Skip to main content

HSC English First Paper English For Today - Unit 7 Lesson 1 Brojen Das

সমন জারি - উপস্থিত হতে বাধ্য করার ব্যবস্থা Criminal Procedure Code

Chapter 4

ষষ্ঠ অধ্যায়

Of Process to Compel Appearance - Summons

সমন- উপস্থিত হতে বাধ্য করার ব্যবস্থা

ধারা ৬৮ সমনের ফরম

১) অত্র কার্যবিধির আওতায় আদালত কর্তৃক জারি করা প্রত্যেক সমন লিখিতভাবে ও দুই প্রস্থে দিতে হবে এবং উক্ত আদালতের প্রিসাইডিং অফিসার বা সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক সময়ে সময়ে, প্রণীত বিধি দ্বারা নির্দেশিত অন্য কোন অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও সীলমােহর লাগানাে থাকবে।

(২) সমন কার দ্বারা জারি করতে হবে

এইরূপ পুলিশ অফিসার কর্তৃক বা সরকার কর্তৃক এই সম্পর্কে প্রণীত বিধি মােতাবেক সমন প্রদানকারি আদালতের অফিসার কর্তৃক বা অন্য সরকারি কর্মচারীর মাধ্যমে সমন জারি হবে।

ধারা ৬৯ সমন কিভাবে জারি করতে হবে

১) যাকে সমন দেওয়া হবে সম্ভব হলে দুই কপির একটি তার কাছে প্রদানপূর্বক, বা প্রদানের প্রস্তাপূর্বক ব্যক্তিগতভাবে সমন জারি করতে হবে।

(২) সমন প্রাপ্তির স্বাক্ষর জারিকারি কর্মকর্তা দাবী করবে এইরূপ যাদের উপর সমন জারি করা হইল, তাদের প্রত্যেককে দ্বিতীয় কপি সমনের অপর পৃষ্ঠায় স্বাক্ষরপূর্বক প্রাপ্তি স্বীকার করবেন।

৩) বাংলাদেশে কোন সমিতিবদ্ধ কোম্পানী বা কোন সমিতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের উপর সমন জারি করতে হলে তা উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় ম্যানেজার বা কোন কর্মকর্তার উপর জারি করতে প্রধান কর্মকর্তা বরাবরে পাঠাইতে হবে । ডাক মারফত পাঠানাের ক্ষেত্রে সাধারণ অবস্থায় পত্রটি যখন পৌছিবে, তখনই সমন জারি হয়েছে মর্মে ধরিয়া নিতে হবে।

ধারা ৭০ যাদের সমন করা হয়েছে তাদের যেক্ষেত্রে পাওয়া যায় না, সেক্ষেত্রে সমন ধরানাের পদ্ধতি

যার উপর সমন জারি করা হবে, যথাযথ তৎপরতা নিয়াও তাকে পাওয়া না গেলে সমনের দুই কপির এক কপি তার পরিবারের কোন সাবালক সদস্য বরাবরে প্রদানপূর্বক সমন জারি করা যেতে পারে এবং জারিকারি কর্মকর্তা দাবী করলে যার নিকট সমন জারি হয়েছে, তিনি সমনের অপর কপির অপর পৃষ্ঠায় প্রাপ্তিস্বীকারমূলক একটি স্বাক্ষর করবেন।

ধারা ৭১ পূর্বোক্ত পদ্ধতি মােতাবেক সমন ধরানাে না গেলে সেক্ষেত্রে পদ্ধতি

যথাযথ তৎপরতা নিয়াও অত্র কার্যবিধির ধারা-৬৯ এবং ৭০ এ প্রদত্ত পদ্ধতি মােতাবেক সমন জারি করা না গেলে যে ব্যক্তির উপর সমন জারি করা হবে তিনি সচরাচর যে স্থানে বাস করেন, জারিকারি কর্মকর্তা সেই বাড়ি বা বাসস্থানের একটি প্রকাশ্য অংশে সমনের প্রতিলিপির একটি লটকাইয়া দিবেন; এবং অতঃপর উক্ত সমন যথাযথভাবে জারি হয়েছে মর্মে ধরিয়া নিতে হবে।

ধারা ৭২ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর উপর সমন জারি

১) সমন করা ব্যক্তি যেক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্রের সক্রিয় কাজে বহাল থাকেন, সেক্ষেত্রে সমন জারিকারি আদালত সাধারণভাবে উক্ত সমন করা ব্যক্তির যে অফিসে নিযুক্ত, সে অফিসের প্রধান বরাবরে পাঠিয়ে দিবেন এবং ঐ অফিস প্রধান সে কারণে এই কার্যবিধির ধারা-৬৯ মােতাবেক সমনটি জারির আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, এবং ওই ধারায় পদ্ধতি অনুসারে পৃষ্ঠাঙ্কন সহ তার স্বাক্ষর করে সমনটি আদালতে ফেরত পাঠাবেন।

