Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

Prevention of Offences Security for Keeping the Peace for Good Behaviour শান্তিরক্ষা সদাচরণের জন্য মুচলেকা বন্ড

Part 4

চতুর্থ ভাগ

Prevention of Offences

অপরাধ নিবারণ (দমন)

Chapter 8

অষ্টম অধ্যায়

Of Security for Keeping the Peace for Good Behaviour

শান্তিরক্ষা ও সদাচরণের জন্য মুচলেকা (বন্ড)

ধারা ১০৬ দোষি সাব্যস্ত হওয়ার পর শান্তিরক্ষার মুচলেকা

১) যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর অষ্টম অধ্যায়ের আওতায় কোন অপরাধ ধারা ১৪৩, ধারা-১৪৯, ধারা-১৫৩ক ও ধারা-১৫৪ এ শাস্তিযােগ্য অপরাধ ব্যতিত বা আঘাত বা শান্তি ভঙ্গের সম্বলিত অন্য কোন অপরাধ বা অপরাধ করতে সহযােগিতা, বা ভীতি প্রদর্শনকরার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে হাইকোর্ট বিভাগ, দায়রা আদালত, অথবা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত হয়, এবং উক্ত আদালত এইরূপ মত পােষণ করেন যে, শান্তি রক্ষার জন্য উক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে মুচলেকা (বণ্ড) নেওয়া প্রয়ােজন, সেক্ষেত্রে উক্ত আদালত উক্ত ব্যক্তিকে দণ্ডাজ্ঞা দেওয়ার সময় ৩ (তিন) বছরের বেশি নয় এরূপ সময়ের জন্য যেইরূপ উক্ত আদালত যথাযথ মনে করেন, শান্তি রক্ষার জন্য, জামিনদারসহ বা জামিনদার ব্যতিত তার সামর্থ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ যে কোন পরিমাণ অর্থের জন্য একটি মুচলেকা (বণ্ড) সম্পাদনের আদেশ দিতে পারেন।

২) আপিল বা অন্য কোনভাবে দণ্ড রদ বা বাতিল হয়ে গেলে, উক্ত সম্পাদিত মুচলেকা (বন্ড) বাতিল হয়ে যাবে।

৩) আপিল আদালত বা যখন কোন একটি আদালত তার রিভিশন ক্ষমতাদি প্রয়ােগ করেন সেই আদালতও অত্র ধারার আওতায় আদেশ দিতে পারেন।

Security for keeping the Peace in other Case and security for Good Behavior.

অন্যান্য ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষা ও সদাচরণের মুচলেকা (বণ্ড)

ধারা ১০৭ অন্যান্য ক্ষেত্রে শান্তিরক্ষার জন্য মুচলেকা (বও)

 ১) যেক্ষেত্রে কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পায় যে, কোন ব্যক্তি সম্ভবত শান্তি ভঙ্গ বা সার্বজনিক প্রশান্তি বিঘ্নিত করবে বা শান্তিভঙ্গকারি বা সার্বজনিক প্রশান্তি বিঘ্নকারি কোন বেআইনি কাজ করবে এবং এইরূপ মত পােষণ করেন যে ঐক্ষেত্রে আইনি প্রতিবিধান ব্যবস্থার কার্যপরিচালন প্রণালী গ্রহণকরার যথেষ্ট কারণ আছে, সেক্ষেত্রে তিনি, অতঃপর বিধিমতে, উক্ত ব্যক্তিকে এইরূপ কারণ দর্শাতে বলতে পারেন যে, তাকে কেন এক বছরের বেশি নয় এইরূপ সময়ের জন্য যেইরূপ তিনি যথাযথ মনে করেন, শান্তি রক্ষার জন্য, জামিনদার সহ বা ছাড়া, একটি মুচলেকা (বণ্ড) সম্পাদন করতে আদেশ দেওয়া হবে না।
২) যার বিরুদ্ধে সংবাদ দেওয়া হয়েছে সে ব্যক্তি এবং যে স্থানে শান্তি ভঙ্গ বা প্রশান্তি বিনষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে সেই স্থানে উভয়ই ম্যাজিষ্টেটের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে না হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতিত অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কার্যপ্রক্রিয়া গ্রহণ করা যাবে না।
৩) উপ-ধারা (১) এর আওতায় কোন ম্যাজিস্ট্রেটের কাজ করার ক্ষমতা প্রদান না করলে উহার পদ্ধতি
যে ম্যাজিস্ট্রেটের উপ-ধারা-১ এর আওতায় কার্যকরার ক্ষমতা নাই, তিনি যদি যুক্তিযুক্ত মনে করেন যে, কোন ব্যক্তি সম্ভবত শান্তিভঙ্গ করতে পারে বা সার্বজনিক প্রশান্তি বিঘ্নিত করতে পারে বা এমন কোন বেআইনি কাজ করতে পারে যার ফলে সম্ভবত শান্তিভঙ্গ হতে পারে বা সার্বজনীন প্রশান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এবং উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা ছাড়া উক্ত শান্তিভঙ্গ বা প্রশান্তি বিঘ্নিত রােধ করা যেতে পারে না, তবে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কারণ লিপিবদ্ধকরার পর তাকে গ্রেফতারের জন্য ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবেন অবশ্য উক্ত ব্যক্তি যদি ইতিপূর্বেই হেফাজতে না থাকে বা আদালতে উপস্থিত না থাকে এবং তার লিপিবদ্ধ কারণের নকলসহ তাকে অত্র ব্যাপারে ক্ষমতাবান কোন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠাতে হবে।
৪) উপ-ধারা-৩ এর আওতায় কোন ব্যক্তিকে যে ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর পাঠানাে হয়েছে, তিনি অত্র অধ্যায়ের আওতায় নিজে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে ইচ্ছা মােতাবেক তাকে আটক রাখতে পারেন।

