Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

Order 5 Issue and Service of Summons Civil Procedure Code আদেশ ৫ সমন দেয়া ও জারি করা

Order 5 Issue and Service of Summons Civil Procedure Code

আদেশ ৫ সমন দেয়া ও জারি করা দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

বিধি ১ থেকে বিধি ৩১

বিধি ১। সমন Summons

১) যথার্থ উপায়ে মামলা করার পর নির্দিষ্টকৃত তারিখে বিবাদীকে উপস্থিত হতে এবং দাবির সমর্থনে জবাব প্রদানের জন্য মামলা দায়েরের পাঁচ কার্যদিবসের ভিতর এতদুদ্দেশ্যে আদালত দ্বারা নিযুক্ত অফিসার বিবাদীর কাছে সমন প্রেরণ করবে। তবে শর্ত হল যে, যদি আদালত দ্বারা নিযুক্ত অফিসার উক্ত সময়সীমার ভিতর সমন প্রেরণ করতে অসমর্থ হন, তাহলে সে অসদাচরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবেন। তবে আরাে শর্ত থাকে যে, বিবাদী যদি আরজি দাখিল করার সময়ে উপস্থিত হয়ে বাদীর দাবি স্বীকার করে নেয়, তবে এরূপ কোন সমন প্রেরণ করা যাবে না।

২) বিবাদীর উপর উপবিধি-১ মােতাবেক সমন প্রেরণ করা হলে নিম্নোক্ত যে কোন পদ্ধতিতে বিবাদী হাজিরা দিতে পারেন-

ক) ব্যক্তিগত ভাবে, বা

খ) মক্কেলের নির্দেশ প্রাপ্ত এবং মামলা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্নের উত্তর প্রদানে সক্ষম এবং কোন আইনজীবী কর্তৃক, বা

গ) অনুরূপ সব প্রশ্নের উত্তর দানে সক্ষম কোন ব্যক্তি সহযােগে কোন আইনজীবী দ্বারা বিবাদী হাজিরা দিতে পারে।

৩) উপরিউক্ত প্রতিটি সমনে বিচারক বা তৎদ্বারা নিযুক্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর থাকবে এবং উক্ত আদালতের সীলমােহরে মােহরাঙ্কিত থাকতে হবে। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা সংশােধিত]।

আদেশ ৫ বিধি ১ বিশ্লেষণ (Meaning of Summons):

সমন বলতে কোন দেওয়ানি আদালত কর্তৃক তলবকৃত এমন এক দলিলকে বুঝায়, যে দলিল বলে উক্ত আদালতের বিচারক অথবা ভারপ্রাপ্ত কোন কর্মকর্তা এরূপ সমনে নির্দেশিত ব্যক্তিকে কোন একটি নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তলব করেন। এইভাবে আদলত কোন বাদীর আরজির ভিত্তিতে বিবাদীকে কোন একটি নির্দিষ্ট তারিখে আদালতে হাজির হয়ে উক্ত বাদীর পেশকৃত এবং আদালত কর্তৃক গৃহীত দাবির অভিযােগের উত্তর প্রদানের জন্য সমন জারি করা হয়।

সমন জারির পদ্ধতি

‘সমন জারির পদ্ধতি সম্পর্কে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৫নং আদেশের ১নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, কোন মামলা যথাবিহিতরূপে দায়ের হওয়ার পর নির্ধারিত তারিখে বিবাদীকে হাজির হয়ে বাদীর জবাব দানের জন্য সমন’ দিতে হবে। তবে, আরজি দাখিল করার সময়েই যদি বিবাদী হাজির হয়ে বাদীর দাবি মেনে নেয়, তবে সেক্ষেত্রে সমন জারি করার কোন প্রয়ােজন থাকবে না।

উপরে উল্লেখিত প্রত্যেকটি সমনে বিচারক স্বয়ং অথবা তার কোন নিযুক্তকের স্বাক্ষর এবং আদালতের সীলমােহর থাকবে হবে। এই আদেশের (২) নং বিধি মতে, প্রত্যেক সমনের সাথে আরজির নকল অথবা সম্ভব হলে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি পাঠাতে হবে। এই আদেশের ৩ (১) নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, আদালত যদি মনে করেন যে, বিবাদীর ব্যক্তিগত হাজিরার প্রয়ােজন রয়েছে, তবে সমনে নির্ধারিত তারিখে তাকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেওয়া হবে।

এই আদেশের ৩(২) বিধিতে বলা হয়েছে যে, আদালত যদি এই মর্মে প্রয়ােজন মনে করেন যে, একই তারিখে বাদীরও ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার প্রয়ােজন রয়েছে, তবে আদালত বাদীকেও হাজির হওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করবেন।

দেওয়ানি মামলার দ্বিতীয় পর্যায় Second Stage:

বিচার্য-বিষয় প্রণয়ন এবং সমন জারি (Issuse and Service of Summons) করার মাধ্যমে একটি দেওয়ানি মামলা রুজুর দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়। ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ৫নং আদেশের (১) নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, কোন মামলা যথাবিহীতভাবে দায়ের হওয়ার পর গৃহীত হলে উহা অবশ্যই রেজিস্ট্রিকৃত হবে এবং তৎপর আদালত নির্ধারিত তারিখে বিবাদীকে আদালতে উপস্থিত হয়ে বাদীর দাবির উত্তর দেওয়ার জন্য বিবাদীর প্রতি সমন জারি করবেন। তবে, আরজি দাখিল করর সময়েই যদি বিবাদী হাজির হয়ে বাদীর দাবি মেনে নেয়, তা হলে কোন সমনজারি করতে হবে না।

একই আদেশের ৩ (২) বিধি মতে আদালত যদি সঙ্গত মনে করেন যে, একই তারিখে বাদীরও ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ায় প্রয়ােজন আছে, তবে আদালত বাদীর হাজিরার আদেশ দান করবেন। একই আদেশের ৮নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, মামলা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য যে সমন দেওয়া হবে, তাতে বিবাদী যে সকল সাক্ষী প্রমাণের উপর নির্ভর করে মামলার জবাব দিতে ইচ্ছুক, নির্ধারিত তারিখে তাহাদিগকে হাজির করার জন্যে নির্দেশ দেওয়া হবে। এই আদেশের ৯(১) বিধি মতে, যে আদালতে মামলা রুজু করা হয়েছে, বিবাদী যদি তার এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে বসবাস করে, অথবা বিবাদীর পক্ষে সমন গ্রহণ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি যদি অনুরূপ এলাকার মধ্যে বসবাস করে তবে আদালত ভিন্নরূপ কোন নির্দেশ না দিলে, সে কর্মচারী হলে নিজে কিংবা কোন অধঃস্তন সহকারীর দ্বারা জারি করবেন।

