Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

Order 6 Pleadings প্লিডিংস আরজি জবাব দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

Order 6 Pleadings Generally Civil Procedure Law

আদেশ  ৬ - প্লিডিংস (আরজি বা জবাব) দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

আদেশ ৬ বিধি ১ থেকে বিধি ১৮

বিধি ১ আরজি জবাব

আরজি জবাব বলতে আরজি বা লিখিত বিবৃতিকে বুঝাবে ।

আদেশ ৬ ১ বিধির বিশ্লেষণ

আরজি ও জবাব কাকে বলে?

আরজি ও জবাবকেই বলা হয় প্লিডিংস। দেওয়ানি প্রকৃতির প্রত্যেক মামলার বাদীকে তথ্যসংক্রান্ত প্রমাণাদির ভিত্তিতে একটি আরজি উপস্থাপন করতে হয় এবং বিবাদীকে তার প্রতিপক্ষের জবাব হিসাবে লিখিতভাবে একটি বিস্তৃতি প্রদান করতে হয়। অতএব, আরজি ও জবাবের সমস্বয়ে প্লিডিং গঠিত হয়। অরজি বলতে কোন বাদী কর্তৃক আনীত কোন বিশেষ দাবি সম্বলিত এমন এক বিবৃতিকে বুঝার, যা বাদী কর্তৃক লিখিতভাবে পেশ করা হয়, এবং যাতে প্রয়ােজনীয় সকল বিস্তৃতি বিবরণসহ নালিশে পেশ করা হয়, এবং যাতে প্রয়ােজনীয় সকল বিবৃতি বিবরণসহ নালিশের কারণ উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু জবাব বলতে বিবাদীর আত্মপক্ষ সমর্থনকারী এমন এক লিখিত বিবৃতিকে বুঝায়, যার ভিত্তিতে একজন বিবাদী তার প্রতিপক্ষ কর্তৃক তারই বিরুদ্ধে আরজি বলে উত্থাপিত অভিযােগের প্রতিটি প্রয়ােজনীয় তথ্য সম্বলিত বক্তব্য পেশ করে অথবা নতুন কোন অখণ্ডনীয় তথ্য উপস্থাপন করে। একজন বিবাদী তার লিখিত জবাব দ্বারা বাদীর দাবিকে আইনানুগভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করে । আরজি ও জবাবের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মামলার বাদী ও বিবাদীর নিজ নিজ মূল বক্তব্যগুলি এমনভাবে সাজাইয়া বর্ণনা করতে হবে যে, আদালত যেন অতি সহজেই মামলার বিচার্য বিষয়গুলি নির্ধারণ করতে পারে।

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৬নং আদেশের ১নং বিধিতে আরজি ও জবারের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। এই সংজ্ঞানুসারে, বাদী আরজির বিষয়বস্তুকে বাদীর Pleadings এবং বিবাদীর লিখিত জবারের বিষয়বস্তুকে বিবাদীর প্লিডিংস বলা হয়ে থাকে । বাদীর আরজি হােক, কিংবা বিবাদীর জবাব হােক তাতে যদি সুস্পষ্টভাবে কোন বিষয় উল্লেখ না থাকে, তবে কোন পক্ষকেই সে বিষয়টির উপর কোন সাক্ষ্য উপস্থাপন করার জন্য আদালত অনুমতি দিবেন না। ২৭, ডি, এল, আর এর ৪১৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে যে হঠাৎভাবে কোন পক্ষ যাহতে অন্য পক্ষের অসুবিধা সৃষ্টি করে নতুন কোন প্রশ্নের অবতারণা না করতে পারে, এই জন্যই এই নিয়মের প্রবর্তন করা হয়েছে।

প্লিডিং বা আরজি জবাবে কি কি বিষয় থাকতে হবে

প্লিডিং বা আরজি জবাবে কি কি বিষয় থাকতে হবে সে সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৬ এ বিধান রাখা হয়েছে। উক্ত আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি আরজি জবাবে বা প্লিডিংসে যে যে বিষয় থাকতে হবে তা নিম্নে প্রদান করা হল:

(১) বিধি-২ অনুযায়ী, প্রত্যেক আরজি জবাব শুধুমাত্র যেসব তথ্যের উপর ভিত্তি করে দরখাস্তকারী (আবেদনকারী) তার দাবি উত্থাপন বা আত্মপক্ষ সমর্থন করে, সেসব তথ্যাবলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দান করতে হবে, এতদসম্বন্ধীয় প্রমাণাদি দরখাস্তে উল্লেখ করার দরকার নাই । আরজি জবাব প্রয়ােজনমাফিক বিভিন্ন পংক্তিতে বিভক্ত হবে এবং পংক্তিগুলােতে ক্রমিক নম্বর দেওয়া হবে। তারিখ, টাকার পরিমাণ ও সংখ্যা অংকে প্রকাশিত হবে ।

