Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

Order 41 Appeal from Original Decrees আদেশ ৪১ মূল ডিক্রী হতে আপিল দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

Order 41 Appeal from Original Decrees

আদেশ ৪১ মূল ডিক্রী হতে আপিল

আদেশ ৪১ বিধি ১ আপিলের আকার, স্মারকলিপিতে কি থাকবে

১) প্রত্যেক আপিল আপিলকারী বা তার উকিল দ্বারা স্বাক্ষর করে একটি স্মারকের আকারে আদালতে রুজু করতে হবে এবং আদালতে বা তৎদ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত অনুরূপ কর্মকর্তার বরাবরে পেশ করতে হবে। যে ডিক্রী ও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হচ্ছে সেগুলির একটি করে নকল (আপিল আদালত বাদ না দিলে) স্মারকলিপির সঙ্গে প্রদান করতে হবে।

২) আপিল স্মারকলিপির সূচীপত্র

যে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করা হচ্ছে, ঐ ডিক্রীতে আপত্তির কারণগুলাে যুক্তিতর্ক বা বর্ণনা ছাড়া সংক্ষেপে ও স্পষ্ট শিরােনামাধীনে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করতে হবে; এবং উক্ত কারণগুলাে ক্রমিক নম্বরযুক্ত হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ২ আপিলে যে কারণগুলাে গ্রহণ করা যেতে পারে

 আপিলের স্মারকলিপিতে প্রকাশিত করা হয় নাই, আদালতের অনুমতি ছাড়া, এরূপ কোন আপত্তিকর কারণ সম্পর্কে আপিলকারী তার বক্তব্য পেশ করতে পারবে না এবং কোন শুনানীও হবে না; কিন্তু তবে আদালত আপিলের নিস্পত্তিকালে কেবল স্মারকলিপিতে প্রকাশিত কারণগুলাে এবং এই বিধি অনুযায়ী গৃহীত অনুমতিক্রমে পেশকৃত কারণগুলােই বিবেচনা করবেন না। তবে শর্ত হল যে, তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এরূপ পক্ষের উক্ত কারণের উপর মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার যথেষ্ট সুযােগ দেয়া না হলে আদালত অপর কারণের উপর তার সিদ্ধান্তের জন্য নির্ভর করবে না।

আদেশ ৪১ বিধি ৩ আপিলের স্মারকলিপি অগ্রাহ্য বা সংশােধন

১) যেক্ষেত্রে ইতােপূর্বে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুযায়ী আপিলের স্মারকলিপি প্রণীত হয় নাই, সেক্ষেত্রে আদালত তা অগ্রাহ্য করতে পরিবে, বা আদালত দ্বারা নির্ধারিত সময়ের ভিতর তা সংশােধনের জন্য বা তৎক্ষণাৎ তা সংশােধন করার জন্য আপিলকারীর কাছে ফেরত দেয়া যাবে।

২) যেক্ষেত্রে আদালত কোন স্মারকলিপি অগ্রাহ্য করে, সেক্ষেত্রে ঐ অগ্রাহ্যের কারণগুলাে লিখিত করবেন।

৩) যেক্ষেত্রে আপিলের স্মারকলিপি সংশােধিত করা হয় সেক্ষেত্রে বিচারক বা তৎদ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কর্মকর্তা উক্ত সংশােধনীতে স্বাক্ষর বা অনুস্বাক্ষর করবেন।

আদেশ ৪১ বিধি ৪ সকলের কাছে একই কারণ নির্ভর আপিল চলিলে কতিপয় বাদী ও বিবাদীদের কোন একজন সমগ্র ডিক্রী পরিবর্তনের আদেশ লাভ করতে পারে

যেক্ষেত্রে কোন মামলায় একাধিক বাদী বা একাধিক বিবাদী থাকে, এবং যে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে, তৎসম্পর্কে সব বাদীর বা সৰ বিবাদীর আপত্তির একটি সাধারণ কারণ বিদ্যমান থাকে, সেক্ষেত্রে বাদীগণের বা বিবাদীগণের ভিতর যে কোন একজন সমগ্র ডিক্রীটির বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে, এবং এরূপ ক্ষেত্রে আপিল আদালত সব বাদী বা সব বিবাদীর অনুকূলে ডিক্রীটির রদবদল করতে পারবে ।

আদেশ ৪১ বিধি ৪ বিধির বিশ্লেষণ

আপিল কাকে বলে?

আপিল (Appeal) বলতে কোন নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় কিংবা ডিক্রীর সম্পূর্ণ বা আংশিক ভুলের যথার্থতা পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে উচ্চ-আদালতের সংশ্লিষ্ট মামলাটি অপসারণ করাকে বুঝায়। আপিলের বলে একজন ক্ষুদ্ধ পক্ষ নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা ডিক্রীটি সম্পূর্ণভাবে কিংবা আংশিকভাবে ভুলের কারণে বাতিল করাইবার উদ্দেশ্যে উর্ধ্বতন আদালতে মামলাটি অপসারণ করে আইন দ্বারা অর্পিত উপশম লাভ করার অধিকারী হয়। আপিলের ভিত্তিতে প্রদত্ত যে কোন রায় বা ডিক্রী মূল মামলার রায় বা ডিক্রীর ন্যায় কার্যকরী হয়ে থাকে।

আপিলে সংজ্ঞায় কলিকাতা হাইকোর্ট তার নগেন্দ্র বনাম সুরেন্দ্র (36 C.W.N 803) মামলায় এই সিদ্ধান্তে উপণীত হন যে, নিম্ন-আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোন মামলার রায়ের বিরুদ্ধে যে কোন ক্ষুব্ধ পক্ষ উক্ত মামলার রায় বাতিল, সংশােধন অথবা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য উর্ধ্বতন আদালতে মেমােরেন্ডামের আকারে যে দরখাস্ত দাখিল করা হয়, তাকেই বলা হয় আপিল।

কে আপিল করতে পারে?

