- Get link
- X
- Other Apps
Chapter 7
সপ্তম অধ্যায়
of Processes to Compel the Production of Documents and Other Movable Property, and for the Discovery of Persons Wrongfully Confined
দলিলসমূহ ও অন্যান্য অস্থাবর সম্পত্তি হাজির করতে এবং বেআইনিভাবে আটক ব্যক্তিকে খুঁজিয়া বাহির করতে বাধ্য করার ওয়ারেন্ট সম্বন্ধে
Summon to Produce
দলিলাদি হাজির করার সমন
ধারা ৯৪ দলিলাদি বা অন্য দ্রব্যাদি পেশ করতে সমন
১) যখন কোন আদালত বা কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার এই কার্যবিধির আওতায় তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার বা অপর আইনি প্রতিবিধান ব্যবস্থার কার্য পরিচালন প্রণালীতে কোন দলিল বা কোন জিনিস পেশ করা প্রয়ােজন বা বাঞ্চনীয় বলিয়া মনে করেন, তখন উক্ত আদালত বা অফিসার সমন বা লিখিত আদেশ দ্বারা যে ব্যক্তির নিকট উক্ত দলিল বা বস্তু রহিয়াছে মর্মে অনুমিত হয়, তাকে সমন বা আদেশ লিখিত সময় ও স্থানে হাজির হতে ও উহার দাখিল করতে, বা উক্ত সমন বা আদেশে বলা সময় ও স্থানে তা পেশ করতে, ফরমাশ করতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ কোন অফিসার ব্যাংকার বুক এভিডেন্স এ্যাক্ট, ১৮৯১ (১৮৯১ সনের ১৮নং আইন) এর সংজ্ঞা মােতাবেক কোন ব্যাংকের বা ব্যাংকারের হেফাজতে রক্ষিত কোন দলিল বা অন্য কোন বস্তু যা কোন ব্যক্তির ব্যাংকের হিসাব সম্পর্কে কোন তথ্য প্রদান করতে পারে তা নিম্নে বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতিত পেশের কোন আদেশ প্রদান করবেন না-
ক) দায়রা জজের লিখিত পূর্বানুমতি নিয়া দণ্ডবিধির ধারা-৪০৩, ৪০৬, ৪০৮, এবং ধারা-৪০৯ এবং ধারা-৪২১ থেকে ধারা-৪২৪ (উভয়ই অন্তর্ভুক্ত) এবং ধারা-৪৬৫ থেকে ধারা-৪৭৭ক (উভয়ই অন্তর্ভুক্ত) মােতাবেক কোন অপরাধ তদন্তের জন্য; এবং
খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের লিখিত পূর্ব-অনুমতি নিয়া।
২) অত্র ধারার আওতায় যাকে শুধুমাত্র কোন দলিল বা অন্য কোন বস্তু হাজির করার কথা বলা হয়েছে, তিনি উহা হাজির করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে হাজির না হয়ে উক্ত বস্তু বা দলিল পেশের ব্যবস্থা করলে তিনি নির্দেশ পালন করছেন মর্মে পরিগণিত হবেন।
৩) অত্র ধারার কোন বিধান সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ (১৮৭২ সনের ১নং আইন) এর ধারা-১২৩ ও ১২৪ প্রভাবিত করবে না, বা ডাক বা টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রক্ষিত কোন পত্র, পােস্টকার্ড, টেলিগ্রাম বা অন্যান্য দলিল বা কোন পার্সেল বা বস্তুর ক্ষেত্রে অপ্রযােজ্য হবে।
ধারা ৯৫ চিঠিপত্র ও টেলিগ্রাম সম্পর্কিত ক্ষেত্রে পদ্ধতি
১) কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট), চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, হাইকোর্ট বিভাগ বা দায়রা আদালতের মতে ঐরূপ হেফাজতের কোন দলিল, পার্সেল বা বস্তু এই কার্যবিধির আওতায় পরিচালিত কোন তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার বা অপর আইনি প্রতিবিধান ব্যবস্থার কার্য পরিচালন/কার্যক্রমের লক্ষ্যে প্রয়ােজন হলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত ডাক বা টেলিগ্রাম কর্তৃপক্ষকে কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির নিকট ঐ দলিল পার্সেল অথবা বস্তু প্রত্যর্পণ করতে বলতে পারেন।
২) [অন্য কোন নির্বাহী বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট] বা পুলিশ কমিশনার বা জেলা পুলিশ সুপার উক্ত দলিল, পার্সেল বা দ্রব্য ঐরূপ কোন প্রকার উদ্দেশ্যে প্রয়ােজন বলে মনে করেন, তবে ডাক বা তার কর্তৃপক্ষকে, উক্তরূপ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালতের নির্দেশ সাপেক্ষে উক্ত দলিল, পার্সেল বা দ্রব্য তল্লাশি ও আটক করতে পারেন।
ধারা ৯৬ কখন তল্লাশি ওয়ারেন্ট জারি হতে পারে
১) যেক্ষেত্রে কোন আদালতের এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, যে ব্যক্তিকে ধারা-৯৪ এর আওতায় সমন করা হয়েছে বা আদেশ দেওয়া হয়েছে বা ধারা-৯৫(১) এ কোন একটি ফরমাশ করা হয়েছে, বা যাকে সেইরূপ করা হয়ে থাকিতে পারি, সেই ব্যক্তি উক্ত সমন বা ফরমাশ মত উক্ত দলিল বা দ্রব্য পেশ করবে না বা করিত না, বা, যেক্ষেত্রে উক্ত দলিল বা দ্রব্য কোন ব্যক্তির জিম্মায় আছে বলে আদালতের জানা নাই, বা, যেক্ষেত্রে আদালত বিবেচনা করেন যে, অত্র কার্যবিধির কোন অনুসন্ধান বিচার বা অপরাপর আইনি প্রতিবিধান ব্যবস্থার কার্য পরিচালন প্রণালীর উদ্দেশ্য একটি সাধারণ তল্লাশি বা পরিদর্শনে সমাধা হবে, সেক্ষেত্রে উক্ত আদালত একটি তল্লাশি ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন; এবং যে ব্যক্তিকে উক্ত ওয়ারেন্ট কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয় সেই ব্যক্তি উক্ত ওয়ারেন্ট মােতাবেক এবং অতঃপর অত্র কার্যবিধিতে দেওয়া বিধানাদি অনুসরণ করে তল্লাশি বা পরিদর্শন করতে পারেন।
২) অত্র আইনে বর্ণিত কোন বিধান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ব্যতিত অন্যকোন ম্যাজিস্ট্রেট ডাক বা টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষের হেফাজতে থাকা কোন দলিল, পার্সেল বা অন্য কোন দ্রব্যের তল্লাশির জন্য ওয়ারেন্ট মঞ্জুর করতে ক্ষমতা দিবে না।
ধারা ৯৭ ওয়ারেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা
আদালত, যদি যথাযথ মনে করেন, তবে যে নির্দিষ্ট স্থান বা তার অংশে শুধুমাত্র উক্ত তল্লাশি বা পরিদর্শন করা যাবে তা উক্ত ওয়ারেন্টে বিশেষভাবে উল্লেখ করে দিতে পারেন; এবং উক্ত ওয়ারেন্ট কার্যকর করতে ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি তখন বিশেষভাবে উল্লেখ করে দেওয়া উক্ত স্থান বা স্থানের অংশটিতেই শুধুমাত্র তল্লাশি বা পরিদর্শন করবেন।
ধারা ৯৮ যে বাড়িতে চোরাইমাল, জাল দলিলাদি আছে বলিয়া সন্দেহ হয় এমন বাড়িতে তল্লাশি
