাণিত স্বাক্ষর, হস্তান্তর বা সীলের সাথে অপর কোন স্বাক্ষর বা তুলনা
কোন স্বাক্ষর, হস্তান্তর বা সীলমােহর যে ব্যক্তির বলে বুঝতে দেয়া হয়, উহা তারই কিনা, তা নির্ণয় করার জন্য যে স্বাক্ষর হস্তাক্ষর বা সীলমােহর ঐ ব্যক্তির বলে স্বীকৃত, বা আদালতের সন্তুষ্টি অনুসারে প্রমাণিত হয়েছে, তা উপরােক্ত যে স্বাক্ষর, হস্তান্তর বা সীলমােহর প্রমাণ করতে হবে তার সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যদিও সে স্বাক্ষর হস্তান্তর বা সীল মােহর অপর কোন উদ্দেশ্যে দাখিলকৃত বা প্রমাণিত হয় নি ।
কোন কথা বা অংক কোন ব্যক্তি কর্তৃক লিখিত বলে দাবি করা হয়ে থাকলে আদালত যাতে সে কথা বা অংকের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন, সেজন্য আদালতে হাজির ব্যক্তিকে সে কথা কিংবা অংক লিখার জন্য আদালত নির্দেশ প্রদান করতে পারেন। এই ধারা প্রয়ােজনীয়রূপে সংশােধিত আকারে টিপ সহির বেলায়ও প্রযােজ্য।
সরকারি দলিল
Public Documents
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৪ সরকারি দলিল
নিম্নলিখিত দলিলগুলি সর্বসাধারণের দলিল
(১) যে সকল দলিল
(ক) কোন সার্বভৌম কর্তৃপক্ষের,
(খ) সরকারি প্রতিষ্ঠান বা ট্রাইব্যুনালের এবং
(গ) বাংলাদেশের বা কমনওয়েলথের কোন অংশের বা বিদেশের আইন প্রণয়নকারী, বিচার বিভাগীয় বা শাসন বিভাগীয় কোন অফিসারের কার্য অথবা কার্যের লিপিবদ্ধ বিবরণ।
(২) বাংলাদেশে সর্বসাধারণের জন্য রক্ষিত ব্যক্তিগত দলিলের লিপিবদ্ধ বিবরণ।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৫ বেসরকারি দলিল
অপরাপর যাবতীয় সকল দলিল ব্যক্তিগত।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৬ সরকারি দলিলের জাবেদা নকল
সর্বসাধারণের কোন দলিলের জিম্মাদার প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী, ঐ দলিল পরিদর্শনের অধিকারসম্পন্ন কোন ব্যক্তি চাইলে উপযুক্ত ফিস আদায় করে সে দলিলের একটি নকল সে ব্যক্তিকে দিবে এবং তৎসহ নকলটির নিম্নভাগে এমর্মে একটি ঘােষণা সংযােজিত করে দিবে যে, নকলটি সে দলিলের বা তার অংশ বিশেষের (যেখানে যেরুপ প্রয়ােজন) সঠিক নকল, এবং উক্ত ঘােষণায় সংশ্লিষ্ট অফিসারের তারিখ সহ স্বাক্ষর ও সরকারি উপাধি সংযােজিত করতে হবে এবং উক্ত কর্মচারী সীলমােহর ব্যবহারের কর্তৃত্বসম্পন্ন হলে তাতে সীলমােহর অঙ্কিত করতে হবে এবং উক্তরূপ ঘোষণাযুক্ত নকল জাবেদা নকল বরিয়া গণ্য হবে।
ব্যাখাঃ যে কর্মচারী তার সাধারণ কর্তব্য পালন প্রসঙ্গে উক্তরূপ নকল বিষযে কর্তৃত্বসম্পন্ন, তিনিই এ ধারার অর্থ মােতাবেক সে দলিলের জিম্মাদার বলে গণ্য হবেন।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৭ জাবেদা নকল দাখিল করে দলিল প্রমাণ
অনুরূপ জাবেদা নকল সর্বসাধারণের যে দলিলের নকল বা যে দলিলের অংশ বিশেষের নকল বলে বুঝতে দেয়া হয়, সে দলিলের বা তার অংশ বিশেষের বিষয়বস্তুর প্রমাণ স্বরূপ তা উপস্থাপন করা যেতে পারে।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৮ অপরাপর সরকারি দলিল প্রমাণ
নিম্নলিখিত সাধারণের দলিলগুলি নিম্নবর্ণিত উপায়ে প্রমাণ করা যেতে পারে -
(১) সরকারের অথবা যে ভূখন্ড নিয়ে বাংলাদেশ গঠিত সে ভূখন্ডে পরিচালনারত সরকারের আইন, আদেশ বা বিজ্ঞপ্তি অথবা তার কোন বিভাগের প্রধান কর্তৃক সার্টিফিকেট প্রদত্ত কোন দলিল দ্বারা অথবা উক্তরূপ কোন সরকারের আদেশক্রমে মুদ্রিত কোন দলিল দ্বারা ।
