- Get link
- X
- Other Apps
Proceedings in Prosecutions
সরকারের পক্ষে মােকদ্দমা পরিচালনা পদ্ধতি
Part 6
যষ্ঠ ভাগ
Chapter 15
পঞ্চদশ অধ্যায়।
of the Jurisdiction of the Criminal Courts in Inquiries and Trials
অনুসন্ধান ও বিচারে ফৌজদারি আদালতগুলির এখতিয়ার
A.- Place of Inquiry or Trial
ক. অনুসন্ধান বা বিচারের স্থান
ধারা ১৭৭ অনুসন্ধান ও বিচারের সাধারণ স্থান
প্রত্যেক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার সাধারণত সেইরূপ একটি আদালত কর্তৃক অনুষ্ঠিত হবে যে আদালতের স্থান অধিক্ষেত্রের মধ্যে উক্ত অপরাধটি করা হয়েছিল।
ধারা ১৭৮ বিভিন্ন দায়রা বিভাগে মােকদ্দমার বিচারে আদেশ প্রদানের ক্ষমতা
ধারা, ১৭৭ এ যাই বর্ণিত থাকুক না কেন, সরকার নির্দেশ দিতে পারবেন যে, কোন জেলায় বিচারার্থে প্রেরিত কোন মােকদ্দমা বা কোন শ্রেণীর মােকদ্দমার বিচার যে কোন দায়রা বিভাগে হতে পারে।
ধারা ১৭৯ যে জেলায় অপরাধের কাজ সম্পাদিত হয় বা যে জেলায় ঐ কাজের পরিণতি ঘটে সে জেলায় অপরাধ বিচারযােগ্য হবে
যখন কোন কিছু সম্পাদন করা এবং তার পরিণতির কারণে যেক্ষেত্রে কোন কাজ অপরাধ হয়, সেক্ষেত্রে ঐ অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার সেই আদালত করতে পারেন যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে উক্তরূপ কোন কিছু সম্পাদন করা হয়েছে বা উক্তরূপ পরিণতি ঘটেছে।
অনুসন্ধান বা বিচারের স্থান বিষয়ক উদাহরণসমূহ
ক) ক নামক এক ব্যক্তি খ নামক আদালতের অধিক্ষেত্রের মধ্যে আহত হলাে এবং গ নামক আদালতের অধিক্ষেত্রের মধ্যে মৃত্যুমুখে পতিত হলাে। ক-এর প্রাণ নাশের অপরাধের ইনকোয়ারী বা বিচার খ বা গ আদালতে হতে পারবে।
খ) ক, খ আদালতের অধিক্ষেত্রের মধ্যে আহত হলাে এবং গ আদালতের অধিক্ষেত্রের মধ্যে দশ দিন এবং ঘ আদালতের অধিক্ষেত্রের মধ্যে আরও দশ দিন ধরে তার দৈনন্দিন কাজ করতে পারিল না। ক-কে গুরুতরভাবে আহতকরার অপরাধের ইনকোয়ারী বা বিচার খ, গ বা ঘ আদালতে হতে পারবে।
গ) ক-কে খ আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে জখমের ভয় দেখানাে হলাে, এবং তৎকর্তৃক গ আদালতের এখতিয়ারাধীন ভয় প্রদর্শনকারি বরাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে প্ররােচিত করা হলাে। ক-এর কাছ থেকে জোরপূর্বক সম্পত্তি আদায়ের অপরাধের ইনকোয়ারী বা বিচার খ বা গ আদালতে হতে পারবে।
ঘ) ক ঢাকায় আহত হলাে, এবং যদরুণ চট্টগ্রামে মারা গেল। ক-এর মৃত্যু ঘটাইবার অপরাধের ইনকোয়ারী বা বিচার চট্টগ্রামে হতে পারবে।
ধারা ১৮০ অন্য অপরাধের সাথে সম্পর্কের কারণে কোন কাজ যখন অপরাধ হয় সেক্ষেত্রে বিচারের স্থান
যখন একটি কাজ, অন্য কোন কাজ যেটিও একটি অপরাধ বা যেটি অপরাধ হত যদি ঐ কাজের কর্তা অপরাধ করার যােগ্য হত, তার সাথে সম্পর্কিত হওয়ার কারণে অপরাধ হয়, তখন প্রথমােক্ত অনুসন্ধান বা বিচার সেই আদালত করতে পারেন যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে দুইটি কাজের যে কোনটি করা হয়েছিল ।
অপরাধের সাহায্যের ইনকোয়ারী বা বিচার সম্পর্কিত উদাহরণসমূহ
ক) অপরাধের সাহায্যের ইনকোয়ারী বা বিচার যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে সাহায্য প্রদান করা হয়েছিল, সেই আদালতে বা যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে উক্ত সাহায্যভিত্তিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই আদালতে হতে পারবে।