১) যদি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অথবা সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সংবাদ পেয়ে এবং তার মতে যতদূর প্রয়ােজনীয় ততদূর তদন্ত করার পর যদি তার এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, কোন স্থান চোরাইল জমা রাখা বা বিক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত হয় বা জাল দলিল, নকল সীল, বা জাল স্ট্যাম্প বা মুদ্রা, বা স্ট্যাম্প জাল বা নকল করার বা জালিয়াতি করার যন্ত্রপাতির বা সাজ-সরঞ্জাম জমা রাখা, বিক্রয় বা তৈরীর লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয় বা কোন স্থানে জাল দলিল, নকল সীল বা নকল টিকিট বা মুদ্রা বা স্ট্যাম্প জাল বা নকল করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি বা সাজ সরঞ্জাম রাখা বা জমা প্রদান করা হয় বা, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অথবা সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সংবাদ পেয়ে এবং তার মতে যতদূর প্রয়ােজনীয় ততদূর তদন্তের পর যদি তার এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, কোন স্থান দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা-২৯২ এ উল্লেখিত কোন অশ্লীল বস্তু জমা রাখা, বিক্রয়, তৈরী বা উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয় বা কোন স্থানে এইরূপ কোন অশ্লীল বস্তু রাখা বা জমা করা হয়, তা হলে তিনি ওয়ারেন্ট (পরােয়ানা) জারি করে কনস্টেবল পদের উপর কোন পুলিশ অফিসারকে নিম্নে উল্লেখিত ব্যাপারে কর্তৃত্ব প্রদান করতে পারেন –
ক) যেইরূপ প্রয়ােজন হতে পারে সেইরূপ সাহায্য নিয়া উক্ত স্থানে প্রবেশ করার এবং
খ) ওয়ারেন্ট বলা প্রণালীতে উক্ত স্থানে তল্লাশি করিবার, এবং
গ) সেখানে পাওয়া যায় এমন যে কোন সম্পত্তি, দলিল, সীল টিকিট বা মুদ্রা যেগুলিকে তিনি যৌক্তিকভাবে চোরাই, বেআইনিভাবে সংগৃহীত, জাল, মিথ্যা বা নকল মর্মে যথাযথ সন্দেহ হয়, এবং উপরিউক্ত যন্ত্রপাতি ও সাজ-সরঞ্জাম বা কোন অশ্লীল বস্তুর দখলে নেওয়ার; এবং
ঘ) উক্ত সম্পত্তি, দলিল, সীল, টিকিট, মুদ্রা, যন্ত্রপাতি বা সাজ সরঞ্জাম বা অশ্লীল বস্তু ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠানাে, বা যে পর্যন্ত না অপরাধীকে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করা হয়, সে পর্যন্ত উক্ত স্থানেই তা পাহারা দিয়ে রাখিবার অথবা অন্য কোন ভাবে উহা কোন নিরাপদ স্থানে রাখিবার বিহিত ব্যবস্থা করার, এবং
ঙ) উক্তরূপ কোন সম্পত্তি চোরাই বা অন্য কোন উপায়ে বেআইনিভাবে সংগৃহীত, বা উক্তরূপ দলিল, সিল, টিকিট, মুদ্রা, যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম জাল, মিথ্যা বা নকল, বা উক্তরূপ যন্ত্রপাতি বা সাজ সরঞ্জাম মুদ্রা বা টিকিট নকল বা জাল করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে বা হবে, বা এইরূপ অশ্লীল বস্তু বিক্রয়, ভাড়া দেওয়া, বন্টন, প্রকাশ্যে প্রদর্শন, প্রচার, আমদানি বা রপ্তানি করা হয়েছে বা হবে মর্মে জ্ঞাত হওয়া বা এইরূপ সন্দেহ থাকার যথাযথ কারণ আছে মর্মে জ্ঞাত হয়ে অথবা এইরূপ সম্পত্তি, দলিল, সীল, টিকিট মুদ্রা, যন্ত্রপাতি, সাজ-সরঞ্জাম বা অশ্লীল বস্তু জমা রাখা, বিক্রয়, বা তৈরী করার বা রাখিবার সাথে জড়িত আছে মর্মে প্রতীয়মান হয়, তা হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যক্তিসকলকে আটক বা গ্রেফতার করার এবং কোন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়া যাওয়ার।
