Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

Section 89A 89 B Alternative Dispute Resolution ধারা ৮৯ক ৮৯খ মধ্যস্থতা সালিশি দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

মধ্যস্থতা সালিশি আপোষ মীমাংসা Mediation Arbitration

Alternative Dispute Resolution ADR

Section 89A 89 B Alternative Dispute Resolution Mediation Arbitration Civil Procedure Code

ধারা ৮৯ক ৮৯খ মধ্যস্থতা সালিশি আপোষ মীমাংসা দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

ধারা ৮৯ক। মধ্যস্থতা

(১) অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ (২০০৩ সালের ৮নং আইন) এর অধীন ছাড়া লিখিত জবাব পেশের পর সমস্ত প্রতিদ্বন্দী বিবাদী নিজ দায়িত্বে বা তাদের নিজ নিজ উকিল দ্বারা উপস্থিত হলে আদালত মামলার বিরােধ বা বিরােধ গুলাে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে শুনানী বন্ধ রেখে মধ্যস্থতা করতে পারেন, বা মধ্যস্থতার দ্বারা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পক্ষগুলাের নিযুক্ত আইনজীবী বা আইনজীবীদের নিকট বা আইনজীবী নিযুক্তকৃত না থাকলে পক্ষ বা পক্ষগুলাের নিকট মামলার বিরােধ বা বিরােধ গুলাে নিষ্পত্তির ব্যাপারটি পাঠাতে পারেন, বা ১০নং উপ-ধারানুযায়ী জেলা জজ দ্বারা প্রণয়ণকৃত প্যানেলের কোন মধ্যস্থতাকারীর নিকট পাঠাতে পারেন। [২০১২ সালের ৩৬নং আইন দ্বারা সংশােধিত]

(২) ১নং উপ-ধারা অনুযায়ী ব্যাপারটি আইনজীবী গণের দ্বারা প্রেরণ করা হয়ে থাকলে, আইনজীবীগণ তাদের নিজ নিজ ক্লাইন্টদের সাথে যুক্তিপরামর্শ মােতাবেক উভয়ের সম্মতির দ্বারা নিযুক্ত নয়, বা অবসরপ্রাপ্ত কোন জজ, বা ১০নং উপ-ধারার আওতাধীনে জেলা জজের দ্বারা প্রণয়ণকৃত প্যানেল থেকে মধ্যস্থতাকারী বা তারা যে ব্যক্তিকে নিষ্পত্তির নিরীক্ষে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কার্যধারা পালন করতে যােগ্য মনে করেন, সে ব্যক্তিকে নিয়ােগ দিতে পারেন। তবে শর্ত থাকে যে, মধ্যস্থতাকারী হিসাবে একের অধিক ব্যক্তির নিযুক্তি নিষিদ্ধতার আওতাভুক্ত করে কোন কিছু এ উপ-ধারায় বর্ণিত হয় নাই মনে করতে হবে। তবে আরাে শর্ত থাকে যে, প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে উপনীত কোন ব্যক্তি মধ্যস্থতাকারী হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার অযােগ্য অভিহিত হবে।

(৩) ১নং উপ-ধারার আওতাধীন বিরােধ বা বিরােধ সমূহের ব্যাপারটি মধ্যস্থতার জন্য আইনজীবীদের, তাদের সংশ্লিষ্ট মক্কেল এবং মধ্যস্থতাকারী গণের উদ্দেশ্যে প্রেরিত পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে ফি এবং মধ্যস্থতার মাধ্যমে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উন্নত পদ্ধতি নির্ধারণ করবে, এবং যখন আদালত মধ্যস্থতা করবে, তখন উহার অনুসৃত নীতি নির্ধারণ করবে এবং মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে কোন প্রকার ফি চার্জ করবে না।

