Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

Order 7 Plaint Civil Procedure Code আদেশ ৭ আরজি দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

Order 7 Plaint Civil Procedure Code

আদেশ ৭ দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

Particulars to be contained in plaint

যেসব বিষয়গুলাে আরজিতে উল্লেখ করতে হবে

আদেশ ৭ বিধি ১ যেসব বিষয়গুলাে আরজিতে উল্লেখ করতে হবে

নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে আরজিতে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে-

ক) যে আদালতে মামলা করা হয় তার নাম;

খ) বাদীর নাম, পরিচিতি ও বাসস্থান;

গ) বিবাদীর নাম, পরিচয় ও বাসস্থান, যতদূর পর্যন্ত জানা যায়;

ঘ) বাদী বা বিবাদী নাবালক বা মানসিক বিকারগ্রস্ত হলে সে বিষয়ে বিবৃতি;

ঙ) যে সব ঘটনার কারণে মামলার কারণ সৃষ্টি হয়েছে ও কখন তা সৃষ্টি হয়েছিল;

চ) আদালতের এখতিয়ার আছে মর্মে প্রতীয়মান তথ্য;

ছ) বাদী যে প্রতিকার দাবি করে;

জ) বাদী যেক্ষেত্রে তার আংশিক দাবি পারস্পারিকভাবে পরিশােধ সম্মত হয়েছে বা বর্জন করেছে সেক্ষেত্রে দাবির যে অংশ অনুরূপভাবে পরিশােধ বা বর্জন করা হয়েছে এবং

ঝ) আদালতের এখতিয়ার কোর্ট ফি নির্ধারণের লক্ষ্যে মামলার সারবস্তুর মূল্য সম্পর্কে বিবৃতি।

আদেশ ৭ বিধি ১ বিশ্লেষণ -আরজি

আরজি কি (Meaning of Plaint)

আরজির বিষয়বস্তু (Contents of a Plaint)

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ১নং বিধি মতে, আরজিতে অবশ্যই নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ করতে হবে।

(১) যে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে, সে আদালতের নাম (The name of the Court in which the suit is brought);

(২) বাদীর নাম, পরিচয় এবং বসবাসের স্থান। (The name, description and place of residence of the Plaintff)

(৩) বিবাদীর নাম, পরিচয় ও বাসস্থান, যতদূর জানা যায়। (The name, description and place of residence of the Defendant, so for as they can be asdcertained);

(৪) যে সকল ঘটনার জন্য নালিশের কারণের উদ্ভব ঘটিয়াছে, এবং যখন উহার উদ্ভব ঘটে। (The Facts constituting the cause of oction and when it arose);

(৫) বাদী বা বিবাদী নাবালক অথবা মানসিক দিক হতে অসুস্থচিত্তের অধিকারী হলে, সে মর্মে একটি বিবৃতি। (Where the Plaintiff or the Defendeant is a minor or a person of unsound mind, a statement to that effect);

(৬) আদালতের যে এখতিয়ার রয়েছে, এই মর্মে তথ্য প্রদর্শন করে একটি বিবৃতি প্রদান করতে হবে। (The Facts showing that the Court has jurisdiction);

(৭) বাদী যে সমস্ত দাবি করছে, তা উল্লেখ করতে হবে। (The Relief of which the plaintiff claims);

(৮) বাদী যেক্ষেত্রে তার আংশিক দাবি পারস্পরিকভাবে পরিশােধে রাজী হয়েছে বা বর্জন করিয়াছে, সেক্ষেত্রে দাবির যে অংশ অনুরূপভাবে পরিশােধ বা বর্জন করা হয়েছে, সে মর্মে একটি বিবৃতি, (Where the Plaintiff has allowed a set-off or relinquishd).

(৯) আদালতের এখতিয়ারের জন্য বিষয়স্তুর মূল্য এবং কোর্ট ফিস এ্যাক্টের বিধান অনুযায়ী দাবির মূল্য সম্পর্কে একটি বিবৃতি, মামলা যতদূর পর্যন্ত স্বীকার করে। (A Statement of the value of the subject-matter of the suit for the purposes of jurusdiction and of Court-fees as far as the case admits).

আরজির বিষয়বস্তু

আরজির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পরিশেষে দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ৫নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, আরজিতে উল্লেখ করতে হবে যে, মামলার বিষয়বস্তুতে বিবাদীর স্বার্থ রয়েছে অথবা বিবাদী অনুরূপ স্বার্থ দাবি করে এবং আরও উল্লেখ করতে হবে যে, বিবাদী অবশ্যই বাদীর আরজির জবাব দিতে সক্ষম। এইভাবে, ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক আরজিতে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলি উল্লেখ করতে হবে ।

আরজি কখন সংশােধন করা যায় (When plaint can be amended)

আরজির সংশােধন সম্পর্কে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ৯নং বিধির (৩) নং উপ-বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আরজির সাথে মামলার বিষয়-বস্তু সম্পর্কে বাদীর কোন বিবৃতির সামঞ্জস্য রক্ষার প্রয়ােজন দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে বাদী আদালতের অনুমােদন সাপেক্ষে আরজিটি সংশােধন করতে পারবেন। বাদীর আরজি সংশােধনের কারণে অতিরিক্ত লিখিত জবাব দেওয়ার প্রয়ােজন দেখা দিলে, সেক্ষেত্রে বিবাদী আদালতের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এইভাবে, উপরে উল্লেখিত বিধান সাপেক্ষে, আরজি সংশােধন করা যেতে পারে।

আরজি কখন বাতিল বা নাকচ করা যায় (When plaint can be rejected)

আরজি বাতিল সম্পর্কে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ১১নং বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিম্নলিখিত যে কোন কারণে একটি আরজিকে বাতিল বলে গণ্য করা যেতে পারে।

(১) যেক্ষেত্রে আরজিতে নালিশের কোন কারণ উল্লেখ করা হয় নাই। (Where it does not disclose a cause of action);

(২) যেক্ষেত্রে দাবিকৃত প্রতিকারের মূল্য সঠিক মান অপেক্ষা কম করে উল্লেখ করা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশ অনুসারে বাদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আরজিটি সংশোধন করতে অপারগ হয়েছে। (Where the Relief claimed is under valued, and the plaintiff, on being required by the Court to correct the valuation within a time to be fixed by the Court, fails to do so);

(৩) যেক্ষেত্রে দাবিকৃত প্রতিকারের মূল্য যথার্থ পরিমাণেই উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু প্রয়ােজন অপেক্ষা কম মূল্যের কোর্ট ফি দিয়ে আরজি দাখিল করা হয়েছে এবং আদলতের নির্দেশ অনুসারে বাদী আদালত প্রদত্ত সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট কোর্ট ফি দিতে অপারগতা প্রদর্শন করেছে। (Where the Relief claimed is properly valued, but the plaint is written upon paper insufficiently stamped, and the plaint, on being requied by the Court to supply the requisite stamp paper within a time to be fixed by the Court, fails to do so)

(8) যেক্ষেত্রে আরজি দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, মামলাটি প্রচলিত কোন আইন দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে বিধায় চলতে দেওয়া যায় না। (Where the suit appears from the statement in the plaint to be barred by any law).