২) উক্তরূপ স্বাক্ষর যথাযথভাবে সমন জারির প্রমাণ মর্মে গণ্য হবে।

ধারা ৭৩ স্থানীয় সীমার বাহিরে সমন জারি

আদালত যেক্ষেত্রে এইরূপ চান যে, কোন একটি সমন তার স্থানীয় সীমার বাহিরে কোন স্থানে জারি করাতে হবে, সেক্ষেত্রে উক্ত আদালত সমনটি উক্ত স্থানে জারির জন্য সাধারণভাবে সেইরূপ একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতিলিপিতে সমনটি পাঠাবেন যে ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে সমন করা উক্ত ব্যক্তি বসবাস করে, বা আছে।

ধারা ৭৪ উক্ত ক্ষেত্রগুলিতে এবং সমন জারিকারি কর্মকর্তা/কর্মচারী যখন উপস্থিত থাকেন, তখন সমন জারির প্রমাণ

১) যেক্ষেত্রে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সমন উক্ত আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার বাইরে জারি হয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে যখন সমন জারিকারি কর্মকর্তা মােকদ্দমার শুনানিকালে উপস্থিত না থাকেন, সেক্ষেত্রে উক্ত সমন জারি হয়েছে মর্মে কোন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর কৃত হলফনামা এবং সমনের দুই কপির মধ্যে এক কপি, যা ধারা-৬৯ বা ৭০ এ উল্লেখিত পদ্ধতিতে, সমনকৃত ব্যক্তি বা যার নিকট উহা প্রদান করা হয়েছিল বা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল বা যার উহা রেখে দেওয়ার হয়েছিল, তার দ্বারা স্বাক্ষরিত হলে ঐ সমন সাক্ষ্যে গ্রহণযােগ্য হবে এবং উহাতে প্রদত্ত বিবৃতি বিপরীতভাবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্ভুল মর্মে পরিগণিত হবে।

২) অত্র ধারায় বর্ণিত হলফনামার সাথে সমনের দুই কপির এক কপি যুক্ত করা যেতে পারে এবং উক্ত আদালতে ফেরত পাঠানাে যেতে পারে।

 Warrant of Arrest Criminal Procedure Code 1898

গ্রেফতারী পরােয়ানা

ধারা ৭৫ গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট/পরােয়ানার রূপ (ফরম)

 ১) অত্র কার্যবিধির আওতায় আদালত কর্তৃক জারি করা প্রত্যেক গ্রেফতারী পরােয়ানা লিখিত হবে ও প্রিজাইডিং অফিসার কর্তৃক অথবা ম্যাজিস্ট্রেট বেঞ্চের ক্ষেত্রে যে কোন সদস্য কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে এবং ঐ আদালতের সীলমােহর লাগানাে থাকবে।

(২) গ্রেফতারি পরোয়ানায় স্থায়িত্বকাল

উক্ত প্রত্যেক পরোয়ানা যে পর্যন্ত না জারিকারি আদালত কর্তৃক বাতিল করা হয় বা যে পর্যন্ত না তা কার্যকর হয় সে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

ধারা ৭৬ আদালত জামানত গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিতে পারেন

১) কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার ওয়ারেন্ট জারিকারি আদালত স্বীয় মতামতের মাধ্যমে (in its discretion), পরােয়ানার উপর পৃষ্ঠাঙ্কন করে এমন নির্দেশ দিতে পারেন যে, উক্ত ব্যক্তি আদালত থেকে অন্যরূপ নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত একটি নিদিষ্ট সময়ে ও তার পর আদালতে হাজির হবে মর্মে যথেষ্ট সংখ্যক জামিনদার (surety) সহ একটি মুচলেকা (বন্ড) সম্পাদন করতে পারিলে পরােয়ানা প্রয়ােগকারি অফিসার উক্ত জামিন গ্রহণ করবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে হেফাজত হতে মুক্তি দিবেন।

২) উক্ত পৃষ্ঠাঙ্কনে নিম্নে বর্ণিত বিষয়সমূহ উল্লেখ থাকবে

ক) জামিনদারের সংখ্যা,
খ) যে পরিমাণ অর্থের জন্য উক্ত জামিনদারগণ এবং যে ব্যক্তির গ্রেফতারের জন্য পরােয়ানাটি জারি হয়েছে সেই ব্যক্তি যথাক্রমে শর্তাবদ্ধ থাকবে, এবং
গ) যে সময়ে অভিযুক্তকে আদালতে উপস্থিত হতে হবে সেই সময়।

৩) মুচলেকা প্রেরণ করতে হবে

যখনই অত্র ধারার আওতায় জামিন গ্রহণ করা হবে, তখন পরােয়ানাটি কার্যকর করতে যে অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই অফিসার মুচলেকাটি উক্ত আদালতে পাঠাবেন।

