Skip to main content

HSC English First Paper English For Today - Unit 7 Lesson 1 Brojen Das

Order 21 Execution of Decree Orders আদেশ ২১ ডিক্রী এবং আদেশ জারি দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

Order 21 Execution of Decree Orders

 আদেশ ২১ ডিক্রী এবং আদেশ জারি দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

ডিগ্রি এবং আদেশ জারি আদেশ ২১
কোন আদালত ডিক্রি জারি করে ধারা ৩৮
১) যে আদালত ডিক্রি প্রদান করেছে
২) যে আদালতে ডিক্রি জারি করার জন্য পাঠানো বা স্থানান্তর করা হয়েছে।
ডিক্রি জারিকারি আদালতের ডিক্রির বিষয়বস্তুর বাইরের কোনো বিষয় বিবেচনা করার এখতিয়ার থাকবে না।

ডিক্রী জারির জন্য স্থানান্তর। ধারা- ৩৯

নিম্ন বর্ণিত ক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদানকারী আদালত ডিক্রী জারির জন্য স্থানান্তর করতে পারেন।
১। যার বিরুদ্ধে ডিক্রী দেয়া হয়েছে, সে যদি অন্য আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারে বসবাস বা ব্যবসা বা ব্যক্তিগত লাভজনক কাজ করেন।
২। ডিক্রীদানকারী আদালতের স্থানীয় সীমানার মধ্যে ডিক্রীর দাবি পূরনের জন্য উক্ত ব্যক্তির পর্যাপ্ত সম্পত্তি না থাকলে এবং অন্য আদালতের এখতিয়ারে সম্পত্তি থাকলে।
৩। ডিক্রীতে অন্য আদালতের এখতিয়ারে থাকা সম্পত্তি বিক্রয়ের বা প্রদানের নির্দেশ থাকলে।
৪। ডিক্রী আদালত অন্য যেকোন কারনে স্থানান্তর করতে পারে।

ডিক্রী স্থানান্তরের আবেদন কে করবেন

১। মামলার পক্ষসমূহ অথবা
২। আদালত নিজেই (Suo motu/ own motion)।

যে আদালতে ডিক্রী জারির আবেদন করতে হয়। বিধি-১০, আদেশ-২১

১। ডিক্রী প্রদানকারী আদালত।
২। এই মর্মে নিযুক্ত অফিসারের নিকট।
৩। যে আদালতে ডিক্রী জারির জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে, সেই আদালত বা উক্ত আদালতের কর্মকর্তার নিকট।

ডিক্রী জারির জন্য দরখাস্ত। বিধি-১১, আদেশ-২১

১। অর্থ পরিশােধের মামলায় ডিক্রী জারির আবেদন মৌখিকভাবে করা যায়।
২। অন্যান্য মামলার ডিক্রী জারির আবেদন লিখিতভাবে করতে হয়।

ডিক্রী স্থানান্তরের পদ্ধতি। বিধি-৫, আদেশ-২১

১। যেক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদানকারী আদালত এবং যে আদালতে ডিক্রীজারি করার জন্য স্থানান্তর করা হবে, তা একই জেলায় অবস্থিত, সেক্ষেত্রে ডিক্রীদানকারী আদালত সরাসরি ডিক্রী হস্তান্তর করতে পারবে।
২। যেক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদানকারী আদালত এবং যে আদালতে ডিক্রীজারি করার জন্য স্থানান্তর করা হবে, তা অন্য জেলায় অবস্থিত, সেক্ষেত্রে ডিক্রীদানকারী আদালত ডিক্রী জারি করার জন্য ডিক্রীটি উক্ত জেলার জেলা আদালতের (জেলা জজ) নিকট স্থানান্তর করবে এবং জেলা আদালত সংশ্লিষ্ট আদালতে ডিক্রীটি প্রেরণ করবেন।

স্থানান্তরিত ডিক্রীজারিকারী আদালতের ক্ষমতা। ধারা-৪২

এইক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদানকারী আদালত এবং স্থানান্তরিত ডিক্রীজারিকারী আদালতের ক্ষমতা একই থাকবে। (ধারা ৪২] তবে উক্ত আদালত ডিক্রী জারি করতে ব্যর্থ হলে ডিক্রী প্রদানকারী আদালতকে অবহিত করবেন। [ধারা-৪১]

বিচারকের আদেশ পত্র/আদেশনামা (Precepts)। ধারা- ৪৬

Decree Holder এর আবেদনক্রমে ডিক্রীদানকারী আদালত ডিক্রীজারি করতে পারে অন্য কোন উপযুক্ত আদালত কে Judgment debtor (যার বিরুদ্ধে ডিক্রী দেয়া হয়) এর মালিকানাধীন সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য আদেশপত্র জারি করতে পারেন। আদেশনামার আওতাধীন কোন ক্রোক আদেশ ২ মাসের বেশি কার্যকর থাকবে না।

ডিক্রীজারির তামাদি বা সময়সীমা। ধারা-৪৮

১। নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী ছাড়া অন্যান্য ডিক্রী জারির আবেদন করতে হয়-সর্বোচ্চ ১২ বছরের মধ্যে।
২। সাব্যস্থ দেনাদার বা দায়িক (Judgment Debtor) যদি প্রতারণা বা প্রবঞ্চনা বা শক্তি প্রয়ােগ করে ডিক্রীজারিতে বাধা দেয় তাহলে ১২ বছরের পরও ডিক্রীজারির আবেদন করা যাবে।
৩। জারির দরখাস্ত ডিক্রীর ২ বছর পর দায়ের করা হলে দায়িকের উপর নােটিশ জারি করতে হবে। [বিধি-২২, আদেশ- ২১)
৪। দেওয়ানি আদালতের যে ডিক্রীজারি বা আদেশ কার্যকর সম্পর্কে তামাদি আইনের ১৮৩ অনুচ্ছেদে বা দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৮ ধারায় কোন বিধান নাই তা জারি বা কার্যকর করার জন্য দরখাস্ত ৩ বছরের মধ্যে করতে হবে। তবে যেখানে ডিক্রী বা আদেশের কপি রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ডিক্রী জারির আবেদনটি ৬ বছরের মধ্যে দাখিল করতে হবে। [অনুচ্ছেদ ১৮২, তামাদি আইন ১৯০৮].
৫। তামাদি আইন, ১৯০৮ এর ১৮৩ অনুচ্ছেদ মতে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক সাধারণ আদি দেওয়ানি এখতিয়ার প্রয়ােগের সময় যে রায়, ডিক্রী বা আদেশ বা সুপ্রীম কোর্টের কোন আদেশ কার্যকর করার জন্য ১২ বছরের মধ্যে দরখাস্ত দায়ের করতে হবে।

ডিক্রীজারি কার্যকর করার ব্যপারে আদালতের ক্ষমতা। ধারা- ৫১

আদালত ডিক্রীদারের আবেদনক্রমে নিম্নবর্ণিত ৫টি উপায়ে ডিক্রীজারি কার্যকর করতে পারেন।

১। ডিক্রীভুক্ত সম্পত্তি অর্পনের মাধ্যমে।
২। কোন সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় এর মাধ্যমে।
৩। দেনাদারকে গ্রেফতার ও কারাগারে আটকের মাধ্যমে।
৪। রিসিভার নিয়ােগের মাধ্যমে।
৫। প্রয়ােজন মােতাবেক অন্য কোন উপায়ে।

ডিক্রীটি অর্থ পরিশােধের জন্য হলে দেনাদারকে কারাগারে সােপর্দ বা আটক করা হবে না। তবে আদালত নিম্নে বর্নিত কারনে দেনাদারকে দেওয়ানি কারাগারে আটকের আদেশ দিতে পারেন-
১। দেনাদার ডিক্রী জারিতে বিলম্ব বা বাধা দেয়।
২। আত্মগােপন বা আদালতের এখতিয়ারের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে।
৩। সম্পত্তি অসাদুপায়ে স্থানান্তর বা অপসারনের চেষ্টা করলে।
৪। ডিক্রীর টাকা পরিশােধের অর্থ থাকার পরও পরিশােধ করতে অবহেলা বা অস্বীকার করলে।

ডিক্রীজারি কাজে বাধা। ধারা ৭৪

ডিক্রীজারিতে বাধা দিলে আদালত ৩০ দিন পর্যন্ত দেওয়ানি আদালতে আটক রাখতে পারে।

বিকল্প প্রতিকার হিসাবে টাকা পরিশােধের জন্য ডিক্রী বিধি-৩০, আদেশ- ২১

বিকল্প প্রতিকার হিসাবে টাকা পরিশােধের জন্য ডিক্রীজারি করলে দায়িককে (Judgment Debtor) কে দেওয়ানি কারাগারে আটক বা তার সম্পত্তি ক্রোক এবং বিক্রয় করে জারি করতে পারে।

নির্দিষ্ট কোন অস্থাবর সম্পত্তির জন্য ডিক্রী। বিধি-৩১, আদেশ-২১

কোন নির্দিষ্ট অস্থাবর সম্পত্তি বা যার অংশবিশেষের জন্য প্রদত্ত ডিক্রী জারির জন্য আদালত উক্ত নির্দিষ্ট সম্পত্তি বা ডিক্রীতে উল্লেখিত অংশকে ক্রোকাবদ্ধ করতে পারবেন বা সাব্যস্ত দেনাদারকেও আটক করতে পারবেন অথবা উভয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। যদি কোন সম্পত্তি ছয় মাস ক্রোকাবদ্ধ থাকে এবং সেই সময়ের মধ্যে যদি দেনাদার আদালতের নির্দেশকে মান্য না করে, তাহলে ডিক্রীদারের আবেদন সাপেক্ষে আদালত উক্ত সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় করতে পারবেন।

সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদন, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার বা নিষেধাজ্ঞার জন্য ডিক্রী কার্যকরণ। বিধি-৩২, আদশে-২১

চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের এবং নিষেধাজ্ঞার ডিক্রীর ক্ষেত্রে
১। দেওয়ানি কারাগারে আটকের দ্বারা বা
২। সম্পত্তি ক্রোক বা
৩। কারাগারে আটক এবং সম্পত্তি ক্রোক
তবে দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের ডিক্রীর ক্ষেত্রে শুধু সম্পত্তি ক্রোকের মাধ্যমে ডিক্রীজারি করা যেতে পারে।

গ্রেফতার ও আটক মাধ্যমের ডিক্রীজারি। ধারা- ৫৫-৫৬

১। যে কোন সময় যে কোন দিনে ডিক্রী জারির জন্য সাব্যস্ত দেনাদারকে (Judgment Debtor) গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থিত করা যাবে এবং আটক আদেশদানকারি আদালত যে জেলায় অবস্থিত সেই জেলার দেওয়ানি কারাগারে তাকে আটক রাখা যেতে পারে।

২। কাউকে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্য কোন বাসগৃহে সূর্যাস্তের পর এবং সূর্যোদয়ের পূর্বে প্রবেশ করা যাবে না।
৩। আদালত টাকা পরিশােধের জন্য ডিক্রী জারির জন্য কোন মাহিলাকে গ্রেফতার বা আটক রাখার আদেশ প্রদান করবেন না। [ধারা-৫৬]

আটক ও মুক্তি। ধারা ৫৮-৫৯ এবং ৫৫

১। ৫০ টাকার উর্ধ্বে টাকা পরিশােধের ডিক্রীর ক্ষেত্রে সাব্যস্ত দেনাদারকে ৬ মাস পর্যন্ত দেওয়ানি আদালতে আটক রাখা যাবে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থাৎ ৫০ টাকার কম। হলে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত।
২। সাব্যস্ত দেনাদার অসুস্থতার জন্য গ্রেফতার বা দেওয়ানি আদালত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। [ধারা-৫৯]
৩। গ্রেফতারের পর ডিক্রীর টাকা এবং গ্রেফতারের খরচ পরিশােধ করলে মুক্তি পেতে পারে। [ধারা- ৫৫(১)]
৪। আটক বা গ্রেফতার হওয়া সাব্যস্ত দেনাদার ১ মাসের মধ্যে নিজেকে দেউলিয়া ঘােষনার আবেদন করলে এবং দেউলিয়া আইনের বিধান মেনে চললে মুক্তি দিতে পারেন। (ধারা- ৫৫ (৩) ও (৪)]

ক্রোকের মাধ্যমে ডিক্রীজারি। ধারা ৬০-৬১

১। ডিক্রীজারির জন্য নিম্নবর্ণিত সম্পত্তিগুলাে ক্রোক ও বিক্রয় করা যাবে-
জমি, গৃহ, দালান কোঠা, মালামাল, টাকা, ব্যাংক নােট চেক, বিল অব এক্সচেঞ্জ, হুন্ডি, প্রমিসরি, নােট, ইমারত, হুন্ডি সরকারি ঋণপত্র, বন্ড, সিকিউরিটি, দেনা, কোম্পানির শেয়ার।
২। ডিক্রীজারির জন্য নিম্নবর্ণিত সম্পত্তিগুলাে ক্রোক বা নিলামে বিক্রয় করা যাবে না-
> সাব্যস্তদেনাদার তার স্ত্রী এবং তার সন্তানদের পরিধেয় পােশাকে রান্নার বাসন পত্র, বিছানা, স্ত্রীর ব্যক্তিগত গহনা।
> কারিগরের হাতিয়ার, চায়ের হাতিয়ার (Instrument) চাষের ক্ষেতের গাে-মাহিষাদি এবং বীজশস্য, কৃষক বা চাষীর বাসগৃহ, হিসেবের খাতাপত্র, ব্যক্তিগত সেবার অধিকার, বৃত্তি, পেনশন, রাজনৈতিক পেনশন, শ্রমিক এবং ভৃত্যের বেতন বা পারিশ্রমিক।
> কৃষিজাত উৎপাদিত দ্রব্য যা কৃষকের খােরপোেষর জন্য লাগে তা ক্রোক থেকে মুক্তি দিতে পারে সরকার। [ধারা-৬১]
> Judgment debtor বা দায়িকের দখলে নাই এরুপ ঋণ, শেয়ার কর্পোরশনের মূলধন ক্রোকের আদেশ আদালত দিতে পারেন।
> ক্রয়মূল্যের শতকরা ৫ ভাগের সমান টাকা জমাদিয়ে ডিক্রীজারির বিক্রয়ের রদের দরখাস্ত করা যায়। বিধি- ৮৯, আদেশ-২১।
> নিলাম বিক্রয় রদ করার সিদ্ধান্ত ৩০ দিনের মধ্যে দিতে হয়।

আদেশ ২১ বিধি ১ ডিক্রীর আওতাধীনে টাকা পরিশােধ করার পদ্ধতি

১) পরিশােধ করার যােগ্য সব অর্থ ডিক্রীর অধীনে নিম্নলিখিত উপায়ে পরিশােধ করা হবে-
ক) যে আদালতের ডিক্রী জারি কর্তব্য, ঐ আদালতে টাকা জমা প্রদান করে; বা
খ) আদালতের বাহিরে ডিক্রীদারকে প্রদান করে; বা
গ) ডিক্রী প্রদানকারী আদালত অপর যেরূপ নির্দেশ দেয়।
২) (১) উপ-বিধির (ক) দফার আওতাধীনে যেক্ষেত্রে অর্থ পরিশােধ করা হয়, সেক্ষেত্রে ডিক্রীদার অনুকুলে ঐরূপ পরিশােধ করার বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হবে।