এইভাবে, উপরে উল্লেখিত কারণসমূহের যে কোন একটির দ্বারা আরজি প্রত্যাখ্যাত হলে, সেক্ষেত্রে বাদীকে একই কারণে তামাদি সাপেক্ষে পুনরায় মামলা করার অধিকার হতে দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ১৩নং বিধির কারণে বঞ্চিত করা যাবে না ।

আরজি কাকে বলে

কোন বাদী কর্তৃক তার বিবাদীর বিরুদ্ধে আনীত নালিশকেই আরজি (plaint) বলা হয়। অর্থাৎ, কাহারও আইনগত অধিকার লংঘিত হয়েছে, এমন কোন ব্যক্তি কর্তৃক কোন এখতিয়ারসম্পন দেওয়ানি আদালতের নিকট নালিশের কারণ (Cause of Action) উল্লেখ পূর্বক প্রতিকার প্রার্থনা করে যে আবেদনপত্র দেওয়ানি অধিকার লংঘনকারীর বিরুদ্ধে উপস্থাপন করা হয়, তাই আরজি। দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের বিধান মােতাবেক, প্রত্যেক আরজিতে অবশ্যই মামলার কারণ ও বিবরণ সম্বলিত দাবির উল্লেখ থাকতে হবে।

আরজি লিখিবার পূর্বে কি কি জানা একান্ত আবশ্যক

আরজি লিখিবার পূর্বে নিম্নোক্ত বিষয়ে জানা একান্ত প্রয়ােজন-

১। বন্টনের মামলা তামাদি হয় না। যদি বলপূর্বক বার বৎসর বেদখল রাখা না হয়, কিংবা দোবারা দোষে দূষিত না হয় তবে যে কোন সময় বন্টনের প্রার্থনা করা যায় যদি ইতিপূর্বে একই নিয়মে বন্টন না হয়ে থাকে।

২। স্বত্ব সাব্যস্তের মামলা বেদখলের তারিখ হতে ১২ (বার) বৎসরের মধ্যে আনয়ন করলে তামাদি হবে।

৩। বিনা স্বত্বে জোর পূর্বক ১২ বৎসর দখলে রাখিলে অকাট্য স্বত্বের উদ্ভব হয়।

৪। মাসিক ভাড়া, খাজনা ও ক্ষতিপূরণের অংশ পেছনের তিন বৎসরের অতিরিক্ত সময় অনাদায়ী থাকলে তা তামাদি হবে যদি তিন বৎসরের মধ্যে মামলা আনয়ন করা না হয়।

৫। যে কোন পাওনা টাকার নালিশ চুক্তি নির্ধারিত সময়ের পর হতে তিন বৎসরের মধ্যে আনয়ন করতে হবে, যদি পাওনা টাকার মধ্যে আংশিক টাকা আদায় হয় তবে আংশিক টাকা আদায়ের তারিখ হতে তিন বৎসরের মধ্যে নালিশ করতে হবে।

৬। বর্গা ফসলের নালিশ তিন বছরের মধ্যে করতে হবে।

৭। খত মূলে পাওনা টাকার নালিশ তিন বৎসরের মধ্যে করতে হয়। কিন্তু যদি খত মােহরকৃত হয় তবে ছয় বৎসরের মধ্যে নালিশ করা চলে।

৮। বিদ্বেষমূলক মামলার ক্ষতিপূরণের নালিশ ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার এক বৎসরের মধ্যে আনয়ন করতে হবে।

৯। রেল বিভাগীয় মামলার ক্ষতিপূরণের নালিশ এক বৎসরের মধ্যে করতে হবে। উক্ত নালিশ করার পূর্বে, যদি রেল বিভাগ সরকার কর্তৃক চালিত হয় তবে, দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৮০ ধারা মতে এবং যদি বেসরকারি হয় তা হলে রেল বিভাগীয় আইনের ৭৭ ধারা মতে মামলা দায়েরের পূর্বে সংশ্লিষ্ট‌ কর্তৃপক্ষকে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।

১০। মােহরকৃত রেহানী মূলে নালিশ করতে হলে দেনা শােধ করার ওয়াদার তারিখ হতে ৬ বৎসরের মধ্যে নালিশ করতে হবে।

১১। যৌথ কারবার বিভক্ত করে হিসাব নিকাশের নালিশ করতে হলে নালিশ দায়ের করার পূর্বে প্রত্যেক পক্ষকে যৌথ কারবার বিযুক্তির প্রার্থনার মামলা করতে হবে । বিযুক্তির বিজ্ঞপ্তির তিন বৎসরের মধ্যে নালিশ করতে হবে।

১২। সুনির্দিষ্টভাবে প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মতে পুনঃদখলের মামলা বেদখলের তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যে আনয়ন করতে হবে।

১৩। দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ২১ আদেশের ৬৩ নিয়মে নালিশ করতে হলে, দাবিদার মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার এক বৎসরের মধ্যে নালিশ করতে হবে।

১৪। নাবালক সাবালক হয়ে দলিল রদ বা সম্পত্তি দখলের নালিশ করতে চাহিলে সাবালক হওয়ার তিন বৎসরের মধ্যে নালিশ দায়ের করতে হবে।

১৫। কোন নিলাম খরিদ্দার সাফ কবলা দলিল আদালত যােগ করিয়ে যদি খাস দখল না পায় তা হলে কাগজপত্রে দখল লওয়ার ১২ বৎসরের মধ্যে খাস দখলের নালিশ করতে হবে।

১৬। হিন্দু বিধবা বৈধ করণে সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারে। যদি উক্ত হস্তান্তর বৈধ কারণে না হয়ে থাকে, তবে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর তারিখ হতে ১২ বৎসরের মধ্যে উক্ত দলিল করার ও খাস দখল পাইবার নালিশ করতে পারেন।

১৭। কোন ভাড়াটিয়া উৎখাত করতে হলে মামলা দায়েরের পূর্বে সম্পত্তি হস্তান্ত আইনের ১০৬ ধারা মতে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বর্গাদার উৎখাত করতে হলে নালিশ দায়েরের ছয় মাস পূর্বে উপরিউক্ত বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।

