- Get link
- X
- Other Apps
Order 39 Temporary Injunctions And Interlocutory Orders
আদেশ ৩৯ অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এবং অন্তবর্তীকালীন আদেশ
Temporary Injunctions
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা
আদেশ ৩৯ বিধি ১ যে সব ক্ষেত্রে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অনুমােদন করা যাবে
যেক্ষেত্রে কোন মামলায় শপথপত্র দ্বারা বা অপর কোন উপায়ে প্রমাণিত হয় যে-
ক) কোন মামলায় বিরােধীয় কোন সম্পত্তি মামলার কোন পক্ষ দ্বারা অপচয়, ক্ষতিগ্রস্থ বা হস্তান্তরিত হওয়ার বা কোন ডিক্রীজারিতে অন্যায়ভাবে বিক্রয় হওয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন, কিংবা
খ) বিবাদী তার পাওনাদারকে প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে তার সম্পত্তি অপসারণ বা হস্তান্তর করার হুমকি বা ইচ্ছা প্রকাশ করছে, সেক্ষেত্রে আদালত অনুরূপ কর্ম রােধ করার জন্য আদেশ দিয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অনুমােদন করতে পারে, বা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বা পুনরাদেশ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত সম্পত্তি অপচয়, ক্ষতিগ্রস্থকরণ, হস্তান্তর, বিক্রয়, অপসারণ বা সমর্পণ করতে স্থগিত ও বারণ করার উদ্দেশ্যে আদালত যেরূপ যথাযথ মনে করেন, সেরূপ আদেশ প্রদান করতে পারে।
আদেশ ৩৯ বিধি ১ বিধির বিশ্লেষণ
নিষেধাজ্ঞার সংজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা কাকে বলে?
নিষেধাজ্ঞার সংজ্ঞা সম্পর্কে আইনে কোন বিধান নাই তবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ধারা-৫২-৫৭ এবং দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৩৯ এর বিধি-১ হতে বিধি-৫ এ ইহা সম্পর্কে বিধান রাখা হয়েছে। তবে সাধারণভাবে নিষেধাজ্ঞার সম্পর্কে বলা যায়, কোন পক্ষকে কোন কাজ করতে বাধ্য করা বা কোন করা হতে বিরত করার জন্য আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশকে নিষেধাজ্ঞা বলা হয় ।
মােকদ্দমার মূল উদ্দেশ্য কার্যকরকরণ, মামলার বিষয়বস্তু সংরক্ষণ এবং বিচার নিষ্পত্তির স্বার্থে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হয়ে থাকে। এই আদেশ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত একটি শক্তিশালী নির্দেশ যা অনেকাংশেই আদালতের সুবিবেচনার উপর নির্ভরশীল। ন্যায়বিচারের স্বার্থে এই আদেশ দেওয়া হয়ে থাকে।
নিষেধাজ্ঞার বৈশিষ্ট্য কি কি?
নিষেধাজ্ঞার রকম, প্রকৃতি ও প্রয়ােগ অনুযায়ী নিম্নে বর্ণিত বৈশিষ্ট্যসমূহ পরিলক্ষিত হয়,
(ক) ইহা একটি বিচার বিষয়ক কার্যধারা;
(খ) ইহার মাধ্যমে কোন মামলার পক্ষকে কোন কাজ করতে বাধ্য করা হয়ে থাকে;
(গ) ইহার মাধ্যমে কোন মামলার পক্ষকে কোন কাজ করা হতে বিরত থাকতে বাধ্য করা যেতে পারে;
(ঘ) নিষেধাজ্ঞা আদেশটি অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ও কার্যকর হতে হবে।
(ঙ) নিষেধাজ্ঞা আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ও প্রয়ােজনীয়তা কি?
সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য হতে প্রতীয়মান হয় যে, নিষেধাজ্ঞার সাধারণ উদ্ধেশ্য হল অন্যায় কাজকে বারিত কর। অর্থাৎ অনুচিত অধিকার প্রয়ােগ বারিত করা; আশংকিত ক্ষতি নিবারণ করা, দখল পুনরুদ্ধার করা এবং স্থাবর চিরস্থায়ী ভােগের অধিকার রক্ষা করা। অধিকারকে চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ না করা পর্যন্ত বিরােধীয় সম্পত্তি ক্ষতি থেকে রক্ষা কিংবা বিরােধীয় সম্পত্তি অন্য পক্ষের দখলাধীনে যাওয়া রােধ করার উদ্দেশ্যে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করা যায়। অন্যভাবে বলা যায় নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের পিছনে যে উদ্দেশ্য আছে তা হল বৈধ অধিকার রক্ষা করা, মামলা পেন্ডিং থাকাকালীন ভবিষ্যত ক্ষতি এড়াইয়া যাওয়া এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিষয়বস্তুর স্থিতাবস্থা বজায় রাখা।
আইনের শাসনকে তােয়াক্কা না করে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়ে যারা অন্যের অধিকার হস্তক্ষেপ করে তাদের হাতকে স্তব্ধ করার জন্যই নিষেধাজ্ঞার প্রয়ােজন এবং আইনে এই কারণেই এই বিষয়টি সন্নিবেশিত হয়েছে। যারা সবল তারাই দুর্বলের অধিকারে হস্তক্ষেপ করার প্রয়াস পায়। অতএব, দুর্বলদের অধিকারে সবলের হস্তক্ষেপ রােধ করার লক্ষ্যেই নিষেধাজ্ঞা অতীব প্রয়ােজন। শুধু তাই নয়, একই ধরণের শক্তিশালী দুই পক্ষের আইনগত অধিকার সম্পর্কে যেক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে দাঙ্গা বাধা খুবই স্বাভাবিক এবং এই দাঙ্গা এড়ানাের জন্য বিষয়বস্তুর স্থিতাবস্থা বজায় রাখিবার জন্য সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রয়ােজন হয়। নিম্ন আদালতের ডিক্রী বা আদেশের অসম্মতিতে উর্ধ্বতন আদালতে আপিল বা রিভিশন চলাবস্থায় যেন বিষয়বস্তুর ব্যঘাত না হয় বা বিষয়বস্তুর পরিবর্তন না ঘটে সে কারণে উর্ধ্বতন আদালত কর্তৃক কিংবা ডিক্রী বা আদেশ প্রদানকারী আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের প্রয়ােজন হতে পারে। এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা ভিন্ন ধরণের। ডিক্রী বা আদেশ কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখার যে আদেশ দেওয় হয়, তাই হল এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতের যে ক্ষমতা আছে, এবং সে ক্ষমতা প্রয়ােগের জন্য যে সকল বিধি রয়েছে তার উপর একটি পর্যালোচনা
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতে যে সকল ক্ষমতা রয়েছে, সে সকল ক্ষমতা প্রয়ােগের জন্য যে সকল বিধি ব্যবস্থা রয়েছে, তা সে সকল ক্ষমতা প্রয়ােগের জন্য যে সকল বিধি ব্যবস্থা রয়েছে, তা দেওয়ানি কার্যবিধির ৩৯নং আদেশের ১নং বিধিতে নিম্মােক্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই আদেশের ১নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যদি কোন মামলায় এফিডেভিট দ্বারা কিংবা অন্য কোনভাবে প্রমাণিত হয় যে,
(ক) মামলায় জড়িত কোন সম্পত্তি মামলার কোন পক্ষ কর্তৃক ডিক্রী জারির দরুণ বে-আইনিভাবে বিক্রয় হওয়ার উপক্রম হয়েছে, অথবা
