- Get link
- X
- Other Apps
Criminal Procedure Code Part 1 Preliminary chapter 1
প্রথম ভাগ প্রারম্ভিক প্রথম অধ্যায় ফৌজদারী কার্যবিধি আইন
ধারা ১ শিরােনাম, প্রবর্তন এবং বিস্তৃতি
(১) এই আইন ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ নামে অভিহিত হবে এবং ইহা ১লা জুলাই, ১৮৯৮ থেকে বলবৎ হবে।
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযােজ্য হবে, তবে বিপরীত কোন সুস্পষ্ট বিধান না থাকিলে ইহা বর্তমানে কার্যকর কোন বিশেষ আইন, কোন বিশেষ এখতিয়ার অথবা ক্ষমতা অথবা বর্তমানে কার্যকর অন্য কোন আইন কর্তৃক নির্ধারিত কোন বিশেষ কার্যবিধি প্রভাবিত করবে না।
ধারা ৪ সংজ্ঞাসমূহ
(১) বিষয়বস্তু বা প্রসঙ্গ অন্য কিছু বুঝতে না চাইলে এই বিধিতে নিম্নে বর্ণিত শব্দসমূহ এবং অভিব্যক্তিসমূহের নিম্নোক্ত অর্থ হবে-
ক) কোন আদালতের কার্যক্রম প্রসংগে কৌসুলী অর্থে চালু/কার্যকর আইন মােতাবেক এইরূপ যে কোন আদালতে আইন ব্যবসা করিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কৌসুলী বা মুক্তার বুঝাবে এবং এইরূপ কার্যক্রমে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে নিযুক্ত অন্য যেকোন ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
কক) এটর্নি জেনারেল অর্থে বাংলাদেশের জন্য নিযুক্ত এটর্নি জেনারেল বুঝাবে এবং বাংলাদেশের অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অথবা সহকারী এটর্নি জেনারেল অথবা সরকারি কৌসুলী অথবা বিভিন্ন সময়ে সরকার দ্বারা নিযুক্ত এইরূপ দায়িত্ব পালনের কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
খ) জামিনযােগ্য অপরাধ বলতে সেই অপরাধ ঝুঝাইবে যা তফসিল-২ এ জামিনযােগ্য মর্মে দেখান হয়েছে অথবা যা বর্তমানে চালু/কার্যকর কোন আইন কর্তৃক জামিনযােগ্য করা হয়েছে; এবং জামিনের অযােগ্য অপরাধ বলিতে অপর কোন অপরাধ বুঝাবে।
গ) দোষারােপ (চার্জ) একাধিক শিরােনামের দোষারােপ নিয়ে যেক্ষেত্রে দোষারােপ গঠিত হয়, সেক্ষেত্রে তার যে কোন শিরােনামের দোষারােপও দোষারােপ মর্মে বিবেচিত হবে।
(ঘ) ১৯৭৩ সনের ৮নং আইন এর ধারা ৩ এবং দ্বিতীয় তফসিল বলে বাতিলকৃত।
ঙ) অত্র আইন কর্তৃক রাষ্ট্রীয় কেরানীকে প্রদত্ত কার্য সম্পাদনের জন্য প্রধান বিচারপতি কর্তৃক বিশেষভাবে নিযুক্ত যে-কোন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রীয় কেরানী অন্তর্ভুক্ত হবে।
চ) আমলযােগ্য অপরাধ ও আমলযােগ্য মােকদ্দমা বলতে দ্বিতীয় তফসিলে বর্ণিত বা কার্যকর কোন আইনের আওতায় কোন পুলিশ অফিসার বিনা-পরােয়ানায় গ্রেফতার করিতে পারে এমন সকল অপরাধ ও মােকদ্দমাকে বুঝাবে।
ছ) ১৯৪৯ সনের প্রশাসনিক আদেশ বলে বাতিলকৃত।
জ) নালিশ বলতে ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা অত্র আইন মােতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে তাহার বরাবরে মৌখিক বা লিখিতভাবে এই মর্মে অভিযােগ করা যে, জানা বা অজানা কোন ব্যক্তি একটি অপরাধ করেছে, কিন্তু ইহার মধ্যে পুলিশ রিপাের্ট বা প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত হবে না।
জজ) দায়রা আদালত বলতে মেট্রোপলিটন দায়রা আদালতকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
ঝ) ক্রিমিনাল ল (বৈষম্যমূলক বিশেষাধিকার বিলুপ্ত) আইন, ১৯৪৯ (১৯৫০ সনের ২নং আইন) এর তফসিল বলে বাতিলকৃত।
ঞ) হাইকোর্ট বিভাগ বলতে ফৌজদারি আপিল অথবা রিভিশনের জন্য হাইকোর্ট বিভাগ বুঝাবে।