ধারা ৭৭ পরােয়ানা কাকে কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয় 

১) গ্রেফতারী পরােয়ানা কার্যকর করার জন্য সাধারণত এক বা একাধিক পুলিশ অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত পরােয়ানা সর্বদাই তদ্রুপ নির্দেশিত হবে কিন্তু পরােয়ানাটি অবিলম্বে কার্যকর করা যদি প্রয়ােজন হয় এবং কোন পুলিশ অফিসারকে তৎক্ষণাৎ পাওয়া না গেলে উক্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকারি আদালত ওই পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য যে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের নির্দেশ দিতে পারেন এবং সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ তা কার্যকর করবেন।

২) একাধিক লােকের নিকট প্রেরিত গ্রেফতারী পরােয়ানা

যখন কোন একটি গ্রেফতারী পরােয়ানা কার্যকর করার জন্য একাধিক অফিসার বা ব্যক্তির উপর নির্দেশ দেওয়া হয়, তখন উক্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা সকলে, বা তাদের মধ্যে যে কোন একজন বা একাধিকজন তা কার্যকর করতে পারবেন।

ধারা ৭৮ জমির মালিক ইত্যাদি ব্যক্তির নিকট গ্রেফতারী পরােয়ানা প্রেরণ করা যেতে পারে

 ১) একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কোন পলাতক আসামি, ঘােষিত অপরাধী অথবা জামিন অযােগ্য অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং পশ্চাদধাবন অবস্থায় পলাতক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য তার স্থানীয় এখতিয়ারের কোন জোতদার, কৃষক বা জমির ম্যানেজার বরাবরে পরােয়ানা জারির নির্দেশ দিতে পারেন।

২) উক্ত নির্দেশিত ব্যাক্তি লিখিতভাবে উক্ত পরােয়ানার প্রাপ্তি স্বীকার করবেন, এবং যে ব্যক্তির গ্রেফতারের জন্য ঐ পরােয়ানা জারি করা হয়েছে সেই ব্যক্তি যদি উক্ত নির্দেশিত ব্যক্তির দায়িত্বে থাকা কোন জমি বা ফার্ম বা অন্য সম্পত্তিতে অবস্থান করে, বা প্রবেশ করে, তা হলে উক্ত পরােয়ানা কার্যকর করবেন।

৩) যার বিরুদ্ধে উক্ত ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে সেই ব্যক্তিকে যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন সেই ব্যক্তিকে উক্ত ওয়ারেন্টসহ নিকটস্থ পুলিশ অফিসারের কাছে সমর্পণ করতে হবে, এবং যদি না ধারা-৭৬ এর আওতায় জামিন গ্রহণ না করা হয়, মােকদ্দমার শাসনাধীন ক্ষেত্র আছে এমন একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে হাজির করানোর ব্যবস্থা করবেন।

ধারা ৭৯ ওয়ারেন্ট (পরােয়ানা) তামিল করতে পুলিশ অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হলে

কোন পুলিশ অফিসারকে কোন একটি ওয়ারেন্ট কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হলে, অপর যে কোন পুলিশ অফিসারও তা কার্যকর করতে পারেন, যদি যে পুলিশ অফিসার তা কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বা পৃষ্ঠাঙ্কন করে দেওয়া হয়েছিল তিনি ঐ অপর পুলিশ অফিসারের নাম ঐ ওয়ারেন্টে পৃষ্ঠাঙ্কন করে দেন।

ধারা ৮০ ওয়ারেন্টের সারমর্ম জ্ঞাপন

গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট কার্যকরকারি পুলিশ অফিসার অথবা অপর কোন ব্যক্তি, যাকে গ্রেফতার করা হবে, তাকে ওয়ারেন্টের সারমর্ম জানাইবেন এবং যদি সেইরূপ চাওয়া হয়, উক্ত ব্যক্তিকে ওয়ারেন্টটা দেখাইবেন।

ধারা ৮১ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে অবিলম্বে আদালতে হাজির করতে হবে

কোন একটি গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট কার্যকরকারি পুলিশ অফিসার বা অন্য ব্যক্তি (জামিন সম্পর্কে অত্র বিধির ধারা-৭৬ এর বিধানাদি সাপেক্ষে) অযথা বিলম্ব না করে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে সেই আদালতে হাজির করবেন যে আদালতে উক্ত পুলিশ অফিসার বা অন্য ব্যক্তি কর্তৃক ঐ ব্যক্তিকে হাজির করতে হবে বলিয়া আইন চাইয়াছে।