আদেশ ২১ বিধি ২ আদালতের অগােচরে ডিক্রীদারকে টাকা প্রদান

১) যে অবস্থায় যেকোন ধরনের ডিক্রীর অধীনে পরিশােধ করার যােগ্য কোন প্রকার টাকা আদালতের অগােচরে পরিশােধ করা হয়, বা ডিক্রীদারের ইচ্ছা অনুযায়ী ডিক্রীর টাকা আংশিক বা সামগ্রিকভাবে মিটাইয়া দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়, সে অবস্থায় ডিক্রীদারকে, ডিক্রীজারক আদালতের উক্তরূপ পরিশােধ বা মিটমাট সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করবে এবং আদালত তদনুযায়ী তা লিখিত করবে।
২) অনুরূপ পরিশােধ বা মিটমাটের বিষয় সম্পর্কে দায়িক ও আদালতকে অবগত করতে পারবে এবং কোন ডিক্রীদারের উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে প্রত্যয়ন প্রদত্ত হবে না এবং তা কেন লিখিত করা হবে না, নির্দিষ্ট তারিখের ভিতর কোন আদালত দ্বারা ডিক্রীদারকে কারণ দর্শানাের নােটিশ আদালতে দরখাস্ত করতে পারেন, এবং অনুরূপ নােটিশ জারি করার পরে যদি এহেন পরিশােধ বা মিটমাট বিষয় প্রত্যায়িত হিসেবে লিখিত না করার সন্তোষজনক কৈফিয়ত দিতে অপারগ হয়, তবে আদালত বিষয়টি অনুরুপভাবে লিখিত করবে।
৩) ডিক্রীর টাকা উপরিউক্ত পদ্ধতিতে পরিশােধ বা মিটমাটের বিষয়ে প্রত্যয়িত বা লিখিত করা না হলে ডিক্রীনির্বাহী কোন আদালত দ্বারা তা স্বীকৃত হবে না।
আদেশ ২১ বিধি ৩ একাধিক এখতিয়ারে অবস্থিত ভূমিগুলো যেক্ষেত্রে কোন স্থাবর সম্পত্তি একটি জমিদারী বা প্রজাস্বত্বে নিমিত হয় অথচ দুই বা ততােধিক আদালতের এখতিয়ারভুক্ত স্থানীয় সীমায় অবস্থিত হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত আদালতসমূহের ভিতর যে কোন একটি আদালত সমগ্র ভূ-সম্পত্তি বা বায়তী স্বত্ব ক্রোক এবং বিক্রয় করতে পারবে।

আদেশ ২১ বিধি ৫ ডিক্রী স্থানান্তর করার পদ্ধতি

যেক্ষেত্রে যে কোন আদালত ডিক্রী জারি করেছে তা এবং যে আদালতে সে ডিক্রী প্রেরণ করতে হবে তা একই জেলায় অবস্থান করে, সেক্ষেত্রে প্রথমােক্ত আদালত সরাসরি উক্ত ডিক্রী শেষােক্ত আদালতে প্রেরণ করবে। কিন্তু যে আদালতে জারির জন্য ডিক্রী প্রেরণ করতে হয় সে আদালত অপর কোন জেলায় অবস্থিত হয় সেক্ষেত্রে ডিক্রীদানকারী আদালত যে জেলার আদালতে, ডিক্রী জারির জন্য প্রেরণ করতে হবে তথাকার জেলা আদালতে।

আদেশ ২১ বিধি ৬ এক আদালতে তার নিজস্ব ডিক্রী অপর আদালতের দ্বারা জারি করাইবার পদ্ধতি।

ডিক্রী জারি করাইবার জন্য প্রেরক আদালত-
ক) ডিক্রীর একটি নকল,
খ) এইমর্মে একটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করে যে, ডিক্রীদানকারী আদালত, সে আদালতের এখতিয়ারে ডিক্রীটি জারি করে টাকা আদায় করা হয় নাই; বা যদি ডিক্রীটি আংশিক জারি হয়ে থাকে, তবে তা বাবদ কি পরিমাণ টাকা আদায় হয়েছে, এবং পরিমাণ বাকী আছে, তা উল্লেখপূর্বক একটি প্রত্যয়ন পত্র; এবং
গ) ডিক্রী জারির জন্য কোন আদেশের নকল, বা যদি ঐরূপ কোন আদেশ দেয়া না হয়ে থাকে, তবে সে মর্মে একটি প্রত্যয়ন পত্র পাঠাবে।

আদেশ ২১ বিধি ৭ ডিক্রী প্রভৃতির নকল প্রাপক আদালতকে প্রমাণ ছাড়া তা নথিভুক্ত করতে হয়

যে আদালতে ডিক্রী এইভাবে প্রেরণ করা হয় সে আদালত, বিচারকের হাতে লিখিত কোন বিশেষ কারণে আদালতে প্রমাণের দরকার না হলে, জারির জন্য ডিক্রী বা আদেশের বা আর কোন প্রমাণ ছাড়া অনুরূপ নকল এবং প্রত্যয়নপত্রগুলি নথিভুক্ত করাবে।

আদেশ ২১ বিধি ৮ যে আদালতে ডিক্রী বা আদেশ প্রেরণ করা হয় সে আদালত দ্বারা তা জারি

যেক্ষেত্রে অনুরূপ নকলগুলাে নথিভুক্ত করা হয়, তদক্ষেত্রে যে আদালতের ডিক্রী বা আদেশ জারির জন্য পাঠিয়েছে, তা জেলা আদালত হলে স্বয়ং ডিক্রীটি জারি করবে বা তার অধঃস্তন যথাযথ এখতিয়ারযুক্ত কোন আদালতে তা জারির জন্য স্থানান্তরিত করবে।

আদেশ ২১ বিধি ৯ অপর আদালতের দ্বারা স্থানান্তরিত ডিক্রী হাইকোর্ট বিভাগ দ্বারা জারি

যেক্ষেত্রে যে আদালতে ডিক্রী জারির জন্য প্রেরণ করা হয়, তা যদি হাইকোর্ট বিভাগ হয় সেক্ষেত্রে অনুরূপ আদালত দ্বারা তার সাধারণ মৌলিক দেওয়ানী এখতিয়ার প্রয়ােগে‌ প্রদত্ত ডিক্রী জারি করার পদ্ধতিতে ঐ ডিক্রী জারি করতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ১০ জারির জন্য দরখাস্ত

ডিগ্রী জারি করতে ইচ্ছা করলে ডিগ্রী দানকারী আদালতে বা তৎপক্ষে নিয়োগকৃত অফিসারের (যদি কোন) কাছে বা আগে কোন বর্ণিত বিধানের আওতাধীনে ভিন্ন আদালতে ডিগ্রী প্রেরিত হয়ে থাকলে উক্ত আদালত বা তার যথাযথ কর্মকর্তার কাছে দরখাস্ত করবে।

আদেশ ২১ বিধি ১১ মৌখিক দরখাস্ত

১) যেক্ষেত্রে ডিক্রীর টাকা পরিশােধের জন্য হয় সেক্ষেত্রে ডিক্রী প্রদত্ত হয়ে থাকলে‌ ডিক্রী প্রদানের সময়েই ডিক্রীদারের মৌখিক আবেদনক্রমে আদালত, দায়িক আদালত প্রাঙ্গনে হাজির থাকলে গ্রেফতারী পরােয়ানা প্রস্তুত করার আগে তাকে গ্রেফতারক্রমে তৎক্ষনাৎ জারির আদেশ প্রদান করতে পারে।
২) লিখিত দরখাস্ত ও উপরিউক্ত (১) উপ-বিধিতে বর্ণিত ভিন্নরূপ কোন বিধান ছাড়া ডিক্রীজারির প্রত্যেক দরখাস্ত দরখাস্তকারী দ্বারা বা আদালতের পরিতুষ্টি অনুযায়ী মামলার ঘটনার সাথে পরিচিত বলে প্রমাণিত অপর কোন লােক দ্বারা লিখিত, স্বাক্ষরিত এবং সত্যতা প্রতিপাদনকৃত হতে হবে, এবং সারণীবদ্ধভাবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে, 
ক) মামলার নম্বর;
খ) পক্ষদের নাম;
গ) ডিক্রীর তারিখ;
ঘ) ডিক্রীটি হতে কোন আপিল রুজু করা হয়েছে কিনা;
ঙ) ডিক্রীর পরবর্তীতে পক্ষদের ভিতর বিতর্কিত বিষয়ে কোন পরিশােধ বা অন্যরূপ সমন্বয় সাধন হয়েছে কিনা এবং (যদি কোন) হয়ে থাকে তবে তার পরিমাণ;
চ) ডিক্রী জারির জন্য আগে কোন দরখাস্ত করা হয়েছে কিনা এবং (যদি কোন) করা হয়ে থাকে কিরূপ দরখাস্ত করা হয়েছে উক্তরূপ দরখাস্তের তারিখ ও ফলাফল;
ছ) ডিক্রীর উপর প্রাপ্য সুদ সহ (যদি কোন) টাকার পরিমাণ বা এর দ্বারা মঞ্জুরীকৃত অপর কোন প্রতিকার, জারি হবার জন্য প্রার্থিত ডিক্রীর তারিখের আগে বা পরে কোন পাল্টা ডিক্রী প্রদত্ত হয়ে থাকলে এর বিবরণ;
জ) মঞ্জুরীকৃত খরচাদি (যদি কোন) পরিমাণ;
ঝ) যে লােকের বিরুদ্ধে ডিক্রী জারি আবেদন করা হয় তার নাম; এবং
ঞ) নিম্নোক্ত যে পদ্ধতিতে আদালতে সাহায্যের দরকার হয়, উহা
১. সুস্পষ্টভাবে ডিক্রীপ্রাপ্ত কোন সম্পত্তি অর্পণের দ্বারা,
২. কোন সম্পত্তির ক্রোক এবং নিলাম বিক্রয়ের দ্বারা বা ক্রোক ছাড়া নিলাম বিক্রয় দ্বারা,
৩. কোন লােকের গ্রেফতার এবং কারাগারে আটকের দ্বারা,
৪. তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্তির দ্বারা,
৫. মঞ্জুরীকৃত প্রতিকারের ধরনে দরকার হতে পারে এই রকম অপর কোনভাবে হতে পারে।
৩) উপরিউক্ত (২) উপ-বিধির অধীনে যে আদালতে দরখাস্ত করা হবে, সে আদালত দরখাস্তকারীকে ডিক্রীর একটি প্রত্যায়িত নকল পেশ করতে তলব করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ১২ দায়িকের দখলে নাই এইরুপ অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের জন্য দরখাস্ত

যেক্ষেত্রে রুজু দেনাদারের মালিকানাধীন অথচ দখলে নাই এইরুপ কোন অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের জন্য দরখাস্ত পেশ করা হয়, তদক্ষেত্রে ডিক্রীদার যুক্তিসঙ্গতভাবে সঠিক বর্ণনাসহ ক্রোক হবে এই রকম সম্পত্তির একটি ফর্দ দরখাস্ত পত্রের সঙ্গে একত্রিত করে দিতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ১৩ স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের জন্য আবেদনপত্রে কতিপয় বিষয়ের অন্তর্ভূক্তি

যেক্ষেত্রে কোন দায়িকের মালিকানাধীন কোন স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করার জন্য দরখাস্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে আবেদনপত্রের পাদটীকায় নিম্নবর্ণিত বিষয়গুলাে উল্লেখ থাকবে-
ক) সম্পত্তি সনাক্ত হতে যথেষ্ট হয় এইরুপ বিবৃতি সেটেলমেন্ট রেকর্ডের বা জরিপের রেকর্ডে চৌহদ্দি এবং সংখ্যা দ্বারা সনাক্ত হতে পারে এইরুপ সম্পত্তির ক্ষেত্রে অনুরূপ চৌহদ্দি বা সংখ্যার বিশদ বিবরণ; এবং
খ) দরখাস্তকারীর বিশ্বাস মতে উক্ত সম্পত্তিতে দায়িকের অংশ বা স্বার্থের বহুল বর্ণনা এবং যতদূর সম্ভব সে তা ধার্য করতে সামর্থবান হয়েছে তার বিবরণ উল্লেখ থাকবে।

আদেশ ২১ বিধি ১৪ কতিপয় ক্ষেত্রে কালেক্টরের রেজিষ্টার হতে নিবন্ধ গ্রন্থের অংশের সত্যায়িত নকল চাওয়ার ক্ষমতা

যেক্ষেত্রে কালেক্টরের অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত কোন ভুমি ক্রোকের জন্য দরখাস্ত করা হয় সেক্ষেত্রে আদালত ভুমি বা তার রাজস্বের মালিক হিসেবে নিবন্ধিত বা হস্তান্তরের যােগ্য স্বত্বের দখলকার হিসেবে বা ভূমির জন্য রাজস্ব প্রদানে দায়ী হিসেবে নিবন্ধিত লােকদের বা নিবন্ধিত মালিকদের অংশে পরিমাণ উল্লেখ করে সে অফিসের নিবন্ধক হতে প্রত্যায়িত সংশ্লিষ্ট অংশ পেশ করতে দরখাস্তকারীকে আদেশ করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ১৫ যৌথ ডিক্রীদার দ্বারা জারির জন্য দরখাস্ত

১) যেক্ষেত্রে একাধিক লােকের অনুকূলে যৌথভাবে ডিক্রী প্রদান করা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ডিক্রীতে বিপরীত কোন শর্ত আরােপিত না থাকলে তাদের এক বা একাধিক লােক তাদের সকলের স্বার্থে বা যেক্ষেত্রে তাদের কোন একজন মারা গেলে তার উত্তরজীবী এবং মৃত লােকের বৈধ প্রতিনিধিগণের উপকারার্থে সমগ্র ডিক্রী জারির জন্য দরখাস্ত করতে পারে।
২) যেক্ষেত্রে আদালত এই বিধির আওতাধীনে দরখাস্ত এর উপর ডিক্রীটির জারি করার অনুমতির জন্য সংগত মনে করেন, সেক্ষেত্রে আবেদনপত্রে যুক্ত হয় নাই, তাদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য আদালতে দরকারি বিবেচনা করে উক্তরূপ আদেশ দান করবে।

আদেশ ২১ বিধি ১৬ ডিক্রী হস্তান্তর গ্রহীতা দ্বারা জারির জন্য দরখাস্ত

যেক্ষেত্রে কোন ডিক্রী বা দুই বা ততােধিক লােকের অনুকূলে কোন ডিক্রী হয়ে থাকে, তখন কোন ডিক্রীদারের স্বার্থ লিখিত স্বত্বাৰ্পণ দ্বারা বা আইনের প্রক্রিয়াবলে হস্তান্তরিত হলে সেক্ষেত্রে হস্তান্তর গ্রহীতা ডিক্রীদাতা আদালতে জারির জন্য দরখাস্ত করতে পারেন এবং ডিক্রীটি ঐ ডিক্রীদার দ্বারা দরখাস্ত করা হয়েছিল গণ্যে একই পদ্ধতিতে এবং শর্ত সাপেক্ষে জারি করা যেতে পারে। তবে শর্ত হল যে, যেক্ষেত্রে ডিক্রী বা উপরে বর্ণিত অনুরূপ স্বত্বাৰ্পণ হস্তান্তরিত হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে হস্তান্তরকারী এবং দায়িককে ঐ দরখাস্তের নােটিশ প্রদান করা হবে এবং আদালত তা জারিতে তাদের আপত্তি (যদি কোন) শুনানী না করা অবধি ডিক্রী করা জারি হবে না। তবে আরও শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে দুই বা ততােধিক লােকের বিরুদ্ধে টাকা পরিশােধের ডিক্রী উহাদেরই একজনের কাছে হস্তান্তরিত হয়, সেক্ষেত্রে অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জারি করা যাবে না।

আদেশ ২১ বিধি ১৭ ডিক্রী জারির জন্য আবেদনপত্র গ্রহণের পর পদ্ধতি

১) বিধি ১১ এর উপ-বিধি (২) এর বিধান অনুযায়ী ডিক্রী জারির জন্য আবেদনপত্র প্রাপ্তির পর আদালত মামলায় প্রয়ােগযােগ্য হতে পারে এরূপ বিধি ১১ হতে ১৪ পর্যন্ত বর্ণিত বিধানসমূহ পালন করা হয়েছে কিনা ধার্য করবে; এবং যদি তা প্রতিপালন করা না হয়ে থাকে, তবে আদালত আবেদনপত্রটি অগ্রাহ্য করতে পারে, বা সঙ্গে সঙ্গে বা তদ্বারা কোন নির্ধারিত সময়ের ভিতর উক্ত ত্রুটি সংশােধনের অনুমতি প্রদান করতে পারবে।
২) উপবিধির (১) এর বিধানের অধীনে আবেদনপত্র ত্রুটিমুক্ত হলে তা আইন অনুযায়ী দাখিলী আবেদনপত্র এবং প্রথম উপস্থাপিত হওয়ার তারিখে উত্থাপিত হয়েছিল বলে পরিগণিত হবে।
৩) এই বিধির অধীনে প্রণীত প্রতিটি সংশােধনী বিচারক দ্বারা স্বাক্ষরিত বা আদ্যক্ষর‌ যুক্ত মতে স্বাক্ষরিত হতে হবে।
৪) আবেদনপত্রটি গৃহীত হলে আদালত আবেদনপত্র সম্পর্কে মন্তব্য এবং যে তারিখে তা পেশ করা হয়েছিল তা সঠিক নিবন্ধন বহিতে লিখিত করবে এবং অতঃপর বর্ণিত বিধানগুলাে সাপেক্ষে আবেদনপত্রের ধরণ অনুযায়ী ডিক্রী জারি করার আদেশ দান করবে। তবে শর্ত হল যে, টাকা পরিশােধের ডিক্রীর ক্ষেত্রে ক্রোকাবদ্ধ সম্পত্তির মূল্য যে পরিমিত হতে পারে তা ডিক্রীর অধীনে দেয় টাকার সমান হতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ১৮ পাল্টা ডিক্রী সময়ের ক্ষেত্রে জারি

