- Get link
- X
- Other Apps
Chapter 12 - Disputes as to Immovable Property - Law of Criminal Procedure
দ্বাদশ অধ্যায় - স্থাবর সম্পত্তি বিষয়ে বিরোধ- ফৌজদারী কার্যবিধি আইন
ধারা ১৪৫ জমি প্রভৃতি সম্বন্ধীয় বিরােধের কারণে শান্তিভঙ্গ ঘটাইতে পারে সেক্ষেত্রে পদ্ধতি
১) যেক্ষেত্রে কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাবান যে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ প্রতিবেদন বা অন্য কোনরূপ সংবাদ পেয়ে এই মর্মে সস্তুষ্ট হন যে, তার স্থানীয় অধিৰেত্রের মধ্যে জমি বা জলাশয় বা উহার সীমানা সম্পর্কে এমন একটি বিবাদ রহিয়াছে, যা শান্তিভঙ্গ ঘটাইতে পারে, সেক্ষেত্রে তিনি তার এইরূপ সম্ভষ্ট হওয়ার কারণ উল্লেখপূর্বক তার দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহকে ব্যক্তিগতভাবে বা এডভােকেটের দ্বারা তার আদালতে উপস্থিতির এবং বিরােধে বিষয়বস্তুতে প্রকৃত দখল সম্পর্কে তাদের স্ব-স্ব দাবি সম্বন্ধে লিখিত বক্তব্য পেশ করতে বলে একটি লিখিত আদেশ দিবেন।
২) অত্র ধারার প্রয়ােজনে, “জমি বা জলাশয়” বলতে অট্টালিকা/দালান, বাজার, মাছের ভেড়ী, শস্য বা জমির অন্যান্য উৎপন্ন দ্রব্যাদি, এবং ঐরূপ কোন সম্পত্তির ভাড়া বা মুনাফাকেও বুঝাইবে।
৩) ঐ আদেশের একটি নকল সমন জারির জন্য অত্র বিধিতে যেইরূপ পদ্ধতি বিধৃত হয়েছে সেইরূপে সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের উপর জারি করতে হবে এবং ঐ আদেশের অন্ততঃ একটি নকল বিবাদীর বস্তুর বা তার কাছাকাছির প্রকাশ্য স্থানে লটকাইয়া দিয়ে সর্বসাধারণ্যে প্রকাশ করতে হবে।
৪) দখল সম্বন্ধে অনুসন্ধান
ঐ বিবাদীর বস্তু দখল করার অধিকারের প্রতি উক্ত পক্ষদের কাহারাে যােগ্যতা বা দাবির প্রসঙ্গ বাদ দিয়া, সেই ম্যাজিস্ট্রেট তখন পেশ করা বক্তব্য পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করবেন, সংশ্লিষ্ট পক্ষদের শুনানী নেবেন, তারা যে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ পেশ করতে পারেন সেগুলি গ্রহণ করবেন, তিনি আরও যে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ প্রয়ােজন বলে মনে করেন সেগুলি, যদি কিছু থাকে, তা গ্রহণ করবেন, এবং, যদি সম্ভব হয়, উপ-ধারা-(১) এর আওতায় তার দেওয়া আদেশের তারিখে ঐ বিবাদীর বস্তুর দখলে কেউ ছিল কিনা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষদের মধ্যে কে দখলে ছিল তা স্থির করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইহা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে, উক্ত আদেশের তারিখের অব্যবহিত পূর্ববর্তী দুই মাসের মধ্যে কোন পক্ষকে বলপূর্বক ও অন্যায্যভাবে দখলচ্যুত করা হয়েছে, তবে ঐরূপভাবে দখলচ্যুত পক্ষকে উক্ত তারিখে দখলকার ছিলেন মর্মে পরিগণিত করতে পারবেন। তবে আরও শর্ত থাকে যে, ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাটিকে জরুরী মর্মে বিবেচনায় আনিলে অত্র ধারার আওতায় সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে যে-কোন সময় এই বিষয়বস্তু ক্রোক করতে পারেন।
৫) অত্র ধারায় যা কিছুই থাকুক না কেন, উক্তরূপে হাজির হওয়ার নির্দেশপ্রাপ্ত কোন পক্ষ বা অন্য কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি প্রমাণ করতে পারবেন যে, উক্তরূপ কোন বিরােধের অস্তিত্ব নাই বা ছিল না; এবং এইরূপ ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট তার আদেশটি বাতিল করবেন; এবং সে বিষয়ে আর সকল আইনি কার্যক্রম স্থগিত থাকবে, কিন্তু, এইরূপ বাতিলকরণ সাপেক্ষে, উপধারা-১ এর আওতায় ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া আদেশটি চূড়ান্ত হবে।
