- Get link
- X
- Other Apps
বিদেশি রাষ্ট্র কখন মামলা করতে পারে
Section 83 Suits by Aliens and by or against Foreign Rulers Ambassadors and Envoys. civil procedure code
ধারা ৮৩। বিদেশি দ্বারা এবং বিদেশি শাসক রাষ্ট্রদূত এবং বার্তাবাহক তারা বা তাদের বিরুদ্ধে মামলা। দেওয়ানী কার্যবিধি আইন
ধারা ৮৩। বিদেশি কখন মামলা করতে পারে ?
১) সরকারের অনুমতিক্রমে বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশি দুশমন এবং বিদেশি মিত্র বাংলাদেশের নাগরিক ছিল মর্মে বাংলাদেশের আদালতে মামলা করতে পারবে।
২) উক্তরূপ অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী বা বিদেশে বসবাসকারী কোন বিদেশি দুশমন অনুরূপ কোন আদালতে মামলা করতে পারবে না।
ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত, বা সামরিক অভিযানে লিপ্ত বিদেশি রাষ্ট্রে বসবাসকারী এবং সরকারের সচিব দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে প্রদানকৃত অনুমতি পত্র ছাড়া সে দেশে ব্যবসা পরিচালনাকারী প্রত্যেকে (২) উপ-ধারার উদ্দেশ্যে বিদেশে বসবাসকারী বিদেশি দুশমন বলে পরিগণিত হবে ।
ধারা ৮৪। বিদেশি রাষ্ট্র কখন মামলা করতে পারে
১) কোন বিদেশি রাষ্ট্র বাংলাদেশে যে কোন আদালতে মামলা করতে পারবে । তবে শর্ত থাকে যে, সে রাষ্ট্র সরকার দ্বারা স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে। আরও শর্ত থাকে যে, ঐরূপ রাষ্ট্রের প্রধান বরাবরে বা সরকারি ক্ষমতায় ঐ রাষ্ট্রে যে কোন কর্মকর্তা বরাবরে ন্যস্ত কোন ব্যক্তিগত অধিকার কার্যকর করাই মামলার উদ্দেশ্য হবে।
২) কোন বিদেশি রাষ্ট্র সরকার দ্বারা স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে কিনা, তা সম্পর্কে প্রত্যেক আদালত বিচারিক দৃষ্টি ভঙ্গি গ্রহণ করবে।
ধারা ৮৫। বিদেশি রাষ্ট্রের শাসনকর্তার পক্ষে মামলা পরিচালনা এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সরকার দ্বারা বিশেষভাবে নিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ
১) কোন বিদেশি রাষ্ট্রশাসকের অনুরােধে বা সরকারের মতে উক্ত শাসনকর্তার তরফ হতে কাজ করতে এবং তার পক্ষে মামলা পরিচালনা বা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে উপযুক্ত লােকের অনুরােধক্রমে সরকারের আদেশবলে বিশেষভাবে নিযুক্ত কোন ব্যক্তিগত উক্ত শাসনকর্তার পক্ষে এই আইনের আওতাধীনে উপস্থিত হতে, কার্য করতে আবেদন দাখিল করার জন্য স্বীকৃত প্রতিনিধি বলে পরিগণিত হবে ।
২) এই ধারানুযায়ী কোন নির্দিষ্ট মামলার জন্য বা শাসনকর্তার পক্ষে মামলা পরিচালনা বা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে সময় প্রয়ােজন হতে পারে এরূপ সমস্ত প্রকার মামলার জন্য উক্তধারার আওতায় নিয়ােগ করা যেতে পারে।
৩) এই ধারার আওতাধীনে নিয়ােগকৃত কোন মামলা বা মামলামূহে স্বয়ংপক্ষ ছিল গণ্যে অনুরূপ মামলা বা মামলাসমূহে উপস্থিত এবং আবেদন ও কর্মপদ্ধতি সম্পাদন করতে কাউকে ক্ষমতা প্রদান বা নিযুক্ত করতে পারে।
ধারা ৮৬। শাসনকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
(১) সরকারের কোন সচিবের স্বাক্ষরিত প্রত্যায়িত সম্মতিতে, কোন বিদেশি শাসনকর্তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আদালতে মামলা করা চলবে, কিন্তু এরূপ অনুমতি ব্যতিরেকে নয়।
(২) কোন নির্দিষ্ট মামলা বা বহু নির্দিষ্ট মামলা বা যে কোন নির্দিষ্ট শ্রেণি বা শ্রেণিগুলাের সমস্ত মামলার ক্ষেত্রে অনুরূপ সম্মতি প্রদত্ত হতে পারে এবং অনুরূপ সম্মতিতে কোন মামলা বা মামলাগুলাের শ্রেণির ক্ষেত্রে যে আদালত উক্ত শাসনকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা যেতে পারে সে আদালতে নির্ধারিত করে দিতে পারে; কিন্তু ইহা প্রদত্ত হবে না, যদি না সম্মতি জ্ঞাপনকারী কর্তৃপক্ষের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে শাসনকর্তা-