(২) বিধি-৪ অনুযায়ী, যেক্ষেত্রে আরজি জবাবকারী কোন ভ্রান্ত বিবরণ, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, স্বেচ্ছাকৃত খেলাপ, অযথা অন্যায় অথবা অবাঞ্চিত প্রভাবের উপর নির্ভর করে এবং অন্যান্য যে সকল ক্ষেত্রে উপরিউক্ত ফরমসমূহে প্রদর্শিত বিবরণ ব্যতীত আরও বেশি‌ বিবৃতি দিবার প্রয়ােজন পড়ে, সে সকল ক্ষেত্রে (প্রয়ােজনবােধে তারিখ ও দফা উল্লেখ করে) উহার বিশদ বিবৃতি দিতে হবে।

(৩) বিধি-৬ অনুযায়ী, যে পূর্বশর্ত পালন বা সংঘটন সম্বন্ধে বাদী বা বিবাদী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক, আরজি জবাবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে, বাদী বা বিবাদী মামলার জন্য প্রয়ােজনীয় সকল পূর্বশর্ত পালন বা সংঘটন এতদসাপেক্ষে, এড়াইতে চাহিলে সংশ্লিষ্ট পক্ষের আরজি জবাবে স্বতঃই তা প্রকাশ পাইবে।

(৪) বিধি-৭ অনুযায়ী, দাবি সম্পর্কে কোন আরজি জবাবে এমন কোন নৃতন অজুহাত উত্থাপন করা যাবে না, যা পূর্ববর্তী আরজি জবাবের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ; অবশ্য শুধুমাত্র আরজি জবাবের সংশােধনী হিসাবে উহা উত্থাপন করা যাবে।

(৫) বিধি-৯ অনুযায়ী, কোন দলিলের গুরুত্বপূর্ণ সারমর্ম আরজি জবাবে উহার তাৎপর্য যথাসম্ভব সংক্ষেপে বর্ণনা করতে হবে।

(৬) বর্তমান মামলা দায়েরের আগে বিবাদীর প্রতি কোন নােটিশ দেওয়া হয়ে থাকলে সেসব ক্ষেত্রে উক্ত নােটিশ সম্পর্কে আরজিতে উল্লেখ থাকতে হবে।

মােট কথা আরজি জবাব বা প্লিডিংস সংক্ষিপ্ত আকারে হওয়া দরকার এবং অবশ্যই সকল দাবির ঘটনাসমূহ সুনিশ্চিত আকারে স্পষ্টভাবে হওয়া একান্ত কর্তব্য । 

প্লিডিং বা আরজি জবাবে কি কি বিষয় পরিহার করা বাঞ্চনীয়

প্লিডিং বা আরজি জবাবে যে যে বিষয় পরিহার করা উচিত তা নিম্নে প্রদান করা হল:

(১) বাদী বা বিবাদী কারাে প্লিডিং-এ আইনের কোন বিষয়ের উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন।

(২) অপ্রয়ােজনীয় ঘটনাসমূহ পরিহার করা, যেমনঃ আইনের বক্তব্য, সাক্ষী প্রমাণসমূহ ইত্যাদি;

(৩) বারবার 'বাদী’ ‘বিবাদী’ উল্লেখ না করা;

(৪) বারবার ‘ইহা' 'এবং’ ‘কিন্তু' পরিহার করা;

(৫) যতদূর সম্ভব পরােক্ষ বক্তব্য ও জটিল বক্তব্য পরিহার করা এবং বাক্যগুলি ছােট ও সহজ করা;

(৬) একই বাক্য পুনর্বার উল্লেখ না করা;

(৭) বিশেষণের বিশেষণ পরিহার করা;

(৮) দলিলের আইনগত ফলাফল পুনর্বার পুনরাবৃত্তি না করা।

(৯) দলিল বা কোন অংশে ব্যবহৃত অবিকল শব্দগুলি গুরুত্বপুর্ণ না হলে তা উদ্ধৃত করা নিপ্রয়ােজন।

(১০) যদি কোন ঘটনার বিষয় আইনত কোন পক্ষের অনুকূল হয়, অথবা যদি উহা প্রমাণ করা অপরপক্ষের উপর বর্তানাে হয়, তবে প্রথমে সে ঘটনা স্পষ্টভাবে অস্বীকার না করা হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষের আরজি জবাবে তা উল্লেখ করার প্রয়ােজন নাই।

আদেশ ৬ বিধি ২ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাদি আরজি জবাবে বিবৃত করতে হবে কিন্তু সাক্ষ্য বা প্ৰমাণ নয়

