- Get link
- X
- Other Apps
Order 46 Reference
আদেশ ৪৬ অভিমত গ্রহণ- দেওয়ানী কার্যবিধি আইন
আদেশ ৪৬ বিধি ১ হাইকোর্ট বিভাগে প্রশ্নের অভিমত গ্রহণ
যেক্ষেত্রে ডিক্রী আপিলযােগ্য নয়, সেক্ষেত্রে মামলায় বা আপিলের শুনানীর সময় বা যেক্ষেত্রে উক্তরূপ কোন ডিক্রী জারি করার সময়, আইন বা আইনের ন্যায় কার্যকর কোন রীতি সম্পর্কিত এমন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়, যার উপর মামলা বা আপিল বিচারকারী বা ডিক্রী নির্বাহী আদালত যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ পােষণ করে, সেক্ষেত্রে এটা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বা কোন পক্ষদের কোন লােকের আবেদনক্রমে মামলাটির ঘটনাবলি ও সন্দেহের বিষয়গুলাে সম্বলিত একটি বিবৃতি লিখিত করতে পারে এবং হাইকোর্ট বিভাগে সিদ্ধান্তের জন্য ঐ বিষয় নিজস্ব অভিমতসহ একই ধরনের বিবৃতি প্রেরণ করতে পারে।
আদেশ ৪৬ বিধি ২ আদালত হাইকোর্ট ডিভিশনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ডিক্রী প্রদান করতে পারেন
অনুরূপ রেফারেন্স প্রেরণ করা সত্ত্বেও আদালত কর্মক্রম স্থগিত রাখিতে পারে বা মামলা অগ্রসর হতে পারেন, এবং হাইকোর্ট বিভাগ প্রেরিত বিষয় সম্বন্ধে সিদ্ধান্তের আলােকে ডিক্রী বা আদেশ প্রদান করতে পারেন; কিন্তু রেফারেন্সে প্রেরিত বিষয়ের উপর রায়ের নকল না পাওয়া পর্যন্ত যে মামলায় অনুরূপ বিষয় প্রেরিত হয় সে মামলায় কোন ডিক্রী বা আদেশ জারি করা যাবে না ।
আদেশ ৪৬ বিধি ৩ হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় প্রেরণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী মামলার নিষ্পত্তি
যেক্ষেত্রে পক্ষগণ হাজির হয় এবং বক্তব্য প্রদানে ইচ্ছুক হয়, সেক্ষেত্রে পক্ষগণের বক্তব্য শুনিবার পর হাইকোর্ট বিভাগ এভাবে প্রেরিত বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন এবং রেজিস্ট্রারের সহিযুক্ত উক্ত রায়ের নকল যে আদালত থেকে রেফারেন্স প্রেরিত হয়েছিল সে আদালতে পাঠাবে; এবং ঐ আদালত তা গ্রহণ করার পর হাইকোর্ট ডিভিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে মিল রেখে মামলাটি নিষ্পত্তি করবে।
আদেশ ৪৬ বিধি ৪ হাইকোর্ট বিভাগে রেফারেন্স প্রেরণ বাবদ খরচাদি
হাইকোর্ট ডিভিশনের সিদ্ধান্তের জন্য রেফারেন্স প্রেরণ করার (যদি কোন) খরচা হয় তা মামলার খরচা বলে পরিগণিত হবে।
আদেশ ৪৬ বিধি ৫ রেফারেন্স প্রদানকারী আদালতের ডিক্রী রদ ইত্যাদি করার ক্ষমতা
যেক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগে বিধি ১ অনুযায়ী কোন মামলা প্রেরিত হয়, সেক্ষেত্রে মামলাটি সংশােধন করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগ ফেরত দিতে পারে এবং রেফারেন্সকারী আদালতের প্রদত্ত যে ডিক্রী বা আদেশ হতে রেফারেন্স হয়েছে তা পরিবর্তন, রহিত বা রদ পরে এবং যথাযথ মনে করা হয় একপ আদেশ প্রদান করতে পারে।
আদেশ ৪৬ বিধি ৬ ক্ষুদ্র বিষয়ক এখতিয়ার সম্পর্কিত প্রশ্ন হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করার ক্ষমতা
১) যেক্ষেত্রে রায় প্রদানের আগে যে কোন সময় যে আদালতে মামলা হয়েছে, সে আদালত, মামলা ক্ষুদ্র বিষয়ক আদালতে বিচারার্থে গ্রহণযােগ্য বা অগ্রহণযােগ্য কিনা সন্দেহ করে, সেক্ষেত্রে আদালত মামলার প্রকৃতি সম্পর্কে উক্ত সন্দেহের কারণ সম্বলিত একটি বিবৃতিসহ হাইকোর্ট বিভাগে একটি নথি পেশ করতে পারে।
২) হাইকোর্ট বিভাগ নথি এবং বিবৃতি গ্রহণ করার পর উক্ত আদালতকে মামলায় অগ্রসর হতে বা উক্ত মামলা বিচারার্থে গ্রহণের যথাযথ ঘােষিত কোন আদালতে তার আদেশ মতে পেশ করার জন্য আরজি ফেরত পাঠাবার আদেশ প্রদান করতে পারে।
আদেশ ৪৬ বিধি ৭ ক্ষুদ্র বিষয়ক বিচার এখতিয়ার-এর সম্বন্ধে ভ্রান্তভাবে গৃহীত কর্মক্রম রিভিশনে পেশ করতে জেলা আদালতের ক্ষমতা
১) যে অবস্থায় কোন জেলা আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, তার অধঃস্তন কোন আদালত ভূলক্রমে একটি মামলা ক্ষুদ্র বিষয়ক বিচারাদালতে বিচারার্থে গ্রহণযােগ্য বা গ্রহণযােগ্য নয় মনে করে আইনবলে তাকে প্রদত্ত এখতিয়ার প্রয়ােগ করতে ব্যর্থ হয়েছে, বা এরূপ প্রদত্ত নয় এমন এখতিয়ার প্রয়ােগ করেছে, সে অবস্থায় জেলা আদালত এবং যদি কোন পক্ষের প্রয়ােজন হয়, তবে মামলাটির প্রকৃতি সম্পর্কে অধঃস্তন আদালতের অভিমত ভূল বলে বিবেচনার কারণ উল্লেখপূর্বক একটি বিবৃতিসহ হাইকোর্ট বিভাগে নথিপত্র প্রেরণ করতে পারবে।
২) হাইকোর্ট বিভাগ নথি এবং বিবৃতি গ্রহণ করার পর এর বিবেচনামত যথাযথ আদেশ প্রদান করতে পারেন।
৩) হাইকোর্ট বিভাগে এই নিয়মের অধীনে যে মামলার নথি প্রেরণ করা হয়, হাইকোর্ট বিভাগ সে মামলার ডিক্রীর পরবর্তী কোন কর্মধারা সম্বন্ধে পরিস্থিতি বিবেচনায় যেরূপ আদেশ দেয়া ন্যায়সঙ্গত ও সঠিক বলে মনে করে, সেরূপ আদেশ প্রদান করতে পারে।
৪) কোন জেলা আদালত এই নিয়মের অধীনে কোন মামলার নথি তলব করলে বা কোন তথ্য জানতে চাইলে তার অধঃস্তন আদালত তা মান্য করতে বাধ্য থাকবেন।