(ক) তার বিরুদ্ধে মামলা করতে ইচ্ছুক লােকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে, বা
(খ) স্বয়ং বা অন্য লােক দ্বারা আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানায় ব্যবসা করে, বা
(গ) উক্ত এখতিয়ার সীমানায় অবস্থিত স্থাবর সম্পত্তি দখলে থাকে এবং উক্তরূপ সম্পত্তির ব্যাপারে বা উহার উপর ধার্যকৃত টাকার দরুন মামলার সম্মুখীন হন তবে সম্মতি দেয়া যাবে না।
(৩) এই আইনের অন্তর্ভুক্ত এরূপ কোন শাসককে গ্রেফতার করা যাবে না এবং পূর্বোক্তরূপ সরকার এর প্রত্যায়িত সম্মতি ছাড়া এরূপ কোন শাসনকর্তার সম্পত্তির উপর ডিক্রী জারি হবে না।
(৪) বাতিল
(৫) এই ধারায় বর্ণিত অনুরূপ সম্মতি ব্যতিরেকে স্থাবর সম্পত্তির প্রজা হিসেবে কোন লোক শাসনকর্তার সম্পত্তির দখলদার হয় বা দখলের জন্য দাবি করে সে শাসনকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।
ধারা ৮৬ক। কুটনৈতিক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা
নিম্নবর্ণিত বিষয় বিষয়ক না হলে কোন কুটনৈতিক প্রতিনিধির বিরুদ্ধে কোন প্রকার জারি কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না-
ক) ব্যক্তিগত সামর্থে বাংলাদেশে অবস্থিত দখলকৃত কোন এবং মিশনের উদ্দেশ্যে প্রেরণকারী রাষ্ট্রের পক্ষে দখলকৃত নয়, এরূপ কোন ব্যক্তিগত সম্পত্তি;
খ) প্রেরণকারী রাষ্ট্রের পক্ষে নয়; কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে উত্তরাধিকারী নিবন্ধক, অছি, উত্তরাধিকারী বা উইল গ্রহীতা হিসাবে কুটনৈতিক প্রতিনিধি যে উত্তরাধিকারে জড়িত সে উত্তরাধিকার;
গ) কোন সরকারি কার্যাবলির বাহিরে বাংলাদেশে কুটনৈতিক প্রতিনিধি দ্বারা প্রয়ােগকৃত কোন পেশা বা কমার্শিয়াল তৎপরতা বিষয়ক বিষয় ছাড়া;
২) (১) উপ-ধারায় (ক), (খ) ও (গ) দফায় উল্লেখিত বিষয়গুলাে ছাড়া এবং যে সমস্ত ক্ষেত্রে তার ব্যক্তিত্ব বা বাসস্থানের নিরাপত্তা ছাড়া জারিকার্য গ্রহণ করা যেতে পারে, তদ্রুপ ক্ষেত্র ছাড়া কোন কুটনেতিক প্রতিনিধি সম্পর্কে কোনরূপ ডিক্রীজারির পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।
৩) কোন আদালতে কুটনৈতিক প্রতিনিধি কোন কার্যপদ্ধতি আরম্ভ করলে এবং তার দাবির সাথে বিষয়ক যে কোন বিপরীত দাবির ক্ষেত্রে তিনি আদালতের এখতিয়ার হতে নিজেকে বাদ দিতে পারবে না।
৪) (১) বা (২) নং উপ-ধারার আওতাধীনে কুটনৈতিক প্রতিনিধির বিমুক্তি প্রেরক রাষ্ট্র দ্বারা পরিত্যাগ করা যেতে পারে; এবং এরূপ পরিত্যাগ প্রকাশ্য হতে হবে।
৫) কোন মামলা সম্পর্কে অব্যাহতির দাবি পরিত্যাগ কোন জারির ব্যবস্থা সম্পর্কে অব্যাহতির দাবি পরিত্যাগ বুঝাবে না, যার সম্পর্কে আলাদাভাবে দাবি ত্যাগ প্রয়ােজন হবে।
৬) এই ধারায় কোন রাষ্ট্রের সম্পর্কে “কুটনৈতিক প্রতিনিধি" বলতে বাংলাদেশ সংশ্লিষ্ট মিশন এর কোন প্রধানকে বুঝায় এবং ঐ মিশনের কুটনৈতিক মর্যাদা সম্পন্ন যে কোন সদস্যকেও আওতাভুক্ত করবে।
ধারা ৮৭। মামলার পক্ষ হিসাবে শাসনকর্তার মামলা সম্পর্কে রীতি
কোন বিদেশি রাষ্ট্রের শাসনকর্তা তার রাষ্ট্রের নামে মামলা দায়ের করতে পারে এবং তার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হতে পারে । তবে শর্ত থাকে যে পূর্ববর্তী ধারায় বর্ণিত সম্মতি প্রদানকালে সরকার, বা সরকার ক্ষেত্র বিশেষে অনুরূপ শাসনকর্তার বিরুদ্ধে তার প্রতিনিধির নামে বা অন্যের নামে মামলা করতে পারবে বলে নির্দেশ প্রদান করতে পারে ।