২) নিম্নে উল্লেখিত বস্তু সম্পর্কে অত্র ধারার বিধানসমূহ-
ক) জালমুদ্রা,
খ) জাল মর্মে সন্দেহযুক্ত মুদ্রা, এবং
গ) মুদ্রা জালের যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম সম্বন্ধীয় ব্যবস্থা যতদূর সম্ভব নিম্নোক্তক্রমে নিম্নোক্তক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে।
অ, ধাতু প্রতীক আইন, ১৮৮৯ (১৮৮৯ সনের ১নং আইন) লঙ্ঘন করে তৈরী বা কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ (১৯৬৯ সনের ৪নং আইন) এর ধারা-১৬ এর আওতায় প্রদত্ত বর্তমানে চালু কোন বিজ্ঞপ্তি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে আনিত ধাতুর খন্ড;
আ. উক্তরূপে তৈরী মর্মে বা বাংলাদেশে আনিত মর্মে সন্দেহযুক্ত, বা উপরিউক্ত আইনদ্বয়ের প্রথমটি লঙ্ঘনপূর্বক বিলি করার নিমিত্তে ধাতুর খন্ড তৈরীর যন্ত্রপাতি বা সাজসরঞ্জাম, উক্ত আইন লঙ্ঘনপূর্বক ধাতব খন্ড প্রস্তুতের যন্ত্রপাতি বা সাজ সরঞ্জাম।
ধারা ৯৯ অধিক্ষেত্রের বহির্ভূত স্থানে তল্লাশিতে প্রাপ্ত দ্রব্যাদির বিহিতব্যবস্থা
যখন তল্লাশি ওয়ারেন্ট প্রদানকারি আদালতের অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার বাহিরে কোন স্থানে তল্লাশি ওয়ারেন্ট কার্যকর করতে গিয়া যে সকল দ্রব্যাদির জন্য তল্লাশি করা হইতেছে উহার কোনটি পাওয়া যায়, তখন অতঃপর সন্নিবেশিত বিধানের আওতায় প্রণীত উহার তালিকাসহ সেই জিনিস অবিলম্বে ওয়ারেন্ট জারিকারি আদালতে পেশ করতে হবে; তবে এইরূপ স্থান উক্ত আদালতের চেয়ে কোন এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট নিকটতর হলে উক্ত তালিকা ও জিনিস অবিলম্বে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পেশ করতে হবে; এবং অন্যরূপ ব্যবস্থা গ্রহনের সঙ্গত কারণ না থাকিলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত তালিকা ও জিনিস উক্ত আদালতে নিয়ে যাওয়ার কর্তৃক সম্বলিত আদেশ প্রদান করবেন।
ধারা ৯৯ক নির্দিষ্ট কিছু প্রকাশনা বাজেয়াপ্ত ঘােষণা করা ও তার জন্য তল্লাশি ওয়ারেন্ট জারির ক্ষমতা
১) যেক্ষেত্রে সরকারের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, কোন খবরের কাগজ, বা পুস্তক বা কোন দলিলে তা যেখানেই মুদ্রিত হউক না কেন, নিম্নে বর্ণিত বিষয়ে-
ক) যা প্রকাশ করা দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা-১২৩ক বা ১২৪ক বা ১৫৩ক বা ২৯২ বা ২৯৫ক বা ৫০৫ বা ৫০৫ক এ শাস্তিযােগ্য, বা
খ) যা প্রকাশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, সরকারের প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পীকার বা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির মানহানি ঘটে, বা