তবে শর্ত থাকে যে, যদি আইনজীবীগণ তাদের সংশ্লিষ্ট মক্কেল এবং মধ্যস্থতাকারী ফি ধার্য করতে ব্যর্থ হলে, তখন আদালত ফি ধার্য করে দিবে এবং উক্ত ধার্যকৃত নির্ধারিত ফি পক্ষগণের উপর বাধ্যতামূলক হবে। [২০১২ সালের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]

(৪) উপ-ধারা (১) অনুযায়ী রেফারেন্স গ্রহণের তারিখ হতে দশ দিনের মধ্যে কাকে মধ্যস্থতাকারী নিয়ােগ করল তা আদালতকে লিখিত ভাবে জ্ঞাত করবে; এবং যদি পক্ষসমূহ উক্ত সময়সীমার মধ্যে মধ্যস্থতাকারী নিয়ােগ করতে ব্যর্থ হয়, তা হলে আদালত (১০) উপ-ধারায় বর্ণিত বিধান অনুযায়ী প্যানেল হতে সাত দিনের মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারী নিয়ােগ করবেন এবং এই ধারার অধীন আদালতকে জ্ঞাত করার ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে অথবা আদালত কর্তৃক মধ্যস্থতাকারী নিয়ােগের তারিখ, যে ক্ষেত্রে যা প্রযােজ্য মধ্যস্থতা সম্পাদন করতে হবে, যদি না আদালত স্বউদ্যোগ অথবা পক্ষসমূহের যৌথ আবেদনের প্রেক্ষিতে অনুর্ধ ৩০(ত্রিশ) দিন সময় বর্ধিত করেন। [২০১২ সালের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]

(৫) মধ্যস্থতা কার্যে পক্ষ সমূহের গােপনীয় অবস্থা প্রকাশ না করে মধ্যস্থতাকারী মধ্যস্থতাকার্যের একটি প্রতিলিপি আদালত দাখিল করবেন; এবং ফলাফল যদি মামলায় বর্ণিত বিরােধ বা বিরােধ সমূহের আপােষরক্ষা হয়, তা হলে মীমাংসার শর্তসমূহের আলােকে প্রণয়ন করতে হবে, যার উপর পক্ষ সমূহের ও সাক্ষী হিসাবে আইনজীবীগণের ও মধ্যস্থাকারীর দস্তখত বা বৃদ্ধাঙ্গুলীর ছাপ থাকবে, যদি যে কোনটি থাকে, এবং অতঃপর আদালত সাত দিনের মধ্যে অত্র কার্যবিধির ২৩ নম্বর আদেশের সংশ্লিষ্ট বিধানাবলি অনুযায়ী আদেশ অথবা ডিক্রী অনুমােদন করবে। [২০১২ সালের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]

(৬) কোর্ট নিজে মধ্যস্থতা করলে ৫নং উপ-ধারায় উল্লেখিত প্রক্রিয়ার মত একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে এবং এতদুদ্দেশ্যে আদেশ প্রদান করবে। [২০১২ সালের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]

(৭) মধ্যস্থতার দ্বারা মীমাংসায় পৌছতে অপারগ হলে, উপ-ধারা ৯ এর শর্তানুযায়ী কোর্ট মামলার শুনানীর সে স্তর হতে আগাবেন, মধ্যস্থতার সিদ্ধান্তের বা উপ-ধারা ১ এর আওতাধীনে মধ্যস্থতার উদ্দেশ্যে পাঠানাের পূর্বে মামলা যে স্তরে ছিল, এবং এই কার্যবিধির সে প্রক্রিয়া মােতাবেক অগ্রসর হবে যাতে মধ্যস্থতার বা মধ্যস্থতার লক্ষ্যে রেফারেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় নাই।

