Skip to main content

HSC English First Paper English For Today - Unit 7 Lesson 1 Brojen Das

ধারা ১০৪ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

Section 104 Appeals from Orders Civil Procedural Law

ধারা ১০৪ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল। দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

ধারা ১০৪। যে সমস্ত আদেশ হতে আপিল করা যায়-

১) নিম্নলিখিত আদেশগুলাে হতে আপিল করা যায় এবং এই আইনের ভিতর বা বর্তমানে বলবৎ কোন আইন দ্বারা অন্যভাবে স্পষ্ট উল্লেখ ব্যতিরেকে অন্য আদেশ গুলাে হতে আপিল করা যাবে না।

ক) হতে (চ) বিলুপ্ত ।

চচ) ৩৫ক ধারার আওতায় প্রদত্ত আদেশ;

ছ) ৯৫ ধারার আওতায় প্রদত্ত আদেশ;

জ) ডিক্রী জারিতে গ্রেফতার বা দেওয়ানি কারাগারে আটকের আদেশ ছাড়া এই আইনের যে কোন বিধানের আওতায় জরিমানা আরােপ বা কোন লােককে গ্রেফতার বা দেওয়ানি কারাগারে আটক করার নির্দেশমূলক আদেশ।

ঝ) নিয়মাবলির দ্বারা আপিল ব্যক্তভাবে মঞ্জুর হয় এরূপ নিয়মাবলির আওতায় প্রদত্ত আদেশ।

তবে শর্ত এই যে, অল্প পরিমাণ অংকের অর্থ প্রদানের আদেশ দেয়া উচিত ছিল না বা ছিল এই অজুহাত ছাড়া (চচ) দফায় উল্লেখিত যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল চলবে না।

২) এই ধারানুযায়ী আনীত আপিলে প্রদত্ত কোন আদেশ হতে আপিল চলবে না।

১০৪ ধারার বিশ্লেষণ

কোন কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না-

যে যে আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়, সে সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ধারা-১০৪ এ বলা হয়েছে। উক্ত ধারায় বর্ণিত আদেশ ব্যতীত অন্যান্য যে কোন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না। ধারা-১০৪ অনুযায়ী আপিলযােগ্য আদেশসমূহ হল-

(ক) ৯৫ ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ;

(খ) ডিক্রী জারিতে গ্রেফতার কিংবা দেওয়ানি কারাগারে আটকের আদেশ ব্যতীত এই আইনের যে কোন বিধানের অধীনে জরিমানা আরােপ কিংবা কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার কিংবা দেওয়ানি কারাগারে আটক করার নির্দেশমূলক আদেশ; 

(গ) নিয়মাবলির মাধ্যমে আপিল ব্যক্তভাৰে মঞ্জুর হয় এরূপ নিয়মাবলির অধীনে প্রদত্ত আদেশ।

অর্থাৎ উপরিউক্ত আদেশসমূহ ব্যতীত অন্য কোন আদেশের আপিল চলবে না।

দ্বিতীয় আপিল ও রিভিশনের মধ্যে পার্থক্য-

দ্বিতীয় আপিল ও রিভিশনের মধে যে সকল পার্থক্যসমূহ লক্ষ্য করা যায় তা হল নিম্নরুপ:

(১) দ্বিতীয় আপিল সেক্ষেত্রেই পেশ করা হয়, যেক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের নিষ্পত্তিকৃত‌ বিষয়টি আইন অথবা এমন রীতির বিপরীত যার আইনের মর্যাদা রয়েছে অথবা আইনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন বা এমন কোন রীতির উপর প্রতিষ্ঠিত, যার মধ্যে আইনের মর্যাদা‌ রয়েছে অথবা কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন নিষ্পত্তিতে ব্যর্থ হয়েছে অথবা কোন কার্যধারায় উল্লেখযােগ্য ভুল-ত্রুটি করেছে। পক্ষান্তরে রিভিশনের ক্ষেত্রে ইহা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায় যে, একজন বিক্ষুব্ধ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগকে উহা রিভিশনের অধিক্ষেত্র প্রয়ােগ করার আবেদন জানায়; অথবা হাইকোর্ট বিভাগ স্বেচ্ছা প্রণােদিত হয়ে মামলাটি অধস্তন আদালতেন নিকট হতে চাহিতে পারেন এবং মামলার নথিপত্র পরীক্ষা করতে পারেন।

