- Get link
- X
- Other Apps
Order 22 Death, Marriage and Insolvency of Parties
আদেশ ২২ পক্ষগণের মৃত্যু, বিবাহ এবং অস্বচ্ছলতা দেওয়ানী কার্যবিধি আইন
আদেশ ২২ বিধি ১ মামলা করার অধিকার সৃষ্টি হয়ে থাকলে পক্ষের মৃত্যুতে মামলা বিলােপসাধন হয় না । মামলা করার অধিকার খসি সৃষ্টি হয়, তা হলে কোন বাদী বা বিবাদীর মৃত্যু মামলার বিলুপ্তি ঘটায় না।
আদেশ ২২ বিধি ২ কতিপয় বাদী বা বিবাদীদের একজনের মৃত্যু হলে এবং মামলা করার অধিকার সৃষ্টি হলে পদ্ধতি
যেক্ষেত্রে একাধিক বাদী বা বিবাদী আছে এবং তাদের একজন মারা যান এবং কেবল জীবিত বাদী বা বিবাদীগণ দ্বারা বা শুধুমাত্র জীবিত বাদী বা বিবাদীগণের বিরুদ্ধে মামলা করার অধিকার সৃষ্টি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আদালত নথির উপরে এতদসম্পর্কে লিখিত করবে এবং জীবীত বাদী বা বাদীগণের অনুরােধে বা জীবিত বিবাদী বা বিবাদীগণের বিরুদ্ধে মামলা অগ্রসর হবে।
আদেশ ২২ বিধি ৩ বহু বাদীর ভিতর একজন বা একমাত্র বাদীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে পদ্ধতি
১) যেক্ষেত্রে দুই বা ততােধিক বাদীর একজনের মৃত্যু হয় এবং শুধুমাত্র জীবীত বাদী বা বাদীগণের মামলা করার অধিকার সৃষ্টি হয় না, বা একমাত্র বাদী বা একমাত্র জীবীত বাদীর মৃত্যু হয় এবং মামলা করার অধিকার সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে আদালতে এতদুদ্দেশ্যে দরখাস্ত করা হলে, মৃত বাদীর বৈধ প্রতিনিধিকে পক্ষ করাবে এবং মামলাটি অগ্রসর হবে।
২) যেক্ষেত্রে আইন দ্বারা নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর উপবিধি (১) এর অধীনে কোন দরখাস্ত না করা হয় সেক্ষেত্রে মৃত বাদী যতদূর সংশ্লিষ্ট ততদূর পর্যন্ত মামলাটি রহিত হবে এবং বিবাদীর আবেদনে মামলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় তার যে অর্থ ব্যয় হয়েছে মৃত বাদীর সম্পত্তি হতে তা আদায়ের জন্য আদেশ প্রদান করতে পারে।
আদেশ ২২ বিধি ৪ বহু বিবাদীর একজনের বা একমাত্র বিবাদীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে পদ্ধতি
১) যেক্ষেত্রে দুই বা ততােধিক বিবাদীর একজনের মৃত্যু হয় এবং মামলা করার অধিকার কেবল জীবীত বিবাদী বা বিবাদীগণের বিরুদ্ধে সৃষ্টি না হয়, বা কোন একমাত্র বিবাদী বা একমাত্র জীবীত বিবাদীর মৃত্যু হয় এবং মামলা করার অধিকার সৃষ্টি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আদালতে এতদলক্ষ্যে দরখাস্ত করা হলে, মৃত বিবাদীর বৈধ প্রতিনিধিকে পক্ষ করাবে এবং মামলা অগ্রসর হতে থাকবে।
২) অনুরূপভাবে কাউকেও পক্ষ করা হলে মৃত বিবাদীর বৈধ এজেন্ট হিসেবে সে তার বৈশিষ্ট্যের উপযােগী যে কোন আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারে।
৩) যেক্ষেত্রে আইনে সীমিত সময়ের ভিতর উপবিধি (১) এর অধীনে কোন দরখাস্ত করা না হয়, সেক্ষেত্রে মৃত বিবাদীর বিরুদ্ধে মামলা রহিত হবে।