(৮) এই ধারার অধীনে মধ্যস্থতা অবশ্য গােপন থাকবে এবং পক্ষগুলাের তাদের আইনজীবীদের প্রতিনিধিগণের বা মধ্যস্থতাকারীর কোন যােগাযােগ, দাখিলকৃত সাক্ষ্য, স্বীকৃতি, প্রদানকৃত বিবরণাদি বা মন্তব্য ও কথােপকথন বিশেষ সুবিধা বলে গণ্য হবে এবং একই মামলার বা অন্য কোন কার্যের প্রক্রিয়া পরবর্তী শুনানীতে উল্লেখ করা যাবে না এবং সাক্ষ্যে তা গ্রহণকৃত হবে না।

(৯) কোর্ট দ্বারা মধ্যস্থতায় গ্রহণকৃত পদক্ষেপ মামলায় বিদ্যমান বিরােধ বা বিরােধগুলাে সুরাহায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলে উক্ত কোর্ট মামলাটির হেতুভাষণ শুনবে না, যদি মধ্যস্থতার রেফারেন্স গ্রহণকারী জজ এই কোর্টের বিচারক হন, এবং তদক্ষেত্রে মামলাটি সঠিক এখতিয়ারবান অন্য কোন কোর্ট দ্বারা শ্রুত হবে ।

(১০) এই ধারার উদ্দেশ্যে জেলা বার এসােসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এর সাথে পরামর্শ মােতাবেক অবসরপ্রাপ্ত জজ, বিরােধ সুরাহায় প্রশিক্ষিত বলে জানা কোন ব্যক্তি এবং প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে নিযুক্ত নয় এরূপ ব্যক্তিবর্গ ব্যতিরেকে অপর কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ যারা এই উদ্দেশ্যে সঠিক বলে বিবেচিত, তাদের সঙ্গে মিলিত ভাবে জেলা জজ মধ্যস্থতাকারী গণের একটি ফর্দ প্রস্তুত করবে। সময়ে সময়ে তা হালনাগাদ সম্পন্ন করতে হবে এবং তার প্রশাসনিক এখতিয়ার এর আওতাধীন সকল সিভিল কোর্টকে ফর্দের ব্যাপারে তিনি জানাবে। তবে শর্ত থাকে যে, কোন কোর্টে কোন মামলার কোন পক্ষ দ্বারা কোন সময় কোন লোক আইনজীবী হিসাবে নিয়ােগপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে পক্ষগুলাের ভিতর তিনি মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কর্তব্য পালন করবে না।

(১১) এই ধারানুযায়ী সুরাহার প্রেক্ষিতে কোর্ট কোন আদেশ বা ডিক্রী প্রদান করলে তার বিরুদ্ধে কোনরূপ আপিল বা রিভিশন করা যাবে না।

(১২) কোর্ট ফি আইন, ১৮৭০ (১৮৭০ সালের ৭নং আইন) এ যা কিছু বর্ণিত থাকুক না কেন, কোন মামলার বিরোধ বা বিরোধ গুলো এই ধারার আওতাধীনে মীমাংসায় নিষ্পত্তি হলে পক্ষগুলাের দ্বারা আরজি বা জবাবে প্রদানকৃত কোর্ট ফি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে কোর্ট একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করবে এবং সাটিফিকেট ইস্যুর তারিখ থেকে ষাট দিনের ভিতর পক্ষগুলাে তা ফেরত পাওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করবে। 

(১৩) এই কার্যবিধির ২৩নং আদেশের আওতাধীনে মামলা তুলে নেওয়া, সমন্বয়ককরণ এবং রফা করার পক্ষগুলাের বাসনাকে এই ধারা অন্যভাবে সংকোচিত করেছে বলে কোন কিছু ধরে নেওয়া যাবে না।

ব্যাখ্যা (১) এই ধারার অধীনে মধ্যস্থতা অর্থে বুঝাবে নমনীয়তা, অনানুষ্ঠানিক অবাধ্যতামূলক, গােপনীয়তা, অ-প্রতিদ্বন্দিতা মূলক এবং সমঝােতা মূলক বিরােধ আপোষ রফার প্রক্রিয়া যার দ্বারা মধ্যস্থতাকারী রফার কোন শর্ত ইঙ্গিত না করে বা এতদ্সম্পর্কে আদেশ প্রদান না করে পক্ষগুলাের ভিতর বিদ্যমান মামলার বিরােধগুলাে নিষ্পত্তির সুযােগ সৃষ্টি করবে।