ধারা ১০৮ রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক বিষয় প্রচারকারি ব্যক্তিদের কাছ থেকে সদাচরণের মুচলেকা

যখন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্যকোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা এই বিষয়ে সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এই মর্মে জানতে পারেন যে, তার এখতিয়ারের সীমার ভিতর কোন ব্যক্তি লিখিতভাবে বা মৌখিকভাবে বা অন্য কোন উপায়ে উক্ত সীমার ভিতরে বা বাহিরে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচার করছে বা প্রচারের চেষ্টা করছে বা প্রচারে সহায়তা করছে-
ক) কোন বিদ্রোহাত্মক বিষয় অর্থাৎ যা সর্বসাধারণ্যে প্রকাশ করা দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা-১২৩ক বা ধারা-১২৪ক এর আওতায় শাস্তিযােগ্য অপরাধ, বা
খ) কোন বিষয়, যা প্রকাশ করা দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা১৫৩ক এর আওতায় শাস্তিযােগ্য অপরাধ, বা
গ) কোন বিচারক সম্পর্কিত কোন বিষয় যা দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর আওতায় অপরাধজনক ভীতিপ্রদর্শন বা মানহানিকর বলে বিবেচিত হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট এইরূপ মত পােষণ করেন যে, ঐক্ষেত্রে আইনি প্রতিবিধান
গ্রহণ করার যথাযথ কারণ আছে, তখন, তিনি, অতঃপর বিধিমতে, উক্ত ব্যক্তিকে এক বৎসরের অনধিক, ম্যাজিস্ট্রেট যা উপযুক্ত মনে করেন, এইরূপ যে কোন সময়ের জন্য সদাচরণের নিমিত্তে জামিনদারসহ বা জামিনদার ব্যতিত কেন মুচলেকা (বন্ড) সম্পাদনের আদেশ দেওয়া হবে না উহার কারণ দর্শাতে বলিবেন। সরকারের কর্তৃত্ব মােতাবেক বা সরকার কর্তৃক ঐ সম্পর্কে প্রদত্ত ক্ষমতায় ক্ষমতাবান কোন অফিসারের কর্তৃত্ব মােতাবেক ব্যতিত অপর কোন উপায়ে প্রিন্টিং প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স আইন, ১৯৭৩ এর আওতায় নিবন্ধিকৃত এবং উক্ত বিধানাদির সাথে সামঞ্জস্য রাখিয়া সম্পাদিত, মুদ্রিত ও প্রকাশিত কোন প্রকাশনার সম্পাদক, মালিক, মুদ্রাকর বা প্রকাশকের বিরুদ্ধে অত্র ধারার আওতায় উক্ত প্রকাশনের মধ্যে থাকা কোন বিষয় সম্পর্কে কোন প্রকার আইনি প্রতিবিধান গ্রহণ করা যাবে না।

ধারা ১০৯ ভবঘুরে ও সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে সদাচরণের মুচলেকা (বন্ড)

যেক্ষেত্রে কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা যে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সংবাদ পান যে
ক) তার স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে কোন একজন ব্যক্তি তাঁর উপস্থিতি গােপন করছে এবং সে কারণে এইরূপ বিশ্বাসকরার কারণ আছে যে, ঐ ব্যক্তি সেইরূপ করছে কোন একটি আমলযােগ্য অপরাধ করার মতলবে, অথবা
খ) উক্ত সীমার মধ্যে এইরূপ কোন ব্যক্তি রহিয়াছে যার জীবিকা নির্বাহের কোন প্রকাশ্য পন্থা নাই বা যে ব্যক্তি নিজের সম্পর্কে কোন সন্তোষজনক বিবরণ দিতে পারে না, তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট অতঃপর বিধৃত মত, উক্ত ব্যক্তিকে এইরূপ কারণ দর্শাতে বলতে পারেন যে, তাকে কেন এক বছরের বেশি নয় এইরূপ সময়ের জন্য বা যেইরূপ তিনি যথাযথ মনে করেন, তার সদাচারণের জন্য, জামিনদারসহ একটি মুচলেকা (বণ্ড) সম্পাদন করতে আদেশ দেওয়া হবে না।

