- Get link
- X
- Other Apps
Joinder of Charges
অভিযোগ সমূহের সংযুক্তকরণ
ধারা ২৩৩ সুস্পষ্ট অপরাধের জন্য পৃথক অভিযােগ
ধারা ২৩৪, ২৩৫, ২৩৬ ও ২৩৯-এ উল্লিখিত ক্ষেত্র ব্যতিত কোন ব্যক্তি অপরাধে অভিযুক্ত হলে প্রত্যেকটি সুস্পষ্ট অপরাধের জন্য পৃথক অভিযােগ হবে এবং এইরূপ প্রত্যেক অভিযােগসমূহের বিচার পৃথক হবে।
সুস্পষ্ট অপরাধের জন্য পৃথক অভিযােগ
উদাহরণ
ক একটি ক্ষেত্রে চুরি এবং অপর একটি ক্ষেত্রে গুরুতর আঘাতের অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছে। চুরি ও মারাত্মক আঘাত করার জন্য ক-এর বিরুদ্ধে অবশ্যই পৃথকভাবে অভিযােগ গঠন করতে হবে এবং তার বিচার পৃথকরূপে করতে হবে।
ধারা ২৩৪ একই ধরণের তিনটি অপরাধ এক বৎসরের মধ্যে হলে একত্রে অভিযােগ করা যাবে
১) যখন কোন ব্যক্তি একই ধরণের একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত হয় এবং অপরাধসমূহ প্রথম অপরাধ হতে শেষ অপরাধ পর্যন্ত বার মাস সময়ের মধ্যে সংঘটিত হয়, তখন অপরাধসমূহ একই ব্যক্তি সম্পর্কিত হউক বা না হউক, তার বিরুদ্ধে তিন এর অনধিক যে কোন সংখ্যক অপরাধের জন্য অভিযােগ গঠন করা যেতে পারে এবং একটিমাত্র মােকদ্দমায় বিচার করা যেতে পারে।
২) অপরাধসমূহ যখন দণ্ডবিধি বা কোন বিশেষ বা স্থানীয় আইনের একই ধারা অনুসারে একই পরিমাণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হয়, তখন উক্ত অপরাধসমূহকে একই ধরণের বলে গণ্য করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, অত্র ধারার উদ্দেশ্যে, দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৯-এ দণ্ডনীয় কোন অপরাধকে উক্ত বিধির ধারা ৩৮০-এ দণ্ডনীয় অপরাধের সাথে একই ধরণের বলে গণ্য করতে হবে এবং দণ্ডবিধি বা কোন বিশেষ বা স্থানীয় আইনের কোন ধারায় দণ্ডনীয় কোন অপরাধের মত এইরূপ অপরাধের চেষ্টা একই ধরণের অপরাধ বলে গণ্য করতে হবে যখন চেষ্টা একটি অপরাধ হয়।
ধারা ২৩৫ একাধিক অপরাধের বিচার
১) যদি পরম্পরায় সংঘটিত কতকগুলি কার্য পরস্পরের সাথে এইরূপ সম্পর্কযুক্ত হয় যে, কার্যগুলি একটিমাত্র কার্যের সামিল এবং একই ব্যক্তি যদি উক্ত কার্য সম্পর্কিত ব্যাপারে একাধিক অপরাধ করে থাকে, তা হলে এইরূপ প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য তার বিরূদ্ধে অভিযােগ করে একটি মাত্র মামলায় বিচার করা যাবে।
২) দুইটি সংজ্ঞার অন্তর্ভূক্ত অপরাধ
অভিযােগকৃত কার্যগুলি যদি এমন একটি অপরাধ সৃষ্টি করে, যা বর্তমানে বলবৎ এমন কোন আইনের দ্বারা অপরাধের সংজ্ঞা ও দণ্ড দেওয়া সেই আইনের দুই বা ততােধিক পৃথক সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হয়, তা হলে উক্ত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরূদ্ধে অনুরূপ প্রত্যেকটি অপরাধের জন্য অভিযােগ করা যাবে এবং একই মামলায় বিচার করা যাবে।
৩) যে কার্যের দ্বারা একটি অপরাধ হয় কিন্তু একত্রিত করা হলে ভিন্ন অপরাধ হয়
কতকগুলি কার্যের মধ্যে একটি যদি এককভাবে বা একাধিক কার্য যদি একত্রে একটি অপরাধ সৃষ্টি করে এবং সকল কার্যসমূহ সম্মিলিতভাবে একটি পৃথক অপরাধ গঠন করে তা হলে উক্ত অপরাধসমূহে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত মিলিত কার্যসমূহের অপরাধ বা একটি কার্যের একক অপরাধ বা সংযুক্ত একাধিক কার্যের অপরাধের জন্য অভিযােগ গঠন করা যাবে এবং একই মােকদ্দমায় তার বিচার করা যাবে।