১৮। দলিল দাতা দলিল সম্পাদন করে যদি তা মােহরকৃত করতে অস্বীকার করে এবং গ্রহিতা উক্ত দলিল মােহরকরণ কার্যালয়ে মােহরকৃত করার জন্য উপস্থিত করে এবং যদি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মােহরকৃত করতে অস্বীকার করেন, তা হলে অস্বীকারের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে উর্দ্ধতন কর্মকর্তার দপ্তরে পুনঃ বিচার প্রার্থনা করতে হবে।‌ শেষােক্ত কর্মকর্তাও মােহরকৃত করতে অস্বীকার করেন তবে তার অস্বীকারের তারিখে হতে ৩০ দিনের মধ্যে দেওয়ানি আদালতে নালিশ করতে হবে।

১৯। সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করতে হলে আদেশের তারিখ হতে এক বৎসরের মধ্যে নালিশ দায়ের করতে হবে। নালিশ দায়ের করার পূর্বে দেঃ কাঃ বিঃ আইনের ৮০ ধারা মতে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।

২০। ছানী মামলা মূল মামলার আদেশ হতে ৩০ দিনের মধ্যে দায়ের করতে হবে। যদি কোন কারণে মামলার আদেশ উক্ত ৩০ দিনের মধ্যে জানিতে পারা না যায়, তা হলে জানার তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে এই মামলা দায়ের করতে হবে।

২১। কোন সাফ কবলা মূলে অগ্রক্রয়ের মামলা করতে হলে সাফ কবলা মােহরকৃত করার চার মাসের মধ্যে কিংবা উহা জানার তারিখ হতে ৪ চার মাসের মধ্যে দরখাস্ত করতে হবে। মূল্যের টাকা অবশ্যই দাখিল করে চালানসহ দরখাস্ত করতে হবে।

২২। টাকা জমা দিয়ে নিলাম রদের মামলা করতে হলে নিলামের ৩০ দিনের মধ্যে করতে হবে। যদি নিলামের তারিখের ৩০ দিনের মধ্যে নিলাম সম্বন্ধে অবগত হওয়া না যায় তবে উপযুক্ত কারণ দর্শাইয়া জানার তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে দরখাস্ত করতে হবে।

২৩। কায়মােকামের দরখাস্ত অবশ্যই মৃত্যুর তারিখ হতে নব্বই দিনের মধ্যে করতে হবে।

২৪। জেলা আদালতে মামলার পুনঃ বিচার প্রার্থনা রায়ের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে করতে হবে। উক্ত রায়ের নকল পাইতে যত দিন সময় লাগিবে সে দিনগুলি উক্ত ৩০ দিনের মধ্যে দরখাস্ত করতে হবে।

২৫। জেলা আদালতে অন্যান্য মামলার পুনঃ বিচারের আবেদন ডিক্রীর তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে পেশ করতে হবে। কিন্তু রায়ের তারিখ হতে ৩০ দিনের মধ্যে নকলের দরখাস্ত করতে হবে এবং নকল পাইতে যে সময় লাগিবে তা উক্ত ৩০ দিনের সাথে যােগ হবে।

২৬। বন্টনের মামলার চূড়ান্ত ডিক্রীর বিরুদ্ধে পুনঃ বিচারের আবেদন করতে হলে চূড়ান্ত ডিক্রী দস্তখত করতে যে সময় লাগিবে সে দিন গুলি উক্ত ৩০ দিনের সাথে যােগ হবে।

আদেশ ৭ বিধি ২ অর্থের মামলা Money Suits

যখন বাদী অর্থ উদ্ধারের আবেদন করেন, তখন আরজিতে দাবিকৃত যথাযথ পরিমাণ বিবৃতি থাকবে। কিন্তু যেক্ষেত্রে বাদী ওয়াশীলাতের উদ্দেশ্যে বা বিবাদীর এবং তার ভিতর অমীমাংসিত হিসাব গ্রহণপূর্বক সম্ভাব্য পাওনা টাকা উদ্ধারের জন্য মামলা করেন, সেক্ষেত্রে যে জন্য মামলা করা হবে, তার আনুমানিক পরিমাণ বর্ণনা করবে।

আদেশ ৭ বিধি ২ বিশ্লেষণ

আর্থিক মামলার আরজির অপরিহার্য বিষয়বস্তু

আর্থিক মামলার আরজির বিষয়-বস্তুর মূল ভিত্তি হিসাবে অবশ্যই মামলার মূল্যায়ন আইন অনুযায়ী উক্ত আর্থিক মামলার মূল্য এবং কোর্ট ফিস এ্যাক্টর বিধান অনুযায়ী দাবির মূল্য বিষয়ে বিবৃতি প্রদান পূর্বক নিম্নলিখিত পন্থায় একটি খরচা প্রণয়ন করতে হবে।


১ম সহকারী জজ আদালত, ঢাকা।

মানি সুট নং ৯২/২১-৩-২০২১

ক-খ (নাম, পরিচয় ও ঠিকানা) - বাদী।

গ- ঘ (নাম, পরিচয় ও পূর্ণ ঠিকানা-যতদূর জানা যায়) - বিবাদী।

বিবাদীর বিরুদ্ধে সুদসহ আসল ১২০০ (বার হাজার) টাকা আদায়ের মামলা।

উপরিউক্ত বাদী ক-খ এর সবিনয় নিবেন এই যে,

(১) বাদী এই আদালতের এখতিয়ারাধীন উল্লেখিত টাকা আদায়ের ব্যাপারে একজন বিচারপ্রার্থী।

(২) বাদী বিগত ২০২১ সনের ১লা জানুয়ারি তারিখে বিবাদীর নিকট হতে একটি প্রতিজ্ঞা পত্রের মাধ্যমে বার হাজার টাকার সুদসহ কর্জ হিসাবে গ্রহণ করে এবং উক্ত প্রতিজ্ঞা-পত্রে বিবাদী এই মর্মে অঙ্গীকার করে যে, টাকা গ্রহণের তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যে উল্লেখিত টাকা পরিশােধ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

৩) কিন্তু বিবাদী তার অঙ্গীকারপত্রের প্রদত্ত টাকা পরিশােধ করতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়।

(৪) অঙ্গীকারপত্রে ঘােষিত তারিখ অতিক্রান্ত হওয়ার পর বহুবার বাদী তার সম্পূর্ণ টাকা পরিশােধ করার জন্য তাগাদা দিতে থাকলে বিবাদী প্রতিবারই অক্ষমতার কথা সুস্পষ্টভাবে ঘােষণা করতে থাকে।

