- Get link
- X
- Other Apps
Chapter 9 unlawful assembly Law of Criminal Procedure Code
নবম অধ্যায় - বেআইনি সমাবেশ - ফৌজদারী কার্যবিধি আইন
ধারা ১২৭ ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসারের আদেশে জনসমাবেশ ভঙ্গকরণ
কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার কোন বেআইনি সমাবেশ সার্বক্ষণিক শান্তি সম্ভবতঃ বিঘ্ন করবে এমন পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির এমন কোন সমাবেশকে ছত্রভঙ্গ হওয়ার হুকুম দিতে পারেন; এবং তখন জন সমাবেশ সদস্যদের কাজ হবে সেই অনুসারে ছত্রভঙ্গ হওয়া।
ধারা ১২৮ জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গের জন্য বেসামরিক শক্তি প্রয়ােগ
যদি, এইরূপ হুকুমে ঐরূপ কোন জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ না হয়, বা যদি, এরূপে হুকুম না পেয়ে, এরপ জনসমাবেশ এইরূপভাবে নিজেকে চালনা করে যে, ছত্রভঙ্গ হবে না বলে দুঃসাহস দেখায় তাহলে কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বল প্রয়ােগ করে এ জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য অগ্রসর হতে পারেন, এবং ঐরূপ ছত্রভঙ্গ করার জন্য এবং যদি প্রয়োজন হয়, ঐরূপ জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশে বা ঐরূপ জনসমাবেশ অংশগ্রহণকারীদের যাতে আইনানুসারে দণ্ড দেওয়া যেতে পারে সেইরূপ উদ্দেশে এরূপ জনসমাবেশে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আটক করার জন্য বাংলাদেশ স্হল, নৌ বা বিমানবাহিনীর অফিসার, সৈন্য, নাবিক বা বৈমানিক নহে এরূপ কোন পুরুষ ব্যক্তির সহযোগিতা দাবি করতে পারবেন এবং যদি প্রয়ােজন হয়, তা হলে উক্তরূপ সমাবেশ ছত্রভঙ্গের লক্ষ্যে বা আইন অনুসারে শান্তি দেওয়ার জন্য যারা জনসমাবেশে অংশগ্রহন করে তাহাদিগকে গ্রেফতার বা আটক করতে পারবেন।
ধারা ১২৯ সশস্ত্র বাহিনীর প্রয়ােগ
যদি এইরূপ কোন জনসমাবেশ অন্য কোনভাবে ছত্রভঙ্গ করা না যায় এবং সার্বজনিক নিরাপত্তার খাতিরে যদি উহা ছত্রভঙ্গ করা প্রয়ােজন মর্মে বিবেচিত হয়, তা হলে উপস্থিত সর্বোচ্চ পদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনার সামরিক শক্তি কর্তৃক উহা ছত্রভঙ্গ করাইতে পারবেন।
ধারা ১৩০ জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক আহুত বাহিনীর অধিনায়কের কর্তব্য
১) যখন একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কমিশনার সামরিক শক্তি প্রয়ােগপূর্বক এইরূপ কোন জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার বা কমিশনপ্রাপ্ত নহেন এমন অফিসার যিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোন সৈন্যদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাকে সামরিক শক্তি প্রয়ােগপূর্বক এইরূপ জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গের কাজে এবং যারা উক্ত জনসমাবেশে অংশ গ্রহণ করে, তাহাদিগকে ম্যাজিস্ট্রেটের বা পুলিশ কমিশনার নির্দেশ মােতাবেক গ্রেফতার ও আটকের কাজে ব্যবহার করতে পারবে বা যেইরূপ প্রয়ােজন হতে পারে, উক্ত জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গের জন্য বা আইন মােতাবেক দণ্ড দেওয়ার জন্য তাহাদিগকে গ্রেফতার ও আটক করাইতে ফরমাশ করতে পারবেন।
২) উক্ত প্রত্যেক অফিসার নিজে যেরূপ যথাযথ মনে করেন, সেইরূপভাবে ম্যাজিস্ট্রেটের উক্তরূপ তলব প্রতিপালন করবেন, কিন্তু তা করতে গিয়া তিনি, সমাবেশ ছত্রভঙ্গ এবং উক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আটকের সাথে যেইরূপ সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে ঠিক ততটুকু বলপূর্বক, এবং ব্যক্তি ও সম্পত্তির ক্ষতি করবেন।
ধারা ১৩১ জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে কমিশনপ্রাপ্ত সামরিক অফিসারের ক্ষমতা
যখন উক্ত কোন জনসমাবেশ সার্বজনিক নিরাপত্তা স্পষ্টরূপে বিপদগ্রস্ত হয় এবং কোন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে যােগাযােগ করতে পারা যায় না, তখন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোন কমিশনপ্রাপ্ত অফিসার সামরিক শক্তি প্রয়ােগ করে এইরূপ জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন, এবং ঐ জনসমাবেশ ছত্রভঙ্গের লক্ষ্যে বা উক্ত জনসমাবেশের অংশগ্রহণকারি ব্যক্তিরা যাতে আইনানুসারে দণ্ড পাইতে পারে সেই উদ্দেশ্যে উক্ত জনসমাবেশে অংশগ্রহণকারি যে কোন ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও আটক করতে পারবেন। কিন্তু, যদি অত্র ধারার আওতায় কার্যকরার সময় তার পক্ষে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে যােগাযােগ সম্ভবপর হয়ে পড়লে তিনি তা করবেন, এবং তখন থেকে ঐরূপ প্রক্রিয়া চালাইবেন কি চালাইবেন না সে বিষয়ে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশাদি মান্য করবেন।
ধারা ১৩২ অত্র অধ্যায়ের আওতায় কৃত কার্যের জন্য ফৌজদারিতে সােপর্দ করণের বিরুদ্ধে রক্ষাব্যবস্থা
সরকারের অনুমােদন ছাড়া কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অত্র অধ্যায়ের আওতায় কৃত বলে কোন কার্যের জন্য কাহারও বিরুদ্ধে ফৌজদারি আদালতে মােকদ্দমা রুজু করা যাবে না; এবং
ক) অত্র অধ্যায়ের আওতায় সরল বিশ্বাসে কার্য পরিচালনাকারি কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার,
খ) ধারা-১৩১ এর আওতায় সরল বিশ্বাসে কার্য পরচিালনাকারি কোন অফিসার,
গ) ধারা-১২৮ বা ধারা-১৩০ এর আওতায় কৃত তলব অনুসারে সরল বিশ্বাসে কোন কার্য পরিচালনাকারি ব্যক্তি, এবং
ঘ) তিনি যে আদেশ মানিতে বাধ্য, উক্তরূপ কোন আদেশ পরিপালন করতে গিয়া কৃত কোন কার্য পরিচালনাকারি কোন নিম্নপদস্থ অফিসার বা সৈনিক বা স্বেচ্ছাসেবক উক্ত কার্য কর্তৃক কোন অপরাধ সংঘটন করেছেন মর্মে পরিগণিত হবে না। তবে শর্ত থাকে যে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর কোন অফিসার, সৈনিক, বৈমানিক বা নাবিকের বিরুদ্ধে সরকারের অনুমােদন ছাড়া কোন ফৌজদারি আদালতে এইরূপ কোন মােকদ্দমা রুজু করা যাবে