- Get link
- X
- Other Apps
Chapter 28 - Of Execution
আটাশতম অধ্যায় -দণ্ড কার্যকরীকরণ প্রসঙ্গে
ধারা ৩৮১ - ধারা ৩৭৬ এর অধীন প্রদত্ত আদেশ কার্যকরীকরণ
দায়রা আদালত কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পেশ করা হলে উক্ত দায়রা আদালত সেই সম্পর্কে হাইকোর্ট বিভাগের বহালের আদেশ বা অপর কোন আদেশ পাইবার পর পরােয়ানা প্রদান করে বা আবশ্যকীয় অপর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করে উক্ত আদেশ কার্যকর করবেন।
ধারা ৩৮২ গর্ভবতী স্ত্রীলােকের মৃত্যুদণ্ড স্থগিতকরণ
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত স্ত্রীলােককে গর্ভবর্তী পাওয়া গেলে হাইকোর্ট বিভাগ দণ্ড কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখার আদেশ দিবেন অথবা উপযুক্ত মনে করলে দণ্ডহ্রাস করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারবেন।
ধারা ৩৮৩ অপরাপর ক্ষেত্রে কারাদণ্ডাদেশ কার্যকরীকরণ
ধারা ৩৮১ এ যে সমস্ত মােকদ্দমা সম্বন্ধে বিধান আছে সেই সকল ব্যতিত অন্যান্য মােকদ্দমার ক্ষেত্রে আসামি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে দণ্ডদানকারি আদালত সঙ্গে সঙ্গে একটি পরােয়ানা আসামি যে কারায় কারারুদ্ধ রহিয়াছে বা কারাবদ্ধ থাকবে সেই কারাগারে প্রেরণ করবেন এবং ইতােমধ্যে উক্ত কারাগারে না থাকলে তাকে পরােয়ানার সাথে উক্ত কারাগারে প্রেরণ করবেন।
ধারা ৩৮৪ দণ্ড কার্যকর করার নিমিত্তে পরােয়ানা নির্দেশ
কারাদণ্ড কার্যকরী করার নিমিত্তে প্রত্যেক পরােয়ানা আসামি যে কারাগারে বা অন্য যে স্থানে আটক রহিয়াছে বা থাকবে, সেই কারাগারের বা স্থানের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করতে হবে।
ধারা ৩৮৫ পরােয়ানা কাহার নিকট দিতে হবে
আসামিকে যখন কোন কারাগারে আটক রাখতে হবে তখন পরােয়ানা জেলারের নিকট প্রদান করতে হবে।
ধারা ৩৮৬ জরিমানা আদায়ের পরােয়ানা
১) যখন কোন অপরাধীকে জরিমানার দণ্ড দেওয়া হয়, তখন দণ্ডদানকারি আদালত নিম্নবর্ণিত দুইটি উপায় অনুসারে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, অর্থাৎ ইহা
ক) অপরাধীর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক বা বিক্রয় করে জরিমানা আদায়ের নিমিত্তে পরােয়ানা প্রদান করতে পারেন, অথবা
খ) অনাদায়ী অপরাধীর স্থাবর বা অস্থাবর বা উভয় প্রকার সম্পত্তিতে দেওয়ানি পদ্ধতি অনুসারে পরােয়ানা কার্যকর করে জরিমানার টাকা আদায়ের কর্তৃত্ব দিয়া জেলার কালেক্টরকে পরােয়ানা দিতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, যদি দণ্ডাদেশে নির্দেশ থাকে যে, জরিমানা পরিশােধ করা না হলে অপরাধী কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে এবং সে যদি অনাদায় বশতঃ সমগ্র কারাদণ্ড ভােগ করে থাকে, তা হলে কোন আদালত অনুরূপ পরােয়ানা ইস্যু করবে না, কিন্ত বিশেষ কোন কারণবশতঃ আবশ্যক মনে করলে আদালত উক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করে পরােয়ানা প্রদান করতে পারবেন।