ধারা ৮২ কোথায় ওয়ারেন্ট তামিল করা যেতে পারে

গ্রেফতারকারি ওয়ারেন্ট বাংলাদেশের যে কোন স্থানে কার্যকর করা যেতে পারে।

ধারা ৮৩ এখতিয়ার বাহিরে তামিল করার জন্য প্রেরিত ওয়ারেন্ট (পরােয়ান)

১) যেক্ষেত্রে কোন ওয়ারেন্ট প্রদানকারি আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার বাহিরে কার্যকর করার প্রয়ােজন হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত আদালত ওয়ারেন্ট কোন পুলিশ অফিসারের উপর নির্দেশিত না করে উক্ত এলাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট বা, মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনার ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত হবেন এবং তার এখতিয়ারে স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে উহা কার্যকর করতে হবে।

২) যে ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনার উক্তরূপ ওয়ারেন্টপ্রাপ্ত হবেন, তিনি উহার উপর নিজের নাম সহি করবেন এবং সম্ভব হলে ইতিপূর্বে উল্লেখিত পদ্ধতিতে নিজের এখতিয়ারে স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে উহা কার্যকর করাইবেন।

ধারা ৮৪ এখতিয়ারের বাহিরে তামিল করার জন্য পুলিশ অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া ওয়ারেন্ট

১) যেক্ষেত্রে এমন কোন ওয়ারেন্ট কার্যকর করার জন্য পুলিশ অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যে ওয়ারেন্ট উক্ত ওয়ারেন্ট জারিকারি আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার বাহিরে কার্যকর করতে হবে, সেক্ষেত্রে উক্ত পুলিশ অফিসার সাধারণভাবে উক্ত ওয়ারেন্টটি হয় সেরূপ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিম্নপদস্থ নন এইরূপ একজন পুলিশ অফিসারের কাছে পৃষ্ঠাঙ্কন এর জন্য নিয়া যাবেন, যার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে উহা কার্যকর করতে হবে।

২) উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার তার নাম ওয়ারেন্টটিতে পৃষ্ঠাঙ্কন করে দিবেন এবং ঐরূপ পৃষ্ঠাঙ্কন সেই পুলিশ কর্মচারীকে উক্ত ওয়ারেন্ট কার্যকর করতে যথাযথ ক্ষমতা প্রদান করবে যে পুলিশ অফিসারকে উক্ত ওয়ারেন্ট কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, এবং স্থানীয় পুলিশ, যদি সেইরূপ চাওয়া হয়, উক্ত ওয়ারেন্টটি কার্যকর করতে উক্ত পুলিশ অফিসারকে সহযােগিতা করবেন।

৩) যেক্ষেত্রে এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, যে ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার এখতিয়ারে স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে ওয়ারেন্টটি কার্যকর করতে হবে সেই মাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসারের পৃষ্ঠাঙ্কন সংগ্রহ করতে বিলম্ব হেতু উক্ত ওয়ারেন্টটি কার্যকর করার ব্যাপারে ব্যাঘাত ঘটাবে, সেক্ষেত্রে উক্ত ওয়ারেন্ট কার্যকর করতে যে পুলিশ অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেই পুলিশ অফিসার ঐরূপ পৃষ্ঠাঙ্কন না করেই যে আদালত উক্ত ওয়ারেন্ট জারি করেছেন সেই আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার বাহিরে যে কোন স্থানে উক্ত ওয়ারেন্ট কার্যকর করতে পারেন।

ধারা ৮৫ যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়েছিল সেই ব্যক্তির গ্রেফতারের পর করণীয় কাজ

এক জেলা হতে প্রদত্ত গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট যখন উক্ত জেলার বাহিরে কার্যকর হয়, তখন ওয়ারেন্ট জারিকারি আদালত গ্রেফতারের স্থান থেকে বিশ মাইলের মধ্যে না হলে বা যার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই [নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট], বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বা ধারা-৭৬ এর আওতায় জামিন গ্রহন না করা হলে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট অথবা পুলিশ কমিশনার অথবা জেলা পুলিশ সুপারিন্টেনডেন্ট) এর কাছে উপস্থিত করতে হবে।

ধারা ৮৬ আটক ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেট যে পদ্ধতি অনুসরণ করবেন

১) ওয়ারেন্ট প্রদানকারি আদালত যে ব্যক্তিকে গ্রেফতারের নিদের্শ দিয়াছিলেন গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বলিয়া প্রতীয়মান হলে উক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা জেলা পুলিশ সুপার তাকে হেফাজতে উক্ত আদালতে প্রেরণ করতে নির্দেশ দিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, অপরাধ যদি জামিনযােগ্য হয় ও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি যদি উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কমিশনার অথবা জেলা পুলিশ সুপার এর সন্তোষ বিধান করে জামিন দিতে প্রস্তুত ও ইচ্ছুক থাকে অথবা ওয়ারেন্টের উপর যদি ৭৬ ধারা মােতাবেক কোন নির্দেশ লিখিত থাকে এবং উক্ত ব্যক্তি নির্দেশ মােতাবেক জামানত দিতে প্রস্তুত ও ইচ্ছুক থাকে, তা হলে ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা পুলিশ সুপার বা পুলিশ কমিশনার উক্ত জামিন অথবা জামানত গ্রহণ করবেন এবং মুচলেকাটি ওয়ারেন্ট প্রদানকারি আদালতে প্রদান করবেন।

