Skip to main content

HSC English First Paper English For Today - Unit 7 Lesson 1 Brojen Das

Criminal Courts Offices ফৌজদারি আদালত কার্যালয়সমূহ এর গঠন ক্ষমতা শ্রেণীবিভাগ

Part 2: Constitution and Powers of Criminal Courts and Offices

দ্বিতীয় ভাগ: ফৌজদারি আদালত ও কার্যালয়সমূহ এর গঠন এবং ক্ষমতা

Chapter 2: Of the Constitution of Criminal Courts and Offices

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ ফৌজদারি আদালত ও কার্যালয় সমূহের গঠন

A) Classes of Criminal Courts

ক) ফৌজদারি আদালতের শ্রেণীবিভাগ

ধারা ৬ ফৌজদারি আদালতের শ্রেণীবিভাগ

(১) সুপ্রীম কোর্ট ও এই আইন ছাড়া বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইন দ্বারা গঠিত আদালত ব্যতীত বাংলাদেশে ২(দুই) প্রকারের ফৌজদারি আদালত থাকবে-
ক) দায়রা আদালত
খ) ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
(২) দুই শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, যথা
ক) জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, এবং
খ) নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট।
(৩) চার শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে-
ক) মেট্রোপলিটন এলাকায় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্য সব এলাকাতে থাকবেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট
খ) প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, যিনি মেট্রোপলিটন এলাকায়, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে আখ্যায়িত হবেন;
গ) দ্বিতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট; এবং
ঘ) তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট।

ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ধারা ৬ -ব্যাখ্যা

এই উপ-ধারার উদ্দেশ্যে “চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট” এবং “চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট” শব্দগুলি বলিতে যথাক্রমে “অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট" “অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টে”কে বুঝাইবে।

ফৌজদারী কার্যবিধি আইন ধারা ৬ -আলােচনা ও প্রয়ােগ

ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালত

“ম্যাজিস্ট্রেট" শব্দটি এই বিধির আওতায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সকল বা কোন একটি ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রয়ােগকারি প্রত্যেক ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করবে। আদালত এমন একটি স্থান যেখানে ন্যায় বিচার পরিচালনা করা হয়। সে মতে বিচারিক ক্ষমতায় বা যােগ্যতায় কার্য না করলে একজন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হিসেবে পরিগণিত হয়না। “আদালত” শব্দটির পরিবর্তে ম্যাজিস্ট্রেট শব্দটি ব্যবহার দ্বারা একজন ম্যাজিস্ট্রেট কেবল একজন মনােনীত ব্যক্তি হিসেবে কার্য করেন; তিনি আদালত হিসেবে কার্য করেন -এমন ধারণার জন্ম দেয় না। ফৌজদারি আদালত শব্দাবলি ফৌজদারি মামলায় আইনগতভাবে এখতিয়ার প্রয়ােগকারি প্রত্যেক বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ করে। ১লা নভেম্বর ২০০৭ হতে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে এবং নির্বাহী বিভাগ হতে পৃথকভাবে কাজ শুরু করে। এই প্রেক্ষিতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আমূল পরিবর্তন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৃষ্টি করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিচারকার্য এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ নির্বাহী কার্য সম্পাদন করবেন। কিন্তু পুর্বে দায়েরকৃত মামলাসমূহ এখন কোন আদালতে বিচার হবে তা নিরসনের জন্য ২০০৯ সালের ৩২নং আইন এর ১০৩ ধারায় প্রয়োজনীয় বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে।

ধারা ৭ দায়রা বিভাগ ও জেলা:

(১) বাংলাদেশে কতিপয় দায়রা বিভাগ থাকবে, এবং

অত্র বিধির আওতায় প্রত্যেকটি দায়রা বিভাগ একটি জেলা হবে অথবা প্রত্যেক দায়রা বিভাগে একাধিক জেলা থাকবে।