২) সরকার উপ-ধারা (১) এর দফা (ক) -এর পরােয়ানা কার্যকরীকরণের পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং উক্ত পরােয়ানা কার্যকরীকরণ প্রসঙ্গে ক্রোককৃত সম্পত্তিতে অপরাধী ছাড়া অপর কোন ব্যক্তির কোন দাবি সংক্ষেপে নির্ধারণের ব্যবস্থা করার নিমিত্তে বিধি প্রণয়ন করতে পারবেন।
৩) আদালত যখন উপ-ধারা (১) এর দফা (খ) এর অধীন কালেক্টরকে পরােয়ানা প্রদান করেন, তখন দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) এর অর্থ অনুসারে উক্ত পরােয়ানাকে ডিক্রী ও কালেক্টরকে ডিক্রীদার বলে ধরে নিতে হবে এবং নিকটতম যে দেওয়ানি আদালত অনুরূপ অর্থের ডিক্রী জারি করতে পারেন উক্ত কার্যবিধির উদ্দেশ্যে সেই আদালতকে উক্ত ডিক্রীদাতা আদালত বলে গণ্য করতে হবে এবং ডিক্রী জারির ব্যাপারে উক্ত কার্যবিধির বিধানাবলী অনুরূপভাবে প্রযােজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, অপরাধীকে গ্রেফতার বা জেলে আটক করে এইরূপ কোন পরােয়ানা কার্যকরী করা হবে না।
ধারা ৩৮৭ এইরূপ পরােয়ানার ফলাফল
কোন আদালত ধারা ৩৮৬ এর উপধারা (১) এর দফা (ক) এর অধীন পরােয়ানা প্রদান করলে তা উক্ত আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে কার্যকর করা যেতে পারে এবং উক্ত সীমার বাহিরে কোন সম্পত্তি থাকলে যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে উক্ত সম্পত্তি অবস্থিত তার অনুমােদনক্রমে উক্ত আদালত উক্ত সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয়ের ক্ষমতা দিতে পারবেন।
ধারা ৩৮৮ কারাদণ্ড কার্যকরীকরণ স্থগিত
১) যখন অপরাধীকে শুধুমাত্র জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত করা হয় ও জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং সাথে সাথে জরিমানা পরিশােধ না করা হয়, তখন আদালত-
ক) আদেশ দিতে পারবেন যে, আদেশের তারিখ হতে অনধিক ত্রিশ দিনের মধ্যে কোন তারিখে বা তৎপূর্বে জরিমানার টাকা সমগ্রই পরিশােধ করতে হবে, বা দুই বা তিনটি কিস্তিতে পরিশােধ করতে হবে এবং কিস্তিবন্দির ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তি আদেশের তারিখ হতে অনধিক ত্রিশ দিনের মধ্যে কোন তারিখে বা তৎপূর্বে পরিশােধ করতে হবে এবং অপরাপর কিস্তি অনধিক ত্রিশ দিনের ব্যবধানে পরিশােধ করতে হবে, এবং
খ) যে তারিখে বা তারিখ সমূহে বা যে তারিখের বা তারিখসমূহের পূর্বে জরিমানা বা উহার কিস্তি পরিশােধ করতে হবে, অপরাধী সেই তারিখে বা তারিখসমূহে আদালতে হাজির হওয়ার শর্তে আদালতের অভিমতানুযায়ী জামিনদারসহ বা ব্যতিত একটি বণ্ড সম্পাদন করলে কারাদণ্ডের আদেশ কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখিবেন এবং অপরাধীকে অব্যাহতি দিবেন এবং আদেশ মাফিক সর্বশেষ যে তারিখে জরিমানা বা উহার কিস্তি পরিশােধ করতে হবে, সেই তারিখে বা তৎপূর্বে উহা আদায় না হলে আদালত সাথে সাথে কারাদণ্ডের আদেশ কার্যকরী করার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন।
২) যেক্ষেত্রে টাকা পরিশােধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে ও টাকা আদায় না হলে কারাদণ্ড দেওয়া হবে এবং টাকা সাথে সাথে পরিশােধ করা না হয় সেক্ষেত্রেও উপধারা (১) এর বিধানসমূহে প্রযােজ্য হবে, এবং যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত আদেশ দেওয়া হয়েছে সেই ব্যক্তিকে উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত বন্ড সম্পাদন করতে বলা সত্ত্বেও সে যদি উহা না করে, তা হলে আদালত সাথে সাথে কারাদণ্ডের আদেশ দিতে পারবেন।
