- Get link
- X
- Other Apps
Chapter Five A Criminal Conspiracy
পঞ্চম ক অধ্যায় - অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র
ধারা ১২০ক অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সংজ্ঞা
দুই বা ততােধিক ব্যক্তি
(১) কোন অবৈধ কার্য, বা
(২) অবৈধ নয় এমন কোন কার্য, অবৈধ উপায়ে সম্পন্ন করতে বা করাতে সম্মত হলে এরূপ চুক্তি অপরাধজনক চক্রান্ত বলে পরিগণিত হবে।
তবে শর্ত থাকে যে কোন অপরাধ সংগঠনের চুক্তি ছাড়াই, অপর কোন চুক্তি, এরূপ চুক্তির অনুসরণে এরূপ চুক্তিভুক্ত এক বা একাধিক দল দ্বারা চুক্তিটি ছাড়াও অপর কোন কার্য সম্পন্ন না হলে অপরাধজনক চক্রান্ত বলে পরিগণিত হবে না।
ব্যাখ্যাঃ অবৈধ কার্যটি এরূপ সম্মতি বা চুক্তির চুড়ান্ত লক্ষ্য বা তা শুধু উদ্দিষ্ট লক্ষ্যের আনুষঙ্গিক তা বিবেচ্য নয়।
ধারা ১২০খ অপরাধজনক ষড়যন্ত্রের শাস্তি
১) যে লোক মৃত্যুদণ্ডে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা দুই বা তদূর্ধ্ব মেয়াদের জন্য সশ্রম কারাদণ্ডে শাস্তিযােগ্য কোন অপরাধ সংগঠনের জন্য কোন পরিকল্পিত অপরাধজনক ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ করে, সে লােক এরূপ ষড়যন্ত্রের শাস্তি বিধানের জন্য এই বিধিতে কোন স্পষ্ট বিধান না থাকলে, এই হিসেবে দণ্ডিত হবে যেন সে এরূপ অপরাধের সাহায্য করেছে।
(২) যে লােক পূর্বোক্ত হিসেবে শাস্তিযােগ্য কোন অপরাধ সংগঠনের পরিকল্পিত অপরাধজনক যড়যন্ত্র ছাড়া অপর কোন অপরাধজনক ষড়যন্ত্রে শরীক হয়, সে লােক যে কোন বর্ণনার কারাদণ্ডে যার মেয়াদ ছয় মাসের বেশি হবে না, বা জরিমানা দণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
Chapter Six - Of Offences Against the States
রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধগুলো প্রসঙ্গে
ধারা ১২১ বাংলাদশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা বা যুদ্ধ ঘােষণার উদ্যোগ করা বা যুদ্ধ ঘােষণার সহায়তা
যে লােক, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বা এরূপ যুদ্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করে বা এরূপ যুদ্ধে সাহায্য করে সে লােক মৃত্যুদণ্ডে, বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
উদাহরণ
ক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থানের যোগদান করে ও ক এই ধারায় উল্লেখিত অপরাধ সংঘটন করেছে।
ধারা ১২১কঃ ১২১ ধারাবলে শাস্তিযােগ্য অপরাধগুলাে সংগঠনের ষড়যন্ত্র
যে লােক বাংলাদেশের ভিতরে বা বাইরে ১২১ ধারাবলে শাস্তিযােগ্য কোন অপরাধ সংগঠন বা বাংলাদেশকে তদীয় এলাকাগুলাের বা এর কোন অংশ বিশেষের সার্বভৌমত্ব হতে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করে বা অপরাধজনক বল প্রয়ােগের হুমকি মাধ্যমে সরকারকে ভয়াভিভূত করার ষড়যন্ত্র করে সে লােক যাবজ্জীবন বা অপর কোন স্বল্পতর মেয়াদের জন্য কারাদণ্ডে বা যেকোন বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে, দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ব্যাখ্যাঃ এই এই ধারার আওতায় কোন ষড়যন্ত্র গঠন করার জন্য তদনুসারে কোন কার্য বা অবৈধ বিচ্যুতি সংগঠন দরকার নয়।