(২) বিভাগ ও জেলা পরিবর্তনের ক্ষমতা

সরকার এইরূপ বিভাগ ও জেলার সীমারেখা অথবা সংখ্যা পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে।

(৩) পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান বিভাগ ও জেলা বহাল থাকবে

অত্র বিধি কার্যকরের সময় যে সকল দায়রা বিভাগ ও জেলা বিদ্যমান ছিল, উক্তরূপে পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।

৪) মেট্রোপলিটন এলাকা, অত্র বিধির আওতায়, দায়রা বিভাগ মর্মে পরিগণিত হবে।

ধারা ৮ জেলাসমূহকে উপজেলা ইত্যাদিতে বিভক্ত করিবার ক্ষমতা: 

সরকার কোন জেলাকে একাধিক উপজেলায় বিভক্ত করতে পারেন এবং গেজেটে সরকারি প্রজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে, উক্ত উপজেলার সীমানা নির্ধারণ বা পরিবর্তন অথবা একাধিক উপজেলার পরিধি একটিতে একীভূতকরণ করতে পারবে এবং তদ্রুপ নির্ধারণ, পরিবর্তন বা একীভূতকরণের ক্ষেত্রে সরকার নিশ্চিত করবে যে কোন উপজেলার পরিসীমা কোন পুলিশ স্টেশনে অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সীমানার অনুরূপ।

আদালত ও কার্যালয়সমূহ

ধারা ৯ দায়রা আদালত

(১) প্রতিটি দায়রা বিভাগের জন্য সরকার একটি দায়রা আদালত স্থাপন করবেন এবং অত্র আদালতে একজন জজ নিয়ােগ করবেন। মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য দায়রা আদালতকে মেট্রোপলিটন দায়রা আদালত মর্মে অভিহিত করা হবে।

(২) সরকার অফিসিয়াল গেজেটে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ জারিপূর্বক দায়রা আদালত কোন স্থানে বা স্থানসমূহে অবস্থান করবে সে সম্পর্কে সরকার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন; কিন্ত এইরুপ আদেশ যে পর্যন্ত প্রদান করা না হয়, সে পর্যন্ত দায়রা আদালতসমূহ আগের মত বসিবে।

(৩) এইরূপ এক বা একাধিক আদালতে কর্তৃত্ব প্রয়ােগের লক্ষ্যে অতিরিক্ত দায়রা জজ এবং যুগ দায়রা জজও নিয়ােগের এখতিয়ার রাখেন। 

(৩ক) বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এর সদস্যগণ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩৩ এর শর্তাধীনের অধীনে, উপরিউক্ত এক বা একাধিক এলাকায় এখতিয়ার চর্চার প্রয়ােগের নিমিত্তে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত বিধির আলােকে দায়রা জজ, অতিরিক্ত দায়রা জজ এবং যুগ্ম দায়রা জজ হিসাবে নিয়ােজিত হবেন।

(৪) সরকার এক দায়রা বিভাগের একজন দায়রা জজকে অন্য একটি বিভাগে অতিরিক্ত দায়রা জজও নিয়ােগ করতে পারেন, এবং এইরূপ ক্ষেত্রে তিনি সরকারের নির্দেশ মােতাবেক দুইটি বিভাগের যে-কোন একটির এক বা একাধিক স্থানে মােকদ্দমার নিষ্পত্তি করতে পারেন।

(৫) অত্র বিধি বলবতের সময় যেসব দায়রা আদালত বিদ্যমান ছিল তার সমস্ত গুলিই অত্র বিধি মােতাবেক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মর্মে ধরিয়া নিতে হবে।

ধারা ১০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট:

(১) সরকার যে সংখ্যক উপযুক্ত মনে করবেন, প্রত্যেক

জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায়, সেই সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ােগ করবে এবং তন্মধ্যে একজনকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়ােগ করবে।

