Skip to main content

HSC English First Paper English For Today - Unit 7 Lesson 1 Brojen Das

Order 9 Appearance of Parties CPC 1908 আদেশ ৯ পক্ষগণের হাজিরা দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

Order 9 Appearance of Parties & Consequence of Nonappearance CPC 1908

আদেশ ৯ পক্ষগণের হাজিরা এবং গৱউপস্থিতির পরিনাম দে.কা.আ.১৯০৮

Appearance of Parties & Consequence of Nonappearance

পক্ষগণের হাজিরা এবং গৱউপস্থিতির পরিনাম

আদেশ ৯ বিধি ১ বিবাদীর হাজিরা ও জবাব প্রদানের জন্য সমনে নির্ধারিত তারিখে পক্ষগণের হাজির হতে হবে।

বিবাদীর উপস্থিতির এবং জবাব প্রদানের জন্য সমনে নির্ধারিত দিনে পক্ষগণ স্বয়ং‌ বা তাদের নিজ নিজ কৌশুলীর দ্বারা বিচারালয়ে হাজিরা দিবেন, এবং অতঃপর আদালত দ্বারা ভবিষ্যতের কোন দিন পর্যন্ত মামলার শুনানী মুলতবী না হলে সে দিন মামলার শুনানী সংগঠিত হবে।

আদেশ ৯ বিধি ১ বিশ্লেষণ

মামলার শুনানীর দিন উভয় পক্ষে অনুপস্থিত থাকলে সেক্ষেত্রে ফলাফল

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৯ এর বিধি-১ অনুযায়ী, বিবাদীর উপস্থিতির এবং জবাব দানের জন্য সমনে নির্ধারিত তারিখে পক্ষগণ স্বয়ং কিংবা তাদের নিজ নিজ উকিলের মাধ্যমে বিচারালয়ে হাজিরা দিবেন।, এবং অতঃপর আদালত কর্তৃক ভবিষ্যতের কোন দিন পর্যন্ত মামলার শুনানী মূলতবী না হলে সে দিন মামলার শুনানী সংগঠিত হবে। কিন্তু বিধি-৩ অনুযায়ী, মামলার শুনানীর জন্য ডাক পড়িলে যদি কোন পক্ষই উপস্থিত না‌ হয়, তবে আদালত মামলা খারিজের নিমিত্তে আদেশ দান করতে পারবে এবং একই আদেশের বিধি-৪ অনুযায়ী, মামলা খারিজ হলে বাদী (তামাদী আইন সাপেক্ষে) নূতন মামলা করতে পারবে; কিংবা খারিজের আদেশ রদ করার আবেদন করতে পারবে; উক্ত ক্ষেত্রে বাদী যদি আদালতের সন্তুষ্টিক্রমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোর্ট ফি কিংবা সমন জারির ডাক মাশুল (যদি লাগে) দিতে না পারার বা উপস্থিত হতে না পারার যথেষ্ট কারণ দর্শাইতে পারে, তবে আদালত মামলার খারিজ রদের আদেশ দান করবে এবং মামলার কার্যপদ্ধতি পরিচালনার জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করবে।

একতরফা ডিক্রী কি? কোন ক্ষেত্রে আদালতের একতরফা ডিক্রী জারি করে থাকে। বিবাদীর বিরুদ্ধে এরূপ ডিক্রী জারি হওয়ার পর তার জন্য যে সকল প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা খােলা রয়েছে তার বর্ণনা

একতরফা ডিক্রী বলতে এমন এক ডিক্রীকে বুঝায়, যা বিবাদীর অনুপস্থিতিতে প্রদান করা হয়। দেওয়ানি কার্যবিধির ৯নং আদেশের ১নং বিধি মােতাবেক আদালত নিম্মােক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফা ডিক্রী জারি করতে পারেন।

এক আদেশের ১নং বিধি অনুযায়ী, যেখানে মামলার শুনানীর জন্য নির্ধারিত তারিখে বিবাদী উপস্থিত না থাকে এবং বাদী উপস্থিত থাকে, এবং যদি ইহা প্রমাণিত হয় যে, বিবাদীর প্রতি যথারীতি সমন প্রদান করা হয়েছিল সেক্ষেত্রে বিবাদীর অনুপস্থিতিতে আদালত একতরফা ডিক্রী মামলার প্রথম শুনানী বা মূলতবী শুনানীর দিনও জারি করা যেতে পারে।

দেওয়ানি কার্যবিধি ৯নং আদেশের ৬ (১) নং বিধি অনুযায়ী যেক্ষেত্রে মামলার শুনানীর জন্য আদালত কর্তৃক ডাক পড়ার পর বাদী হাজির হয়, কিন্তু বিবাদী হাজির না হয়, সেক্ষেত্রে

ক) যদি প্রমাণ হয় যে সমন যথারীতি জারি হয়েছে, তবে আদালত একতরফা বিচার করতে পারবেন।

খ) যদি প্রমাণ না হয় যে, সমন যথারীতি জারি হয়েছে, তবে আদালত বিবাদীর উপর দ্বিতীয়বার সমন জারি করার নির্দেশ দান করবেন।

গ) যদি প্রমান হয় যে, সমন যথারীতি জারি হয়েছে, কিন্তু বিবদীকে সমনে নির্ধারিত তারিখে হাজির হয়ে জবাব দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া হয় নাই, তবে আদালতে পরবর্তী কোন নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত মামলার শুনানী স্থগিত রাখিবেন এবং বিবাদীকে সে তারিখে জ্ঞাত করাইবার নির্দেশ দিবেন।

একতরফা ডিক্রীর প্রতিকারসমূহ (Remedies)

বিবাদীর গড় হাজিরা যদি উপরিউক্ত বিধি মােতাবেক এক তরফাভাবে হয়, তবে তার মামলাটি রদ হয়ে যায়, তা হলে সে নিম্নলিখিত প্রতিকারগুলি পাইতে বাধ্য থাকবে। 

1) He may appeal against the Ex-parte decree under Section 96 of the civil procedure codee, অর্থাৎ দেওয়ানি কার্যবিধির ৯৬ ধারানুযায়ী তিনি একতরফা মূল ডিক্রীর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন।

2) He may file a suit to set aside the decree on the ground of fraud. অর্থাৎ প্রতারণার ভিত্তিতে একতরফা ডিক্রী হওয়ার দরুন তিনি তা রদ করার উদ্দেশ্যে মামলা দায়ের করতে পারেন।

3) He may apply for a review of judgment under order 47 Rule 7 of Civil procedure codee, অর্থাৎ দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৭নং আদেশের ৭নং বিধি অনুযায়ী রায়টির পুনর্বিবেচনার জন্য তিনি আবেদন করতে পারেন।

4) The defendant may also apply under order 9, rule 13 of the civil procedure code for an order to set aside the ex pate decree provided the application is made within 30 days from the date of the decree of where the summons was not duly served when he got knowledge of decree. অর্থাৎ দেওয়ানি কার্যবিধির ৯নং আদেশের ১৩নং বিধি অনুযায়ী বিবাদী একতরফাভাবে এরুপ ডিক্রী রদ করার জন্যেও মামলা দায়ের করতে পারেন।

তবে শর্ত হল এই যে, এরূপ দরখাস্ত অবশ্যই ডিক্রী প্রদানের সময় হতে ৩০ দিনের মধ্যে অথবা যেখানে সমন যথারীতি প্রদান করা হয় নাই; এমতাবস্থায় যখন সে ডিক্রী সম্পর্কে অবগত হয়েছে তখনই পেশ করতে হবে।

প্রতিকারগুলি যুগপৎ প্রয়ােগ করা যাবে কিনা

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ধারা-৯৬ এর উপধারা-২ মােতাবেক উচ্চতর আদালতে আপিল এবং একই আইনের আদেশ-৯ এর বিধি-১৩ মােতাবেক ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে একতরফা ডিক্রী রদের জন্য আবেদন যুগপৎভাবে করা যায় । যদি একটি প্রতিকারের দিকে ধাবিত হয়, তা হলে অন্য প্রতিকারের জন্য তা প্রতিবন্ধক হবে না [AIR 1946 Nag]। যদি একতরফা ডিক্রী নাকচের আবেদন কিংবা আপিল দায়ের করতে ব্যর্থ হয়, তা হলে তামাদি আইন সাপেক্ষে আপিল দায়ের করা যাবে।

বাদী খরচ প্রদান না করার কারণে সমন জারি না হয়ে থাকলে মামলা খারিজ করা যায়।

নির্ধারিত তারিখে যদি দেখা যায় যে, বাদী কোর্ট ফি প্রদান না করায় বা উক্তরূপ সমনজারির জন্য দরকারি ডাক-মাশুল (যদি লাগে) না দেয়ায় বিবাদীর উপর সমন জারি হয় নাই, তা হলে আদালত মামলা খারিজের আদেশ দান করতে পারবেন তবে শর্ত হল যে, বিবাদীর উপর সমন জারি না হলেও যদি তার হাজিরা ও জবাব প্রদানের জন্য নির্ধারিত তারিখে সে ব্যক্তিগত বা প্রতিনিধির মারফতে হাজিরা চলিলে প্রতিনিধির মারফতে হাজির হয়, সেক্ষেত্রে অনুরূপ খারিজের আদেশ প্রদান করা যাবে না।

আদেশ ৯ বিধি ৩ কোন পক্ষই হাজির না হলে মামলা খারিজ হবে

মোকদ্দমার শুনানির জন্য ডাক পড়িলে যদি কোনো পক্ষই হাজির না হয় তাহলে আদালত মামলা খারিজের জন্য আদেশ দান করতে পারবে।

আদেশ ৯ বিধি ৪ বাদী নতুন মামলা করতে পারবে বা আদালত কোন মামলা পুনরায় চালু করতে পারবে

উপরোক্ত ২ বা ৩ বিধি অনুযায়ী মামলা খারিজ হলে বাদী তামাদি আইন সাপেক্ষে নতুন মামলা করতে পারবে বা খারিজের আদেশ রদ করার দরখাস্ত করতে পারবে। উক্ত ক্ষেত্রে বাদী যদি আদালতের সন্তুষ্টিক্রমে নির্ধারিত সময়ের ভিতর কোর্ট ফি বা সমন জারির ডাক মাশুল (যদি লাগে) দিতে না পারার বা হাজির হতে না পারার যথেষ্ট কারণ দর্শাতে পারে, তা হলে আদালত মামলা খারিজ রদের আদেশ দান করবে এবং মামলার কর্মপদ্ধতি পরিচালনার জন্য একটি তারিখ ধার্য করবে।

আদেশ ৯ বিধি ৫ যখন সমন জারি না হওয়ায় ফেরত আসে এবং অতঃপর এক মাস পর্যন্ত বাদী নুতন করে সমন দেয়ার দরখাস্ত না করে, তখন মামলা খারিজ হয়

১) বিবাদীকে বা কতিপয় বিবাদীর কোন একজনের প্রতি সমন দেয়ার পর যদি তা জারি না হয়ে ফেরত আসে, এবং আদালতের যে কর্মচারী সাধারণত সমন জারি বিষয়ে আদালতের কাছে প্রত্যয়ন করেন, তিনি আদালতে উক্ত সমন জারি না হওয়ার প্রত্যয়নপত্রসমেত তা ফেরত দেয়ার পর এক মাসের ভিতর বাদী যদি নুতন সমন দেয়ার জন্য দরখাস্ত না করেন, তবে আদালত অনুরূপ বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলাটি খারিজের আদেশ দিবে। যদি না উক্ত তিন মাসের ভিতর বাদী নিম্নলিখিত যে কোন কারণ দর্শাইয়া আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করতে পারেন

ক) যে বিবাদীর উপর সমন জারি হয় নাই, বাদী যথাসাধ্য সব চেষ্টা করেও সে বিবাদীর ঠিকানা আবিষ্কার করতে ব্যর্থ হয়েছে; অথবা

খ) উক্ত বিবাদী পরােয়ানা জারি এড়াইয়া চলতেছে; অথবা

গ) সময় এর মেয়াদ বাড়াতে কোন সঙ্গত কারণ আছে, তবে আদালত নতুন সমন দেয়ার দরখাস্তের সময় এর মেয়াদ যথাযথ মনে করে বৃদ্ধি করতে পারবে।

২) অনুরূপ ক্ষেত্রে বাদী তামাদি আইন সাপেক্ষে নতুন মামলা করতে পারে।

আদেশ ৯ বিধি ৬ শুধুমাত্র বাদী হাজির হলে সেক্ষেত্রে পদ্ধতি

১) যে ক্ষেত্রে মামলার শুনানীর জন্য ডাক পড়িলে বাদী হাজির হয়, এবং বিবাদী হাজির হয় না, সে ক্ষেত্রে-

ক) যখন সমন যথারীতি জারি হয়ে থাকে

যদি প্রমাণীত হয় যে, সমন যথারীতি জারি হয়েছে, তবে আদালত একতরফা বিচার করতে পারবেন;

খ) যখন সমন যথারীতি জারি না হয়ে থাকে

যদি প্রমাণীত না হয় যে, যথারীতি জারি হয়েছে, তা হলে আদালত বিবাদীর উপর দ্বিতীয়বার সমন প্রেরণ এবং জারি করার নির্দেশ দান করবেন;

গ) যে ক্ষেত্রে সমন যথারীতি জারি হয়, কিন্তু যথাযথ সময়ের ভিতর নয়

 যদি প্রমাণীত হয় যে, সমন যথারীতি জারি হয়েছে, বিবাদীকে সমনে নির্দিষ্ট দিনে হাজির হয়ে জবাব দেয়ার জন্য যথেষ্ট সময় প্রদান করা হয় নাই, তবে আদালত পরবর্তী কোন নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত মামলার শুনানী মূলতবী রাখিবে এবং বিবাদীকে উক্ত তারিখ জানাইবার জন্য নির্দেশ প্রদান করবে।

২) যদি বাদীর ত্রুটির জন্য সমন জারি না হয়, বা পর্যাপ্ত সময়ে জারি না হলে আদালত মামলার শুনানী স্থগিত রাখার কারণে যে খরচ হবে, তা বাদীকে বহন করার আদেশ দান করবে।

আদেশ ৯ বিধি ৭ যে ক্ষেত্রে মূলতবী শুনানীর দিন বিবাদী হাজির হয় এবং আগে হাজির না হওয়ার উত্তম কারণ দর্শায়, সে ক্ষেত্রে পদ্ধতি 

যেই ক্ষেত্রে আদালত মামলার শুনানী একতরফাভাবে মূলতবী করেছে এবং বিবাদী সে শুনানীর সময় বা আগে হাজির হয় এবং তার পূর্ব অনুপস্থিতির জন্য উত্তম কারণ দর্শায়, সে ক্ষেত্রে খরচ বা অপর বিষয় সম্পর্কে আদালত নির্দেশিত শর্তে বিবাদী তার উপস্থিতির জন্য নির্দিষ্ট দিনে তিনি হাজির হয়েছিলেন এরূপ গণ্যে মামলায় জবাব পেশ করে তার শুনানী করাতে পারে।

আদেশ ৯ বিধি ৮ কেবল বিবাদী হাজির হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে পদ্ধতি

যেই ক্ষেত্রে মামলার শুনানীর জন্য ডাক পড়িলে যদি বিবাদী হাজির হয়, কিন্তু বাদী হাজির না হয়, সে ক্ষেত্রে বিবাদী বাদীর দাবি বা তার অংশ স্বীকার না করলে আদালত মামলা খারিজের আদেশ প্রদান করবেন; কিন্তু বিবাদী যদি বাদীর দাবি বা তার অংশ স্বীকার করে, তবে আদালত সে অনুপাতে বিবাদীর বিরুদ্ধে ভিক্রী দান করবেন, এবং‌ বাদীর অবশিষ্ট দাবি সম্পর্কে মামলা খারিজ করবেন ।

আদেশ ৯ বিধি ৯ বাদীর ত্রুটির কারণে তার বিরুদ্ধে ডিক্রী হলে নুতন মামলা চলবে না

১) যে ক্ষেত্রে ৮নং বিধি অনুযায়ী কোন মামলার সমগ্র বা আংশিক খারিজ করেন, সে ক্ষেত্রে উক্ত কারণে বাদী নুতন মামলা করতে পারবে। কিন্তু বাদী মামলা খারিজ করার আদেশ রদ করার জন্য দরখাস্ত করতে পারবে, এবং তিনি মামলার শ্রবণের জন্য সন্তুষ্টি সহকারে কারণ দর্শাতে পারেন, তা হলে আদালত খরচাদি সম্পর্কে যথাবিহিত শর্তসাপেক্ষে মামলা খারিজ করার আদেশ রদ করবে এবং কর্মপদ্ধতির জন্য তারিখ নির্দিষ্ট করবে।

২) বাদীর দরখাস্ত সম্পর্কে অপর পক্ষকে নােটিশ প্রদান না করে উক্ত বিধি অনুযায়ী কোন আদেশ প্রদেয় হবে না।

আদেশ ৯ বিধি ৯ক সরাসরি খারিজ রদকরণ

১) বিধি ৯ বা অপর কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, আদালতে বিলম্ব এড়ানাে ও বিচার নিস্পত্তি ত্বরান্বিত‌ করানাের উদ্দেশ্যে বিধি ৯ এর অধীনে বাদীকে আদালতকে পর্যাপ্ত কারণ বিষয়ে সতুষ্ট করানাের জন্য দরকারি সাক্ষ্য হাজির করার সুযােগ না দিয়ে সরাসরি খারিজ নিস্পত্তি করে দিতে পারেন। তবে উক্ত বাদীকে অনধিক এক হাজার টাকার খরচ যা যথাযথ ও নির্ধারিত বলে মনে করবেন, প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন। তবে শর্ত হল যে, বিধি ৮ এর অধীনে কোন খারিজ এই বিধির অধীনে রহিত করা যাবে না, যদি না খারিজের আদেশ প্রদানের তারিখ হতে ত্রিশদিনের ভিতর খারিজের আদেশ রহিতকরণের উদ্দেশ্যে এফিডেভিট সহযােগে আদালতে দরখাস্ত পেশ করা না হয়ে থাকে। আরাে শর্ত থাকে যে, এই বিধির অধীনে কোন খারিজের একাধিকবার রহিত করা যাবে না।

২) উপ-বিধি (১) এর অধীনে কোন একতরফা খারিজ রহিতকরণের দরখাস্ত দর্শিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালতে বাদীর খরচায় মামলায় হাজির হয়েছেন এমন বিবাদী রবরাবরে নােটিশ জারির ব্যবস্থা করাবেন । (২০০৬ সালের ৮নং আইন দ্বারা সংশােধিত)

আদেশ ৯ বিধি ১০ বহু বাদীর ভিতর এক বা একাধিক জনের গরহাজিরার ক্ষেত্রে কর্ম পদ্ধতি

যেই ক্ষেত্রে একের বেশি বাদী আছে, সে ক্ষেত্রে যদি একজন বা তাদের একাধিক বাদী হাজির হয় এবং অন্যান্যরা হাজির না হয়, তবে বাদীদের ভিতর যে লােক বা যারা হাজির হয়েছেন, তাদের অনুরােধক্রমে আদালত সব বাদী হাজির হলে যেরূপে মামলাটি অগ্রসর হবে, সেরূপ পদ্ধতি সম্পন্নের আদেশ প্রদান করতে পারে বা উত্তম কোন আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ৯ বিধি ১১ বহু বিবাদীর ভিতর এক বা একাধিক জনের গরহাজিরার ক্ষেত্রে কর্মপদ্ধতি

যেই ক্ষেত্রে একাধিক বিবাদী আছে, সে ক্ষেত্রে যদি একজন বা কয়েকজন বিবাদী হাজির হয় এবং অন্যান্যরা হাজির না হয়, তবে মামলাটি অগ্রসর হবে এবং রায় ঘােষণার প্রাক্কালে আদালত গরহাজির বিবাদীদের সম্পর্কে যথােপযুক্ত যে কোন আদেশ প্রদান করবে।

আদেশ ৯ বিধি ১২ ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করার পর অনুপস্থিতির যথেষ্ট কারণ না দর্শাইলে ফলাফল

যেই ক্ষেত্রে কোন বাদী বা বিবাদীকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে যদি উক্ত বাদী বা বিবাদী ব্যক্তিগতভাবে হাজির না হয়, তার অনুপস্থিতির সন্তোষজনক কারণ না দর্শায়, তবে অনুপস্থিত বাদী এবং বিবাদীর সম্পর্কে উপরিউক্ত বিধানসমূহ প্রয়ােগযােগ্য হবে।

আদেশ ৯ বিধি ১৩ বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফাভাবে ডিক্রী রদকরণ

কোন মামলায় বিবাদীর বিরুদ্ধে একতরফা ডিক্রী প্রদান করা হয়ে থাকলে, তা রদ করার জন্য বিবাদী ডিক্রীদানকারী আদালতে দরখাস্ত করতে পারবে এবং যদি এই ক্ষেত্রে বিবাদী সন্তোষজনকরূপে প্রমাণ করতে পারে যে, যথারীতি সমন জারি করা হয় নাই, বা যখন মামলাটি শুনানীর জন্য ডাক পড়িয়াছে, তখন সে কোন যথাযথ কারণে হাজির হওয়া হতে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল, তা হলে আদালত, মামলার খরচ আদালতে শােধ বা অপর কোন শর্তে, যা যথাযথ মনে করা হয়, ডিক্রীটি রদ করে আদেশ দিবে এবং মামলার কর্মপদ্ধতি পরিচালনার জন্য একটি তারিখ নির্দিষ্ট করবেন।‌ তবে শর্ত হল যে, ডিক্রী যদি এরূপ ধরনের হয় যে, তা শুধুমাত্র দরখাস্তকারী বিবাদীর উপর হতে রদ করা যাবে না, সেক্ষেত্রে অন্যান্য সব অথবা যে কোন বিবাদীর বিরুদ্ধেও রদ করা যাবে।

২) তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ৫ নং ধারার বিধান সমূহ এই আদেশের ১৩ (১) নিয়মের অধীনে দরখাস্তের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে।

আদেশ ৯ বিধি ১৩ক একতরফা ডিক্রী সরাসরি রহিতকরণ

১) বিধি ১৩ বা অপর কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, আদালতে বিলম্ব অবসান ও বিচার ত্বরান্বিত করানাের উদ্দেশ্যে, বিধি ১৩ এর অধীনে আদালতকে পর্যাপ্ত কারণ বিষয়ে সন্তুষ্ট করানাের উদ্দেশ্যে বাদীকে সাক্ষ্য উপস্থাপনের নির্দেশ প্রদান করে, সরাসরি ডিক্রী খারিজ করে দিতে পারেন, তবে আদালত যথাযথ ও ধার্য করা সাপেক্ষে বাদীকে অনধিক তিন হাজার টাকার খরচা প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন। তবে শর্ত হল যে, একই বিবাদীর অনুরােধে কোন ডিক্রীই একাধিক রহিত করা যাবে না।

২) কোন একতরফা ডিক্রী রহিতকরণের আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গেই আদালতে বিবাদীর খরচায় বাদীর উপর নােটিশ জারি করাবেন। (২০০৬ সালের ৮নং আইন দ্বার। সংশােধিত)

আদেশ ৯ বিধি ১৪ বিরুদ্ধ পক্ষকে নােটিশ প্রদান না করে কোন ডিক্রী রদ করা যাবে না

উপরিউক্ত বর্ণনা অনুযায়ী ডিক্রী রদের দরখাস্ত সম্পর্কে অপর পক্ষকে নােটিশ জারি করা না হলে উক্ত আবেদনক্রমে ডিক্রী রদ করা যাবে না।

আদেশ ৯ বিধি ১৫ 

যেক্ষেত্রে কোন মামলার খারিজ বিষয়ক আদেশ ৪ বা ৯নং বিধির অধীনে বা ৩১নং বিধির অধীনে কোন ডিক্রী রদ করা হয়, সেক্ষেত্রে মামলাটি পুনর্বহাল করার পরিপ্রেক্ষিতে, খারিজ করার আদেশদান বা ডিক্রী দিবার অব্যবহিত পূর্বে যে পর্যায়ে অবস্থিত ছিল, উক্ত পর্যায় হতে মামলাটি চালু করা হবে।

আদেশ ৯ বিধি ১৫ বিধির বিশ্লেষণ

দেওয়ানি কার্যবিধিতে বর্ণিত ছানি মামলার কিছু বিধানঃ

১। বিধি-৪, আদেশ-৯,

২। বিধি ৯, আদেশ-৯

৩। বিধি-১৩, আদেশ-৯

৪। বিধি ১৮ ও ১৯ আদেশ ৪১

৫। বিধি ২১ আদেশ ৪১

৬। বিধি ১ থেকে ৮ আদেশ ৪৭





Popular posts from this blog

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha...

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...