যে ক্ষেত্রে একই পক্ষসমূহের ভিতর ভিন্ন মামলায় টাকার দুইটি অংশ পরিশোধের জন্য ইতোপূর্বে প্রদান করা পাল্টা ডিক্রীগুলো জারির জন্য আদালতে দরখাস্ত পেশ করা হয় এবং তা ওই আদালতের দ্বারা একই সময়ে জারি যোগ্য হয়, সেক্ষেত্রে-
ক) যদি দুইটি অংক সমান হয়, তা হলে মিটানাের ব্যাপারে উভয় ডিক্রীতে লিখিত থাকবে এবং
খ) যদি দুইটি অংক অসমান হয়, তা হলে শুধুমাত্র বৃহৎ অংকের ডিক্রীদার, ক্ষুদ্রতর অংক বিয়ােজন করার পর ডিক্রীতে যা বাদ বাকী থাকে, তার জন্য ডিক্রী জারি করতে পারে, এবং ক্ষুদ্রতর অংকের সন্তুষ্টির ব্যাপারটি বৃহৎ অংকের ডিক্রীতে এবং ক্ষুদ্রতর অংকের ডিক্রীতেও লিখিত থাকতে হবে।
২) যে কোন পক্ষ ডিক্রীসমূহের একটির স্বত্বাৰ্পণ-গ্রহীতা হয় তবে স্বত্বাৰ্পণ-গ্রহীতার দ্বারা দেয় রায়ের দেনার ন্যায় মূল স্বত্ব নিয়ােজকের দেয় রায়ের দেনা সম্পর্কে এই বিধির প্রয়ােগযােগ্য বলে গণ্য হবে।
৩) এই বিধি প্রয়ােগযােগ্য বলে গণ্য হবে না, যদি না
ক) ডিক্রী প্রদত্ত হয়েছে এরূপ মামলাগুলির একটির ডিক্রীদার অন্যটির দায়িক না হয়, এবং উভয় মামলায় প্রত্যেক পক্ষ একই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ করে, এবং
খ) ডিক্রী অনুযায়ী প্রাপ্য অংক সুনির্দিষ্ট না হয়।
৪) যে ডিক্রী কতিপয় লােকের বিরুদ্ধে যৌথ এবং আলাদাভাবে প্রদত্ত হয়েছে, তার ডিক্রীদার তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত একক ডিক্রী এবং কতিপয় লােকের ভিতর এক বা একাধিক জনের অনুকূলে প্রদত্ত ডিক্রীর পাল্টা ডিক্রী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

পাল্টা ডিক্রীর উদাহরণগুলাে

ক) ক;, ‘খ’-এর বিরুদ্ধে ১,০০০/ টাকার একটি ডিক্রী লাভ করে। খ, ক-এর বিরুদ্ধে এই মর্মে একটি ডিক্রী লাভ করে যে কোন ভবিষ্যৎ তারিখে ‘ক' মাল সরবরাহ করতে অপারগ হলে ‘খ’ ‘ক'-এর কাছে ১,০০০/ টাকা আদায় করতে পারবে। এই ক্ষেত্রে তার অনুকূলে প্রদত্ত ডিক্রীটিকে এই বিধির আওতাধীনে পাল্টা ডিক্রী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না।
খ) ক' এবং 'খ', সহবাদী হিসেবে ‘গ'-এর বিরুদ্ধে ১,০০০/ টাকার একটি ডিক্রী পায় এবং ‘গ’, ‘খ'-এর বিরুদ্ধে ১,০০০ টাকার একটি ডিক্রী পায়। এতদক্ষেত্রে ‘গ', তার ডিক্রীটিকে এই বিধির আওতাধীনে পাল্টা ডিক্রীরূপে ব্যবহার করতে পারবে না।
গ) ক, খ'-এর বিরুদ্ধে ১,০০০/ টাকার একটি ডিক্রী পায়। খ'-এর জিম্মাদার হিসেবে ‘খ’-এর পক্ষে ‘গ’, ‘ক'-এর বিরুদ্ধে ১,০০০/ টাকার একটি ডিক্রী পায়। এতদ্‌ক্ষেত্রে ‘খ’, ‘গ'-এর ডিক্রীকে এই বিধির অধীনে পাল্টা ডিক্রীরূপে ব্যবহার করতে পারবে না।
ঘ) একটি ডিক্রী অনুযায়ী ‘ক', ‘খ’, ‘গ’, ‘ঘ', এবং 'ঙ' যৌথ এবং আলাদাভাবে ‘চ'এর প্রাপ্ত একটি ডিক্রী অনুযায়ী ১,০০০/ টাকার জন্য দায়ী। ক', ‘চ'-এর বিরুদ্ধে এককভাবে ১,০০০/টাকর জন্য একটি ডিক্রী লাভ করে এবং যে আদালতের দ্বারা যৌথ ডিক্রীটি জারি হচ্ছে, সে আদালতে জারির জন্য দরখাস্ত পেশ করে। 'চ', তার যৌথ ডিক্রীটিকে এই বিধির অধীনে পাল্টা ডিক্রীরূপে ব্যবহার করতে পারে ।

আদেশ ২১ বিধি ১৯ একই ডিক্রী পাল্টা দাবির ক্ষেত্রে জারি

যেক্ষেত্রে যে ডিক্রী অনুযায়ী দুইপক্ষ পরস্পরের কাছে টাকা আদায়ের অধিকার লাভ করে, সে ডিক্রী জারির জন্য আদালতে দরখাস্ত করা হলে, সেক্ষেত্রে
ক) যদি দুইটি অংক সমান হয়, তা হলে উভয়টির পরিতুষ্টি ডিক্রীর উপর লিখিতে হবে; এবং
খ) যদি দুইটি অংক অসমান হয়, তা হলে যে পক্ষ বৃহত্তর পরিমাণ অংকের অধিকারী, সেপক্ষ ক্ষুদ্রতর অংশ বাদে কেবল অবশিষ্ট অংকের টাকার জন্য ডিক্রী জারি করাতে পারবে এবং ক্ষুদ্রতর অংকের জন্য ডিক্রীতে পরিতুষ্টির বিষয়টি লিখিত করতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ২০ বন্ধকের মামলায় পাল্টা ডিক্রী এবং পাল্টা দাবি

কোন বন্ধক বা দায় কার্যকর করণের জন্য প্রাপ্ত নিলামে বিক্রয়ের ডিক্রীর ক্ষেত্রে ১৮ হতে ১৯ বিধিতে অন্তর্ভূক্ত বিধানসমূহ প্রয়ােগযােগ্য হবে।

আদেশ ২১ বিধি ২১ যুগপৎ জারি

আদালত তার ঐচ্ছিক ক্ষমতায় একই সঙ্গে দায়িকের লােক ও সম্পত্তির উপর ডিক্রী জারি করতে অস্বীকার করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ২২ কতিপয় ক্ষেত্রে জারির বিরুদ্ধে কারণ দর্শাতে নােটিশ

১) যেক্ষেত্রে জারির জন্য দরখাস্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে
ক) ডিক্রীর তারিখ হতে দুই বৎসর এর বেশি সময় পর; অথবা
খ) ডিক্রীর কোন পক্ষের বৈধ প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বা যেক্ষেত্রে ৪৪ক ধারার বিধানসমূহ অনুযায়ী পেশ করা কোন ডিক্রীজারির জন্য দরখাস্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে নির্বাহী আদালত যার বিরুদ্ধে ডিক্রী ধার্যকৃত তারিখে কেন জারি করা হবে না, সে মর্মে কারণ দর্শাইবার জন্য নােটিশ প্রদান করবেন। তবে শর্ত হল যে, যদি ডিক্রীর তারিখ জারির আবেদনপত্রের তারিখের ভিতর দুই বছর অতিবাহিত হওয়ার ফলে যদি উক্ত আবেদনপত্রটি যে পক্ষের বিরুদ্ধে জারির দরখাস্ত করা হয়েছে সে পক্ষের কোন পূর্ববর্তী জারির আবেদনপত্রে প্রদত্ত শেষ আদেশ প্রদানের তারিখ হতে দুই বছরের ভিতর পেশ করা হয়ে থাকে, বা দায়িকের বিরুদ্ধে জারির দরখাস্ত করার দরুণ যদি জারির জন্য দাখিলকৃত পূর্ববর্তী আবেদনপত্রটির প্রেক্ষিতে আদালত একই লােকের বিরুদ্ধে জারির আদেশ প্রদান করে থাকেন, তবে এই সব ক্ষেত্রে অনুরূপ নােটিশ দেয়ার দরকার হবে না।
২) আদালত যদি বিবেচনা করে যে, ঐ নােটিশ দিতে হলে অযৌক্তিক বিলম্ব ঘটিবে, বা তদ্বারা ন্যায় বিচার পরাহত করবে, তা হলে আদালত উক্ত কারণ লিখিত করে উক্ত মতে নির্ধারিত নােটিশ প্রেরণ ছাড়া ডিক্রীজারিকে কোন পরােয়ানা পাঠাতে পূর্ববর্তী নিয়মের কোন বিধান আদালতকে বারণ করবে বলে মনে করা যাবে ন।
৩) উপরে বর্ণিত উপবিধি (১) মতে নােটিশ প্রেরণ বা উপবিধি (২) মতে নােটিশ প্রদান পরিত্যাগ করলে তার কারণগুলাে লিখিত না করার ফলে ডিক্রী জারির কোন আদেশ অবৈধ হবে না, যদি না অনুরূপ বর্জনের কারণে দায়িক কোন পর্যাপ্ত ক্ষতি ভােগ করে।

আদেশ ২১ বিধি ২৩ নােটিশ জারির পরে পদ্ধতি

১) যেক্ষেত্রে শেষ পূর্বোক্ত বিধি অনুযায়ী যে লােক বরাবর নােটিশ দেয়া হয়েছে, সে যদি হাজির না হয়, বা ডিক্রী জারি হবে না কেন সে মর্মে যদি আদালতের সন্তুষ্টি সহকারে কারণ না দর্শায় সেক্ষেত্রে আদালত ঐ ডিক্রী জারি করার আদেশ প্রদান করবে।
২) যেক্ষেত্রে ঐ লােকের ডিক্রী জারিতে কোন আপত্তি প্রদান করে সেক্ষেত্রে আদালত ঐরূপ আপত্তি বিবেচনা করবে এবং যেরূপ সঙ্গত মনে করেন, সেরূপ আদেশ দিবেন।

ডিক্রী বা আদেশ জারির জন্য পরােয়ানা

আদেশ ২১ বিধি ২৪ জারির জন্য পরােয়ানা

১) পূর্বোক্ত নিয়ামবলিতে দরকারি প্রাথমিক (যদি কোন) উপায়গুলাে গ্রহণের পর বিপরীত কোন কারণ না দেখিলে আদালত এর ডিক্রী জারির জন্য প্রেরণ করবে।
২) অনুরূপ প্রত্যেক পরােয়ানায় তা প্রেরণের দিন তারিখ প্রদান করা হয় এবং আদালত বা তৎপক্ষে নিযুক্ত কর্মচারী দ্বারা তা স্বাক্ষরিত হবে এবং আদালতের সীল মােহরে সীল মােহরাঙ্কিত করা হবে ও জারির জন্য সঠিক কর্মচারীর কাছে অর্পণ করা হবে।
৩) অনুরূপ প্রত্যেক পরােয়ানায় যে তারিখে বা যে তারিখের আগে তা জারি হবে তা উল্লেখ থাকবে।

আদেশ ২১ বিধি ২৫ পরােয়ানার উপর পৃষ্ঠলেখ

১) পরােয়ানা জারির সঙ্গে ন্যাস্ত কর্মকর্তা তা জারি করার তারিখ ও পদ্ধতি পরােয়ানা জারির পর তা ফেরত প্রদান করার শেষদিন অতিবাহিত হয়ে যায়, তা হলে বিলম্বের কারণ, বা পরােয়ানাটি জারি না হয়ে থাকলে তা জারি না হওয়ার কারণ পরােয়ানার উল্টাপৃষ্ঠে লিখিত করবে এবং অনুরূপ পৃষ্ঠলেখসহ পরােয়ানা ফেরত প্রদান করবে।
২) যেক্ষেত্রে পৃষ্ঠলেখ এরূপ হয় যে, উক্ত কর্মকর্তা পরােয়ানা করতে অসমর্থ, সেক্ষেত্রে আদালত বর্ণিত অসামর্থতা সম্পর্কে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করবে এবং দরকার মনে করলে সাক্ষীকে সমন দিয়ে অনুরূপ অপারগতা সম্পর্কে সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারবে এবং ফলাফল লিখিত করবে।

আদেশ ২১ বিধি ২৬ আদালত কখন জারি স্থগিত করতে পারে

১) কোন ডিক্রী জারির জন্য যে আদালতে প্রেরীত হয়েছে, সে আদালত দায়িককে ডিক্রী প্রদানকারী আদালতে বা উক্ত ডিক্রী বা তা জারি সম্পর্কে আপিলের এখতিয়ার সম্পন্ন কোন আদালতে জারি স্থগিত রাখিতে আদেশের জন্য বা উক্ত প্রথম আদালত বা আপিল আদালত দ্বারা পরােয়ানা প্রেরিত হয়ে থাকলে বা তথায় জারির দরখাস্ত করা হয়ে থাকলে যেরূপ আদেশ দান করতে পারিতেন তৎসম্পর্কে কোন আদেশের জন্য আদালতে দরখাস্ত করার ক্ষমতা দেয়ার জন্য যথেষ্ট কারণ দর্শানাে হলে যুক্তিসম্মত সময়ের জন্য অনুরূপ ডিক্রী জারি স্থগিত রাখিবে।
২) যেক্ষেত্রে দায়িকের সম্পত্তি জারি প্রক্রিয়ার আওতাধীনে আটক করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে জারির আদেশ প্রদানকারী আদালত দরখাস্তের ফলাফল বিচারাধীন রেখে সম্পত্তি পুনরুদ্ধার বা দায়িককে মুক্ত করতে আদেশ প্রদান করতে পারে ।
৩) দায়িক হতে জামানত তলব করতে বা শর্ত আরােপ করতে ক্ষমতা ও জারি স্থগিত করার বা সম্পত্তি উদ্ধার বা দায়িককে মুক্তি দেয়ার আদেশ প্রদানের তলব করতে বা তার উপর কোন শর্তাবলি আরােপ করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ২৭ মুক্তিপ্রাপ্ত দায়িকের রায়

জারির জন্য প্রেরিত কোন ডিক্রী জারির ক্ষেত্রে দায়িকের সম্পত্তি বা পুনরুদ্ধার করতে‌ হলে ২৬ বিধির আওতাধীনে কোন পুনরুদ্ধার বা মুক্তির আদেশ তা বারিত করবে না।

আদেশ ২১ বিধি ২৮ ডিক্রীদাতা আদালত বা আপিল আদালতের আদেশ যে আদালতে দরখাস্ত করা হয়েছে সে আদালতের উপর বাধ্যকর

যে আদালত ডিক্রীদান করেছে বা ডিক্রীর উপর যে আদালতের পূর্বোক্ত অনুরূপ আপিল এখতিয়ার আছে, তৎদ্বারা উক্ত ডিক্রী জারি করা সম্পর্কে কোন আদেশ প্রদান করা হয়ে থাকলে, তা যে আদালতে ডিক্রীটি জারির জন্য প্রেরীত হয়েছে সে আদালতের উপর বাধ্যকর হবে।