৪) এই ধারার কোন বিধান দণ্ডবিধি (১৮৬০ সালের ৪৫নং আইন) এর ৭১ ধারাকে প্রভাবিত করবে না।
একাধিক অপরাধের বিচার সম্পর্কিত উদাহরণসমূহ
উপ-ধারা (১) সম্পর্কিত
ক) ক গ-নামক জনৈক কনস্টেবলের আইনসংগত হেফাজত হতে খ-কে উদ্ধার করিল এবং এইরূপ করার সময় গ কে ক মারাত্মক আঘাত করিল। ক-এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ২২৫ ও ৩৩৩ এর অধীন অপরাধের জন্য অভিযােগ গঠন করা যেতে পারে এবং তাদের দণ্ডিত করা যেতে পারে।
খ) ক ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে দিনের আলােয় ঘর ভাঙ্গে এবং ঘরে প্রবেশ করে খ-এর সাথে ব্যাভিচার সংঘটন করে। ক-এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ৪৫৪ ৪৯৭ এর অধীন অপরাধের জন্য অভিযােগ গঠন করা যেতে পারে এবং তাকে দণ্ডিত করা যেতে পারে।
গ) ক ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে গ-এর স্ত্রী খ-কে গ-এর নিকট হতে ফুসলিয়ে নিয়ে গেল এবং তার সঙ্গে ব্যাভিচার সংগঠন করিল। ক-এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ৪৯৮ ও ৪৯৭ এর অধীন অপরাধের দায়ে পৃথকভাবে অভিযােগ গঠন করা যেতে পারে এবং তাকে দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ঘ) দন্ডবিধি (১৮৬০ সালের ৪৫ নং আইন) এর ধারা ৪৬৬ এর অধীনে দন্ডনীয় কতক জালিয়াতি করার উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য ক নকল জেনেও কতিপয় সীল দখলে রেখেছে। প্রত্যেক সীল দখলে রাখার জন্য ক-কে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধার ৪৭৩ এ অভিযুক্ত করা যেতে পারে এবং দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ঙ) ন্যায় ও আইনসঙ্গত কোন কারণ নাই জ্ঞাত থাকিয়াও খ- কে ক্ষতিগ্রস্ত করার মানসে ক তার বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করে, এবং ইহা ব্যতিত ন্যায় বা আইনসংগত কোন কারণ নাই জ্ঞাত থাকিয়াও খ একটি অপরাধ করেছে বলে মিথ্যা অভিযােগ করে। দুইটি অপরাধের জন্য ক-কে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ২১১ এর অধীন পৃথকভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
চ) ন্যায় ও আইনসঙ্গত কোন কারণ নাই জ্ঞাত থাকিয়াও খ- কে ক্ষতিগ্রস্তকরার মানসে সে একটি অপরাধ করেছে বলে ক তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযােগ করিল। বিচারের সময় খ-কে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে ক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে। ক কে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ২১১ ও ১৯৪ এর অধীন অপরাধের জন্য পৃথকভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ছ) ক অপর ছয় ব্যক্তির সাথে দাঙ্গা, মারাত্মক আঘাত এবং উক্ত দাঙ্গা দমনের ব্যাপারে কর্তব্যরত জনৈক সরকারি কনস্টেবলকে প্রহারের অপরাধ করিল। ক-কে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ১৪৭, ৩২৫ ও ১৫২ এর অধীন অপরাধের জন্য পৃথকভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
জ) খ, গ ও ঘ-কে ভীত-সন্ত্রস্তকরার উদ্দেশ্যে ক একই সময়ে তাদেরকে আঘাত করার হুমকি দিল। ক-কে অপরাধের প্রত্যেকটির জন্য পৃথকভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