ধারা ৩৮৯ কে পরােয়ানা ইস্যু করতে পারে
যে জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট দণ্ড দিয়াছেন তিনি বা তার স্থলাভিষিক্ত জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত দণ্ড কার্যকরীকরার জন্য পরােয়ানা ইস্যু করতে পারবেন।
ধারা ৩৯০ শুধুমাত্র বেত্র দণ্ড কার্যকরীকরণ
আসামি যখন শুধুমাত্র বেত্রদণ্ডে দণ্ডিত হয় তখন উক্ত দণ্ড ধারা ৩৯১ এর বিধান সাপেক্ষে আদালত যে সময় ও স্থান নির্দিষ্ট করেন সেই সময়ে ও স্থানে কার্যকরী হবে।
ধারা ৩৯১ কারাদণ্ডের সাথে বেত্ৰদণ্ড কার্যকরীকরণ
১) যখন আসামি-
ক) শুধুমাত্র বেত্রদণ্ডে দণ্ডিত হয় এবং আদালত যে সময় ও স্থান নির্দিষ্ট করেন সেই সময়ে ও স্থানে হাজির হওয়ার জন্য আদালতের সন্তুষ্টিক্রমে জামিননামা দাখিল করে, বা
খ) কারাদণ্ড ছাড়াও বেত্রদণ্ডে দণ্ডিত হয়, তখন দণ্ডের তারিখ হতে পনের দিন অতিক্রান্ত না হওয়া অবধি, অথবা আপিল করা হলে আপিল আদালত কর্তৃক দণ্ড বহাল না হওয়া অবধি বেত্রদণ্ড কার্যকরী করা যাবে না; তবে পনের দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর যথাসম্ভব শীঘ্র, বা, আপিল করা হলে আপিল আদালতের বহালের আদেশ লাভের পর যথাসম্ভব শীঘ্ৰ বেত্রদণ্ড আরােপ করা যাবে।
২) জজ কিংবা ম্যাজিস্ট্রেট যদি নিজের উপস্থিতিতে বেত্ৰদণ্ড কার্যকরীকরার আদেশ না দেন, তা হলে জেলখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উহা কার্যকরী করতে হবে।
৩) কোন আসামি যখন তিনমাসের নিম্নতর সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় তখন তাকে কারাদণ্ড ছাড়াও বেত্রদণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে না।
ধারা ৩৯২ শাস্তি দিবার পদ্ধতি
১) ষােল বৎসর কিংবা ষােল বৎসরের অধিক বয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম আধ ইঞ্চি পরিধি বিশিষ্ট হালকা বেত্র দ্বারা সরকার যে পদ্ধতিতে এবং শরীরের যে স্থানে আঘাতের নির্দেশ দেন, সেই পদ্ধতিতে এবং শরীরের সেই স্থানে আঘাত করতে হবে এবং ষােল বৎসরের কম বয়স্ক কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সরকার যে পদ্ধতিতে ও শরীরের যে স্থানে এবং সেই জিনিস দ্বারা আঘাত করতে হবে।
২) বেত্রাঘাতের সংখ্যা সীমা
বেত্রঘাতের সংখ্যা কোন অবস্থাতেই ত্রিশের অধিক হবে না এবং ষােল বৎসরের কম বয়স্ক ব্যক্তির পক্ষে পনের এর বেশি হবে না।
ধারা ৩৯৩ কিস্তিতে দণ্ড কার্যকরী করা যাবে না, রেহাই
কোন বেত্রদণ্ডই কিস্তিবন্দিতে কার্যকর করা যাবে না; এবং নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিদের কেহই বেত্রদণ্ডে দণ্ডিত হবে না -
ক) শ্রীলােক,
খ) মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কিংবা পাঁচ বৎসরের অধিক কারাদণ্ডে দণ্ডিত পুরুষ
গ) আদালত যেই ব্যক্তিকে পয়তাল্লিশ বৎসরের অধিক বয়স্ক বলে মনে করেন, সেইরূপ পুরুষ।
ধারা ৩৯৪ আসামি স্বাস্থ্যগত ভাবে উপযুক্ত না হলে দেণ্ড আরােপ করা যাবে না