(৫) বিবাদী ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা না দেওয়ার উদ্দেশ্যে তামাদি মেয়াদ অতিক্রান্ত করার অসৎ প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়।

(৬) বাদী অতঃপর বিবাদীর দূরভিসন্ধি অনুধাবন করতে পারিয়া তামাদির মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই এই মামলা দায়ের করতে সক্ষম হয়েছে।

(৭) বাদীর মামলাটি কোনক্রমেই তামাদি দোষে বারিত হয় নাই।

(৮) বিবাদী ২০২১ সনের ৩০ শে জুনের মধ্যে কর্জকৃত টাকা পরিশােধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই সালের ১লা জুলাই হতে নালিশের কারণের (Cause of Action) উদ্ভব ঘটে।

(৯) বাদী এবং বিবাদী উভয়ই একই থানার অধিবাসী এবং বাদী কর্তৃক বিবাদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযােগের বা নালিশের বিরুদ্ধে বিচার করার এখতিয়ার এই আদালতের রয়েছে।

(১০) মােকদ্দমার মান ১২০০০/= (বার হাজার) টাকার উপর মূল্য অনুসারে যথারীতি কোর্ট ফি প্রদান করা হয়েছে।

(১১) যেহেতু বাদী কর্তৃক আনীত মামলাটির উপর এই আদালতের পর্যাপ্ত আর্থিক এখতিয়ার রয়েছে, সেহেতু বাদীর নিম্নলিখিত প্রতিকারগুলি লাভ করার বিশেষ অধিকার রয়েছে।

এমতাবস্থায়, উল্লেখিত টাকা আদায় ও অন্যান্য আইনগত খরচাদির ব্যাপারে বাদীর‌ বিনীত প্রার্থনা এই যে,

(ক) বিবাদী কর্তৃক স্বাক্ষরিত অঙ্গীকারপত্র মােতাবেক সুদসহ আসল ১২০০০/= টাকা প্রদানের জন্য বাদীর অনুকূলে এবং বিবাদীর প্রতিকুলে ডিক্রী প্রদান করা হােক।

(খ) বাদী তার আসল টাকার উপর বার্ষিক শতকরা ৫% হারে সুদ পাওয়ার অধিকারী।

(গ) এই মামলা পরিচালনার ব্যাপারে সকল প্রকার আইনগত খরচার জন্য বাদীর অনুকুলে ডিক্রী প্রদান করা হােক।

(ঘ) ন্যায়নীতি ও সুবিচারের স্বার্থে বাদী অন্যান্য যে সকল প্রতিকার সমুহের অধিকারী হবেন, সে মর্মে আদালত ডিক্রী প্রদানের মর্জি হােক।

সত্যাখ্যান

আমি এই মামলার বাদী ক-খ এতদ্বারা প্রত্যাখ্যান করতেছি যে, এই মামলায় বর্ণিত উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি তথ্য আমার জ্ঞান মতে সত্য এবং এই মামলার ১নং অনুচ্ছেদ হতে ১২ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত প্রত্যেকটি তথ্যকে আমি সত্য বলে বিশ্বাস করি।

আমি এই মামলার বাদী অদ্য ২১শে অক্টোবর ২০২১ সালে ঢাকার আমার অ্যাডভােকেট সাহেবের চেম্বারে বসিয়া এই প্রত্যাখ্যানে স্বাক্ষরযুক্ত করতেছি।


ক খ
বাদীর স্বাক্ষর

চ ছ
আইনজীবীর স্বাক্ষর


কোন কোন ক্ষেত্রে আরজিতে বিস্তারিত বিবরণ অবশ্যই থাকতে হবে

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ২নং বিধি হতে ৯নং বিধির বিধান‌ সাপেক্ষে, নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আরজিতে অবশ্যই বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করতে হবে।

দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের (২)নং বিধি মতে, যেক্ষেত্রে বাদী টাকা আদায়ের জন্য মামলা রুজু করে, সেক্ষেত্রে বাদীর টাকার পরিমাণ সঠিকভাবে আরজিতে উল্লেখ করতে হবে।‌একই কার্যবিধির ৭নং আদেশের ৩নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, কোন মামলার বিষয়বস্তু যদি স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত হয়, তবে সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি সনাক্ত করার উপযুক্ত বর্ণনা অবশ্যই আরজিতে উল্লেখ করতে হবে; এবং যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তির চৌহদ্দি কিংবা সেটেলমেন্ট পরিচয় উল্লেখিত খতিয়ান এবং দাগ নম্বর দ্বারা উক্ত সম্পত্তি সনাক্ত করা সম্ভব সেক্ষেত্রে অনুরূপ সীমানা বা চৌহদ্দি এবং দাগ খতিয়ান নম্বর আরজিতে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এই আদেশের ৫নং বিধি মতে আরজিতে উল্লেখ করতে হবে যে, মামলার বিষয়বস্তুতে বিবাদীর স্বার্থ রয়েছে কিংবা বিবাদী অনুরূপ স্বার্থ দাবি এবং আরও উল্লেখ করতে হবে যে, বিবাদী অবশ্যই বাদীর আরজির জবাব দিতে বিশেষভাবেই বাধ্য। এই আদেশের ৬নং বিধি মতে, যেক্ষেত্রে তামাদি আইনে উল্লেখিত সময়ের মেয়াদ উত্তীর্ণ‌ হওয়ার পর মামলা দায়ের করা হয়, সেক্ষেত্রে যে অবশ্যই আরজিতে উল্লেখিত করতে হবে। একই আদেশের বিধি মতে, যেক্ষেত্রে তামাদি আইনে উল্লেখিত সময়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর মামলা দায়ের করা হয়, সেক্ষেত্রে যে অজুহাতে তামাদি আইনের বিধান হতে অব্যাহতি দাবি করা হয়, তা অবশ্যই আরজিতে উল্লেখ করতে হবে।‌ একই আদেশের ৭নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, বাদী সাধারণভাবে কিংবা বিকল্পতভাবে যে প্রতিকার দাবি করে, আরজিতে তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।