মামলা শুনানীর সময় পক্ষগণ কিভাবে হাজির হবেন

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৫ এর বিধি-১ অনুযায়ী, যদি বাদী মামলা দায়ের করে, তা হলে আদালত বিবাদীকে সমন প্রদান করবেন। জজ বা তার নিয়ােগকৃত কোন কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত এবং আদালতের মােহরাঙ্কিত এই সমনে বর্ণিত তারিখে আদালতে হাজির হয়ে বাদী কর্তৃক উত্থাপিত দাবি সম্পর্কে তার বক্তব্য দাখিলের জন্য বিবাদীকে আদেশ দেওয়া হবে। বিবাদী স্বয়ং হাজির হতে পারেন কিংবা তার নিয়ােগকৃত কৌশুলীর মাধ্যমে হাজির হতে পারেন। সমনে নির্ধারিত তারিখে বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষই আদালতে হাজির হবেন এবং তাদের উপস্থিতিতে শুনানী আরম্ভ করবেন।

বিধি ২ সমনের সঙ্গে সংযুক্ত নকল বা বিবৃতি

প্রত্যেকটি সমনের সাথে আরজির নকল, বা অনুমতি প্রদত্ত হলে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি বিদ্যমান থাকতে হবে।

বিধি ৩ বাদী বা বিবাদীকে আদালত ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার আদেশ প্রদান করতে পারেন-

১) যদি আদালত যৌক্তিক কারণে অনুধাবন করেন যে, বিবাদীর ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার দরকার আছে, তা হলে সমনে উল্লিখিত দিনে তাকে ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির থাকার আদেশ প্রদান করবেন।

২) যদি আদালত যৌক্তিক কারণে অনুধাবন করেন যে, একই তারিখে বাদীরও ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার দরকার আছে, তবে আদালত বাদীর হাজির থাকার আদেশও প্রদান করবে।

বিধি ৪ মামলার কোন পক্ষকে কোন নির্দিষ্ট সীমানার বাসিন্দা না হলে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার আদেশ প্রদান করা যাবে না ?

১) কোন পক্ষকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার আদেশ প্রদান করা যাবে না, যদি ঐ

ক) আদালতের সাধারণ মৌলিক এখতিয়ারভূক্ত এলাকার মধ্যে, কিংবা

খ) উক্ত এলাকার বাহিরে, কিন্তু এমন স্থানে, যেখান হতে আদালতের দূরত্ব পঞ্চাশ মাইলের কম বা (যেক্ষেত্রে মােট দূরত্বের ছয় ভাগের পাঁচভাগ পথ রেল, ষ্টীমার বা সর্বসাধারণের ব্যবহারপযােগী অন্যবিধ স্থায়ী যানবাহনযােগ্য ভ্রমণ করা যায়, সেক্ষেত্রে) আদালত হতে দুইশত মাইলের কম দূরত্বে বসবাস না করে ।

আদেশ ৫ বিধি ৪ বিশ্লেষণ

এই বিধি আদেশমূলক নয়। যেখানে বিবাদী দূরবর্তী স্থানের বাসিন্দা আদালতের স্থান হতে বহুদুরে, তিনি সেখানে তাকে সাক্ষী হিসেবে পরীক্ষা করতে কমিশন পাঠানাের জন্য আবেদন করতে পারেন। যা হােক বর্তমানে ভ্রমণের সুযােগ সুবিধার কারণে আদালত কোন পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য আদেশ প্রদান করতে পারেন। এমনকি যখন তিনি আদালতের স্থান হতে হাজার মাইল দূরে বসবাস করেন এবং যেখানে দুটি স্থান বিমানযােগে সম্পর্ক থাকে। বসবাস করে বলতে স্থায়ী নিবাসকে বুঝায়।

বিধি ৫ বিচার্য বিষয় স্থিরকরণ বা চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য সমন আদালত সমন প্রদানকালীন সময়েই স্থির করবে যে, শুধুমাত্র বিচার্য বিষয় ধার্যকরণ বা মামলার চূড়ান্ত সমাধানের জন্য দেয়া হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সমনে দরকারি নির্দেশ প্রদান করা হবে। অবশ্য শর্ত থাকে যে, ক্ষুদ্র বিষয়ক বিচারাদালত দ্বারা শ্রুত প্রতিটি মামলার চূড়ান্ত সমাধানের জন্য সমন প্রদান করা হবে।

বিধি ৬ বিবাদীর হাজির হওয়ার দিন ধার্য

বিবাদীর হাজির হওয়ার দিন ধার্য করার জন্য আদালতের হাতে কি পরিমাণ কাজ আছে তা, বিবাদীর বাসস্থান এবং সমন জারি করতে কত সময় লাগিবে, তা বিবেচনা করা হবে এবং উপরন্ত এমন দিনে ধার্য করা হবে, যাতে বিবাদী নির্ধারিত দিনে হাজির হয়ে মামলার জবাব দিবার সক্ষমতার জন্য প্রচুর সময় পান।

বিধি ৭ বিবাদী দ্বারা নির্ভরযােগ্য দলিলপত্র পেশের জন্য বিবাদীকে আদেশ প্রদান করতে সমন

বিবাদীকে উপস্থিতি ও সওয়াল-জবাব প্রদানের জন্য যে সমন প্রদান করা হবে, তাতে বিবাদীর হস্তগত বা আওতাধীন এবং যার উপর নির্ভর করে বিবাদী মামলার সওয়াল-জবাব দিতে ইচ্ছুক, সেরূপ দলিলপত্র পেশ করার জন্যও নির্দেশ থাকবে।

বিধি ৮ চূড়ান্ত নিস্পত্তির জন্য সমন প্রদান করার পর বিবাদীকে সাক্ষী হাজিরের জন্য নির্দেশ

যে সমন মামলার চূড়ান্ত নিস্পত্তির জন্য দেয়া হবে, তাতে বিবাদী যেসব সাক্ষীর সাক্ষ্যের উপর নির্ভর করে মামলার জবাব দিতে ইচ্ছুক, সেসব সাক্ষীকে নির্ধারিত তারিখে উপস্থিতির জন্যও নির্দেশ দেয়া হবে ।

Service of Summons

সমন জারি

বিধি ৯ সমন জারির জন্য অর্পণ বা প্রেরণ

১) যে আদালতে মামলা রুজু করা হয়েছে, বিবাদী উহার এখতিয়ারভুক্ত এলাকাধীন বসবাস করে, বা সমন গ্রহণ করার কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি বিবাদীর পক্ষে যদি এরূপ এলাকার মধ্যে বসবাস করে, তবে আদালত অন্য কোনরূপ নির্দেশ প্রদান না করলে উপযুক্ত কর্মকর্তার কাছে স্বয়ং জারি করার জন্য অথবা তাদের অধস্তন কোন ব্যক্তি কর্তৃক অথবা উপ-ধারা (৪) এর বিধান মােতাবেক জেলা জজ দ্বারা তালিকাভুক্ত কুরিয়ার সার্ভিসের দ্বারা সমন অর্পিত বা প্রেরিত হবে।