প্রত্যেক আরজি জবাব শুধুমাত্র যেসব তথ্যের ভিত্তিতে দরখাস্তকারী (আবেদনকারী) তার দাবি উত্থাপন বা আত্মপক্ষ সমর্থন করে, সেসব তথ্যাবলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দান করতে হবে, এতদসম্বন্ধীয় প্রমাণাদি দরখাস্তে উল্লেখ করার দরকার নাই। আরজি জৰাৰ প্রয়ােজনমাফিক বিভিন্ন পংক্তিতে বিভক্ত হবে এবং পংক্তিগুলােতে ক্রমিক নম্বর দেয়া হবে। তারিখ, টাকার পরিমাণ ও সংখ্যা অংকে প্রকাশিত হবে।

আদেশ ৬ বিধি ৩ আরজি জবাবের ফরম বা নমুনাগুলাে

‘ক' পরিশিষ্টে বর্ণিত ফরম সব প্রকার আরজি জবাব লিখিবার জন্য ব্যবহার করতে হবে এবং প্রয়ােগযােগ্য না হলে যথাসম্ভব একই ধরনের (অবিকল) ফরম ব্যবহার করতে হবে।

আদেশ ৬ বিধি ৪ দরকার বােধে বিশদ বর্ণনা দান করতে হবে

যেক্ষেত্রে আরজি জবাবকারী কোন ভ্রান্ত বিবরণ, প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ, স্বেচ্ছাকৃত খেলাপ, অথবা অন্যায় বা অবাঞ্চিত প্রভাবের উপর নির্ভর করে এবং অন্যান্য যে সব ক্ষেত্রে উপরিউক্ত ফরসমূহে প্রদর্শিত বিবরণ ছাড়া আরও বেশি বিবৃতি দিবার দরকার পড়ে, সে সব ক্ষেত্রে (প্রয়ােজনবােধে তারিখ ও দফা উল্লেখ করে) তার বিশদ বিবৃতি দিতে হবে।

আদেশ ৬ বিধি ৫ অতিরিক্ত ও শ্রেয়ঃতর বিবৃতি বা বিবরণ

সকল মামলায় খরচ ও অন্যান্য বিষয়ে ন্যায়ানুগ শর্তানুযায়ী দাবি বা আত্মপক্ষ সমর্থন সম্বন্ধে অতিরিক্ত ও শ্রেয়ঃতর বিবৃতি বা বিবরণ প্রদানের বা আরজি জবাবে বিধৃত কোন কিছু সম্বন্ধে অতিরিক্ত ও শ্রেয়তর বর্ণনা বা বিবরণ প্রদানের জন্য সব ক্ষেত্রে আদেশ প্রদান করা যেতে পারে।

আদেশ ৬ বিধি ৬ পূর্ব শর্ত

যে পূর্বশর্ত পালন বা সংঘটন সম্পর্কে বাদী বা বিবাদী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক, আরজি জবাবে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে, এতদসাপেক্ষে, বাদী বা বিবাদী মামলার জন্য দরকারি সব পূর্বশর্ত পালন বা সংঘটন এড়াইতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পক্ষের আরজি জবাবে স্বতঃই তা প্রকাশ পাবে।

আদেশ ৬ বিধি ৭ ব্যত্যয়

দাবি সম্পর্কে কোন আরজি জবাবে এমন কোন নূতন অজুহাত উত্থাপন করা যাবে না, যা পূর্ববর্তী আরজি জবাবের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, অবশ্য শুধুমাত্র আরজি জবাবের সংশােধনী হিসেবে তা উত্থাপন করা যাবে।

আদেশ ৬ বিধি ৮ চুক্তি অস্বীকৃতি

যেইক্ষেত্রে দরখাস্তে কোন চুক্তির বিষয় বর্ণিত থাকে, সেক্ষেত্রে বিপরীত পক্ষ শুধুমাত্র চুক্তিটির প্রতি অস্বীকার জ্ঞাপন করলে তদ্বারা শুধুমাত্র প্রকাশ্য চুক্তিটির ঘটনা বা যে সব ঘটনা হতে চুক্তিটি অনুমিত হতে পারে, তা অস্বীকার করা বুঝাবে; অনুরূপ চুক্তির আইনের বৈধতা বা পর্যাপ্ততাকে অস্বীকার করা বুঝাবে না।

আদেশ ৬ বিধি ৯ দলিলের তাৎপর্য উল্লেখ করতে হবে

কোন দলিলের সারমর্ম যেক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ, সেক্ষেত্রে আরজি জবাবে তার তাৎপৰ্থ যথাসম্ভব সংক্ষেপে বর্ণনা করলেই যথেষ্ট হবে; দলিল বা কোন অংশে ব্যবহৃত অবিকল শব্দগুলি গুরুত্বপূর্ণ না হলে তা উদ্ধৃত করা নিষ্প্রয়ােজন।