তবে, বাদী যে সমস্ত প্রতিকার দাবি না করা সত্বেও আদলত তা সঙ্গত বিবেচনায় মঞ্জুর করে থাকেন, সে সমস্ত প্রতিকার দাবি হিসাবে উল্লেখ করার কোন প্রয়ােজন নাই। এই আদেশের ৮নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, বাদী যেক্ষেত্রে বিভিন্ন দাবি অথবা নালিশের কারণ সম্পর্কে প্রতিকার প্রার্থনা করে, সেক্ষেত্রে আরজিতে উক্ত বিষয়গুলি যথাসম্ভব পৃথকভাবে ও সম্পূর্ণরূপে উল্লেখ করতে হবে। order 7, Rule 8 of this code provides that every plaint must state specifically the relief claimed‌ by the plaintiff, whether simply, or in the alternative. When reliefs are claimed under separte grounds, such grounds shall be separtely stated). পরিশেষে, দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ৯নং বিধির (১) নং উপবিধিতে বলা হয়েছে যে, বাদী আরজির সাথে যেসব দলিল দাখিল করেছে, সেসব দলিলের একটি তালিকা আরজির উপর লিখিয়া অথবা যতজন বিবাদী রয়েছে, সে সংখ্যক নকল সাদা কাগজে আরজির সাথে দাখিল করতে হবে। তবে, আরজির দৈর্ঘ্য অথবা বিবাদীর সংখ্যাধিক্য বিবেচনায় কিংবা অন্য কোন সঙ্গত কারণে আদালত বাদীর আরজির সংক্ষিপ্ত বিবরণ বিবাদীর উপর জারির জন্য দাখিল করতে অনুমতি দান করতে পারেন।

এই আদেশের ৯নং বিধির (২) নং উপবিধিতে বলা হয়েছে যে, বাদী যেক্ষেত্রে অন্যান্যদের প্রতিনিধি হিসাবে মামলা দায়ের করে, সেক্ষেত্রে উক্তরূপ সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে কি ক্ষমতা বলে বাদী মামলা করছে বা বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তা উল্লেখ করতে হইবে। একই আদেশের ৯নং বিধির (৩) নং উপবিধির বিধান মতে আরজির সাথে উক্তরূপ বিবৃতির সামঞ্জস্য রক্ষার জন্য প্রয়ােজন হলে, সেক্ষেত্রে বাদী আদালতের অনুমােদন সাপেক্ষে আরজিতে সংশােধন করতে পারবেন। পরিশেষে এই আদেশের ৯নং বিধির (৪) নং উপবিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আদালতের প্রধান কেরানী উপরিউক্ত‌ তালিকা বিবৃতি নকল পরীক্ষা করার পর যদি এই মর্মে বিশ্বাস জন্মে যে, উল্লেখিত বিষয়গুলি সঠিক হয়েছে, তবেই তিনি সেগুলিতে স্বাক্ষর দান করবেন। এইভাবে, প্রত্যেক আরজিতে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে ।

আদেশ ৭ বিধি ৩ স্থাবর সম্পত্তি যে ক্ষেত্রে মামলার বিষয়বস্তু হয়।

When the subject matter of the suit is immovable property

স্থাবর সম্পত্তি যদি মামলার কেন্দ্রবিন্দু হয়, তবে আরজিতে উক্ত সম্পত্তি সনাক্ত করার যথাযথ বর্ণনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং সীমানা বা সেটেলমেন্ট পর্চার বর্ণিত নম্বর দ্বারা উক্ত সম্পত্তি যে ক্ষেত্রে সনাক্ত করা সম্ভব সে ক্ষেত্রে একই রূপ সীমানা ও নম্বর আরজিতে বর্ণনা করতে হবে।

আদেশ ৭ বিধির ৩ বিশ্লেষণ

স্থাবর সম্পত্তির মামলার আরজিতে যে যে বিষয় থাকতে হবে

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৭ এর বিধি-৩ অনুযায়ী, স্থাবর সম্পত্তি যদি মামলার‌ কেন্দ্রবিন্দু হয়, তা হলে আরজিতে উক্ত সম্পত্তি সনাক্ত করার উপযুক্ত বর্ণনা অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, এবং সীমানা বা সেটেলমেন্ট পর্চায় উল্লিখিত নম্বর কর্তৃক উক্ত সম্পত্তি যেক্ষেত্রে সনাক্ত করা সম্ভব, সেক্ষেত্রে একইরূপ সীমানা ও নম্বর আরজিতে উল্লেখ করতে হবে।

প্রতিনিধিত্বের মামলার আরজিতে যে যে বিষয় থাকতে হবে

কোন ব্যক্তি প্রতিনিধি হিসাবে, কোন মামলা পেশ করলে তাকে অবশ্যই আরজিতে মামলার বিষয়বস্তুতে বাদীর স্বার্থ জড়িত আছে উল্লেখ করতে হবে এবং ইহা সম্পর্কে তিনি দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের অন্যান্য আবশ্যকীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং তিনি ঐরূপ প্রতিনিধি মামলা দায়ের করার পূর্বে আদালত কর্তৃক এবং দেওয়ানি কার্যবিধির ৯২ ধারার মামলার ক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেল এর নিকট অনুমতি পাইয়াছেন। আদালতের এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের অনুমতি সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করতে হবে।

আদেশ ৭ বিধি ৪ - বাদী কখন প্রতিনিধি হিসেবে বাদী যখন মামলা করতে পারবে

যখন বাদী অন্যান্যদের প্রতিনিধি হয়ে মামলা পেশ করে, তখন আরজিতে শুধুমাত্র এটা দেখালেই চলবে না যে, মামলার বিষয়বস্তুতে তার নিজের প্রকৃত স্বার্থও বিদ্যমান আছে, তদুপরি আরও দেখাইতে হবে যে, সে যে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মামলা করতে পারে তজ্জন্য দরকার অনুযায়ী যাবতীয় ব্যবস্থা (যদি কিছু থাকে) সে গ্রহণ করেছে।

আদেশ ৭ বিধি ৫ বিবাদীর স্বার্থ ও দায়িত্ব দেখাতে হবে

আরজিতে দেখাইতে হবে যে, মামলার বিষয়বস্তুতে বিবাদীর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা বিবাদী অনুরূপ স্বার্থ দাবি করে এবং আরও দেখাইতে হবে যে, বিবাদীর দাবির উত্তর দিতে বাদী বাধ্য।

আদেশ ৭ বিধি ৬ - তামাদি আইন হতে অব্যাহতি পাওয়ার কারণ গুলি

যদি তামাদি আইনের বিধৃত সময় এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মামলা করা হয়, তবে উক্ত তামাদি আইনের বিধান হতে যে কারণে অব্যাহতি দাবি করা হয় তার কারণ উল্লেখ করতে হবে।

আদেশ ৭ বিধি ৭ প্রতিকার স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে হবে Relief to be specifically state.

