Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

গ্রেফতার পলায়ন ও পুনরায় গ্রেফতারের বিধান

Chapter 5 পঞ্চম অধ্যায়

of Arest Escape and Retaking

গ্রেফতার পলায়ন ও পুনরায় গ্রেফতার

Arest Generally

সাধারণভাবে গ্রেফতার

ধারা ৪৬ কিভাবে গ্রেফতার করা হয়

১) কোন একটি গ্রেপ্তার করতে, গ্রেপ্তারকারি পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য ব্যক্তি, যাকে গ্রেফতার করতে হবে সেই ব্যক্তির প্রকৃতপক্ষে দেহ স্পর্শ করবেন বা বন্দী করবেন যদিনা সে কথায় বা কাজে আত্মসমর্পণ করে কয়েদ স্বীকার করে।

২) গ্রেফতারের চেষ্টায় প্রতিরােধ

উক্ত ব্যক্তি জোর করে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টায় বাধা প্রদান করলে বা গ্রেফতার এড়াইতে চেষ্টা করলে উক্ত পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য ব্যক্তি গ্রেফতার কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রয়ােজনীয় সকল পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।

৩) এই ধারায় কোন কিছুই যে ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডযােগ্য অপরাধে অভিযুক্ত নয় তার মৃত্যু ঘটাইতে কোন অধিকার প্রদান করে নাই।

ধারা ৪৭ যাকে গ্রেফতার করতে চাওয়া হয়েছে সে কোন স্থানে প্রবেশ করে থাকিলে সেই স্থানে তল্লাশি

গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট কার্যকরত কোন ব্যক্তি বা গ্রেফতার করতে ক্ষমতা আছে এমন কোন পুলিশ কর্মচারীর এমন বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হবে, তিনি কোন স্থানে প্রবেশ করেছেন বা সেখানে অবস্থান করতেছে, তাহলে উক্ত স্থানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি উপরিউক্তরূপে কার্যরত ব্যক্তি বা উক্ত পুলিশ অফিসারের দাবিক্রমে তাকে অবাধে উক্ত স্থানে প্রবেশ করতে দিবেন এবং উক্ত স্থানে তল্লাশির জন্য সকল প্রকার যুক্তিসঙ্গত সুযােগ সুবিধা দিবেন ।

ধারা ৪৮ যেক্ষেত্রে প্রবেশ করা যায় না সেক্ষেত্রে পদ্ধতি

ধারা-৪৭ মােতাবেক উক্ত স্থানে প্রবেশ করা না যায় তবে যেকোন ক্ষেত্রে ওয়ারেন্ট কার্যকর করবে এমন একজন ব্যক্তির পক্ষে এবং যেক্ষেত্রে ওয়ারেন্ট জারি হতে পারে, কিন্তু যাকে গ্রেফতার করতে হবে সেই ব্যক্তিকে পালাইবার সুযােগ করা ছাড়া উক্ত ওয়ারেন্ট পাইতে পারা যায় না সেইরূপ যে কোন ক্ষেত্রে একজন পুলিশ অফিসারের পক্ষে, উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি করা, এবং উক্ত স্থানে প্রবেশ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে যে কোন গৃহ বা স্থানের বাইরের বা ভেতরের যে কোন দরজা বা জানালা, তা যাকে গ্রেফতার করতে হবে সেই ব্যক্তিরই হউক বা অন্য কোন ব্যক্তিরই হােক, ভেঙ্গে ফেলা আইনানুগ হবে, যদি উক্ত ওয়ারেন্ট কার্যকরকারি ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসার তার কর্তৃত্ব ও উদ্দেশ্য এবং উক্ত স্থানে প্রবেশ করার যথাযথ দাবি জানানাের পর অন্য কোনভাবে সেখানে প্রবেশ করতে না পারেন।

অন্দরমহলের দরজা ভেঙ্গে ফেলা

তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত কোন স্থানের প্রথা অনুযায়ি প্রকাশ্যে হাজির হন না এমন কোন একজন মহিলার (যাকে গ্রেফতার করা হবে তিনি নহেন) প্রকৃত দখলে থাকা একটি কক্ষ হয়, তবে উক্ত ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসার , ঐ কক্ষে প্রবেশ করার আগে ঐ মহিলাকে জানাবেন যে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিতে স্বাধীন এবং তার সরিয়া যাওয়ার জন্য তাকে যথাযথ প্রত্যেক সুযােগ প্রদান করবেন, এবং তারপর ঐ কক্ষ উক্ত ব্যক্তি বা পুলিশ অফিসার ভেঙ্গে খুলিতে পারেন এবং সেখানে প্রবেশ করতে পারেন।