২) যথাযথ অফিসার যে আদালতে মামলা করা হয়েছে তথাকার না হয়ে অন্য কোন আদালতের অফিসারও হতে পারেন, এবং সেরূপ ক্ষেত্রে তার নিকট ডাকযােগে অথবা আদালত যেভাবে নির্দেশ দিতে পারে ঐরূপ অন্য যে কোন উপায়ে প্রেরণ করা যাবে ।

(৩) আদালত (১) উপ-বিধি তে উল্লেখিত বিধানের অতিরিক্ত হিসাবে বাদীর দরখাস্তের প্রেক্ষিতে বিবাদীকে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন জারি করতে পারে এবং একইসঙ্গে ফ্যাক্স বার্তার দ্বারা অথবা ইলেকট্রনিক মেইল সার্ভিস-এর মাধ্যমে বাদীকে নিজ খরচে সমন প্রেরণের নির্দেশ দিবেন।

(৪) জেলা জজ (১) উপ-বিধির উদ্দেশ্য পূরণকল্পে কুরিয়ার সার্ভিসের একটি তালিকা প্রস্তুত করবেন সময় সময় হালনাগাদসহ এবং তার প্রশাসনিক অধিক্ষেত্রের সকল দেওয়ানি আদালত সমূহকে তা অবহিত করবেন।

(৫) সমন যখন উপযুক্ত অফিসার অথবা কুরিয়ার সার্ভিস এর নিকট প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি বা কুরিয়ার সার্ভিস উক্ত সমন প্রাপ্তির ত্রিশ দিনের মধ্যে তা প্রেরণ করবেন এবং আদালতকে এই বিষয়ে জানাবেন। তবে শর্ত হল যে, উপযুক্ত অফিসার যদি অথবা কুরিয়ার সার্ভিস উক্ত নির্ধারিত সময়সীমার ভিতর সমন প্রেরণে অসমর্থ হন, তাহলে উক্ত কর্মকর্তা অসদাচরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবেন এবং কুরিয়ার সার্ভিসের ক্ষেত্রে, জেলা জজ উপ-বিধি (৪) অনুযায়ী প্রস্তুতকৃত তালিকা হতে তা বাদ দিবেন। [২০১২ সালের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত)

৯ বিধির বিশ্লেষণ

সরাসরি বা ব্যক্তিগতভাবে বিবাদীর উপর সমন জারির পদ্ধতি

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৫নং আদেশের ৯নং বিধি হতে ১৯নং বিধির বিধানসমূহে বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে সমন জারির পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণনা কর। হয়েছে। বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে সমন জারি সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধির ৫নং আদেশের ৯নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে, বিবাদী যদি সে আদালতের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে বসবাস করে অথবা বিবাদীর পক্ষে সে এলাকার সমন গ্রহণ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি থাকে, তবে আদালত, অন্যরূপ নির্দেশ না দিলে যে কর্মচারী নিজে কিংবা কোন অধঃস্তন সহকারীর দ্বারা সমন জারি করবেন, তার নিকট উহা বা প্রেরিত হবে। দেওয়ানি কার্যবিধির এই আদেশের ১১নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, বিবাদীর সংখ্যা একাধিক হলে, অন্যরূপ নির্দেশ যদি না থাকে তবে বিবাদীগণের প্রত্যেকের উপর সমন জারি করতে হবে।

এই আদেশের ১২নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে সমন জারি করতে হবে। তবে, বিবাদীর পক্ষে, সমন গ্রহণের জন্য তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি থাকলে উক্ত প্রতিনিধির উপর সমন জারি করলে যথেষ্ঠ বলে বিবেচিত হবে। একই আদেশর ১৫নং বিধিতে বলা হয়েছে, যে কোন মামলার বিবাদীকে যদি পাওয়া না যায় এবং তার পক্ষে সমন গ্রহণের ক্ষমতা প্রাপ্ত তার কোন প্রতিনিধি যদি না থাকে, তবে তার পরিবারের এরূপ যে কোন সাবালক ব্যক্তির উপর তার পক্ষে সমন জারি করা যাবে। তবে, কোন ভৃত্যকে উক্ত পরিবারের কোন সদস্য হিসাবে গণ্য করা যাবে না। পরিশেষে, একই আদেশের ১৯নং ধারায় বলা হয়েছে যে, এই আদেশের ১৯ নম্বরের বিধি অনুসারে, যেক্ষেত্রে সমন আদালতে ফেরৎ দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে সমন জারিকারক কর্মচারীর বিবৃতি যদি উক্ত কর্মচারীর এফিডেবিটের দ্বারা পরীক্ষা করা না হয়ে থাকে, তবে আদালত উক্ত কর্মচারীকে শপথ গ্রহণ করিয়ে তার জবানবন্দী গ্রহণ করবেন। কিন্তু উক্ত কর্মচারীর বিবৃতি যদি এফিডেভিট দ্বারা করা হয়ে থাকে, তবে সেক্ষেত্রে আদালত উক্ত কর্মচারীর জনাবন্দী গ্রহণ করতে বা করাতে পারবেন, এবং এই ব্যাপারে প্রয়ােজনবােধে অন্য কোনরূপ সন্ধান করতে পারবেন, এবং অতঃপর আদালত ঘােষণা করবেন যে, সংশ্লিষ্ট সমন যথারীতি জারি করা হয়েছে, অথবা আদালত এই মর্মে আদেশ প্রদান করবেন যে, উক্ত সমন যথারীতি জারি করতে হবে।

বিধি ৯-ক। জারির জন্য সমন বাদীকে প্রদান

(১) আদালত ৯ বিধিতে উল্লেখিত সমন প্রেরণের বিধানের অতিরিক্ত হিসাবে বাদীর দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করতে সঠিক পদ্ধতিতে সমন প্রেরণ ও এই সমস্ত বিষয়ে সরবরাহের জন্য বাদীকে সমন হস্তান্তর করার অনুমতি প্রদান করতে পারেন।

(২) এই সমন জারি তখন বলবত হবে যখন বিচারক দ্বারা স্বাক্ষরিত বা আদালতের পক্ষে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা আদালতের সীল-মােহরযুক্ত কপিটি সরবরাহ বা দাখিল করার জন্য বিবাদীকে ব্যক্তিগতভাবে প্রদান করে।

(৩) ১৬ এবং ১৮ বিধিতে বর্ণিত বিধানাবলি এই বিধান মতে ব্যক্তিগতভাবে সমন জারির বেলায়ও প্রযােজ্য হবে যে তিনি সরবরাহ অফিসার ও বাদী হলফনামা সহকারে আদালতকে একটি দরখাস্ত দাখিল করবেন।

(৪) যখন এরূপ সমন দাখিল করা হয় ও তা গ্রহণে অস্বীকার করে বা সে প্রাপ্তিস্বীকার পত্র সহি-স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে অথবা অন্য কোন কারণে তা ব্যক্তিগত ভাবে সরবরাহ করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে আদালত বাদীর দরখাস্তের প্রেক্ষিতে সমন পুনঃজারি করবেন যেন যথা নিয়মে আদালত দ্বারা বিবাদীর কাছে সমন জারি করা হয়েছে। [২০১২ সালের ৩৬নং আইন দ্বারা সন্নিবেশিত)

বিধি ১০ সমন জারি পদ্ধতি

বিচারক দ্বারা স্বাক্ষর বা উক্ত উদ্দেশ্যে বিচারক দ্বারা নিয়ােগপ্রাপ্ত অনুরূপ কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষর এবং আদালতে মােহরাঙ্কিত সমনের একটি নকল অর্পণ বা প্রদান করে জারি করতে হবে।

বিধি ১১ বহুসংখ্যক বিবাদীর প্রতি সমন জারি

অনুরূপ নির্দেশ যদি না থাকে তবে যেক্ষেত্রে বিবাদীর সংখ্যা একাধিক হয়, সেক্ষেত্রে বিবাদীগণের প্রত্যেকের উপর সমন জারি করতে হবে ।

বিধি ১১ সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ

Sen Vs. D. Builders

যুগ্ম মালিকগণের ঠিকানা একটি সমনে লিখিত হলে এবং তা তাদের ভিতর একজন বা কয়েকজেনর প্রতি জারি হলে তা অবশিষ্ট মালিকগণের প্রতি জারি হয়েছে ধরে নেয়া হবে।

Horendranath Vs. Super Foam

প্রধান দায়িক এবং জামিনদারের বিরুদ্ধে মামলায় পাওনাদার প্রধান দায়ীকের প্রতি সমন জারি করতে ভুল করলে জামিনদার তার দায়িত্ব হতে মুক্ত হয় না। দায় বলতে লােকের দায়কেই বুঝায়। যেখানে ভেঙ্গে যাওয়া ব্যবসায়ের সম্পত্তিটি দায়ী করার জন্য আবেদন করা হয় সেখানে প্রত্যেক অংশীদারের প্রতি নােটিশ জারির দরকার নাই।

বিধি ১২ সম্ভব হলে বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে বা তার প্রতিনিধির কাছে সমন জারি করতে হবে

যখনই সম্ভব হয় বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে সমন জারি করতে হবে। অবশ্য বিবাদীর পক্ষে সমন গ্রহণের জন্য তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি থাকলে উক্ত প্রতিনিধির উপর সমন জারি করলেই যথেষ্ট হবে।

বিধি ১৩ বিবাদীর যে প্রতিনিধি তার ব্যবসা পরিচালনা করে, তার উপর জারি

১) যে আদালত হতে সমন প্রদান করা হয় সে আদালতের এখতিয়ারভূক্ত এলাকার সীমানার ভিতর বসবাস করে না, এইধরনের কোন লােকের বিরুদ্ধে ব্যবসা বা কোন কর্মবিষয়ক মামলায় সে লােকের ম্যানেজার বা প্রতিনিধি হিসেবে উক্ত এলাকার সীমানায় সমন জারির সময় যে লােক উক্ত ব্যবসা বা কর্ম পরিচালনা করে, তার উপর সমন জারি করলেই উত্তম জারি হিসেবে পরিগণিত হবে।

২) উক্ত বিধির উদ্দেশ্যে জাহাজের মাষ্টার, জাহাজ মালিকের বা ভাড়াকারীর প্রতিনিধি বলে পরিগণিত হবে।

বিধি ১৪ স্থাবর সম্পত্তির জন্য মামলার দায়িত্বে থাকা প্রতিনিধির উপর জারি

স্থাবর সম্পত্তি বিষয়ক কোন প্রতিকার বা তার ক্ষতিপূরণ পাবার উদ্দেশ্যে কোন মামলা করা যদি বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে সমন জারি করা না যায় এবং যদি বিবাদীর ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি সমন গ্রহণের জন্য না থাকে, তবে সম্পত্তির দায়িত্বে থাকা বিবাদীর যে কোন প্রতিনিধির উপর সমন জারি করা যাবে।

বিধি ১৫ যেক্ষেত্রে বিবাদীর পরিবারের কোন সদস্যদের উপর সমন জারি করা যেতে পারে 

বিবাদীকে যদি কোন মামলায় না পাওয়া যায় এবং সমন গ্রহণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত তার কোন প্রতিনিধি তার পক্ষে যদি বর্তমান না থাকে, তবে বিবাদীর সঙ্গে বসবাস করে, তার পরিবারের এরূপ যে কোন প্রাপ্তবয়স্ক লােকের উপর সমন জারি করা যাবে। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা সংশােধিত]

ব্যাখ্যাঃ এই বিধির অর্থ অনুযায়ী কোন ভৃত্য পরিবারের সদস্য বলে পরিগণিত হবে ना।

বিধি ১৬ সমন গ্রহণকারী লােকের প্রাপ্তিস্বীকারমূলক স্বাক্ষর

সমন জারিকারক কর্মকর্তা বিবাদীকে ব্যক্তিগতভাবে বা তার প্রতিনিধিকে বা তার তরফ হতে অপর কোন লােককে সমনের নকল অর্পণ বা প্রদানকালীন সময়ে সমনের প্রাপ্তি স্বীকার করেছে এইমর্মে মূল সময়ের উপর সমন গ্রহণকারীর স্বীকৃতিমূলক স্বাক্ষর গ্রহণ করবে।

বিধি ১৭ যেক্ষেত্রে বিবাদী সমন নিতে অস্বীকার করে, বা তাকে পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে পদ্ধতি

বিবাদী, বা তার প্রতিনিধি বা পূর্বোক্ত অনুরূপ কোন লােক যদি উপরিউক্তরূপ প্রাপ্তিস্বীকারমূলক দস্তখত প্রদান করতে অস্বীকার করে, বা যথাযথভাবে সবধরনের চেষ্টা স্বত্ত্বেও সমনজারিকারক কর্মকর্তা যদি বিবাদীকে না পায়, এবং বিবাদীর পক্ষে সমন গ্রহণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি বা অপর কোন লােক যদি না থাকে, সেক্ষেত্রে যে গৃহে বিবাদী সাধারণত বসবাস করে বা ব্যবসা বা অপর কোন লাভজনক কর্ম সম্পাদন করে, উক্ত কর্মকর্তা সে গৃহের বহির্ঘারে বা অপর কোন প্রকাশ্য অংশে সমনের একটি নকল ঝুলিয়ে দিবে, এবং অনুরূপভাবে যে সমন জারি করা হয়েছে ও যে অবস্থায় তা করা হয়েছে সে অনুযায়ী একটি বিবৃতি, যে লােক উক্ত গৃহ সনাক্ত করেছে (যদি কেউ করে থাকে) তার উপস্থিতিতে সমন ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে তার নাম ঠিকানাসহ মূল সমনের পৃষ্ঠে বা তৎসহ গ্রথিত কোন কাগজে লিখিত করতঃ মূল সমনটি উক্ত সমন প্রদানকারী আদালতে ফেরত দিবে।