(২) এই ধারার আওতাধীন মীমাংসা আওতাভুক্ত করবে মামলার বিরােধগুলাের আংশিক মীমাংসার । (২০০৩ সালের ৪নং আইন দ্বারা সংশােধিত)

৮৯ক ৮৮খ ৮৯গ ধারার বিশ্লেষণ

ধারা ৮৯ক, ৮৯খ, ৮৯গ

বর্তমান ২০১২ সালের সংশােধনীর পর দেওয়ানি মামলাতে বিকল্প বিরােধ নিষ্পত্তি বিধানটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মধ্যস্থতা (Mediation): ৮৯ক ধারা

১। অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩ এ অধীন ব্যতিত, লিখিত জবাব পেশ করার পর আদালত শুনানী বন্ধ রেখে মধ্যস্থতার জন্য উভয় পক্ষকে বলবে কে মধ্যস্থতাকারি হবে।

১। পক্ষগণ জেলা জজ কর্তৃক প্রণয়নকৃত প্যানেল থেকে মধ্যস্থতাকারি নিয়ােগ দিতে পারে। বা

২। অবসরপ্রাপ্ত জজকে নিয়ােগ দিতে পারে বা,

৩। তাদের নিযুক্ত উকিল ব্যতিত অন্য কোন উকিলকে নিয়ােগ দিতে পারে।

আপোষ মিমাংসার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১। প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে আসীন ব্যক্তিকে মধ্যস্থতাকারি হিসাবে নিয়ােগ দেওয়া যাবে না।

২। একের অধিক মধ্যস্থকারি নিয়ােগ দেওয়া যায়।

কতদিনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারি নিয়ােগের বিষয়ে আদালতকে জানাতে হয়

রেফারেন্স গ্রহনের তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আদালতকে লিখিত ভাবে জানাতে হয়। তবে পক্ষসমুহ মধ্যস্থতাকারি নিয়ােগ করতে ব্যর্থ হলে আদালত ৭ দিনের মধ্যে একজন মধ্যস্থতাকারি নিয়ােগ দিবেন। অর্থাৎ মধ্যস্থতাকারি নিয়ােগের জন্য সর্বোচ্চ ১৭ দিন সময় পক্ষগন পেতে পারেন।

মধ্যস্থতার প্যানেল তৈরি

জেলা জজ জেলা বার এসােসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এর সাথে পরামর্শ করে অবসরপ্রাপ্ত জজ, বিরােধ নিষ্পত্তি করতে পারে এমন ব্যক্তি বা প্রজাতন্ত্রে লাভজনক পদে নিযুক্ত নয় এমন ব্যক্তিদের মধ্যস্থতাকারি প্যানেল তৈরি করতে পারেন।

মধ্যস্থতা কতদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে

৬০ দিনের মধ্যে মধ্যস্থতা নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে উক্ত সময়ের মধ্যে মধ্যস্থতা নিষ্পত্তিতে ব্যর্থ হলে আদালত অনধিক ৩০ দিন সময় বর্ধিত করতে পারে। অর্থাৎ মধ্যস্থতার জন্য সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।

মধ্যস্থতার ফলাফল

> মধ্যস্থতার পক্ষসমুহের আইনজীবীদের মাধ্যমে আদালতকে মধ্যস্থতা সম্পাদনের রিপাের্ট পেশ করবেন।

> উক্ত রিপাের্ট পক্ষ সমুহের ও সাক্ষী হিসাবে আইনজীবীগনের ও মধ্যস্থতাকারীর দস্তখত বা বৃদ্ধাংগুলির ছাপ থাকবে।