আদেশ ৬ বিধি ১০ বিদ্বেষ, জ্ঞান ইত্যাদি

দুরভিসন্ধি, প্রতারণামূলক উদ্দেশ্য, অবগতি বা কোন লােকের মানসিক অপর কোন অবস্থা সম্বন্ধে যেক্ষেত্রে নালিশ করা দরকার হয়, সেক্ষেত্রে অনুরুপ মানসিক নালিশের অবস্থার অস্তিত্ব সম্পর্কে নালিশ করলেই যথেষ্ট হবে; যে অবস্থায় অনুরূপ মানসিক অবস্থার অস্তিত্ব অনুমান করা যায় তা উল্লেখ করা নিষ্প্রয়োজন।

আদেশ ৬ বিধি ১১ নােটিশ

যেইক্ষেত্রে কোন লােকের কাছে কোন তথ্য, বিষয় বা জিনিসের নােটিশ সম্বন্ধে নালিশ করার দরকার হয়, সেক্ষেত্রে উক্তরূপ নােটিশকে তথ্য হিসেবে নিশ্চিত করলেই যথেষ্ট হবে, যদি না একই ধরনের নােটিশের ফরম বা নির্দিষ্ট শর্তগুলি বা যে অবস্থা হতে উক্তরূপ নােটিশ অনুমান করা হয়, তা দরকারি হয়।

আদেশ ৬ বিধি ১২ অন্তর্নিহিত চুক্তি, বা সম্পর্ক

দুইজন লােকের ভিতর পত্রালাপ, বাক্যালাপ বা অপর কোন পরিস্থিতি হতে যখন তাদের ভিতর কোন চুক্তি বা সম্পর্কের অস্তিত্ব অনুমান করতে হয়, তখন অনুরূপ চুক্তি বা সম্পর্কের অস্তিত্ব বিদ্যমান আছে বলে নালিশ করলেই এবং উক্ত পত্রাবলি, বাক্যালাপ বা পরিস্থিতির উল্লেখ করলেই যথেষ্ট হবে, বিস্তারিতভাবে সেগুলি উদ্ধৃত করার কোন দরকার নাই। এইক্ষেত্রে দরখাস্তকারী যদি উক্তরূপ পরিস্থিতিতে অনুমেয় একাধিক বিলুপ্ত চুক্তি বা সম্পর্ক অস্তিত্ব সম্পর্কে নালিশ করতে চায়, তবে বিকল্পভাবে আরজি জবাবে সেগুলি বিবৃতি বা বর্ণনা করতে হবে।

আদেশ ৬ বিধি ১৩ আইনের অনুমান

যদি কোন ঘটনার বিষয় আইনত কোন পক্ষের অনুকূল হয়, বা যদি তা প্রমাণ করা অপরপক্ষের উপর বর্তানাে হয়, তবে প্রথমে সে ঘটনা স্পষ্টভাবে অস্বীকার না করা হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট পক্ষের আরজি জবাবে তা উল্লেখ করার দরকার নাই (যথাঃ যেক্ষেত্রে বাদী শুধুমাত্র বিল অব এক্সচেঞ্জের ভিত্তিতে মামলা করেছে এবং ক্ষতিপূরণের দাবি করে নাই সেক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণের বিষয়)।

আদেশ ৬ বিধি ১৪ আরজি জবাব স্বাক্ষরিত হতে হবে

প্রত্যেক আরজি জবাবের সংশ্লিষ্ট পক্ষ দ্বারা এবং তার উকিল (যদি থাকে) দ্বারা স্বাক্ষরিত হবে; অবশ্য আরজি জবাবকারী যেক্ষেত্রে অনুপস্থিত বা অপর কোন যথাযথ কারণে আরজি জবাবে স্বাক্ষর প্রদান করতে অসমর্থ হয়, সেক্ষেত্রে আরজি জবাবকারীর পক্ষে স্বাক্ষর দানের, মামলা করার বা উত্তর প্রদানের জন্য তার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অপর কোন লােক তাতে স্বাক্ষর প্রদান করতে পারবে।