(২) সরকার কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়ােগ করতে পারবে এবং এইরূপ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সরকারের নির্দেশানুসারে এই আইন বা বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইন অনুযায়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর সকল ক্ষমতা অথবা যে কোন ক্ষমতা অনুশীলন করতে পারবেন।

(৩) যখনই জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদ শূন্য হওয়ার পরে কোন অফিসার অস্থায়ীভাবে জেলা প্রশাসনের প্রধান নির্বাহীর স্থলাভিষিক্ত হলে সরকারের আদেশ সাপেক্ষে তিনি এই আইনের অধীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়ােগ ও দায়িত্ব পালন করবেন।

(৪) সরকার বা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীনে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সময়ে সময়ে আদেশ দ্বারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের স্থানীয় কর্ম নির্ধারণ করে দিতে পারবেন, যে ক্ষমতা এই কার্যবিধি দ্বারা অর্পিত হয়েছে এবং যা উপরিউক্ত চিহ্নিতকরণে অন্যভাবে বর্ণিত হয়েছে তা ব্যতীত সকল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের এখতিয়ার ও ক্ষমতাসমূহ সমগ্র জেলাব্যাপী বিস্তৃত হবে।

(৫) সরকার যদি উপযুক্ত ও প্রয়ােজন মনে করেন তবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) এ নিয়ােজিত যে কোন ব্যক্তিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে নিয়ােগ দিতে পারেন এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন।

(৬) উপধারা (৪) এর অধীনে স্থানীয় এলাকার সংজ্ঞা সাপেক্ষে, সহকারী কমিশনার, অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে নিযুক্ত ব্যক্তি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণ্য হবেন এবং তাদের স্ব-স্ব স্থানীয় এলাকার মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়ােগ করবে।

(৭) এই ধারার কোন কিছুই সরকার কর্তৃক কোন মেট্রোপলিটন এলাকায় বর্তমানে বলবৎ কোন আইনের অধীনে, কোন পুলিশ কমিশনারকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সকল বা যে কোন ক্ষমতা অর্পণে বাধা প্রদান করবে না।

ধারা ১১ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট:

১) সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদের শর্তাংশের অধীনে

রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রণীত বিধি সাপেক্ষে প্রত্যেক মেট্রোপলিটন এলাকা বহির্ভূত জেলায় বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এ নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্য জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিয়ােজিত হবে।

২) সরকারের নির্দেশ মােতাবেক, এই কার্যবিধি বা বর্তমানে প্রচলিত অন্য কোন আইন এর অধীন কোন অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এককভাবে বা সম্পূর্ণভাবে কোন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর সকল বা যে কোন ক্ষমতার অধিকারী হবে।

২ক) সরকার সরকারি গেজেটের মাধ্যমে সাধারণ বা বিশেষ আদেশের দ্বারা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত কোন স্থান বা স্থানসমূহে বসাইতে নির্দেশ দিতে পারবে। (২০১২ সনের ৩৭নং আইন দ্বারা সংযােজিত)।

৩) সরকার নিজে বা সরকার কর্তৃক হাইকোর্ট বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে জারিকৃত সাধারণ বা বিশেষ আদেশের সাপেক্ষে, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সময়ে সময়ে, স্থানীয় সীমানা নিরূপণ করতে পারবেন, যেখানে কোন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার উপর এই আইন দ্বারা অর্পণযােগ্য কোন ক্ষমতার সম্পূর্ণ বা আংশিক প্রয়ােগ করতে পারেন এবং যা উপরিউক্ত এখতিয়ার নিরূপণ এ অন্যভাবে বর্ণিত হয়েছে তা ব্যতীত সকল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর এখতিয়ার ও ক্ষমতাসমূহ সমগ্র জেলায় ব্যাপৃত হবে।

৪) এই ধারায় যাই থাকুক না কেন, সরকার হাইকোর্ট বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে একটা নির্দিষ্ট সময়কাল নির্ধারণ করে সেই সময়কালের জন্য কোন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যাবলী সম্পাদনের নিমিত্তে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তলব করতে পারেন এবং তৎসময়ে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর কোনরূপ দায়িত্ব পালনে সমর্থ হবেন না।