সমন জারির সময় কারাগারে থাকলে - উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ।

Singh Vs. Purbia

বিবাদী সমন জারির সময় কারাগারে থাকলে সেক্ষেত্রে এই বিধি প্রয়ােগযােগ্য নয় এবং তার বাড়ির বাইরের দরজার সামনে নকল ঝুলিয়ে জারি করলে তা সঙ্গত জারি হিসেবে পরিগণিত হবে না।

Shaik Haider Vs. Wahab

১৭ বিধি অনুযায়ী সমন ফেরৎ আসার পর জারিকারকের ঘােষণা ও হলফনামা প্রয়ােজন। বিবাদী ক্ষণিকের জন্য তার বাসস্থানে বা ব্যবসার স্থানে অনুপস্থিত থাকার কারণে ঝুলিয়ে জারি করলে তা যথাযথ হবে না। [9 DLR 16]

বিধি ১৮ জারির সময় ও পদ্ধতি উল্লেখ

যেইক্ষেত্রে বিধি ১৬ অনুযায়ী সমন জারি করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে জারিকারক কর্মকর্তা কোন সময় এবং কোন প্রক্রিয়ায় সমন জারি করা হয়েছে, তা এবং যে লােক সমন গ্রহণকারীকে সনাক্ত করেছে এবং সমন অর্পণ বা প্রদান করা প্রত্যক্ষ করেছে, তার নাম ও ঠিকানা (যদি থাকে) সম্বলিত একটি প্রতিবেদন মূল সমনের সঙ্গে লিখিত করে তৎসঙ্গে গ্রথিত অপর কাগজে লিখিয়া আদালতে পেশ করবে।

বিধি ১৯ সমনজারিকারক কর্মকর্তাকে পরীক্ষাগ্রহণ (জবানবন্দী গ্রহণ)

যে অবস্থায় ১৭ অনুযায়ী সমন ফেরত দেয়া হয়েছে সে অবস্থায় সমন জারিকারি কর্মকর্তার বিবরণী যদি উক্ত কর্মকর্তার হলফনামা দ্বারা পরীক্ষিত না হয়ে থাকে, তা হলে আদালত কর্মকর্তাকে হলফ করতঃ তার জবানবন্দি গ্রহণ করবে বা অপর কোন আদালতে গ্রহণ করা হবে, বা উক্ত কর্মকর্তার বিবরণী হলফনামা দ্বারা পরীক্ষিত হলে তার কর্মক্রম সম্পর্কে জবানবন্দি গ্রহণ করতে বা করাতে পারবে এবং যদি সঙ্গত মনে করে তবে অতিরিক্ত অনুসন্ধানও করতে পারবে এবং সমন যথারীতি জারি হয়েছে বলে ঘােষণা দিবে বা আদালত যেভাবে জারি করা যথাযথ মনে করে সেভাবে জারির জন্য আদেশ দিবে।

বিধি ১৯ক জারিকারক কর্মকর্তার ঘােষণা

জারিকারক কর্মকর্তা দ্বারা যে ঘােষণা ও স্বাক্ষর প্রদান করবে তা সমন জারির প্রচেষ্টার বিষয়ে সাক্ষ্য হিসেবে নিশ্চিতভাবে গৃহীত হবে।

বিধি ১৯খ ব্যক্তিগত জারির অতিরিক্ত হিসেবে ডাকযােগে ও যুগপৎভাবে সমন ইস্যু করতে হবে

১) বিধি ৯ হতে ১৯-এ (উভয়টিসহ) বিধৃত প্রক্রিয়া অনুযায়ী আদালত সমন ইস্যুর লক্ষ্যে প্রেরণের সঙ্গে তদরিক্ত এবং যুগপৎভাবে আরও নির্দেশ প্রদান করবে যে, বিবাদীর বা তার সমন ইস্যু গ্রহণের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধির ঠিকানায় বা যেখানে বিবাদী বা তার প্রতিনিধি প্রকৃতপক্ষে এবং স্বেচ্ছায় বসবাস করে, ব্যবসা পরিচালনা করে বা ব্যক্তিগত লাভের উদ্দেশ্যে কাজ করে, প্রাপ্য স্বীকৃতিসমেত রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযােগে সমন ইস্যু করতে হবে। তবে শর্ত হল যে, আদালত যদি অনাবশ্যকীয় মনে করে তাহলে রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযােগে সমন ইস্যুর জন্য প্রেরণ করা, এই বিধির অধীনে দরকার হবে না।

২) আদালত যখন কোন প্রাপ্তি স্বীকারে বিবাদী বা তার প্রতিনিধি স্বাক্ষরিত ডাককর্মী দ্বারা সমনের বিপরীতপিঠে এই মর্মে প্রদত্ত একটি লিখন যুক্তভাবে হয়েছে বলে অনুমানক্রমে তা গ্রহণ করে বা সমনে ধারণকৃত ডাক বিষয়ক বস্তুটি আদালতের কাছে ফেরত আসে যে, বিবাদী বা তার প্রতিনিধিকে যখন সমনে ধারণকৃত ডাক সম্বন্ধীয় বস্তুটি প্রদানের সময় গ্রহণ করতে অস্বীকার জ্ঞাপন করেছে, সমন প্রদানকারী আদালতে বিবাদীর উপর ঐ সমন যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী ইস্যু হয়েছে মর্মে ঘােষণা প্রদান করবেন। তবে শর্ত হল যে, যেক্ষেত্রে সমন সঠিক পদ্ধতিতে লিখিত ঠিকানায় আগাম প্রদান করা হয়েছে ও সঠিক উপায়ে প্রাপ্য স্বীকৃতিসমেত রেজিষ্ট্রিকৃত ডাকযােগে প্রেরিত হয়েছিল, সেক্ষেত্রে যদি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র হারাইয়া যায় বা সাময়িকভাবে হারাইয়া যায় বা অপর কোন কারণে সমন ইস্যুর ৩০(ত্রিশ) দিনের ভিতর আদালত দ্বারা তা না পাওয়া স্বত্ত্বেও উক্ত উপবিধিতে বর্ণিত ঘােষণা প্রদান করা যাবে।

বিধি ২০ লটকাইয়া বা ঝুলিয়ে জারি

১) যেক্ষেত্রে আদালত যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করে যে, বিবাদী সমন এড়ানাের উদ্দেশ্যে নিজেকে গােপন রাখতেছে, বা অপর কোন কারণে সমন স্বাভাবিকভাবে জারি করা যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আদালত গৃহের কোন প্রকাশ্য স্থানে বা বিবাদী যে গৃহে সর্বশেষে বসবাস করেছে বা ব্যবসা পরিচালনা করেছে বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য কাজ করেছে (যদি কোন) বলে জানা যায়, তবে আদালত সে গৃহের কোন প্রকাশ্য অংশে সমনের একটি নকল ঝুলিয়ে জারি করার জন্য বা যথাযথ অপর কোন উপায়ে জারি করার জন্য আদেশ প্রদান করবে।