ধারা ১১০ স্বভাবজাত অপরাধীদের সদাচরণের মুচলেকা

যেক্ষেত্রে কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বা অন্য যে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সংবাদ পান যে, তার স্থানীয় শাসনাধীন অধিক্ষেত্রের মধ্যে একজন ব্যক্তি আছে যে
ক) স্বভাবজাত একজন দস্যু, গৃহভঙ্গকারি, চোর বা জালিয়াত, বা
খ) চুরি করা হয়েছে এইরূপ জানিয়াও চোরাইমালের স্বভাবজাত একজন গ্রাহক, বা
গ) স্বভাবজাত চোরদের রক্ষা করে বা আশ্রয় দিয়া, বা চোরাইমাল লুকাইতে বা পাচার করতে সাহায্য করে, বা
ঘ) স্বভাবজাত লােক অপহরণ, বলপূর্বক বা ধােকা দিয়া মানুষ হরণ, জুলুমবাজি, প্রতারণা বা অনিষ্ট কিংবা দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর দ্বাদশ অধ্যায় বা অত্র কার্যবিধির ধারা-৪৮৯ক, ৪৮৯খ, ৪৮৯গ, বা ৪৮৯ঘ এ শাস্তিযােগ্য কোন অপরাধ করে বা করার চেষ্টা করে বা করতে প্ররােচনা দেয়, বা
ঙ) শান্তিভঙ্গে জড়িত এমন অপরাধ সমূহ স্বভাবজাতভাবে করে, বা করার চেষ্টা করে বা করার প্ররােচনা দেয়, বা
চ) এইরূপ দুঃসাহসী এবং বিপজ্জনক যে, তাকে মুচলেকা (বণ্ড) ব্যতিত মুক্ত রাখা। সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক।
তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট অতঃপর বিধৃত মতে, উক্ত ব্যক্তিকে এইরূপ কারণ দর্শাতে ফরমাশ করতে পারেন যে, তাকে কেন তিন বছরের বেশি নয় এইরূপ সময়ের জন্য যেইরূপ যথাযথ মনে করেন, তার সদাচরণের জন্য, জামিনদারসহ একটি মুচলেকা (বণ্ড) সম্পাদন করতে আদেশ দেওয়া হবে না।

ধারা ১১২ যে আদেশ দিতে হবে

যখন ধারা-১০৭, ১০৮, ১০৯ বা ১১০ এর আওতায় কর্মরত কোন ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত ধারার আওতায় কোন ব্যক্তিকে ফরমাশ করা প্রয়ােজন বলে মনে করেন, তখন তিনি প্রাপ্ত সংবাদের সারাংশ, কত টাকার বন্ড সম্পাদন করতে হবে, কত মেয়াদ কার্যকর থাকবে, এবং প্রয়ােজনীয় জামিনদারের (যদি কিছু বলা হয়) সংখ্যা, চরিত্র এবং শ্রেণী উল্লেখ করে একটি লিখিত আদেশ দিবেন।

ধারা ১১৩ আদালতে উপস্থিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে পদ্ধতি

যে ব্যক্তির সম্বন্ধে উক্তরূপ আদেশ দেওয়া হয়, সেই ব্যক্তি যদি আদালতে উপস্থিত থাকে তবে আদেশটি তাকে পড়িয়া শুনাইতে হবে, বা সে যদি সেইরূপ চায় তা হলে ঐ আদেশের সারাংশ ব্যাখ্যা করে দিতে হবে।

ধারা ১১৪ ঐরূপ উপস্থিত না থাকা ব্যক্তির ক্ষেত্রে সমন বা পরােয়ানা

যদি উক্ত ব্যক্তি আদালতে উপস্থিত না থাকে, তবে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ঐ ব্যক্তিকে হাজির হতে বলে একটি সমন জারি করবেন, অথবা যেক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি জিম্মায় থাকে, সেক্ষেত্রে যে অফিসারের জিম্মায় ঐ ব্যক্তি আছে সেই অফিসারকে উক্ত ব্যক্তিকে আদালতে উপস্থিত করানাের নির্দেশ দিয়া একটি ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে, যখনি কোন পুলিশ অফিসারের রিপাের্ট বা অপর সংবাদ হতে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের এইরূপ মনে হয় (যে রিপোর্ট বা সংবাদের সারাংশ উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট নথিভুক্ত করবেন) যে, সেক্ষেত্রে শান্তিভঙ্গ আশংকা করার কারণ আছে, এবং ঐরূপ শান্তিভঙ্গকারি ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা ছাড়া অন্য কোনভাবে নিবারণ করা যাবে না, তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট যে কোন সময়ে উক্ত ব্যক্তির গ্রেফতারের জন্য একটি ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবেন।