ধারা ১২ বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট:

১) সরকার মেট্রোপলিটন এলাকার বাহিরে যে কোন এলাকার বিশেষ মামলা অথবা বিশেষ শ্রেণীর বা শ্রেণী সমূহের মামলা অথবা সাধারণ মামলা যা এই আইনের আওতায় কোন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপর সকল বা কোন অর্পিত বা অর্পণযােগ্য ক্ষমতা, যেকোন ব্যক্তির উপর অর্পণ করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এই উপ-ধারার অধীনে কোন ক্ষমতা সহকারী পুলিশ সুপার তাদের নিম্নের কোন পুলিশ অফিসারের উপর অর্পিত হবে না এবং এধরনের পুলিশ অফিসারের উপর এমন কোন ক্ষমতা দেয়া যাবে না যা কিনা শান্তিশৃঙ্খলা সংরক্ষণ, অপরাধ প্রতিরােধ ও আশঙ্কা নিরূপণে গােয়েন্দাগিরি, অপরাধীকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার জন্য কোন অপরাধীকে আটক ও অফিসার দ্বারা বিদ্যমান অন্য কোন আইনে অর্পিত কর্তব্য সম্পন্ন ছাড়া হবে না।

২) যে ব্যক্তির ওপর উপধারা (১) এর অধীনে ক্ষমতাসমূহ অর্পিত হয়েছে তিনি বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে অভিহিত হবেন এবং সরকার সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারণ করেন এমন কোন সময়কালের জন্য তিনি নিয়ােগ লাভ করবেন।

৩) সরকার মেট্রোপলিটন এলাকার বহিরে, হাইকোর্ট বিভাগের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে যেকোন ম্যাজিস্ট্রেটের উপর প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সকল বা যেকোন ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবেন, যা এই আইনের অধীনে উক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপর অর্পিত বা অর্পণযােগ্য।

৪) যে ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর উপধারা (৩) এর অধীনে ক্ষমতাবলী অর্পিত হয়েছে তিনি বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট বলে অভিহিত হবেন এবং সরকার হাইকোর্ট বিভাগের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা নির্ধারণ করবেন এমন কোন সময়কালের জন্য তিনি নিয়ােগ লাভ করবেন।

৫) সরকার হাইকোর্ট বিভাগের সহিত পরামর্শক্রমে মেট্রোপলিটন এলকার মধ্যে বিশেষ মামলাসমূহ বা কোন বিশেষ মামলা বা শ্ৰেণীসমূহের মামলাসমূহ বা সাধারণ মামলাসমূহ যা এই আইনের বিধান মােতাবেক কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর যে কোন বা সকল ক্ষমতাবলী অর্পণ করতে পারেন, যা এই আইনের অধীনে কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর অর্পিত বা অর্পণযােগ্য।

৬) যে ব্যক্তির উপর উপধারা (৫) এর অধীনে ক্ষমতাবলী অর্পিত হয়েছে তিনি বিশেষ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে অভিহিত হবেন এবং সরকার হাইকোর্ট বিভাগের সহিত পরামর্শক্রমে বিশেষ বা সাধারণ আদেশ দ্বারা যেরূপ নির্দেশ করেন তিনি সেই সময়কালের জন্য নিয়ােজিত হবেন।

ধারা ১৫ ম্যাজিস্ট্রেটগণের বেঞ্চ :

(১) সরকার মেট্রোপলিটন এলাকার বাহিরে কোন স্থানে দুইজন বা ততােধিক সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেটকে একত্রে বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ প্রদান করতে পারে এবং আদেশ দ্বারা উক্ত বেঞ্চকে অত্র বিধি মােতাবেক প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রদত্ত বা প্রদেয় ক্ষমতা প্রদান করতে পারেন এবং সরকার যেইরূপ সঠিক মর্মে মনে করেন, সেইরূপ সকল মােকদ্দমায় বা সেই সকল মােকদ্দমায় ও সেই স্থানীয় এলাকায় উক্ত ক্ষমতা প্রয়ােগের নির্দেশ প্রদান করতে পারেন।