ধারা ৪৯ মুক্তিলাভের জন্য দরজা ও জানালা ভাঙ্গার ক্ষমতা

গ্রেফতার করতে অনুমােদিত যেকোন পুলিশ অফিসার বা অন্য কোন ব্যক্তি গ্রেফতার করার প্রয়ােজনে নিজে বা অন্য কোন ব্যক্তি কোন গৃহ অথবা স্থানে আইনানুগভাবে প্রবেশের পর তথায় আটকিলে নিজেকে বা ঐ অন্য কোন ব্যক্তিকে ঐ গৃহ বা স্থান থেকে মুক্তির লক্ষ্যে ঐ গৃহ বা স্থানের বাহিরের অথবা ভিতরের দরজা অথবা জানালা ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া বাহির হতে পারেন।

ধারা ৫০ অনাবশ্যক বাধা প্রদান করা যাবে না

 গ্রেফতার করা ব্যক্তির পলায়ন রােধ করতে যা প্রয়ােজনীয় তদপেক্ষা অধিক বাধা প্রদান করা যাবে না।

ধারা ৫১ গ্রেফতার করা ব্যক্তির দেহ তল্লাশি

 যখন একজন ব্যক্তি একজন পুলিশ অফিসার কর্তৃক, এমন একটি ওয়ারেন্ট বলে গ্রেফতার হয় যে ওয়ারেন্টে জামিন নিতে বিধান দেয় না, বা এমন একটি ওয়ারেন্ট বলে গ্রেফতার হয় যে ওয়ারেন্ট জামিন নিতে বিধান দেয়, কিন্তু উক্ত গ্রেফতার করা ব্যক্তি জামিন দিতে পারে না; এবং যখন কোন ব্যক্তি বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার হয় বা কোন সাধারণ নাগরিক কর্তৃক ওয়ারেন্ট বলে গ্রেফতার হয় এবং আইনত জামিন নেওয়া যায় না, বা সে জামিন দিতে অসমর্থ হয়, সেক্ষেত্রে গ্রেফতারকারি অফিসার বা কোন বেসরকারি ব্যক্তি গ্রেফতার করলে তিনি গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে যার নিকট অর্পণ করেন সেই পুলিশ অফিসার তার দেহ তল্লাশি করতে পারেন এবং পরিধেয় বস্ত্র ছাড়া তার কাছে পাওয়া সকল প্রব্যাদি নিরাপদ হেফাজতে রাখতে পারেন।

ধারা ৫২ নারীদের দেহ-তল্লাশি প্রণালী

যেক্ষেত্রে কোন নারীর দেহ তল্লাশির প্রয়ােজন হয়, সেক্ষেত্রে অন্য কোন নারী দিয়ে কঠোরভাবে শালিনতা বজায় রেখে করাতে হবে।

ধারা ৫৩ আক্রমক অস্ত্রশস্ত্র জব্দ (সীজ) করার ক্ষমতা

 এই কার্যবিধির আওতায় গ্রেফতারকারি অফিসার বা অন্য কোন ব্যক্তি গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির কাছে থাকা কোন আক্রমক (আক্রমণাত্মক) অস্ত্ৰ থাকিলে তা তার কাছ থেকে নিয়া যেতে পারেন এবং এইরূপভাবে নিয়ে যাওয়া অস্ত্রশস্ত্র সেই আদালতে বা অফিসারের কাছে প্রত্যর্পণ করবেন, যে আদালত বা অফিসারের কাছে অত্র কার্যবিধি মােতাবেক গ্রেফতারকারি অফিসার বা ব্যক্তির উক্ত গ্রেফতার করা ব্যক্তিকে উপস্থিত করতে হবে।

Arrest without Warrant

বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার

ধারা ৫৪ বিনা ওয়ারেন্ট বা পরােয়ানায় পুলিশ কখন গ্রেফতার করতে পারে

১) যে কোন পুলিশ অফিসার ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ বা পরােয়ানা/ওয়ারেন্ট ছাড়াই নিম্নে বর্ণিত যে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারেন।