যে সকল ব্যক্তিগণ নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উর্ধ্বতন আদালতে আপিল করতে পারেন তারা হলেন
(১) ডিক্রী জারির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এরূপ মামলার যে কোন পক্ষ অথবা তার দ্বারা নিয়ােগপ্রাপ্ত আইনগত প্রতিনিধিবৃন্দ।
(২) এরূপ স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট পক্ষের যে কোন হস্তান্তর-গ্রহীতা, যদি তার নাম মামলার নথিতে অন্তর্ভূক্ত হয়।
(৩) প্রতারণার অজুহাতে নিলাম রদের ডিক্রী জারির আদেশের বিরুদ্ধে কোন সম্পত্তির একজন নীলাম-খরিদ্দার। পরিশেষে, দেওয়ানি কার্যবিধির ৪১ নম্বর আদেশের ৪নং বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন মামলায় যদি একাধিক বাদী কিংবা একাধিক বিবাদী থাকে, এবং যে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে, তৎসম্পর্কে সকল বাদীর বা সকল বিবাদীর আপত্তির একটি সাধারণ কারণ বিদ্যমান থাকে, তবে বাদীগণের অথবা বিবাদীগণের মধ্যে যে কোন একজন সমগ্র ডিক্রীটির বিরুদ্ধেই আপিল করতে পারবে। এইভাবে, উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ দেওয়ানি কার্যবিধির বিধান সাপেক্ষে, অধঃস্তন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উৰ্দ্ধতন আদালতে আপিল দায়ের করতে পারেন।

মােকদ্দমার কর্মক্রম এবং ডিক্রী জারি স্থগিত রাখা

আদেশ ৪১ বিধি ৫ আপিল আদালত দ্বারা স্থগিত করা

১) আপিলকৃত ডিক্রী বা আদেশ অনুযায়ী কোন কর্মক্রম আপিল আদালত যতদূর আদেশ প্রদান করেন ততদূর ছাড়া কোন আপিল দ্বারা স্থগিত হবে না বা কোন ডিক্রী হতে কেবল আপিল রুজু করা হয়েছে বলেই উক্ত ডিক্রীর কর্মকারীতা স্থগিত হবে না; কিন্তু আপিল আদালত যথাযথ কারণ বিদ্যমান থাকলে ডিক্রী জারি স্থগিত করতে পারেন।
২) ডিক্রীদানকারী আদালত দ্বারা ডিক্রী জারি স্থগিত ও যেক্ষেত্রে আপিল করার জন্য মঞ্জুরীকৃত সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পূর্বেই কোন আপিলযােগ্য ডিক্রী জারি স্থগিত রাখিবার জন্য দরখাস্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে যথাযথ কারণ প্রদর্শিত হলে ডিক্রীদানকারী আদালত ডিক্রী জারি স্থগিত করার আদেশ প্রদান করতে পারেন।
৩) উপবিধি (১) বা উপবিধি (২) অনুযায়ী কোন ডিক্রী জারি স্থগিতের আদেশ প্রদান করবে না, যদি না, আদেশ প্রদানকারী আদালত এইমর্মে সন্তুষ্ট হন
ক) আদেশ প্রদান না করলে জারি স্থগিতের জন্য দরখাস্তকারীর গুরুতর ক্ষতি হবে;
খ) যে অযৌক্তিক বিলম্ব ছাড়া দরখাস্ত করা হয়েছে; এবং
গ) চূড়ান্ত ডিক্রী মান্য করার জন্য দরখাস্তকারী যথাবিহীত জামানত পেশ করেছে।
৪) দরখাস্তের শুনানীর সাপেক্ষে উপবিধি (৩) এ বর্ণিত বিধান থাকা সত্ত্বেও আদালত একতরফাভাবে ডিক্রী জারি স্থগিত রাখিবার আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ৪১ বিধি ৬ আপিলকৃত ডিক্রী জারির জন্য আদেশের ক্ষেত্রে জামানত

১) যেক্ষেত্রে কোন ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল বিচারাধীন থাকে যা জারির জন্য আদেশ দেয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে ডিক্রী দানকারী আদালতে আপিলকারী দ্বারা যথাযথ কারণ দর্শানাে হলে, ডিক্রী জারির জন্য গৃহীত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ বা তার মূল্য পরিশােধের জন্য এবং আপিল আদালতের ডিক্রী বা আদেশ যথারীতি সম্পাদনের জন্য জামানত তলব করতে পারবে, বা আপিল আদালত একই কারণে ডিক্রী প্রদানকারী আদালতকে অনুরূপ জামানত গ্রহণ করার নির্দেশ দিতে পারবে।
২) যেক্ষেত্রে ডিক্রী জারির কারণে স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য আদেশ দেয়া হয় এবং উক্ত ডিক্রীর বিরুদ্ধে একটি আপিল বিচারাধীন থাকে, সেক্ষেত্রে দেনাদার বিক্রয়ের আদেশ দানকারী আদালতে দরখাস্ত করলে উক্ত আদালত জামানত ইত্যাদি সম্পর্কে যথাযথ শর্ত সাপেক্ষে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিলাম বিক্রয় স্থগিত রাখিৰে।

আদেশ ৪১ বিধি ৮ ডিক্রী জারিকালে প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে ক্ষমতা প্রয়ােগ

যেক্ষেত্রে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করা হয় নাই, কিন্তু উক্ত ডিক্রী জারির ব্যাপারে প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ৫ ও ৬ দ্বারা প্রদত্ত ক্ষমতাগুলাে প্রয়ােগযােগ্য হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ৯ আপিলের স্মারকলিপি

 নিবন্ধনকরণ যেক্ষেত্রে আপিলের স্মারকলিপি গৃহীত হয়, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত বা আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা স্মারকলিপির উপর তা পেশ করার তারিখ লিখিত করবে এবং এতদুদ্দেশ্যে আপিলটি রক্ষিত বহিতে নিবন্ধন করবে।