[(১এ) আদালত যখন (১) উপ-বিধি মােতাবেক সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তির দ্বারা সমন জারির আদেশ দান করে, তখন উক্ত সংবাদপত্রটি হতে হবে দৈনিক সংবাদপত্র যার প্রচার ঐ স্থানে থাকতে হবে সেখানে বিবাদী সর্বশেষ জ্ঞাত ঠিকানায় প্রকৃতপক্ষে ও স্বেচ্ছায় বসবাস করে অথবা ব্যবসা পরিচালনা করে অথবা ব্যক্তিগত লাভের জন্য কাজ করে বলে জানা যায়। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]

২) লটকাইয়া বা ঝুলিয়ে জারির ফলাফল

 আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সমন লটাইয়া জারি করলে তা বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে জারি করার মতই কর্মকরী হবে।

৩) লটকাইয়া বা ঝুলিয়ে জারি হলে হাজিরার সময় ধার্য করতে হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সমন জারি করলে সেক্ষেত্রে আদালত ক্ষেত্রবিশেষে বিবাদীর হাজিরার জন্য আদালত যথােপযুক্ত সময় নির্ধারিত করবে।

লটকাইয়া বা ঝুলিয়ে জারি ২০ বিধির বিশ্লেষণ

বিবাদীর অনুপস্থিতিতে প্রতিকল্পরূপে সমন জারি

১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি ৫নং আদেশের ২০নং বিধিতে বিবাদীর অনুপস্থিতিতে প্রতিকল্প হিসাবে সমন জারির (Substituted Service) পদ্ধতি সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

বিকল্পরূপে সমন জারির পদ্ধতি

বিকল্পরূপে সমন জারির পদ্ধতি সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধির ৫নং আদেশে ২০নং বিধির (১) নং উপ-বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আদালত যেক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত কারণে বিশ্বাস করেন যে, বিবাদী সমন এড়ানাের জন্য লুকায়ে থাকতেছে, অথবা অন্য কোন কারণে সাধারণ উপায়ে সমন জারি করা যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আদালত গৃহের কোন প্রকাশ্য অংশ অথবা বিবাদী যে গৃহে সর্বশেষে বসবাস করেছে বা ব্যবসা পরিচালনা করেছে বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য কাজ করেছে (যদি কোন) বলে জানা যায়, সে স্থানের কোন প্রকাশ্য অংশে সমনের একটি নকল ঝুলিয়ে জারি করার জন্য অথবা উপযুক্ত অন্য কোন কোন উপায়ে জারি করার জন্য আদালত আদেশ প্রদান করবেন। ইহা ছাড়াও আদালত ইচ্ছা করলে এই আদেশে ২০ (১) নং বিধি অনুযায়ী উপরে উল্লেখিত নিয়মে “প্রতিকল্প সমন জারির” (Substituted Service) আদেশ প্রদান না করে দেশের বহুল প্রচারিত কোন দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদানের আদেশ জারি করেও প্রতিকল্প সমন জারির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। এইভাবে, এই আদেশে ২০ (১) নং বিধিতে আদালতকে প্রতিকল্প সমন জারির বিষয়ে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। একই আদেশের (২০) ২ নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, আদালতের আদেশক্রমে সমন ঝুলিয়ে জারি করা হলে তা বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে জারি করার ন্যায়ই কার্যকরী হবে। পরিশেষে এই আদেশের ২০(৩) নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, আদালতের অদেশক্রমে সমন ঝুলিয়ে জারি করা হলে, সেক্ষেত্রে বিবাদীর হাজিরার জন্য আদালত যথােপযুক্ত সমন নির্ধারণ করবেন।

বিকল্প সমন জারি কি

বিকল্প সমন জারি সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৫ এর বিধি-২০ এ বিধান রাখা হয়েছে। উক্ত বিধিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে আদালত যুক্তিসঙ্গতভাবে বিশ্বাস করে যে, বিবাদী সমন এড়ানাের উদ্দেশ্যে নিজেকে গােপন রাখতেছে, অথবা অন্য কোন কারণে সমন স্বাভাবিকভাবে জারি করা যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আদালত গৃহের কোন প্রকাশ্য স্থানে বা বিবাদী যে গৃহে সর্বশেষে বসবাস করেছে বা ব্যবসা পরিচালনা করেছে বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য কাজ করেছে (যদি কোন) বলে জানা যায়, তা হলে আদালত সে গৃহের কোন প্রকাশ্য অংশে সমনের একটি নকল টাঙ্গাইয়া জারি করার জন্য বা উপযুক্ত অন্য কোন উপায়ে জারি করার জন্য আদেশ প্রদান করবে। অর্থাৎ যেক্ষেত্রে সহজভাবে বিবাদীর উপর সমন জারি করা যায় না সেক্ষেত্রে বাদীপক্ষ অত্র নিয়ম মােতাবেক বিবাদীর প্রতি সমন জারির জন্য দরখাস্ত করলে আদালত উপরে বর্ণিত নিয়ম অনুসারে বিকল্প সমন জারির আদেশ প্রদান করে থাকেন। উল্লেখ করা প্রয়ােজন যে, এইসব সমনের জন্য যাবতীয় ব্যায়াদি বাদীকে বহন করতে হয়। তদ্ব্যতীত আদালত যদি ইচ্ছা করেন উক্ত বিধি অনুযায়ী উপরিউক্ত নিয়মে বিকল্প সমন জারি না করে বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদানের আদেশের মাধ্যমেও বিকল্প সমন জারির ব্যবস্থা করতে পারেন।

সুতরাং উপরিউক্ত বক্তব্যের আলােকে সারমর্মে আমরা ইহা বলতে পারি যে, আদালতের আদেশ মােতাবেক উপরিউক্তভাবে সমন টাঙ্গিয়া যদি জারি করা হয় বা দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের দ্বারা জারি করা হয়, তা হলে বিবাদীর উপর ব্যক্তিগতভাবে জানি করার মতােই বলবৎ হবে। আর ইহাই হল বিকল্প সমন জারি।

বিধি ২১ অপর আদালতের এখতিয়ারে বিবাদী বসবাস করলে সেক্ষেত্রে সমন জারি

যে আদালত দ্বারা সমন প্রদান করা হয় ঐ আদালত দ্বারা তার কর্মকর্তাগণের একজনের দ্বারা বা ডাকযােগে অথবা বিধি ৯ এর উপ-বিধি (৪) এ বর্ণিত কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিবাদী যে জায়গায় বসবাস করে ঐ জায়গার এখতিয়ারভূক্ত কোন আদালতে (হাইকোর্ট বিভাগে নয়) সমন প্রেরণ করতে পারেন। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]