৬) আইনানুগভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত দখলকারের দখল অব্যাহত
ম্যাজিস্ট্রেট যদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, পক্ষসমূহের মধ্যে এক পক্ষ বিরােধীয় বিষয়বস্তুতে দখলকার ছিলেন বা উপ-ধারা-৪ এর প্রথম শর্তের আওতায় তাকে উক্ত বিষয়স্তুতে দখলকার মর্মে পরিগণিত করা উচিত, তা হলে তিনি একটি আদেশের মাধ্যমে সেই পক্ষকে আইনিভাবে যুক্তিযুক্তভাবে উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত দখলের প্রতি সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন; এবং তিনি যেক্ষেত্রে উপ-ধারা-৪ এর প্রথম শর্তের আওতায় এগুবেন, সেক্ষেত্রে তিনি জোরপূর্বক ও অন্যায্যভাবে বেদখল পক্ষকে দখল প্রত্যর্পণ করতে পারেন।
৭) যখন এইরূপ কোন আইনি প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট কোন পক্ষ মারা যায়, তখন ম্যাজিস্ট্রেট মৃতপক্ষের আইনানুগ প্রতিনিধিকে ঐ আইনি কার্যক্রমের একটি পক্ষ করতে পারেন এবং তারপর অনুসন্ধানটি চালিয়ে যাবেন, এবং যদি এইরূপ কোন প্রশ্ন দেখা যায় যে, উক্ত আইনি প্রক্রিয়ার প্রয়ােজনের কারণে কোন একটি মৃতপক্ষের আইনানুগ প্রতিনিধি কে, তবে উক্ত মৃতপক্ষের প্রতিনিধি হিসাবে দাবিকারি সকল ব্যক্তিদের সেইক্ষেত্রে পক্ষ করা হবে।
৮) যদি ম্যাজিস্ট্রেট এইরূপ অভিমত পােষণ করেন যে, এই ধারার আওতায় কোন একটি আইনি প্রক্রিয়াতে তাঁর কাছে অনির্ণিত থাকা বিবাদীর বস্তু কোন শস্য বা সম্পত্তির অপরাপর উৎপন্ন দ্রব্য দ্রুত ও স্বাভাবিক নিয়মে পচনযােগ্য, তবে উক্ত সম্পত্তির যথাযথ জিম্মা বা বিক্রির জন্য তিনি একটি আদেশ দিতে পারেন, এবং, সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান শেষ হওয়ার পর, তিনি যেইরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপে, উক্ত সম্পত্তির বিহিত ব্যবস্থার জন্য, বা তার বিক্রয়লব্ধ টাকা পয়সার জন্য আদেশ দিবেন।
৯) ম্যাজিস্ট্রেট, যদি উপযুক্ত মনে করেন, তবে অত্র ধারার আওতায় আইনি প্রক্রিয়ার যে কোন ধাপে, যে কোন পক্ষের আবেদনের উপরে, যে কোন সাক্ষীকে হাজির হতে বা কোন দলিল বা দ্রব্যাদি দাখিল করতে নির্দেশ দিয়ে একটি সমন জারি করতে পারেন।
১০) অত্র ধারার কোন কিছুই ধারা-১০৭ এর আওতায় অগ্রসর হওয়ার ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাসমূহকে খর্ব করবে বলে মনে করা হবে না।
ধারা ১৪৬ বিবাদীয় বস্তু/সম্পত্তি ক্রোক করার ক্ষমতা
১) ম্যাজিস্ট্রেট যদি স্থির করেন যে, পক্ষবৃন্দের কেহই তখন বিরােধীয় বিষয়বস্তুর দখলকার ছিল না, বা তাদের মধ্যে কোন পক্ষ সে মূহুর্তে উহাতে দখলকার ছিল, সেই সম্বন্ধে তিনি স্বয়ং পরিতুষ্ট হতে অক্ষম হলে আদালতে পক্ষবৃন্দের অধিকার বা দখল পাওয়ার অধিকারি ব্যক্তি স্থির না হওয়া অবধি তিনি উহা ক্রোক করার অধিকার রাখেন। তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন যে, বিরােধীয় বিষয়ের ব্যাপারে আর শান্তিভঙ্গের কোন আশংকা নাই, তা হলে তিনি যে কোন সময় ক্রোক বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন।
২) যখন কোন ম্যাজিস্ট্রেট বিরােধীয় বিষয়বস্তু ক্রোক করেন তখন, তিনি যদি উপযুক্ত বলে মত পােষন করেন এবং কোন দেওয়ানি আদালত যদি ইতােপূর্বে বিরােধীয় সম্পত্তির কোন রিসিভার নিয়ােগ না করে থাকেন তা হলে তিনি উহার জন্য একজন রিসিভার নিয়ােগ করতে পারবেন এবং ম্যাজিস্ট্রেটের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে উক্ত রিসিভারের দেওয়ানি কার্যবিধি,
১৯০৮ (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) এর অধীন নিযুক্ত রিসিভারের সকল ক্ষমতা থাকবে। তবে শর্ত থাকে যে, কোন দেওয়ানি আদালত পরবর্তী পর্যায়ে উক্ত বিরােধীয় সম্পত্তির কোন রিসিভার নিযুক্ত করলে ম্যাজিস্ট্রেটের দ্বারা নিয়ােগকৃত রিসিভার তার কাছে দখল অর্পণ করবেন এবং অতঃপর তাকে উক্ত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।