আরজিতে বাদী সাধারণভাবে বা বিকল্পভাবে যে প্রতিকার দাবি করে তা সুনির্দিষ্টভাবে দেখাইতে হবে। অবশ্য আদালত দ্বারা সঙ্গত বিবেচনায় যে প্রতিকার দাবি না করলেও অনুমােদন করে থাকেন, তা আরজিতে দেখানাের কোন দরকার নাই। একই নিয়ম বিবাদীর লিখিত বিবৃতিতে যে দাবি করা হয়, সেক্ষেত্রেও প্রয়ােগযােগ্য হবে।

বিধি ৭ প্রতিকার স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে হবে বিষয়ক উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ।

H. Vs. India Union । [14 DLR 307]

আরজি জবাবের দাবির বিষয়বস্তু যখন অপর পক্ষের কোন প্রকার ক্ষতির কারণ হয় না তখন কেবল কৌশলগতভাবে কারণের অজুহাতে দাবি প্রত্যাখ্যান করা যাবে না। আদালত, অবশ্যই আরজিতে দাবিকৃত সব প্রাসঙ্গিক বিষয়ই দেখবেন।

সাধারণ নিয়ম হল, যে সকল তথ্য এবং দলিলপত্রের উপর ভিত্তি করে প্রতিকার চাওয়া হয় তা আরজি জবাবে, বিচার্য বিষয়ে বা মামলার সাক্ষ্যে প্রকাশ না থাকলে এবং যাতে অপর পক্ষ মুখােমুখি হওয়ার সুযােগ পান নাই এমন বিষয়ে কোন প্রতিকার প্রদান করা যাবে না।

আদেশ ৭ বিধি ৮ বিভিন্ন অজুহাতের উপর প্রতিষ্ঠিত প্রতিকার Relief founded on separate grounds

স্বতন্ত্র ও স্পষ্ট কারণের উপর কতিপয় স্পষ্ট দাবি বা মামলার কারণ সম্পর্কে বাদী যেক্ষেত্রে প্রতিকার আবেদন করেন, সেক্ষেত্রে যথাসম্ভব স্বতন্ত্র ও স্পষ্টভাবে বর্ণনা করতে হবে।

আদেশ ৭ বিধি ৯ - আরজি গ্রহণের প্রণালী Procedure of admitting plaint

১) যেসব দলিল বাদী আরজির সাথে পেশ করেছে (যদি করে থাকে), আরজির উপর সেগুলির একটি তালিকা লিখিয়া বা আরজির সঙ্গে সংযুক্ত করে দিতে হবে; আরজি গৃহীত হলে যতজন বিবাদী আছে, সাদা কাগজে আরজির ততসংখ্যক নকল পেশ করবে; অবশ্য আরজির দৈর্ঘ্য বা বিবাদীর সংখ্যাধিক্যের অজুহাতে বা অপর কোন সঙ্গত কারণে আদালত যদি শুধুমাত্র বাদীর দাবিকৃত প্রতিকার সম্বন্ধে সংরক্ষিত বিবৃতির অনুরূপ সংখ্যা পেশ করার অনুমতি প্রদান করবেন, অবশ্য সংক্ষিপ্ত বিবৃতির সে সংখ্যক নকল পেশ করলেই চলবে।

২) সংক্ষিপ্ত বিবৃতি ও অন্যান্যদের প্রতিনিধি হয়ে যেক্ষেত্রে বাদী মামলা করেন, তবে উক্তরূপ সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে কোন ক্ষমতায় বাদী মামলা করছে বা বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তা উল্লেখ করতে হবে।

৩) বাদী আদালতের আদেশ অনুযায়ী আরজির সঙ্গে উক্তরূপ বিবৃতির সামঞ্জস্য রক্ষা করার জন্য প্রয়ােজনানুযায়ী তা সংশােধন করতে পারবে ।

৪) উপরিউক্ত তালিকা, বিবৃতি, নকল প্রভৃতি আদালতের প্রধান কেরানী পরীক্ষাপূর্বক যদি দেখিতে পান যে, সেগুলাে সঠিক হয়েছে, তবে তিনি সেগুলিতে সহি প্রদান করবে।

আদেশ ৭ বিধি ৯ বিশ্লেষণ

আরজি সংশােধনের বিধানসমূহ নিজ ভাঘায় বর্ণনা কর বা কোন কোন ক্ষেত্রে আরজি সংশোধনের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করা হবে

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ৯নং বিধির ৩নং উপবিধিতে বলা হয়েছে যে, আরজির সাথে বাদী কর্তৃক আনীত কোন বিবৃতির সামঞ্জস্য রক্ষা করার প্রয়োজন দেখা দিলে সে ক্ষেত্রে বাদী আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষে আরজি ইচ্ছামাফিক সংশোধন করতে পারবে।

আদেশ ৭ বিধি ১০ আরজি ফেরত প্রদান Return of Plaint

১) প্রকৃতপক্ষে মামলার যে কোন কর্মধারায় যে আদালতে মামলা করা উচিত, সে আদালতে আরজি পেশ করার জন্য তা ফেরত প্রদান করা যাবে।

২) আরজি ফেরত প্রদানের প্রণালী

 বিচারক আরজি ফেরত প্রদানের সময় তার উপর আরজি পেশ করার ও ফেরত নেওয়ার তারিখ, দাখিলকারক পক্ষের নাম এবং তা ফেরত নিয়া যাওয়ার অজুহাত সম্বন্ধে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখিত করবে।

আদেশ ৭ বিধি ১০ আরজি ফেরত প্রদান সংক্রান্ত বিশ্লেষণ

আরজি ফেরৎ (Return of Plaint) বিধি-১০, আদেশ-৭) 

১। বাদী যদি এখতিয়ারহীন আদালতে আরজি দায়ের করে, তাহলে আদালত উক্ত আরজি এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে পেশ করার জন্য বাদীকে ফেরত প্রদান করবে।

২। আরজি ফেরৎ প্রদানের সময় বিচারক আরজি পেশ করার এবং ফেরৎ দেওয়ার তারিখ, আরজি দাখিলকারির নাম এবং ফেরৎ দেওয়ার কারন সংক্ষেপে লিখবেন।

আরজি ফেরতের প্রতিকার

বিধি ১ আদেশ ৪৩ বিধান অনুসারে আরজি ফেরতের আদেশ টি আপিলযোগ্য আদেশ বা Appealable Order. 