প্রথমত,

কোন আমলযােগ্য অপরাধের সাথে জড়িত কোন ব্যক্তি, বা এইরূপে জড়িত হয়েছে বলিয়া যার বিরুদ্ধে যুক্তিগ্রাহ্য অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে, বা বিশ্বাসযােগ্য সংবাদ পাওয়া গিয়াছে, বা যুক্তিসঙ্গত সন্দেহ রহিয়াছে; বা

দ্বিতীয়ত,

আইনসঙ্গত কারণ ছাড়া যার নিকট ঘর ভাঙ্গার কোন সরঞ্জাম রহিয়াছে, সেইরূপ ব্যক্তি; এই আইনসঙ্গত কারণ প্রমাণ করার দায়িত্ব তার;

তৃতীয়ত,

এই কার্যবিধির আওতায় বা সরকারের আদেশে যাকে একজন অপরাধী হিসাবে ঘােষণা করা হয়েছে;

চতুর্থত,

যে ব্যক্তির দখলে/অধিকারে কোন জিনিস পাওয়া যায় যা চোরাইমাল বলে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যেতে পারে এবং উক্ত মাল সম্পর্কে কোন একটি অপরাধ করেছে বলিয়া যাকে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যেতে পারে; বা

পঞ্চমত,

যে ব্যক্তি একজন পুলিশ-অফিসারকে তার কর্তব্য করাকালিন বাধা প্রদান করে, অথবা যে ব্যক্তি আইনানুগভাবে হেফাজত থেকে পলায়ন করেছে অথবা পলায়নের চেষ্টা করে;

ষষ্ঠত,

বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে কর্মাদি পরিত্যাগ করে পলায়নকারি মর্মে যাকে যুক্তিসঙ্গতভাবে সন্দেহ করা যেতে পারে;

সপ্তমত,

বাংলাদেশে করা হলে অপরাধ হিসাবে দণ্ডযােগ্য হত; বাংলাদেশের বাহিরে কৃত এইরূপ কোন কার্যের সহিত জড়িত ব্যক্তি বা এইরূপ জড়িত হিসাবে যার বিরুদ্ধে
যৌক্তিক অভিযােগ দায়ের করা হয়েছে, বা বিশ্বাসযােগ্য সংবাদ পাওয়া গিয়াছে, অথবা যুক্তিযুক্ত সন্দেহ রহিয়াছে, এবং যার জন্য উক্ত ব্যক্তি অপরাধী বিনিময় সংক্রান্ত কোন আইনের আওতায়, অথবা পলাতক অপরাধী আইন, ১৮৮১ মােতাবেক, বা অন্য কোনভাবে বাংলাদেশে গ্রেফতার হতে বা কয়েদে আটক থাকিতে বাধ্য;

অষ্টমত,

যে ব্যক্তি, একজন মুক্তিপ্রাপ্ত আসামি হয়ে, অত্র কার্যবিধির ধারা-৫৬৫(৩) এর আওতায় তৈরী কোন নিয়ম লঙ্ঘন করে;

নবমত,

যে ব্যক্তির গ্রেফতারের জন্য অন্য একজন পুলিশ অফিসারের কাছ থেকে অনুরােধ পাওয়া গিয়াছে; যদি যাকে গ্রেফতার করা হবে তার এবং যে অপরাধ বা অন্য যে কারণে গ্রেফতার করা হবে সে সম্পর্কে অনুরােধে সুস্পষ্ট তথ্য থাকে এবং তা হতে প্রতীয়মান হয় যে, যে পুলিশ অফিসার উক্ত অনুরােধ করেছেন সেই পুলিশ অফিসার কর্তৃক বিনা ওয়ারেন্টে উক্ত ব্যক্তিকে আইনানুগভাবে গ্রেফতার করতে পারে।

ফৌজদারী কার্যবিধি ৫৪ ধারায় গ্রেফতারকৃত আসামি কোর্টে চালান দেওয়ার একটি ফরওয়ার্ডিং রিপোর্ট