২) আপিল নিবন্ধন বহি

 অনুরূপ বহি আপিল রেজিষ্ট্রার বহি বলে গণ্য হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ১০ আপিলকারীর কাছে আপিল আদালত খরচাদির জন্য জামানতের নির্দেশ দিতে পারে

১) আপিল আদালত ইচ্ছা করলে রেসপন্ডেন্টকে হাজির করিয়ে উত্তর প্রদানের জন্য নােটিশ দেয়ার পূর্বে, বা তৎপরে উত্তরদায়কের আবেদন অনুযায়ী আপিলে, বা মুল মামলার, বা উভয়টির খরচার জন্য আপিলকারকের কাছে হতে জামানত তলব করতে পারবে।

যেক্ষেত্রে আপিলকারী বাংলাদেশের বাইরে অবস্থান করে 

তবে শর্ত হল যে, যেক্ষেত্রে আপিলকারী বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করে এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আপিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি (যদি থাকে) ছাড়া পর্যাপ্ত স্থাবর সম্পত্তি না থাকে, শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই আদালত অনুরূপ জামানত তলব করতে পারবে।

২) যেক্ষেত্রে অনুরূপ জামানত আদালত দ্বারা নির্ধারিত সময়ের ভিতর পেশ করা না হয়, সেক্ষেত্রে আদালত আপিল অগ্রাহ্য করবে।

আদেশ ৪১ বিধি ১১ নিম্ন আদালতে নােটিশ প্রেরণ ছাড়া আপিল খারিজ করার ক্ষমতা

১) আপিল আদালত যথাযথ মনে করলে নথি তলব করার পর, এবং আপিলকারীর বা তার কৌশুলীর বক্তব্য শ্রবনের জন্য তারিখ ধার্য ও সে তারিখে আপিলকারী বা তার উকিল হাজির হলে তার বক্তব্য শ্রবনের পর যে আদালতে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে, সে আদালতে কোন নােটিশ প্রেরণ ব্যতীত, এবং উত্তরদায়ক বা তার কৌশুলীর উপর নােটিশ জারি ছাড়া আপিল খারিজ করে দিতে পারবে।

২) যদি নির্ধারিত দিনে বা অপর যে দিনের জন্য শুনানী মূলতবী হয়ে থাকলে পরবর্তী তারিখে আপিলের শুনানীর জন্য ডাক পড়িলে যদি আপিলকারী হাজির না হয়, তবে আদালত উক্ত আপিলটি খারিজ হওয়া মর্মে আদেশ দান করতে পারবে।

৩) এই বিধি অনুযায়ী কোন আপিল খারিজ হলে যে আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে, সে আদালতে তার নােটিশ প্রদান করতে হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ১২ আপিল শুনানীর দিন

১) আপিল আদালত ১১ এর অধীনে আপিল খারিজ না করলে আপিলটি শুনানীর জন্য একটি দিন ধার্য করবেন।
২) আদালতের চলতি কাজ, উত্তরদায়কের নির্ধারিত দিনে আপিলে হাজির এবং শুনানী করতে পর্যাপ্ত সময়, সেজন্য উত্তরদায়কের বাসস্থান এবং আপিলের নােটিশ জারির জন্য দরকারি সময় বিবেচনা করে উক্ত দিন ধার্য্য করবে।

আদেশ ৪১ বিধি ১২ক আপিলে মূলতবী

১) আপিলে কোন পক্ষের অনুরােধক্রমে আপিল আদালত কোন আপিলে শুনানীর জন্য তিনবারের বেশি সময় অনুমােদন করবেন না এবং উপরিউক্ত বর্ণিত পক্ষগণকে উপেক্ষা করে যদি কোন পক্ষের কাছে এরূপ মূলতবী অনুমােদন করা হয়, তবে আদালত যেমন যথাযথ মনে করবেন এবং ধার্য করবেন উক্ত পক্ষকে নূন্যতম দুইশত টাকা ও অনধিক এক হাজার টাকা খরচা অপর পক্ষকে প্রদানের নির্দেশ দিবেন এবং আপিলকারী দ্বারা যদি এরূপ নির্দেশ অমান্য করা হয়, তবে আপিলটি খারিজ হয়ে যাবে। যদি বিবাদী দ্বারা অমান্য করা হয়, তবে আপিলটি একতরফা নিস্পত্তি করা হবে।

২) উপবিধি (১) এর অধীনে একতরফাভাবে যদি কোন আপিল খারিজ বা একতরফাভাবে নিস্পত্তিকৃত হয়, তবে তা শুনানীর জন্য পুনর্জীবিত করা হবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত যে পক্ষের অমান্যতার কারণে এরূপ আপিল একতরফাভাবে খারিজ বা নিস্পত্তি করা হয়েছে, সে পক্ষ এরূপ খারিজ বা একতরফা নিস্পত্তির ত্রিশ দিনের ভিতর এরূপ পুনরীক্ষণকরণের জন্য আদালতে কোন দরখাস্ত পেশ না করে থাকেন এবং এরূপ দরখাস্তের ক্ষেত্রে আদালতে যথােপযুক্ত ও দরকারি মনে করা সাপেক্ষে অন্যন দুইশত টাকা ও অনধিক এক হাজার টাকা খরচা প্রদানের আদেশ দিবেন এবং এরূপ খরচা জমাদানের পর, আপিলটি অপর কোন কর্মধারা ছাড়া পুনরুজ্জীবিত হবে এবং আদালতে জমাকৃত খরচা অপর পক্ষকে প্রদান করতে হবে। তবে শর্ত হল যে, এই বিধির অধীনে কোন এক পক্ষের অনুরােধে কোন আপিলই একাধিকবার পুনরুজ্জীবিত করা যাবে না।