ধারা ১২২ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের লক্ষ্যে অস্ত্রশস্ত্র প্রভৃতি সংগ্রহ করা:
যে লােক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বা যুদ্ধের অভিপ্রায় প্রস্তুতি গ্রহণের মতলবে লােকবল, অস্ত্রশস্ত্র বা গােলাবারুদ সংগ্রহ করে বা প্রকারান্তরে যুদ্ধারম্ভের প্রস্তুতি নেয়, সে লােক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা যেকোন বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে যার মেয়াদ অনধিক দশ বৎসর হতে পারে, দণ্ডে দণ্ডিত হবে, ও এতদ্ব্যতীত জরিমানদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ধারা ১২৩ যুদ্ধ সুগম করার ইচ্ছায় চক্রান্ত গােপনকরণ
যে লােক কোন কার্য বা বেআইনিভাবে বিরতির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোন কার্য বা বেআইনিভাবে বিরতির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কোন ষড়যন্ত্রের অস্তিত্ব এই হিসেবে গােপন করে যে, তার এরূপ গােপনীয়তার সাহায্যে এরূপ যুদ্ধারম্ভের সুবিধা বিধানে অভিপ্রায় থাকে, বা এরূপ গােপনীয়তার কারণে এরূপ যুদ্ধ সুগম হবার আশংকা আছে বলে তার জানা থাকে, সে লোক যে কোন বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ধারা ১২৩ক রাষ্ট্র উদ্ভব নিন্দাকরণ ও এর সার্বভৌমত্বের বিলােপ সমর্থন করা
১) যে লােক বাংলাদেশের ভিতরে বা বাইরে, বাংলাদেশের নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতি হতে পারে এমন, বা বাংলাদেশ সীমানার ভিতর অবস্থিত সমুদয় বা যে কোন এলাকা বিষয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে পারে এমন পদ্ধতিতে কোন লােক বা সমগ্র জনসাধারণ, বা এর যে কোন বিশেষকে প্রভাবিত করার ইচ্ছায় বা প্রভাবিত করতে পারে বলে জেনে, উচ্চারিত বা লিখিত শব্দগুলাের সাহায্যে বা মার্কগুলাে বা দৃশ্য প্রতীকের সাহায্যে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ তারিখে স্বাধীনতা ঘােষণা মােতাবেক বাংলাদেশ উদ্ভব বিষয়ে নিন্দাবাদ করতে বা প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলাের সঙ্গে সংযুক্তির মাধ্যমে বা প্রকারান্তরে বাংলাদেশ সীমানার ভিতর অবস্থিত সমুদয় বা যেকোন এলাকা বিষয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব খর্ব করার বা বিলােপের সমর্থন করবে, সে লােক সশ্রম কারাদণ্ডে যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে দণ্ডিত হবে, ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
২) প্রাসঙ্গিক সময়ে বলবত অপর কোন আইনে যাই বলা থাকুক না কেন, এই ধারার আওতায় কোন লােক বিশেষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সময় তদন্ত বা বিচার সংগঠনের সময় ঐ লােককে যে আদালতে সােপর্দ করা হয়, সে আদালতের পক্ষে তদীয় বিবেচনামত ঐ মােকদ্দমা চূড়ান্তভাবে মীমাংসিত না হওয়া পর্যন্ত ঐ লােকের গতিবিধি, অন্যান্য লােকের সঙ্গে তার মেলামেশা বা সাহচর্য ও সংবাদ মতামত প্রচারের সম্পর্কে তার কার্যকলাপ বিষয়ে যথাযথ আদেশ দান করা আইনসম্মত বলে পরিগণিত হবে।
৩) উপধারায় উল্লেখিত আদালতের সঙ্গে বিষয়ক আপিল বা রিভিশনের ক্ষমতাসম্পন্ন যে কোন আদালতেও ঐ উপধারার আওতায় আদেশদান করতে পারবেন।
