Skip to main content

HSC English First Paper English For Today - Unit 7 Lesson 1 Brojen Das

Order 33 Suits by Paupers আদেশ ৩৩ নিঃস্ব লােক দ্বারা মামলা দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

 Order 33 Suits by Paupers

আদেশ ৩৩ নিঃস্ব লােক দ্বারা মামলা দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

আদেশ ৩৩ বিধি ১ কখন নিঃস্ব হিসেবে মামলা করা যাবে। নিম্নবর্ণিত বিধানসমূহ সাপেক্ষে নিঃস্ব লােক দ্বারা যেকোন মামলা করা যাবে ।

ব্যাখ্যা: সে লােক নিঃস্ব' যখন সে উক্ত মামলার আরজির জন্য আইনে নির্ধারিত ফি প্রদান করতে সামর্থবান হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সামর্থের অধিকারী নয় বা যেক্ষেত্রে অনুরূপ ফি নির্ধারিত নাই সেক্ষেত্রে সে যখন তার দরকারি পরিধেয় বস্ত্র এবং মামলার বিষয়বস্তু ছাড়া ৫০০০ টাকা মূল্যের সম্পত্তির অধিকারী নয়।

আদেশ ৩৩ বিধি ১ বিধির বিশ্লেষণ

ফরমা পপারিস’ মামলা কাউকে বলে

দেওয়ানি কার্যবিধির ৩৩নং আদেশ মােতাবেক নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা দায়ের করাকে “ফরমা পাপরিস’ মামলা বলা হয়ে থাকে। এই আদেশের বিধান মােতাবেক, যে ব্যক্তির পরিধেয় বস্ত্রাদি এবং মামলার বিষয়বস্তু ব্যতীত ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা মূল্যের কোন সম্পত্তি নাই কেবলমাত্র সে ব্যক্তিই এরূপ আবেদন করতে পারে।

এই আদেশের (১৫) নং বিধি মােতাবেক কোন ব্যক্তি নিঃস্ব হিসাবে মামলা করার অনুমতি চাহিয়া আবেদন করলে আদালত যদি উক্তরূপ অনুমতি দানে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে কোন আদেশ দিয়ে থাকেন, তবে উক্ত ব্যক্তি পরবর্তী কোন সময়েও একই ব্যাপারে নিঃস্ব হিসাবে মামলা করার অনুমতি চাহিয়া অনুরূপ আবেদন করতে পারবে না।

নিঃস্ব ব্যক্তি কে? নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা দায়ের করার ক্ষেত্রে যে সকল নির্ধারিত কার্যপ্রণালী রয়েছে তার আলােচনা

দেওয়ানি কার্যবিধির ৩৩নং নং আদেশের (১) নং বিধি মােতাবেক, নিঃস্ব (pauper) সে ব্যক্তিকে বুঝায়, যার মামলার আরজির জন্য নির্ধারিত ফি দেওয়ার সংস্থা নাই, অথবা যেক্ষেত্রে আরজির জন্য কোর্ট ফি নির্ধারিত হয় নাই, সেক্ষেত্রে এবং সে ব্যক্তির পরিধেয় বস্ত্রাদি এবং মামলার বিষয়বস্তু ব্যতীত ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা মূল্যের কোন সম্পত্তি নাই।

নিঃস্ব ব্যক্তি কর্তৃক মামলা দায়ের করার পদ্ধতি Procedure in a suit by a Pauper:

নিঃস্ব ব্যক্তি হিসাবে মামলা করার দরখাস্তের স্তরসমূহঃ

১) আবেদনপত্র পেশ (Presentation of Application):

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৩৩ এর বিধি-৩ অনুযায়ী, নিঃস্ব ব্যক্তি নিঃস্ব হিসাবে মামলা রুজু করতে চাহিলে নিঃস্ব হিসাবে মামলা করার অনুমতি প্রার্থন করে নিঃস্ব ব্যক্তিকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে দরখাস্ত দাখিল করতে হবে। কোন কারণবশতঃ হাজির হতে না পারিলে তার কোন অনুমােদিত প্রতিনিধি তার পক্ষে আদালতে উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্রটি পেশ করতে পারে। অত্র আবেদনটি একটি মিস কেইস বা বিবিধ মামলা নামে আখ্যায়িত হবে।