আদেশ ৬ ১৪ বিধির বিশ্লেষণ

আরজি জবাবে এবং আরজি জবাবের সত্যপাঠে কিভাবে স্বাক্ষর করতে হবে

আরজি জবাবে সত্যপাঠে স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য কি

প্রত্যেকটি আরজি জবাবে দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের আদেশ-৬ এর বিধি-১৪ মােতাবেক পক্ষদ্বয় কর্তৃক স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পক্ষদ্বয় কর্তৃক নিযুক্তিয় অ্যাডভােকেট আরজি জবাব দাখিলকারক মর্মে তার স্বাক্ষর করেন (অ্যাডভােকেট থাকলে)। কোন পক্ষ কোন ঘটনাবশতঃ অনুপস্থিত থাকলে বা আরজি জবাবে স্বাক্ষর করতে অপারগ হলে সেসমস্ত ক্ষেত্রে যেকোন একজন পক্ষদ্বয় কর্তৃক নিযুক্তিয় বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি উক্ত আরজি জবাবের পক্ষে স্বাক্ষর করতে পারেন এবং আরজি জবাব দাখিল করতে পারেন।

দেওয়ানি ক র্যবিধি আইনের আদেশ-৬ এর বিধি-১৫ এ আরাজি-জবাব এর সত্যপাঠ সম্পর্কে শর্ত আরােপ করা আছে, সময়ানুযায়ী অন্য আইনে যাই থাকুক না কেন, প্রত্যেকটি আরজি জবাব নিজ নিজ পক্ষে পক্ষগণ অথবা সকলের পক্ষে একজন অথবা পক্ষদ্বয় কর্তৃক নিযুক্তিয় ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি সত্যপাঠে স্বাক্ষর করবেন।

আরজি জবাবে সত্যপাঠে স্বাক্ষর এর উদ্দেশ্য

আরজি জবাবে সত্যপাঠে স্বাক্ষর নেওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে যে সমস্ত ঘটনাসমূহ আরজি জবাবে ব্যক্ত করা হয়েছে তার সত্যতা সম্পর্কে (সত্যপাঠের যাবতীয় দায়দায়িত্ব স্বাক্ষকারীর) স্বাক্ষরকারী যাতে আরজি জাববের ঘটনাসমূহ অস্বীকার করতে না পারেন। আরজি জবাবের সত্যপাঠে স্বাক্ষরকারীকে অবশ্যই সত্যপাঠে তারিখ এবং কোথায় কোন স্থানে স্বাক্ষর করলেন তা স্পষ্টত বর্ণিত হতে হবে। সত্যপাঠহীন আরজি বা জবাব অগ্রহণযােগ্য।

আদেশ ৬ বিধি ১৫ আরজি জবাবের সত্যপাঠ

১) বর্তমানে প্রচলিত কোন আইনে ভিন্নতর বিধান না থাকলে প্রত্যেক আরজি জবাবের নিম্নে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা পক্ষগণের একজন বা অপর কোন লােক যে লােক মামলার ঘটনাবলির সাথে পরিচিত হিসেবে প্রমাণিত, তৎদ্বারা দরখাস্তের সত্যতা প্রতিপাদন করতে;

২) সত্যতা প্রতিপাদনকারী লােক আরজি জবাবের সংখ্যা উল্লেখপূর্বক নির্দিষ্ট করে বলিবে যে, কোনগুলির সত্যতা সে লােক স্বজ্ঞানে প্রতিপাদন করছে এবং তথ্যের উপর এবং কোনগুলির সত্যতা তিনি অপরের কাছে হতে প্রাপ্ত ও তার বিশ্বাস মতে সত্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিপাদন করছে।

৩) একইভাবে যে লােক দরখাস্তের সত্যতা প্রতিপাদন করবে এবং তিনি তাতে স্বাক্ষর দান করবে এবং স্বাক্ষর প্রদানের তারিখ ও স্থান উল্লেখ করবে।

আদেশ ৬ বিধি ১৬ আরজি জবাব কর্তন করা

যখন কোন মামলার যে কোন পর্যায়ে কোন আরজি জবাবে বর্ণিত কোন বিষয় অনাবশ্যকীয় বা কুৎসাজনক হয় বা তৎদ্বারা উক্ত মামলার সুষ্ঠু বিচার ক্ষতিগ্রস্থ, বিভ্রান্ত বা বিলম্বিত হওয়ার আংশকা থাকে, তখন আদালত তা (অপ্রয়ােজনীয় বা কুৎসাজনক অংশটি) কেটে দেয়ার বা সংশােধন করার আদেশ প্রদান করতে পারে ।

আদেশ ৬ ১৬ বিধির বিশ্লেষণ

প্লিডিং সংক্রান্ত নিয়মাবলি সংক্ষেপে আলােচনা কর। কি কি কারণে প্লিডিংয়ের কোন বিশেষ অংশ কেটে বাদ দেওয়া যেতে পারে