খ) চোরাই মাল গ্রহণ বা রাখার দায়ে দোষী ব্যক্তির ইনকোয়ারী বা বিচার যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে উক্ত মাল চুরি করা হয়েছে সেই আদালতে বা যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে উক্ত মালের যে কোন একটি সময়ে অন্যায়ভাবে গৃহিত হয়েছে বা রাখা হয়েছে, সেই আদালতে হতে পারবে।
গ) অপহৃত মর্মে জ্ঞাত কোন ব্যাক্তিকে বেআইনিভাবে গােপন রাখার অভিযােগের ইনকোয়ারী বা বিচার যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে বেআইনিভাবে গােপন করে রাখা হয়েছে সেই আদালতে বা যে আদালতের এখতিয়ারের সীমার মধ্যে অপহৃত হয়েছে, সেই আদালতে হতে পারবে।
ধারা ১৮১ ঠগ হওয়া বা ডাকাত দলভুক্ত হওয়া, হেফাজত হতে পলায়ন ইত্যাদি
১) ঠগ হওয়া, ঠগ কর্তৃক খুন করা, ডাকাতি করা, খুন সহযোগে ডাকাতি করা, ডাকাত দলের সদস্য হওয়া বা হেফাজত/জিম্মা হতে পলায়ন করা—এই অপরাধসমূহের মধ্যে যে কোন অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার সেই আদালত করতে পারেন যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে উক্তরূপ অপরাধ করা হয়েছিল বা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাওয়া গিয়াছিল।
২) অপরাধজনক আত্মসাৎ ও বিশ্বাসভঙ্গ
অপরাধজনক আত্মসাৎ, ৰা অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের যে কোন অপরাধের অনুসন্ধান বা ৰিচার সেই আদালত করতে পারেন যে আদালতের অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির কোন অংশ গ্রহণ করেছে বা রেখেছে বা অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে ।
৩) চুরি
চুরির অপরাধ বা চুরি বা চোরাইমালের দখল সম্পর্কিত কোন অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার সেই আদালত করতে পারেন যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে অপরাধটি হয়েছে, বা উক্ত অপরাধকারি কোন ব্যক্তি বা এমন কোন ব্যক্তি চোরাইমাল দখলে রেখেছিল যে ব্যক্তি উক্ত মালামাল চোরাই বলে জেনে শুনে বা তা বিশ্বাসকরার কারণ থাকার পরও তা গ্রহণ করেছিল ৰা ধরে রেখেছিল।
৪) মনুষ্য অপহরণ বা মনুষ্য অপবাহন
মানুষ অপহরণ বা জোরপূর্বক বা ধােকা দিয়া মানুষ হরণ এর যে কোন অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার সেই আদালত করতে পারেন যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে মানুষটিকে অপহরণ কিংবা জোরপূর্বক বা ধােকা দিয়া হরণ করা হয়েছিল, বা চালান দেওয়া হয়েছিল, বা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বা আটক করে রাখা হয়েছিল।
ধারা ১৮২ যেক্ষেত্রে অপরাধের স্থান অনিশ্চিত, বা মাত্র এক জেলায় নহে বা যেক্ষেত্রে অপরাধ অবিরাম বা একাধিক কার্যের সমষ্টি, সেক্ষেত্রে অনুসন্ধান বা বিচারের স্থান
যেক্ষেত্রে ইহা অনিশ্চিত হয় যে, কতিপয় স্থানীয় এলাকার কোনটিতে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, বা যেক্ষেত্রে কোন একটি অপরাধ আংশিকভাবে একটি স্থানীয় এলাকায় এবং আংশিকভাবে অন্য একটি স্থানীয় এলাকায় সংঘটিত হয়, বা যেক্ষেত্রে অপরাধটি একাধারে চলতে থাকে, এবং একাধিক স্থানীয় এলাকায় উহা সংঘটিত হতে থাকে, বা যেক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকায় কৃত কতিপয় কার্যের সমষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে উপরিউক্ত স্থানীয় এলকাসমূহের যে কোন একটি যে আদালতের অধিক্ষেত্ৰভুক্ত সেই আদালতে উহার অনুসন্ধান বা বিচার হতে পারবে।