বরাবর

থানা ম্যাজিস্ট্রেট

বন্দর নারায়ণগঞ্জ।
মাধ্যমে কোর্ট পুলিশ অফিসার।

বিয়ষঃ ফৌঃ কাঃ বিঃ ৫৪ ধারায় গ্রেফতারকৃত আসামিকে কোর্টে প্রেরণ প্রসঙ্গে।

সূত্রঃ বন্দর থানার সাধারণ ডায়রী নং- ৭০, তাং- ৩০/১২/২১ ইং।

ধারাঃ ৫৪ কাঃ বিঃ।

জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে, আসামি মােঃ হাবিবুর রহমান, পিতা- মােঃ আবুল হােসেন, গ্রাম- ক, থানা বন্দর, জেলা- নারায়ণগঞ্জকে আপনার কোর্টে প্রেরণ পূর্বক এই মর্মে প্রতিবেদন পেশ করছি যে, ৩০/১২/২১ ইং তারিখ রাত্রি আনুমানিক ১৬.২০ মিনিটে মােঃ হাবিবুর রহমান ক গ্রামের বাজারে সন্দেহজনকভাবে ঘােরাফেরা করতেছিল এবং ধৃত আসামি পুলিশের দৃষ্টির অগােচরে থেকে কোন ধর্তব্য অপরাধ করার সুযােগ খুঁজতেছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত এলাকায় এমনিভাবে ঘােরাফেরার কোন সন্দেহমুক্ত জবাব দিতে পারে নাই। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঠিকানা দেওয়ায় তাকে সন্দেহের কারণ হয় এবং উক্ত আসামি ধর্তব্য অপরাধের সাথে জড়িত আছে সন্দেহে তাকে ফৌঃ কাঃ বিঃ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরূদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

অতএব, বিনীত প্রার্থণা এই যে, তদন্ত পূর্বক পরবর্তী প্রতিবেদন পেশ না করা পর্যন্ত আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখিতে মর্জি হয়। আমি আসামির জামিনের বিরােধীতা করতেছি।

তারিখঃ- ৩০/১২/২১ ইং।

বিনীত
আবুল কালাম মৃধা
সি.আই.ডি
নারায়ণগঞ্জ।

ধারা ৫৫ ভবঘুরে, অভ্যাসগত দস্যু ইত্যাদি গ্রেফতার

নিম্নে বর্ণিত ব্যক্তিগণকে থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার অনুরূপভাবে গ্রেফতার করতে অথবা গ্রেফতার করাতে পারেন-

ক) থানার গন্ডির মধ্যে যে ব্যক্তি এই পরিস্থিতিতে নিজের উপস্থিতি লুকাইবার জন্য সতর্কতা গ্রহণ করতেছে, যার ফলে যুক্তিযুক্তভাবে বিশ্বাস করা যেতে পারে যে, কোন আমলযােগ্য অপরাধ সংঘটনের লক্ষ্যেই সে উক্তরূপ সতর্কতা গ্রহণ করতেছে; বা
খ) থানার গন্ডির মধ্যে যে ব্যক্তির কোন প্রকাশ্য আয়ের উৎস নাই বা যে ব্যক্তি নিজ সম্বন্ধে কোন সন্তোষজনক বিবরণ প্রদান করতে পারে না; বা
গ) যে ব্যক্তি অভ্যাসগত ডাকাত, গৃহভঙ্গকারি অথবা চোর হিসাবে পরিচিত, বা যে ব্যক্তির চোরাই মর্মে অভ্যাসগতভাবে চোরাইমাল গ্রহণের দুর্নাম আছে, বা যে ব্যক্তি অভ্যাসগতভাবে জোরপূর্বক অন্যের সম্পত্তি গ্রহণ, বা উক্তরূপে গ্রহণের লক্ষ্যেই অভ্যাসগতভাবে অন্যকে আঘাতের ভীতি প্রদর্শন করে মর্মে দুর্নাম আছে।

ধারা ৫৬ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করতে পুলিশ অফিসার যখন তার প্রতিনিধি হিসাবে অধঃস্তন কর্মচারীকে নিযুক্ত করেন সেক্ষেত্রে পদ্ধতি

থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার বা অত্র কার্যবিধির অধ্যায়-১৪ মােতাবেক তদন্তকারি কোন পুলিশ-অফিসার যখন, যে ব্যক্তি বিনা ওয়ারেন্টে আইনানুগভাবে গ্রেফতার হতে পারে সেইরূপ কোন ব্যক্তিকে বিনা ওয়ারেন্টে (তার উপস্থিত ছাড়া অন্য কোনভাবে) গ্রেফতার করতে তার অধঃস্তন কোন অফিসারকে বলেন, তখন তিনি যে অফিসারকে ঐ গ্রেফতার করতে বলিয়াছেন সেই অফিসারকে, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হবে তার বিষয় এবং যে অপরাধ বা অন্য কারণে উক্ত গ্রেফতারটি করতে হবে সে বিষয়ে বিশেষভাবে উল্লেখ করে, একটি লিখিত আদেশ প্রদান করবেন এবং যে অফিসারকে ঐরূপ গ্রেফতার করতে বলা হয়েছে সেই অফিসার, গ্রেফতারটি করার আগে, যে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে হবে তাকে উক্ত আদেশের সারমর্ম জানাইবেন এবং ঐ ব্যক্তি যদি সেইরূপ চায় তা হলে উক্ত আদেশটি দেখাইবেন।