আদেশ ২১ বিধি ২৯ ডিক্রীদার এবং দায়িকের ভিতর মামলা বিচারাধীন থাকলে জারি স্থগিত রাখা

যেক্ষেত্রে যে লােকের বিরুদ্ধে কোন ডিক্রী প্রদান করা হয়েছে, সে লােকের পক্ষে যদি কোন মামলা এমন কোন লােকের বিরুদ্ধে বিচারাধীন থাকে, সেক্ষেত্রে যে লােক উক্ত আদালতের কোন ডিক্রীর অধিকারী হয়, তা হলে আদালত জামানত বা অপর কোন কিছু সম্পর্কে যেরূপ যথাযথ মনে করে, সেরূপ শর্ত সাপেক্ষে বিচারাধীন মামলা সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ডিক্রী জারি স্থগিত রাখিতে পারে ।

ডিক্রি জারি পদ্ধতি

আদেশ ২১ বিধি ৩০ টাকা পরিশােধের জন্য ডিক্রী

অন্য কোন প্রতিকারের বিকল্প হিসেবে টাকা পরিশােধের জন্য ডিক্রীসহ পরিশােধের প্রত্যেক ডিক্রী দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক করে বা তার সম্পত্তি ক্রোক এবং বিক্রয় করে বা উভয় প্রকারে জারি হতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৩১ সুনির্দিষ্ট অস্থাবর সম্পত্তির ডিক্রী

১) যেক্ষেত্রে ডিক্রীটি কোন সুনির্দিষ্ট অস্থাবর সম্পত্তি বা তার কোন অংশের জন্য ডিক্রী হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত অস্থাবর সম্পত্তি বা অংশ, সম্ভবপর হলে বাজেয়াপ্ত করে এবং যে পক্ষের অনুকূলে রায় দেয়া হয়েছে সে পক্ষের বা অর্পণ গ্রহণের জন্য তৎদ্বারা নিযুক্ত অনুরূপ লােককে অর্পণ করে বা দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে আটক করে বা তার সম্পত্তি ক্রোক করে বা উভয় প্রকারেই এটা জারি করা যাবে।
২) যেক্ষেত্রে উপবিধি (১) অনুযায়ী কোন ক্রোক ছয় মাস অবধি কার্যকর আছে, সেক্ষেত্রে দায়িক যদি ডিক্রী অমান্য করে থাকে এবং ডিক্রীদার ক্রোককৃত সম্পত্তি বিক্রয় করতে দরখাস্ত করে থাকে সেক্ষেত্রে অনুরূপ সম্পত্তি বিক্রয় হতে পারে এবং অস্থাবর সম্পত্তি অর্পণের বিকল্প হিসেবে কোন অর্থ প্রদানের জন্য কোন পরিমাণ ডিক্রী নির্ধারিত থাকলে সে পরিমাণ অংকের টাকা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে এটা যথাযথ বিবেচনা মতে এরূপ ক্ষতিপূরণ সম্পত্তির বিক্রয় লব্ধ অর্থ হতে ডিক্রীদারকে প্রদান করার এবং উদ্ধৃতাংশ (যদি কোন) দায়িকের আবেদনক্রমে আদালত তাকে প্রদানের আদেশ প্রদান করতে পারে ।
৩) যেক্ষেত্রে দায়িক ডিক্রী মান্য করেছে এবং ডিক্রী জারির যাবতীয় খরচ যা সে পরিশােধ করতে বাধ্য, তা পরিশােধ করেছে, বা যেক্ষেত্রে ক্রোকের তারিখ হতে ছয় মাস শেষে সম্পত্তি বিক্রয় করার জন্য কোন দরখাস্ত করা না হলে বা যদি দরখাস্ত করা হলেও তা অস্বীকৃত হয়, সেক্ষেত্রে ক্রোক মুক্ত হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৩২ সুনির্দিষ্ট সম্পদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার বা নিষেধাজ্ঞার জন্য ডিক্রী

১) যেক্ষেত্রে কোন পক্ষের বিরুদ্ধে কোন চুক্তির সুনির্দিষ্ট সম্পাদনের জন্য বা দাম্পত্য স্বত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য বা নিষেধাজ্ঞার জন্য ডিক্রী প্রদত্ত হয়েছে এবং সে পক্ষ উক্ত ডিক্রী মান্য করার সুযােগ পেয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে তা মান্য করতে অবহেলা করেছে, সেক্ষেত্রে দাম্পত্য স্বত্ব পুনরুদ্ধারের জন্য ডিক্রীর বেলায় তার সম্পত্তি ক্রোক করে বা কোন চুক্তির সুনির্দিষ্ট সম্পাদনের বা নিষেধাজ্ঞার ডিক্রীর বেলায় তাকে দেওয়ানী কারাগারে আটকের দ্বারা বা তার সম্পত্তি ক্রোক করে বা উভয় প্রকারে ডিক্রী কার্যকর করা যেতে পারে ।
২) যেক্ষেত্রে কোন পক্ষের বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট সম্পাদন বা কোন নিষেধাজ্ঞার জন্য ডিক্রী দান করা হয়েছে, অনুরূপ পক্ষ কোন কর্পোরেশন হয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে উক্ত কর্পোরেশনের সম্পত্তি ক্রোক করে বা আদালতের অনুমতিক্রমে তার পরিচালকদের বা অন্যান্য প্রধান কর্মকর্তাদের দেওয়ানী কারাগারে আটক করে বা ক্রোক এবং আটক উভয়‌ প্রকারে ডিক্রী কার্যকর করা যেতে পারে।
৩) যেক্ষেত্রে উপবিধি (১) বা উপবিধি (২) এর আওতাধীনে কোন ক্রোক এক বৎসরের জন্য কার্যকর আছে, সেক্ষেত্রে যদি দায়িক ডিক্রীটি অমান্য করে থাকে এবং ডিক্রীদার ক্রোককৃত সম্পত্তি বিক্রয় করতে দরখাস্ত করে থাকে, তা হলে অনুরূপ সম্পত্তি হতে এবং বিক্রয়লব্ধ অর্থ হতে আদালত যেরূপ ক্ষতিপূরণ সঙ্গত মনে করেন, ডিক্রীদারকে সে পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে পারেন এবং উদ্ধৃতাংশ (যদি কোন) দায়িককে তার আবেদনক্রমে প্রদান করবেন।
৪) যেক্ষেত্রে দায়িক ডিক্রী মান্য করেছে, এবং তা জারি করতে সকল খরচ, যা সে প্রদান করতে বাধ্য, তা পরিশােধ করেছে, বা যেক্ষেত্রে ক্রোকের তারিখ হতে এক বৎসর শেষে সম্পত্তি বিক্রয় করতে দরখাস্ত করা হয় নাই, বা করা হলে তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ক্রোক মুক্ত হবে।
৫) যেক্ষেত্রে কোন চুক্তির সুনির্দিষ্ট সম্পাদন বা নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী মান্য করা হয় নাই, সেক্ষেত্রে আদালত পূর্বোক্ত কর্মধারাসমূহের সব বা কোন একটির পরিবর্তে বা অতিরিক্ত নির্দেশ দিতে পারে যে, রায়ের দায়িকের খরচায় ডিক্রীদার বা আদালত দ্বারা নিযুক্ত অপর কোন লােকের দ্বারা দরকারি কর্মটি যথাসম্ভব সম্পন্ন করা যাবে এবং কর্মটি করা হলে আদালতের নির্দেশিত পদ্ধতিতে তার খরচা নিরূপণ করা যাবে এবং তা যেভাবে ডিক্রীতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে, সেভাবে আদায় করা যেতে পারে।

সুনির্দিষ্ট সম্পদ, দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার বা নিষেধাজ্ঞার জন্য ডিক্রী উদাহরণ

‘ক', একজন সীমিত ক্ষুদ্র অবস্থাপন্ন লােক, একটি দালান নির্মাণ করে, যা খ' এর পারিবারিক দালানকে বাসের অযােগ্য করে। ক', তাকে দেয়ানী কারাগারে আটক এবং তার সম্পত্তি ক্রোক করা সত্বেও তাকে দালান অপসারণ করতে নির্দেশ সম্বলিত ‘খ'-এর প্রাপ্ত ডিক্রীটি মান্য করতে অস্বীকার করে। আদালত মনে করে যে, ‘খ’-এর অট্রালিকার যে মূল্যহানি হয়েছে তা ‘ক'-এর সম্পত্তির বিক্রয়লব্ধ অর্থ দ্বারা যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে, ‘খ’ উক্ত দালান অপসারণ করার জন্য আদালতে দরখাস্ত করতে
পারে এবং জারি কর্মধারায় ‘ক' হতে ঐ অপসারণের খরচাদি আদায় করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৩৩ দাম্পত্য স্বত্ব পুনরুদ্ধারের ডিক্রী জারিতে আদালতের ক্ষমতা

১) আদালত ৩২ বিধির অপর কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও কোন স্বামীর বিরুদ্ধে দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধারের ডিক্রী প্রদান করার সময় বা পরবর্তী কোন সময়ে আদালত আদেশ প্রদান করতে পারে যে, এই বিধিতে বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী ডিক্রী জারি হতে পারে।
২) যেক্ষেত্রে আদালত উপবিধি (১) এর অধীনে কোন আদেশ প্রদান করেছে, সেক্ষেত্রে এটারও আদেশ প্রদান করতে পারে যে, ডিক্রীটি যদি এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত মেয়াদের ভিতর মান্য করা না হলে দায়িক দ্বারা ডিক্রীদারকে উক্ত সাময়িক পরিশােধের জন্য এর জামানত রাখিবে বলে নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে।
৩) আদালত উপবিধি (৩) এর অধীনে সাময়িক পরিশােধের জন্য প্রদত্ত আদেশ সময়ে সময়ে পরিবর্তন বা সংশােধন করে উক্ত অর্থ প্রদানের সময় পরিবর্তন করতে পারে‌ বা অর্থের পরিমাণ হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারে এবং এর বিবেচনা মত সামগ্রিক বা আংশিকভাবে তা পুনরায় উজ্জীবিত করতে পারে।
৪) এই বিধির অধীনে কোন টাকা পরিশােধের আদেশ প্রদান করা হলে তা টাকা পরিশােধের ডিক্রীর ন্যায় আদায় করা যাবে।

আদেশ ২১ বিধি ৩৪ দলিল সম্পাদন বা হস্তান্তরযােগ্য দলিল অনুমােদনের জন্য ডিক্রী

১) যেক্ষেত্রে কোন দলিল সম্পাদন করার জন্য বা হস্তান্তরযােগ্য দলিল অনুমােদনের জন্য হয় এবং দায়িক ডিক্রী মান্য করতে অবহেলা বা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, সেক্ষেত্রে ডিক্রীদার ডিক্রীর শর্ত অনুযায়ী দলিলের বা অনুমােদনের একটি খসড়া তৈরি করতে পারে এবং তা আদালতে পেশ করতে পারে।
২) তৎপর আদালত ঐ খসড়াটির সঙ্গে তৎসম্পর্কে কোন আপত্তি (যদি কোন) আদালত কর্তৃক-উহার পক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর উত্থাপনের একটি নােটিশসহ দায়িকের
খসড়া প্রেরন করাবে।
৩) যেক্ষেত্রে দায়িক উক্ত খসড়ায় আপত্তি করে, সেক্ষেত্রে তার আপত্তি অনুরূপ সময়ের ভিতর লিখিতভাবে বর্ণিত হবে এবং আদালত যথাবিহিত খসড়া অনুমােদন বা পরিবর্তন করে এর বিবেচনামত যথাযথ আদেশ দিবে।
৪) ডিক্রীদার আদালতের আদেশ অনুযায়ী অনুরূপ পরিবর্তন সহ (যদি কোন) খসড়ার একখানা নকল যদি সময়কালীন কার্যকর আইন অনুযায়ী দরকার হয়, যথাযথ স্ট্যাম্প কাগজে প্রস্তুত করে আদালতে প্রদান করবেন, এবং বিচারক বা এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্তি এরূপ কর্মকর্তা এভাবে প্রদত্ত দলিল সম্পাদন করবে।
৫) এই বিধির অধীনে দলিল সম্পাদন বা হস্তান্তরযােগ্য দলিলের অনুমােদন নিম্নলিখিত আকারে হতে পারে, যথা: ক', 'খ'-এর বিরুদ্ধে ‘ঙ' ‘চ' দ্বারা আনীত মামলায় ‘ক', 'খ'-এর পক্ষে ‘গ’, ‘ঘ'......আদালতের বিচারক (বা ক্ষেত্র বিশেষে যেরূপ হতে পারে) এবং সম্পাদন বা অনুমােদন করতে আদিষ্ট পক্ষ দ্বারা দলিলটি সম্পাদিত হলে বা হস্তান্তর যােগ্য দলিলাদিতে অনুমােদন হলে তার যেরূপ ফল হত, উক্তরূপ সম্পাদন এবং প্রত্যয়নমূলক লিখনের ফলও একই হবে।
৬) উক্ত দলিল যদি সময়কালীন কার্যকর আইন অনুযায়ী বা ডিক্রীদারের ইচ্ছা অনুযায়ী নিবন্ধিত করার দরকার হয়, তবে আদালত বা এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা তা নিবন্ধিত করাবে এবং নিবন্ধন করার খরচ প্রদান সম্পর্কে আদালত যেরূপ যথাযথ মনে করেন, সেরূপ আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৩৫ স্থাবর সম্পত্তির জন্য ডিক্রী

১) যেক্ষেত্রে কোন স্থাবর সম্পত্তি অর্পণের জন্য ডিক্রী প্রদান করা হয়, সেক্ষেত্রে যে পক্ষের অনুকূলে রায় হয়েছে, সে পক্ষের বা তদ্বারা দখল গ্রহণের জন্য নিযুক্ত অপর কোন লােককে তার দখল প্রদান করা যাবে এবং যদি দরকার হয়, তা হলে ডিক্রী দ্বারা বাধ্য কোন লােক সম্পত্তি ত্যাগ করতে অস্বীকার করে ঐ লােককে অপসারণ করে তার দখল অর্পণ করতে পারে।
২) যেক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি যৌথ দখলের জন্য ডিক্রী হয়, সেক্ষেত্রে পরােয়ানার একটি নকল উক্ত সম্পত্তির কোন দৃষ্টি আকর্ষক স্থানে ঝুলিয়ে দিয়ে এবং ডিক্রীর সারমর্ম কোন সুবিধাজনক স্থানে ঢােল-শহরতযােগে বা অপর কোন প্রচলিত পদ্ধতিতে ঘােষণার দ্বারা উক্ত দখল অর্পণ করতে হবে।
৩) যেক্ষেত্রে কোন দালান বেষ্টনীর দখল অর্পণ করতে হয় এবং দখলকার লােক ডিক্রী দ্বারা বাধ্য হয়েও প্রবেশাধিকার প্রদান না করলে সেক্ষেত্রে আদালত তার কর্মকর্তাদের দ্বারা দেশের প্রথা অনুযায়ী জনসমক্ষে হাজির না হওয়া কোন স্ত্রী লােককে তা প্রত্যাহার করতে যুক্তিসঙ্গত সতর্কীকরণ ও সুযােগদানের পর তিনি সেখানকার কোন তালা বা হুড়কা খুলিয়া ফেলিতে বা অপসারণ করতে পারে বা ডিক্রীদারকে দখলে রাখার জন্য দরজা ভেঙ্গে খুলতে বা দরকারি অপর কোন কর্মক্রম করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৩৬ স্থাবর সম্পত্তি প্রজার দখলে থাকাকালে অর্পণের জন্য ডিক্রী