(ক) হতে (জ) উদাহরণসমূহে উল্লিখিত পৃথক অভিযােগগুলির বিচার একই সময়ে করা যেতে পারে।
উপ-ধারা (২) সম্পর্কিত
ঝ) ক অন্যায়ভাবে খ -কে বেত্রাঘাত করিল । ক -কে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ৩৫২ ও ৩২৩ এর অধীন পৃথকভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ঞ) কিছু সংখ্যক চোরাই শস্য লুকিয়ে রাখার জন্য ক ও খ এর নিকট দেওয়া হলাে। তারা জ্ঞাত ছিল যে, উহা চোরাইমাল। অতঃপর বস্তাসমূহ একটি শস্য রাখার গর্তের তলদেশে লুকিয়ে রাখার ব্যাপারে ক ও খ পরস্পরকে স্বেচ্ছায় সাহায্য করিল। ক ও খ-কে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ৪১১ ও ৪১৪ এর অধীন অপরাধের জন্য পৃথকভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ট) ক এমনভাবে তার শিশু সন্তানকে উন্মুক্ত অবস্থায় রাখিল যে উহার ফলে তার মৃত্যু হতে পারে তা সে জ্ঞাত ছিল। এইরূপ উন্মুক্ত অবস্থায় রাখার ফলে শিশুটি মৃত্যু বরণ করে। ক-কে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ৩১৭ ও ৩০৪ এর অধীন পৃথকভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ঠ) দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ১৬৭ এর অধীন খ-নামক জনৈক সরকারি কর্মচারীকে দণ্ডিত করার উদ্দেশ্যে ক অসৎভাবে একটি দলিলকে প্রকৃত প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করিল। ক -কে একই বিধির ৪৭১ (৪৬৬ ধারাসহ) এবং ধারা ১৯৬ এর অধীন অপরাধের জন্য পৃথকভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
উপ-ধারা (৩) সম্পর্কিত
ড) ক খ-এর উপর দস্যুতা করে, এবং এইরূপ করতে গিয়া তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে জখম করে। ক -কে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ৩২৩, ৩৯২ ও ৩৯৪ এর অধীন অপরাধের জন্য পৃথকভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ধারা ২৩৬ কি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সে সম্পর্কে যেক্ষেত্রে সন্দেহ থাকে
যদি একটিমাত্র কার্য বা ধারাবাহিক কতিপয় কার্য এইরূপ প্রকৃতির হয় যে, যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ করা যায়, তার ভিত্তিতে কতিপয় অপরাধের মধ্যে কোনটি সংঘটিত হয় সে সম্পর্কে সন্দেহ থাকে, তা হলে আসামিকে এইরূপ সকল বা কোন একটি অপরাধে অভিযুক্ত করা যেতে পারে এবং এইরূপ যে-কোন সংখ্যক অভিযােগের বিচার একই সময়ে হতে পারে; অথবা তাকে উক্ত অপরাধসমূহের মধ্যে যে কোন একটির জন্য বিকল্পভাবে অভিযুক্ত করা যাবে।
কি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সে সম্পর্কে যেক্ষেত্রে সন্দেহ থাকে সম্পর্কিত উদাহরণসমূহ
ক) ক এমন একটি কাজ করেছে যা চুরি কিংবা চোরাইমাল গ্রহণ বা অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ বা প্রতারণা হতে পারে। তাকে চুরি, চোরাইমাল গ্রহণ, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার জন্য অভিযুক্ত করা যেতে পারে এবং তাকে চুরি, চোরাইমাল গ্রহণ কিংবা অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ বা প্রতারণার জন্য অভিযুক্ত করা যেতে পারে।