(খ) বিবাদী তার পাওনাদারগণকে প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে তার সম্পত্তি অপসারিত বা হস্তান্তরিত করার ইচ্ছা প্রকাশ বা হুমকি প্রদর্শন করছে, তবে আদালত অনুরূপ কার্য রােধ করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিতে পারবেন অথবা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত সম্পত্তি বিনষ্টকরণ, ধ্বংসকরণ, হস্তান্তর, বিক্রয় বা অপসারণ স্থগিত রােধ করার জন্য উপযুক্ত অন্য কোন আদেশ দিতে পারবেন।
এই আদেশের ২নং বিধির (১) নং উপবিধির বিধান মতে, বিবাদীকে চুক্তিভঙ্গ বা অন্য কোনরূপ ক্ষতিকর কার্য হতে বিরত রাখিবার মামলায়, ক্ষতিপুরণ দাবি করা হয়ে থাকুক বা না থাকুক, বাদী মামলা রুজু হওয়ার পর এবং রায় ঘােষণার পূর্বে বা পরে যে কোন সময় অভিযােগযুক্ত বা ক্ষতিকর কার্য হতে অথবা সংশ্লিষ্ট চুক্তির দরুণ উদ্ভুত সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বা অধিকারের সাথে সম্পর্কযুক্ত কোন ক্ষতিকর কার্য হতে বিবাদীকে নিরস্ত্র করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করে আদালতে আবেদন করতে পারবে।
একই বিধির (২) নং উপবিধিতে বলা হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ হিসাবরক্ষণ, জামানত -দান ইত্যাদি সম্পর্কে উপযুক্ত শর্ত সাপেক্ষে আদালত উপরিউক্তরূপে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করে আদেশ দান করতে পারবেন।
এই বিধির (৩) নং উপবিধির বর্ণনা অনুসারে উক্ত শর্তসমূহের যে কোনটি অমান্য বা খেলাপ করা হলে, সেক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা-দানকারী আদালত শর্ত খেলাপকারী সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিতে পারবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত দেওয়ানি কারাগারে আটক রাখিবার নির্দেশ দিতে পারবেন; যদি আদালত ইতিমধ্যে তার নির্দেশ দান না করেন।
এই বিধির (৪) নং উপবিধিতে বলা হয়েছে যে, অত্র বিধি অনুসারে কোন সম্পত্তি ক্রোক করা হলে সে ক্রোক এক বৎসরের অধিকাল বলবৎ থাকবে না। এক বৎসর অতিক্রম হওয়ার পরও যদি শর্ত খেলাপ অব্যাহত থাকে, তবে ক্রোককৃত সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় করা যাবে এবং বিক্রয়লব্দ অর্থ হতে আদালত উপযুক্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দানের নির্দেশ দিতে পারবেন। অতঃপর অবশিষ্ট অর্থ প্রকৃত অধিকারসম্পন্ন পক্ষকে ফেরত দেওয়া হবে।
এই আদেশের ৩নং বিধির বিধান হল যে, কোন নিষেধাজ্ঞা (Injunction) মঞ্জুর করার পূর্বে আদালত নিষেধাজ্ঞার আবেদন সম্পর্কে বিপরীত পক্ষকে নােটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিবেন। তবে, যদি প্রতীয়মান হয় যে, বিলম্বের ফলে নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে, তবে নােটিশ দেওয়ার প্রয়ােজন হবে না।
এই আদেশের ৪ নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা আদেশের বলে অসন্তুষ্ট কোন পক্ষের আবেদনক্রমে আদালত উক্ত নিষেধাজ্ঞা অবসান, পরিবর্তন বা রদ করতে পারবেন।