আদেশ ৭ বিধি ১১ আরজি প্রত্যাখ্যান Rejection of Plaint

নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে আরজি প্রত্যাখ্যাত হবে

ক) যেক্ষেত্রে এটা মামলার কারণ প্রকাশ করে নাই;

খ) যেক্ষেত্রে দাবিকৃত প্রতিকার কম মূল্যায়িত হয় এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাদী নির্ধারিত সময়সীমার ভিতর তা শুদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে;

গ) যেক্ষেত্রে দাবিকৃত প্রতিকারের সঠিক মূল্যায়িত হয়েছে, কিন্তু আরজি দরকার অপেক্ষা কম মূল্যের ষ্ট্যাম্পযুক্ত কাগজে লেখা হয়েছে এবং নির্ধারিত সময়ের ভিতর আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বাদী প্রয়োজনীয় ষ্ট্যাম্প কাগজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ঘ) যেক্ষেত্রে আরজির বিবৃতি হতে মামলা যে কোন আইন দ্বারা বারিত বলে প্রতীয়মান হয়। তবে শর্ত হল যে, মামলার সঠিক মূল্যায়নের বা দরকারি ষ্ট্যাম্প পেশ করার জন্য আদালত দ্বারা নির্ধারিত সময় একুশ দিনের অতিরিক্ত হবে না ।

আদেশ ৭ বিধি ১১ আরজি প্রত্যাখ্যান বিশ্লেষণ

যেক্ষেত্রে কোন মামলায় আরজি ও জবাবের সংশােধনের আবেদন অগ্রাহ্য হতে পারে

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৭নং আদেশের ১১নং বিধির বিধান অনুসারে আরজি ও জবাবের আবেদন অগ্রাহ্য বলে বিবেচিত হবে। এই বিধি অনুসারে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আরজি ও জবাবের আবেদন অগ্রাহ্য হতে পারে।

(১) যেক্ষেত্রে কোন মামলার আরজি বা জবাবে নালিশের কারণ (Caues of Action) উল্লেখ করা না হয়।

(২) যেক্ষেত্রে দাবিকৃত প্রতিকারের মূল্য কম করে উল্লেখ করা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশ মত বাদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উহা সংশােধন করতে অপারগ হয়েছে।

(৩) যেক্ষেত্রে দাবিকৃত প্রতিকারের মূল্য যথার্থ পরিমাণেই উল্লেখ করা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশ মত বাদী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প কাগজ সরবরাহ করতে অপারগ হয়েছে।

(৪) যেক্ষেত্রে আরজি দৃষ্টে প্রতীয়মান হয় যে, দেশের প্রচলিত কোন আইন অনুসারে বাদী কর্তৃক আনীত মামলাটি নিষিদ্ধ।

এইভাবে, উপরে উল্লেখিত বিধান সাপেক্ষে, আরজি ও জবাবের সংশােধনের আবেদন মঞ্জুর বা অগ্রাহ্য হতে হবে।

উদাহরণ: বাদী এক বিঘা জমির জন্য খাস দখলের মামলার জমির মূল্য ২০০০০০ টাকা ধার্য করে এই দাবির কোর্ট ফি দিয়ে মামলা দায়ের করল। বািবদী উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিয়ে আপত্তি উত্থাপন করল যে বাদীর ভূমির মূল্য ৮,৫০০০০ টাকা হবে। অতএব বিচার্য বিষয় হয়ে দাড়াইল, রীতিমত মামলার ও জমির মূল্যের উপর কোর্ট ফি দেয়া হয়েছে কিনা। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনিয়া আদালত সিদ্ধান্ত নিলেন দাবির ভূমির ৬০০০০০ টাকা এবং এই মর্মে আরজি সংশােধন করে উক্ত ৬০০০০ টাকার উপর কোর্ট ফি দেয়ার জন্য একটি তারিখ দিলেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী ঐ তারিখে বা আদালতের অনুমতিক্রমে পরবর্তী তারিখে বাদী আরজি সংশােধন ও অতিরিক্ত কোর্ট ফি দিতে অপারগ হলে আরজি প্রত্যাখ্যান (Reejcted) হবে।

যে ক্ষেত্রে দাবিকৃত প্রতিকারের মুল্য যথার্থ পরিমাণেই উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু প্রয়ােজন অপেক্ষা কম মূল্যের কোর্ট ফি দিয়ে আরজি দায়ের হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশ মত বাদী নির্দিষ্ট সমযের মধ্যে অবশিষ্ট কোর্ট ফি দিতে অপারগ হয়েছে।

আরজি প্রত্যাখ্যান হওয়ার আদেশ ২ (২) ধারানুযায়ী ডিক্রীতুল্য হওয়ায় এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা চলে। উক্ত কারণ সমুহের কোন একটির জন্য আরজি প্রত্যাখ্যান হলে, বাদী একই কারণে তামাদি সাপেক্ষে পুনরায় মামলা করার অধিকার হতে এই আদেশের ১৩ বিধির কারণে বঞ্চিত হবে না।

আরজি খারিজে আইনগত তাৎপর্য

আরজি পেশের মাধ্যমে মামলা রুজু করা হয়। আর এ কারণেই আৱজি ক্রটিমুক্ত ও যাথাযথভাবে পেশ করতে হবে। তাই আরজির অত্যাবশ্যকীয় উপাদান সম্পর্কে সতর্ক থাকা একান্ত আবশ্যক। আরজি পেশের সময় যদি আরজি ক্রটিপূর্ণ হয়, তা হলে আরজি খারিজ হতে পারে। আর যদি আরজি খারিজ হয়, তা হলে মামলার প্রারম্ভেই প্রতিবন্ধকতার উদ্ভূত হওয়ার কারণে বাদীকে সমস্যার মুখােমুখী হতে হয়। যার কারণে আইনের বিধান অনুযায়ী বাদীকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হয়। এইক্ষেত্রে বাদীকে নূতন করে মামলা রুজু করতে হবে, তামাদিকাল থাকলে আপিল করতে হবে। অবশ্য দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৭ এর বিধি-১১(খ) অনুযায়ী যদি খারিজ হয়, তা হলে দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা-১৪৯ এবং তৎসহ ধারা-১৫১ অনুযায়ী আবেদন করা যায় বটে।

আরজি খারিজের বিরুদ্ধে বাদীর প্রতিকার

যদি কোন বাদী কোন মামলার জন্য আরজি পেশ করা হয়, তা হলে ঐ আরজি যদি কোন কারণে খারিজ হয়ে যায় তা হলে ঐ আদেশের বিরুদ্ধে বাদী আপিল করতে পারে।