৩) আপিল আদালতে কারণ লিখিত না করে কোন আপিল শুনানীর পর্যায়ে নিজস্ব উদ্যোগে করবেন না। (২০০৬ সালের ৮নং আইন দ্বারা সংশােধিত)

আদেশ ৪৩ বিধি ১৩ আপিল আদালত দ্বারা যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল হয়ে থাকে সে আদালতে নােটিশ প্রেরণ

১) যেক্ষেত্রে ১১ অনুযায়ী কোন আপিল খারিজ করা হয় নাই সেক্ষেত্রে আপিল আদালত যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল রুজু করা হয় সে আদালতে আপিলের নােটিশ প্রেরণ করবে।

২) আপিল আদালতে কাগজ পত্রগুলাে প্রেরণ

যেক্ষেত্রে কোন আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল রুজু হয়েছে এবং ঐ আদালতের নথিপত্রগুলাে আপিল আদালতে জমা দেয়া হয় নাই সেক্ষেত্রে ঐ আদালত নােটিশ পাওয়া মাত্র যথাসম্ভব শীঘ মামলা সম্বন্ধীয় বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সব কাগজপত্র আপিল আদালতে প্রেরণ করবে, বা আপিল আদালতে যে সব কাগজ তলব করবে সেগুলি অনুরূপভাবে প্রেরণ করবে।

৩) যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল হয় সে আদালতে প্রমাণীকৃত দলিলের নকলাদি যে কোন পক্ষ, যে আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল রুজু করা হয় সে আদালতের যে কাগজাদির নকলের দরকার সে কাগজাদি উল্লেখ করে সে আদালতে লিখিত আবেদন করতে পারে; এবং দরখাস্তকারীর খরচে অনুরূপ কাগজের নকলাদি প্রস্তত করা হবে এবং প্রদান করা হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ১৪ আপিল শুনানীর দিনের নােটিশ প্রচার ও জারি

১) ১২ অনুযায়ী নির্ধারিত দিন সম্পর্কে নােটিশ আপিল আদালত গৃহে টাঙ্গাইয়া দিতে হবে এবং অনুরূপ নােটিশ যে আদালতে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল রুজু হয়েছে, সে আদালতেও আপিল আদালত দ্বারা প্রেরিত হবে এবং বিধাদীর উপস্থিতির ও উত্তর প্রদানের জন্য যেভাবে সমন দেয়া হয়, একই প্রকারে আপিল আদালতে উত্তরদায়কের কৌশুলীর উপর উক্তরূপ নােটিশ জারি করতে হবে; এবং সমন জারি বিষয়ক এবং তৎসম্বন্ধীয় কর্ম পদ্ধতি বিষয়ক যাবতীয় বিধান উক্ত নােটিশ জারিতেও প্রয়ােগযােগ্য হবে।

২) আপিল আদালত স্বয়ং নােটিশ জারি করাতে পারবে

যে আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল রুজু করা হয়, সে আদালতে নােটিশ প্রেরণের পরিবর্তে আপিল আদালত স্বয়ং উপরিউক্ত বিধান অনুযায়ী উত্তরদায়ক বা তার কৌশুলীর উপর নােটিশ জারি করাতে পারে।

আদেশ ৪১ বিধি ১৫ নােটিশের সারবস্তু

উত্তরদায়ক-এর প্রতি নােটিশে উল্লেখ করতে হবে যে, সে নির্ধারিত তারিখে আপিল আদালতে হাজির না হলে একতরফাভাবে আপিলের শুনানী হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ১৫ক হাইকোর্ট বিভাগ আপিল গ্রহণ করার পর

যেক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ আপিল গ্রহণ করার পর হাইকোর্ট ডিভিশনের বিধিগুলাে অনুযায়ী আপিলকারীকে আপিল পরিচালনা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করার দরকার হয়, এবং আপিলকারী অনুমােদিত বা বর্ধিত সময়ের ভিতর উপরিউক্ত বিধি অনুযায়ী উক্ত পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে আদালত পরিচালনার অভাবে খারিজ হওয়া মর্মে নির্দেশ দিতে পারেন বা আদালত যদি যথাযথ মনে করে তাহলে এধরনের অপর কোন আদেশ প্রদান করতে পারেন।

Procedure on hearing of Appeal

আপিল শুনানীতে পদ্ধতি

আদেশ ৪১ বিধি ১৬ আরম্ভ করার অধিকার

১) নির্ধারিত দিনে বা অপর যে কোন দিনের জন্য শুনানী মূলতবী হতে পারে সে দিনে আপিলের সমর্থনে আপিলকারীর বক্তব্য শুনানী করতে হবে।

২) যদি অবিলম্বে আদালত আপিল খারিজ না করে, তবে তখন আপিলের বিরুদ্ধে উত্তরদায়কের বক্তব্য শুনানী করা হবে এবং এরূপ ক্ষেত্রে আপিলকারী জবাব দান করতে অধিকারী হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ১৭ আপিলকারীর বরখেলাপের জন্য আপিল খারিজ-

১) যেক্ষেত্রে নির্ধারিত দিনে বা অপর যে দিনের জন্য শুনানীর মূলতবী হতে পারে সে দিনে আপিল শুনানীর জন্য ডাক পড়িলে আপিলকারী অনুপস্থিত থাকে, সেক্ষেত্রে আদালত আপিল খারিজের আদেশ প্রদান করতে পারবে।

২) একতরফাভাবে আপিল শুনানী

যেক্ষেত্রে আপিলকারী হাজির হয়, কিন্তু উত্তরদায়ক হাজির হয় না, সেক্ষেত্রে একতরফাভাবে আপিলের শুনানী হবে।


আদেশ ৪১ বিধি ১৮ আপিলকারী খরচাদি জমা দিতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে নােটিশ জারি করা না হলে আপিল খারিজ