পরিশেষে, এই আদেশের ৫নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, কোন সমিতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা কেবল উক্ত প্রতিষ্ঠানের উপরই প্রযুক্ত হবে না, উপরন্ত উহার সকল সদস্য ও কর্মচারী যাদের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য উহা প্রদত্ত হবে তারা সকলে উহা মান্য করতে বাধ্য থাকবে।
এইভাবে, উপরিউক্ত বিধির বিধান সাপেক্ষে দেওয়ানি আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করার ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়ােগ করে থাকে।
অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদানের ক্ষেত্রে আদালতের ক্ষমতা
দেওয়ানি কার্যবিধির ৩৯নং আদেশের (১) নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যদি কোন মামলায় এফিডেভিট দ্বারা বা অন্য কোনভাবে প্রমাণিত হয় যে, মামলায় জড়িত কোন সম্পত্তি মামলার কোন পক্ষ কর্তৃক বিনষ্ট, ধ্বংস বা হস্তান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে অথবা কোন ডিক্রী জারির দরুন বে-আইনিভাবে বিক্রয় হওয়ার উপক্রম হয়েছে অথবা, বিবাদী তার পাওনাদারদের প্রতারিত করার উদ্দেশ্যে তার সম্পত্তি অপসারণ বা হস্তান্তর করার হুমকি বা ইচ্ছা প্রকাশ করছে, সেক্ষেত্রে আদালত অনুরূপ কার্য রােধ করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিতে পারবেন অথবা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্গত উক্ত সম্পত্তি বিনষ্টকরণ, ধ্বংসকরণ, হস্তান্তর বিক্রয় বা অপসারণ স্থগিত ও রােধ করার জন্য উপযুক্ত অন্য কোন আদেশ প্রদান করতে পারেন।
এই আদেশের ২নং উপবিধি মতে, বিবাদীকে চুক্তিভঙ্গ করা কিংবা অন্য কোনরূপ ক্ষতিকর কার্য হতে বিরত রাখার মামলায় ক্ষতিপুরণ করা হয়ে থাকুক বা না থাকুক, বাদী মামলা হওয়ার পর এবং রায় ঘােষণার পূর্বে বা পরে যে কোন সময় অভিযােগভুক্ত চুক্তিভঙ্গ বা ক্ষতিকর কার্য হতে অথবা সম্পর্কযুক্ত কোন ক্ষতিকর কার্য হতে বিবাদীকে নিরস্ত্র করার জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করে আদালতে আবেদন করতে পারবে।
এই বিধির ২নং উপবিধি মতে, নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ, হিসাব রক্ষণ জামানত, দান ইত্যাদি সম্পর্কে উপযুক্ত শর্ত সাপেক্ষে আদালত উক্তরূপ নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করে আদেশ দান করতে পারবেন।
এই বিধির ৩নং উপবিধির বিধান অনুসারে উপরিউক্ত শর্তসমুহের যে কোন একটি অমান্য বা খেলাপ করা হলে আদেশ দিতে পরিবেন এবং উক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত দেওয়ানি কারাগারে (civil jail) আটক রাখার আদেশ দিতে পারেন।
অস্থায়ী নিষধাজ্ঞা জারি করার জন্য দেওয়ানি আদালতকে যে বিশেষ পদ্ধতি
অস্থায়ী নিষধাজ্ঞা জারি করার জন্য দেওয়ানি আদালতকে যে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা এই আদেশের ৩নং বিধিতে বর্ণনা করা হয়েছে। এই বিধিতে বলা হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুর করার পূর্বে আদালত নিষেধাজ্ঞার আবেদন সম্পর্কে বিপরীত পক্ষকে নােটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিবেন। তবে, আদালতের নিকট যদি এরূপ প্রতীয়মান হয় যে, বিলম্বের ফলে নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে, তা হলে নােটিশ দেওয়ার প্রয়ােজন হবে না।