ধারা ১২৪ কোন আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়ােগে বাধ্য করার বা বাধা দান করার ইচ্ছায় রাষ্ট্রপতি, গভর্ণর প্রমুখকে আক্রমণকরণ:
যে লােক, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বা সরকারকে যে কোন পদ্ধতিতে রাষ্ট্রপতির বা সরকারের যে কোন আইনানুগ ক্ষমতা প্রয়ােগ করার জন্য বা প্রয়ােগ করা হতে বিরত করার জন্য প্রলুব্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করার ইচ্ছায় রাষ্ট্রপতিকে বা সরকারকে আক্রমণ করে বা অবৈধভাবে বাধাদান করে, বা অবৈধভাবে বাধাদানের উদ্যোগ করে, বা অপরাধজনক বলপ্রয়ােগ বা অপরাধজনক বলপ্রয়ােগের ভান করে ভীতবিহব্বল করার উদ্যোগ করে; সেই লােক যেকোন বর্ণনার সশ্রম ও বিনাশ্রম কারাদণ্ড, যার মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত হতে পারে দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ধারা ১২৪ক রাষ্ট্রদ্রোহিতা
যে লােক উচ্চারিত বা লিখিত শব্দগুলাের মাধ্যমে বা মার্কাদি মাধ্যমে বা দৃশ্যমান প্রতীকের মাধ্যমে বা প্রকারান্তরে আইনবলে সরকারের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ উদ্ভব করে বা করার উদ্যোগ করে বা বৈরিতা সৃষ্টি করে বা করার উদ্যোগ করে, সে লােক যাবজ্জীবন বা এমন যে কোন নিম্ন মেয়াদের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে যার সঙ্গে জরিমানা যােগ করা যাবে বা এমন তিন বৎসর মেয়াদি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে যার সঙ্গে জরিমানা যােগ করা যাবে, বা জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত হবে ।
ব্যাখ্যা ১ “বিদ্বেষ” বলতে অনানুগত্য ও সর্বপ্রকারের শত্রুতার ভাব বুঝাবে।
ব্যাখ্যা ২ ঘৃণা, বিদ্বেষ বা বৈরিতা উদ্ভব বা সৃষ্টির উদ্যোগ না করে আইনসম্মত উপায়ে সরকারি ব্যবস্থাদির পরিবর্তন আনয়নকল্পে সরকারি ব্যবস্থা অসমর্থনমূলক অভিমত বা মন্তব্য ব্যক্ত এই ধারার আওতায় কোন অপরাধ বলে পরিগণিত হবে না।
ব্যাখ্যা ৩ ঘৃণা, বিদ্বেষ বা বৈরিতা উদ্ভব বা সৃষ্টির উদ্যোগ না করে সরকারের প্রশাসনিক বা অপরবিধ ব্যবস্থা অসমর্থনমূলক অভিমত বা মন্তব্য ব্যক্ত এই ধারার আওতায় কোন অপরাধ বলে পরিগণিত হবে না।
ধারা ১২৫ বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রীবন্ধনে আবদ্ধ কোন এশিয় শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ
যে লােক বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রীসূত্রে আবদ্ধ বা শান্তিতে বসবাসকারি কোন এশীয় শক্তির সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বা এরূপ যুদ্ধের উদ্যোগ করে বা এরূপ যুদ্ধে সাহায্য করে সে লােক এমন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে যার সঙ্গে জরিমানা যােগ করা যেতে পারে বা যেকোন বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড যার মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত হতে পারে ও যার সঙ্গে জরিমানা যােগ করা যেতে পারে বা জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
ধারা ১২৬ বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ বসবাসকারি শক্তির রাজ্য এলাকাসমূহে লুণ্ঠন সংগঠন করা