গ) যা মারাত্মক শিষ্টাচারহীন বা গালি-গালাজপূর্ণ বা অশ্লীল, বা
ঘ) যা কোন ব্যক্তিকে বা কোন ব্যক্তিদেরকে আমলযােগ্য অপরাধ করতে উত্তেজিত করে বা করতে পারে এমন কোন শব্দ বা তিরস্কার।
সেক্ষেত্রে সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা মতামতের ভিত্তি প্রকাশপূর্বক এইরূপ বিষয় সম্বলিত সংবাদপত্রের ইস্যু প্রত্যেক কপির শব্দ বা দৃশ্যমান তিরস্কার এবং এইরূপ পুস্তকের প্রত্যেক কপি বা অন্য দলিল বাজেয়াপ্ত ঘােষণা করতে পারবেন, এবং অতঃপর যে কোন পুলিশ অফিসার উহা যে স্থানেই পাওয়া যাক না কেন, আটক করতে পারবেন, এবং এইরূপ খবরের কাগজ, পুস্তক বা অন্য দলিলের কোন কপি যে স্থানে আছে বা থাকিতে পারে মর্মে যথাযথ সন্দেহ থাকতে পারে, যে কোন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ারেন্ট কর্তৃক সাব-ইন্সপেক্টরের নিম্ন পদের নহে এমন কোন পুলিশ অফিসারকে সেখানে ঢুকিতে এবং উহার জন্য তল্লাশি চালাতে ক্ষমতা প্রদান করতে পারেন।
২) উপরে বর্ণিত উপ-ধারা-১ এ উল্লেখিত “খবরের কাগজ”, “পুস্তক” এবং “দলিল” বলতে ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘােষণা ও নিবন্ধিকরণ) আইন, ১৯৭৩ (১৯৭৩ সনের ২৩ নং আইন) এ যা বুঝানাে হয়েছে, তাকেই বুঝাইবে।
ধারা ৯৯খ বাজেয়াপ্তির ঘােষণা বাতিল করতে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন
যে খবরের কাগজ, পুস্তক বা অপর দলিল সম্বন্ধে ধারা-৯৯ক এর আওতায় বাজেয়াপ্তির ঘােষণা দেওয়া হয়েছে, তাতে যার কোন স্বার্থ আছে তিনি উক্ত ঘােষণার তারিখ থেকে দুই মাসের মধ্যে এই মর্মে হাইকোর্ট বিভাগের নিকট ঘােষণা বাতিলের আবেদন করতে পারেন যে, যে খবরের কাগজ, পুস্তক বা অন্য দলিল সম্পর্কে উক্ত ঘােষণা দেওয়া হয়েছে, তাতে ধারা-৯৯ক এর উপ-ধারা-১ এ উল্লেখিত বিশ্বাসঘাতকতামূলক বা রাষ্ট্রেদ্রোহীমূলক বা অন্য কোন বিষয় নাই।
ধারা ৯৯গ বিশেষ বেঞ্চে শুনানি
এইরূপ প্রত্যেক আবেদনের শুনানি এবং সিদ্ধান্ত, যেক্ষেত্রে তিনজন জজকে নিয়ে গঠিত উক্ত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বিশেষ বেঞ্চ কর্তৃক হবে।
ধারা ৯৯ঘ বিশেষ বেঞ্চ কর্তৃক বাজেয়াপ্তকরণ বাতিলের আদেশ
১) বিশেষ বেঞ্চ আবেদনপত্র পাওয়ার পর যদি সন্তুষ্ট না হন যে, যে খবরের কাগজ বা অন্য দলিল সম্পর্কে আবেদন করা হয়েছে, তাতে ধারা-৯৯ক এর উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত কোন বিষয় বা শব্দ বা দৃশ্যমান তিরস্কার আছে, তবে বাজেয়াপ্তির ঘােষণাটি বাতিল করে দিবেন।
২) যেক্ষেত্রে উক্ত বিশেষ বেঞ্চের জজগণের মধ্যকার কোন মতপার্থক্য হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত জজগণের মধ্যে সংখ্যাধিক্য জজগণের মতানুসারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
ধারা ৯৯ঙ সংবাদপত্রের প্রকৃতি বা প্রবণতা প্রমাণের জন্য সাক্ষ্য
যে খবরের কাগজ সম্বন্ধে বাজেয়াপ্তির ঘােষণা দেওয়া হয়েছে, তৎসম্পর্কিত আবেদনপত্রের শুনানিকালে উক্ত খবরের কাগজে ব্যবহৃত শব্দ, চিহ্ন বা দৃশ্যমান বস্তুর প্রকৃতি বা ভাবধারা প্রমাণের জন্য উক্ত খবরের কাগজের যে কোন সংখ্যা প্রমাণের সহযােগিতার জন্য দাখিল করা যেতে পারে।