ডিক্রী জারি করার জন্য যে সকল কারণে এক আদালত অন্য আদালতে ডিক্রী পাঠাতে পারে
দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৩৯নং ধারায় ১নং উপধারা অনুযায়ী, ডিক্রী প্রদানকারী আদালত ডিক্রী প্রাপকের কাছে প্রেরণ করতে পারেন
(১) যার বিরুদ্ধে ডিক্রী প্রদান করা হয়েছে উক্ত ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে স্বেচ্ছায় অন্য আদালতে স্থানীয় অধিক্ষেত্রের সীমার মধ্যে বসবাস করে বা ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে বা ব্যক্তিগতভাবে লাভ করার উদ্দেশ্যে কাজ করে।
(২) যদি যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিক্রী প্রদান করা হয়েছে উক্ত ব্যক্তির ডিক্রী প্রদানকারী আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের সীমার মধ্যে ডিক্রীকৃত অঙ্কের অর্থ পরিশােধ করার মত পর্যাপ্ত পরিমাণ সম্পত্তি না থাকে এবং যে আদালতে ডিক্রী স্থানান্তর করতে চাহিতেছে উক্ত আদালতের অধিক্ষেত্রের মধ্যে পর্যাপ্ত সম্পত্তি থাকে ; বা
(৩) যদি ডিক্রীতে এমন স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় অথবা হস্তান্তরের নির্দেশ থাকে যা ডিক্রী প্রদানকারী আদালাতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের বাহিরে অবস্থিত; অথবা
(৪) যদি ডিক্রী প্রদানকারী আদালত অন্য কোন কারণের পরিপ্রেক্ষিতে ডিক্রীটি অপর আদালত কর্তৃক জারিকৃত হওয়া উচিত বলে মনে করেন; অবশ্য সেক্ষেত্রেই আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।
এইভাবে, উপরে উল্লেখিত বিধান সাপেক্ষে, একজন ডিক্রী প্রাপক এক আদালত হতে অন্য আদালতে ডিক্রী জারির জন্য স্থানান্তরের ব্যাপারে আবেদন করতে পারেন। অর্থাৎ ডিক্রী জারি করার জন্য যে সকল কারণে এক আদালত অন্য আদালতে ডিক্রী পাঠাতে পারে, সে সকল কারণ সম্বলিত বিধানসমূহ সম্পর্কে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৩৯ নম্বর ধারায় (১) উপধারায় বিশদভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে।
আদেশ ৩৯ বিধি ২ লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি বা ধারাবাহিকতা রোধে নিষেধাজ্ঞা
১) বিবাদীকে চুক্তি লঙ্ঘন বা অপর কোন প্রকার অনিষ্ট করা হতে বিরত রাখিবার মামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করা হােক বা না হােক, মামলা শুরু হওয়ার পর যে কোন সময় এবং রায়ের আগে বা পরে বাদী অভিযােগে আনীত চুক্তি লঙঘন বা অনিষ্ট করা হতে বা একই চুক্তি হতে সৃষ্ট বা একই সম্পত্তি বা অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত কোন চুক্তি লঙ্ন বা অনিষ্ট করা হতে বিবাদীকে বিরত রাখিতে আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য দরখাস্ত করতে পারে।
২) নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ, হিসাব রক্ষণ, জামানত প্রদান বা অপর প্রকারে আদালত যথাযথ মনে করে এইরুপ শর্তাবলির উপর অনুরূপ নিষেধাজ্ঞা অনুমােদন করে আদেশ দান করতে পারেন।