> প্রতিবেদন প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে আদালত আদেশ বা ডিক্রী প্রদান করবেন।

ADR সংক্রান্ত বিধানঃ

১। দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ = ধারা ৮৯ক-৮৯চ

২। পারিবারিক আদালত অর্ডিন্যান্স, ১৯৮৫, ধারা ১০-১১

৩। গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬

৪। অর্থঋণ আদালত আইন, ২০০৩ = ধারা ২২-২৫

ADR সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১। মধ্যস্থতার প্রতিবেদন পাবার পর আদালত ২৩ নং আদেশের বিধানুসারে ডিক্রী বা আদেশ দেন।

২। আদালত নিজে মধ্যস্থতা করতে ব্যর্থ হলে তিনি উক্ত মামলা শুনবেন না। বরং তা সম এখতিয়ার সম্পন্ন অপর কোন আদালত কর্তৃক শ্রুত হবে।

৩। মধ্যস্থতা ব্যর্থ হলে মামলা পূর্বের যে স্তরে ছিল উক্ত স্তর থেকে অগ্রসর হবে।

৪। মধ্যস্থতার সময় ব্যবহার যােগাযােগ, দাখিলকৃত সাক্ষ্য, স্বীকৃত বিবৃতি কোন কিছুই মামলার কোন পর্যায়ে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না।

৫। মধ্যস্থার মাধ্যমে বিরােধ নিষ্পত্তি হলে আপিল চলবে না।

৬। বিরােধ মধ্যস্থতার মীমাংসা হলে আদালতে আরজি বা জবাবে প্রদানকৃত কোর্ট ফি ফেরত দেওয়ার জন্য আদালত একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করবে এবং সাটিফিকেট ইস্যুর তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে পক্ষসমূহ তা ফেরৎ পাবার অধিকারি ।

৭। আপিল বা রিভিশন দায়ের করা যাবে না মধ্যস্থতার মাধ্যমে প্রদত্ত আপােষ ডিক্রীর বিরুদ্ধে। [ধারা ৮৯ক(১২)]

ধারা ৮৯খ। সালিসী Arbitration

(১) মামলার বিরােধ বা বিরােধগুলাে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সালিসের কাছে পাঠাবে এই‌ কারণে মামলার পক্ষগুলাে কার্যপদ্ধতির যে কোন পর্যায়ে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আদালতের সমীপে দরখাস্ত পেশ করলে আদালত আবেদন অনুমােদন করবে এবং মামলা তুলে নেওয়ার অনুমতি প্রদান করবে এবং তৎপরবর্তীতে যতদূর প্রয়ােগযােগ্য , সালিসী আইন, ২০০১ (২০০১ সনের ১নং আইন) মােতাবেক বিরােধ বা বিরােধগুলাে নিষ্পত্তির অগ্রসর হবে। তবে শর্ত থাকে যে, যে কোন কারণে সালিস কার্যব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকতায় রূপ না নিলে বা সালিসের রােয়েদাদ প্রদানকৃত না হলে এই উপ-ধারার আওতাধীনে তুলে নেওয়ার অনুমতিপ্রাপ্ত মামলার পক্ষগুলাে পুনঃ দাখিলের অধিকার অর্জন করবে।

(২) ১নং উপ-ধারানুযায়ী পেশকৃত আবেদন সালিসী আইন, ২০০১(২০০১ সনের ১নং আইন) এর ধারা নং ৯ এর আওতাধীনে সালিসের সম্মতি বলে ধরে নিতে হবে।

৮৯ক ধারাটি এস,আর ও নং ৭৪-আইন/২০০৩ সনের ৪নং আইন দ্বারা সন্নিবেশ করা হয়েছে এবং ১লা জুলাই, ২০০৩ হতে কার্যকরী করা হয়েছে। (২০০৩ সনের ৪নং আইন দ্বারা সংশােধিত)