ধারা ৯৯চ হাইকোর্ট বিভাগের পদ্ধতি
সুপ্রীমকোর্ট যতটুকু সম্ভব দ্রুত উক্তরূপ আবেদন, উহার খরচের পরিমাণ ও এই সম্বন্ধে প্রদত্ত আদেশ তামিলের কৌশল নির্ধারণপূর্বক বিধিমালা প্রণয়ন করবেন এবং যে পর্যন্ত অত্র বিধিমালা প্রণীত না হয়, সে পর্যন্ত এইরূপ আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালতের স্ব স্ব প্রচলিত কৌশল, মােকদ্দমা ও আপিল কার্যক্রম প্রণালী ব্যতীত, প্রয়ােগ করা হবে।
ধারা ১৯ছ অধিক্ষেত্র বারিত
ধারা-৯৯ক এর আওতায় প্রদত্ত কোন আদেশ বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা সম্বন্ধে ধারা-৯৯ঘ এ উল্লেখিত বিধান ব্যতিত অন্য কোন প্রকারে কোন আদালতে প্রশ্ন উত্থাপনযােগ্য নয়।
Discovery of persons wrongfully confined
অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার
ধারা ১০০ বেআইনিভাবে আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশি
যদি কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বা কোন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এর এইরূপ বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, কোন ব্যক্তিকে এইরূপ অবস্থায় আটক আছে যে ঐরূপ আটক একটি অপরাধ, তা হলে তিনি একটি তল্লাশি পরােয়ানা জারি করতে পারেন এবং যে ব্যক্তিকে উক্ত পরােয়ানা কার্যকর করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি উক্ত আটক ব্যক্তির জন্য তল্লাশি করতে পারেন এবং উক্ত পরােয়ানা যেমন বলা হয়েছে সেরূপে উক্ত তল্লাশি করতে হবে, এবং অবস্থা অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেট যেরূপ মনে করেন সেরূপ উপযুক্ত আদেশ দিবেন।
General Provisions Relating to Searches
তল্লাশি সম্পর্কে সাধারণ বিধানাদি
ধারা ১০১ তল্লাশি ওয়ারেন্টের বিষয়ে নির্দেশাদি:
অত্র কার্যবিধির ধারা-৪৩, ৭৫, ৭৭, ৭৯, ৮২, ৮৩, ও ৮৪ এর বিধানাদি, যতদূর যেইরূপ হতে পারে, অত্র কার্যবিধির ধারা ৯৬, ৯৮, ৯৯ক ও ১০০ ধারার আওতায় জারি করা সকল তল্লাশি ওয়ারেন্টের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে।
ধারা ১০২ আবদ্ধ স্থানের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ তল্লাশি করতে দিবেন
১) যখনই এ অধ্যায়ের আওতায় তল্লাশি ৰা পরিদর্শনযােগ্য কোন স্থান আবদ্ধ থাকে, সেই স্থানে বসবাসকারি, বা সেই স্থানের ভারপ্রাপ্ত যে কোন ব্যক্তি, ওয়ারেন্ট কার্যকরকারি পুলিশ অফিসার বা অন্য ব্যক্তি দাবী জানাইলে এবং উক্ত ওয়ারেন্ট দেখাইলে উক্ত স্থানে তাকে অবাধে প্রবেশ করতে দেবেন, এবং সেখানে তল্লাশির জন্য সকল যথাযথ সুযােগ সুবিধা দেবেন।
২) যদি ঐরূপে উক্ত স্থানে প্রবেশ করা না যায়, তবে ওয়ারেন্ট কার্যকরকারি উক্ত পুলিশ অফিসার বা অন্য ব্যক্তি অত্র কার্যবিধির ধারা-৪৮ এ উল্লেখিত পন্থায় অগ্রসর হতে পারেন।