যেক্ষেত্রে কোন প্রজার দখলে থাকা বা দখল করার অধিকারী অপর কোন লােকের স্থাবর সম্পত্তি সমর্পনের ডিক্রী প্রদান করা হয় এবং ডিক্রী দ্বারা উক্ত অধিকার পরিত্যাগ করতে বাধ্য না হয়, সেক্ষেত্রে আদালত উক্ত সম্পত্তির কোন সুবিধাজনক স্থানে পরােয়ানার নকল ঝুলিয়ে এবং উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে ডিক্রীর সারমর্ম কোন সুবিধাজনক স্থানে ঢোল-শহরত যােগে দখলকারীর কাছে ঘােষণা করে সম্পত্তিটি দখল অর্পণের আদেশ প্রদান করবে।

গ্রেফতার এবং দেওয়ানী কারাগারে আটক

আদেশ ২১ বিধি ৩৭ দায়িককে কারাগারে আটকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শাতে অনুমতি দিতে ঐচ্ছিক ক্ষমতা

১) এই বিধানাবলিতে অপর কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও, যেক্ষেত্রে টাকা পরিশোধের জন্য প্রদত্ত ডিক্রী জারির উদ্দেশ্যে দায়িককে এবং দেওয়ানী কারাগারে আটক রেখে ডিক্রী জারির জন্য দরখাস্ত করা হয়, যে লােক উক্ত দরখাস্তের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার হবার যােগ্য, সেক্ষেত্রে আদালত তাকে গ্রেফতারের পরােয়ানা জারির পরিবর্তে কেন তাকে দেওয়ানী কারাগারে সােপর্দ করা হবে না, তার কারণ দর্শাইবার জন্য এবং নােটিশে বর্ণিত কোন দিনে আদালতের সম্মুখে হাজির হতে নােটিশ প্রদান করবে। তবে শর্ত হল যে, আদালত যদি শপথপত্র বা অপর কোন প্রকারে পরিতুষ্ট হয় যে, ডিক্রীজারি বিলম্বিত হওয়ার উদ্দেশ্যে বা কারণে দায়িক আত্মগােপন করার বা আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানা ত্যাগ করার আংশকা আছে তা হলে অনুরূপ নােটিশ প্রদানের
দরকার হবে না।
৩) নােটিশ মান্য করে যেক্ষেত্রে হাজির না হয়, সেক্ষেত্রে ডিক্রীদারের অনুরােধক্রমে আদালত উক্ত দায়িককে গ্রেফতার করার জন্য পরােয়ানা প্রেরণ করবে।

আদেশ ২১ বিধি ৩৮ গ্রেফতারের পরােয়ানায় দায়িককে হাজির করার নির্দেশ থাকবে

দায়িককে গ্রেফতারের জন্য প্রতিটি পরােয়ানায় তাকে যথাসম্ভব শীঘ্র আদালতে হাজির করার জন্য ডিক্রী জারির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হবে, যদি না যে পরিমাণ অর্থ সুদ এবং খরচাসহ (যদি কোন) প্রদানের আদেশ দেয়া হবে ।

আদেশ ২১ বিধি ৩৯ খােরাকী ভাতা Subsistence allowance:

১) কোন দায়িককেই ডিক্রী জারিতে গ্রেফতার করা যাবে না, যদি না এবং যতক্ষণ পর্যন্ত না ডিক্রীদার দায়িককে গ্রেফতার করার তারিখ হতে তাকে আদালতে হাজিরের তারিখ অবধি তার খােরাকীর জন্য বিচারক দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ টাকা ডিক্রীদার আদালতে জমা দেয়।
২) যেক্ষেত্রে ডিক্রী জারিতে কোন দায়িককে দেয়ানী কারাগারে সােপর্দ করা হয়, সেক্ষেত্রে আদালত তার খােরাকীর জন্য ৫৭ ধারার অধীনে নির্ধারিত হার অনুযায়ী যেরকম অধিকারী সেরকম মাসিক ভাতা ধার্য করবে বা যেক্ষেত্রে অনুরূপ কোন হার নির্ধারিত না হয়, সেক্ষেত্রে তার শ্রেণির সূত্রে আদালত যথাযথ বিবেচনা করে নির্ধারিত করবে।
৩) যে পক্ষের আবেদনক্রমে দায়িককে গ্রেফতার করা হয়, আদালত দ্বারা নির্ধারিত মাসিক ভাতা সে পক্ষ মাসিক পরিশােধের দ্বারা প্রতি মাসের প্রথম দিনের আগে অগ্রিম সরবরাহ করবে।
৪) দায়িককে দেওয়ানী কারাগারে সােপর্দ করার আগে চলতি মাসের অবশিষ্ট অসমাপ্ত অংশের জন্য আদালতের সঠিক কর্মকর্তার কাছে প্রথম প্রদেয় টাকা প্রদান করতে হবে এবং তৎপরবর্তীকালে প্রদেয় (যদি কোন) টাকা দেওয়ানী কারাগারে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে প্রদান করা হবে।
৫) দেওয়ানী কারাগারে আটক দায়িকের খােরাকী বাবদ ডিক্রীদারের খরচ মামলার খরচ হিসেবে গণ্য হবে। তবে শর্ত হল যে, ঐ অর্থ ব্যয়ের জন্য দায়িককে গ্রেফতার বা দেওয়ানী কারাগারে আটক করা যাবে না।

আদেশ ২১ বিধি ৪০ নােটিশ মান্য করে এবং গ্রেফতারের পর দায়িক হাজির হলে পরবর্তী কর্মক্রম

১) যেক্ষেত্রে দায়িক ৩৭ বিধির অধীনে প্রদত্ত নােটিশ মান্য করে আদালতে হাজির হয় বা টাকা পরিশােধের ডিক্রী জারির জন্য গ্রেফতার করে তাকে আদালতের সম্মুখে হাজির করা হয়, সেক্ষেত্রে আদালত ডিক্রীদার দ্বারা ডিক্রী জারির দরখাস্তের সমর্থনে ডিক্রীদারের শুনানী আরম্ভ করবে এবং প্রদত্ত সব সাক্ষ্য গ্রহণ করবে এবং তৎপর দায়িককে কেন দেওয়ানী কারাগারে সােপর্দ করা হবে না কারণ দর্শাতে সুযােগ দান করবে।
২) উপবিধি (১) এর অধীনে অনুসন্ধান সমাপ্ত না করে আদালত তার ঐচ্ছিক ক্ষমতায় দায়িককে আদালতের কোন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে আটক রাখার আদেশ প্রদান করতে পারে বা প্রয়ােজনের সময় তার হাজির হতে আদালতের সন্তুষ্টি সহকারে জামানত প্রদান করলে তাকে মুক্তি দিতে পারে ।
৩) উপবিধি (১) এর অধীনে অনুসন্ধান সমাপ্ত হলে এই আইনের ৫১ ধারার বিধান এর অপর কোন বিধান সাপেক্ষে আদালত দায়িককে দেয়ানী কারাগারে আটকের নির্দেশ দিতে পারে এবং দায়িক ইতিপূর্বে গ্রেফতার না হয়, তা হলে ঐ মুহুর্তে তাকে গ্রেফতার করাবে। তবে শর্ত হল যে, দায়িক যাতে ডিক্রীর টাকা পরিশােধ করতে পারে সে জন্য আদালত তাকে সুযােগ প্রদানের জন্য আটক করার আদেশ প্রদানের আগে অনধিক ১৫ দিনের নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য আদালতে কোন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখিতে পারে বা উক্ত সময়ের ভিতর যদি ডিক্রীর টাকা প্রদান না করলে নির্দিষ্ট সময় উত্তীর্ণ হলে সে আদালতে হাজির হবে, সে মর্মে আদালতকে সন্তুষ্ট করলে তাকে মুক্ত করতে পারে।
৪) এই বিধির অধীনে মুক্তিপ্রাপ্ত দায়িককে পুনরায় গ্রেফতার করা যাবে।
৫) আদালত উপবিধি (৩) এর অধীনে আটকের আদেশ প্রদান না করলে দরখাস্ত নামঞ্জুর করবে এবং দায়িক যদি গ্রেফতার হয় তা হলে তাকে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিবে।

 সম্পত্তি ক্রোক

আদেশ ২১ বিধি ৪১ দায়িককে তার সম্পত্তি সম্পর্কে পরীক্ষা

যেক্ষেত্রে টাকা পরিশােধের ডিক্রী হয়, সেক্ষেত্রে ডিক্রীদার আদালতের এই মর্মে আদেশ প্রদানের জন্য দরখাস্ত করতে পারে যে
ক) দায়িককে; কিংবা
খ) কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে তার কোন কর্মকর্তাকে; কিংবা
গ) অপর যে কোন লােককে;
কাহারও কাছে দায়িকের কোন পাওনা আছে কিনা বা কি পরিমাণ পাওনা আছে এবং ডিক্রীর টাকা প্রদানের জন্য দায়িকের অপর কোন সম্পত্তি এবং কি পরিমাণ সম্পত্তি বা সম্পদ আছে, তৎসম্পর্কে মৌখিক জবানবন্দী গ্রহণ করা হােক এবং আদালত উক্ত দায়িকের বা কর্মকর্তার বা অন্যান্য লােকের হাজিরা এবং জবানবন্দী গ্রহণের জন্য এবং কোন বহি বা দলিলাদি পেশ করতে আদেশ প্রদান করতে পারে ।

আদেশ ২১ বিধি ৪২ পরবর্তীতে টাকা অংক নির্ধারিত হয় এরূপ খাজনা বা অন্তবর্তীকালীন মুনাফা বা অপর বিষয়ের ডিক্রীর ক্ষেত্রে ক্রোক

যেক্ষেত্রে কোন ডিক্রী খাজনা বা অন্তবর্তীকালীন মুনাফা বা অপর কোন বিষয় সম্পর্কে তদন্তের নির্দেশ দেয়, সেক্ষেত্রে দায়িকের কাছে হতে পাওনা টাকার পরিমাণ নির্ধারিত হওয়ার পূর্বেই তার সম্পত্তির টাকা পরিশােধের জন্য প্রদত্ত অপর কোন একটি সাধারণ ডিক্রীর ক্ষেত্রে যেরূপভাবে ক্রোক করা হত, সেরূপ ক্রোক হতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৪৩ দায়িকের দখলস্থিত কৃষিজাত দ্রব্য ছাড়া অপর অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক

যেক্ষেত্রে কৃষিজাত দ্রব্য ছাড়া দায়িকের দখলস্থিত অপর কোন অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হবে, সেক্ষেত্রে প্রকৃত আটকের মাধ্যমেই ক্রোক করা হবে এবং ক্রোককারী কর্মকর্তা তা তার নিজের বা তার অধঃস্তন একজন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখিবে এবং এর সঠিক হেফাজতের জন্য দায়ী থাকবে। তবে শর্ত হল যে, আটককৃত সম্পত্তি যদি দ্রুত এবং প্রাকৃতিক ক্ষয়ের সম্মুখীন হয়, বা তা তত্ত্বাবধানে রাখার খরচ যদি তার মূল্য অপেক্ষা বেশি হওয়ার আংশকা থাকে, তবে
ক্রোককারী কর্মকর্তা তা তৎক্ষণাৎ বিক্রয় করতে পারবে।

আদেশ ২১ বিধি ৪৪ কৃষিজাত দ্রব্য ক্রোক

যেক্ষেত্রে যে সম্পত্তি ক্রোক করা হবে তা যদি কৃষিজাত দ্রব্য হয়, তা হলে ক্রোকের পরােয়ানার একটি নকল
ক) যেক্ষেত্রে উক্ত কৃষিজ দ্রব্য উৎপাদিত ফসল হয়, তা হলে যে জমিতে উৎপাদিত হয়েছে, সে জমির উপর, কিংবা
খ) যেক্ষেত্রে উক্ত কৃষিজাত দ্রব্য কাটা হয়েছে বা স্তুপিকৃত করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে খামার, শস্য মাড়াই করার বা অনুরূপ স্থানে বা গাে-মহিষাদির শুষ্ক খাদ্যের মাড়াইবার স্থলে বা যেখানে এটা গচ্ছিত রাখা হয়েছে সেখানে ঝুলিয়ে ক্রোক করতে হবে এবং অপর একটি নকল দায়িক সাধারণতঃ যে গৃহে বাস করে, সে গৃহের বহির্ঘারে বা উক্ত গৃহের কোন প্রকাশ্য অংশে বা যে গৃহে সে ব্যবসা করে বা পাবার জন্য ব্যক্তিগতভাবে কাজ করে বা যে গৃহে সে সর্বশেষ বসবাস করেছিল বা ব্যবসা চালিয়েছিল বা পাবার জন্য কাজ করেছিল বলে জানা যায়, সে গৃহের বহির্ঘারে বা অপর কোন প্রকাশ্য অংশে সংযুক্ত করে দিতে হবে এবং এর ফলে কৃষিজাত দ্রব্য আদালতের অধিকারে গিয়েছে বলে পরিগণিত হবে ।

আদেশ ২১ বিধি ৪৫ ক্রোকের এর অধীনে কৃষিজাত দ্রব্য সম্পর্কে বিধান সমূহ

১) যেক্ষেত্রে কৃষিজাত দ্রব্য ক্রোক করা হয়, সেক্ষেত্রে আদালত তার তত্ত্বাবধানের জন্য যেরূপ পর্যাপ্ত মনে করেন সেরূপ ব্যবস্থা করবে এবং আদালতকে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণে সমর্থ করার উদ্দেশ্যে উৎপাদিত ফসলের প্রত্যেক ক্রোকের আবেদনে তা যে সময়ে কর্তন বা সংগ্রহ করার যথাযথ হবে তা সুনির্দষ্ট করতে হবে।
২) ক্রোকের আদেশে বা পরবর্তী কোন আদেশে আদালত দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে আরােপিত শর্তাবলি সাপেক্ষে দায়িক উৎপাদিত ফসলের যত্ন নিতে, সংগ্রহ এবং কর্তব্য করতে এবং গােলাজাত করতে ও তা সংরক্ষণের জন্য দরকারি অপর যে কোন কাজ করতে পারবে এবং দায়িক যদি উক্তরূপ কার্যাবলী বা কোন একটি কর্ম করতে ব্যর্থ হয়, তা হলে আদালতের অনুমতিক্রমে এবং বর্ণিতরূপে শর্তাবলি সাপেক্ষে ডিক্রীদার স্বয়ং বা এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত অপর কোন লােকের দ্বারা উক্ত কর্মগুলি উহাদের যে কোন কর্ম করতে বা করাতে পারবে এবং এটাতে ডিক্রীদারের যে ব্যয় হবে তা দায়িকের কাছে হতে ডিক্রীভুক্ত বা ডিক্রীর অংশ গণ্যে আদায়যােগ্য হবে।
৩) উৎপাদিত ফসল হিসেবে ক্রোককৃত কৃষিজাত দ্রব্য কেবল মাটি হতে বিচ্ছিন্ন করার কারণে ক্রোকমুক্ত বলে পরিগণিত হবে না বা পুনরায় ক্রোক করার দরকার হবে। বলে গণ্য হবে না।
৪) উৎপাদিত ফসল কর্তন বা সংগ্রহ করার যথাযথ হবার যথেষ্ট সময় আগে যদি ক্রোকের কোন আদেশ দেয়া হয়ে থাকলে আদালত যথাযথ সময় পর্যন্ত উক্ত আদেশ কর্মকারীকরণ স্থগিত রাখতে পারে এবং আদালত তার ঐচ্ছিক ক্ষমতায় ক্রোকের আদেশ কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ফসল অপসারণ নিষিদ্ধ করে একটি আদেশ প্রদান করতে পারে।
৫) কোন উৎপাদিত ফসলের প্রকৃতি যদি এরূপ হয় যে, তা গােলাজাত করা সম্ভব নয়, তা হলে তা কর্তন করতে এবং সংগ্রহ করতে যথাযথ হবার ২০ দিনের কম সময় আগে এই বিধির অধীনে ক্রোক করা যাবে না।