(২) বিশেষ নির্দেশ না থাকলে বেঞ্চের ক্ষমতাসমূহ:

 অত্র ধারা মােতাবেক প্রদত্ত কোন আদেশ দ্বারা অন্যরূপ বিধান না করা হয়ে থাকলে বেঞ্চের বর্তমান কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সদস্যদের মধ্যে সর্বোচ্চ শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে অত্র বিধির মাধ্যমে যে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে, বেঞ্চের সেই ক্ষমতা থাকবে এবং আইনের উদ্দেশ্যে বেঞ্চকে যথাসম্ভব উক্ত শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট মর্মে পরিগণিত করতে হবে।

ধারা ১৬ বেঞ্চ পরিচালনার জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা

 সরকার অথবা সরকারের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেঞ্চের পরিচালনার লক্ষ্যে অত্র আইনের সাথে সামঞ্জস্য রাখিয়া সময়ে সময়ে নিম্নে বর্ণিত বিষয়ে বিধি প্রণয়ন করতে পারেন-

ক) বিচার্য মামলার শ্রেণী;
খ) বৈঠকের সময় ও স্থান
গ) বিচার কার্য পরিচালনার জন্য বেঞ্চ গঠন;
ঘ) যেক্ষেত্রে বৈঠকে উপস্থিত ম্যাজিস্ট্রেটগণের মধ্যে কোন মতবিরােধ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে তা মীমাংসার পদ্ধতি।

ধারা ১৭ জুডিসিয়াল, নির্বাহী এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণের অধীনতা:

১) ধারা ১০ ও ধারা ১২(১) এর অধীন নিযুক্ত সকল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধস্তন হবেন যিনি, ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দের মধ্যে কাজ বন্টনের জন্য সময়ে সময়ে এই কার্যবিধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিশেষ আদেশ জারি করতে পারবেন।

২) ধারা-১১ এবং ধারা-১২(৩) ধারা অনুসারে নিযুক্ত সকল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট এবং ১৫ ধারা অনুসারে গঠিত সমস্ত বেঞ্চ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর অধঃস্তন হবেন যিনি, সময়ে সময়ে ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ ও বেঞ্চ সমূহের মধ্যে কাজ বন্টনের জন্য এই কার্যবিধির সঙ্গে এবং ১৬ ধারার অধীনে সরকার কর্তৃক প্রণয়নকৃত বিধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিশেষ আদেশ দিতে পারবেন।

৩) ১২ (৫) ধারা অনুসারে নিযুক্ত সকল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিশেষ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৯ ধারার অধীনে গঠিত বেঞ্চসমূহ, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর অধঃস্তন হবে, যিনি সময়ে সময়ে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ ও বেঞ্চসমূহের মধ্যে কাজ বন্টনের জন্য এই কার্যবিধির সঙ্গে এবং ১৬ ধারার অধীনে সরকার কর্তৃক প্রণয়নকৃত বিধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিশেষ আদেশ দিতে পারবেন।

৪) সকল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সহকারে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়রা জজের অধঃস্তন হবেন এবং সকল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণ সহকারে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেট্রোপলিটন দায়রা জজের অধঃস্তন হবেন।

ধারা ১৭ক যুগ্ম দায়রা জজদের অধীনতা

 (১) সকল যুগ্ম দায়রা জজগণ, যে দায়রা জজের আদালতে এখতিয়ার প্রয়ােগ করে থাকেন, তারা সেই দায়রা জজের অধঃস্তন হবেন, এবং উক্ত দায়রা জজ সময়ে সময়ে উক্তরূপ যুগ্ম দায়রা জজগণের মধ্যে কার্যবন্টনের জন্য এই কার্যবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিধি প্রণয়ন বা বিশেষ আদেশ জারি করতে পারবেন।