ধারা ১৪৭ স্থাবর সম্পত্তি ইত্যাদি ব্যবহারের অধিকার সম্বন্ধীয় বিবাদ
১) যেক্ষেত্রে কোন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বা সরকার কর্তৃক বিশেষভাবে ক্ষমতাবান কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ প্রতিবেদন বা অপর কোন উপায়ে খবর পেয়ে এই মর্মে সন্দেহমুক্ত হন যে, তার স্থানীয় এখতিয়ারের মধ্যে ধারা-১৪৫ (২) এর আওতায় কোন জমি বা জলাশয় ব্যবহারের অধিকার (ভােগস্বত্ব অধিকার হিসাবে বা অন্য কোনভাবে দাবি করা হউক না কেন) সম্বন্ধে এমন একটি বিবাদ বিদ্যমান যা শান্তিভঙ্গের কারণ ঘটাইতে পারে, সেক্ষেত্রে তিনি তার উক্তরূপে সন্দেহমুক্ত হওয়ার কারণ বর্ণনাপূর্বক একটি লিখিত আদেশের মাধ্যমে বিবাদের সাথে সম্পর্কিত পক্ষসমূহকে ব্যক্তিগতভাবে বা কৌসুলির মাধ্যমে ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে উপস্থিতির এবং তাদের স্ব-স্ব দাবি সম্বন্ধে লিখিত বিবৃতি দাখিলের নির্দেশ দিতে পারবেন এবং অতঃপর তিনি ধারা-১৪৫ এর আওতায় বিষয়টি উক্ত ধারার বিধানসমূহ যথাসম্ভব প্রযােজ্য হবে।
২) যদি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই মর্মে প্রতীয়মান হয় যে, উক্তরূপে অধিকারের অস্তিত্ব বিদ্যমান, তবে তিনি আদেশের মাধ্যমে অত্র অধিকার প্রয়ােগে হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, উক্ত অধিকার বছরের সকল সময় প্রয়ােগযােগ্য হলে এবং অনুসন্ধান আরম্ভের অব্যবহিত পূর্ববর্তী তিন মাসের মধ্যে উহা প্রয়ােগ না হলে, বা উক্ত অধিকার কোন বিশেষ মওসুমে বা বিশেষ উপলক্ষ্যে প্রয়ােগযােগ্য হলে এবং অনুসন্ধান আরম্ভ হওয়ার পূর্ববর্তী মওসুমে বা উপলক্ষ্যে যদি উহা প্রয়ােগযােগ্য না হয়ে থাকিলে এইরূপ কোন আদেশ প্রদান করা যাবে না।
৩) ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রতীয়মান হয় যে, উক্তরূপ অধিকারের কোন অস্তিত্ব অবর্তমান, তবে তিনি আদেশের মাধ্যমে এই কথিত অধিকার প্রয়ােগ নিষিদ্ধ করতে পারবেন।
৪) অত্র ধারার আওতায় প্রদত্ত কোন আদেশ পরবর্তীকালে প্রদত্ত যথাযথ অধিক্ষেত্র সম্পন্ন কোন সিভিল কোর্টের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হবে।
ধারা ১৪৮ স্থানীয় অনুসন্ধান
১) যেক্ষেত্রে অত্র অধ্যায়ের আওতায় কোন স্থানীয় অনুসন্ধান প্রয়ােজন হয়, সেক্ষেত্রে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তার অধঃস্তন কোন ম্যাজিস্ট্রেটের উপর এই অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিতে পারবেন এবং তার পথ-নির্দেশের জন্য তাকে প্রয়ােজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন এবং এইরূপ অনুসন্ধানের জন্য প্রয়ােজনীয় খরচা পুরাে বা আংশিক বহনকারি কে, তা ঘােষণা করতে পারবেন।
২) উক্তরূপে যার উপর দায়িত্বভার দেওয়া হলে, মােকদ্দমায় তার প্রতিবেদন সাক্ষ্য হিসাবে আমলে আনা যেতে পারে।
৩) খরচা সম্বন্ধীয় আদেশ
অত্র অধ্যায়ের আওতায় পরিচালিত কোন কার্যক্রমের
কোন পক্ষ কোন খরচা বহন করলে ধারা-১৪৫, ১৪৬ বা ১৪৭ এর আওতায় সিদ্ধান্ত নেবার সময় ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ দিবেন, উক্ত খরচা উক্ত পক্ষ, না কার্যক্রমের অন্য কোন পক্ষ বহন করবে এবং পুরাে, না অংশতঃ, না আনুপাতিকভাবে, তা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন। সাক্ষী মারফত খরচা এবং কৌসুলির ফিস, যা আদালত যুক্তিযুক্ত হিসাবে ধরবেন, তাও এই খরচার অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।