তবে আরাে শর্ত থাকে যে, অপরাধ যদি জামিনঅযােগ্য হয় বা ৭৬ ধারা মােতাবেক পরােয়ানায় কোনাে নির্দেশ লিখিত না থাকে, তবে দায়রা জজ বা মেট্রোপলিটন দায়রা জজ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা এতদ্বিষয়ে বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ও যার স্থানীয় এখতিয়ারে ব্যক্তিটি গ্রেফতারকৃত হয়েছে এমন ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, ৪৯৭ ধারার বিধানানুযায়ী, কারণ লিপিবদ্ধ করতঃ উক্ত ব্যক্তিকে অন্তবর্তী জামিনের মাধ্যমে মুক্তি দিবেন, যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেরূপ বন্ড ও নিরাপত্তা জামানতে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পরােয়ানা ইস্যুকারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিতে এবং উক্ত আদালতে বন্ড প্রেরণ করতে পারবেন।

২) অত্র ধারার কোন ব্যবস্থা কোন পুলিশ অফিসারকে ধারা ৭৬ এর আওতায় জামানত গ্রহণ করা হতে বিরত করবে মর্মে ধরা যাবে না।


Proclamation and Attachment

হুলিয়া ও ক্রোক

ধারা ৮৭ পলাতক ব্যক্তির জন্য হুলিয়া/ঘোষণাপত্র জারি

১) কোন আদালতের এইরূপ বিশ্বাসের কারণ থাকে যে সাক্ষ্য গ্রহণের পরে অথবা পূর্বে যে, উক্ত আদালত যার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট প্রদান করেছেন সে ব্যক্তি পলাতক হলে বা যেন ওয়ারেন্ট কার্যকর না হতে পারে তজ্জন্য আত্মগােপন করলে, উক্ত আদালত তাকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ও নির্দিষ্ট সময়ে, ঘােষণা প্রকাশের তারিখ থেকে ত্রিশ দিনের কম নহে, হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়া একটি লিখিত ঘােষণা প্রকাশ করতে পারেন।

২) উক্ত হুলিয়া/ঘােষণাপত্র নিম্নোক্তভাবে সর্বসাধারণের জন্য প্রকাশ করতে হবে-

ক) উক্ত ব্যক্তি সাধারণত যেখানে বাস করে, সেই শহরে অথবা গ্রামের কোন প্রকাশ্য স্থানে উক্ত হুলিয়া/ঘোষণাপত্রটি পড়িয়া শুনাইতে হবে।

খ) যে গৃহ বা বাস্তুতে উক্ত ব্যক্তি সাধারণত বসবাস করে সেই গৃহ বা বাস্তুর কোন প্রকাশ্যস্থানে, বা শহরে বা গ্রামের কোন প্রকাশ্য স্থানে উক্ত হুলিয়াটি টাঙ্গাইয়া দিতে হবে; এবং

গ) সংশ্লিষ্ট আদালত গৃহের কোন প্রকাশ্য স্থানে উক্ত হুলিয়া পত্রটির নকল টাঙ্গাইয়া দিতে হবে।

৩) হুলিয়া/ঘােষণাপত্র প্রদানকারি আদালত যদি এই মর্মে একটি লিখিত বিবৃতি প্রদান করেন যে, হুলিয়া একটি নির্দিষ্ট দিনে যথাযথভাবে জারি হয়েছে এই তা হলে উহা চূড়ান্ত সাক্ষ্য হবে যে, অত্র ধারার নির্দেশ সম্বলিত হিসাবে এবং উক্ত দিনে হুলিয়া/ঘােষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

ধারা ৮৮ পলাতক ব্যক্তির সম্পত্তির ক্রোক

১) অত্র ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা-৮৭ এর আওতায় হুলিয়া জারিকারি আদালত হুলিয়া জারির পর যে কোন সময় হুলিয়া করা ব্যক্তির যে কোন সম্পত্তি, স্থাবর বা অস্থাবর, অথবা উভয় প্রকার ক্রোক করার আদেশ প্রদান করতে পারবেন।

২) এইরূপ আদেশ দ্বারা যে স্থানীয় এলাকায় আদেশ দেওয়া হবে সেই স্থানীয় এলাকার মধ্যে অবস্থিত উক্ত ব্যক্তির যে কোন সম্পত্তি ক্রোক করা যাবে; এবং উক্ত জেলার বাহিরে অন্যকোন স্থানীয় এলাকায় উক্ত ব্যক্তির সম্পত্তি থাকলে সেখানকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পৃষ্ঠাঙ্কন দ্বারা একই আদেশ ক্রোক করা যাবে।

