- Get link
- X
- Other Apps
Chapter 23 Of Trials before Courts of Session
তেইশতম অধ্যায় দায়রা আদালতে বিচার প্রসঙ্গে
ধারা ২৬৫ক সরকারি কৌসুলী মামলা পরিচালনা করবেন
দায়রা আদালতে প্রত্যেকটি বিচারে সরকারি কৌসুলী অভিযােগকারির পক্ষে মামলা পরিচালনা করবেন ।
ধারা ২৬৫খ অভিযােগকারির পক্ষে বক্তব্য শুরু
আসামি ধারা ২০৫গ অনুসারে আদালতে হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে সরকারি কৌসুলী আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোেগ বর্ণনার মাধ্যমে এবং কি সাক্ষ্য দ্বারা তিনি আসামির দোষ প্রমাণ করতে চাহেন তা বিবৃত করার মাধ্যমে নিজ বক্তব্য আরম্ভ করবেন।
ধারা ২৬৫গ অব্যাহতি
মােকদ্দমার নথি ও তদসহ দাখিলী দলিলাদি বিবেচনা এবং তৎসম্পর্কে আসামি ও অভিযােগকারির পক্ষের বক্তব্য শুনার পর আদালত যদি মনে করেন যে, আসামির বিরুদ্ধে মােকদ্দমা চালাইবার যথেষ্ট কারণ নাই, তা হলে আদালত আসামিকে রেহাই দিবেন ও ঐরূপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
ধারা ২৬৫ঘ অভিযােগ গঠন
১) উপরিউক্তরূপ বিবেচনা ও শুনানির পর যদি আদালত এই অভিমতে উপনিত হন যে, আসামি একটা অপরাধ করেছে এইরূপ মনেকরার কারণ আছে, তা হলে আদালত আসামির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযােগ প্রণয়ন করবেন।
২) যেক্ষেত্রে আদালত উপ-ধারা (১) এর অধীন অভিযােগ প্রণয়ন করেন, সেই ক্ষেত্রে আসামিকে অভিযােগ পড়িয়া শুনাইতে হবে ও ব্যাখ্যা করতে হবে এবং আসামিকে জিজ্ঞাসা করতে হবে যে, সে দোষ স্বীকার করে বা বিচার প্রার্থনা করে।
ধারা ২৬৫ঙ দোষ স্বীকার করায় দণ্ডাদেশ
আসামি যদি দোষ স্বীকার করে তবে আদালত তা লিপিবদ্ধ করবেন এবং ইহার বিচারিক ক্ষমতাবলে দণ্ডাদেশ দান করতে পারবেন।
ধারা ২৬৫চ অভিযােগকারি পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ
আসামি যদি দোষ স্বীকার করতে অস্বিকার করে বা দোষ স্বীকার না করে বা বিচার প্রার্থনা করে, বা ধারা ২৬৫ঙ এর অধীন দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত না হয়, তবে আদালত সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তারিখ ধার্য করবেন এবং অভিযােগকারি পক্ষের আবেদনক্রমে সাক্ষীকে উপস্থিত হতে বা কোন দলিল বা অন্য কিছু আদালতে উপস্থিত করতে বাধ্য করার জন্য যে কোন প্রকার পরােয়ানা দিতে পারবেন।
ধারা ২৬৫ছ অভিযােগকারির পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ
১) এইভাবে ধার্য তারিখে আদালত অভিযােগকারির পক্ষের সমর্থনে উপস্থিত সমস্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন।
২) আদালত ইহার বিচারিক ক্ষমতাবলে কোন একজন সাক্ষীর জেরা অন্যান্য সাক্ষীর বা সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্থগিত রাখতে পারবেন, অথবা কোন সাক্ষীকে আরও জেরা করার লক্ষ্যে পুনরায় ডাকিতে পারবেন।