(২) দ্বিতীয় আপিলের ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধির ১০২ ধারায় বলা হয়েছে যে, মূল‌ মামলার বিষয়বস্তুর মূল্য যদি পাঁচশত টাকার অধিক না হয় এবং মামলাটি যদি স্বল্প এখতিয়ারস্পন্ন আদালতের বিচার্য মামলার অনুরূপ ধরণের হয়, তবে সেক্ষেত্রে কোন দ্বিতীয় আপিল চলবে না। অপরদিকে, রিভিশনের পার্থক্যের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক রিভিশনীয় অধিক্ষেত্র প্রয়ােগকল্পে কোন আদেশ প্রদান করলে উহার বিরুদ্ধে কোন আপিল চলতে পারে না।

(৩) দ্বিতীয় আপিলের অজুহাত (Grounds) হিসাবে যে সকল বিষয়গুলি উল্লেখ করতে হবে তা হল নিম্নরূপ-

(ক) আদালতের সিদ্ধান্ত যদি আইন বিরুদ্ধ অথবা আইনের ন্যায় প্রচলিত কোন রীতি‌ বিরুদ্ধ হয়, অথবা

(খ) আপিল আদালত কর্তৃক একতরফাভাবে প্রদত্ত কোন ডিক্রীর বিরুদ্ধে হয়। পক্ষান্তরে রিভিশনের ক্ষেত্রে এই অজুহাত দেখাইতে হবে যে, অধঃস্তন আদালত বেআইনিভাবে তার এখতিয়ার প্রয়ােগ করেছেন।

ধারা ১০৫। অপরাপর আদেশ

১) ব্যক্তভাবে অনুরূপ বিধান থাকলে, মূল বা আপিল এখতিয়ার প্রয়ােগকারী আদালত দ্বারা প্রদত্ত যে কোন আদেশ হতে আপিল চলবে না; কিন্তু ডিক্রী হতে আপিল হলে মামলার সিদ্ধান্ত খর্বকারী যে কোন আদেশ যে কোন ভুল-ত্রুটি, বা অনিয়মতা আপিলের সিদ্ধান্তে আপত্তির সঙ্গত কারণ হিসাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে।

২) উপ-ধারা (১) এ যাই বর্ণিত থাকুক না কেন, এই আইন বলবৎ হওয়ার পর প্রদত্ত আপিল চলে এরূপ পুনঃ বিচারের আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ যে কোন পক্ষ উহা হতে আপিল না করলে পরবর্তীকালে ইহার যথার্থতা সম্পর্কে বিতর্ক করতে সে বারিত হবে ।

ধারা ১০৬। কোন আদালতে আপিল শুনানী করতে পারবে

যেক্ষেত্রে কোন আদেশ হতে আপিল অনুমতি লাভ করে, সেক্ষেত্রে যে মামলায় অনুরূপ আদেশ প্রদত্ত হয়েছে অনুরূপ মামলায় ডিক্রী হতে আপিল করা যায় এরূপ আদালতে ইহার শুনানী হবে, বা যেক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ নয় আপিল এখতিয়ার প্রয়ােগকারী এরূপ আদালত দ্বারা অনরূপ আদেশ দেয়া হয় সেক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগে ইহার শুনানী হবে।

১০৬ ধারার বিশ্লেষণ

এই ধারার সাথে ধারা ৯৬ মিলিয়ে পড়তে হবে। ডিক্রীর বিরুদ্ধে কোন আদালতে আপিল করা যায়, তা ধারা ৯৬ এর বর্ণিত হয়েছে। যে আদালতে ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করা যায় সে আদালতে আদেশের বিরুদ্ধেও আপিল করা যায়।

General Provisions Relating to Appeals

আপিল সম্পর্কে সাধারণ নিয়মাবলি

ধারা ১০৭। আপিল আদালতের ক্ষমতা

১) যেইসকল শর্তাদি ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়, তৎসাপেক্ষে কোন আপিল আদালতের নিম্নলিখিত ক্ষমতাবলি থাকবে:
ক) কোন মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করার;
খ) কোন মামলা পুনর্বিচারে প্রেরণ করার;
গ) বিচার্য বিষয় গঠন এবং সেগুলি বিচারার্থে প্রেরণ করার;
ঘ) অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ বা অনুরূপ সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য তলব করতে ক্ষমতা।
২) উপরিউক্ত শর্তাবলি সাপেক্ষে আপিল আদালতে দাখিলকৃত মামলা বিষয়ক মূল এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের উক্ত আইন দ্বারা ন্যস্ত এবং বর্তানাে একইরূপ ক্ষমতা সম্পন্ন হবে এবং প্রায় একইরূপ কর্তব্য সম্পন্ন করবে।

১০৭ ধারার বিশ্লেষণ

আপিল-আদালতের ক্ষমতা কি কি?

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ১০৭ ধারায় এবং একই আইনের ৪১ নম্বর আদেশের ২৩ নং বিধি হতে ২৯নং বিধিগুলিতে আপিল আদালতের ক্ষমতা সম্পর্কে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

আপিল আদালতের ক্ষমতা

আপিল আদালতের ক্ষমতা সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধির ১০৭ ধারায় বিশেষভাবে উল্লেখ আছে যে, আইন দ্বারা আরােপিত শর্ত এবং সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে, প্রত্যেক আপিল আদালত এই ধারার (১) নং উপধারা মতে, নিম্নবর্ণিত ক্ষমতাগুলি প্রয়ােগ করার অধিকার থাকবে; যেমন:
(ক) কোন মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করা। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণে রেকর্ডকৃত সাক্ষ্য প্রমাণে প্রতীয়মান হবে, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত চূড়ান্তভাবে মামলাটি নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা প্রয়ােগ করতে পারবে।
(খ) কোন মামলা পুনর্বিচারের জন্য প্রেরণ করা। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে নিম্ন আদালতে একটি মামলা প্রাথমিক পয়েন্টের উপর নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং আপিলের মাধ্যমে ডিক্রী পাল্টানাে হয়েছে, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত মামলাটি পুনরায় বিচারের জন্য নিম্ন আদালতে পাঠাতে পারেন।
(গ) বিচার্য-বিষয় প্রণয়ন এবং সেগুলি বিচারের জন্য প্রেরণ। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে নিম্ন আদালত কোন মামলার সঠিক নিষ্পত্তির জন্য বিচার্য বিষয় গঠন না করলে কিংবা তথ্যের কোন প্রশ্নে সঠিকভাবে বিচার সম্পন্ন না করলে, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত সঠিকভাবে বিচার্য বিষয় স্থিরকরতঃ নিম্ন আদালতের প্রতি মামলাটি বিচারের জন্য প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারেন।
(ঘ) অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করা অথবা প্রয়ােজনীয় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নির্দেশ দান করা। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে নিম্ন আদালত এমন সব প্রয়ােজনীয় সাক্ষ্য গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে যা গ্রহণ করা উচিৎ ছিল; সেক্ষেত্রে আপিল আদালত এরূপ কোন সাক্ষীকে পরীক্ষা করার প্রয়ােজন মনে করলে অথবা অন্য কোন উল্লেখযােগ্য কারণে নিম্ন আদালতের প্রতি অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দান করতে পারেন।
এই আইনের ১০৭ নং ধারায় (২) নং উপারায় বলা হয়েছে যে, অত্র আইন বলে কোন মৌলিক এখতিয়াসম্পন্ন আদালতে উপর তথাকার মামলার ব্যাপারে যেরূপ ক্ষমতা এবং কর্তব্য আরােপিত হয়ে থাকে, উল্লেখিত শর্ত সাপেক্ষে আপিল আদালতের উপরও এরূপ ক্ষমতা এবং প্রায় একইরূপ কর্তব্য বৰ্তাইবে।

আপিল আদালতে অন্যান্য উল্লেখযােগ্য ক্ষমতাবলি সম্পর্কে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৪১ নং আদেশের ২৩ নং বিধি হতে ২৯ নং বিধির বিধান সমুহে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। দেওয়ানি কার্যবিধির ৪১ নং আদেশের ২৩ নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে নিম্ন আদালত কোন প্রাথমিক বিষয়ের ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি করে ডিক্রী প্রদান করেছেন এবং সে আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করা হলে, উক্ত ডিক্রীটি যদি আপিলে রদ হয়ে যায়, তবে সেক্ষেত্রে আপীল আদালত সঙ্গত মনে করলে মামলাটি পুনর্বিচারের জন্য বিচারকারী আদালতে প্রেরণ করতে পারবেন, এবং পুনর্বিচারকালে কি কি বিচার্য বিষয় বিবেচনা করতে হবে সেই সম্পর্কে নির্দেশ দিতে পারবেন।

যে সকল সাক্ষ্য প্রমাণ প্রথম বিচারকালে গ্রহণ করা হয়েছিল, সে সব সাক্ষ্য প্রমাণগুলি প্রয়ােজনীয় ব্যতিক্রম সাপেক্ষে পুনর্বিচারকালেও প্রমাণস্বরূপে গ্রাহ্য হবে। একই কার্যবিধির ৪১নং আদেশের ২৪ বিধিতে বলা হয়েছে যে, নথিপত্র প্রাপ্ত প্রমাণাদি দৃষ্টে আপিল আদালত যদি মনে করেন যে, রায় প্রদানের জন্য নথিপ্রত্র প্রাপ্ত উক্ত প্রমাণগুলি যথেষ্ঠ, তবে সেক্ষেত্রে করতে পারবেন। এইরূপ ক্ষেত্রে, যে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয়েছে, সে আদালত যে সকল কারণের ভিত্তিতে মামলা নিষ্পত্তি করেছিলেন আপিল আদালত সেগুলি ব্যতীত অন্য কারণের ভিত্তিতেও মামলা নিষ্পত্তি করতে পারবেন।

৪১ নং আদেশের ২৫নং বিধির বিধান মতে, যে আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা হয়েছে, সে আদালত যদি বিচার্য বিষয় প্রণয়ন বা বিবেচনা না করে থাকেন, অথবা তথ্য সংক্রান্ত এমন কোন প্রশ্ন নিষ্পত্তি না করে থাকেন, যা আপিল আদালত প্রয়ােজনবােধে সংশ্লিষ্ট বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করে বিচারকারী আদালতে উহা বিচারের জন্য প্রেরণ করতে পারবেন। এরূপ ক্ষেত্রে, আপিল আদালত উক্ত নিম্ন আদালতকে প্রয়ােজনীয় অতিরিক্ত প্রমাণ গ্রহণের নির্দেশ দান করবেন।

একই আদেশের ২৮নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে আপিল আদালত অতিরিক্ত প্রমাণ দাখিলের অনুমতি দান করবেন, সেক্ষেত্রে আপিল আদালত স্বয়ং উক্ত প্রমাণ গ্রহণ করতে পারবেন, অথবা যে আদালতের ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল দায়ের হয়েছে, সে আদলতকে কিংবা অপর কোন অধঃস্তন আদালতকে উক্ত প্রমাণ গ্রহন করে তা আপিল আদালতে প্রেরণ করার নির্দেশ দিতে পারবেন। আপিল আদালতের ক্ষমতা সম্পর্কে পরিশেষে এই আদেশের ২৯নং বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে আপিল আদালত অতিরিক্ত প্রমাণ গ্রহণের অনুমতি বা নির্দেশ
দান করবেন, সেক্ষেত্রে যে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে উক্ত প্রমাণ গ্রহণ করা হবে, তা আপিল আদালত নির্দিষ্ট করে দিবেন এবং মামলার কার্যবিবরণীতে উক্ত বিষয়গুলি লিপিবদ্ধ করে রাখিবেন। এইভাবে, উপরে উল্লেখিত বিধান সাপেক্ষে, আপিল আদালত তার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলি প্রয়ােগ করে থাকেন।

ধারা ১০৮। আপিল আদালতের ডিক্রী ও আদেশগুলো হতে আপিলের পদ্ধতি।

ক) আপিল আদালতে ডিক্রীগুলো হতে, এবং
খ) এই আইনের আওতায় বা আলাদা পদ্ধতির বিধান নাই এরূপ যে কোন বিশেষ আইনের আওতায় প্রদত্ত আদেশগুলো হতে আপিলের যথাসম্ভব প্রয়ােগযােগ্য হবে।

ধারা ১০৯। সুপ্রীম কোর্টে যখন আপিল করা চলে।

বাংলাদেশের আদালত গুলাে আপিল সম্পর্কে সময়ে সময়ে সুপ্রীম কোর্ট দ্বারা প্রণীত হতে পারে এরূপ ভিত্তি এবং অতঃপর ইহাতে উল্লেখিত আইনের শর্তাবলি সাপেক্ষে আপিল বিভাগের নিকট-
ক) হাইকোর্ট বিভাগ বা চূড়ান্ত আপিল এখতিয়ারসম্পন্ন অন্য কোন আদালত দ্বারা আপিলে প্রদত্ত কোন রায়, ডিক্রী বা চূড়ান্ত আদেশ হতে;
খ) হাইকোর্ট বিভাগ দ্বারা উহার মূল দেওয়ানি এখতিয়ার প্রয়ােগ কালে প্রদত্ত কোন রায়, ডিক্রী ৰা চুড়ান্ত আদেশ হতে; এবং
গ) অতঃপর বর্ণিত বিধানানুসারে কোন মামলা হলে কোন রায়, ডিক্রী বা চূড়ান্ত আদেশ হতে আপিল ডিভিশনে আপিল চলবে।

ধারা ১১০ বিষয়বস্তুর মূল্য

১০৯ ধারার (ক) দফায় উল্লেখিত প্রত্যেক ক্ষেত্রে মামলার বিষয়বস্তুর পরিমাণ বা মূল্য প্রথম বিচারিক আদালতে বিশ হাজার টাকা বা তদূর্ধ্ব হতে হবে এবং আপিল বিভাগের নিকট আপিলের বিরােধীয় বিষয়বস্তুর অংক বা মূল্য একই অংকের বা তদুর্ধ হতে হবে কিংবা রায়, ডিক্রী বা চূড়ান্ত আদেশের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে কিছু দাবি বা প্রশ্ন বা সম অংকের বা মূল্য বিষয়ক সম্পত্তি অবশ্যই জড়িত থাকতে হবে এবং যে রায় বা চূড়ান্ত আদেশ হতে আপিল করা হয়, তা যদি অব্যবহিত অধঃস্তন আদালতের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখে, তবে আপিলে অবশ্যই কিছু বলিষ্ঠ আইনগত মূল প্রশ্ন জড়িত হবে ।

ধারা ১১১। কতক আপিলের বাধা

১০৯ ধারায় যাই বর্ণিত থাকুক না কেন, নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আপিল বিভাগে কোন আপিল করা চলবে না-
(ক) হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের বা ডিভিশন আদালতের একজন বিচারকের বা হাইকোর্ট বিভাগের দুই বা ততােধিক বিচারক বা দুই বা ততােধিক বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের কোন ডিভিশন আদালতে বিচারকগণ যদি মত প্রকাশে সমভাবে বিভক্ত হয়ে থাকেন এবং তাদের কোন ভাগের সংখ্যাই তখনকার হাইকোর্ট বিভাগের সারা বিচারকগণের অধিক সংখ্যক না হয়, তবে তাদের রায়, ডিক্রী বা চূড়ান্ত আদেশ হতে কোন আপিল করা চলবে না।

১১১ ধারার বিশ্লেষণ

আপিল বিভাগের কিছু নিজস্ব অধিকার আছে; সে অধিকার এই কার্যবিধি খর্ব করে না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের আপিল বিভাগকে যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সে ক্ষমতা দেওয়ানি কার্যবিধি নষ্ট বা সীমায়িত করতে পারে না।

ধারা ১১২। সংরক্ষণ

১) এই আইনের বর্ণিত কোন বিধানই-

ক) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের ১০৩নং অনুচ্ছেদের আওতায় আপিল বিভাগকে ক্ষমতা বা উক্ত সংবিধানের অন্য কোন বিধান বলে প্রদত্ত ক্ষমতা খর্ব করবে না; কিংবা

খ) আপিল বিভাগের নিকট আপিল উপস্থাপন সম্পর্কে বা উক্ত বিভাগের সম্মুখে উহাদের পরিচালনার জন্য সুপ্রীম কোর্ট দ্বারা প্রণীত ও বর্তমানে বলবৎ কোন নিয়মাবলির উপর হস্তক্ষেপ করে বলে পরিগণিত হবে না।

২) অত্রস্থ বর্ণিত কোন কিছুই ফৌজদারি বা নৌ বিভাগ বা উপ নৌ-বিভাগ এখতিয়ারভুক্ত কোন ব্যাপারে প্রয়ােগযােগ্য হবে না, বা প্রাইজ কোর্টের আদেশ বা ডিক্রী হতে আপিলে প্রয়ােগযােগ্য হবে না।



Popular posts from this blog

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha...

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...