ধারা ৮৯গ। আপিলে মধ্যস্থতা

(১) আপিল আদালত আপিলে মধ্যস্থতা করতে পারে বা কোন আপিলের তর্কিত বিষয় বা বিষয়গুলাের নিষ্পত্তির উদ্দেশ্যে আপিলটিকে মধ্যস্থতার জন্য প্রেরণ করতে পারেন, যদি আপিলটি আদেশ একচল্লিশ (XLI) এর অধীন এবং আদি মামলায় প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন এমন পক্ষগুলাের ভিতর বা এরূপ আদি প্রতিদ্বন্দিতাকারী পক্ষগণের স্থলাভিসিক্ত কোন পক্ষের মধ্যকার আদি আপিল হয়ে থাকে।

(২) উপ-ধারা (১) এর আওতাধীন মধ্যস্থতাকরণের ক্ষেত্রে, ৮৯ক ধারার বিধান গুলােকে প্রয়ােজনীয় পরিবর্তন (mulatis mutandis) সাপেক্ষে অনুসরণ করবে। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত)

ধারা ৮৯ঘ। মধ্যস্থতার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা।

প্রতিদ্বন্দী পক্ষগণের যে মামলা বা আপিল দেওয়ানি কার্যবিধি (সংশােধন) আইন, ২০১২ প্রবর্তন হওয়ার পূর্বে কোন আদালতে বিচারাধীন থাকলে, তারা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে বিরােধ নিষ্পত্তির ইচ্ছা পােষণের জন্য বিবরণসহ আবেদন করে, তবে এরূপ মামলা বা আপিল ধারা ৮৯ক বা ৮৯গ এর বিধানাবলি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে হবে।

ধারা ৮৯ঙ। ধারা ৮৯ক ও ধারা ৮৯গ এর বিধানাবলির প্রয়ােগ ও প্রবর্তন।

(১) ধারা ৮৯ক বা ৮৯গ এর বিধানাবলি যে সব এলাকায় প্রযােজ্য ও যে তারিখে বলবৎ হবে, তা সরকার সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তির দ্বারা নির্ধারণ করবে।

(২) ২০১২ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি সংশােধন আইন প্রবর্তনের পূর্বে ৮৯ক বা ৮৯গ ধারার বিধান মােতাবেক যে সমস্ত মামলা বা আপিল বিচারাধীন ছিল তা ধারা ৮৯ক বা ৮৯গ এর বিধানাবলি অনুযায়ী চালু থাকবে এই মর্মে যে উক্ত ধারাগুলাে দেওয়ানি কার্যবিধি সংশােধন আইন, ২০১২ সংশােধিত হয় নাই। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]

ধারা ৯০ বিশেষ মামলা

Section 90 Special Case

ধারা ৯০। আদালতের অভিমতের জন্য মামলায় বিবৃতি প্রদানের ক্ষমতা যখন কোন ব্যক্তিবর্গ আদালতের অভিমত গ্রহণের জন্য কোন মামলা গ্রহণ এর ব্যাপারে লিখিতভাবে বিবৃতি প্রদানে ঐক্যমত দান করেন, তখন আদালত নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় তার বিচারও নির্ধারণ করবে।

বিশেষ মামলার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ

Mino Vs. Manek

অত্র ধারায় আদালতের অভিমতের জন্য মামলা প্রেরনের বিধান করা হয়েছে। আদালতে মামলা বা বিরােধ প্রেরিত হবে বলে লিখিত অঙ্গীকার থাকলে এই ধারার বিধান প্রয়ােগযােগ্য হবে। কোন বিশেষ মামলা পক্ষবৃন্দের সম্মতিক্রমে নিষ্পত্তি হয়ে থাকলে পক্ষগণের সম্মতি ছাড়া তা পুনরায় উল্লেখ করা যাবে না। বর্তমান ধারার বিধানমতে কার্যক্রমে সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাবে।



Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a