২) আবেদনকারীর জবানবন্দী গ্রহণ (Examination of Applicant)

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৩৩ এর বিধি-৪ অনুযায়ী, যেক্ষেত্রে আবেদনপত্র সঠিকভাবে এবং যথারীতি উপস্থাপন করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আদালত উপযুক্ত মনে করলে আবেদনকারীর বা প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনকারীকে হাজিরার অনুমতি দেওয়া হলে, তার প্রতিনিধির দাবির গুণগত বৈশিষ্ট্যের গুণাগুণ এবং আবেদনকারীর সম্পত্তি সম্পর্কে জবানবন্দী গ্রহণ করতে পারে। যেক্ষেত্রে আবেদনপত্র প্রতিনিধি দ্বারা উপস্থাপিত হয় সেক্ষেত্রে আদালত, যদি সঙ্গত মনে করেন, তবে অনুপস্থিত সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের মতই কমিশন কর্তৃক আবেদনকারীর জবানবন্দি গ্রহণ করার নির্দেশ দিতে পারে।

৩) সেরেস্তাদারের নিকট প্রেরণ (Despatch to Sherestadar)

অতঃপর আবেদনকারীর জবানবন্দী গ্রহণের পর আদালত আবেদনকারীকে একটি বিবিধ মামলা হিসাবে গ্রহণ করার এবং প্রার্থনাকারী যাদের বিরুদ্ধে নিঃস্ব হিসাবে মামলা করতে চান তাদের উপর এবং সরকারের পক্ষে সরকারি উকিলের উপর নােটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে সেরেস্তাদারের নিকট প্রেরণ করবেন।

৪) রেজিস্টারে লিখন এবং নেজারতে প্রেরণ (Entry into Register and sending to Nezarat):

উক্ত আদেশানুসারে সেরেস্তাদার আবেদনের তথ্যাদি বিবিধ মামলা রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে প্রতিপক্ষ ও সরকারি উকিলের উপর নােটিশ ইস্যু করেন এবং সেগুলি পিয়ন

বইয়ের মাধ্যমে নেজারতে প্রেরণ করেন।

৫) প্রসেস বিতরণ (Distribution of Process):

নেজারত নােটিশসমূহ পাইবার পর একটি রেজিস্টারে নােটিশের একটি বিবরণ নথিবদ্ধ করবেন এবং সেগুলি জারি করার লক্ষ্যে প্রসেস সার্ভার বরাবরে বিতরণ করবেন।

৬) সেরেস্তাদারের নিকট প্রেরণ (Despatch to Sherestadar):

নােটিশ রীতিমত জারি করার পর প্রসেস সার্ভার ফেরত নােটিশগুলির নাজিরের নিকট পেশ করবেন এবং নাজির সেগুলি পুনরায় সেরেস্তাদারের নিকট প্রেরণ করবেন।

৭) পেশকারের নিকট প্রেরণ (Despatch to Peshkar)

সেরেস্তাদারের ফেরত নােটিশসমূহ মূল নথির সাথে সংযুক্ত করে নথিটি প্রতিপক্ষের হাজিরার জন্য ধার্য তারিখে পেশকার বরাবর পাঠাবেন।

৮) শুনানী (Hearing):

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৩৩ এর বিধি-৭(১) অনুযায়ী, প্রতিপক্ষ ও সরকারি পক্ষ যদি উপস্থিত হয়, তা হলে আদালত তাদের বক্তব্য শ্রবণ করবেন এবং পক্ষগণ ও তাদের সাক্ষীগণের সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন।

৯) যুক্তিতর্ক (Arguments):

দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৩৩ এর বিধি-৭(২) অনুযায়ী, সাক্ষ্য গ্রহণ করার পর আদালত পক্ষগণের যুক্তিতর্ক শ্রবণ করবেন।

১০) সিদ্ধান্ত প্রদান (Decision):

অতঃপর দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর আদেশ-৩৩ এর বিধি-৮ অনুযায়ী, যেক্ষেত্রে আবেদন মঞ্জুর হয় সেক্ষেত্রে উহা সংখ্যায়িত এবং নিবন্ধিত হবে এবং মামলার আরজি হিসাবে বিবেচিত হবে এবং মামলাটি অন্য সকল বিষয়ে একটি সাধারণভাবে রুজুকৃত মামলার ন্যায়ই অগ্রসর হবে, তবে তা ব্যতীত সে বাদী মামলার সাথে সম্পর্কিত দরখাস্ত, উকিল নিয়ােগ বা মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যবিধ কার্যধারার জন্য কোর্ট ফি (সমন জারির নিমিত্তে প্রদেয় ফিস ব্যতিত) প্রদানে দায়ী হবে না।

আদেশ ৩৩ বিধি ২ আবেদনপত্রের বিষয়সূচী

নিঃস্ব হিসেবে মামলা করার অনুমতির জন্য প্রত্যেক আবেদনপত্রে মামলার আরজি সংক্রান্ত দরকারি বিবরণাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে দরখাস্তকারী ও স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির তফসিল, আনুমানিক মূল্য সহ তার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং আরজি জবাবের স্বাক্ষর ও সত্যতা প্রতিপাদনের নির্ধারিত পদ্ধতিতে তা স্বাক্ষরিত ও সত্যতা প্রতিপাদিত হবে।

আদেশ ৩৩ বিধি ৩ আবেদনপত্র হাজির

এই বিধিগুলােতে যা কিছুই অন্তর্ভুক্ত থাকুক না কেন আবেদনপত্র দবদাস্তকারী দ্বারা স্বয়ং আদালতে হাজির করতে হবে যদি না, সে আদালতে হাজির হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত হয়ে থাকে, যেক্ষেত্রে দরখাস্ত সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলির উত্তর দিতে সক্ষম এরূপ কোন এজেন্ট দ্বারা দরখাস্ত হাজির করা যাবে এবং তাকে প্রতিনিধিত্বকারী পক্ষকে উক্ত পক্ষ নিজে আবেদনপত্র হাজির করলে যে পদ্ধতি অনুযায়ী জবানবন্দি গ্রহণ করা হত, ঠিক সে পদ্ধতিতে জবানবন্দি গ্রহণ করা যাবে।

আদেশ ৩৩ বিধি ৪ দরখাস্তকারীর জবানবন্দি গ্রহণ

১) যেক্ষেত্রে আবেদনপত্র সঠিকভাবে এবং যথারীতি হাজির করা হয়েছে সেক্ষেত্রে আদালত যথাযথ মনে করলে দরখাস্তকারীর বা প্রতিনিধির দ্বারা দরখাস্তকারীকে হাজিরার অনুমতি দেয়া হলে, তার প্রতিনিধির দাবির গুণগত বৈশিষ্ট্যর গুণাগুণ এবং দরখাস্তকারীর সম্পত্তি সম্পর্কে জবানবন্দী গ্রহণ করতে পারে ।

২) এজেন্ট দ্বারা হাজির করা হলে আদালত কমিশন দ্বারা দরখাস্তকারীর জবানবন্দি গ্রহণ করতে আদেশ প্রদান করতে পারে

 যেক্ষেত্রে আবেদনপত্র এজেন্ট দ্বারা উপস্থাপিত হয় সেক্ষেত্রে আদালত, যদি সঙ্গত মনে করেন, তবে অনুপস্থিত সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের মতই কমিশন দ্বারা দরখাস্তকারীর জবানবন্দি গ্রহণ করার নির্দেশ দিতে পারে।

আদেশ ৩৩ বিধি ৫ আবেদনপত্র গ্রাহ্য

নিম্নোক্ত উপায়ে নিঃস্ব লােকের ন্যায় আদালতে অভিযুক্ত করার দরখাস্ত গ্রাহ্য করতে পারে