ধারা ২৬৫জ আসামিকে খালাস দিবার আদেশ
অভিযােগকারি পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামির জবানবন্দি গ্রহণ এবং বিষয়টি সম্পর্কে অভিযােগকারি পক্ষ ও আসামি পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ করার পর আদালত যদি মনে করেন যে, আসামি অপরাধ করেছে এইরূপ কোন সাক্ষ্য নাই, তা হলে আদালত আসামিকে খালাস দিবার আদেশ লিপিবদ্ধ করবেন।
ধারা ২৬৫ঝ আত্মপক্ষ সমর্থনের আহ্বান
১) যেক্ষেত্রে ধারা ২৬৫জ এর অধীন আসামিকে খালাস দেওয়া না হয়, সেক্ষেত্রে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে বলতে হবে এবং তজ্জন্য তার কোন সাক্ষ্য থাকলে তা উপস্থিত করার আহ্বান জানাইবেন।
২) আসামি যদি কোন লিখিত বিবৃতি দাখিল করে তবে আদালত তা নথিভুক্ত করবেন।
৩) আসামি যদি কোন সাক্ষীকে হাজির হতে বা কোন দলিল বা অন্য কিছু উপস্থিত করতে বাধ্য করার জন্য কোন পরােয়ানা দিবার আবেদন করে, আদালত যদি লিপিবদ্ধকৃত কারণে এইরূপ মনে না করেন যে, বিরক্তি বা বিলম্ব ঘটাইবার বা ন্যায়বিচার ব্যাহত করার উদ্দেশ্যেই উক্ত আবেদন করা হয়েছে বিধায় আবেদন অগ্রাহ্য করা সমীচীন, তবে উক্তরূপ পরােয়ানা ইস্যু করবেন।
ধারা ২৬৫ঞ যুক্তিতর্ক
আসামির পক্ষের সাক্ষীদের (যদি থাকে) জবানবন্দি গৃহিত হওয়ার পর সরকারি কৌসুলী তার বক্তব্যের সারসংক্ষেপ দাখিল করবেন এবং আসামি বা তার কৌসুলী উহার উত্তর দানের অধিকারি হবে। তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে আসামির কৌসুলী আইনগত কোন প্রশ্ন উত্থাপন করেন, সেই ক্ষেত্রে সরকারি কৌসুলী আদালতের অনুমতিক্রমে তার বক্তব্য পেশ করতে পারবেন।
ধারা ২৬৫ট খালাস বা দণ্ডাদেশের রায়
১) যুক্তিতর্ক এবং আইনগত প্রশ্ন (যদি থাকে) শ্রবণের পর আদালত মােকদ্দমার রায় দান করবেন।
২) ১৯৮৩ সনের ৩৭নং অধ্যাদেশ এর ৩নং ধারা বলে বাতিলকৃত।
ধারা ২৬৫ঠ পূর্ববর্তী দণ্ডাদেশ
যে মােকদ্দমায় ধারা ২২১ এর উপ-ধারা (৭) এ নিহিত বিধান মােতাবেক পুর্ববর্তী দণ্ডাদেশের অভিযােগ করা হয় এবং আসামি অনুরূপ পূর্ববর্তী দণ্ডাদেশের অভিযােগ স্বীকার করে না, সেক্ষেত্রে আদালত আসামিকে ধারা ২৬৫ঙ বা ধারা ২৬৫ট এর অধীন দণ্ডদানের পর পূর্ববর্তী দণ্ডাদেশের অভিযােগ সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন ও সেই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, আদালত এইরূপ কোন অভিযােগ পাঠ করবেন না, কিংবা আসামিকে দোষ স্বীকার করতে বলা যাবে না, কিংবা সরকারি পক্ষের বক্তব্যে বা সাক্ষ্যে পূর্ব দণ্ডাজ্ঞার কথা উল্লেখ করা যাবে না, যদি এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না আসামি ধারা ২৬৫ঞ বা ধারা ২৬৫ট এর অধীন দণ্ডপ্রাপ্ত হয়।