১) কোন মেডিকেল কর্মকর্তা উপস্থিত থাকলে তিনি যদি অপরাধীর দণ্ড ভােগ করার উপযুক্ত স্বাস্থ্য রহিয়াছে বলে প্রত্যায়িত না করেন, বা মেডিকেল কর্মকর্তা উপস্থিতি না থাকলে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তার নিকট যদি দোষী ব্যক্তির দণ্ড ভােগার উপযুক্ত স্বাস্থ্য রহিয়াছে বলে প্রতীয়মান না হয়, তবে বেত্রাঘাত আরােপ করা যাবে না।
২) কার্যকরীকরণ স্থগিত রাখা
বেত্ৰদণ্ড কার্যকরী করার সময় মেডিকেল কর্মকর্তা যদি সার্টিফিকেট দেন বা উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেট বা কর্মকর্তার নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, অপরাধীর অবশিষ্ট দণ্ড ভােগ করার মত উপযুক্ত স্বাস্থ্য বিদ্যমান নাই, তা হলে বেত্রাঘাত চূড়ান্তভাবে বন্ধ করতে হবে।
ধারা ৩৯৫ - ধারা ৩৯৪ এর অধীন দণ্ড দেওয়া না গেলে তখনকার পদ্ধতি
১) যে ক্ষেত্রে ধারা ৩৯৪ এর অধীন বেত্ৰদণ্ড সম্পূর্ণ বা আংশিক কার্যকরী করা না যায়, সেক্ষেত্রে দণ্ডদানকারি আদালত দণ্ড পরিবর্তন না করা পর্যন্ত দোষী ব্যক্তিকে কারাগারে রাখতে হবে এবং উক্ত আদালত ইহার বিবেচনামূলক ক্ষমতাবলে দণ্ড মওকুফ করতে পারবেন অথবা অপরাধীকে বেত্রদণ্ডের পরিবর্তে বা বেত্ৰ দণ্ডের যে অংশ বলবৎ করা হয় নাই তার পরিবর্তে বার মাসের অনধিক কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবেন এবং একই অপরাধের জন্য সে অন্য কোন দণ্ডে দণ্ডিত হলে সেই দণ্ড ছাড়াও এই দণ্ড দেওয়া হবে।
২) আসামি আইনত যে পরিমাণ কারাদণ্ড বা জরিমানায় দণ্ডনীয় কিংবা আদালত যে পরিমাণ দণ্ড দিতে সক্ষম, অত্র ধারায় উক্ত আদালতকে তা অপেক্ষা অধিক দণ্ড দিবার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে ধরে লওয়া যাবে না।
ধারা ৩৯৬ পলাতক কয়েদীর দণ্ড কার্যকরীকরণ
১) এই বিধির অধীন কোন পলাতক কয়েদী দণ্ডিত হলে এবং উক্ত দণ্ড মৃত্যুদণ্ড, জরিমানা বা বেত্রদণ্ড হলে ইতােপূর্বে বর্ণিত বিধান সাপেক্ষে উহা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং কারাদণ্ড হলে নিম্নবর্ণিত নিয়মানুসারে কার্যকরী হবে, অর্থাৎ
২) পলায়নের সময় কয়েদী যে দণ্ড ভােগ করতেছিল তা অপেক্ষা নতুন দণ্ড কঠোরতর হলে নতুন দণ্ড অবিলম্বে কার্যকর হবে।
৩) পলায়নের সময় কয়েদী যে দণ্ড ভােগ করতেছিল, তা অপেক্ষা নতুন দণ্ড কঠোরতর না হলে, পলায়নের সময় কয়েদীর পূর্বতন দণ্ডের যে পরিমাণ অনতিক্রান্ত ছিল উহার সমপরিমাণ অতিরিক্ত কারাদণ্ড, যাই হউক, ভােগ করার পর যখন দণ্ড কার্যকর হবে।
ব্যাখ্যা।-অত্র ধারার উদ্দেশ্যে
ক) কারাদণ্ড হতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কঠোরতর বলে ধরে নিতে হবে;
খ) নির্জন বা কারাদণ্ডে নির্জন বাস ছাড়া একই ধরণের কারাদণ্ড অপেক্ষা কঠোর বলে ধরে নিতে হবে;
গ) সশ্রম কারাদণ্ড নির্জন বাসসহ বা ব্যতিত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অপেক্ষা কঠোর বলে ধরে নিতে হবে।
ধারা ৩৯৭ অপর একটি অপরাধের জন্য দণ্ডিত আসামিকে দণ্ডদান
