- Get link
- X
- Other Apps
Chapter 16
Of Complaints to Magistrates
ধারা ২০০ ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট ফরিয়াদীর জবানবন্দি
নালিশের ভিত্তিতে অপরাধ আমলে আনয়নকারি ম্যাজিস্ট্রেট অবিলম্বে ফরিয়াদীকে এবং উপস্থিত যদি থাকে, সাক্ষীগণের মধ্যে যে কয়জনের উপযুক্ত বিবেচনা করেন, তাদের শপথ গ্রহণপূর্বক জবানবন্দি গ্রহণ করবেন ও জবানবন্দির সারাংশ লিপিবদ্ধ করবেন এবং ফরিয়াদী বা এইরূপ সাক্ষী উহাতে স্বাক্ষর দান করবেন, এবং ম্যাজিস্ট্রেটও স্বাক্ষর দান করবেন।
তবে শর্ত নিম্নে প্রদত্ত হলাে যে-
ক) যখন লিখিত নালিশ করা হয় তখন ধারা ১৯২ এর অধীন মােকদ্দমাটি হস্তান্তরের পূর্বে এইরূপ জবানবন্দি গ্রহণের প্রয়ােজন আছে বলে এখানে কিছুই বর্ণিত হয় নাই।
কক) যখন লিখিত নালিশ করা হয় এবং আদালত বা সরকারি কর্মচারী তার সরকারি কর্তব্য সম্পাদনের সময় এই ধারণা করা হয় যে সরকারি কর্তব্য সম্পাদনের সময় এই নালিশ করেন, তখন ফরিয়াদীর এইরূপ জবানবন্দি গ্রহণের প্রয়ােজন আছে বলে এখানে কিছুই বর্ণিত হয় নাই।
খ) প্রশাসনিক আদেশ, ১৯৪৯ এর তফসিল বলে বাতিলকৃত।
গ) যখন ধারা ১৯২-এর অধীন মােকদ্দমা হস্তান্তর করা হয় এবং হস্তান্তরকারি ম্যাজিস্ট্রেট পূর্বেই ফরিয়াদীর এবং সাক্ষী থাকলে স্বাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন, তখন যে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট মােকদ্দমা হস্তান্তর করা হয়, তিনি পুনরায় তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করতে বাধ্য হবেন না।
ধারা ২০১ মােকদ্দমা আমলে নিবার ক্ষমতা ম্যাজিস্ট্রেটের না থাকলে তখনকার পদ্ধতি
(১) যদি এমন কোন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট লিখিত অভিযােগ করা হয়, যিনি আমলে লওয়ার যােগ্যতাসম্পন্ন নহেন, তা হলে তিনি যথাযথ আদালতে পেশ করার জন্য সেই মর্মে পৃষ্ঠাঙ্কন করে অভিযােগটি ফেরৎ দিবেন।
২) উক্ত অভিযােগ যদি লিখিতভাবে করা না হয়, তা হলে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদীকে উপযুক্ত আদালতে যেতে নির্দেশ প্রদান করবেন।
ধারা ২০২ পরােয়ানা ইস্য স্থগিত রাখা
১) কোন ম্যাজিস্ট্রেট যে অপরাধ আমলে নিবার জন্য ক্ষমতাসম্পন্ন, সেই অপরাধের অভিযোেগ পাইবার পর কিংবা ধারা ১৯২ এর অধীন,উহা তার নিকট হস্তান্তরিত হওয়ার পর, তিনি যদি উপযুক্ত মনে করেন তা হলে কারণ লিপিবদ্ধ করে আসামিকে হাজির হতে বাধ্য করার সমন বা পরােয়ানা প্রদান স্থগিত রাখতে পারবেন এবং নালিশের সত্য মিথ্যা নিরূপণের উদ্দেশ্যে নিজে ঘটনা সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে পারবেন অথবা তিনি যদি তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট না হন, তা হলে তার অধীনস্থ অন্য কোন ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা তিনি উপযুক্ত বলে মনে করেন এইরূপ অপর কোন ব্যক্তিকে এই বিষয়ে অনুসন্ধান বা তদন্তকরার নির্দেশ দিতে পারেন: তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে আদালত নালিশ করেন, সেই ক্ষেত্র ব্যতিত অন্যান্য ক্ষেত্রে ধারা ২০০-এর বিধানাবলী পরিপালন করা না হলে এইরূপ কোন নির্দেশ দেওয়া যাবে না। তবে আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, যে অপরাধের জন্য অভিযােগ করা হয়েছে তা একান্তভাবে দায়রা আদালতেই বিচার্য, সেক্ষেত্রে যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযােগ করা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে হাজির হতে বাধ্য করার পরােয়ানা দেওয়া স্থগিত রাখিবেন এবং অভিযােগের সত্যতা ও অসত্যতা নিরূপনের উদ্দেশ্যে এই উপ-ধারায় উল্লিখিত অনুসন্ধান বা তদন্ত করবেন বা করাবেন।
২) এই ধারার অধীন অনুসন্ধান বা তদন্ত যে ব্যক্তি করবেন তিনি যদি ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কর্মকর্তা না হন, তবে তিনি অত্র কার্যবিধি অনুসারে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারের ক্ষমতা ছাড়া কোন থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার যাবতীয় ক্ষমতা প্রয়ােগ করবেন।
২ক) এই ধারার অধীন কোন ঘটনা তদন্তকারি ম্যাজিস্ট্রেট উপযুক্ত মনে করেন, তবে তিনি সাক্ষীদের শপথপূর্বক সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ম্যাজিস্ট্রেটের ইহা যদি প্রতীয়মান হয় যে, যেই অপরাধের জন্য অভিযােগ করা হয়েছে তা একমাত্র দায়রা আদালতেই বিচার্য, সেই ক্ষেত্রে তিনি ফরিয়াদীকে তার সমস্ত সাক্ষীগণকে হাজির করতে নির্দেশ দিবেন এবং তাদের শপথ গ্রহণ করিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ করাবেন।
২খ) পুলিশ চূড়ান্ত রিপাের্ট দাখিল করলে ম্যাজিস্ট্রেট অনুরূপ রিপাের্ট গ্রহণ করতে এবং তদনুযায়ী আসামিকে খালাস দিতে পারবেন।
ধারা ২০৩ নালিশ খারিজকরণ
যার নিকট অভিযােগ করা হয়েছে, বা যার নিকট উহা হস্তান্তর করা হয়েছে, সেই ম্যাজিস্ট্রেট ফরিয়াদী কর্তৃক শপথপূর্বক প্রদত্ত বিবৃতি (যদি থাকে) এবং ধারা ২০২ এর অধীন পরিচালিত অনুসন্ধান বা তদন্তের ফলাফলে (যদি থাকে) বিবেচনার পর অগ্রসর হওয়ার মত কোন কারণ না পাইলে নালিশ খারিজ করতে পারবেন। এইরূপ ক্ষেত্রে তিনি সংক্ষেপে তার এইরূপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন।