- Get link
- X
- Other Apps
Section 113-115 Reference, Review and Revision. Civil Procedural Law
ধারা ১১৩-১১৫ রেফারেন্স রিভিশন রিভিউ বা অভিমতার্থে প্রেরণ, পুণর্বিচার ও পুনরীক্ষণ। দেওয়ানী কার্যবিধি আইন
ধারা ১১৩। হাইকোর্ট বিভাগে রেফারেন্স
নির্ধারিত শর্ত ও সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে কোন আদালত কারণ উল্লেখপূর্বক কোন মামলা হাইকোর্ট বিভাগের অভিমতার্থে রেফারেন্স প্রেরণ করতে পারে এবং হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত মামলা সম্পর্কে যথােপযুক্ত আদেশ দান করতে পারে।
১১৩ ধারার বিশ্লেষণ (হাইকোর্ট বিভাগে রেফারেন্স)
এই ধারার সাথে আদেশ ৪৬ মিলিয়ে পড়তে হয়। যেকোন আদালত হাইকোর্ট বিভাগের নিকট অভিমত চেয়ে মােকদ্দমা প্রেরণ করতে পারেন। এই ধারার প্রয়ােগ অতি বিরল।
কোন আদালত হাইকোর্টের মতামত চেয়ে কেবল তখনই প্রার্থনা জানাবেন যখন অধঃস্তন আদালত সংশ্লিষ্ট বিষয়টিতে সন্দেহ পােষণ করছেন। অধঃস্তন আদালত কোন মতামত গঠন করে উহার উপর কাজ চালিয়ে গেলে আর উক্ত বিষয় হাইকোর্টে প্রেরণ করা যাবে না। যেক্ষেত্রে আইনের জটিল প্রশ্ন, যেমন সুপ্রীম কোর্টের কোন সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা সম্বন্ধে কোন প্রশ্নের উদ্ভব হয়, তবে নিম্ন আদালত বিষয়টি হাইকোর্টে ইহার মতামতের জন্য প্রেরণ করতে পারেন।
ধারা ১১৪। রিভিউ বা পুনর্বিবেচনা
উল্লিখিতরূপ শর্তাদি ও সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে কোন লােক যদি নিম্নবর্ণিত কোন হেতুবশত অসন্তুষ্ট হয়-
ক) যে ডিক্রী বা আদেশ হতে এই আইন মতে আপিল চলে, কিন্তু আপিল দায়ের করা হয় নাই, তদ্রুপ কোন ডিক্রী বা আদেশহেতু;
খ) যে ডিক্রী বা আদেশ হতে এই আইনমতে কোন আপিল দায়ের চলে না, তদ্রুপ কোন ডিক্রী বা আদেশহেতু; অথবা
গ) কোন স্বল্প এখতিয়ার আদালত রেফারেন্সের উপর প্রদত্ত সিদ্ধান্ত দ্বারা সংক্ষুব্ধ মনে করেন তবে, উক্ত লােক ডিক্রী বা আদেশদানকারী আদালতের নিকট উহার রায় পুনর্বিচারের জন্য আবেদন করতে পারবে এবং আদালত তৎসম্পর্কে যথােপযুক্ত আদেশ দান করতে পারবে।
১১৪ ধারার বিশ্লেষণ
এই ধারায় রিভিউ-এর কথা বলা হয়েছে। এই ধারার সাথে আদেশ ৪৭ মিলিয়ে পড়তে হয়। কোন আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবির অধিকার আপিলের অধিকারের মত একটি বাস্তব অধিকার এবং কেবল একটি কার্যপদ্ধতির বিষয় নয়। কোন আইন দ্বারা প্রদত্ত না হলে পুনর্বিবেচনার অধিকার প্রয়ােগযােগ্য নয়। কোন রায় পুনর্বিবেচনা জন্য আবেদনকারি ব্যক্তিকে অবশ্যই তার দ্বারা কোন অবহেলা সংঘটিত হয় নাই ইহা প্রমাণ করতে হবে। আদালত দ্বারা ঘােষিত রায়ের চূড়ান্ত রূপ অপরিবর্তিত থাকবে। এমন যদি হয় যে, বাদীর অনুপস্থিতিতে কোন রীট দরখাস্তে রায় প্রদান করা হল। আপিলকারির অনুপস্থিতি আবার পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে পূর্ব প্রদত্ত রায় বাতিল করা হল। এইরূপ পরিস্থিতিতে রিভিউ গ্রহণ করে আদালত যে আদেশ প্রদান করল আইনের দৃষ্টিতে তা বৈধ ছিল না।