যেক্ষেত্রে শুনানীর জন্য ধার্য তারিখে বা শুনানীর মূলতবীকৃত অপর কোন দিনে যদি প্রতীয়মান হয় যে, আপিলকারী যথাসময়ে খরচার টাকা জমা দেয়ায় উত্তরদায়ক উপর নােটিশ জারি করা হয় নাই, সেক্ষেত্রে আদালত আপিল খারিজের আদেশ প্রদান করতে পারবে। তবে শর্ত হল যে, যদি আপিল শুনানীর জন্য ডাকা হলে অনুরূপ কোন দিন উত্তরদায়ক হাজির হয়, তবে উত্তরদায়ক বরাবরে কোন নােটিশ জারি হয় নাই স্বত্ত্বেও এরূপ কোন আদেশ প্রদান করা যাবে না।

আদেশ ৪১ বিধি ১৯ ক্রটির জন্য খারিজ হলে আপিল পুনরায় গ্রহণ

১) যেক্ষেত্রে ১১এর উপবিধি ২ বা ১৫ক বা ১৭ বা ১৮ অনুযায়ী আপিল খারিজ হয়, সেক্ষেত্রে আপিল অনুমােদন করার জন্য আপিলকারী পুনরায় আপিল আদালতে দরখাস্ত পেশ করতে পারবে; এবং যেক্ষেত্রে তা প্রমাণিত হয় যে, যখন নির্ধারিত তারিখে তার হাজির হতে না পারার, বা আদালত দ্বারা নির্ধারিত সময়ের ভিতর খরচার টাকা জমা দিতে না পারার যথাযথ কারণ বিদ্যমান ছিল, তখন আদালত খরচা ইত্যাদি সম্পর্কে যথাযথ শর্তাধীনে বিবেচনামত অপরকোন ভাবে আপিলটি পুনরায় অনুমােদন করতে পারবে।

আদেশ ৪১ বিধি ১৯ক সরাসরি আপিল পুনরায় গ্রহণ

১) বিধি ১৯ বা, অপর কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, আদালত বিলম্ব এড়ানাে ও বিচার ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে, বিধি ১৯ এর অধীনে আপিলকারীকে পর্যাপ্ত কারণ বিষয়ে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে সাক্ষ্য উপস্থাপনের নির্দেশ না দিয়েই সরাসরি কোন আপিল পুনরায় গ্রহণ করতে পারবেন। তবে শর্ত হল যে, কোন পক্ষের গাফিলতির কারণে আপিলটি খারিজ হবার তারিখ হতে ত্রিশদিনের ভিতর যদি এফিডেভিট সহযােগে আদালতে কোন দরখাস্ত পেশ করা না হয়, তবে এই বিধির অধীনে আপিল পুনরায় গ্রহণ করা যাবে না। আরও শর্ত থাকে যে, এই বিধির অধীনে কোন আপিল একাধিকবার পুনরায় গ্রহণ করা যাবে না।

২) উপ-বিধি (১) এর অধীনে কোন আপিল পুনরায় গ্রহণের আদেশ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপিল আদালত হাজির কোন বিবাদীর কাছে আপিলকারীর খরচায় নােটিশ জারি করাবেন। (২০০৬ সালের ৮নং আইন দ্বারা সংশােধিত)

আদেশ ৪১ বিধি ২০ শুনানী স্থগিত করার এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে উত্তরদায়ক করার ক্ষমতা

যেক্ষেত্রে শুনানীর সময় আদালতের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, কোন লােক, যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল করা হয়েছে, সে আদালতে মামলায় কোন পক্ষ ছিল, কিন্তু আপিলে তাকে পক্ষ করা হয় নাই, এরূপ কোন লােক আপিলের ফলাফলের সঙ্গে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আছে, সে ক্ষেত্রে আদালত দ্বারা নির্ধারিত পরবর্তী তারিখের জন্য মূলতবী রাখিবে এবং ঐ লােককে আপিলের উত্তরদায়ক করা হােক বলে নির্দেশ দিতে পারে।

আদেশ ৪১ বিধি ২১ উত্তরদায়কের বিরুদ্ধে একতরফা ডিক্রী হলে তার আবেদনক্রমে আপিল পুনরায় শুনানী

যেক্ষেত্রে উত্তরদায়কের বিরুদ্ধে আপিল একতরফা ভাবে শুনানী করা হয় এবং রায় ঘােষণা করা হয়, সেক্ষেত্রে সে আপিলটি পুনরায় শুনানীর জন্য আপিল আদালতে দরখাস্ত করতে পারে, এবং যদি সে আদালতকে এই মর্মে পরিতুষ্ট করে যে, নােটিশটি যথারীতি জারি হয় নাই বা যখন আপিল শুনানীর জন্য ডাকা হয়েছিল, তখন সে যথেষ্ট কারণে হাজির হতে বাধা প্রাপ্ত হয়েছিল, সেক্ষেত্রে আদালত এর উপযুক্ততা বিবেচনায় মামলার খরচা বা অপর কিছু সম্পর্কে শর্তাদি আরােপ করে আপিলটি পুনরায় শুনানী করবেন।

আদেশ ৪১ বিধি ২১ক সরাসরি আপিলে পুনরায় শুনানী

১) বিধি ২১ বা অপর কোন আইনের যা কিছুই থাকুক না কেন, আদালত বিলম্ব এড়ানাে এবং নিস্পত্তি ত্বরান্বিত করানাের লক্ষ্যে কোন একতরফাভাবে শুনানী করতে আপিল সরাসরি পুনরায় শুনতে পারেন। বিধি ২১ এর অধীনে বিবাদীকে পর্যাপ্ত কারণ বিষয়ে সন্তুষ্ট করতে সাক্ষ্য উপস্থাপনের নির্দেশ না দিয়ে আদালত যথােপযুক্ত মনে করে ধার্য করা সাপেক্ষে অনধিক তিন হাজার টাকার খরচা পরিশােধের জন্য বিবাদীকে নির্দেশ দিতে পারেন। তবে শর্ত হল যে, এরূপ একরতফা ডিক্রী বিবাদীর বিরুদ্ধে যে তারিখে প্রদান করা হয়, সে তারিখ হতে ত্রিশ দিনের ভিতর যদি অপর এফিডেভিট সহযােগে এরূপ আপিল পুনরায় শুনানীর কোন দরখাস্ত আদালতে পেশ করা না হয়ে থাকে, তবে এই বিধির অধীনে কোন আপিলকে পুনরায় শুনা যাবে না। তবে আরও শর্ত থাকে যে, এই বিধির অধীনে কোন আপিল একাধিকবার পুনরায় শুনা যাবে না।