আদেশ ২১ বিধি ৪৬ দায়িকের দখলে নাই এরুপ ঋণ, শেয়ার এবং অন্যান্য সম্পত্তি ক্রোক

১) যেক্ষেত্রে হস্তান্তরযােগ্য দলিল দ্বারা লব্ধ নয় এরূপ ঋণ;
ক) কোন কর্পোরেশনের মূলধনের অংশ;
খ) কোন আদালত বা আদালতের তত্ত্বাবধানে থাকা সম্পত্তি ছাড়া দায়িকের দখলীয় অপর কোন অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে
১. ঋণের ক্ষেত্রে আদালতের পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত মহাজন দ্বারা তা আদায় এবং দেনাদার দ্বারা তা পরিশােধ;
২. শেয়ার হলে যে লােকের নামে শেয়ার আছে, তৎদ্বারা তা হস্তান্তর বা তার উপরে কোন লভ্যাংশ গ্রহণ;
৩. পূর্বোক্তরূপ ছাড়া অপর কোন অস্থাবর সম্পত্তি তা দখলকারী লােক দ্বারা দায়িককে প্রদান, নিষিদ্ধ করে লিখিত আদেশ দ্বারা ক্রোক করা হবে।
২) এরূপ আদেশের এক প্রস্থ নকল আদালতের কোন প্রকাশ্য অংশে সংযুক্ত করতে হবে এবং অপর কোন এক প্রস্থ নকল ঋণের ক্ষেত্রে ঋণীর নিকট, অংশের ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের যথাযথ কর্মকর্তার কাছে এবং (উপরিউক্ত বর্ণিতরূপ ব্যতিরেকে) অপর অস্থাবর সম্পত্তির তার দখলকারী লােকের কাছে প্রেরীত হবে।
৩) কোন দেনাদার উপবিধি (২) এর দফা (১) এর অধীনে নিষিদ্ধ হলে তার ঋণের টাকা আদালতে পরিশােধ করতে পারে এবং উক্ত পরিশােধ উক্ত দেনাদার তা গ্রহণ করতে অধিকারী পক্ষকে পরিশােধ করলে যেরূপ দায়মুক্ত হত, এরূপ ক্ষেত্রেও তাই হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৪৭ অস্থাবর সম্পত্তিতে অংশের ক্রোক

যেক্ষেত্রে দায়িক এবং অপর কোন শরীকদারের অংশ বা স্বার্থ সম্বলিত কোন অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করতে হয়, সেক্ষেত্রে দায়িককে তার অংশ বা স্বার্থ হস্তান্তর করতে বা কোনভাবে তা দায়মুক্ত করতে না পারা মর্মে নােটিশের দ্বারা ক্রোক করতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৪৮ সরকারি কর্মকর্তার বা রেলওয়ের বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কর্মচারীর বেতন বা ভাতা ক্রোক

১) যেক্ষেত্রে প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারী বা রেলওয়ের বা স্থানীয় কোন কর্তৃপক্ষের কোন কর্মচারীর বেতন বা ভাতা ক্রোক করতে হয়, সেক্ষেত্রে দায়িক বা ব্যয়ন কর্মকর্তা
আদালতের এখতিয়ারভুক্ত এলাকার ভিতর অবস্থান করুক আর না করুক, আদালত আদেশ প্রদান করতে পারবে যে ৬০ ধারার বিধান সাপেক্ষে উক্ত বেতন বা ভাতার ভিতর হতে আদালতের নির্দেশ মতে একযােগে বা মাসিক কিস্তিতে কর্তন করতে হবে; এবং সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কর্মকর্তার কাছে উক্ত আদেশের বিজ্ঞপ্তি প্রদানের উপর
ক) যেক্ষেত্রে এই আইন সময়কালীন কার্যকর স্থানীয় সীমানার আওতার ভিতর অনুরূপ বেতন ভাতাদির ব্যয় নির্বাহ করতে হবে, সেক্ষেত্রে তার দায়িত্বে ন্যাস্ত কর্মকর্তা বা অপর লােক আদালতের আদেশ মতে তা একযােগে বা মাসিক কিস্তিতে কর্তন করে রাখিবে এবং আদালতের কাছে প্রেরণ করবে;
খ) যেক্ষেত্রে উপরিউক্ত সীমানার বাহিরে অনুরূপ বেতন ও ভাতাদির ব্যয় নির্বাহ করতে হয়, সেক্ষেত্রে ঐ সব সীমানার আওতাভুক্ত এলাকায় অবস্থানকারী যে কর্মকর্তা বা অপর লােক ব্যয়ন কর্তৃপক্ষকে বেতন বা ভাতাদির পরিমাণ সম্পর্কে নির্দেশ দেয়ার দায়িত্বে আছেন, তিনি আদালতের আদেশের অধীনে প্রাপ্য টাকা একযােগে বা মাসিক কিস্তি সে আদালতে প্রেরণ করবে এবং ব্যয়ন কর্তৃপক্ষকে সময় সময় আদালতে প্রেরিতব্য অর্থের মােট পরিমাণ সময় সময় উক্ত ব্যয় নির্বাহের মােট পরিমাণ হতে ভিন্ন করে রাখিতে নির্দেশ প্রদান করবে।
২) যেক্ষেত্রে অনুরূপ বেতন বা ভাতাদির ক্রোকযােগ্য আনুপাতিক অংশ ক্রোক সম্পর্কে পূর্ববর্তী এবং অ-মিটানাে আদেশ অনুযায়ী এরই ভিতর আটক করা হয়েছে এবং আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সরকার দ্বারা এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা তৎক্ষণাৎ পরবর্তী আদেশটি প্রেরণকারী আদালতে বিদ্যমান ক্রোকের সব বিবরণীসহ একটি পূর্ণ বিবৃতিসহ তৎক্ষণাৎ ফেরত পাঠাবে ।
৩) এই বিধি অনুযায়ী প্রদান করা প্রতিটি আদেশ (২) উপবিধির বিধান অনুযায়ী প্রেরীত না হলে এবং দায়িক যদি এই আইনে সময়কালীন কার্যকর স্থানীয় আওতাভুক্ত এলাকায় অবস্থান করে, এবং সে যদি উক্ত সীমানার বাহিরে অবস্থান করে সরকারি রাজস্ব হতে বা রেলওয়ের বা বাংলাদেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তহবিল হতে বেতন বা ভাতাদি গ্রহণ করে থাকে, তা হলে সংশ্লিষ্ট সরকার বা রেলওয়ে বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে পুনরায় নােটিশ বা অপর কোন পদ্ধতি ব্যতীরেকে বাধ্য করবে এবং এই বিধি লংঘন করে যে পরিমাণ অংক পরিশােধ করা হবে, সংশ্লিষ্ট সরকার রেলওয়ে বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যে হােক, তজ্জন্য দায়ী হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৪৯ অংশীদারী সম্পত্তি ক্রোক

১) এই বিধির অপর বিধান ছাড়া অংশীদারীত্বে মালিকানাধীন সম্পত্তি, ফার্মের বা অনুরূপ ফার্মের অংশীদারগণের বিরুদ্ধে প্রদত্ত ডিক্রী ব্যতীরেবে অপর কোন ডিক্রী জারি দ্বারা ক্রোক বা বিক্রয় করা যাবে না।
২) কোন অংশীদারের বিরুদ্ধে প্রদত্ত ডিক্রীদারের আবেদনক্রমে আদালত, উক্ত ডিক্রীর টাকা পরিশােধের জন্য অংশীদারী ব্যবসার সম্পত্তি ও মুনাফায় উক্ত অংশীদারের অংশের লাভের উপর দায় আরােপ করতে পারবে এবং একই আদেশ বা পরবর্তী কোন আদেশ দ্বারা মুনাফায় উক্ত অংশীদারের অংশ (ইতঃপূর্বে ঘােষিত হােক বা হচ্ছে) এবং অংশীদারী ব্যবসা প্রসঙ্গে তার প্রাপ্য অন্যান্য টাকা গ্রহণের জন্য একজন রিসিভার নিয়ােগ করতে পারে এবং হিসাব পত্র গ্রহণের এবং তদন্তের নির্দেশ দিতে পারে এবং উক্ত স্বার্থ বিক্রয়ের আদেশ প্রদান করতে পারে বা উক্ত ডিক্রীদারের অনুকূলে উক্ত অংশীদার দ্বারা কোন দায় সৃষ্টি হলে যেরূপ আদেশ প্রদান করতে পারিতেন বা অবস্থার প্রেক্ষিতে যেরূপ
দরকার হয়, সেরূপ অন্যান্য আদেশ প্রদান করতে পারবে।
৩) অপর অংশীদার বা অংশীদারগণ ইচ্ছা করলে যে কোন সময় ঐ স্বার্থ বা স্বত্বকে দায়মুক্ত করতে বা বিক্রয়ের আদেশের ক্ষেত্রে তা খরিদ করতে পারবে।
৪) উপবিধি (২) এর অধীনে কোন আদেশের জন্য প্রত্যেক দরখাস্ত দায়িকের উপর এবং তার অংশীদারদের উপর বা তাদের ভিতর যারা বাংলাদেশে বসবাসকারী, তাদের উপর জারি করতে হবে।
৫) দায়িকের কোন অংশীদার উপবিধি (৩) এর অধীনে দরখাস্ত করলে প্রত্যেক দরখাস্ত ডিক্রীদার এবং দায়িকের উপর এবং অংশীদারগণের ভিতর অন্যান্য যারা বাংলাদেশে বসবাস করেন, কিন্তু উক্ত আবেদনে সামিল হয় নাই, তাদের উপর জারি করতে হবে।
৬) উপবিধি (৪) বা (৫) এর অধীনে জারি সব অংশীদারের উপর হয়েছে বলে পরিগণিত হবে এবং অনুরূপ দরখাস্তের উপর প্রদত্ত সব আদেশেও একইভাবে জারি করতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৫০ ফার্মের বিরুদ্ধে ডিক্রীজারি

১) যেক্ষেত্রে কোন ফার্মের বিরুদ্ধে ডিক্রী দেয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে
ক) কোন অংশীদারী সম্পত্তির বিরুদ্ধে।
খ) কোন লােক ৩০ আদেশের ৬ বা ৭ বিধির অধীনে তার স্বীয় নামে হাজির হয়ে থাকলে বা আরজি জবাবে যে লােক স্বীকার করেছে যে, তিনি নিজে বা যে লােক আদালত দ্বারা একজন অংশীদার হিসেবে সিদ্ধান্ত পেয়েছে, তার বিরুদ্ধে;
গ) যে লােকের উপর অংশীদার হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে সমন জারি করা হয়েছে এবং যে হাজির হতে ব্যর্থ হয়েছে, তার বিরুদ্ধে জারি অনুমােদন হতে পারে। তবে শর্ত হল যে, এই বিধির কোন কিছুই চুক্তি আইন, ১৮৭২ (১৮৭২ সনের ৯নং আইন) এর ২৪৭ ধারার বিধানকে সীমাবদ্ধ বা কোনভাবে প্রভাবিত করবে বলে গণ্য হবে না।
২) যেক্ষেত্রে ডিক্রীদার দাবি করে যে, ডিক্রীটি (১) উপবিধির (খ) এবং (গ) দফায় বর্ণিত লােক ব্যতিরেকে ও অপর কারাে উপর ফার্মের অংশীদার হিসেবে জারি করাইবার অধিকারী বলে দাবি করে, সেক্ষেত্রে যে আদালত ডিক্রী দিয়েছে, সে আদালতে অনুমতির জন্য দরখাস্ত করতে পারে এবং যেক্ষেত্রে দায় বিতর্কিত না হলে উক্ত আদালত অনুরূপ অনুমতি অনুমােদন করতে পারে বা যে ক্ষেত্রে উক্ত দায় বিতর্কিত নয়, সেক্ষেত্রে আদেশ প্রদান করতে পারে যে, উক্ত লােকের দায় কোন মামলার বিচার্য বিষয় নিস্পত্তি এবং নির্ধারণের পন্থায় নিস্পত্তি এবং নির্ধারিত হবে।
৩) যেক্ষেত্রে কোন লােকের দায় সম্পর্কে উপবিধি (২) এর অধীনে বিচার ও সিদ্ধান্ত সেক্ষেত্রে এর উপর প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে তা ডিক্রী হলে, তার বিরুদ্ধে বা অপর কিছুর যে ক্ষমতা এবং শর্ত সাপেক্ষে থাকিত, তাই থাকবে।
৪) কোন অংশীদারী সম্পত্তির বিরুদ্ধে প্রদত্ত ডিক্রী ছাড়া কোন ফার্মের বিরুদ্ধে প্রদত্ত ডিক্রী কোন অংশীদারকে মুক্ত হতে, দায়ী করতে বা অপর কোনভাবে প্রভাবিত করবে না, যদি না তাকে হাজির হওয়ার এবং জবাব প্রদানের জন্য সমন দেয়া হয়ে থাকে।

আদেশ ২১ বিধি ৫১ হস্তান্তরযােগ্য দলিল ক্রোক

যেক্ষেত্রে সম্পত্তি কোন হস্তান্তরযােগ্য দলিল যা আদালতে বা কোন সরকারি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে আনা হয় নাই, সেক্ষেত্রে প্রকৃত আটকের দ্বারা ক্রোক করতে হবে এবং দলিলটি আদালতে তোলা হবে এবং আদালতের পরবর্তী আদেশের অপেক্ষায় রাখা হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৫২ আদালত বা সরকারি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকা সম্পত্তি ক্রোক

যেক্ষেত্রে ক্রোক করার সম্পত্তি কোন আদালতের বা সরকারি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকে, সেক্ষেত্রে তা ক্রোক করার জন্য উক্ত আদালত বা কর্মকর্তাকে নােটিশ প্রদানের দ্বারা অনুরােধ করতে হবে যে নােটিশ দানকারী আদালতের পরবর্তী আদেশ সাপেক্ষে উক্ত সম্পত্তি এবং তাতে প্রদেয় সুদ বা লভ্যাংশ আটক রাখা হয়। তবে শর্ত হল যে, সম্পত্তি যদি আদালতের তত্ত্বাবধানে থাকে এবং তার উপর স্বত্ব বা অগ্রাধিকার সম্পর্কে ডিক্রীদার ও দায়িক ছাড়া অপর কোন লােকের ভিতর কোন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়, যে লােক সম্পত্তি হস্তান্তরে স্বত্ব নিয়ােগ, ক্রোক, বা অপর কিছুর বলে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হওয়ার দাবি করে, তা হলে উক্ত আদালত দ্বারা তা সিদ্ধান্তকৃত হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৫৩ ডিক্রী ক্রোক
১) যেক্ষেত্রে যে সম্পত্তি ক্রোক করতে হবে তা যদি টাকা পরিশোধের বা কোন বন্ধক বা রায় কার্যকর করনের জন্য নিলাম বিক্রয়ের ডিক্রী হয় সে ক্ষেত্রে-
ক) যদি ডিক্রীগুলো একই আদালত দ্বারা প্রদত্ত হয়ে থাকে তাহলে সে আদালতের আদেশ দ্বারা, এবং 
(২) এর অধীনে দরখাস্ত পেয়েছে, সেক্ষেত্রে ক্রোককারী পাওনাদারের বা দায়িকের আবেদনক্রমে আদালত ক্রোককৃত ডিক্রী জারির জন্য অগ্রসর হবে এবং যে ডিক্রী জারি করা হবে, তা মিটাইতে খরচ বাদ লাভ প্রয়ােগ করবে।
৩) যে ডিক্রী জারির জন্য উপবিধি (১) এ বর্ণিত ধরণের অপর একটি ক্রোক করা‌ হয়, সে ডিক্রীর ধারক ক্রোককৃত ডিক্রীর মালিকের প্রতিনিধি বলে গণ্য হবে এবং আইনসম্মত পদ্ধতিতে তার মালিকের জন্য জারি করার অধিকারী হবে। 
৪) যেক্ষেত্রে কোন ডিক্রী জারি ক্রমে যে সম্পত্তি ক্রোক করা হবে তা যদি উপবিধি (১) এ বর্ণিত প্রকৃতির ডিক্রী ছাড়া অপর কোন ডিক্রী হয়, সেক্ষেত্রে যে ডিক্রী জারি করা হবে, তা যে আদালত প্রদান করেছে সে আদালত দ্বারা ক্রোকযােগ্য ডিক্রীর মালিক বরাবরে তা তার কাছ হতে হস্তান্তর বা কোন প্রকারের দায়গ্রস্ত করতে নিষেধ করে বিজ্ঞপ্তি দান করে ক্রোক করতে হবে; এবং যেক্ষেত্রে উক্ত ডিক্রী অপর যেকোন আদালত দ্বারা প্রদান করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে অনুরূপ অপর আদালতের নিকটও যে ডিক্রী ক্রোক করা হবে, তা যে আদালত হতে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়েছে, সে আদালত তা রহিত না করা পর্যন্ত জারি করা হতে বিরত থাকার জন্য নােটিশ প্রেরণ করে ক্রোক করতে হবে।
৫) এই বিধির অধীনে ক্রোককৃত ডিক্রীর মালিক ডিক্রী নির্বাহী আদালতকে সেরূপ তথ্য প্রদান করবে এবং সহায়তা করবে যা যুক্তিসম্মতভাবে দরকার হবে।
৬) অপর ডিক্রী ক্রোকের দ্বারা যে ডিক্রী জারি করা হবে তার ধারকের আবেদনক্রমে এই বিধির অধীনে আদালত ক্রোকের আদেশ প্রেরণ করে ক্রোককৃত ডিক্রী দ্বারা বাধ্য দায়িককে উক্ত আদেশের নােটিশ দান করবে এবং উক্ত ক্রোক যতদিন কার্যকর থাকবে ততদিন ক্রোককৃত ডিক্রীর দায়িক উক্ত বিজ্ঞপ্তি প্রাপ্তির পর উক্ত আদেশ লঙ্ঘন করে আদালতের দ্বারা বা অপর কোনভাবে ক্রোককৃত ডিক্রীর টাকা পরিশােধ বা সমন্বয়ন করলে তা কোন আদালত দ্বারা স্বীকৃত হবে না।