আপিল আদালতের আদেশের পুনর্বিচার
আপিল আদালতের কোন আদেশ ডিক্রীর বিরুদ্ধে রিভিউ চলবে কিনা এই প্রশ্নে নিম্ন আপিল আদালত কিভাবে আপিলের ক্ষমতা প্রয়োগ করল তা নিতান্তই অবান্তর। কেবল উক্ত আদেশ বা ডিক্রী এই বিধির অধীনে আপিল যোগ্য কিনা তা বিবেচনা পূর্বক এই ধারা শর্তাধীনে রিভিউ করলেই যথেষ্ট হবে। বিবাদীর অনুপস্থিতিতে রীট আবেদনে রায় প্রদান করা হয়। বাদীর অনুপস্থিতিতে রিট আবেদন শুনানির জন্য পূনরীক্ষণ আবেদনে আগের রায় বাতিল করা হয়।
রিভিউ (Review), ১১৪ ধারা, আদেশ ৪৭
সাধারণত রিভিউ বলতে বুঝায় যে আদালত রায় প্রদান করেছে, উক্ত আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় পূর্ণবিবেচনা বা পুনরায় দেখা বা বিচারক পর্যালােচনা কে রিভিউ বলে ।
রিভিউ সম্পর্কিত বিধান
দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ১১৪ এবং আদেশ ৪৭ রিভিউ সম্পর্কিত বিধান নিয়ে আলোচনা করে।
কে রিভিউ আবেদন করবে
যে পক্ষ আদালতের ডিক্রী বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ হয়, সেই পক্ষ রিভিউ আবেদন করতে পারে।
কোথায় রিভিউ আবেদন করতে হয়
ষে আদালত ডিক্রী বা আদেশ প্রদান করে, সেই একই আদালতে রিভিউর আবেদন করতে হয়।
কখন রিভিউ আবেদন করা যায়
১। যে ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা চলে কিন্তু আপিল করা হয় নাই।
২। যে ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল চলে না।
৩। ক্ষুদ্র বিয়ষকে আদালতে ৱেফারেন্স প্রদত্ত সিদ্ধান্ত।
রিভিউ আবেদন করার শর্তসমূহ
১। মামলা সম্পর্কে নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় আবিষ্কার হলে।
২। মামলার নথিতে ভুল ৰা স্পষ্টত কোন ভ্রান্তি থাকলে।
৩। অন্য কোন পর্যাপ্ত কারনে।
রিভিউ আবেদনের সময়সীমা
ডিক্ৰী বা আদেশ প্রদানের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন করতে হয়।
রিভিউ মঞ্জুর করলে তার বিরুদ্ধে প্রতিকার
১। রিভিউ আবেদন মঞ্জুর করলে তার বিরুদ্ধে আপিল চলে। [আদেশ ৪৩] তবে রিভিউর আবেদন না মঞ্জুর করলে রিভিশন চলবে।
রিভিউ ও রিভিশন এর মধ্যে পার্থক্য
রিভিউ এবং রিভিশনের মধ্যে নিম্নোক্ত পার্থক্যগুলি বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়-
(১) ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ১১৪ ধারায় রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার এবং একই আইনের ১১৫ ধারায় রিভিশন বা পুনঃনিরীক্ষণের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
(২) রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার সংজ্ঞায় দেওয়ানি কার্যবিধির ১১৪ ধারায় বলা হয়েছে, একজন বিচারক কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রীকে একই বিচারক কর্তৃক পূনরায় বিবেচনা করাকেই বলা হয় রিভিউ অপরদিকে, হাইকোর্ট তার অধঃস্তন আদালত কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত মামলার নথিপত্র বস্তুগত অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধভাবে সমাধান করা হয়েছে, সেসব নথিপত্র তলৰ করে পুনঃনিরীক্ষণের পর আদেশ প্রদান করেছেন, তাকেই বলা হয় রিভিশন।