ট) অনুসন্ধান বলতে অত্র আইন মােতাবেক কোন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা আদালত কর্তৃক পরিচালিত বিচার ব্যতীত সমস্ত অনুসন্ধানকে বুঝাবে।
ঠ) তদন্ত বলতে অত্র বিধির আওতায় পরিচালিত সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য কোন পুলিশ কর্মকর্তা অথবা এই সম্পর্কে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে অনুমােদনপ্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তি (ম্যাজিস্ট্রেট নয়) কর্তৃক পরিচালিত সকল কার্যক্রমকে বুঝাবে।
ড) বিচারিক কার্যক্রম বলতে আইনসংগতভাবে শপথপূর্বক সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাইতে পারে এমন সব কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত হবে।
ঢ) আমল অযােগ্য অপরাধ ও আমল অযােগ্য মােকদ্দমা বলতে ঐসব অপরাধ ও মােকদ্দমাকে বুঝাবে যেসব ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তা পরােয়ানা ছাড়া গ্রেফতারের এখতিয়ার থাকে না।
ণ) অপরাধ অর্থে সেই সকল কাজ (Act) বা কাজে ক্রটি (omission) বুঝাবে যা বর্তমানে কার্যকর কোন আইনে দণ্ডনীয় করা হয়েছে; এবং যে কোন কাজ যার সম্পর্কে গাে-মহিষাদির অনধিকার প্রবেশ আইন, ১৮৭১ (১৮৭১ সনের ১নং আইন) এর ধারা-২০ এ নালিশ করা যাইতে পারে, তাও এর মধ্যে পড়ে।
ত) থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বলতে সেই সকল অফিসারকে ও বুঝাবে, যেক্ষেত্রে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের অনুপস্থিত থাকেন, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে নির্ধারিত কর্তব্য পালনে অসমর্থ হন, সেক্ষেত্রে থানায় উপস্থিত পরবর্তী পুলিশ কর্মচারী যিনি পদমর্যাদায় কনস্টেবলের উপরে এবং থানায় ভারপ্রাপ্ত অফিসারের নিচে তিনি; অথবা সরকার সেইরূপ নির্দেশ দিলে উপস্থিত অপর কোন পুলিশ অফিসারকে বুঝাবে।
থ) স্থান অর্থ বাড়ি, দালান, তাঁবু ও নৌযান ইহার অন্তর্ভুক্ত হবে।
দ) ১৯৪৯ সনের প্রশাসনিক আদেশ বলে বাতিলকৃত।
ধ) থানা অর্থ যে কোন অবস্থানস্থল বা স্থানকে বুঝাবে, যা সরকার কর্তৃক সাধারণভাবে বা বিশেষভাবে থানা মর্মে ঘােষিত হয়েছে এবং এই সম্পর্কে সরকার যে স্থানীয় এলাকার উল্লেখ করেন সেই এলাকা এর অন্তর্ভূক্ত হয়।
ন) পাবলিক প্রসিকিউটর (সরকারি অভিযােজক) বলতে অত্র আইনের ধারা ৪৯২ মােতাবেক নিযুক্ত যে-কোন ব্যক্তিকে বুঝায় এবং পাবলিক প্রসিকিউটরের (সরকারি অভিযােজকের) নির্দেশাদির আওতায় কাজ করেছেন এমন যে কোন ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হবে।
প) উপজেলা অর্থ উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ (১৯৯৮ সনের ২৪নং আইন) ; এ সংজ্ঞায়িত উপজেলা।
ফ-ব) ১৯৮২ সনের ২৪নং অধ্যাদেশ বলে বাতিলকৃত।
২) শব্দের মাধ্যমে কাজ করা- যে সকল শব্দের মাধ্যমে কোন কার্য করা হয়েছে মর্মে বুঝাবে, উহার মাধ্যমে উক্ত কার্য থেকে বে-আইনিভাবে বিরত থাকাও বুঝাবে; দণ্ডবিধিতে যে সমস্ত শব্দের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ও যে সকল শব্দ বা অভিব্যক্তি এখানে ব্যবহৃত হয়েছে এবং দণ্ডবিধি (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন) এ যেসব শব্দের সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ও এইখানে যা ব্যবহৃত হয়েছে বা ইতিপূর্বে সংজ্ঞা দেওয়া হয় নাই, সেই শব্দের সংজ্ঞা যথাক্রমে দণ্ডবিধিতে বর্ণিত মতেই বুঝতে হবে।
ধারা ৪ক রেফারেন্সের গঠন