২) দায়রা জজ নিজে অনিবার্য কারণ বশত: অনুপস্থিত থাকলে বা কাজ করতে অসমর্থ হলে কোন অতিরিক্ত দায়রা জজ যুগ্ম দায়রা জজ দ্বারা কোন জরুরী আবেদনপত্রের ফয়সালার ব্যবস্থা করতে পারবেন, এইরূপ জজদের সেইরূপ আবেদনপত্র সম্পর্কে ব্যবস্থা। গ্রহণ করিবার এখতিয়ার থাকবে।

ধারা ১৮ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ােগ:

(১) প্রত্যেক মেট্রোপলিটন এলাকায়, চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণ বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে কর্মরত ব্যক্তিগণের মধ্য থেকে নিয়ােগপ্রাপ্ত হবেন।

(২) সরকার এক বা একাধিক অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ােগ করতে পারবে এবং উক্ত অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেটগণ এই কার্যবিধির অধীন বা বর্তমানে কার্যকর অন্য কোন আইনের অধীন সরকারের নির্দেশানুসারে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সকল বা যে কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবেন।

ধারা ১৯ বেঞ্চসমূহ:

 চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা

সাপেক্ষে যে কোন দুইজন বা ততােধিক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট একটি বেঞ্চ হিসাবে একত্রে বসিতে পারবেন।

ধারা ২০ অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমা:

প্রত্যেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট যে মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য নিযুক্ত, তার অন্তর্গত সকল স্থানে তিনি এখতিয়ার প্রয়ােগ করতে পারবেন।

ধারা ২১ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট:

(১) চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার অধিক্ষেত্রের স্থানীয় সীমার মধ্যে অত্র কার্যবিধি বা বর্তমানে চালু অপর কোন আইন মােতাবেক তাকে বা কোন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রদত্ত সকল ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারবেন এবং সময়ে সময়ে পূর্ব অনুমােদনসাপেক্ষে নিম্নে বর্ণিত বিষয়সমূহ নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্র কার্যবিধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিধিমালা প্রণয়ন করতে পারবেন-

ক) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণের মধ্যে কার্যবন্টন ও পরিচালনা এবং তাদের আদালতের কর্মপ্রণালী;

খ) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণের বেঞ্চ গঠন;

গ) এইরূপ বেঞ্চ সমূহের বৈঠকের সময় ও স্থান;

ঘ) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণের বৈঠক চলাকালিন সময়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্যের উদয় হলে নিষ্পত্তির প্রণালী; এবং

৬) এমন অন্য কোন বিষয় যা সম্বন্ধে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার অধঃস্তন ম্যাজিস্ট্রেটগণের উপর নিয়ন্ত্রণ আরােপ করতে পারিতেন।

Justices of the Peace

জাস্টিসেস অব দি পিস

ধারা ২২ মফস্বল এলাকার জন্য জাস্টিসেস অব দি পিস

সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন কর্তৃক বাংলাদেশের বাসিন্দা, ও কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিক নহেন, এইরূপ যে-কোন উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত কোন স্থানীয় এলাকার মধ্যে বা এলাকার জন্য জাস্টিসেস অব দি পিস্ নিয়ােগ করতে পারেন।

ধারা ২৫ পদাধিকার বলে জাস্টিস অব দি পিস

সুপ্রীম কোর্টের বিচারকগণ পদাধিকার বলে সমগ্র বাংলাদেশের জাস্টিসেস অব দি পিস; এবং দায়রা জজ ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটগণ এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটগণ পদাধিকারবলে তাদের স্ব স্ব এলাকার জন্য জাস্টিসেস অব দি পিস থাকবেন।

Popular posts from this blog

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha...

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...