(৩) রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার ক্ষেত্রে, যে আদালত ডিক্রী বা আদেশ প্রদান করেছে, কেবলমাত্র সে আদালতেই একজন ক্ষুব্ধ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট মামলাটি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদনপত্র দাখিল করতে পারে। অপরদিকে, রিভিশনের ক্ষমতা একমাত্র হাইকোর্টের উপরই এককভারে ন্যস্ত করা হয়েছে।
(৪) রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার হেতু হল, নূতন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অথবা সাক্ষ্য উদঘাটন কিংবা নথিপত্রে আপাতঃ প্রতীয়মান ভুলত্রুটি অথৱা অন্যকোন পর্যাপ্ত কারণ। পক্ষান্তরে, রিভিশনের হেতু এখতিয়ারেরর সাথে সম্পর্কযুক্ত। যেমনঃ এখতিয়ারের অপর্যাপ্ততা, এখতিয়ার প্রয়ােগে ব্যর্থতা এবং এখতিয়ারের অবৈধ প্রয়ােগ ও এখতিয়ার প্রয়ােগে অনিয়ম ইত্যাদি।
(৫) রিভিউ বা পুনর্বিবেচনার প্রার্থনা অনুমােদিত হলে আপিলযােগ্য হবে। কিন্তু রিভিশনের এখতিয়ার প্রয়ােগে আদেশ প্রদান করলে উহার বিরুদ্ধে কোন আপিল চলতে পারে না। আদালত রিভিউ বা পুনঃবিবেচনার আবেদন নামঞ্জুর করায় ১৫১ধারার আবেদন বলে পুনঃপরিগণিত হতে পারে না।
ধারা ১১৫। রিভিশন বা পুনঃনিরীক্ষণ
১) কোন মামলায় বা কর্মপ্রক্রিয়ায় জেলা জজ আদালত বা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালত দ্বারা ডিক্রী বা আদেশ প্রদত্ত হলে, বা যুগ্ম জেলা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজ দ্বারা ডিক্রী প্রদত্ত হলে, যার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা চলে না; সংক্ষুব্ধ পক্ষের আবেদনে হাইকোর্ট বিভাগ তার নথি তলব করতে পারবেন; এবং ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা সমাপন করিয়ে এই ডিক্রী বা আদেশে উক্ত আদালত আইনে ভ্রান্তি করেছে মর্মে দৃষ্টমান হলে হাইকোর্ট বিভাগ এই ডিক্রী বা আদেশ সংশােধন করতে পারবেন, বা তা যেইরূপ যথার্থ ভাবে মামলা বা কর্মপ্রক্রিয়ায় সেরূপ আদেশ দান করতে পারবে।
২) যেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না, কোন যুগ্ম জেলা জজ আদালত, সিনিয়র সহকারী জজ আদালত ৰা সহকারী জজ আদালত উক্তরূপ কোন আদেশ দান করলে সংক্ষুব্ধ পক্ষের দরখাস্তের প্রেক্ষিতে জেলা জজ আদালত এ মামলা বা কর্মপ্রক্রিয়ায় নথি তলব করতে পারবেন; এবং ন্যায়বিচারের ব্যর্থতা অবসান করিয়ে এই আদেশে উক্ত আদালত আইনে ভ্রান্তি করেছে মর্মে দৃষ্টমান হলে জেলা জজ আদালত আদেশ সংশােধন করতে পারবে এবং তা যেইরূপ যথার্থ ভাবে মামলা বা কর্মপ্রক্রিয়ার সেরূপ আদেশ দান করতে পারবে।
৩) জেলা জজ রিভিশন মামলা হস্তান্তর করলে উপ-ধারা (২) এর আওতাধীনে জেলা জজের সমস্ত সর্বময় ক্ষমতা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে থাকবে।