৩) যে সম্পত্তি ক্রোক করতে আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা লগ্নী বা ঋণ হলে বা অন্য অস্থাবর সম্পত্তি হলে অত্র ধারার আওতায় তা নিম্নোক্তভাবে ক্রোক করতে হবে-

ক) আটক করে, বা

খ) তত্ত্বাবধায়ক বা রিসিভার নিয়ােগ করে, বা

গ) হুলিয়া করা ব্যক্তি বা তার পক্ষের কাউকে উক্ত সম্পত্তি অৰ্পণ নিষিদ্ধ করে লিখিত আদেশ দিয়া; বা

ঘ) আদালত যেইরূপ যথাযথ মনে করেন, সেইরূপ উপরিউক্ত সমস্ত পদ্ধতি বা তার যে কোন দুইটি ব্যবস্থার মাধ্যমে।

৪) যে সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দেওয়া হয়েছে তা যদি স্থাবর সম্পত্তি হয়, তবে সরকারের রাজস্ব দেওয়া জমির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলা কালেক্টর কর্তৃক তা অত্র ধারায় ক্রোক হবে এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে-

ঙ) দখল নিয়া; বা

চ) তত্ত্বাবধায়ক বা রিসিভার নিযুক্ত করে, বা

ছ) হুলিয়া করা ব্যক্তি বা তার পক্ষের কাউকে খাজনা প্রদান বা সম্পত্তি অৰ্পণ নিষিদ্ধ করে লিখিত আদেশ দিয়া, বা

জ) আদালত যেরূপ যথাযথ মনে করেন সেরূপে উপরিউক্ত সমস্ত পদ্ধতি বা তার যে কোন দুইটি পদ্ধতির মাধ্যমে।

৫) যে সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা যদি জীবন্ত প্রাণী হয় বা সহজে নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত বস্তু হয়, তবে আদালত, যদি যথাযথ বিবেচনা করেন, অবিলম্বে তা বিক্রির আদেশ দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে উক্ত বিক্রয়লব্ধ অর্থ উক্ত আদালতের আদেশ মােতাবেক ব্যবহৃত হবে।

৬) অত্র ধারার আওতায় নিযুক্ত একজন তত্ত্বাবধায়ক (রিসিভার) এর ক্ষমতাদি, কর্তাদি এবং দায়দায়িত্বসমূহ দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) এর তফসিল-১ এর আদেশ-৪০ মােতাবেক নিযুক্ত রিসিভারের ক্ষমতা, কর্তব্য ও দায়িত্বের অনুরূপ হবে।

৬ক) অত্র ধারায় যে কোন সম্পত্তি ক্রোক করার ছয় মাসের মধ্যে হুলিয়া করা ব্যক্তি বাদ দিয়ে অন্য কোন ব্যক্তি যদি এরূপ দাবি বা আপত্তি জানায় যে ঐ সম্পত্তিতে তার কোন প্রকার স্বার্থ জড়িয়ে আছে এবং সেই স্বার্থ অত্র ধারা মােতাবেক ক্রোকযােগ্য নয়, তা হলে সেই দাবি বা আপত্তি সম্পর্কে তদন্ত করতে হবে এবং সেই দাৰি বা আপত্তি সম্পূর্ণ বা অংশত গ্রাহ্য বা অগ্রাহ্য হতে পারে। তবে শর্ত থাকে যে, অত্র উপ-ধারায় অনুমােদিত সময়ের মধ্যে কোন দাবী বা আপত্তি করা হয়ে থাকিলে দাবিদার বা আপত্তিকারির মৃত্যুর পর তার আইনসঙ্গত প্রতিনিধি উক্ত দাবি বা আপত্তি পরিচালনা করতে পারেন।

৬খ) যে আদালত ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন উপধারা (৬) মােতাবেক দাবি বা আপত্তি সেই আদালতে করতে হবে ও উপধারা (২) অনুসারে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পৃষ্ঠাঙ্কনকৃত আদেশক্রমে ক্রোক কৃত সম্পত্তির দাবি বা আপত্তি উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে করতে হবে।

৬গ) যে আদালতে উক্ত দাবি বা আপত্তি জানানাে হয়, সেই আদালত উক্ত প্রত্যেক দাবির বা আপত্তির তদন্ত করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত দাবি বা আপত্তি যদি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়ে থাকে, তা হলে তিনি উহা নিষ্পত্তির জন্য তার অধীনস্থ ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের উপর অর্পণ করতে পারেন।