Rules relating to the pleading

যে সকল নিয়মাবলির ভিত্তিতে প্লিডিং বা সওয়াল জবাবের খসড়া প্রনয়ন করতে হয় তা হল নিম্নরূপ । (১) প্রত্যেক প্লিডিংস বা সওয়াল জবাবের খসড়া প্রণয়ন করতে হবে, তথ্যের উপর, আইনের উপর নয়। অর্থাৎ, যেসব মূল তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাদী তার দাবি পেশ করে, সেসব তথ্য অবশ্যই বাদীর আরজিতে এবং বিবাদীর লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করতে হবে। বাদী অথবা বিবাদী কাহারও প্লিডিং বা সওয়াল জবাবে বাদী ও বিবাদী এই উভয় পক্ষের দেওয়া তথ্যের বিষয়ে আদালত যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তার উপর দেশের প্রচলিত আইনের স্বাভাবিক প্রয়ােগ ঘটিবে ।

(২) যে সকল তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাদীপক্ষ প্রতিকার দাবি করছে এবং বাদীপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থন করছে, কেবলমাত্র সে সকল অত্যাবশ্যকীয় তথ্যই প্লিডিং বা সওয়াল জবাবে উল্লেখ করতে হবে। এরূপ তথ্যগত বিষয়কে প্রমাণ করার জন্য সাক্ষ্যগত কোন বিষয় উল্লেখ করতে হবে না। প্লিডিংস শুধুমাত্র সে তথ্যই বর্ণনা করবে যার উপর প্লিডিংরত পক্ষ তার দাবি অথবা আত্নরক্ষার জন্যে নির্ভর করছে, এবং সেসব তথ্য নয়, যার উপর ভিত্তি করে সেগুলি প্রমাণ করা হবে।

(৩) 'প্লিডিংস বা সওয়াল জবাবে অবশ্যই শুধুমাত্র প্রয়ােজনীয় তথ্যাবলি উল্লেখ করতে হবে। (Pleading must state only the material facts).

(৪) “প্লিডিংস বা সওয়াল জবাবে বর্ণিত বিষয়বস্তু সমূহ যদি সুনির্দিষ্টভাবে যথেষ্ট না হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ আরও উন্নতমানের বিষয়বস্তুর জন্য আবেদন করতে পারেন।

(৫) প্রত্যেক “প্লিডিংস অবশ্যই ক্রমিক নম্বর সহকারে প্যারাতে বিভক্ত করতে হবে। প্লিডিংস প্রণয়নের তারিখ অঙ্ক এবং সংখ্যা অবশ্যই সংখ্যাবাচক অংকে বিভক্ত করতে হবে।

(৬) প্লিডিংস বা সওয়াল জবাবকে বিভিন্ন অনুচ্ছেদ বিভক্ত করে অনুচ্ছেদ গুলিতে অবশ্যই ক্রমিক সংখ্যার উল্লেখ করতে হবে।

(৭) একটি আইনগত অধিকার বা কর্তব্য কার্যকরী করার জন্য প্লিডিংস এ অবশ্যই প্ৰয়ােজনীয় তথ্য উল্লেখ করতে হবে।

(৮) মিথ্যা বর্ণনা, প্রবঞ্চনা তঞ্চকতামূলক কার্যকলাপ, বিশ্বাসভঙ্গ, স্বেচ্ছাকৃত বরখেলাপ; এবং অনুচিত প্রভাব ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল কোন পক্ষের মামলায় প্লিডিংস বা সওয়াল জবাবে অবশ্যই উহার উল্লেখ করতে হবে।

(৯) প্লিডিংসের পক্ষগণকে অবশ্যই আইনগত আপত্তির কথা উল্লেখ করতে হবে। যেমন, এসটোপেল এবং রেস-জুডিকেটার মতবাদকে আইনগত ওজর হিসাবে প্লিডিংস করা যেতে পারে।

(১০) প্রত্যেক প্লিডিংস বা সওয়ার-জবাবে অবশ্যই মামলার সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়কে এবং তাদের দ্বারা মনােনীত কোন অ্যাডভােকেটকে স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে। সওয়াল-জবাবে অবশ্যই মামলার সংশ্লিষ্ট পক্ষদ্বয়কে এবং তাদের দ্বারা মনােনীত কোন অ্যাডভােকেটকে স্বাক্ষর প্রদান করতে হবে।

প্লিডিংসের নিয়মাবলি সম্পর্কে পরিশেষে, ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৬নং। আদেশের ১৪ নং, বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রত্যেক প্লিডিংস এ অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পক্ষ এবং তার মনােনীত কোন অ্যাডভােকেট কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে।

তবে যেক্ষেত্রে দরখাস্তকারীর অনুপস্থিতির কারণে কিংবা অন্য কোন উপযুক্ত কারনে প্লিডিংস বা সওয়াল জবাৰে স্বাক্ষর করতে না হয়, সেক্ষেত্রে দরখাস্তকারীর পক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন ব্যক্তি উহাতে স্বাক্ষর করতে পারবে ।