ধারা ১১৫ ধারা-১১২ মােতাবেক সমন বা ওয়ারেন্টের সাথে আদেশের কপি থাকবে

ধারা-১১৪ এর আওতায় জারি করা প্রত্যেকটি ওয়ারেন্ট বা সমনের সাথে ধারা-১১২ এর আওতায় দেওয়া আদেশের একটি নকল কপি থাকবে, এবং উক্ত আদেশের নকল উক্ত সমন বা ওয়ারেন্ট জারিকারি বা কার্যকরকারি অফিসার কর্তৃক ঐ সমন যে ব্যক্তিকে জারি করা হয়, বা উক্ত ওয়ারেন্টের আওতায় যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় সেই ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করতে হবে।

ধারা ১১৬ ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করার ক্ষমতা

উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, যদি যথাযথ কারণ দেখেন তবে, কোন ব্যক্তি যাকে শান্তি রক্ষার জন্য বা সদাচরণের জন্য মুচলেকা (বণ্ড) সম্পাদন করতে আদেশ কেন দেওয়া হবে না বলে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়াছিলেন, তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা দেওয়া হতে মওকুফ করতে পারেন এবং তাকে এডভােকেটের মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার অনুমতি দিতে পারেন।

ধারা ১১৭ সংবাদের সত্যতা বিষয়ে অনুসন্ধান

১) যখন আদালতে উপস্থিত থাকা কোন ব্যক্তিকে ধারা-১১২ এর আওতায় প্রদত্ত আদেশ ধারা-১১৩ মােতাবেক পড়িয়া শুনান হয়েছে বা ব্যাখ্যা করা হয়েছে, বা ধারা-১১৪ এর আওতায় প্রদত্ত জারি করা সমন বা ওয়ারেন্ট মান্য করে বা তা কার্যকর হওয়ার পর কোন ব্যক্তি যখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির হয় বা হাজির করানাে হয়, তখন যে সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেই সংবাদের সত্যতা অনুসন্ধান করতে, এবং আরও যা প্রয়ােজন মনে হতে পারে সেইরূপ সাক্ষ্য নিতে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট অগ্রসর হবেন।
২) সমন মােকদ্দমার বিচার পরিচালনাও সাক্ষ্য নথিভুক্তকরণের জন্য অতঃপর যে পদ্ধতি নির্ধারিত হয়েছে, আদেশে শান্তিরক্ষার জন্য মুচলেকা (বণ্ড) দাবি করা হলে উপরিউক্ত অনুসন্ধান যথাসম্ভব উহার অনুরূপ পদ্ধতিতে করতে হবে এবং আদেশে সদাচরণের জন্য মুচলেকা (বণ্ড) দাবি করা হলে অনুসন্ধান যথাসম্ভব ওয়ারেন্ট মােকদ্দমার
বিচার ও সাক্ষ্য নথিভুক্ত করণের জন্য অতঃপর নির্ধারিত পদ্ধতিতে করতে হবে, তবে কোন প্রকার অভিযােগ প্রণয়ণ নিষ্প্রয়ােজন।
৩) উপ-ধারা (১) এর আওতায় অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পর, এবং তা শেষ হওয়ার আগে, উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট যদি এইরূপ বিবেচনা করেন যে, শান্তিভঙ্গ বা সার্বজনিক প্রশান্তি বিঘ্ন, বা কোন অপরাধের সংঘটন নিবারণ বা সার্বজনিক নিরাপত্তার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়ােজন, তা হলে তিনি সেইরূপ বিবেচনা করার কারণ লিখিতভাবে নথিভুক্ত করে, যে ব্যক্তির প্রতি ধারা-১১২ এর আওতায় আদেশ দেওয়া হয়েছে, তাকে ঐ অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত, জামিনদারসহ বা বিনা জামিনদারে, শান্তিরক্ষা বা সদাচরণের জন মুচলেকা (বন্ড) সম্পাদন করতে নির্দেশ প্রদান করতে পারেন, এবং উক্ত মুচলেকা (বণ্ড) যতক্ষণ না সম্পাদিত হয় ততক্ষণ, অথবা উক্ত মুচলেকা (বন্ড) সম্পাদন করতে খেলাপ করলে যতক্ষণ না অনুসন্ধানটি শেষ হবে ততক্ষণ, তাকে জিম্মায় (হেফাজতে) আটক রাখতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে,
ক) যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধারা-১০৮, ১০৯ বা ১১০ এর আওতায় আইনি প্রতিবিধান ব্যবস্থার কার্যপরিচালন প্রণালী গ্রহণ করা হতেছে না, সেই ব্যক্তিকে সদাচরণের জন্য মুচলেকা (বন্ড) সম্পাদন করতে নির্দেশ দেওয়া যাবে না; এবং
খ) মুচলেকা (বন্ড) এর শর্তাদি, তা কত টাকার হবে সে বিষয়ে হউক বা জামিনদার বা তাদের সংখ্যা বা তাদের আর্থিক দায়-দায়িত্বের পরিমাণের বিষয়ে হউক, তা ধারা-১১২ এর আওতায় দেওয়া আদেশে যা উল্লেখিত আছে তার বেশি হবে না।
৪) একজন ব্যক্তি একজন স্বভাবজাত অপরাধী বা এইরূপ দুঃসাহসী এবং বিপজ্জনক যে তাকে বিনা জামানতে মুক্ত রাখা সমাজের পক্ষে বিপজ্জনক, এই তথ্যটি অত্র ধারার প্রয়ােজনের কারণে সাধারণ চারিত্রিক গুণের সাক্ষ্য দিয়া বা অন্য কোনভাবে প্রমাণ করা যেতে পারে।
৫) যেক্ষেত্রে দুই বা ততােধিক ব্যক্তি অনুসন্ধানে থাকা বিষয়ে একত্রে জড়িত হয়েছে সেইক্ষেত্রে যেইরূপ উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ বিবেচনা করবেন সেইরূপে একই বা পৃথক অনুসন্ধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