৪) ন্যায়বিচারের ব্যর্থতার অবসান করিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত প্রদান করলে প্রয়ােজনীয় আইনের প্রশ্নে ভুলের যেইক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ রিভিশনের অনুমতির অনুমােদন দেয়, তদক্ষেত্রে উপ-ধারা (২) বা (৩) এর আওতাধীনে প্রদানকৃত জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজের আদেশ পুনঃ বিবেচনার উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করা চলবে এবং হাইকোর্ট বিভাগ তা যেইরূপ যথার্থ ভাবে মামলা বা কর্মপ্রক্রিয়ায় সেরূপ আদেশ দান করতে পারবে।
৫) এই ধারাটির প্রতিস্থাপনে যাই বর্ণিত থাকুক না কেন, উক্তরূপ প্রতিস্থাপনের পূর্বে ১১৫নং ধারার আওতায় আরম্ভ হওয়া বা ঝুলন্ত থাকা কর্মপ্রক্রিয়া যেইরূপে নিষ্পত্তি হবে যেন ১১৫নং ধারা প্রতিস্থাপিত হয় নাই। (২০০৩ সনের ৪০নং আইন দ্বারা সংশােধিত)।
১১৫ ধারার বিশ্লেষণ
অধঃস্তন আদালত যদি এমন কোন ভুল করেন যা দ্বারা সুবিচার ব্যাহত তা হলে হাইকোর্ট বিভাগ নথি এনে যেকোন আদেশ দিতে পারেন। জেলা জজের আওতায় যে সকল আদালত রয়েছে তাদের সিদ্ধান্তে এরূপ ভুল প্রতীয়মান হলে হাইকোর্ট বিভাগ ঐ মােকদ্দমার নথি এনে যেকোন আদেশ দিতে পারেন।
রিভিশন (Revision) কাকে বলে
রিভিশন বলতে বুঝায়, নিম্ন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী বা আদেশ উচ্চ আদালত কর্তৃক বিচারিক প্রতিকার বা সংশােধন করা।
রিভিশন সম্পর্কিত বিধান
দেওয়ানি কার্যবিধির ১১৫ ধারায় রিভিশন সম্পর্কিত বিধান আছে।
কে রিভিশন আবেদন করতে পারে
ডিক্রী বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুদ্ধ যে কোন পক্ষ।
কোথায় রিভিশন আবেদন করতে হয়
নিম্নে আদালতের ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশন দায়ের করতে হয়।
কোন আদালতকে রিভিশন এখতিয়ার দেওয়া আছে
২ টি আদালতকে-
১) হাইকোর্ট বিভাগ
২) জেলা জজ আদালত।
রিভিশন দায়েরের শর্তসমুহ
১। নিম্ন আদালত কর্তৃক ডিক্রী বা আদেশ প্রদত্ত হবে।
২। ভিক্ৰী বা আদেশ আপিলযােগ্য নয়
৩। গুরুত্বপূর্ণ আইনগত প্রশ্নে ভুল ও ন্যায় বিচার বিঘ্ন ঘটে।
হাইকোর্ট বিভাগে যখন রিভিশন দায়ের করতে হয় - ধারা-১১৫
হাইকোর্ট বিভাগে নিম্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে রিভিশন দায়েরের আবেদন করা যাবে-
ক) জেলা জজ আদালত বা অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে
খ) সহকারী জজ আদালত বা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত বা যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে।
জেলা জজ আদালতে যখন রিভিশন দায়ের করতে হয় - ধারা-১১৫
নিম্নে বর্ণিত আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করা যায় জেলা জজ আদালতে-
ক) সহকারী জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে
খ) সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে
গ) যুগ্ম জেলা-জজের আদেশ বিরুদ্ধে
আপিল ও রিভিশন এর মধ্যে পার্থক্য কি?