একই আদেশের ১৫(১) নং বিধির বিধান মােতাবেক, বর্তমান প্রচলিত কোন আইনে ভিন্নরূপ কোন বিধান না থাকলে প্রত্যেক প্লিডিংসের নিম্নে সংশিষ্ট পক্ষ বা পক্ষগনের একজন অথবা অপর কোন ব্যক্তি, যিনি মামলার ঘটনাবলির সাথে পরিচিত বলে আদালতে প্রমাণিত, তৎকর্তৃক প্লিডিংসের সত্যতা প্রতিপালন করতে হবে । সেই ব্যাক্তি অনুরূপভাবে প্লিডিংসের সত্যতার তারিখ এবং স্থান উল্লেখ করবেন ।

এইভাবে, উপরে উল্লেখিত নিয়মাবলি সাপেক্ষে, প্রিভিসের খসড়া প্রপারন করতে হবে ।

Pleading can be struck out:

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যাবধি ৬নং আদেশের ১৬নং বিধিতে আদালত কর্তৃক প্রয়োজনবোধে প্লিডিংসের যে কোন অংশ কেটে দেবার বিধান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। প্লিডিংসের কোন বিশেষ অংশ কেটে বাদ দেওয়ার বিধান সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যাবরি ৪নং আদেশের ১৬নং বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মামলার যে কোন পর্যায়ে কোন প্লিডিংস বা সওয়াল জৰাৰে উল্লেখিত কোন বিষন্ন অপ্রয়োজনীয় বা কুৎসাজনিত হলে অথবা তদ্বারা মামলার সুষ্ঠু বিচার ক্ষতিগ্রস্ত, বিভ্রান্ত ৰা বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, আদালত তা কেটে দেওয়ার বা সংশােধন করার আদেশ প্রদান করতে পারেন। এইভাৰে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৬নং আদেশের ১৬নং বিধির বিধান সাপেক্ষে আদালত কর্তৃক প্লিডিংসের জন্য অপ্রয়োজনীয় যে কোন অংশ কেটে দেওয়ার বা সংশোধন করার আদেশ প্রদান করতে পারেন।

আদেশ ৬ বিধি ১৭ আরজি জবাব সংশোধন

আদালত মামলার কর্মধারার যে কোন পর্যায়ে কোন পক্ষকে আরজি জবানের ন্যায্যত পরিবর্তন বা সংশােধন করার অনুমতি প্রদান করতে পারেন, এবং পক্ষগণের মধ্যকার বিরােধের প্রকৃত প্রশ্ন ধার্য করে দরকারি যাবতীয় সংশােধন এতদনুসারে করা যাবে। তবে শর্ত থাকে যে, মামলার বিচারকার্য শুরু হওয়ার পর সংশােধনের কোন আবেদন গ্রহণযােগ্য হবে না, যদি না আদালত মতামত পােষণ করেন যে, পরিশ্রম করা সত্ত্বেও পক্ষদ্বয় বিচারকার্য শুরু হওয়ার পূর্বে বিষয়টি উত্থাপন করতে পারেন নাই। আরাে শর্ত থাকে যে, বিচারকার্য শুরু হওয়ার পর যদি সংশােধনের আবেদন করা হয় এবং আদালত এই মত পােষণ করেন যে, বিচারকার্য পরিচালনাকে বিলম্ব করার জন্য ইহা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে আদালত আপত্তিকারীকে যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন তদ্রূপ ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ পরিশােধ করতে আদেশ দিবেন। ২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা সন্নিবেশিত)

আদেশ ৬ ১৭ বিধির বিশ্লেষণ

যেক্ষেত্রে আরজি ও জবাবের সংশােধনের আবেদন মঞ্জুর হতে পারে

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৬নং আদেশের ১৭ বিধির বিধান সাপেক্ষে আর জিও জবাবের সংশােধনের আদেশ মঞ্জুর হতে পারে। আরজি ও জবাবের সংশােধন সম্পর্কিত বিধান সম্বন্ধে এই আদেশের ১৭নং বিধিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মামলার যে কোন পর্যায়ে আদালত যে কোন পক্ষকে আরজি কিংবা জবাবের (Pleadings) ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন বা সংশােধন করার অনুমতি দিতে পারেন, এবং বাদী কিংবা বিবাদী এই উভয় পক্ষের মধ্যে বিরােধের প্রকৃত প্রশ্ন নির্ধারণের জন্য প্রয়ােজনীয় যাবতীয় সংশােধন এই বিধি অনুযায়ী করা যাবে। এইভাবে, এই আদেশের ১৭নং বিধির বিধান মতে, আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে যে কোন পর্যায়ে বাদীর আরজি এবং বিবাদীর জবাব সংশােধনের আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতার উপর আরজি ও জবাব সংশােধনের আদেশ নির্ভর করে