(২) সংসদের কার্যবিবরণী সংসদের পত্রিকা দ্বারা, অথবা প্রকাশিত আইন বা আইনের সংক্ষিপ্ত বিবরণী দ্বারা অথবা তার যে নকল সরকার কর্তৃক মুদ্রিত বলে বুঝতে দেয়া হয় যার দ্বারা প্রমাণ করা যেতে পারে।
(৩) বাতিল।
(৪) বিদেশের কোন শাসন বিভাগীয় কর্মকর্তার জারীকৃত আইন অথবা আইন পরিষদের কার্যবিবরণী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে প্রকাশিত বা সংশ্লিষ্ট দেশে অনুরূপভাবে যা প্রকাশিত বলে ধারণা করা হয় তদদ্বারা অথবা সংশ্লিষ্ট দেশের বা তথাকার সার্বভৌমত্বের অধিকারী ব্যক্তির সীলমােহরযুক্ত জাবেদা নকল দ্বারা অথবা এদেশের কোন আইনে তার স্বীকৃতি দ্বারা প্রমাণ করা যেতে পারে।
(৫) বাংলাদেশের কোন পৌর সংস্থার কার্যবিবরণী অনুরূপ কার্যবিবরণীর আইনসঙ্গত রক্ষকের সহিমােহরকৃত নকলের দ্বারা অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে যা প্রকাশিত বলে বুঝতে দেয়া হয় এরুপ কোন মুদ্রিত পুস্তকের দ্বারা প্রমাণ করা যেতে পারে।
(৬) বিদেশের অপর কোন প্রকার সাধারণের দলিল, মূল দলিল দ্বারা অথবা উক্ত দলিলের আইনসঙ্গত রক্ষকের দ্বারা সহিমােহরকৃত নকল, যাতে দলিল প্রমাণকারী কর্মকর্তা অথবা বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি বা কুটনৈতিক প্রতিনিধির সীলমােহরসহ এরূপ সার্টিফিকেট দেওযা থাকে যে তা সংশ্লিষ্ট মূল দলিলের অইনসঙ্গত হেফাজতাকরী দ্বারা সহিমােহরকৃত নকল এবং তৎসহ সংশ্লিষ্ট দেশের আইন মােতাবেক উক্ত দলিলের প্রকৃতির প্রমাণ থাকলে তদ্দ্বারা প্রমাণ করা যেতে পারে।
টপিকস
সাক্ষ্য আইন পঞ্চম অধ্যায়-দালিলিক সাক্ষ্য।
সাক্ষ্য আইন ধারা ৬১ দলিলের বিষয়বস্তুর প্রমাণ। সাক্ষ্য আইন ধারা ৬২ প্রাথমিক সাক্ষ্য। সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৩ মাধ্যমিক সাক্ষ্য। সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৪ প্রাথমিক সাক্ষ্য দ্বারা দলিল প্রমাণ। সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৫ যে সমস্ত ক্ষেত্রে দলিল সম্পর্কে মাধ্যমিক সাক্ষ্য দেয়া যেতে পারে। সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৬ দলিল দাখিল করার নােটিশ সংক্রান্ত নিয়মাবলী। সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৭ দাখিলকৃত দলিলের লেখক বা স্বাক্ষরকারী বলে কথিত ব্যক্তির স্বাক্ষর ও হস্তাক্ষরের প্রমাণ। সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৮ যে দলিল সত্যায়িত করা আইনত আবশ্যক, তা সম্পাদনের প্রমাণ। সাক্ষ্য আইন ধারা ৬৯ যেক্ষেত্রে সত্যয়নকারী সাক্ষ্য পাওয়া যায় না সেক্ষেত্রে প্রমাণ। সাক্ষ্য আইন ধারা ৭০ সত্যায়িত দলিলের পক্ষ কর্তৃক সম্পাদনের স্বীকৃতি। সাক্ষ্য আইন ধারা ৭১ সত্যয়নকারী সাক্ষী দলিল সম্পাদন অস্বীকার করলে সেক্ষেত্রে প্রমাণ। সাক্ষ্য আইন ধারা ৭২ যে দলিল প্রত্যয়িত করা আইনত দরকার নয়, তার প্রমাণ। সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৩ স্বীকৃত বা প্রমাণিত স্বাক্ষর, হস্তান্তর বা সীলের সাথে অপর কোন স্বাক্ষর বা তুলনা। সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৪ সরকারি দলিল। সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৫ বেসরকারি দলিল। সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৬ সরকারি দলিলের জাবেদা নকল। সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৭ জাবেদা নকল দাখিল করে দলিল প্রমাণ। সাক্ষ্য আইন ধারা ৭৮ অপরাপর সরকারি দলিল প্রমাণ।