ধারা ৫৭ নাম ও বাসস্থান জানাইতে অস্বীকৃতি

১) যখন কোন ব্যক্তি কোন পুলিশ অফিসারের উপস্থিতিতে কোন আমল অযােগ্য অপরাধ করে অথবা করার অপরাধে অভিযুক্ত হয় এবং উক্ত অফিসার দাবীমত নিজ নাম ও বাসস্থানের ঠিকানা দিতে অস্বীকার করে, বা এমন নাম ও ঠিকানা জানায় যা উক্ত অফিসারের অসত্য বলিয়া বিশ্বাস করার কারণ থাকে, তখন তার নাম ও ঠিকানা খুঁজিয়া বাহির করার জন্য ঐ পুলিশ অফিসার তাকে গ্রেফতার করতে পারেন।
২) যখন তার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা পাওয়া যায়, তখন একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট প্রয়ােজনবােধে উপস্থিত হতে, জামিনদারসহ বা ছাড়া সম্পাদিত মুচলেকায় সে মুক্তি পাইবে। তবে শর্ত থাকে যে, যদি উক্ত ব্যক্তি বাংলাদেশের বাসিন্দা না হয়, তা হলে এক বা একাধিক বাংলাদেশের বাসিন্দাকে তার মুচলেকার জামিনদার হতে হবে।
৩) গ্রেফতারের সময় থেকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে যদি উক্ত ব্যক্তির প্রকৃত নাম ঠিকানা জানিতে না পারা যায় বা ঐ ব্যক্তি যদি মুচলেকা সম্পাদনে ব্যর্থ হয়, ঐ ব্যক্তি, যদি সেইরূপ প্রয়ােজন হয়, পর্যাপ্ত জামিনদার সংগ্রহ করতে যদি ব্যর্থ হয়, তবে অবিলম্বে তাকে নিকটস্থ এখতিয়ারবান ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে প্রেরণ করতে হবে।

ধারা ৫৮ ভিন্ন অধিক্ষেত্রগুলিতে অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য অনুসরণ

 অত্র অধ্যায় মােতাবেক, কোন ব্যক্তিকে বিনা পরােয়ানায় গ্রেফতারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশের যে কোন স্থানে উক্ত ব্যক্তির অনুসরণ করতে পারেন।

ধারা ৫৯ বেসরকারি ব্যক্তি কর্তৃক গ্রেফতার এবং সেইরূপ ক্ষেত্রে গ্রেফতারের পদ্ধতি

১) যে-কোন বেসরকারি ব্যক্তি, তার মতে জামিন অযােগ্য ও আমলযােগ্য অপরাধকারি ব্যক্তিকে, অথবা অপরাধী মর্মে ঘােষিত কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারেন এবং অযথা বিলম্ব না করে তাকে পুলিশ অফিসারের কাছে অর্পণ করবেন, বা পুলিশ অফিসারের অনুপস্থিতিতে তাকে নিকটস্থ থানার হেফাজতে লইয়া যাবেন অথবা লইয়া যাওয়ার কারণ ঘটাবেন।
২) যদি উক্ত ব্যক্তি ধারা-৫৪ এর আওতাভূক্ত বলে বিশ্বাস করার কারণ থাকে, তা হলে একজন পুলিশ অফিসার তাকে পুনরায় গ্রেফতার করবেন।
৩) যদি উক্ত ধৃত ব্যক্তি কোন একটি আমল অযােগ্য অপরাধ করেছে মর্মে বিশ্বাস করার কারণ থাকে, এবং পুলিশ অফিসারের দাবির পর সে নিজের নাম ও বাসস্থানের ঠিকানা প্রদানে অস্বীকার করে, অথবা এমন নাম ও ঠিকানা দেওয়া হয়, যা উক্ত অফিসারের মিথ্যা বলিয়া বিশ্বাস করার যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে, তা হলে উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধারা-৫৭ ধারা বলে বিশ্বাস করার মতাে যথেষ্ট কারণ না থাকিলে তাকে তৎক্ষণাৎ
ছাড়িয়া দিতে হবে।