আদালতের ইচ্ছাধীন ক্ষমতার উপর আরজি ও জবাব সংশােধনের আদেশ নির্ভর করে। আদালতের নিকট যদি ন্যায়সঙ্গত বলে প্রতীয়মান হয়, তবে প্রথম আপিল আদালতে, এমনকি দ্বিতীয় আপিল আদালতেও আরজি ও জবাৰ সংশােধিত হতে পারে। প্রধানতঃ দুইটি শর্তের উপর ভিত্তি করে আদালত বাদীর আরজি ও বিবাদীর জবাবের সংশোধনের আদেশ দিতে পারেন।

১) প্রথমত, সংশোধনের আবেদনটি বাদী ও বিবাদী পক্ষের মধ্যে বিবাদের প্রকৃত প্রশ্ন নির্ধারণ কল্পে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে কিনা

২) দ্বিতীয়ত, প্রস্তাবিত সংশোধনীর কারণে প্রতিপক্ষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা তা আদালতকে বিশেষভাবে লক্ষ্য করতে হবে।

মামলার কোনো এক পক্ষের সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর হলে সে ক্ষেত্রে মামলার অপর পক্ষকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রয়োজনীয় খরচা পাওয়ার আদেশ দেওয়া যেতে পারে। আবজি ও জবাব সংশােধনের ক্ষেত্রে আদালত প্রথমত মামলার প্রতিপক্ষের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার পরই প্লিডিংসটি সংশােধনের জন্য আদেশ জারি করবেন ।

এইভাবে, আদালত ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৬নং আদেশের ১৭নং বিধির বিধান সাপেক্ষে এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলার অপর পক্ষের সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে উপরূপ মামলার যে কোন পর্যায়ে আরজি ও জবাব (Pleadings ) সংশােধনের আদেশ দিতে পারেন।

প্লিডিংস সংশােধন বলতে কি বুঝ

দেওয়ানি কার্যবিধির ৬নং আদেশের ১৭নং বিধি মােতাবেক মামলার যে কোন পর্যায়ে আদালত যে কোন পক্ষকে দরখাস্তের ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন বা সংশােধন করার অনুমতি দিতে পারেন, এবং উভয় পক্ষের মধ্যে বিরােধের প্রকৃত প্রশ্ন নির্ধারণকল্পে প্রয়ােজনীয় যাবতীয় সংশােধন এতদানুসারে করা যাবে। দেওয়ানি আইনের বিধান মতে, যে সকল ক্ষেত্রে প্লিডিংসের আদেশ সংশােধন করা যেতে পারে। 

(১) দেওয়ানি কার্যবিধির ১৫২ ধারানুযায়ী রায়, ডিক্রী ও আদেশ সংশােধনের ক্ষেত্রে;

(২) দেওয়ানি কার্যবিধির ১৫৩ ধারানুযায়ী মামলার কার্যক্রম সংক্রান্ত যেকোন ভুল ত্রুটি সংশােধন করার সাধারণ ক্ষমতার ক্ষেত্রে;

(৩) দেওয়ানি কার্যবিধি ৯০ নং আদেশের ১নং বিধি মতে আদালত কর্তৃক পক্ষগণের জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষেত্রে এবং

(৪) দেওয়ানি কার্যবিধির ৬নং আদেশের ১৬নং মােতাবেক , মামলার যে কোন পর্যায়ে প্লিডিংসের কোন বিষয় অপ্রয়ােজনীয় হলে অথবা তদ্বারা মামলার সুস্থ বিচার ক্ষতিগ্রস্থ বিভ্রান্ত বা বিলম্বিত হওয়ার ক্ষেত্রে।

আদেশ ৬ বিধি ১৮ আদেশ হবার পর সংশোধন করতে ব্যর্থতা

আরজি জবাব সংশােধনের অনুমতিসূচক আদেশ হওয়ার পর কোন পক্ষ আদেশে নির্ধারিত সময়ের ভিতর যদি তা সংশোধন না করে বা আদেশে কোন সময় নির্ধারিত না করা হলে আদেশের তারিখ হতে ১৪ (চৌদ্দ) দিনের ভিতর যদি সংশােধন না করে, তবে এই নির্ধারিত সময় বা ১৪ দিন অতিবাহিত হবার পর সময়ের মেয়াদ যদি আদালত দ্বারা বর্ধিত না হয়, তা হলে সে উক্তরূপ সংশোধন করতে পারবে না।



Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a