আদেশ ২১ বিধি ৫৩ বিধির বিশ্লেষণ

ডিক্রী ক্রোক বলতে কি বুঝ? কিভাবে ডিক্রী ক্রোক করা যেতে পারে

দেওয়ানি কার্যবিধির ২১নং আদেশের ৫৩নং বিধিতে ডিক্রী ক্রোক সম্পর্কিত বিধানসমূহ রয়েছে। উক্ত বিধির বিধান অনুযায়ী নিম্নলিখিতভাবে ডিক্রী ক্রোক করা যেতে পারে-
(১) সংশ্লিষ্ট ডিক্রীটি যে আদালত প্রদান করেছে উক্ত আদালতের হুকুমের মাধ্যমে;
(২) যে ডিক্রীটি ক্রোক করার প্রয়ােজন হচ্ছে উক্ত ডিক্রী জারিকারী আদালত ব্যতীত অন্য আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হলে ডিক্রী প্রদানকারী আদালত ততক্ষণ পর্যন্ত ডিক্রী জারিকরণ স্থগিত রাখিবার অনুরােধ জানাইয়া বিজ্ঞপ্তি দান করবেন যতক্ষণ না-
(ক) যে আদালত ডিক্রীটি প্রদান করেছেন উক্ত আদালত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার না করেন; অথবা,
(খ) ক্রোককারী প্রাপক বা তার রায় দায়িকগণ বিজ্ঞপ্তি গ্রহণকারী আদালতে তার নিজস্ব ডিক্রীজারি করার আবেদন জানান।
যেক্ষেত্রে একটি ডিক্রী জারি করার জন্য যে সম্পত্তি ক্রোক করা হবে, তা যে আদালত কর্তৃক ডিক্রীটি ক্রোক করতে চাওয়া হচ্ছে, উক্ত আদালত ডিক্রী প্রাপকের প্রতি হস্তান্তর বা অন্য কোন প্রকার ‘দায়’ (charge) নিষিদ্ধ করে বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে ক্রোক করবেন। যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিক্রীটি অন্য কোন আদালত কর্তৃক প্রদত্ত হয়েছে, সেক্ষেত্রে যে ডিক্রী ক্রোক করতে চাওয়া হচ্ছে, উক্ত ডিক্রী জারিকরণ হতে বিরত থাকার জন্য জারিকারী আদালতের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করতে হবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি দানকারী বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্রোক বলবৎ থাকবে।

ডিক্রী ও আদেশের মধ্যে পার্থক্য

ডিক্রী ও আদেশের মধ্যে যেসকল পার্থক্যগুলি বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়, তা হল নিম্নরূপ-
(১) ডিক্রী এবং আদেশ উভয়ই আদালতে রায়।
(২) আদালত কর্তৃক সিদ্ধান্তিত আনুষ্ঠানিক প্রকাশের মধ্যেই ডিক্রী এবং আদেশের প্রতিফলন ঘটে।
(৩) প্রত্যেক ডিক্রীই আপিলযােগ্য। কিন্তু সকল আদেশই আপিলযােগ্য নয়।
(৪) ডিক্রীর ক্ষেত্রে, কোন আইনের প্রশ্নে জড়িয়ে পড়িলে হাইকোর্টে দ্বিতীয় আপিল আইন অনুযায়ী সমর্থনীয়। পক্ষান্তরে আদেশের বেলায় কোন দ্বিতীয় আপিল আইন
অনুযায়ী সমর্থনীয় নয়।
(৫) ডিক্রী হচ্ছে আদালত কর্তৃক সিদ্ধান্তিত এবং রায়ের সমতুল্য এমন এক আনুষ্ঠানিক প্রকাশ, যা বিতর্কমূলক প্রত্যেকটি বিষয়ে বা কোন একটি বিষয়ে পক্ষসমূহের
অধিকার চূড়ান্তভাবে নির্ণয় করে। পক্ষান্তরে, আদেশের দ্বারা পক্ষসমূহের অধিকার চূড়ান্ত ভাবে নির্ধারিত হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।
(৬) ডিক্রী প্রাথমিক হতে পারে বা চূড়ান্ত হতে পারে।
(৭) ডিক্রীর উদ্ভব সেক্ষেত্রে ঘটে, যেক্ষেত্রে আরজি পেশ করার মাধ্যমে কোন মামলা রুজু করা হয়। অপরদিকে, আদেশের ক্ষেত্রে এরূপ কোন আরজি বা মামলা দায়েরের প্রয়ােজন হয় না। একটি দরখাস্ত অথবা যে কোন আবেদনপত্রে কার্যধারার মাধ্যমেও আদেশের উদ্ভব ঘটিতে পারে। এইভাবে, দেওয়ানি কার্যবিধির বিধান মতে, ডিক্রী ও আদেশের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করা হয়।

ডিক্রীর প্রয়ােজনীয় উপাদান

দেওয়ানি আইন মতে, একটি ডিক্রী প্রণয়নের ক্ষেত্রে যে সকল উপাদান থাকতে হবে তা হল নিম্নরূপ-
(১) একটি ডিক্রী প্রণয়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই আদালত কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে হবে।
(২) এরূপ রায়ের ক্ষেত্রে মামলায় বিতর্কিত সমস্ত বা যে কোন বিষয় সম্পর্কে পক্ষসমূহের অধিকার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করতে হবে বলে গণ্য হবে।
(৩) আদালত কর্তৃক ডিক্রীর এরূপ রায় অবশ্যই প্রাথমিক বা চূড়ান্ত বলে গণ্য হতে হবে।
(৪) অমীমাংসিত ডিক্রীর ক্ষেত্রের কোন প্রকার আপিল আইন অনুসারে, সমর্থনীয় হবে না বলে গণ্য হবে।
(৫) যে সকল বিষয় ডিক্রীর অন্তর্ভূক্ত বলে গণ্য হবে তা হল, আরজি বাতিল এবং দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৭ ধারায় বর্ণিত প্রশ্নসমূহ।
(৬) যে সকল বিষয় ডিক্রীর অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে না তা হল
(ক) যে কোন বিচারকের রায়, যেখানে আপিল আইন অনুসারে সমর্থনীয়, যেমন অর্ডার হতে আপিল; অথবা
(খ) কোন নিয়ম বা নির্দেশ পালনের ব্যর্থতার জন্য কোন খারিজের আদেশ।
(৭) কেবলমাত্র মামলা রুজু করার মাধ্যমেই ডিক্রী প্রণয়ন করা যেতে পারে ।
(৮) একটি মামলা যে সকল যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অগ্রসর হয়ে থাকে, ডিক্রী হল তার অবিচ্ছেদ্য অংশস্বরূপ।
(৯) অনুপস্থিতির জন্য একটি প্রত্যাখ্যান আদেশ মামলার পক্ষসমূহের অধিকার নির্ধারিত করা বুঝায় না, তা ডিক্রী হতে পারে না।
(১০) যখন উপরিউক্ত শর্তাবলি পূরণ হবে, কেবলমাত্র তখনই বিচারকের রায়কে ভিক্রী বলে আখ্যায়িত করা যাবে।

প্রাথমিক ডিক্রী ও চূড়ান্ত ডিক্রীর মধ্যে পার্থক্য

প্রাথমিক ডিক্রী ও চুড়ান্ত ডিক্রীর মধ্যে যে সকল পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় তা নিম্নরূপ-
(১) প্রাথমিক ডিক্রীর পার্থক্যের ক্ষেত্রে একটি ডিক্রী তখনই প্রাথমিক হয় যখন মামলার চুড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আরও ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়ােজন থাকে। কিন্ত চুড়ান্ত ডিক্রীর পার্থক্যের ক্ষেত্রে- যখন কোন মামলা চুড়ান্ত রূপে নিষ্পত্তি হয়, তখনই ডিক্রী চূড়ান্ত হয়ে থাকে।
(২) প্রাথমিক ডিক্রীর কাজ হল- এই ধরণের ডিক্রী মামলায় বিরােধীয় বিষয়সমূহের একটি বা কতিপয় বিষয়ের ক্ষেত্রে, পক্ষসমূহের অধিকার নির্ণয় করে কিন্তু মামলা সম্পূর্ণরূপে নিষ্পত্তি করে না। কিন্তু চুড়ান্ত ডিক্রীর কাজ হল-প্রাথমিক ডিক্রী যা নির্দেশ করেছিল, তা পুনঃ বর্ণনা এবং সঠিকভাবে প্রয়ােগ করা।
(৩) যদি প্রাথমিক ডিক্রী রদ করা হয় তা হলে চুড়ান্ত ডিক্রীও স্বাভাবিকভাবেই বাতিল হয়ে থাকে।
(৪) প্রাথমিক ডিক্রী দ্বারা পক্ষসমূহের অধিকার স্থানীয়ভাবে বর্ণিত করা হয়ে থাকে কিন্তু চুড়ান্ত ডিক্রীর দ্বারা আদালত বাদীকে বাস্তব অর্থ প্রদান করার জন্য বিবাদীর প্রতি ডিক্রী জারি করে নির্দেশ প্রদান করে থাকেন।
(৫) প্রাথমিক ডিক্রীর ক্ষেত্রে, আদালত প্রথমতঃ প্রধান এবং এজেন্টের মধ্যকার সম্পর্ক অথবা অংশীদারগণের মধ্যকার বিরাজিত সম্পর্কে এবং বাদী ও বিবাদী পক্ষসমূহ হিসাব নিকাশের ক্ষেত্রে ঠিক কতটুকুর অধিকারী তা নির্ণয় করে থাকে কিন্তু চুড়ান্ত ডিক্রীর ক্ষেত্রে বিবাদী কর্তৃক দেয় অর্থ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশােধ করলে আদালত বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত অর্থ প্রদান করার জন্যে বিবাদীর প্রতি ডিক্রী জারি করে নির্দেশ প্রদান করবেন। বাদী কর্তৃক বিবাদীর প্রতি বন্ধক সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযােজ্য হবে।
(৬) প্রাথমিক ডিক্রী সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বাদীর জন্য চুড়ান্ত ডিক্রীর ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার অধিকার জন্মায় না।
(৭) উভয় শ্রেণির ডিক্রীই আংশিকভাবে সম্পন্ন হতে পারে। অর্থাৎ একটি ডিক্রী আংশিক প্রাথমিক এবং আংশিক চুড়ান্ত বলে গণ্য হতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৫৪ স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক

১) যেক্ষেত্রে সম্পত্তি স্থাবর সম্পত্তি হয়, সেক্ষেত্রে তা ক্রোকের জন্য দায়িককে উক্ত সম্পত্তি হস্তান্তরিত ৰা কোনভাবে দায়গ্রস্থ করতে এবং সব লােককে অনুরূপ হস্তান্তর বা দায় হতে কোন সুবিধা গ্রহণ নিষেধ করে একটি আদেশ প্রদান করতে হবে।
২) অনুরূপ আদেশ উক্ত সম্পত্তির কোন স্থানে বা সন্নিকটে ঢােল-শহরত দ্বারা বা প্রচলিত অপর কোন পদ্ধতিতে ঘােষণা করতে হবে এবং আদেশের একটি নকল উক্ত সম্পত্তির কোন প্রকাশ্য স্থানে এবং আদালত ভবনের কোন প্রকাশ্য স্থানে এবং উক্ত সম্পত্তি সরকারকে রাজস্ব প্রদানকারী ভূমি হলে যে জেলায় সম্পত্তি সে জেলার কালেক্টর অফিসেও সংযুক্ত করে দিতে হবে ।

আদেশ ২১ বিধি ৫৫ ডিক্রী মিটাইবার পর ক্রোক অপসারণ

যে়ক্ষেত্রে-
ক) ডিক্রীর টাকা মামলার খরচ এবং সব দায়গুলাে এবং সম্পত্তি ক্রোকের খরচা আদালতে জমা করা হয়; কিংবা
খ) অপর উপায়ে আদালতের দ্বারা ডিক্রী মিটানাে হয় বা আদালতে প্রত্যয়ন করা হয়; কিংবা
গ) ডিক্রী রদ বা পরিবর্তন করা হয়,
সেক্ষেত্রে ক্রোক প্রত্যাহার হয়েছে বলে গণ্য হবে এবং স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে দায়িক ইচ্ছা করলে তার খরচায় ঐ প্রত্যাহারের বিষয় ঘােষণা করা হবে এবং ঘােষণা পত্রের এক প্রস্থ নকল পূর্ববর্তী বিধির নির্ধারিত পদ্ধতিতে সংযুক্ত করা হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৫৬ ডিক্রীর অধীনে অধিকারী পক্ষকে মুদ্রা বা কাগজি মুদ্রা পরিশােধের নির্দেশ

যেক্ষেত্রে ক্রোককৃত সম্পত্তি কোন মুদ্রা বা টাকার নােট হলে, আদালত ক্রোক চলাকালে যে কোন সময় নির্দেশ দিতে পারে যে, উক্ত মুদ্রা বা নােটের যে অংশ ডিক্রী মিটানাের জন্য পর্যাপ্ত হবে, তা ডিক্রী অনুযায়ী পাওয়ার অধিকারী পক্ষকে পরিশােধ করা হােক।

আদেশ ২১ বিধি ৫৭ ক্রোকের সমাপ্তি

যেক্ষেত্রে ডিক্রী জারির জন্য কোন সম্পত্তি ক্রোকাবদ্ধ হয়েছে, কিন্ত ডিক্রীদারের ত্রুটির জন্য আদালত ডিক্রীজারির ব্যাপারে আর অগ্রসর হতে পারিতেছে না, সেক্ষেত্রে আদালত ডিক্রীজারির দরখাস্ত খারিজ করবে বা কোন পর্যাপ্ত কারণে উক্ত ডিক্রী জারির কর্মধারা ভবিষ্যতের কোন তারিখ পর্যন্ত স্থগিত রাখিবে। আবেদনপত্র খারিজ করা হলে ক্রোকেরও সমাপ্তি ঘটিবে।

দাবি এবং আপত্তিসমূহের তদন্ত

আদেশ ২১ বিধি ৫৮ ক্রোককৃত সম্পত্তির দাবির তদন্ত এবং ক্রোকে আপত্তি

১) যেক্ষেত্রে কোন ডিক্রী জারির ফলে সম্পত্তি ক্রোক হয়ে থাকলে যদি উক্ত কারণাধীনে কোন দাবি বা আপত্তি উত্থাপন করা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি উক্তরূপ ক্রোকের অধীনে নয়, তা হলে আদালত উক্ত দাবি বা আপত্তি সম্পর্কে দাবিদার বা আপত্তিকারীকে মামলার পক্ষ গণ্যে জবানবন্দী গ্রহণ করার ক্ষমতার সঙ্গে তদন্ত করতে অগ্রসর হবে এবং অপর সব ব্যাপারে যে সে মামলার একজন পক্ষ ছিল, এরূপ পরিগণিত হবে। তবে শর্ত হল যে, আদালত যদি বিবেচনা করে যে, উক্ত দাবি বা আপত্তি উদ্দেশ্যমূলক বা অপ্রয়ােজনীয়ভাবে বিলম্বিত করা হয়েছে, তা হলে অনুরূপ কোন তদন্ত করা যাবে না।
২) বিক্রয় স্থগিতকরণ যেক্ষেত্রে যে সম্পত্তি সম্পর্কে দাবি বা আপত্তি করা হয়, তার বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে বিক্রয়ের আদেশদাতা আদালত উক্ত দাবি বা আপত্তি সম্পর্কে তদন্ত নিস্পন্নাধীন রেখে উক্ত বিক্রয় স্থগিত করতে পারে ।