২১ বিধির বিশ্লেষণ - ডাকযােগে সমন জারি

কতিপয় বিশেষ ক্ষেত্রে আদালত ডাকযােগে সমন জারি করার নির্দেশ প্রদান করতে পারেন। ডাকযােগে পত্র প্রেরণের মাধ্যমে সমন জারি সম্পর্কে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৫নং আদেশের ২১নং বিধি হতে ৩০নং বিধির নিয়মাবলিতে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। দেওয়ানি কার্যবিধির ৫নং আদেশের ২১নং বিধিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, সমন জারিকারী আদালত দেশের অভ্যন্তরে অথবা বাহিরে বিবাদীর বাসস্থানের উপর এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের নিকট অথবা কোন কর্মচারীর মারফৎ অথবা ডাকযােগে সমন প্রেরণ করতে পারবেন।

একই আদেশে ২৩নং বিধির মতে, যে আদালতের নিকট এই আদেশের ২১নং বিধি অনুসারে সমন প্রেরিত হবে, সে আদালত উহা প্রাপ্তির পর এরূপভাবে কার্যক্রম অবলম্বন করবেন, যেন উক্ত সমন সে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হয়েছে, এবং তৎপর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে সম্পর্কিত দলিল পত্রাদিসহ (যদি থাকে) উহা সমন জারিকারী আদালতের নিকট ফেরৎ পাঠাবেন। একই আদেশের ২৪নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, বিবাদী কারাগারে আটক হয়ে থাকলে, বিবাদীর উপর সমন জারির জন্য কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট অর্পিত অথবা ডাকযােগে কিংবা অন্য কোন উপায়ে সমন প্রেরিত হতে পারবে। একই আদশের ২৫নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, বিবাদী বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করলে এবং দেশে তার কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি না থাকলে, বিবাদীর বিদেশস্থিত ঠিকানায় বিবাদীর নামে সমন ডাকযােগে প্রেরিত হবে। এই আদেশের ২৭নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, বিবাদী যদি কোন সরকারি কর্মচারী বিবাদীর কর্তৃপক্ষের নিকট অথবা সে অফিসের প্রধান কর্মকর্তার নিকট ডাকযােগে প্রেরণ করা যাবে। এই আদেশের ২৮নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, বিবাদী যদি সৈনিক নাবিক অথবা বৈমানিক হয়, তবে আদালত উক্ত সমন এবং বিবাদীকে দেওয়ার জন্য উহা একটি নকল সংশ্লিষ্ট প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করবেন। পরিশেষে এই আদেশের ৩০নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, অত্র আইনের পূর্ববর্তী বিধান লংঘন না করেও আদালত বিবাদীর মর্যাদা বিবেচনায় তার প্রতি সমন জারি না করে তৎপরিবর্তে বিচারক কিংবা তার নিযুক্ত কোন কর্মজারির স্বাক্ষরযুক্ত পত্র প্রেরণ করতে পারিবেন। সমনের পরিবর্তে উক্তরূপ পত্র বিবাদীর নিকট ডাকযােগে, অথবা আদালত কর্তৃক নিযুক্ত পত্র-বাহকের মারফতে অথবা আদালতের মতে উপযুক্ত অন্য কোন উপায়ে প্রেরণ করা যাবে, এবং যেক্ষেত্রে বিবাদীর পক্ষে সমন গ্রহণের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হয়েছে, সেক্ষেত্রে উক্ত পত্র সে প্রতিনিধির নিকট অর্পন করা যাবে। এইভাবে ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ৫নং আদেশের ৯নং বিধি হতে ৩০নং বিধির বিধান সাপেক্ষে, বিবাদীর উপর সমন জারি করা হয়।

বিধি ২৩ যে আদালতে সমন প্রেরিত হয়, তার কর্তব্য

বিধি ২১ অনুযায়ী যে আদালতের কাছে কোন সমন প্রেরণ করা হবে, উক্ত আদালত তা পাবার পর এমনভাবে কর্মক্রম অবলম্বন করবে যাতে উক্ত সমন সে আদালত দ্বারা প্রদান করা হয়েছে, এবং তৎপর সংশ্লিষ্ট কর্মক্রমকেন্দ্রিক দলিলপত্রাদিসহ (যদি থাকে) তা সমন দানকারী আদালতের কাছে ফেরত পাঠাবে ।

বিধি ২৪ কারাগারে থাকাবস্থায় বিবাদীর উপর সমন

 ইস্যু যেক্ষেত্রে বিবাদী কারাগারে আটক হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বিবাদীর উপর সমন ইস্যু করার লক্ষ্যে কারাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে সমন অর্পিত বা ডাকযােগে অথবা বিধি ৯ এর উপ বিধি (৪) এ বর্ণিত কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বা অপর কোন উপায়ে প্রেরণ করা হবে। ২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]

বিধি ২৫ যেক্ষেত্রে বিবাদী বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করে এবং তার কোন প্রতিনিধি না থাকে, সেক্ষেত্রে সমন জারি

(১) যে ক্ষেত্রে বিবাদী বাংলাদেশের বাহিরে বসবাস করে ও সমন গ্রহণের জন্য কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কোন প্রতিনিধি বাংলাদেশে না থাকে, তাহলে আদালত যেখানে অবস্থিত তথাকার সাথে বিবাদীর বাসস্থানের ডাকযােগাযােগ থাকলে বা বিধি ৯ এর উপ-বিধি (৪) এ উল্লেখিত কুরিয়ার সার্ভিস এর দ্বারা বিবাদীর নামে সমন তার ঠিকানায় প্রেরণ করতে হবে।

(২) আদালত (১) উপ-বিধিতে উল্লেখিত সমন প্রেরণের বিধানের অতিরিক্ত হিসাবে বাদীর দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে বিবাদীকে উপস্থিত হওয়ার জন্য সমন জারি করতে পারে এবং একই সঙ্গে ফ্যাক্স বার্তার দ্বারা বা ইলেকট্রনিক মেইল সার্ভিসের মাধ্যমে বাদীকে নিজ খরচে সমন প্রেরণের নির্দেশ দিবেন। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত।

বিধি ২৬ বিদেশে রাজনৈতিক প্রতিনিধি বা আদালতের মাধ্যমে বৈদেশিক রাষ্ট্রে সমন জারি।

 যেই ক্ষেত্রে-

ক) সরকারের উপর ন্যস্ত কোন বৈদেশিক বা বহিঃ রাষ্ট্রিক এখতিয়ার অনুসারে বিবাদীর বৈদেশিক বাসস্থানে উক্ত আইনানুযায়ী কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সমন জারি করার ক্ষমতাসম্পন্ন কোন রাজনৈতিক প্রতিনিধি নিযুক্ত হয়েছে বা কোন আদালত স্থাপিত হয়েছে বা চালু রাখা হয়েছে, অথবা