২) কোন আপিল পুনরায় শুনানীর কোন আদেশ উপ-বিধি (১) এর অধীনে প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে আদালতে বিবাদীর খরচায় আপিলকারীর কাছে নােটিশ প্রেরণ করাবেন। (২০০৬ সালের ৮নং আইন দ্বারা সংশােধিত)

আদেশ ৪১ বিধি ২২ শুনানীর সময় উত্তরদায়ক তদ্বারা ডিক্রীতে আপত্তি দিতে পারে, যে সে স্বতন্ত্র আপিল রুজু করেছে

১) কোন উত্তরদায়ক যদিও কোন ডিক্রীর অংশ হতে আপিল করে নাই, তথাপি সে শুধুমাত্র নিম্ন আদালতে তার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তকৃত ডিক্রীর কোন সঙ্গত কারণ কেবল সমর্থন করে নাই, বরং সে আপিলক্রমে যেভাবে পারিত ঠিক সেভাবে উক্ত ডিক্রীর পাল্টা আপত্তি উত্থাপন করতে পারবে এই শর্তে যে, আপিল শুনানীর জন্য নির্ধারিত দিন সম্পর্কে তার উপর বা তার আইনজীবীর উপর নােটিশ জারির তারিখ হতে সে আপিল আদালতে এক মাসের ভিতর বা আপিল আদালত অনুমােদন করতে যথাযথ মনে করে এরূপ মঞ্জুরীকৃত অতিরিক্ত সময়ের ভিতর অনুরূপ পাল্টা আপত্তি পেশ করেছে।

২) আপত্তির ফরম এবং তাতে প্রয়ােগযােগ্য বিধানসমূহ অনুরূপ পাল্টা আপত্তি স্মারকের আকারে হবে এবং আপিলের স্মারকের ফরম এবং বিষয়বস্তুর সঙ্গে যতদূর সম্পর্কিত হয়, ততদূর ১ বিধির বিধানসমূহ তাতে প্রয়ােগযােগ্য হবে।

৩) উত্তরদায়ক আপত্তির সঙ্গে যে পক্ষ অনুরুপ আপত্তি দ্বারা ক্ষুব্ধ হতে পারে সে পক্ষ বা তার আইনজীবী দ্বারা তার নকল গ্রহণের লিখিত স্বীকৃতপত্র পেশ না করলে আপিল আদালত তার একটি নকল আপত্তি পেশ হওয়ার পর যথা সম্ভব শীঘ্র উত্তরদায়কের খরচে উক্ত পক্ষের বা তার কৌশুলীর প্রতি তার নকল প্রদান করাবে।

৪) যে কোন ক্ষেত্রে এই বিধির অধীনে উত্তরদায়ক আপত্তির স্মারক পেশ করে থাকলে যেক্ষেত্রে মূল আপিলটি প্রত্যাহৃত বা তদবিরের অভাবে খারিজ হয় সেক্ষেত্রে এতদসত্ত্বেও আদালত যথাযথ মনে করে এইরুপভাবে অপর পক্ষের প্রতি নােটিশ দেয়ার পর অনুরুপ দাখিলী আপত্তির শুনানী এবং সিদ্ধান্ত হতে পারে।

৫) নিঃস্ব আপিল সম্পর্কিত বিধানসমূহ যতদূর সম্ভব এই বিধির অধীনে আপত্তির ক্ষেত্রেও প্রয়ােগযােগ্য হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ২৩ বিচারের জন্য আপিল আদালত দ্বারা মামলা পুনঃপ্রেরণ

যেক্ষেত্রে যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল রুজু করা হয়েছে, সে আদালত যদি মামলাটি কোন প্রাথমিক বিষয়ের উপর নিস্পত্তি করে থাকেন এবং উক্ত ডিক্রী আপিলে রদ হয় সেক্ষেত্রে আপিল আদালত যদি যথাযথ মনে করে তবে মামলাটি পুনরায় প্রেরণের আদেশ প্রদান করতে পারেন এবং অনুরূপে পুনরায় প্রেরিত মামলায় কোন কোন বিষয় বা বিষয়সমূহের বিচার করতে হবে তৎসম্পর্কে আরাে নির্দেশ দিতে পারেন এবং এর রায়ের ও আদেশের একটি নকল যে আদালতে ডিক্রী হতে আপিল রুজু করা হয়েছে, অনুরূপ আদালতে দেয়ানী মামলার রেজিষ্ট্রারে তার মূল নম্বরের অধীনে মামলাটি বিচারার্থে পুনরায় গ্রহণ করার এবং মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশাবলি সহ প্রেরণ করতে হবে এবং মূল বিচারকালে লিপিবদ্ধকৃত সাক্ষ্য (যদি কোন) যাবতীয় সঙ্গত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে ঐগুলিও পুনরায় প্রেরণের পর বিচারকালে সাক্ষ্য হিসেবে গৃহীত হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ২৪ নথিতে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য থাকলে আপিল আদালত চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি করতে পারে