১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির বিধান মতে, আপিল ও রিভিশন এর মধ্যে যে সকল উল্লেখযােগ্য পার্থক্যগুলি বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায় তা হল নিম্নরূপ-
(১) ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৯৬ ধারায় আপিলের সংজ্ঞা এবং একই আইনের ১১৫ ধারায় রিভিশন এর সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ দেওয়ানি কার্যবিধির ৯৬ ধারার বিধান সাপেক্ষে, প্রত্যেক মূল ডিক্রী হতে আপিলের উদ্ভব ঘটে। কিন্তু দেওয়ানি কার্যবিধির ১১৫ ধারা রিভিশনের এখতিয়ার কেবলমাত্র আদালতের এখতিয়ারের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং এখতিয়ারের উপরই প্রযােজ্য হয়।
(২) আপিল উপরস্থ যে কোন আদালতে পেশ করা যেতে পারে। যেমনঃ- সাব-জজ কোর্ট, জেলা জজ কোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রীম কোর্ট ইত্যাদি। অপরদিকে, রিভিশন আবেদন শুধুমাত্র হাইকোর্টেই পেশ করা হয়।
(৩) আপিলের অধিকার (Right of appeal) হল, আইন দ্বারা অর্পিত বাস্তবভিত্তিক অধিকার। পক্ষান্তরে, রিভিশন অধিকার আপিলের ন্যায় আইন অর্পিত কোন বাস্তবভিত্তিক অধিকার নয়।
(৪) আপিলের ক্ষেত্রে, যে কোন বিক্ষুব্ধ ব্যক্তি নিম্ন আদালতের রায়, আদেশের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করলে উৰ্দ্ধতন আদালতে আপিল করতে পারবেন কিন্তু রিভিশনের ক্ষেত্রে, হাইকোর্ট স্বীয় ইচ্ছায় (Suo motu) বা সেচ্ছা প্রণোদিত হয়ে রিভিশনের অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
(৫) আপিলে হেতু রিভিশনের হেতু অপেক্ষা অধিকতর ব্যাপক এবং ইহাদের অজুহাতের প্রকৃতও পৃথক।
(৬) আপিলের ক্ষেত্রে, উৰ্দ্ধতন আদালত একই সাথে আইন ও তথ্য- এই উভয় প্রশ্নেরই নিষ্পত্তি করতে পারেন । কিন্তু রিভিশনের ক্ষেত্রে, হাইকোর্টে অধস্তন আদালতের তথ্যগত সিদ্ধান্তের উপর কোন প্রশ্নই উথাপন করা যায় না।
(৭) আপিলের ক্ষেত্রে, আইনগত প্রশ্নে দ্বিতীয় আপিল রুজু করার বিধান রয়েছে। অপরদিকে, রিভিশনের ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় আপিলের কোন সুযােগ নাই।
উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ
G, S, Industry Vs. Ashraf Ali
জেলা জজ প্রশাসনিক ক্ষমতায় আদেশ দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে রিভিশন চলবে না
A. Hamid Vs. Fazlur Rahman
ন্যায়বিচার ব্যাহত না হলে কেবলমাত্র আইনগত ভুলের কারণে রিভিশন চলবে না।
Shoroth Das Vs. Ambar Naskar
আদালতের এখতিয়ার প্রয়ােগের ক্ষেত্রে কোন অনিয়মতান্ত্রিকতা বা গুরুতর অনিয়ম থাকলে রিভিশনের এখতিয়ার প্রয়ােগযােগ্য । সাক্ষীকে পুনরায় সাক্ষ্য দিতে তলব করার পর কতিপয় প্রশ্ন করার পর আদালত তা অগ্রাহ্য করায় উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করা যায়।
Vhanu Bahadur Vs. Mihir Kumar Sen
আদালতের ক্ষমতা প্রয়ােগের ক্ষেত্রে গুরুতর অবস্থা পরিলক্ষিত হলে রিভিশন দ্বারা তা নিরসনযােগ্য। কোন লােক দায়িকের উত্তরাধিকারী কিনা তা ডিক্রী জারিকারী আদালত সিদ্ধান্ত করতে পারে।
K. G. Islam Vs. Standard Co.
অর্থ ঋণ আদালত দ্বারা অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চলবে না।