- Get link
- X
- Other Apps
Chapter 20
Of the Trial of Cases by Magistrates
বিশতম অধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক মােকদ্দমার বিচার প্রসঙ্গে
ধারা ২৪১ procedure in Cases মােকদ্দমার পদ্ধতি
মােকদ্দমার বিচারের সময় ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
ধারা ২৪১ক আসামিকে যখন অব্যাহতি দেওয়া হবে
আসামি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির হলে বা তাকে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট মামলার নথি ও তৎসহ পেশকৃত সমস্ত কাগজপত্র বিবেচনা করে এবং প্রয়ােজন মনে করলে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং ফরিয়াদী ও আসামিকে বক্তব্য পেশ করার সুযােগ দিয়া যদি মনে করেন যে, অভিযােগ ভিত্তিহীন, তা হলে তিনি আসামিকে অব্যাহতি দিবেন এবং এইরূপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
ধারা ২৪২ অভিযােগ গঠন করতে হবে
উপরিউক্ত বিবেচনা ও শুনানির পর ম্যাজিস্ট্রেট ধদি এই মত পােষণ করেন যে, আসামি অপরাধ করেছে বলে মনে করার কারণ আছে, তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট যে অপরাধের জন্য আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই অপরাধ বিষয়ে রীতিসিদ্ধ অভিযােগ গঠন করবেন এবং তাকে যে অপরাধের জন্য অভিযােগ করা হলাে, অনুরূপ অপরাধ তিনি স্বীকার করেন কিনা তা জিজ্ঞাসা করবেন।
ধারা ২৪৩ অভিযােগের সত্যতা স্বীকারের পর দণ্ড
আসামি যদি স্বীকার করে যে, যে অপরাধের জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সে তা করেছে, তা হলে যথাসম্ভব তার ব্যবহৃত শব্দে তার স্বীকৃতি লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং কেন সে দণ্ডিত হবে না, সেই সম্পর্কে সে যদি যথেষ্ট কারণ না দর্শায় তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে দণ্ড দান করতে পারবেন।
ধারা ২৪৪ এইরূপ স্বীকার করা না হলে পদ্ধতি
১) ম্যাজিস্ট্রেট যদি পূর্ববর্তী ধারা মতে আসামিকে দণ্ডিত না করেন বা আসামি যদি উক্তরূপ স্বীকারােক্তি না করে, তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীর (যদি থাকে) বক্তব্য শুনিবেন এবং বাদী পক্ষের সমর্থনে প্রদত্ত সকল সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন এবং আসামির বক্তব্যও শ্রবণ করবেন এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে তার প্রদত্ত সাক্ষ্য-প্রমাণও গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, কোন আদালত যখন নালিশ করে, তখন ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদী হিসাবে কাহারও বক্তব্য শুনিতে বাধ্য হবেন না।
২) ম্যাজিস্ট্রেট যদি উপযুক্ত বলে মনে করেন, তা হলে ফরিয়াদী বা আসামির দরকার ক্রমে কোন সাক্ষীর প্রতি হাজির হওয়ার বা কোন দলিল বা বস্তু হাজির করার নির্দেশ দিয়া সমন ইস্যু করতে পারেন।