৬ঘ) যে ব্যক্তির দাবি বা আপত্তি উপ-ধারা-৬ এর আওতায় পুরাে বা আংশিক অগ্রাহ্য হয়েছে, সেই ব্যক্তি উক্ত আদেশ দানের দিন থেকে এক বছরের মধ্যে উক্ত বিবাদে থাকা সম্পত্তির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি মােকদ্দমা রুজু করতে পারেন; কিন্তু উক্ত মােকদ্দমার ফলাফল সাপেক্ষে, যদি কিছু হয়, আদেশটি চূড়ান্ত আদেশ মর্মে পরিগণিত হবে।

৬ঙ) হুলিয়াধীন ব্যক্তি হুলিয়ায় বর্ণিত সময়সীমার মধ্যে উপস্থিত হলে আদালত আদেশ দ্বারা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি ক্রোক থেকে মুক্ত করে দিবেন।

৭) যদি হুলিয়া করা ব্যক্তি হুলিয়ার বলা সময়ের মধ্যে উপস্থিত না হয়, তা হলে ক্রোককৃত সম্পত্তি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত হবে, কিন্তু ক্রোকের তারিখ থেকে ছয় মাস পার না হওয়া পর্যন্ত এবং উপ-ধারা-৬ এর আওতায় কোন দাবী বা আপত্তি করা হয়ে থাকিলে তা উক্ত উপ-ধারা মােতাবেক নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে না। অবশ্য উক্ত সম্পত্তি দ্রুত ও স্বাভাবিকভাবে ধ্বংসশীল হলে বা আদালত বিক্রয় করা মালিকের পক্ষে লাভজনক হবে মর্মে মনে করলে আদালত যখন উপযুক্ত বলিয়া মনে করেন তখন উহা বিক্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন।

ধারা ৮৯ ক্রোক হওয়া সম্পত্তি প্রত্যর্পণ

সম্পত্তি ক্রোক হওয়ার দিন থেকে দুই বছরের মধ্যে যার সম্পত্তি ৮৮ ধারার (৭) উপ-ধারার আওতায় সরকারের এখতিয়ারভুক্ত রহিয়াছে বা হয়েছে, সেইরূপ কোন ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছাকৃতভাবে, তার সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশদানকারি আদালতে, বা ঐ আদালতের উচ্চ কোন আদালতে হাজির হয় বা তাকে গ্রেফতার করে হাজির করানাে হয়, এবং উক্ত আদালতের সন্দেহমুক্তিতে সে যদি প্রমাণ করে যে, ওয়ারেন্ট কার্যকর না করতে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সে পালিয়ে গিয়েছিল না বা তার জন্য সে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিল না এবং সে উক্ত হুলিয়ার বিষয়ে কিছুই জানত না বলে হুলিয়ায় নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের মধ্যে আদালতে উপস্থিত হতে পারে নাই, তবে উক্ত ক্রোক করা সম্পত্তি, বা তা যদি বিক্রি করা হয়ে থাকে তবে তার নীট বিক্রয়লব্ধ অর্থ, বা যদি উক্ত সম্পত্তির আংশিক বিক্রি করা হয়ে থাকে তবে ঐরূপ বিক্রির নীট বিক্রয়লব্ধ অর্থসহযােগে অবশিষ্ট সম্পত্তি ক্রোক বাবদ ব্যয় বাদ দিয়ে তাকে প্রদান করতে হবে।

ধারা ৯০ সমনের পরিবর্তে বা তার অতিরিক্ত ওয়ারেন্ট জারিকরণ

কোন ব্যক্তির হাজিরার সমন জারি করতে ক্ষমতাবান কোন আদালত অত্র কার্যবিধি অনুসারে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পরিস্থিতিতে কারণ নথিভূক্ত করে তার গ্রেফতারের জন্য একটি ওয়ারেন্ট (পরােয়ানা) প্রদান করতে পারেন

ক) যদি, হয় উক্ত সমন জারি করার পূর্বে, অথবা পরে কিন্তু সমন করা ব্যক্তির হাজিরার জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ের পূর্বে, উক্ত আদালত এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ দেখেন যে সমন করা ব্যক্তি পালাইয়া গিয়াছে বা সেই ব্যক্তি সমন মান্য করেন না; বা

খ) যদি নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ে সমন করা ব্যক্তি হাজির হতে ব্যর্থ হয় এবং সমন মােতাবেক সমন করা ব্যক্তির হাজিরা পাওয়ার পক্ষে সমনটি যথাযথ সময়ে যথাযথভাবে জারি করা হয়েছে মর্মে প্রমাণিত হয় এবং ঐরূপ ব্যর্থ হওয়ার কোন যুক্তিগ্রাহ্য ওজর বা আপত্তি না দেওয়া হয়।