খ) ক -শপথ গ্রহণপূর্বক ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট বলে যে, সে খ -কে লাঠি দ্বারা গ -কে জখম করতে দেখিয়াছিল। কিন্তু দায়রা আদালতে ক শপথ গ্রহণপূর্বক বলে যে, খ কখনােই গ-কে জখম করে নাই। যদি পরস্পর বিরােধী বিবৃতিসমূহের মধ্যে কোন্টি মিথ্যা তা প্রমাণ করা যায় না। তবুও ক-কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকরার জন্য বিকল্পভাবে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ধারা ২৩৭ এক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অন্য অপরাধে দণ্ডিত করা যেতে পারে
ধারা ২৩৬ -এ উল্লিখিত ক্ষেত্রে আসামিকে যে অপরাধের জন্য অভিযুক্ত হয়, সাক্ষ্য-প্রমাণে দেখা যায় যে, সে ভিন্ন অপরাধ করেছে, এবং এই ভিন্ন অপরাধের জন্য তাকে উক্ত ধারা অধীন অভিযুক্ত করা যেত, তা হলে যে অপরাধ সে করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তার জন্য অভিযুক্ত না হলেও তাকে দণ্ডিত করা যেতে পারে।
এক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অন্য অপরাধে দণ্ডিত করা যেতে পারে সম্পর্কিত উদাহরণ
ক চুরির অপরাধে অভিযুক্ত হলাে। কিন্তু দেখা গেল যে, সে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ বা চোরাইমাল গ্রহণের অপরাধ করেছিল। উক্ত অপরাধে অভিযুক্ত না হলেও তাকে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ বা চোরাইমাল গ্রহণের দায়ে (যেখানে যেরূপ) দণ্ডিত করা যেতে পারে।
ধারা ২৩৮ যখন প্রমাণিত অপরাধ অভিযােগের অন্তর্ভূক্ত থাকবে
১) যখন কোন ব্যক্তি এমন একটি অপরাধে অভিযুক্ত হয়, যা কতিপয় তথ্য সমন্বয়ে গঠিত এবং সকল তথ্যের কতকগুলি সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ লঘু অপরাধ গঠিত হয় এবং কিন্তু অবশিষ্ট তথ্যসমূহ প্রমাণিত হয় না, তখন অভিযুক্ত না হয়ে থাকলেও তাকে উক্ত লঘু অপরাধের জন্য দণ্ডিত করা যাবে।
২) যখন কোন ব্যক্তি কোন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয় এবং প্রমাণিত তথ্যাবলী উহাকে হ্রাস করে লঘুতর অপরাধে পরিণত করে, তখন অভিযুক্ত না হয়ে থাকলেও তাকে উক্ত লঘুতর অপরাধের জন্য দণ্ডিত করা যাবে।
২ক) যখন কোন ব্যক্তিকে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়, তখন প্রকৃতভাবে অভিযােগ করা না হয়ে থাকলেও তাকে উক্ত অপরাধ করার চেষ্টার জন্য দণ্ডিত করা যাবে।
৩) ধারা ১৯৮ বা ১৯৯-এ বর্ণিত প্রয়ােজন মােতাবেক নালিশ করা না হয়ে থাকলে, এই ধারায় এমন কিছু নাই, যার বলে উক্ত ধারাদ্বয়ে বর্ণিত অপরাধের জন্য দণ্ড প্রদান করা যাবে।
যখন প্রমাণিত অপরাধ অভিযােগের অন্তর্ভূক্ত থাকবে উদাহরণসমূহ
ক) ক দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ৪০৭ ধারার অধীন বাহক হিসাবে তার নিকট প্রদত্ত মাল সম্পর্কে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হলাে। তবে দেখা গেল যে, সেই মাল সম্পর্কে সে ধারা ৪০৬ এর অধীন অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করেছে, কিন্তু উক্ত মাল বাহক হিসাবে তার নিকট প্রদত্ত হয় নাই। তাকে ধারা ৪০৬ এর অধীন অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের জন্য দণ্ডিত করা যাবে।