ধারা ১১৮ জামানত প্রদানের আদেশ

১) যদি, উক্ত অনুসন্ধানে, ইহা প্রয়ােজন বলে প্রমাণিত হয় যে শান্তিরক্ষার জন্য বা সদাচরণ করে চলিবার জন্য, যেখানে যেইরূপ হতে পারে, যে ব্যক্তির সম্বন্ধে অনুসন্ধানটি করা হয়েছে সেই ব্যক্তির, জামিনদারসহ বা বিনা জামিনদারে, একটি মুচলেকা (বন্ড) সম্পাদন করা উচিত, তবে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সেই অনুসারে একটি আদেশ দিবেন। তবে শর্ত থাকে, প্রথমত, ধারা-১১২ এর আদেশে যেইরূপ উল্লেখ করা হয়েছে তার চাইতে ভিন্ন প্রকৃতির বা বেশি আর্থিক অংকের, বা বেশি সময়কালের জন্য, জামানত দিতে কোন ব্যক্তিকে আদেশ দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক মুচলেকার (বন্ডের) আর্থিক অংক ক্ষেত্রটির পরিস্থিতি যথাযথ বিবেচনা করে নির্দিষ্ট করে দিতে হবে এবং তা অত্যধিক হবে না। তৃতীয়ত, যে ব্যক্তির সম্বন্ধে অনুসন্ধান করা হয় সেই ব্যক্তি যখন একজন নাবালক হয়, তখন মুচলেকাটি (বন্ডটি) কেবলমাত্র তার জামিনদারগণ কর্তৃক সম্পাদিত হবে।

ধারা ১১৯ যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদ দেওয়া হয়েছিল সেই ব্যক্তিকে খালাস দেওয়া

যদি ধারা-১১৭ এর আওতায় একটি অনুসন্ধানে, এটি প্রয়ােজন বলে প্রমাণিত হয় না যে শান্তি রক্ষার জন্য বা সদাচরণ করে চলার জন্য, যেখানে যেইরূপ হতে পারে, যে ব্যক্তির সম্বন্ধে অনুসন্ধানটি করা হয়েছে, সেই ব্যক্তির একটি মুচলেকা (বণ্ড) সম্পাদন করা উচিত, তবে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট সেই প্রয়ােজনে নথিতে একটি দাখিলা দিবেন, এবং যদি উক্ত ব্যক্তি অনুসন্ধানটির উদ্দেশ্যে কেবলমাত্র জিম্মায় (হেফাজতে) থাকে, তবে তাকে মুক্ত করে দিবেন, অথবা যদি উক্ত ব্যক্তি জিম্মায় (হেফাজতে) না থাকে, তবে তাকে খালাস করে দিবেন।

Proceedings in all Cases subsequent to Order to Furnish Security

জামানতের আদেশ প্রদানের পরবর্তী সকল ক্ষেত্রে পদ্ধতি

ধাৱা ১২০ যে সময়কালের জন্য জামানত চাওয়া হয় সেই সময়কালের আরম্ভ

১) যে ব্যক্তি সম্বন্ধে জামিন চাইয়া ধারা-১০৬ বা ১১৮ এর আওতায় একটি আদেশ দেওয়া হয়, সেইরূপ কোন ব্যক্তি যদি, যে সময়ে উক্ত আদেশ দেওয়া হয় সেই সময়ে, কারাদন্ডে দণ্ডিত হয়, বা কারাদণ্ড ভােগ করে চলে, তবে যে সময়কালের জন্য উক্ত জামিন চাওয়া হয় সেই সময়কাল উক্ত দণ্ডভােগ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আরম্ভ হবে।
২) অন্যান্য ক্ষেত্রে উক্ত সময়কাল ঐ আদেশের দিন হতে আরম্ভ হবে যদি না উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, যথাযথ কারণের জন্য, পরবর্তী কোন একটি দিন নির্দিষ্ট করে দেন।