ধারা ৯১ হাজিরার জন্য মুচলেকা (বন্ড) নেওয়ার ক্ষমতা

 যখন কোন ব্যক্তি তার হাজিরার জন্য কোন আদালতের হাকিম সমন বা ওয়ারেন্ট জারি করতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত, সেই আদালতে উপস্থিত থাকে, তখন উক্ত হাকিম, ঐ আদালত বা অপর যে কোন আদালত যেখানে মােকদ্দমাটি বিচারের জন্য স্থানান্তরিত হতে পারে, সেখানে হাজির হওয়ার জন্য, জামিনদারসহ বা ছাড়া উক্ত ব্যক্তিকে মুচলেকা (বন্ড) সম্পাদন করতে বলতে পারেন।

ধারা ৯২ হাজিরার জন্য সম্পাদিত মুচলেকার (বন্ডের) শর্ত লংঘনে গ্রেফতার

 যখন কোন ব্যক্তি কোন আদালতে হাজির হওয়ার জন্য এই কার্য বিধির আওতায় সম্পাদিত কোন মুচলেকায় (বন্ডে) বাধ্য থাকিয়াও আদালতে হাজির হয় না, তখন উক্ত আদালতের বিচারক উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে তার সম্মুখে হাজির করার নির্দেশ দিয়া ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।

ধারা ৯৩ এই অধ্যায়ের বিধানাদি সমন ও গ্রেফতারী পরােয়ানা সাধারণভাবে প্রযােজ্য

সমন ও ওয়ারেন্টে, এবং তাদের জারী, ধরানাে ও কার্যকর সংক্রান্ত এই অধ্যায়ের বিধানাদি, যতদূর যা হতে পারে, অত্র কার্যবিধির আওতায় জারি করা প্রত্যেক সমন ও গ্রেফতারী ওয়ারেন্টের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে।

ধারা ৯৩ক বাংলাদেশের বাহিরে জারি করার জন্য সমন প্রেরন

১) কোন সমন যা বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত তা বাংলাদেশের বাহিরে কোন স্থানে সরকারের কর্তৃত্ব দ্বারা বাংলাদেশের কোন অংশে প্রতিষ্ঠিত বা বহাল কোন আদালতের অধিক্ষেত্রে স্থানীয় সীমার মধ্যে আদালতের বৈদেশিক এখতিয়ার প্রয়ােগ করে কোন অভিযুক্ত ব্যক্তির উপর জারি করতে চাহিলে, প্রদানকারি আদালত জারি করার জন্য উক্ত সমনের দুই প্রস্থ ডাকযােগে বা অন্য কোন উপায়ে উক্ত আদালতের হাকিমের নিকট প্রেরণ করবেন।

২) ধারা-৭৪ অত্র ধারার আওতায় জারির জন্য প্রেরিত সমনের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে। যে আদালত বরাবর সমন পাঠানাে হয়, সেখানকার হাকিম বাংলাদেশের কোন স্থানের ম্যাজিস্ট্রেট মর্মে পরিগণিত হবে।

ধারা ৯৩খ বাংলাদেশ বাহিরে তামিল করার জন্য ওয়ারেন্ট (পরােয়ানা) প্রেরণ

ধারা ৮২ এ যাই থাকুক না কেন বাংলাদেশের কোন আদালত কর্তৃক কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য কোন ওয়ারেন্ট (পরােয়ানা) বাংলাদেশের বাহিরে কোন স্থানে সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বা বহাল কোন আদালতের অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে উহার বৈদেশিক এখতিয়ার বলে কার্যকর করতে চাইলে, প্রদানকারি আদালত উক্ত ওয়ারেন্ট কার্যকর করার জন্য ডাক মারফত বা অন্য কোন পদ্ধতিতে উক্ত আদালতের হাকিম বরাবর পাঠাবেন।

ধারা ৯৩গ বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ওয়ারেন্ট (পরােয়ানা) বাংলাদেশে জারি ও কার্যককরণ

১) যেক্ষেত্রে কোন আদালত কোন অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে জারি বা কার্যকর করার জন্য বাংলাদেশের বাহিরে সরকারের কর্তৃত্ব দ্বারা বৈদেশিক এখতিয়ার বলে প্রতিষ্ঠিত বা বহাল কোন আদালত নিজস্ব অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে জারি বা কার্যকর করার জন্য কোন ওয়ারেন্ট (পরােয়ানা) পান, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোন আদালতের নিকট প্রাপ্ত সমন বা ওয়ারেন্টের (পরােয়ানার) ন্যায় উহা জারি বা কার্যকর করাইবেন।

২) যখন কোন গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট (পরােয়ানা) উক্তরূপে কার্যকর (কার্যকরি) হয়েছে, তখন আটককৃত ব্যক্তি সম্পর্কে যথাসম্ভব ধারা-৮৫ ও ৮৬ এ উল্লেখিত ব্যবস্থায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Popular posts from this blog

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha...

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...