খ) ক দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ৩২৫ এর অধীন মারাত্মক জখমকরার অপরাধে অভিযুক্ত হলাে। সে প্রমাণ করিল যে, সে মারাত্মক ও আকস্মিক উত্তেজনার বশে কাজ করেছিল; তাকে উক্ত বিধির ৩৩৫ ধারার অধীন দণ্ডিত করা যাবে।
ধারা ২৩৯ যে সকল ব্যক্তিকে একত্রে অভিযুক্ত করা যাবে
নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিগণকে একত্রে অভিযুক্ত ও বিচার করা যাবে,
ক) একই কাজ-কারবারে কৃত একই অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ;
খ) কোন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং উক্ত অপরাধে সহায়তা দেওয়া বা উক্ত অপরাধ করার চেষ্টার অভিযােগে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ;
গ) বার মাস সময়ের মধ্যে যুক্তভাবে কৃত ধারা ২৩৪ এর অর্থানুসারে একই ধরণের একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ;
ঘ) একই কাজ-কারবারে কৃত বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ;
ঙ) চুরি, বলপূর্বক অপহরণ বা অপরাধজনক আত্মসাৎ সম্পর্কিত অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং অনুরূপ সম্পত্তি গ্রহণ বা রাখা বা গােপন করা বা হস্তান্তর করার সহায়তায় অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ, যে সম্পত্তির দখল প্রথমােক্ত ব্যক্তিগণ উক্ত অপরাধ দ্বারা হস্তান্তর করেছে বলে অভিযুক্ত করা হয়েছে, বা শেষােক্ত কোন অপরাধ করার জন্য সহায়তা প্রদান করেছে, বা অপরাধের চেষ্টা করেছে বলে অভিযােগ করা হয়েছে;
চ) দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর ধারা ৪১১ ও ৪১৪ এর অধীন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ বা এমন চোরাইমাল সম্পর্কে উক্ত ধারাদ্বয়ের যে-কোন একটির অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ, যে চোরাইমালের দখল একটি অপরাধ দ্বারা হস্তান্তরিত হয়েছে; এবং
ছ) জাল মুদ্রা সম্পর্কে দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এর দ্বাদশ অধ্যায়ের কোন অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং উক্ত মুদ্রা সম্পর্কে সেই অধ্যায়ের অপর কোন অপরাধ বা অপরাধের সহায়তা বা অপরাধের চেষ্টার অভিযােগে অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ; এবং এই অধ্যায়ের পূর্ববর্তী অংশে বর্ণিত বিধানাবলী যথাসম্ভব উক্ত অভিযােগসমূহের প্রতি প্রযােজ্য হবে।
ধারা ২৪০ একাধিক অভিযােগের একটিতে দণ্ডিত হলে অবশিষ্টগুলি প্রত্যাহার
যখন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একের অধিক অভিযােগ গঠন করা হয় এবং একটি বা একটির অধিক অপরাধে দণ্ড দেওয়া হয়, তখন ফরিয়াদী বা সরকার পক্ষে মােকদ্দমা পরিচালনাকারি কর্মকর্তা আদালতে অনুমতি নিয়ে অবশিষ্ট অভিযােগ বা অভিযােগসমূহ প্রত্যাহার করতে পারেন, বা আদালত স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এইরূপ অভিযােগসমূহের অনুসন্ধান বা বিচার স্থগিত রাখতে পারেন। এইরূপ প্রত্যাহার করা হলে উক্ত অভিযােগে বা অভিযােগসমূহ হতে খালাস দেওয়া হলাে বলে গণ্য হবে, যদি না দণ্ড রদ করা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত আদালত দণ্ড রদকারি আদালতের আদেশ সাপেক্ষে প্রত্যাহৃত অভিযােগ বা অভিযােগসমূহ সম্পর্কে অনুসন্ধান বা বিচার সম্পন্ন করতে পারবেন।