ধারা ১২১ মুচলেকার (বন্ডের) অন্তর্ভুক্ত বিষয়াদি

উক্তরূপ কোন ব্যক্তি কর্তৃক সম্পাদন করতে হবে এমন মুচলেকা (বন্ড )টি যা ঐ ব্যক্তিকে শান্তিরক্ষা করতে বা সদাচরণ করতে, যেখানে যেইরূপ হতে পারে, শর্তাবন্ধ করবে, এবং পরে বর্ণিত ক্ষেত্রটিতে কারাদণ্ডযােগ্য কোন অপরাধ করা বা কারার চেষ্টা করা বা তাতে প্ররােচনা দেওয়া, যেখানেই তা করা হয়ে থাকুক, তা মুচলেকা (বন্ড) টিকে লংঘন করার সামিল হবে।

ধারা ১২২ জামিনদার হিসাবে মানিয়া নিতে অস্বীকার করার ক্ষমতা

১) মুচলেকাটি প্রয়ােজনের তুলনায় অনুপযুক্ত এই কারণে, একজন ম্যাজিস্ট্রেট কোন জামিনদারকে অস্বীকার করতে পারেন, বা অত্র অধ্যায়ের আওতায় তার বা তার পূর্বাধিকারির পূর্বে স্বীকার করে নেওয়া যে কোন জামিনদারকে বাতিল করতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ কোন জামিনদারকে ঐরূপে মানিয়া নেওয়া অস্বীকার করার বা বাতিলকরার পূর্বে, তিনি উক্ত জামিনদারের উপযুক্ততার বিষয়ে শপথপূর্বক একটি অনুসন্ধান হয় নিজে চালাইবেন, অথবা তার অধঃস্তন একজন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক উক্ত অনুসন্ধান করাইবেন এবং উক্ত অনুসন্ধানের উপর একটি রিপাের্ট প্রদান করবেন।
২) উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট অনুসন্ধানটি চালানাের পূর্বে, উক্ত জামিনদারকে এবং যে ব্যক্তি ঐ জামিনদারের প্রস্তাব দিয়াছে তাকে যুক্তিযুক্ত নােটিশ প্রদান করবেন এবং অনুসন্ধানটি করতে, তাঁর কাছে নজির স্বরূপ উল্লেখ করা সাক্ষ্য প্রমাণের সারাংশ নথিভুক্ত করবেন।
৩) উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, হয় তাঁর কাছে অথবা উপ-ধারা-১ এর আওতায় নিয়ােগ করা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে, নজিরস্বরূপ উল্লেখ করা সাক্ষ্য প্রমাণ, এবং সেই ম্যাজিস্ট্রেটের রিপাের্ট (যদি কিছু থাকে) বিবেচনাকরার পর যদি সন্দেহমুক্ত হন যে, উক্ত জামিনদার মুচলেকাটির প্রয়ােজনের তুলনায় একজন অনুপযুক্ত ব্যক্তি, তবে তিনি উক্ত জামিনদারকে মানিয়া নিতে অস্বীকার করবে বা বাতিল করবে, যেখানে যেমন হতে পারে, এবং সেইরূপ হওয়ার কারণ নথিভুক্ত করে, একটি আদেশ প্রদান করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, যে জামিনদারকে পূর্বে মানিয়া নেওয়া হয়েছে, সেই জামিনদারকে বাতিলকরার আদেশ দেওয়ার পূর্বে, উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, সমন বা ওয়ারেন্ট, যেরূপ তিনি যথাযথ বিবেচনা করবেন, জারি করবেন এবং যে ব্যক্তির জন্য উক্ত জামিনদার শর্তাবদ্ধ সেই ব্যক্তিকে তার কাছে হাজির হতে বলিবেন বা হাজির করাইবেন।

ধারা ১২৩ জামানত প্রদানের খেলাপে কারাদণ্ড

১) ধারা ১০৬ বা ১১৮ এর আওতায় যাকে জামানত প্রদানের আদেশ দেওয়া হয়েছে, সে যদি যেদিন হতে জামানতের সময়সীমা আরম্ভ হবে সেই দিন বা তাহার পূর্বে জামানত প্রদান না করে, তবে অতঃপর বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতিত তাকে হাজতে পাঠাতে হবে, বা সে পূর্বেই হাজতে অবস্থান করলে জামানতের সময়সীমা পার না হওয়া পর্যন্ত, বা যে আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট জামানতের আদেশ দিয়াছিলেন সেই আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর জামানত না দেওয়া পর্যন্ত তাকে হাজতে (জেলে) আটক রাখতে হবে।