যেক্ষেত্রে নথিতে পর্যাপ্ত প্রমাণাদি আপিল আদালতকে রায় ঘােষণার জন্য সমর্থ করতে যথেষ্ট হয় সেক্ষেত্রে আপিল বিচার্য বিষয় পুনরায় ধার্য করার পর দরকার হলে মামলাটি চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি করতে পারেন, যদিও সে আদালতের রায় হতে আপিল রুজু করা হয়েছে সে আদালত যে কারণের ভিত্তিতে সামগ্রিকভাবে অগ্রসর হয়েছিল আপিল আদালত সে কারণ ছাড়া অপর কারণের উপর অগ্রসর হন।

আদেশ ৪১ বিধি ২৫ যেক্ষেত্রে আপিল আদালত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে পারে এবং তা আপিলকৃত ডিক্রী দ্বারা আদালতে বিচারের জন্য প্রেরণ করতে পারেন

যেক্ষেত্রে যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল রুজু করা হয়েছে, সে আদালত যদি কোন বিচার্য বিষয় গঠন বা বিচার করতে বা কোন তথ্যগত প্রশ্ন নিস্পত্তি করতে বাদ দিয়ে থাকে তা যদি আপিল আদালতের বিবেচনায় মামলার গুণগত বৈশিষ্ট্যের উপর সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অত্যাবশ্যক হয় সেক্ষেত্রে আপিল আদালত প্রয়ােজনবােধে বিচার্য বিষয় গঠন করতে পারে এবং যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল করা হয়েছে সে আদালতে বিচারার্থে তা প্রেরণ করতে পারে এবং এইরুপ ক্ষেত্রে ঐ আদালতকে দরকারি অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করবে এবং অনুরূপ আদালত উক্ত বিচার্য বিষয়গুলাে বিচার করতে অগ্রসর হবে এবং সাক্ষ্যের সঙ্গে তার উপর পর্যবেক্ষণী সিদ্ধান্ত সহ এবং সিদ্ধান্তের কারণগুলাে আপিল আদালতে পুনঃপ্রেরণ করবে।

আদেশ ৪১ বিধি ২৬ পর্যবেক্ষণী এবং সাক্ষ্য রেকর্ডভূক্তকরণ। পর্যবেক্ষণীতে আপত্তি

১) উক্ত সাক্ষ্য এবং পর্যবেক্ষণীগুলাে মামলার নথির অংশ রূপে পরিগণিত হবে; এবং যে কোন পক্ষ আপিল আদালত দ্বারা নির্ধারিত সময়ের ভিতর কোন সিদ্ধান্ত বা পর্যবেক্ষণীর প্রতি আপত্তির স্মারক পেশ করতে পারে।

২) আপিল নিষ্পত্তি ও উক্ত স্মারক উপস্থাপনের জন্য নির্ধারিত মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার পর আপিল আদালত আপিলটি নিস্পত্তি করতে অগ্রসর হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ২৭ আপিল আদালতে অতিরিক্ত সাক্ষ্য প্রদান

১) আপিলের পক্ষগণ আপিল আদালতে মৌখিক বা দালিলিক কোন প্রকার অতিরিক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রদান করতে অধিকারী হবে না। কিন্তু যদি-
ক) যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল রুজু করা হয়েছে, সে আদালত এরূপ কোন সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে যা গ্রহণ করা উচিত ছিল, বা
খ) রায় প্রচারের সুবিধার্থে বা অপর কোন গুরুত্বপূর্ণ কারণে আপিল আদালত কোন দলিল প্রদান করা বা কোন সাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণ করার দরকার মনে করে, তবে আপিল আদালত অনুরূপ সাক্ষ্য বা দলিল হাজির করার অনুমতি দিতে পারে বা সাক্ষীকে পরীক্ষা করতে পারে।
২) যেক্ষেত্রে আপিল আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দিবে সেক্ষেত্রে আদালত তা গ্রহণ সম্পর্কে কারণ লিখিত করবে।

আদেশ ৪১ বিধি ২৮ অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের পদ্ধতি

যেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাক্ষ্য হাজির করার অনুমতি প্রদানের অনুমতি দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত উক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারে বা যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল করা হয়েছে সে আদালতকে বা অপর কোন অধঃস্তন আদালতকে উক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করার এবং তা গ্রহণ করে আপিল আদালতে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ৪১ বিধি ২৯ বিষয়াবলি সুনির্দিষ্ট এবং লিখিত করতে হবে

যেক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশ বা অনুমতি দেয়া হয় সেক্ষেত্রে আপিল আদালত যে সব বিষয়ে সাক্ষ্য সীমিত থাকবে তা স্পষ্টরূপে বর্ণনা করবে এবং তার নিজস্ব কর্মধারার অনুরুপ নির্দিষ্ট বিষয়াবলি লিখিত করবে।

Judgment in appeal

আপিলে রায়

আদেশ ৪১ বিধি ৩০ আপিলের রায় কখন এবং কোথায় ঘােষিত হয়

আপিল আদালত পক্ষগণ বা তাদের আইনজীবীদের শুনানীর পর এবং আপিলের বা যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল করা হয়েছে সে আদালতের কর্মধারার কোন অংশ রেফারেন্সের জন্য দরকারি বলে গণ্য হলে তা উল্লেখ করে তৎক্ষনাৎ বা পরবর্তী তারিখ সম্পর্কে যা নােটিশে পক্ষগণকে বা আইনজীবীগণকে প্রদান করতে হবে, প্রকাশ্য আদালতে রায় ঘােষিত হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ৩১ রায়ের বিষয়বস্তু তারিখ এবং স্বাক্ষর

আপিল আদালতের রায় লিখিত হতে হবে, এবং
ক) সিদ্ধান্তের বিষয়গুলাে;
খ) উহাদের উপর সিদ্ধান্ত;
গ) সিদ্ধান্তের কারণগুলাে; এবং
ঘ) যেক্ষেত্রে আপিলকৃত ডিক্রী রদ বা পরিবর্তন করা হয় সেক্ষেত্রে আপিলকারী যে প্রতিকারের অধিকারী তা বিবৃত করতে হবে; এবং তা ঘােষণার সময় বিচারক বা মতৈক্যে উপনীত বিচারকগণ তাতে স্বাক্ষর করবে ও তারিখ দিবে।