খ) সরকার, সরকারি প্রজ্ঞাপনে নােটিশ প্রদানের মাধ্যমে ঘােষণা করেছে যে, উপরিউক্ত এলাকায় অবস্থিত কোন আদালত উক্তরূপ কোন এখতিয়ারবলে স্থাপিত বা চালু হয়ে থাকলেও বাংলাদেশের আদালত কর্তৃক অত্র আইন বলে প্রদত্ত সমন জারি করা হলে তা বিধিসম্মত জারি বলে অভিহিত করা হবে। সেক্ষেত্রে বিবাদীর উপর সমন ইস্যু করার জন্য উক্তরূপ আদালতের কাছে ডাকযােগে অথবা অন্য কোনভাবে প্রেরণ করা যাবে, এবং যদি অত্র সমন ফেরত পাঠানাের সময় উক্ত লিখিত স্বাক্ষর করা হয় যে, বিবাদীর উপর ইতঃপূর্বে ইহাতে নির্দেশিত প্রক্রিয়ায় সমন আদালতের বিচারক বা আদালতের অন্য কোন কর্মকর্তা দ্বারা সমনের উল্টাপিঠে এইমর্মে ইস্যুকৃত হয়েছে, তবে উক্ত সমন ইস্যুর প্রমান হিসাবে অভিহিত হবে।

বিধি ২৭ বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তা বা রেলওয়ে কোম্পানির কর্মচারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের উপর সমন জারি

যেক্ষেত্রে বিবাদী একজন সরকারি কর্মকর্তা (বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর অধীনে নয়), বা রেলওয়ের কর্মচারী বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মচারী, সেক্ষেত্রে যদি আদালতের কাছে এটা প্রতীয়মান হয় যে, সমন খুবই সুবিধাজনকভাবে জারি হতে পারে, তবে বিবাদীর উপর জারির জন্য সংশ্লিষ্ট সমন ও বিবাদীকে প্রদান করার জন্য তার একটি নকল, বিবাদী যে অফিসে চাকরি করে, সে অফিসের প্রধান কর্মকর্তার বরাবরে প্রেরণ করতে পারে।

২৭ বিধির বিশ্লেষণ

চাকরিজীবী বা কোন প্রতিষ্ঠানের প্রতি সমন জারি

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৫ এর বিধি-২৭ অনুযায়ী, যেক্ষেত্রে বিবাদী একজন সরকারি কর্মকর্তা (বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর অধীন নয়), অথবা রেলওয়ের কর্মচারী অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মচারী, সেক্ষেত্রে যদি আদালতের নিকট ইহা প্রতীয়মান হয় যে, সমন খুবই সুবিধাজনকভাবে জারি হতে পারে, তা হলে বিবাদীর উপর জারির জন্য সংশ্লিষ্ট সমন ও বিবাদীকে প্রদান করার জন্য উহার একটি নকল, বিবাদী যে অফিসে চাকরি করে, সে অফিসের প্রধান কর্মকর্তার বরাবরে প্রেরণ করতে পারে। বিবাদী যদি একজন সৈনিক, নাবিক অথবা বৈমানিক হয়, তা হলে আদালত বিবাদী কর্তৃক সমনের একখন্ড নকলসহ তার অধিনায়ক কর্মকর্তার নিকট জারির জন্য সমন পাঠাবে। বিবাদী কোন সমিতির বা সমিতির সদস্যগণ হলে সমিতির নামে ও প্রত্যেক সদস্যের নামে সমন পাঠাতে হবে। সকল সদস্যের নাম জ্ঞাত না থাকলে অজানা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আরজির বিষয় সংবাদপত্র মারফত অবহিত করাতে হবে।

বিধি ২৮ সৈনিক, নাবিক বা বৈমানিকের উপর সমন

 জারি বিবাদী যদি একজন সৈনিক, নাবিক বা বৈমানিক হয়, তবে আদালত বিবাদী দ্বারা সমনের একখন্ড নকলসহ তার অধিনায়ক কর্মকর্তার কাছে জারির জন্য সমন পাঠাবে ।

বিধি ২৯ যে লােকের কাছে জারির জন্য সমন অৰ্পণ বা প্রেরণ করা হয়, তার কর্তব্য

১) ২৪, ২৭ বা ২৮ অনুযায়ী কোন সমন ইস্যু করার উদ্দেশ্যে কোন লােকের প্রতি প্রেরণ করা হলে সে লােক তা জারি করতে এবং সম্ভব অনুযায়ী বিবাদীর লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারসহ তার সহিযুক্ত করে উক্ত সমন ফেরত পাঠাতে বাধ্য থাকবে এবং উক্তরূপ সহি জারির প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।

২) যদি কোন কারণে এহেন সমন জারি করা সম্ভব না হয়, তবে জারি করার জন্য যে পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে এবং যে কারণে জারি করা সম্ভব হয় নাই, তার পূর্ণ বিবরণ সম্বলিত এক বিবৃতিসহ উক্ত সমন আদালতের ফেরত পাঠাতে হবে এবং উক্ত বিবৃতি সমন জারি না হওয়ার প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।

বিধি ৩০ সমনের পত্র প্রেরণ

১) আদালত এই আইনের পূর্বোক্ত বিধান লংঘন না করেও বিবাদীর মর্যাদা বিবেচনা করে তার প্রতি সমন না দিয়ে তার পরিবর্তে বিচারক বা তার নিযুক্ত কোন কর্মকর্তার সাক্ষরযুক্ত পত্র প্রেরণ করতে পারে।

২) কোন সমনে যেসব ব্যাপারে উল্লেখ করতে হয়, উপ-বিধি ১ অনুযায়ী লিখিত পত্রেও তৎসমুদয় উল্লেখ করতে হবে এবং উপ-বিধি-৩ বিধান অনুযায়ী উক্ত পত্রও সর্বপ্রকার সমন হিসেবেই গণ্য হবে।

৩) বিবাদীর বরাবরে সমনের পরিবর্তে উক্তরূপ পত্র ডাকযােগে, বা আদালত দ্বারা নিয়ােগকৃত পত্রবাহকের দ্বারা বা আদালতের পছন্দ অনুযায়ী যথাযথ অপর কোন পদ্ধতিতে প্রেরণ করা যাবে এবং সমন গ্রহণের জন্য যেক্ষেত্রে বিবাদীর অনুকূলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি বিদ্যমান আছে, সেক্ষেত্রে উক্ত পত্র সে প্রতিনিধির কাছে অর্পণ করা। যাবে।

বিধি ৩১ যখন সমন জারি সমাপ্ত হবে

যদি আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, এই অর্ডারে বর্ণিত যে কোন পদ্ধতিতে সমন প্রেরণ করা হােক না কেন, সমনটি সঠিকভাবে জারি হয়েছে মর্মে গণ্য হবে। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা সন্নিবেশিত]



Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a