ক) যেক্ষেত্রে ২ এবং ৩ বিধিসমূহের নির্ধারিত পদ্ধতিতে এটা প্রণয়ন ও পেশ করা হয় নাই, কিংবা

খ) যেক্ষেত্রে দরখাস্তকারী নিঃস্ব নয়, কিংবা

গ) যেক্ষেত্রে সে আবেদনপত্র উপস্থাপনের অব্যবহিত দুই মাসের ভিতর তঞ্চকতামূলকভাবে নিঃস্ব লােক হিসেবে মামলা করার অনুমতির জন্য দরখাস্ত করতে সমর্থ হবার জন্য কোন সম্পত্তি হস্তান্তর করেছে, বা

ঘ) যেক্ষেত্রে তার অভিযােগের কোন নালিশের কারণ দেখানাে হয় না, বা

ঙ) যেক্ষেত্রে যে প্রস্তাবিত মামলার অধীনে মামলার বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোন চুক্তিতে পৌছিয়াছে, যার ফলে উক্ত বিষয়বস্তুতে অপর কোন লােক স্বার্থ অর্জন করেছে সে সব ক্ষেত্রে নিঃস্ব লােক হিসেবে মামলা করার অনুমতি লাভের আবেদন আদালত অগ্রাহ্য করবে।

আদেশ ৩৩ বিধি ৬ দরখাস্তকারীর নিঃস্বতা সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য তারিখের নােটিশ

যেক্ষেত্রে ৫ নিয়মে বর্ণিত কারণের যে কোন একটির জন্য আদালত আবেদনপত্র অগ্রাহ্য করার কোন কারণ না দেখেন সেক্ষেত্রে আদালত দরখাস্তকারী তার নিঃস্বতা প্রমাণের জন্য যেরূপ সাক্ষ্য হাজির করে তা গ্রহণের জন্য এবং তা বিপ্রতীপ প্রমাণের জন্য যে সাক্ষ্য হাজির করা হয়, তা শুনানীর জন্য একটি দিন ধার্য করবে (যার অন্ততঃ ১০ দিনের স্পষ্ট নােটিশ বিপরীত পক্ষ এবং সরকারি উকিল বরাবর দিতে হবে)।

আদেশ ৩৩ বিধি ৭ শুনানীতে কর্মপদ্ধতি

১) এভাবে নির্ধারিত দিনে বা তৎপর যত শীঘ্রই সুবিধাজনক হয় আদালত কোন পক্ষ দ্বারা আনীত সাক্ষীদের (যদি কোন) সাক্ষ্য গ্রহণ করবে এবং আদালত দরখাস্তকারী বা তার প্রতিনিধির সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারে এবং তাদের সাক্ষ্যের সারাংশের একটি স্মারক তৈরি করবে।

২) আবেদনপত্র ও আদালত দ্বারা সাক্ষ্যের উপর বিবেচনা করলে দরখাস্তকারী ৫ বিধিতে বর্ণিত নিষিদ্ধ বিষয়সমূহের কোন একটির অধীনে পড়ে কিনা সে সম্পর্কে পক্ষগণ কোন যুক্তিতর্ক পেশ করতে চাইলে আদালত তাও শুনানী করবে।

৩) আদালত তৎপর নিঃস্ব হিসেবে মামলা করার দরখাস্ত পত্রটি অনুমােদন করবে বা অনুমােদন করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে।

আদেশ ৩৩ বিধি ৭ক: বিধি ৬ ও ৭ এর বিধানে যা কিছুই থাকুক না কেন, যদি স্থানীয় সরকার এজেন্ট বা তাদের কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে হতে বাদী প্রাপ্ত সার্টিফিকেট আদালতে রুজু করে থাকেন এই মর্মে যে তিনি এই কর্মবিধির আদেশ তেত্রিশ এর অধীনে বিধি (১) এর অর্থ অনুযায়ী একজন নিঃস্ব লােক এবং যদি যথাযথই এই বিষয়ে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন যে বাদী প্রকৃতই নিঃস্ব, তবে আদালত সরাসরি দরখাস্ত অনুমােদন করতে পারেন। (২০০৬ সালের ৮নং আইন দ্বারা সংশােধিত)

আদেশ ৩৩ বিধি ৮ আবেদনপত্র গৃহীত হলে কর্মপদ্ধতি

যেক্ষেত্রে দরখাস্ত অনুমােদন হয় সেক্ষেত্রে তা সংখ্যায়িত এবং নিবন্ধিত হবে এবং মামলার আরজি হিসেবে গণ্য হবে এবং মামলাটি অপর সব বিষয়ে একটি সাধারণভাবে রুজুকৃত মামলার ন্যায়ই অগ্রসর হবে, তবে তা ছাড়া যে বাদী মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত দরখাস্ত, উকিল নিয়ােগ বা মামলার সঙ্গে জড়িত অন্যবিধ কর্মধারার জন্য কোর্ট ফি (সমন জারির জন্য প্রদেয় ফিস ব্যতীত) প্রদানে দায়ী হবে না।

আদেশ ৩৩ বিধি ৯ নিঃস্ব মুক্তি

আদালত বিবাদী বা সরকারি কৌশুলীর আবেদনক্রমে যে সম্পর্কে বাদীকে কমপক্ষে সাত দিনের লিখিত স্পষ্ট নােটিশ দিয়ে বাদী নিঃস্ব নয় মর্মে আদেশ প্রদান করতে পারে

ক) যদি মামলা চলাকালে সে বিরক্তিকর বা অসঙ্গত আচরণে দোষী হয়; বা

খ) যদি প্রতীয়মান হয় যে, তার এরূপ আর্থিক সংস্থান আছে যাতে তার নিঃস্ব হিসেবে মামলা পরিচালনা করা উচিত নয়; বা

গ) যদি সে মামলার অধীনে বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে থাকে যাতে অপর কোন লােক উক্ত বিষয়বস্তুতে একটি স্বার্থ অর্জন করেছে।

আদেশ ৩৩ বিধি ১০ নিঃস্ব লােক সফল হলে খরচাদি

 যেক্ষেত্রে বাদী মামলায় কৃতকার্যতা অর্জন করে, সেক্ষেত্রে আদালত, বাদী যদি নিঃস্ব হিসেবে মামলা করার অনুমতিপ্রাপ্ত না হত, তবে তাকে যে অংকের কোর্ট ফি প্রদান করতে হত, সে পরিমাণ কোর্ট ফি গণনা করবে; অনুরূপ অংক ডিক্রীতে যাকে পরিশােধের নির্দেশ দেয়া হয়, সে পক্ষের কাছে হতে সরকার দ্বারা আদায় যােগ্য হবে এবং তা মামলার বিষয়বস্তুতে প্রথম দায় হবে।

আদেশ ৩৩ বিধি ১১ নিঃস্ব লােক ব্যর্থ হলে পদ্ধতি

যেক্ষেত্রে বাদী মামলায় ব্যর্থ হয়, বা নিঃস্ব লােক সুবিধা অর্জনের অধিকার হতে বঞ্চিত হয়, বা যে ক্ষেত্রে মামলা প্রত্যাহৃত বা খারিজ করা হয়, সেক্ষেত্রে

ক) যদি বাদী দ্বারা বিবাদীকে সমন জারির জন্য প্রদেয় কোর্ট ফি বা ডাক খরচ (যদি কোন) প্রদানে ব্যর্থতার ফলস্বরূপ বিবাদী তার উপস্থিতি এবং জবাব প্রদানের জন্য সমন

জারি করা না হয়, বা

খ) মামলাটি শুনানীর জন্য ডাকা হলে যদি বাদী হাজির না হয়, সে অজুহাতে আদালত বাদীকে বা মামলায় সহবাদী হিসেবে যুক্ত অপর কোন লােককে, যদি বাদীকে নিঃস্ব হিসেবে মামলা করার অনুমতি দেয়া না হত তবে যা পরিশােধ করতে হত, সে পরিমাণ কোর্ট ফি প্রদান করার জন্য নির্দেশ দিবেন।