২) যেসব ক্ষেত্রে কার্যক্রম হাইকোর্ট বিভাগে বা দায়রা আদালতে দাখিল করতে হবে

যেক্ষেত্রে কোন ম্যাজিস্ট্রেট ঐরূপ কোন ব্যক্তিকে এক বৎসরের বেশি সময়ের জন্য জামানত দেওয়ার আদেশ এবং উক্ত ব্যক্তি উক্তরূপে জামানত প্রদান না করে, সেক্ষেত্রে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট দায়রা জজের আদেশ সাপেক্ষে তাকে জেলে (হাজতে) আটক রাখার নির্দেশপূর্বক ওয়ারেন্ট জারি করবেন এবং যথাসম্ভব শীঘ্র সংশ্লিষ্ট কার্যবিবরণী উজ জজ বরাবর দাখিল করবেন।
৩) দায়রা জজ উক্ত কার্যবিবরণী পরীক্ষা করার পর এবং প্রয়ােজনবােধে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হতে আরও তথ্য বা সাক্ষ্য গ্রহণকরার পর যেইরূপ বিবেচনা করেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, জামানত দিতে খেলাপকার কারণে কোন ব্যক্তি যে সময়কালের (যদি কিছু) জন্য কারাদণ্ডিত হয়, তা তিন বছরের বেশি হবে না।
৩ক) যদি একই কার্যক্রমে দুই বা ততােধিক ব্যক্তির কাছ হতে জামানত চাওয়া হয় এবং তাদের মধ্য হতে একজনের ব্যাপারে কার্যক্রম উপ-ধারা-২ এর আওতায় দায়রা জজ বরাবর পাঠানাে হয়, তবে যাদের কাছে জামানত চাওয়া হয়েছে, তাদের মধ্য হতে অন্য যে কোন ব্যক্তির কার্যক্রম উক্ত পাঠানাের অন্তর্ভুক্ত হবে এবং এইরূপ ক্ষেত্রে উপ-ধারা-(২) ও (৩) এর বিধানাদি উক্ত অন্য যেকোন ব্যক্তির বিষয়েও প্রযােজ্য হবে, তবে যে সময়ের জন্য তাকে জামানত দিতে বলা হয়েছিল তার চাইতে বেশি হবে না।
৩খ) একজন দায়রা জজ স্ববিবেকে উপ-ধারা-(২) বা উপ-ধারা-(ক) এর আওতায় তার কাছে পেশকৃত যেকোন কার্যক্রম একজন অতিরিক্ত দায়রা জজ বা যুগ্ম দায়রা জজের কাছে হস্তান্তর করে দিতে পারেন এবং এইরূপ হস্তান্তরকরণের পর উক্ত অতিরিক্ত দায়রা জজ বা যুগ্ম দায়রা জজ উক্ত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে অত্র ধারার আওতায় দায়রা জজের ক্ষমতাদি প্রয়ােগ করতে পারেন।
৪) যদি জামিন জেলের ভারপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে স্বীকার করে নেওয়ার জন্য পেশ করা হয়, তবে তিনি অবিলম্বে বিষয়টি যে আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশটি জারি করেছিলেন, সেই আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপিত করবেন, এবং উক্ত আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশাদির জন্য অপেক্ষা করবেন।

৫) কারাদন্ডের শ্রেণী

শান্তিরক্ষার জন্য জামানত দেওয়ার খেলাপে কারাদণ্ড বিনাশ্রম বা সাধারণ হবে।
৬) সদাচারণ এর জন্য জামানত দেওয়ার খেলাপে সে ক্ষেত্রে  বিনাশ্রম অর্থ সাধারণ হবে। যে ক্ষেত্রে কার্যক্রমটি ধারা ১০৮ এর আওতায় গ্রহণ করা হয়েছে এবং যে ক্ষেত্রে তা ধারা ১০৯ ধারা ১১০ এর আওতায় গ্রহণ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে আদালত বা ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যেক ক্ষেত্রে যেইরূপ নির্দেশ দেন সেই রূপে সশ্রম বা বিনাশ্রম হবে।

ধারা ১২৪ জামানত দিতে খেলাপ করার জন্য কারাদণ্ডিত ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার ক্ষমতা