(১) এই কার্যবিধিতে ভিন্নরূপ নির্দেশিত না হলে কোন রেফারেন্স-
ক) কোন বিশেষায়িত শব্দের অনুপস্থিতিতে, কোন ম্যাজিস্ট্রেট বলতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে নির্দেশ করবে;
খ) বিশেষায়িত শব্দসহ স্পষ্টভাবে কোনাে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ না করলে ম্যাজিস্ট্রেট বলতে উপধারা-২(খ) তে নির্দেশিত অর্থ প্রদান করবে;
গ) একজন সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট বলতে নির্দেশ করবে-
১. জেলা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সম্পাদনযােগ্য কার্যাবলী উপ-ধারা (২) এর দফা (খ) এ উল্লিখিত প্রকৃতির হয়; অথবা
২. চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, যদি সম্পাদনযােগ্য কার্যাবলী উপধারা (২) এর (ক) দফা এ উল্লিখিত প্রকৃতির হয়;
ঘ) কোন সহকারী সেশন জজ বলতে যুগ্ম সেশন জজকে নির্দেশ করবে;
ঙ) মেট্রোপলিটন এলাকা বলতে কোন মেট্রোপলিটন এলাকার অন্তর্গত এলাকাকে নির্দেশ করবে;
চ) মেট্রোপলিটন এলাকা সম্পর্কিত কোনাে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি রেফারেন্স এর বরাবরে হলে, উক্ত এলাকাতে বিচারিক ক্ষমতা সম্পন্ন কোনাে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ করবে;
ছ) মেট্রোপলিটন এলাকা বহির্ভূত কোন এলাকার সাথে সম্পর্কিত কোনাে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এর প্রতি হলে, উক্ত এলাকাতে বিচারিক ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ করবে।
২) যেখানে, এই কার্যাবিধি ব্যতীত বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইনের অধীন, একজন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক সম্পাদনযােগ্য কার্যাবলী এমন ঘটনা সম্পর্কে হয়
ক) যা জড়িত সাক্ষ্যের উৎকর্ষ সাধন বা স্থানান্তর বা কোনাে সিদ্ধান্তের যথার্থ প্রকাশ যা কোনাে ব্যক্তিকে অনুসন্ধান, তদন্ত বা বিচার বা অন্য কোনাে কার্যধারা ঝুলিয়ে রেখে কারাগারে আটক বা দন্ড বা শাস্তির মুখােমুখি করে বা তাহাকে কোনাে আদালতের সম্মুখে বিচারের জন্য প্রেরণের প্রভাবদায়ী,সেসব ঘটনা এই বিধির বিধানাবলীর আওতায়, কোনাে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রয়ােগযােগ্য হবে; বা
খ) যা লাইসেন্স প্রদান, লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিলকরণ, ফৌজদারি মােকদ্দমার পরিচালনার অনুমতি প্রদান বা অনুরূপ মােকদ্দমা প্রত্যাহার ইতিপূর্বে প্রশাসনিক বা নির্বাহী প্রকৃতির কার্যাবলির সাথে সম্পর্কিত তা হলে তৎসমূদয়, পূর্বোক্তরূপ বিধান সাপেক্ষে, একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তব্যের আওতাধীন হবে।
ধারা ৫ দণ্ডবিধি মােতাবেক অপরাধের বিচার ও অন্যান্য আইন অনুসারে অপরাধের বিচার
(১) দণ্ডবিধির যাবতীয় অপরাধের তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার ও অন্য কোন প্রকার বিধিব্যবস্থা অতঃপর এই বিধিতে বর্ণিত বিধান অনুসারে করা হবে।
(২) অন্যান্য আইন মােতাবেক অপরাধের বিচার
অন্য কোন আইনের অপরাধ সমূহের তদন্ত, অনুসন্ধান, বিচার ও অন্য কোন বিধিব্যবস্থা এই একই বিধান মােতাবেক হবে, কিন্তু উক্ত অপরাধ সমূহের বিধিব্যবস্থার পদ্ধতি বা তদন্তের স্থান, অনুসন্ধান, বিচার বা অন্য কোন বিধিব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণকারী বর্তমানে বলবৎ অন্য কোন আইনে থাকিলে তা সেই আইন সাপেক্ষে হবে।