আদেশ ৪১ বিধি ৩২ রায়ে কি নির্দেশ পারে

যে ডিক্রী হতে আপিল করা হয়েছে তা বহাল, পরিবর্তন বা রদ করার জন্য রায় দেয়া যাবে, বা আপিলের ডিক্রী কি আকারে ধারণ করবে এতদ্বিষয়ে বা আপিলের আদেশ সম্পর্কে আপিলের পক্ষগণ সম্মত হয়ে থাকলে আপিল আদালত তদনুসারে ডিক্রী প্রদান করতে পারে বা আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ৪১ বিধি ৩৩ আপিল আদালতের ক্ষমতা

যে কোন ডিক্রী বা আদেশ যা দান করা উচিত বা প্রয়ােজনে অতিরিক্ত কোন ডিক্রী বা আদেশ প্রদানের ক্ষমতা আপিল আদালতের থাকবে এবং আপিল ডিক্রীর অংশ বিশেষ সম্পকির্ত হওয়া সত্ত্বেও এই ক্ষমতা প্রয়ােগ করা যাবে এবং পক্ষদের সকলের বা যে কোন একজন উত্তরদায়ক বা পক্ষ আপিল বা আপত্তি রুজু করে না থাকে, তা হলে আপিল আদালত উত্তরদায়ক বা পক্ষদের সকলের অনুকূলে ক্ষমতা প্রয়ােগ করা যাবে। তবে শর্ত হল যে, যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল রুজু হয়েছে সে আদালত কোন আপত্তির উপর অনুরূপ আদেশ প্রদান করতে বাদ দিলে বা দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করলে সে সম্পর্কে আপিল আদালত এই আইনের ৩৫ক ধারার অধীনে কোন আদেশ প্রদান করবেন না।

উদাহরণ: ক, ভ বা ম-এর কাছে কিছু টাকা পাবে বলে দাবি করে এবং উভয়ের বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলা ভ-এর বিরুদ্ধে ডিক্রী লাভ করে। ভ, আপিল করে এবং ক ও ম উত্তরদায়ক থাকে। আপিল আদালত ভ-এর অনুকূলে মামলা নিষ্পত্তি করে। এ ক্ষেত্রে মএর বিরুদ্ধে ডিক্রী দেয়ার ক্ষমতা আপিল আদালতের আছে।

আদেশ ৪১ বিধি ৩৪ ভিন্নমতে লিপিবদ্ধকরণ

যেক্ষেত্রে আপিল একাধিক বিচারক দ্বারা শুনানী হয়, সেক্ষেত্রে কোন বিচারক‌ আদালতের রায়ের সঙ্গে ভিন্ন মত পােষণ করে থাকলে আপিলে যে সিদ্ধান্ত বা আদেশ প্রদান উচিত বলে তিনি মনে করেন তা লিখিতভাবে বিবৃত করবেন এবং তিনি তার কারণও বিবৃত করতে পারেন।

Decree in appeal

আপিলে ডিক্রী

আদেশ ৪১ বিধি ৩৫ ডিক্রীর তারিখ এবং বিষয়বস্তু

১) আপিল আদালতের ডিক্রীতে যে দিন রায় ঘােষণা করা হয়েছিল সে ঘােষণার তারিখ উল্লেখ থাকবে।
২) ডিক্রীতে আপিলের নম্বর, আপিলকারী ও উত্তরদায়কের নাম ও পরিচিতি এবং মঞ্জুরকৃত প্রতিকার বা অন্যরূপ সাব্যস্থ হয়েছে তার একটি সুস্পষ্ট বিবরণ থাকতে হবে ।
৩) ডিক্রীতে আপিলে ব্যয়িত খরচাদির পরিমাণ এবং কার দ্বারা বা কোন সম্পত্তি তে এবং কি অনুপাতে উক্ত খরচ এবং মামলার খরচ পরিশােধ করতে হবে তাও বিবৃত থাকবে।
৪) ডিক্রী প্রদানকারী বিচারক বা বিচারকগণ দ্বারা ডিক্রীতে স্বাক্ষর ও তারিখযুক্ত হতে হবে। ভিন্ন মত পােষণকারী বিচারক দ্বারা স্বাক্ষরিত হওয়ার প্রয়ােজন নাই। তবে শর্ত হল যে, যে ক্ষেত্রে একাধিক বিচারকগণ থাকেন এবং তাদের ভিতর মতের ভিন্নতা থাকে সেক্ষেত্রে আদালতের রায় হতে ভিন্নমত পােষণকারী বিচারক দ্বারা ডিক্রীতে স্বাক্ষর করার দরকার নাই।

আদেশ ৪১ বিধি ৩৬ পক্ষগণকে রায় ও ডিক্রীর নকল প্রদান

আপিল আদালতে আবেদনক্রমে পক্ষগণকে তাদের খরচে আপিলের রায় এবং ডিক্রীর প্রত্যায়িত নকল প্রদান করতে হবে।

আদেশ ৪১ বিধি ৩৭ যে আদালতের ডিক্রী হতে আপিল করা হয়, সে আদালতে ডিক্রীর প্রত্যায়িত নকল প্রেরণ

আপিল আদালত বা এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা দ্বারা প্রত্যায়িত রায় ও ডিক্রীর নকল আপিলকৃত ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে প্রেরণ করতে হবে এবং মামলার মূল কর্মধারার সঙ্গে নথিভুক্ত করতে হবে এবং দেওয়ানী মামলার রেজিষ্ট্রারে আপিল আদালতের রায় লিখিত করতে হবে।

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a