অবশ্য দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৭ এর বিধি-১১ অনুযায়ী যখন কোন আরজি খারিজ হয় তখন দেওয়ানি কার্যবিধির আদেশ-৭ এর বিধি-১৩ মতে একই দাবি নিয়া নূতন করে মামলা রুজু করতে পারেন, যদি তামাদি আইনে উহা বারিত বা প্রত্যাখ্যান না হয়। তদ্ব্যতীত বাদীর আরজি দেওয়ানি কার্যবিধির আদেশ-৭ এর বিধি১১(খ) এ যদি খারিজ করা হয়, তা হলে বাদী দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ধারা-১৪৯ ও ১৫১ এর আওতায় আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ঘাটতি (মাশুল) কোর্টফিসহ মামলা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য দরখাস্ত করতে পারে এবং তখন উহাকে নূতন আরজি মর্মে পরিগণিত করতে আদালতের কোন বাধা থাকবে না।

বিধি ১২ আরজি প্রত্যাখ্যানের পদ্ধতি

যে ক্ষেত্রে কোন আরজি প্রত্যাখ্যাত হয় সে ক্ষেত্রে বিচারক ওই আদেশের কারণ উল্লেখপূর্বক একটি আদেশ লিখিত করবে।

বিধি ১৩ যে ক্ষেত্রে আরজি প্রত্যাখ্যাত হলে নতুন আরজি দাখিলে বাধা নাই

পূর্বে বর্ণিত যে কোন কারনে আরজি প্রত্যাখ্যাত করা হলে স্বীয় প্রভাবে একই মামলার কারণ সম্বন্ধে নতুন আরজি দাখিলে বাধা বাধা প্রদান করবে না।

বিধি ১৪ বাদী যেসব দলিলের ভিত্তিতে মামলা করে, তা দাখিলকরণ

১) বাদীর হস্তগত বা আওতাধীন কোন দলিলের ভিত্তিতে যেক্ষেত্রে বাদী মামলা করে, সেক্ষেত্রে উক্ত দলিলও আরজি পেশের সময় আদালতে হাজির করতে হবে এবং নথিভূক্ত করার জন্য উক্ত দলিল বা তার একটি নকল আদালতে পেশ করতে হবে।

২) যেক্ষেত্রে বাদী তার দাবির সমর্থনপূর্বক প্রমাণ হিসেবে অপর কোন দলিলের উপর নির্ভর করে (উহা তার হস্তগত বা আওতাধীনে থাকুক বা না থাকুক), সেক্ষেত্রে উক্ত দলিলসমূহের একটি তালিকা প্রস্তুত করতঃ বাদী তা আরজিতে লিখিত বা আরজির সঙ্গে সংযুক্ত করে দিবে।

৩) বাদী তার দাবির সমর্থনে যেক্ষেত্রে এমনকিছু দলিলের উপর নির্ভর করে যা তার হস্তগত বা আয়ত্বাধীন নয়, সেক্ষেত্রে তিনি সেসব দলিল একটি তালিকায় লিখিত করতঃ আরজির সঙ্গে যুক্ত বা সংযােজন করবে এবং কার হস্তগত বা আওতাধীন আছে তা বিবৃতি দিবে।

বিধি ১৫ বাদীর দখলে বা আয়ত্বে কোন দলিল না থাকলে সেক্ষেত্রে বিবৃতি

যেক্ষেত্রে অনুরূপ কোন দলিল বাদীর দখলে বা আয়ত্বে না থাকে, সেক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তা কার দখলে বা আয়ত্বে আছে তা বিবৃতি প্রদান করতে হবে।

বিধি ১৬ হারাইয়া যাওয়া হস্তান্তরযােগ্য দলিল সম্বন্ধে মামলা

কোন হস্তান্তরযােগ্য দলিলের ভিত্তিতে যেক্ষেত্রে মামলা করা হয়, এবং উত্ত দলিলগুলাে হারাইয়া গিয়েছে বলে প্রমাণিত হয়, এবং উক্ত দলিলের উপর অপর কারাে দাবির বিপক্ষে বাদী আদালতের সন্তুষ্টি অনুযায়ী নিশ্চয়তা প্রদান করে, সেক্ষেত্রে উক্ত দলিলগুলাে বাদী আরজির সাথে আদালতে হাজির করলে এবং তার নকল আদালতে পেশ করলে আদালত যেরূপ ডিক্রী দান করতেন, সেরূপ ডিক্রীই দান করতে পারবে ।

বিধি ১৭ দোকানের বহি দাখিলকরণ

১) ব্যাংকার্স বুক এভিডেন্স এ্যাক্ট-১৮৯১ (১৮৯১ সালের ১৮নং আইন) এ অপর কোন বিধান বর্তমান না থাকলে, বাদী যে দলিলের ভিত্তিতে মামলা করেন, তা যদি দোকানের হিসাব বহিতে বা তার হস্তগত বা আওতাধীন অপর কোন হিসাব বহিতে লিখিত কিছু হয়, তবে বাদী নির্ভর করে তার একটি নকল আদালতে পেশ করবে।

২) মূল লিখিত বিষয় চিহ্নিত এবং ফেরত দিতে হবে । উক্ত দলিল আদালত বা তদ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কর্মচারী অবিলম্বে সনাক্তকরণের লক্ষ্যে চিহ্নিত করবেন; এবং যদি দলিলের সব পরীক্ষা ও মূল দলিলের সাথে তা মিলাইয়া দেখার পর তা যথােপযুক্ত হিসাব বলে প্রতীয়মান হয়, তবে সে অনুযায়ী সনদপত্র প্রদান করবে এবং হিসাব বহিটি বাদীকে ফেরত দিবে ও নকলটি নথিভুক্ত করাবে।

আদেশ ৭ বিধি ১৮ আরজির সাথে হাজির না করা দলিল এর অগ্রহণযােগ্যতা

১) যেসব দলিলগুলাে বাদী দ্বারা আরজির সাথে আদালতে হাজির করা উচিত বা আরজির উপর লিখিত বা আরজির সঙ্গে সংযুক্ত তালিকায় যােগ করা উচিত বা যা একইভাবে হাজির বা তালিকাভূক্ত করা না হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া মামলার শুনানীর সময় তার পক্ষে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হবে না । ব্যতিক্রমধর্মী অবস্থা ছাড়া আদালত এহেন অনুমতি প্রদান করবে, তবে শর্ত হল যে-

২) যেসব দলিলগুলাে বিবাদীর সাক্ষীকে জেরা করা বা বিবাদী দ্বারা উত্থাপিত কোন বিষয়ের উত্তর প্রদানের জন্য আদালতে হাজির করা হয় বা যেসব দলিলগুলাে কেবল কোন সাক্ষীকে তার স্মৃতিশক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তার হাতে প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে এই বিধির কোন কিছুই প্রয়ােগযােগ্য হবে না।




Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a