১) যেক্ষেত্রে একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এইরূপ মত পােষণ করেন যে, অত্র অধ্যায়ের আওতায় জামানত দিতে খেলাপ করার জন্য কারাদণ্ডিত কোন ব্যক্তিকে সমাজের প্রতি বা অপর কোন ব্যক্তির প্রতি ঝুঁকি না নিয়ে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে খালাস করে দেওয়ার আদেশ প্রদান করতে পারেন।
২) যখনি কোন ব্যক্তি অত্র অধ্যায়ের আওতায় জামানত দিতে খেলাপ করার জন্য কারাদণ্ডিত হয়েছে, তখন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (আদেশটি তার আদালতের চাইতে উচ্চতর আদালত কর্তৃক প্রদত্ত না হলে) জামানতের টাকা পয়সার পরিমাণ, বা জামিনদারের সংখ্যা বা যে সময়ের জন্য উক্ত জামিন চাওয়া হয়েছে তা কমিয়ে দিয়ে একটি আদেশ দিতে পারেন।
৩) উপ-ধারা (১) এর আওতায় আদেশটি উক্ত ব্যক্তিকে খালাস করে দিতে নির্দেশ দিতে পারে হয় শর্তাদি ছাড়া বা যে কোন শর্তে যা উক্ত ব্যক্তি স্বীকার করে। তবে শর্ত থাকে যে, আরােপিত যে কোন শর্ত আর কার্যকর থাকবে না যখন যে সময়কালের জন্য উক্ত ব্যক্তিকে জামানত দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল সেই সময়কাল অতিক্রান্ত হয়।
৪) সরকার সেই শর্তসমূহ নির্দিষ্ট করে দিতে পারেন যে শর্তসমূহে একটি শর্তসাপেক্ষ খালাস দেওয়া যেতে পারে।
৫) যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালাসের আদেশ দিয়াছিলেন, তিনি বা তার পরবর্তী স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তি যদি এই মত পােষণ করেন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যে শর্তে খালাস দেওয়া হয়েছে, উহার কোনটি পালিত হয় নাই, তবে তিনি খালাসের আদেশ খারিজ করে দিতে পারবেন।
৬) যখন শর্তসাপেক্ষ খালাসের একটি আদেশ উপ-ধারা-৫ এর আওতায় বাতিল করা হয়, তখন উক্ত ব্যক্তিকে যে কোন পুলিশ অফিসার বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করতে পারবেন, এবং অতঃপর তাকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর উপস্থিত করতে পারবেন যদি না উক্ত ব্যক্তি প্রারম্ভিক আদেশের শর্তাদি অনুসারে প্রথম অবস্থায় যে মেয়াদে আটক হয়ে থাকার জন্য সােপর্দিত বা আদেশপ্রাপ্ত হয়েছিল সেই মেয়াদের অনুত্তীর্ণ
সময়ের জন্য (খালাসের শর্তাদি ভঙ্গের তারিখ এবং যে তারিখে, উক্তরূপ শর্তসাপেক্ষ খালাস ছাড়া, উক্ত ব্যক্তি মুক্ত পাওয়ার অধিকারি হইত মধ্যবর্তী সেই সময়কালকে সেই অনুত্তীর্ণ সময়ে বলে ধরা হয়) জামানত দেয়, তবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা মূখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজেস্ট্রেট উক্ত অনতিবাহিত সময়ের জন্য উক্ত ব্যক্তিকে কারাগারে পুনঃপ্রেরণ করতে পারবেন। অত্র উপ-ধারার আওতায় জেলে পুনঃ প্রেরিত ব্যক্তি, ধারা-১২২ এর বিধানাদি সাপেক্ষে, প্রারম্ভিক আদেশের শর্তাবলী সাপেক্ষে পূর্বোক্ত অনুত্তীর্ণ সময়ের জন্য উক্ত আদেশদানকারি আদালতে বা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে, বা উক্ত আদালতের বা ম্যাজিস্ট্রেটের উত্তরাধিকারিদের কাছে জামিন দিলে যে কোন সময় মুক্তি পাইবে।

ধারা ১২৫ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক শান্তিরক্ষা অথবা সদাচরণের মুচলেকা বাতিল করার ক্ষমতা

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যেকোন সময়, যথাযথ কারণের জন্য যা লিখিতভাবে নথিভুক্ত করতে হবে, আদেশের শর্তসমূহ দিয়ে, শান্তিরক্ষার জন্য বা সদাচরণের জন্য অত্র অধ্যায়ের আওতায় সম্পাদিত যে কোন মুচলেকা (বন্ড) বাতিল করতে পারেন।

ধারা ১২৬ জামিনদারের অব্যাহতি

১) কোন ব্যক্তির শান্তিপূর্ণ আচরণ বা সদাচরণের জন্য কোন জামিনদার যে কোন সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা অন্য যে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট তার অধিক্ষেত্রের মধ্যে অত্র অধ্যায়ের আওতায় সম্পাদিত কোন বন্ড বাতিলের আবেদন করতে পারবেন।
২) উক্তরূপ আবেদনের পর যে ব্যক্তির জন্য উক্ত জামিনদার দায়ী তাকে উপস্থিত করার না করাইবার ফরমাশ দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়ােজনবােধে একটি সমন বা ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবেন।

ধারা ১২৬ক বন্ডের মেয়াদের অনুত্তীর্ণ সময়কালের জন্য জামানত

যখন একজন ব্যক্তি যার হাজিরার জন্য ধারা-১২৩(৩) এর আওতায় বা ধারা-১২৬(২) এর আওতায় একটি সমন বা ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে, সেই ব্যক্তি উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বা আদালতে হাজির হয় বা হাজির করানাে হয়, তখন উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত ঐ ব্যক্তির সম্পাদিত মুচলেকা (বন্ড) টি বাতিল করবেন এবং ঐ ব্যক্তিকে উক্ত মুচলেকার মেয়াদের অনুত্তীর্ণ অংশের জন্য প্রারম্ভিক জামিনের সম ধরণের জামিন নতুন করে দিতে আদেশ দিবেন। ধারা-১২১, ১২২, ১২৩ ও ১২৪ এর আওতায় এইরূপ প্রত্যেকটি আদেশ ধারা-১০৬ বা ধারা-১১৮ এর যেখানে যেইরূপ প্রয়োজন মােতাবেক দেওয়া হয়েছে মর্মে পরিগণিত করতে হবে।

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a