৩) যদি অমান্য বা অনুরূপ কোন শর্ত লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরকারী আদালত অনুরূপ অমান্য বা লঙ্ঘন করার জন্য দোষী লােকের সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিতে পারে এবং অনুরূপ লােককে অনধিক ছয়মাস মেয়াদের জন্য দেয়ানী কারাগারে আটক রাখিতেও নির্দেশ দিতে পারে, আদালত ইতােমধ্যে যদি তার মুক্তির আদেশ প্রদান না করে থাকে।
৪) এই বিধির অধীনে কোন ক্রোক এক বৎসরের বেশি কার্যকর থাকবে না এবং উক্ত সময়ের পরও যদি অমান্য বা লঘন অব্যাহত থাকে তবে ক্রোককৃত সম্পত্তি বিক্রয় করা যাবে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ হতে আদালত যথাযথ মনে করে এরূপ ক্ষতিপূরণের আদেশ প্রদান করতে পারে এবং অবশিষ্ট অর্থ যদি থাকে, তা তাতে অধিকারী পক্ষকে প্রদান করবে।
আদেশ ৩৯ বিধি ৩ নিষেধাজ্ঞা অনুমােদন করার আগে আদালতকে অপর পক্ষের প্রতি নােটিশ প্রদানের নির্দেশ দিতে হয়
আদালত সব ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা অনুমােদন করার আগে অপর পক্ষের প্রতি নিষেধাজ্ঞার আবেদনপত্র সম্পর্কে নােটিশ প্রদানের নির্দেশ দিবে এবং পরিতুষ্ট হবে যে, বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, বা প্রতিপক্ষের অস্বীকৃতির দরুণ বা অপরকোন কারণে বিজ্ঞপ্তি জারি করা যায় নাই। তবে শর্ত হল যে, কোন ঋণ সম্পর্কে যে সব দ্রব্য কোন ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়েছিল, সে ঋণ চুক্তিকৃত সময়ের ভিতর পরিশােধ করতে ব্যর্থতার জন্য উক্ত দ্রব্য গুলাে বিক্রয় করার ক্ষেত্র ছাড়া যেক্ষেত্রে এটা প্রতীয়মান হয় যে, বিলম্বের ফলে নিষেধাজ্ঞা মঞ্জুরের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে, তা হলে আদালত উক্ত নােটিশ ছাড়াও নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে পারে। (২০০৩ সালের ৪০নং আইন দ্বারা সংশােধিত)
আদেশ ৩৯ বিধি ৩ক গর জারিতে ফেরত আসা বিজ্ঞপ্তি জারির পদ্ধতি
উপবিধি ৩ এর অধীনে জারির জন্য নির্দেশিত বিজ্ঞপ্তি জারির তারিখ হতে সাত দিনের ভিতর, জারি বা গর জারিতে আদালতে ফেরত প্রদান করতে হবে; এবং গর জারিতে বিজ্ঞপ্তি ফেরত আসিলে যতদূর প্রয়ােগযােগ্য ৫ আদেশের ২০ বিধির বিধান অনুযায়ী আদালত বিজ্ঞপ্তিটি সাত দিনের ভিতর জারি করাবে, এবং অনুরূপ জারি যথাযথ বিজ্ঞপ্তি জারি বলে গণ্য হবে। (২০০৩ সালের ৪০নং আইন দ্বারা সংশােধিত)
আদেশ ৩৯ বিধি ৪ নিষেধাজ্ঞার আদেশ অবসান, পরিবর্তন বা রহিত হতে পারে
নিষেধাজ্ঞার কোন আদেশ অনুরূপ আদেশে কোন পক্ষ অসন্তুষ্ট হলে সে পক্ষের আবেদনক্রমে আদালত দ্বারা উক্ত নিষেধাজ্ঞার আদেশে অবসান, পরিবর্তন বা রহিত হতে পারে।
আদেশ ৩৯ বিধি ৫ কর্পোরেশনের প্রতি নিষেধাজ্ঞা তার কর্মকর্তাদের উপর বাধ্যতামূলক
কোন কর্পোরেশনের প্রতি প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র অনুরূপ কর্পোরেশনের উপরই বাধ্যতামূলক নয় রবং যে সব সদস্য এবং কর্মকর্তার ব্যক্তিগত কার্যক্রম তা রােধ করতে চায়, তাদের উপরও তা বাধ্যতামূলক।
আদেশ ৩৯ বিধি ৫ক অপর পক্ষের শুনানি ছাড়া অন্তর্বর্তী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করা হবে না