৩) সেই স্থানের বা তার আশেপাশের কোন ব্যক্তি যে দ্রব্যাদির জন্য তল্লাশি করতে হবে সেইরূপ কোন দ্রব্যাদি তার কাছে লুকাইয়া রেখেছে বলিয়া যদি যথাযথভাবে সন্দেহ হয়, তবে সেই ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করা যেতে পারে। যদি উক্ত ব্যক্তি একজন স্ত্রীলােক হয়, তা হলে ধারা-৫২ এর নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে হবে।
ধারা ১০৩ সাক্ষীর উপস্থিতিতে তল্লাশি কার্য চালাইতে হবে
১) অত্র অধ্যায়ের আওতায় কোন একটি তল্লাশি করার পূর্বে তল্লাশি করতে উদ্যত পুলিশ অফিসার বা অপর কোন ব্যক্তি, উক্ত স্থান যে অঞ্চলে অবস্থিত সেই অঞ্চলের দুই বা ততােধিক নিরপেক্ষ এবং সম্রান্ত অধিবাসীকে তল্লাশিতে হাজির থাকিতে ও উহার সাক্ষী হতে ডাকিবেন এবং এইরূপ করার জন্য তাদিগকে বা তাদের যে কোন একজনকে লিখিতভাবে একটি আদেশ জারি করতে পারবেন।
২) ঐরূপ ব্যক্তিগণের উপস্থিতিতে তল্লাশি করতে হবে এবং উক্ত তল্লাশিতে অধিগ্রহণকৃত সকল দ্রব্যাদির এবং যে সকল স্থানে তা যথাক্রমে পাওয়া গিয়াছে উহার একটি তালিকা উক্ত পুলিশ অফিসার বা অপর ব্যক্তি তৈরী করবেন এবং তা উক্ত সাক্ষীগণ কর্তৃক স্বাক্ষরিত হবে; কিন্তু আদালত বিশেষভাবে সমন না করলে অত্র ধারার আওতায় কোন একটি তল্লাশি প্রত্যক্ষকারি কোন ব্যক্তিকে উক্ত তল্লাশির সাক্ষী হিসাবে আদালতে হাজির হতে ফরমাশ করা হবে না।
তল্লাশি স্থানের দখলকার তথায় উপস্থিত থাকিতে পারেন
৩) তল্লাশিকৃত স্থানের দখলকার, বা তার পক্ষের কোন ব্যক্তিকে, প্রত্যেক ক্ষেত্রে, তল্লাশি চলার সময়ে হাজির থাকিতে দিতে হবে, এবং উক্ত দখলকারি ব্যক্তি বা তার প্রতিনিধি অনুরােধ করলে তাকে অত্র ধারার আওতায় প্রণীত ও উপরিউক্ত সাক্ষীগণের স্বাক্ষরিত তালিকার একটি নকল প্রদান করতে হবে।
৪) যখন ধারা-১০২ (৩) এর আওতায় কোন ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করা হয়, তখন তার কাছে থাকা দখলে নেওয়া সকল দ্রব্যাদির একটি তালিকা তৈরী করতে হবে, এবং সেই তালিকার একটি কপি উক্ত ব্যক্তি অনুরােধ করলে দিতে হবে।
৫) লিখিত আদেশ দ্বারা আহ্বান জানানাে সত্ত্বেও যে ব্যক্তি যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিত অত্র ধারার আওতায় পরিচালিত কোন তল্লাশিতে উপস্থিত হতে ও সাক্ষী হতে অস্বীকার বা অবহেলা করেন, তিনি দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা-১৮৭ এ উল্লেখিত অপরাধ করেছেন মর্মে পরিগণিত হবে।
Miscellaneous
বিবিধ
ধারা ১০৪ পেশ করা দলিল, ইত্যাদি আটক করার ক্ষমতা
যে কোন আদালত, যদি যথাযথ বিবেচনা করেন, তাঁর কাছে অত্র কার্যবিধির আওতায় পেশ করা যে কোন দলিল বা দ্রব্য আটক করতে পারেন।
ধারা ১০৫ ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে তল্লাশি করার নির্দেশ দিতে পারেন
যে কোন ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী বা জুডিসিয়াল যাই হউক, এমন যে কোন স্থানের তল্লাশি তার উপস্থিতিতে করতে হবে বলিয়া নির্দেশ প্রদান করতে পারেন, যে স্থানে তল্লাশি করার জন্য তিনি তল্লাশি ওয়ারেন্ট জারি করতে উপযুক্ত।