যখন কোন ব্যক্তি পূর্ব হতে কারাদণ্ড ভােগ করার সময় পুনরায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়, তখন পরবর্তী কারাদণ্ডে পূর্ববর্তী কারাদণ্ডের মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পর আরম্ভ হবে, অবশ্য আদালত যদি পূর্ববর্তী দণ্ড পরবর্তী দণ্ডের সাথে একসঙ্গে চলিবে বলে নির্দেশ না দেন। তবে শর্ত থাকে যে, যখন যদি কারাদণ্ড ভােগ করতে থাকে এবং পরবর্তী কারাদণ্ড যদি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়, তা হলে, আদালত স্বীয় সুবিবেচনায় নির্দেশ দিতে পারেন যে, পরবর্তী দণ্ড অবিলম্বে শুরু হবে কিংবা পূর্ববর্তী কারাদণ্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর শুরু হবে। তবে আরাে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি জামানত দিবার অক্ষমতায় ধারা ১২৩ এর অধীন প্রদত্ত আদেশে কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় এবং এই দণ্ড ভােগ করার সময় উক্ত আদেশ দানের পূর্বে কৃত কোন অপরাধের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়, তখন পরবর্তী দণ্ড সাথে সাথে আরম্ভ হবে।
ধারা ৩৯৮ - ৩৯৬ এবং ৩৯৭ ধারার ব্যতিক্রম
১) কোন ব্যক্তি তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী দণ্ডাদেশে যে দণ্ডে দণ্ডনীয় তার কোন অংশ ধারা ৩৯৬ বা ধারা ৩৯৭ মােতাবেক মওকুফ বলে গণ্য করা যাবে না।
২) যখন কোন মূল কারাদণ্ডে বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাথে জরিমানা অনাদায়ে কারাদণ্ড সংযুক্ত থাকে এবং দণ্ড ভােগকারি ব্যক্তিকে দণ্ডের মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হওয়ার পর আরও এক বা একাধিক মূল দণ্ড ভােগ করতে হবে, তখন সে এই অতিরিক্ত মূল দণ্ড ভােগ করা পর্যন্ত জরিমানা আদায়ে কারাদণ্ড কার্যকরী করা যাবে না ।
ধারা ৩৯৯ তরুণ অপরাধীকে সংশােধনাগারে আটক রাখা
১) যখন কোন ফৌজদারি আদালত পনের বছরের কম বয়স্ক কোন ব্যক্তিকে অপরাধের জন্য কারাদণ্ড প্রদান করেন, তখন উক্ত আদালত নির্দেশ দিবেন যে, ঐ ব্যক্তিকে ফৌজদারি কারাগারে আটক না করে তাকে আটক রাখার উপযুক্ত স্থান হিসাবে কারাগারে বন্দী না করে তাকে আটক রাখার উপযুক্ত স্থান হিসাবে সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কোন সংশােধনমূলক প্রতিষ্ঠানে আটক রাখতে হবে, যেখানে সঠিক শৃংখলা ও কোন দরকারি শিল্পের কোন শাখায় শিক্ষার ব্যবস্থা রহিয়াছে, বা তাকে কোন ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত অনুরূপ প্রতিষ্ঠানে আটক রাখতে হবে, যে ব্যক্তি আটক ব্যক্তিদের শৃংখলা ও শিক্ষার জন্য সরকার কর্তৃক প্রণীত নিয়মাবলী অনুসারে করতে ইচ্ছুক।
২) অত্র ধারার অধীন আটক সকল ব্যক্তির প্রতি উক্তরূপ প্রণীত নিয়মাবলী প্রযােজ্য হবে।
৩) ১৯৭৩ সনের ৮নং আইনের ধারা ৩ এবং দ্বিতীয় তফসিল বলে বাতিলকৃত।
ধারা ৪০০ দণ্ড কার্যকর করার পর পরােয়ানা প্রত্যর্পণ
যখন দণ্ড সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা হয়েছে, তখন যে পদ্ধতিতে তা কার্যকর করা হয়েছে সম্পাদনকারি কর্মকর্তা উহার সত্যতা অনুমােদন করে নিজ হাতে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত সার্টিফিকেটসহ পরােয়ানাটি উহার ইস্যুকারি আদালতের নিকট প্রত্যর্পণ করবেন।