৩) এইরূপ আবেদনক্রমে কোন সাক্ষীর প্রতি সমন জারির পূর্বে ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দিতে পারেন যে, বিচারের উদ্দেশ্যে হাজির হওয়ার জন্য তার যুক্তিসঙ্গত খরচ আদালতে জমা প্রদান করতে হবে।
ধারা ২৪৫ খালাস
১) ম্যাজিস্ট্রেট যদি ধারা ২৪৪-এ উল্লিখিত সাক্ষ্য গ্রহণ করে এবং তিনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে যে অতিরিক্ত সাক্ষ্য (যদি থাকে) হাজির করতে বলেন উহা গ্রহণ করে এবং (তিনি যদি উপযুক্ত বলে মনে করেন) তা হলে আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামিকে নির্দোষ বলে সাব্যস্ত করেন, তা হলে তিনি খালাসের আদেশ লিপিবদ্ধ করবেন।
২) শাস্তি
যেক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট ধারা ৩৪৯ এ নিহিত বিধান অনুসারে অগ্রসর না হন, এবং আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেন, তবে তিনি আসামিকে আইন অনুসারে দণ্ডাদেশ দিবেন।
ধারা ২৪৭ ফরিয়াদীর অনুপস্থিতি
যদি ফরিয়াদীর নালিশক্রমে সমন প্রদত্ত হয়ে থাকে এবং আসামির হাজির হওয়ার জন্য নির্ধারিত তারিখে বা পরবর্তী যে তারিখ পর্যন্ত শুনানি মুলতবী থাকে, সেই তারিখে ফরিয়াদী হাজির না হয়, তা হলে ইতোপূর্বে যে বিধানই থাকুক না কেন, ম্যাজিস্ট্রেট আসামিকে খালাস দান করবেন; যদি না তিনি অন্য কোন কারণবশতঃ অন্য কোন কোন দিন পর্যন্ত মােকদ্দমার শুনানি মূলতবী রাখতে উপযুক্ত বিবেচনা করেন। তবে শর্ত থাকে যে, ফরিয়াদী যদি সরকারি কর্মচারী হন এবং তার ব্যক্তিগত হাজিরা প্রয়ােজন না হয়, তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে হাজির হতে অব্যাহতি দিবেন এবং মােকদ্দমায় অগ্রসর হবেন।
ধারা ২৪৮ নালিশের প্রত্যাহার
এই অধ্যায় অনুসারে কোন মােকদ্দমার চূড়ান্ত আদেশের পূর্বে ফরিয়াদী যদি ম্যাজিস্ট্রেটকে সন্তুষ্ট করতে পারেন যে, তাকে নালিশ প্রত্যাহারের অনুমতি দিবার জন্য পর্যাপ্ত কারণ রহিয়াছে, তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে উহা প্রত্যাহারের অনুমতি দিবেন এবং অতঃপর আসামিকে খালাস দিবেন।
ধারা ২৪৯ ফরিয়াদী না থাকলে কার্যক্রম বন্ধ করার ক্ষমতা
নালিশ ব্যতিত অন্য কোন উপায়ে দায়েরকৃত মােকদ্দমায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, বা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বা অন্য কোন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর পূর্বানুমতিক্রমে অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট কারণ লিপিবদ্ধ করে, মােকদ্দমার যে কোন পর্যায়ে কারণ লিপিবদ্ধ করে খালাস বা দণ্ডের রায় ঘােষণা না করেই কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবেন এবং অতঃপর আসামিকে অব্যাহতি দিতে পারবেন।
Frivolous Accusation in Cases tried by Magistrates.
ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য মামলায় তুচ্ছ অভিযােগ
ধারা ২৫০ মিথ্যা, তুচ্ছ ও বিরক্তিকর অভিযােগ
১) নালিশের উপর ভিত্তি করে কিংবা পুলিশ কর্মকর্তা বা কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রদত্ত সংবাদের ভিত্তিতে যে মােকদ্দমা দায়ের হয় এবং তাতে এক বা একাধিক ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য অপরাধে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট অভিযুক্ত হয়, এবং যাতে মােকদ্দমার বিচারকারি ম্যাজিস্ট্রেট সমস্ত বা যে কোন একজন আসামিকে রেহাই দেন বা খালাস দেন; সেই মােকদ্দমা তিনি যদি মনে করেন যে তাদের বা তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযােগ মিথ্যা এবং হয় নগণ্য বা বিরক্তিজনক, তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তার অব্যাহতি বা খালাস দিবার আদেশ দ্বারা যে ব্যক্তির নালিশ বা সংবাদের ভিত্তিতে অভিযােগ আনয়ন করা হয়েছে, সে ব্যক্তি উপস্থিত থাকলে কেন সে এক বা একাধিক আসামি থাকলে তাদের প্রত্যেককে বা যে কোন একজনকে ক্ষতিপূরণ দিবে না, সঙ্গে সঙ্গে তার কারণ দর্শাতে বলিবেন, বা উক্ত ব্যক্তি উপস্থিত না থাকলে হাজির হয়ে উক্তরূপ কারণ দর্শাইবার জন্য তার প্রতি সমন জারি করার নির্দেশ দিবেন।
২) ফরিয়াদী বা সংবাদদাতা যে কারণ প্রদর্শন করবেন, ম্যাজিস্ট্রেট তা লিপিবদ্ধ ও বিবেচনা করবেন এবং তিনি যদি এই মর্মে পরিতুষ্ট হন যে, আনিত অভিযােগ মিথ্যা এবং তুচ্ছ কিংবা বিরক্তিজনক এবং তা হলে কারণ লিপিবদ্ধ করে ফরিয়াদী বা সংবাদদাতাকে বা আসামিকে তাদের প্রত্যেককে বা কোন একজনকে তিনি যেমন নির্ধারণ করবেন অনধিক এক হাজার টাকা বা তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হলে তিনি যেমন নির্ধারণ করবেন অনধিক পাঁচশত টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দিবেন।
২ক) ম্যাজিস্ট্রেট উপ-ধারা (২) এর অধীন ক্ষতিপূরণ দানের আদেশ বলে আরও আদেশ দিতে পারেন, যে, যে ব্যক্তিকে এইরূপ ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে, সে উহা দিতে ব্যর্থ হলে ত্রিশ দিনের অনধিক সময়ের জন্য বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভােগ করবে।
২খ) যখন কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (২) এর অধীন কারাগারে আটক হয়, তখন দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) ধারা ৬৮ ও ৬৯ -এ নিহিত বিধান যথাসম্ভব প্রযােজ্য হবে।
২গ) যে ব্যক্তিকে এই ধারার অধীন ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি এই আদেশের ফলে, সে যে নালিশ করেছে বা সংবাদ দিয়াছে, তার দরুন কোন দেওয়ানি বা ফৌজদারি দায় হতে অব্যাহতি পাইবে না। তবে শর্ত থাকে যে, এই ধারা অনুসারে আসামিকে কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলে একই বিষয়ে পরবর্তী কোন দেওয়ানি মােকদ্দমায় তাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দানের সময় তা বিবেচনা করতে হবে।
৩) কোন দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদী বা সংবাদদাতাকে উপ-ধারা (২)-এর অধীন ক্ষতিপূরণ দানের নির্দেশ দেন কিংবা অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট একশত টাকার অধিক ক্ষতিপূরণ দানে নির্দেশ দেন, তখন উক্ত ফরিয়াদী বা সংবাদদাতা উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক কোন বিচারে দণ্ডিত হয়েছে বলে ধরে নিয়ে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দান সম্পর্কিত প্রশ্নে আপিল করতে পারবে।
৪) যখন কোন আসামিকে ক্ষতিপূরণ দানের আদেশ দেওয়া হয়, এবং আদেশটি উপধারা (৩) এর অধীন আপিলযােগ্য হয়, তখন আপিল দায়ের করার সময় অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত বা আপিল দায়ের হলে উহা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত, তাকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে না এবং আদেশটি আপিলযােগ্য না হলে, আদেশের তারিখ হতে এক মাস অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
৫) অত্র ধারায় যাই সন্নিবেশিত থাকুক না কেন, উপ-ধারা (২) এর অধীন ক্ষতিপূরণ নির্দেশ সম্বলিত আদেশ ছাড়াও ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ দিতে পারেন যে, ক্ষতিপূরণ দিতে আদিষ্ট ব্যক্তি ছয় মাসের অনধিক মেয়াদের কারাদণ্ড ভােগ বা তিন হাজার টাকার অনধিক জরিমানা দিবে।