ধারা ৬০ গ্রেফতার করা ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে আনিতে হবে

একজন পুলিশ অফিসার যিনি বিনা ওয়ারেন্টে কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছেন, তিনি অযথা বিলম্ব না করে এবং জামিন সম্পর্কে অত্র কার্যবিধিতে বলা বিধানাদি সাপেক্ষ, গ্রেফতার করা ব্যক্তিকে এই বিষয়ে এখতিয়ারবান কোন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কোন থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারের কাছে হাজির করবেন বা পাঠাইয়া দিবেন।

ধারা ৬১ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে চব্বিশ ঘন্টার বেশী আটক রাখা যাবে না

 বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতারকৃত কোন ব্যক্তিকে কোন পুলিশ অফিসার কোন অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে যা প্রয়ােজনীয় সেই সময়কালের বেশী সময় ধরিয়া জিম্মায় আটক রাখিবেন না এবং ধারা-১৬৭ এর আওতায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদেশের অনুপস্থিতিতে, গ্রেফতারের স্থান থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সফর করার সময় বাদ দিয়ে চব্বিশ ঘন্টার বেশী হবে না।

ধারা ৬২ গ্রেফতার করার প্রতিবেদন/রিপাের্ট পুলিশ দেবেন

থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারগণ মেট্রোপলিটন এলাকায় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট এবং অন্যত্র জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট তাদের স্ব স্ব থানার এলাকার মধ্যে বিনা ওয়ারেন্টে আটককৃত সমস্ত ব্যক্তি এবং তাদিগকে জামিনপ্রাপ্ত হয়েছে কিনা, সে সম্পর্কে প্রতিবেদন দিবেন।

ধারা ৬৩ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির মুক্তি

একজন পুলিশ অফিসার কর্তৃক গ্রেফতার হওয়া কোন ব্যক্তি তার নিজ মুচলেকা (বণ্ড), বা জামিন, বা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ আদেশ ব্যতিত মুক্তি পাইবেন না।

ধাৱা ৬৪ ম্যাজিষেট্রটের উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ

যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি, নির্বাহী বা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ও তার এখতিয়ারের স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে কোন অপরাধ সংঘটন করে থাকে, সেক্ষেত্রে তিনি নিজে অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পারেন বা অন্য কোন ব্যক্তিকে অপরাধীকে গ্রেফতার করার আদেশ প্রদান করতে পারেন এবং অতঃপর এখানে জামিন সম্পর্কে বিবৃত ব্যবস্থা সাপেক্ষে অপরাধীকে হেফাজতে গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করতে পারেন।

ধারা ৬৫ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অথবা তার উপস্থিতিতে গ্রেফতার

যখন কোন নির্বাহী বা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে ও তার এখতিয়ার স্থানীয় সীমারেখার মধ্যে যে কোন সময়ে এইরূপ যে কোন গ্রেফতার করতে বা গ্রেফতারের নির্দেশ প্রদান করতে পারেন যাকে পরােয়ানার জন্য তিনি উক্ত সময়ে ক্ষমতাবান এবং পরিস্থিতি মােতাবেক পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

ধারা ৬৬ জিম্ম থেকে পালাইয়া গেলে গ্রেফতারের জন্য অনুসরণ করার এবং পুনরায় গ্রেফতার করার ক্ষমতা

আইনানুগ জিম্মায় থাকা ব্যক্তি যদি পালাইয়া বা তাকে সেখান থেকে জোর করে ছাড়াইয়া নিয়া যাওয়া হয়, তবে যে ব্যক্তির জিম্মা থেকে সে পালিয়েছে বা তাকে জোর করে ছাড়িয়া নেওয়া হয়েছে সেই ব্যক্তি অবিলম্বে বাংলাদেশের যেকোন স্থানে তাকে ধাওয়া এবং গ্রেফতার করতে পারেন।

ধারা ৬৭ ধারা-৬৬ মােতাবেক আটকের ক্ষেত্রে ধারা-৪৭, ৪৮ ও ৪৯ এর ব্যবস্থা প্রযােজ্য হবে

ধারা-৪৭, ৪৮ ও ৪৯ ধারার বিধানসমূহ ধারা-৬৬ এর আওতায় আটকের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে, যদিও উক্তরূপ আটককৃত ব্যক্তি ওয়ারেন্ট মােতাবেক কাজ করতেছে না এবং আটকের ক্ষমতাপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার নহেন।

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a