১) কোন আদালত সরকারি আইনজীবীর উপর ন্যায়সঙ্গত বিজ্ঞপ্তি জারি না করে এবং তাকে বা ঐ বিষয়ে তার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোন আইনজীবীকে শুনানী কার্যের সুযােগ প্রদান না করে সরকার বা বিধিবদ্ধ গণসংস্থার বিরুদ্ধে কোন বে-সরকারি পক্ষের অনুরােধক্রমে এই আদেশের সঠিক বিধানাবলির কোন একটির অধীনে একতরফা অন্তবর্তী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান করবে না, যদি অনুরূপ আদেশে কোন উন্নয়ন কর্মসূচী বা কর্ম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনিষ্ট হওয়ার বা হস্তক্ষেপ করার আশু আংশকা থাকে বা অন্যভাবে জনস্বার্থে অনিষ্টকর হয়।
২) যদি কোন বে-সরকারি পক্ষ অন্তর্বর্তী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত বে-সরকারি পক্ষের বিপক্ষে করে, তবে আদালত সব ক্ষেত্রেই অপর পক্ষকে বিজ্ঞপ্তি দিবার আদেশ দিবে, যদি না প্রতিয়মান হয় যে, দেরীর কারণ নিষেধাজ্ঞা অনুমােদনের উদ্দেশ্যে পরাভূত হয়।
৩) কোন সরকারি পক্ষের অনুরােধে অপর বে-সরকারি পক্ষের বিপক্ষে একতরফা অন্তর্বর্তী বা অস্থায়ী বিষেধাজ্ঞার যদি আদেশ দেয়া হয়, তা হলে অপর পক্ষের হাজির হওয়ার তারিখ হতে সাত দিনের ভিতর আদালত বিষয়টি গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে শুনানী কর্ম ও নিস্পত্তি করবে, যদি না অপর পক্ষের অনুরােধে আরাে সময় বাড়ানাে হয়। যে পক্ষের অনুরােধে এটা প্রদান করা হয়, উক্ত পক্ষ মূলতবী চাহিয়া দরখাস্ত করে বা আদালত শ্রবণকার্যের জন্য আহবান করলেও শুনানী কর্ম করতে অপারগ হয়, তবে উক্ত অন্তর্বর্তী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ তখনই প্রত্যাহার করা যাবে।
৪) যে পক্ষের অনুরােধে অন্তর্বর্তী বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অনুমােদন করা হয়, পরিশেষে যদি তার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, এবং এটা প্রতিয়মান হয় যে, অনুরূপ নিষেধাজ্ঞার জন্যে অপর পক্ষের অনিষ্ট হয়েছে, তবে আদালত মামলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণকালে অপর পক্ষ যে খরচা পাইতে পারে, তার অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণমূলক খরচ অপর পক্ষের অনুকূলে অনুমােদন করবে যা দশ হাজার টাকার বেশি হবে না।
৫) অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার জন্য অনিষ্ট সাধন হওয়ার জন্য উক্ত লােক অপর কোনভাবে যদি খরচ পাওয়ার যােগ্য হয়, তা হলে উপ-বিধি (৪) এর অধীনে অনুমােদনকৃত খরচ পক্ষকে বাড়তি ক্ষতিপূরণ পাইতে অনধিকারী করবে না; কিন্তু যদি অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়, তা হলে উপ-বিধি (৪) এর অধীনে গৃহীত খরচ বিবেচনায় আনিত হবে। (২০০৩ সালের ৪০নং আইন দ্বারা সংশােধিত)
Interlocutory Orders
অন্তর্বর্তীকালীন আদেশগুলাে
আদেশ ৩৯ বিধি ৬ অন্তর্বর্তী বিক্রয়ের আদেশ প্রদানের ক্ষমতা
কোন অস্থাবর সম্পত্তি মামলার বিষয়বস্তু হয়ে থাকে বা রায় ঘােষণার পূর্বেই উক্ত মামলায় ক্রোক করা হয়ে থাকে তবে যা দ্রুত এবং স্বাভাবিক ক্ষয়শীল, বা যা অপর কোন ন্যায় সঙ্গত এবং পর্যাপ্ত কারণে অবিলম্বে বিক্রয় হওয়া বাঞ্চনীয় হতে পারে, তা আদালত মামলার যে কোন পক্ষের দরখাস্তের উপর এর বিবেচনামত যথাযথ পদ্ধতি এবং শর্ত সাপেক্ষে কোন নির্দিষ্ট লােক দ্বারা বিক্রয়ের আদেশ প্রদান করতে পারে।