আদেশ ৩৩ বিধি ১১ক নিঃস্ব লােকের মামলা রহিত হলে কর্মপদ্ধতি

যেক্ষেত্রে মামলাটি বাদীর বা অপর কোন লােকের, যিনি সহবাদী হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন, তার মারা যাওয়ার কারণে রদ হয় সেক্ষেত্রে আদালত এই মর্মে আদেশ প্রদান করবে যে, বাদী নিঃস্ব হিসেবে মামলা করার অনুমতি বাদীর সম্পত্তি হতে সরকার দ্বারা আদায়যােগ্য হবে।

আদেশ ৩৩ বিধি ১২ কোর্ট ফি প্রদানের জন্য সরকার দরখাস্ত করতে পারে

সরকার ১০, ১১ বা ১১ক বিধির অধীনে কোর্ট ফি আদায়ের আদেশ প্রদানের জন্য যে কোন সময় দরখাস্ত করার অধিকার রাখে।

আদেশ ৩৩ বিধি ১৩ সরকার পক্ষ বলে পরিগণিত

সরকার ও মামলার কোন পক্ষের ভিতর ১০ বিধি, ১১ বিধি, ১১ক বিধি বা ১২ বিধির অধীনে যে সব বিষয়ের সৃষ্টি হবে, তৎসমুদয় এই আইনের ৪৭ ধারার অর্থে মামলায় পক্ষদ্বয়ের ভিতর সৃষ্ট বিষয় বলে গণ্য হবে।

আদেশ ৩৩ বিধি ১৪ কোর্ট ফির টাকা আদায়

যেক্ষেত্রে ১০ বিধি, ১১ বিধি বা ১১ক বিধির অধীনে কোন আদেশ প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে আদালত তৎক্ষণাৎ ডিক্রী বা আদেশের একটি নকল কালেক্টরের কাছে পাঠাবেন এবং যিনি তা আদায়ের অপর কোন পদ্ধতির লংঘন না করে কালেক্টরের বকেয়া ভূমি রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতি অনুযায়ী তার জন্য দায়ী সম্পত্তির বা লােকের কাছে হতে কোর্ট ফি-এর টাকা আদায় করবে।

আদেশ ৩৩ বিধি ১৫ দরখাস্তকারীকে নিঃস্ব হিসেবে মামলা করতে অনুমতিদানে অগ্রহ্যের আদেশ, অনুরূপ প্রকৃতির পরবর্তী আবেদনে বাধা হবে

নিঃস্ব লােক হিসেবে মামলা করার অনুমতি চাহিয়া দরখাস্ত করলে অনুমতি দানে অগ্রাহ্য করে কোন আদেশ প্রদান করা হলে, তা তদ্বারা একই অধিকার সম্পর্কে অনুরূপ প্রকৃতির পরবর্তী কোন দরখাস্ত করা হলে প্রতিবন্ধক হবে; কিন্তু উক্ত অধিকার সম্পর্কে সাধারণ পদ্ধতিতে মামলা করার স্বাধীনতা দরখাস্তকারীর থাকবে এই শর্তে যে, প্রথমতঃ সরকার এবং বিরােধীপক্ষ দ্বারা তার নিঃস্ব লােক হিসেবে মামলা করার আবেদনে আপত্তি করতে আপত্তিকারীর যে খরচ হয়েছে (যদি কোন) তা সে পরিশােধ করে ।

আদেশ ৩৩ বিধি ১৬ খরচাদি

নিঃস্ব লােক হিসেবে মামলা করার অনুমতির জন্য দরখাস্তের খরচাদি এবং উক্ত লোক সম্বলহীনতা সম্পর্কে কোন তদন্তের খরচ, মামলার খরচ হিসেবে গণ্য হবে।




Popular posts from this blog

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha...

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...