ধারা ১৮৩ ভ্রমনকালে করা অপরাধ
যেক্ষেত্রে কোন অপরাধ এইরূপ অবস্থায় করা হয় যে, যে ব্যক্তি কর্তৃক বা যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কিংবা যে জিনিসপত্রাদি সম্পর্কে ঐ অপরাধ করা হয়েছে সেই ব্যক্তি বা জিনিসপত্রাদি সেই সময়ে কোন একটি ভ্রমণে সম্পাদন করছিল, সেক্ষেত্রে উক্তরূপ অপরাধ সেই আদালত অনুসন্ধান বা বিচার করতে পারেন, যে আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে উক্ত ব্যক্তি বা জিনিসপত্রাদি উক্ত ভ্রমনকালীন সময়ে অতিক্রম করে গিয়াছিল।
ধারা ১৮৪ বাতিল
ধারা ১৮৫ কোন জেলায় অনুসন্ধান বা বিচার হবে এই ব্যাপারে কোন প্রশ্নের উদয় হলে হাইকোর্ট বিভাগ সিদ্ধান্ত নিবেন
১) হাইকোর্ট বিভাগের অধীনস্থ দুই বা ততােধিক আদালতের কোনটিতে কোন একটি অনুসন্ধান বা বিচার হবে এইরূপ কোন প্রশ্নের উদয় হলে উক্ত হাইকোর্ট বিভাগ উহার নিষ্পত্তি টানিবেন।
ধারা ১৮৬ স্থানীয় অধিক্ষেত্রের বাইরে ঘটানাে অপরাধের জন্য পরােয়ানা বা সমন জারির ক্ষমতা
১) যখন কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট যৌক্তিকভাবে বিশ্বাস করার কারণ দেখেন যে, তার স্থানীয় অধিক্ষেত্রের কোন ব্যক্তি ঐ ক্ষেত্রের বাইরে (বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বা বাহিরে) কোন অপরাধ করেছে যে অপরাধ ধারা-১৭৭ হতে
ধারা-১৮৩ এর (উভয় ধারাসহ) বিধানাবলিতে বা বর্তমানে চালু অন্য কোন আইনের তার স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যে অনুসন্ধান বা বিচার করা যাবে না, কিন্তু যা বর্তমানে কিছু আইনে প্রয়ােগযােগ্য, তখন এ ম্যাজিস্টেট অপরাধটি এমনভাবে অনুসন্ধান করতে পারেন যেন এ অপরাধটি তার স্থানীয় অধিক্ষেত্রের মধ্যেই ঘটেছিল এবং এ ব্যক্তিকে ইতিপূর্বে বিধিত পদ্ধতিতে তার কাছে হাজির হওয়ার জন্য বাধ্য করতে পারেন, এবং ঐরূপ অপরাধ বিচারকরার অধিক্ষেত্র আছে এইরূপ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঐ ব্যক্তিকে পাঠাইয়া দিতে পারেন, অথবা ঐ অপরাধ যদি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডযােগ্য না হয় এবং ঐ ব্যক্তিএই ধারা অনুসারে কার্যরত ম্যাজিস্ট্রেটের সন্তুষ্টিতে যদি জামিন দিতে রাজি থাকে তবে উক্তরূপ অধিকার ক্ষেত্র আছে এইরূপ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার হাজির হওয়ার জন্য জামিনদারসহ বা জামিনদার ছাড়া একটি মুচলেকা সম্পাদন করে নিতে পারেন।
২) গ্রেফতারের পর ম্যাজিস্ট্রেটের অনুসরণীয় ক্ষমতা
যখন এইরূপ অধিক্ষেত্র সম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট একাধিক থাকেন এবং অত্র ধারার আওতায় কার্যরত ম্যাজিস্ট্রেট স্থির করতে পারেন যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কোন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে প্রেরণ বা উপস্থিতির জন্য বন্ড গ্রহণ করতে হবে, সেক্ষেত্রে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে আদেশের জন্য বিষয়টি পাঠাবেন।
ধারা ১৮৭ অধঃস্তন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক পরােয়ানা ইস্যুর ক্ষেত্রে পদ্ধতি
১) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতিত অপর কোন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ১৮৬ ধারার অধীন প্রদত্ত পরােয়ানার বলে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে, তিনি যার অধঃস্তন সেই চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আটক ব্যক্তিকে পাঠাবেন, তবে অপরাধটি অনুসন্ধান কিংবা বিচারকরার এখতিয়ারবান ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের জন্য পরােয়ানা প্রদান করে থাকলে আটক ব্যক্তিকে পরােয়ানা প্রয়ােগকারি পুলিশ কর্মকর্তার নিকট অর্পণ করতে হবে বা তাকে পরােয়ানা প্রদানকারি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রেরণ করতে হবে।
২) আটককৃত ব্যক্তি যে অপরাধ করেছে মর্মে অভিযােগ বা সন্দেহ করা হয়েছে, সেই অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার একই জেলার ধারা-১৮৬ এর আওতায় কার্যরত ম্যাজিস্ট্রেট ব্যতিত অন্য কোন ফৌজদারি আদালতে হতে পারিলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত ব্যক্তিকে উক্ত আদালতে প্রেরণ করবেন।
ধারা ১৮৮ বাংলাদেশের বাইরে করা অপরাধের দায়িত্ব
যখন বাংলাদেশের কোন নাগরিক বাংলাদেশের বাইরে কোন স্থানে কোন অপরাধ সংঘটন করে, যখন কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে নিবন্ধিকৃত কোন জাহাজ বা বিমানে, তা যেখানেই থাকুক না কেন, কোন অপরাধ সংঘটন করে, তখন উক্ত অপরাধ সংঘটন সম্বন্ধে উক্ত ব্যক্তিকে নিয়া এইরূপ আচরণ করা যেতে পারে যেন উক্ত অপরাধটি বাংলাদেশের মধ্যেই, যেখানে তাকে পাওয়া যেতে পারে, সেখানেই করা হয়েছিল।
সরকারের বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশে অনুসন্ধান হবে না
তবে শর্ত এই যে, অত্র অধ্যায়ের পূর্ববর্তী কোন ধারায় যাই বর্ণিত থাকুক না কেন, সরকারের বিনা অনুমতিতে উক্তরূপ কোন অভিযােগ বিষয়ক ব্যাপারে অনুসন্ধান বাংলাদেশে হতে পারবে না। তবে আরাে শর্ত এই যে, অত্র ধারার আওতায় কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গৃহিত হলে অপরাধটি যদি বাংলাদেশে করা হত তা হলে উক্ত ব্যবস্থা একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একই অপরাধের জন্য পরবর্তী ব্যবস্থার পক্ষে প্রতিবন্ধক হলে উক্ত ব্যবস্থা বাংলাদেশের বাহিরে কোন স্থানে কৃত একই অপরাধের জন্য তার বিরুদ্ধে বিদেশী অপরাধী বহিসমর্পণ আইন, ১৯৭৪ (১৯৭৪ সনের ৫৬নং আইন) এর আওতায় ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে প্রতিবন্ধক হবে।
ধারা ১৮৯ জবানবন্দির অনুলিপি ও পেশকৃত দলিলাদি সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণে নির্দেশ দিবার ক্ষমতা
যেক্ষেত্রে ধারা-১৮৮ এ বর্ণিত কোন অপরাধের অনুসন্ধান বা বিচার হয়, সেক্ষেত্রে সরকার সঠিক মর্মে আমলে নিলে নির্দেশ দিতে পারবেন যে, যে স্থানে অপরাধটি সংঘটিত হয়েছে মর্মে অভিযােগ করা হয়েছে, সেই এলাকায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বরাবর যে সাক্ষ্য প্রদান করা হয়েছে, উহার অনুলিপি বা যে সকল দলিল করা হয়েছে তা অনুসন্ধান বা বিচার অনুষ্ঠানকারি আদালত কর্তৃক সেসব প্রমাণ হিসাবে গৃহিত হবে, যেসব ক্ষেত্রে উক্ত আদালত উক্ত জবানবন্দি বা দাখিল সম্পর্কিত বিষয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের নিমিত্তে কমিশন নিয়ােগ করতে পারেন।