যে লােক বাংলাদেশের সঙ্গে মৈত্রীবদ্ধ বা শান্তিতে বসবাসকারি কোন শক্তির রাজ্য এলাকাগুলাের উপর লুণ্ঠন কার্য সংগঠন করে বা সংগঠনের প্রস্তুতি নেয়, সে লোক যেকোন বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে যার মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত হতে পারে, দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডে ও শাস্তিযােগ্য হবে ও এরূপ লুণ্ঠনকার্যে ব্যবহৃত বা ব্যবহারের জন্য অভীষ্ট বা এরূপ লুটতরাজের সাহায্যে অর্জিত তার যে কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
ধারা ১২৭ - ১২৫ ও ১২৬ ধারায় উল্লিখিত যুদ্ধ বা লুটতরাজের মাধ্যমে গৃহিত সম্পত্তি গ্রহণ করা
যে লােক কোন সম্পত্তি ১২৫ ও ১২৬ ধারায় উল্লেখিত কোন অপরাধ সংগঠনের সময় গৃহিত বলে জেনেও এটা গ্রহণ করে সে লােক যে কোন বর্ণনার সশ্রম ও বিনাশ্রম কারাদণ্ডে যার মেয়াদ সাত বৎসর পর্যন্ত হতে পারে, দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে ও তার অনুরূপভাবে গৃহিত সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
ধারা ১২৮ সরকারি কর্মচারি দ্বারা স্বেচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রবিরােধী অপরাধে বা যুদ্ধাপরাধে কারারুদ্ধ বন্দিকে পালিয়ে যেতে দেওয়া
যে লােক সরকারি কর্মচারি হয়ে ও কোন রাজবন্দী বা যুদ্ধবন্দীর হাজতের ভারপ্রাপ্ত হয়ে স্বেচ্ছাকৃতভাবে এরূপ বন্দী যে জায়গায় আটক আছে তথা হতে তাকে পালিয়ে যেতে দেয়, সে লােক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা কোন বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে, দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ধারা ১২৯ সরকারি কর্মচারির অবহেলাপূর্বক এরূপ বন্দীকে পালিয়ে যেতে দেওয়া
যে লােক সরকারি কর্মচারি হয়ে ও কোন রাজবন্দী বা যুদ্ধবন্দীর হাজতের ভারপ্রাপ্ত হয়ে অবহেলাপূর্বক বন্দী যে জায়গায় আটক আছে তথা হতে তাকে পালিয়ে যেতে দেয়, সে লােক বিনাশ্রম কারাদণ্ডে যার মেয়াদ তিন বৎসর পর্যন্ত হতে পারে দণ্ডিত হবে ও এতদ্বতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ধারা ১৩০ এরূপ বন্দীকে পলায়নে সাহায্য করা, উদ্ধার করা, বা আশ্রয়দান করা
যে লােক জ্ঞাতসারে, কোন রাজবন্দীকে বা যুদ্ধবন্দীকে আইনানুগ হাজত হতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে বা এরূপ যে বন্দী আইনানুগ হাজত হতে পলায়ন করেছে তাকে আশ্রয়দান করে বা গােপন করে বা এরূপ বন্দীকে পুনরায় গ্রেফতার করার সম্পর্কে কোন বাধাদান করে বা বাধাদানের উদ্যোগ করে, সে লােক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা যে কোন বর্ণনার সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ডে, যার মেয়াদ দশ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে, দণ্ডিত হবে ও এতদ্ব্যতীত জরিমানাদণ্ডেও শাস্তিযােগ্য হবে।
ব্যাখ্যাঃ যে রাজবন্দী বা যুদ্ধবন্দীকে তদীয় প্রতিশ্রুতিক্রমে বাংলাদেশের কিছু কিছু নির্দিষ্ট সীমানার ভিতর মুক্ত থাকবার অনুমতি দেওয়া হয়, সে তাকে যে সীমানার ভিতর মুক্ত থাকবার অনুমতি দেওয়া হয় এর বাইরে গেলে আইনসম্মত হাজাত হতে পলায়ন করে বলে পরিগণিত হবে।