৪) উপবিধি (৩) এ যে কোন বিধানই থাকুক না কেন কোন বিবাদী লিখিত বিবৃতি পেশ করতে ব্যর্থ হলে বা তা পেশ করেও মামলার শুনানীতে হাজির হতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ব্যর্থ হলে বাদীকে উক্তরূপ বিবাদীর বৈধ প্রতিনিধিগণকে স্থলাভিষিক্ত করার দরকার হবে না এবং বাদী সে আবশ্যকতা হতে মুক্ত হবে এবং এতদক্ষেত্রে উক্ত বিবাদীর মৃত্যু সত্ত্বেও মৃত বিবাদীর বিরুদ্ধে রায় ঘােষণা করা যাবে এবং তার মৃত্যুর আগে রায় ঘােষিত হলেও যেরূপ অনুবল ও কর্মক্ষমতা থাকিত এর তাই থাকবে।
আদেশ ২২ বিধি ৫ বৈধ এজেন্ট সম্পর্কিত প্রশ্নের সিদ্ধান্ত
যে ক্ষেত্রে কোন লোক কোন মৃত বাদী-বিবাদীর বৈধ এজেন্ট কিনা তৎসম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপিত হয় সে ক্ষেত্রে অনুরূপ প্রশ্ন আদালত তারা সিদ্ধান্ত হবে।
আদেশ ২২ বিধি ৬ শুনানীর পর মৃত্যুর ফলে কোনরূপ রহিত হবে না
পূর্ববর্তী বিধিসমূহে কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও মামলার কারণ সৃষ্টি হােক বা না কেন শুনানী সমাপ্তি এবং রায় ঘােষণার মধ্যবর্তী সময়ে কোন পক্ষের মৃত্যুর ফলে কোন মামলা রহিত হবে না, কিন্তু এরূপ ক্ষেত্রে মৃত্যু সত্ত্বেও রায় ঘােষণা করা যাবে এবং মৃত্যু হওয়ার আগে রায় প্রকাশিত হলেও যেরূপ শক্তি ও কর্মকারীতা থাকিত এটারও তাই থাকবে।
আদেশ ২২ বিধি ৭ মহিলা পক্ষের বিবাহের ফলে কোন মামলা বিলুপ্ত হয় না
১) কোন মহিলা বাদী বা বিবাদীর বিবাহ কোন মামলাকে বিলুপ্ত করাবে না, কিন্তু মামলাটি এতদসত্ত্বেও রায় পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে এবং মহিলা বিবাদীর বিরুদ্ধে জারি করা যাবে।
২) যেক্ষেত্রে স্বামী আইনতঃ স্ত্রীর ঋণের জন্য দায়ী সেক্ষেত্রে আদালতের অনুমতিক্রমে স্বামীর বিরুদ্ধেও ডিক্রী জারি হতে পারে, এবং স্ত্রীর পক্ষে রায়ের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতিক্রমে স্বামী দ্বারা দরখাস্ত করা হলে ডিক্রী জারি করা যেতে পারে, অন্যথায় আইনতঃ স্বামীকে ডিক্রীর বিষয়বস্তুতে অধিকারী হতে হবে।
আদেশ ২২ বিধি ৮ যখন বাদীর অসচ্ছলতায় মামলায় বাধ্য হয়
১) বাদীর স্বত্বনিয়ােগী বা রিসিভার তার পাওনাদারদের স্বার্থে মামলাটি পরিচালনা করতে থাকলে কোন বাদীর অসচ্ছলতা মামলাটি বিলুপ্ত করাবে না, যদি না অনুরূপ ভারপ্রাপ্ত স্বত্বনিয়ােগী বা রিসিভার মামলাটি চালাইতে বা (যদি না কোন বিশেষ কারণে আদালত ভিন্ন প্রকার নির্দেশ দেয়) আদালতে নির্ধারিত সময়ের ভিতর তার খরচ মামলায় খরচাদির জন্য জামানত দিতে অস্বীকৃত জানান।
২) যখন স্বত্বনিয়ােগী মামলা পরিচালনা করতে বা জামানত দিতে ব্যর্থ হয়, তখন পদ্ধতি : যেক্ষেত্রে স্বত্বনিয়ােগী বা রিসিভার মামলাটি চালাইতে এবং অনুরূপভাবে আদেশকৃত সময়ের ভিতর উক্ত জামানত দিতে অবহেলা বা অস্বীকার করে সেক্ষেত্রে বিবাদী বাদীর অসচ্ছলতার অজুহাতে মামলাটি খারিজ করার জন্য দরখাস্ত করতে পারে এবং আদালত মামলাটি খারিজ করে এবং বিবাদীকে বাদীর এস্টেটের বিরুদ্ধে ঋণ হিসেবে প্রমাণিত বিবাদীর উক্ত মামলায় পরিচালনাবদ্ধ উদ্ধৃত খরচাদি প্রদান করতে আদেশ প্রদান করতে পারে।
আদেশ ২২ বিধি ৯ বিলুপ্তি বা খারিজের ফলাফল
১) যেক্ষেত্রে কোন মামলা এই আদেশের অধীনে বিলুপ্ত বা খারিজ হয় সেক্ষেত্রে মামলার একই কারণে নুতন কোন মামলা করা যাবে না।
২) বাদী বা মৃত বাদীর বৈধ এজেন্ট হিসেবে দাবিদার লােক বা অসচ্ছল বাদীর ক্ষেত্রে সদ্য নিয়োগী বা রিসিভার বিলুপ্ত বা খারিজ রদ করার আদেশের জন্য দরখাস্ত করতে পারে এবং যদি এটা প্রমাণিত হয় যে, সে মামলা পরিচালনা পর্যাপ্ত কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল তবে আদালত মামলার খরচাদি সম্পর্কে তার বিবেচনায় এরূপ শর্তাধীনে বা অপর কোনভাবে বিলুপ্ত বা খারিজ রদ করবে।
৩) উপবিধি (২) এর অধীনে দরখাস্ত পত্রের ক্ষেত্রে ১৯০৮ সালের তামাদি আইনের ৪ এবং ৫ ধারার বিধানসমূহ প্রয়ােগযােগ্য হবে।
আদেশ ২২ বিধি ৯ক রহিত বা খারিজ সরাসরি রহিতকরণ
বিধি ১ বা অপর কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, রহিত বা খারিজের ষাট দিনের ভিতর যদি কোন মৃত বাদীর আইনগত এজেন্ট বা স্বত্বনিয়ােগী বা কোন দেউলিয়া বাদীর রিসিভার এই আইনের অধীনে রহিত বা খারিজের কোন আদেশকে রহিতকরণের জন্য দরখাস্ত করে থাকেন, তবে আদালতে বিলম্ব এড়ানাে ও বিচার ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বিধি ৯ এর অধীনে বর্ণিত বাদীকে যথেষ্ট কারণ বিষয়ে প্রমাণ করার জন্য সাক্ষ্য উপস্থাপন এর নির্দেশ প্রদান করে এরূপ রহিত বা খারিজ সরাসরি রহিত করতে পারেন। তবে আদালত যথাযথ মনে করলে তাকে অনধিক ১০০০ টাকা খরচা প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করতে পারেন। (২০০৬ সালের ৮ নং আইন দ্বারা সংশোধিত)
আদেশ ২২ বিধি ১০ কোন মামলায় চূড়ান্ত আদেশের আগে স্বত্ব নিয়ােগের ক্ষেত্রে পদ্ধতি
১) মামলা বিচারাধীন থাকাকালে স্বার্থের স্বত্ব নিয়ােগ, সৃজন বা উত্তরাধিকারের অন্যান্য ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি ক্রমে উক্ত স্বার্থ যে লােকের বরাবরে এসেছে বা হস্তন্তরিত হয়েছে সে লােক দ্বারা বা তার বিরুদ্ধে মামলা পরিচালিত হতে পারে।
২) কোন ডিক্রী ক্রোক করা হয়ে থাকলে তা হতে কোন আপিল সাপেক্ষে যে লােকের পক্ষে ক্রোক করা হয়েছে সে লােককে উক্ত ডিক্রী (১) উপবিধির অধীনে সুবিধা পাবার অধিকারী করবে বলে গণ্য হবে।
আদেশ ২২ বিধি ১১ আপিলের ক্ষেত্রে পদ্ধতি
আদেশের প্রয়ােগ আপিলে ক্ষেত্রে এই আদেশের প্রয়ােগকালে যতদূর হতে পারে ‘বাদী' শব্দ বুঝাইতে ‘উত্তর বিচার প্রার্থীকে বিবাদী শব্দ ‘উত্তর দায়ক এবং মামলা' শব্দ কোন ‘আপিলকে' অন্তর্ভুক্ত করবে।
আদেশ ২২ বিধি ১২ কর্মধারার ক্ষেত্রে আদেশের প্রয়ােগ
৩, ৪ এবং ৮ বিধির কোন বিধানই ডিক্রী বা আদেশ জারির কর্মধারার ক্ষেত্রে প্রয়ােগযােগ্য হবে না।