আদেশ ৩৯ বিধি ৭ মামলার বিষয়বস্তুর আটক সংরক্ষণ পরিদর্শন ইত্যাদি
১) মামলার কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে এবং আদালতের বিবেচনায় এরূপ শর্তে আদালত-
ক) যে সম্পত্তি কোন মামলার বিষয়বস্তু বা যে সম্পত্তি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উঠতে পারে, তা আটক, সংরক্ষণ বা পরিদর্শন করার আদেশ প্রদান করতে পারে;
খ) উপরিউক্ত যাবতীয় বা যে কোন উদ্দেশ্যে কোন লােককে অনুরূপ মামলার অপর কোন পক্ষের দখলে থাকা কোন ভূমিতে বা গৃহাদিতে প্রবেশ করার ক্ষমতা দিতে পারে;
গ) উপরিউক্ত যাবতীয় বা যে কোন উদ্দেশ্যে কোন নমুনা সংগ্রহ বা কোন পর্যবেক্ষণ করার বা পরীক্ষা করতে বা পূর্ণ তথ্য বা সাক্ষ্যের উদ্দেশ্যে দরকারি বা অত্যাবশ্যকীয় অনুভূত হতে পারে, কোন লােককে ক্ষমতা প্রদান করতে পারে।
২) পরােয়ানা জারির বিধানগুলাে এই বিধির অধীনে প্রবেশের ক্ষমতাপ্রাপ্ত লােকদের ক্ষেত্রে দরকারি পরিবর্তন সাধন পূর্বক প্রয়ােগযােগ্য হবে।
আদেশ ৩৯ বিধি ৮ নােটিশের পর অনুরূপ আদেশের জন্য দরখাস্ত করতে হবে
১) মামলা রুজুর পরে যে কোন সময় বিবাদী বরাবর নােটিশ দিবার পর বাদী ৬ বা ৭ বিধির অধীনে আদেশের জন্য দরখাস্ত করতে পারবে।
২) বিবাদী হাজির হওয়ার পর যে কোন সময় বাদী বরাবর নােটিশ দিয়ে অনুরূপ আদেশের জন্য দরখাস্ত করতে পারবে।
আদেশ ৩৯ বিধি ৯ মামলার বিষয়বস্তু ভূমিতে কখন পক্ষকে অবিলম্বে দখলে রাখা যাবে
যেক্ষেত্রে সরকারকে রাজস্ব প্রদানকারী কোন ভূমি বা বিক্রয়ের জন্য দায়ী কোন মধ্যস্বত্ব মামলার বিষয়বস্তু হলে অনুরূপ ভূমি বা মধ্যস্বত্ব দখলকারী পক্ষ যদি সরকারকে রাজস্ব প্রদানে বা মধ্যস্বত্বের মালিকের প্রাপ্য খাজনা পরিশােধে অবহেলা করে এবং ফলে উক্ত ভূমি বা মধ্যস্বত্ব বিক্রয়ের আদেশ দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত ভূমি বা মধ্যস্বত্ব স্বার্থের দাবিদার উক্ত মামলার অপর কোন পক্ষ বিক্রয়ের আগে প্রাপ্য রাজস্ব বা খাজনা পরিশােধ করলে (আদালতের ইচ্ছা অনুযায়ী জামানত সহ বা ব্যতীত) অবিলম্বে তাকে উক্ত ভূমি বা মধ্যস্বত্বের দখলে রাখা হবে এবং আদালত এর ডিক্রীতে অনুরূপে পরিশােধিত টাকা যথাযথ হারে সুদসহ বা উক্ত পরিশােধিত টাকা আদালতের নির্দেশিত হারে সুদসহ অনুরূপ প্রদত্ত টাকা খেলাপকারীর বিরুদ্ধে মামলায় প্রদত্ত ডিক্রীর নির্দেশ অনুযায়ী হিসেবের সমন্বয়নে প্রদান করার আদেশ প্রদান করতে পারে।
আদেশ ৩৯ বিধি ১০ আদালতে টাকা ইত্যাদি জমা প্রদান
কোন পক্ষ যদি এই মর্মে স্বীকার করে যে, অপর এক পক্ষের অছি হিসেবে তার কাছে যেক্ষেত্রে মামলার বিষয়বস্তু টাকা বা অপর কোন অর্পণযােগ্য বস্তু হয় এবং মামলার উক্ত টাকা বা বস্তু আছে, বা তা অপর একপক্ষের বা অপর পক্ষের প্রাপ্য, সেক্ষেত্রে আদালত আদেশ প্রদান করতে পারে যে, তা জামানত সহ বা জামানত ছাড়া আদালতের পরবর্তী নির্দেশ সাপেক্ষে আদালতে জমা হােক বা শেষােক্ত পক্ষ বরাবর অর্পণ করা হােক।