আদেশ ২১ বিধি ৫৮ বিধির বিশ্লেষণ

পক্ষভূক্ত ব্যক্তি এবং পক্ষভূক্ত নয় এমন ব্যক্তির পক্ষে আদালতের কি কি প্রতিকার রয়েছে পক্ষভূক্ত ব্যক্তি এবং পক্ষভূক্ত নয় এমন ব্যক্তি কর্তৃক ক্রোকের বিরুদ্ধে আপত্তি থাকলে, সেক্ষেত্রে তাদের জন্য যে সকল প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা রয়েছে তা দেওয়ানি কার্যবিধির ২১নং আদেশ এর আওতায় ৫৮নং বিধি হতে ৬০নং বিধির বিধানসমূহে বিশদ বর্ণনা করা হয়েছে।

দেওয়ানি কার্যবিধির ২১নং আদেশের ৫৮নং বিধির উপবিধি-১ এ এরূপ বিধান রয়েছে যে, যেক্ষেত্রে কোন ডিক্রী জারির দরুণ সম্পত্তি ক্রোক হয়ে থাকলে যদি উক্ত কারণাধীনে কোন দাবি বা আপত্তি উত্থাপন করা হয়, সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি উক্তরূপ ক্রোকের অধীন নয়, তবে আদালত উক্ত দাবি বা আপত্তি সম্পর্কে দাবিদার বা
আপত্তিকারীকে মামলার পক্ষ গণ্যে জবানবন্দী গ্রহণ করার ক্ষমতার সাথে তদন্ত করতে অগ্রসর হবে এবং অন্য সকল ব্যাপারে যেন সে মামলার একজন পক্ষ ছিল, এরূপ গণ্য করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, আদালত যদি বিবেচনা করে যে, উক্ত দাবি বা আপত্তি উদ্দেশ্যমূলক বা অপ্রয়ােজনীয়ভাবে বিলম্বিত করা হয়েছে, তবে অনুরূপ কোন তদন্ত করা যাবে না। দেওয়ানি কার্যবিধির ২১নং আদেশের ৫৮নং বিধির উপবিধি-২ এ এরূপ বিধান রয়েছে যে, যেক্ষেত্রে যে সম্পত্তি সম্পর্কে দাবি বা আপত্তি করা হয়, উহার বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে বিক্রয়ের আদেশদাতা আদালত উক্ত দাবি বা আপত্তি সম্পর্কে তদন্ত নিষ্পন্নাধীন রাখিয়া উক্ত বিক্রয় স্থগিত করতে পারে ।

দেওয়ানি কার্যবিধির ২১নং আদেশের ৫৯নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, দাৰিদার বা আপত্তিকারী সম্পত্তিটি ক্রোক করার তারিখে উক্ত সম্পত্তিতে তার কোন স্বার্থ নিহিত ছিল কিংবা সম্পত্তিটি তার দখলে ছিল দেখাইয়া অবশ্যই প্রমাণ হাজির করবে।

এই আদেশের ৬০নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে উক্ত তদন্তের পর যদি আদালত উক্ত দাবি বা আপত্তিতে বর্ণিত কারণে সন্তোজনক হয় যে, উক্ত সম্পত্তি যখন ক্রোক করা হয়েছিল, তখন তা দায়িকের দখলে ছিল না বা তার জন্য অন্য ব্যক্তির তত্ত্বাবধানের ছিল কিংবা তাকে খাজনা প্রদানকারী কোন প্রজা বা অপর কোন ব্যক্তির অধিকারে ছিল অথবা উক্ত সময় দায়িকের দখলে থাকলেও ইহা তার মােট পাওনার বা তার নিজের পাওনার এবং আংশিক অন্য কোন ব্যক্তির পাওনার জন্য ছিল, তবে আদালত সমগ্র সম্পত্তি বা তার বিবেচনায় উপযুক্ত অংশের উপর হতে ক্রোক মুক্ত করে আদেশ প্রদান করবে। অংশীদারী কারবারের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ২১ আদেশের ৫৮ বিধির অধীনে দরখাস্ত করা হলে ম্যানেজার আপত্তি করতে পারে । [1995 AIHC 3776 India Ltd. Vs. Ulen Shel]

২১নং আদেশের ৫৯নং বিধি  দাবিদার দ্বারা সাক্ষ্য প্রদান

দাবিদার বা আপত্তিকারী সম্পত্তিটি ক্রোক করার তারিখে উক্ত সম্পত্তিতে তার কোন স্বার্থ নিহিত ছিল বা সম্পত্তিটি তার  দখলে ছিল দেখাইয়া অবশ্যই প্রমাণ পেশ করবে।

আদেশ ২১ বিধি ৬০ ক্রোক হতে সম্পত্তি মুক্ত

যেক্ষেত্রে উক্ত তদন্তের পর যদি আদালত উক্ত দাবি বা আপত্তিতে বর্ণিত কারণে সন্তোষজনক হয় যে, উক্ত সম্পত্তি যখন ক্রোক করা হয়েছিল, তখন তা দায়িকের দখলে ছিল বা তার জন্য অপর লােকের তত্ত্বাবধানের ছিল বা তাকে খাজনা প্রদানকারী কোন প্রজা বা অপর কোন লােকের অধিকারে ছিল বা উক্ত সময় দায়িকের দখলে থাকলেও এটা তার মােট পাওনার বা তার নিজের পাওনার এবং আংশিক অপর কোন লােকের পাওনার জন্য ছিল, তা হলে আদালত সমগ্র সম্পত্তি বা তার বিবেচনায় যথাযথ অংশের উপর হতে ক্রোকমুক্ত করে আদেশ প্রদান করবে।

আদেশ ২১ বিধি ৬১ ক্রোককৃত সম্পত্তির দাবি নামঞ্জুর

যেক্ষেত্রে আদালতের কাছে এটা সন্তোষজনক হয় যে, সম্পত্তিটি ক্রোক হওয়ার সময় দায়িকের নিজের সম্পত্তি হিসেবে দখলে ছিল এবং কোন লােকের জন্য ছিল না বা তার অছি হিসেবে অপর কোন লােকের জিম্মায় ছিল বা তাকে ভাড়া প্রদানকারী কোন প্রজা বা অপর কোন লােকের অধিকারে ছিল, সেক্ষেত্রে আদালত দাবি নামঞ্জুর করবে।

আদেশ ২১ বিধি ৬২ দায় সম্পর্কীত দাবি সাপেক্ষে ক্রোক চালু রাখা

যেক্ষেত্রে আদালতের কাছে এটা সন্তোষজনক হয় যে, ক্রোককৃত সম্পত্তিটি দখলবিহীন কোন লােকের অনুকূলে বন্ধক বা দায়গ্রস্ত আছে এবং আদালত যদি মনে করে ক্রোক এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা যথাযথ না হলে উক্ত বন্ধক বা দায় সাপেক্ষে তা করতে পারবে।

আদেশ ২১ বিধি ৬৪ ক্রোকাবদ্ধ সম্পত্তি বিক্রয় এবং তার বিক্রয় লব্ধ অর্থ অধিকারী লােককে প্রদানের আদেশ দেয়ার ক্ষমতা

ডিক্রী নির্বাহী কোন আদালত তার ক্রোককৃত এবং নিলাম বিক্রয় যােগ্য কোন সম্পত্তি বা ডিক্রী মিটাইতে যেরূপ দরকার মনে করেন, সেরূপ অংশ নিলামে বিক্রয়ের এবং উক্ত লব্ধ অর্থ বা তার যথেষ্ট অংশ ডিক্রী অনুযায়ী পাওয়ার অধিকারী পক্ষকে পরিশােধের আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৬৫ কার দ্বারা এবং কিভাবে নিলাম বিক্রয় পরিচালিত হবে

অন্যরূপ ধার্য ছাড়া ডিক্রী জারির কারণে প্রত্যেক নিলাম বিক্রয় আদালতের কোন কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে আদালত দ্বারা নিযুক্ত অপর কোন লােক দ্বারা পরিচালিত হবে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রকাশ্য নিলামে সম্পন্ন করতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৬৫ বিধির বিশ্লেষণ

কাহার দ্বারা এবং কিভাবে নিলাম বিক্রি হবে
নিলাম কাহার দ্বারা এবং কিভাবে বিক্রি হবে সে সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধির ২১নং আদেশের বিধি-৬৫ এ বিধান রাখা হয়েছে । উক্ত বিধি অনুযায়ী, অন্যরূপ নির্ধারণ ব্যতীত ডিক্রী জারির দরুন প্রত্যেক নিলাম বিক্রয় আদালতের কোন কর্মকর্তা কিংবা এতদুদ্দেশ্যে আদালত কর্তৃক নিযুক্ত অপর কোন ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত হবে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রকাশ্য নিলামে সম্পন্ন করতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৬৬ প্রকাশ্য নিলাম বিক্রয়ের ঘােষণা

১) যেক্ষেত্রে কোন ডিক্রী জারিতে কোন সম্পত্তি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয়ের আদেশ হয়, সেক্ষেত্রে আদালত অভিপ্রেত নিলাম বিক্রয় সম্পর্কে উক্ত আদালতের ভাষায় একটি ইশতেহার প্রচার করাবে।
২) ডিক্রীদার ও দায়িক বরাবরে নােটিশ প্রদান করার পর উক্ত ইশতেহার প্রণয়ন করতে হবে এবং তাতে নিলাম বিক্রয়ের সময় ও স্থান উল্লেখ করতে হবে এবং যথাসম্ভব সুষ্ঠ ও নির্ভুল ভাবে উল্লেখ করতে হবে।
ক) বিক্রয় করা হবে এমন সম্পত্তি;
খ) বিক্রয় করার সম্পত্তি যদি সরকারকে রাজস্ব দানকারী কোন ভূ-সম্পত্তি বা তার অংশের কোন স্বার্থ হয়, তা হলে উক্ত ভূ-সম্পত্তি বা তার অংশের উপর ধার্য রাজস্ব;
গ) সম্পত্তিটি কোন দায়ে দায়গ্রস্ত থাকলে;
ঘ) যে পরিমাণ টাকা উদ্ধারের জন্য নিলাম বিক্রয়ের আদেশ দেয়া হয়েছে তা; এবং
ঙ) সম্পত্তির প্রকৃতি ও মূল্য বিচার বিবেচনা করতে ক্রেতার যা জানা গুরুত্বপূর্ণ বলে আদালত মনে করে এরূপ অন্যান্য বিষয় উল্লেখ থাকবে।
৩) এই বিধির অধীনে নিলাম বিক্রয়ের আদেশের জন্য প্রতিটি দরখাস্তের সঙ্গে আরজি জবাবে স্বাক্ষর ও সত্য পাঠের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে স্বাক্ষর করে ও সত্যতা প্রতিপাদন করে একটি বিবৃতি দিতে হবে এবং উক্ত বিবৃতিতে সত্য পাঠকারী লােক দ্বারা যতটা সম্ভব জানা বা নিরূপণ করা যায়, ততটুকু, উপবিধি (২) এর অধীনে দরকারি বিষয়াবলি উক্ত ইশতেহারে বর্ণনা করে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
৪) ইশতেহারে উল্লেখ্য বিষয়াবলি নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে আদালত দরকার মনে করলে যে কোন লােককে সমন দিয়ে তলব করতে এবং অনুরূপ কোন বিষয় সম্পর্কে জবানবন্দী গ্রহণ করতে পারে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দলিল তার দখলে বা ক্ষমতায় থাকলে তা দাখিলের আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৬৬ বিধির বিশ্লেষণ

দেওয়ানি কার্যবিধিতে নিলাম বিক্রয় সম্পর্কিত সাধারণ নিয়মগুলি আলােচনা

নিলাম বিক্রয় সম্পর্কিত সাধারণ নিয়মাবলি দেওয়ানি কার্যবিধির ২১নং আদেশের ৬৫ ও ৬৬ নং বিধিগুলিতে বর্ণিত আছে ;

এই আদেশের ৬৫নং বিধি অনুযায়ী অন্যরূপ বিধান ব্যতীত ডিক্রী জারির দরুণ প্রত্যেক নিলাম বিক্রয় আদালতে কোন কর্মচারী কর্তৃক বা এতদুদ্দেশ্যে আদালতের নিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত হতে হবে এবং নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসারে প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠানের দ্বারা উহা সম্পন্ন করতে হবে।

এই আদেশের ৬৬(১) নং বিধি অনুযায়ী কোন সম্পত্তি ডিক্রী জারির দরুণ প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয়ের আদেশ হয়ে থাকলে আদালত প্রস্তাবিত নিলাম বিক্রয় সম্পর্কে আদালতের ভাষায় একটি ইশতেহার প্রচার করাইবেন। এই আদেশের ৬৬ (২) নং বিধি মােতাবেক, ডিক্রীদার ও সাব্যস্ত দেনাদরকে নােটিশ দেওয়ার পর উক্ত ইশতেহার প্রণয়ন করতে হবে এবং উহাতে নিলামের তারিখ ও স্থান উল্লেখ করতে হবে এবং যথাসম্ভব সঠিকভাবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির বিবরণ উল্লেখ করতে হবে। 
(ক) যে সম্পত্তি বিক্রয় হবে;
(খ) বিক্রয়যােগ্য সম্পত্তি সরকারি রাজস্ব দানকারী জমিদারী বা জমিদারীর অংশ হলে উহার উপর ধার্য রাজস্বের পরিমাণ;
(গ) সম্পত্তিটির উপর কোন দায় আরােপিত হয়ে থাকলে,
(ঘ) যে টাকা পরিশােধের জন্য সম্পত্তি বিক্রয়ের আদেশ হয়েছে তার পরিমাণ;
(ঙ) সম্পত্তির প্রকৃতি ও মূল্য নিরূপণের জন্য ক্রেতা অন্যান্য যে সকল বিষয় অবগত হতে চাহিবে বলে আদালত মনে করবেন অনুরূপ সকল তথ্য।

এই আদেশের ৬৫(৩) নং বিধি মােতাবেক, অত্র বিধি অনুসারে নিলাম বিক্রয়ের আদেশের জন্য আবেদন করার সময় উহার সাথে দরখাস্ত, স্বাক্ষর ও উহার সত্যতা নিরূপণের জন্য অত্র আইনের পূর্ববর্তী অংশে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসারে স্বাক্ষরিত ও পরীক্ষিত একটি বিবৃতি দাখিল করতে হবে এবং উক্ত বিবৃতিতে যতটা সম্ভব উপরে উল্লেখিত বিষয়সমূহের বিবরণ দান করতে হবে । এই আদেশের ৬৬(৪) নং বিধি অনুযায়ী, ইশতেহারে যে সকল বিবরণ দান করতে হবে, সেগুলি নিরূপণের জন্য আদালত প্রয়ােজন মনে করলে যে কোন ব্যক্তিকে সমন দ্বারা তলব করতে পারবেন।

আদেশ ২১ বিধি ৬৭ ইশতেহার প্রণয়নের পদ্ধতি

১) প্রত্যেক ইশতেহার যথাসম্ভব ৫৪ বিধির (২) উপবিধিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রণয়ন ও প্রকাশ করতে হবে।
২) যেক্ষেত্রে আদালত এরূপ নির্দেশ দেয় সেক্ষেত্রে উক্ত ইশতেহার সরকারি গেজেটে বা স্থানীয় কোন সংবাদ পত্র বা উভয়টিতে প্রকাশ করতে হবে এবং অনুরূপ প্রকাশের খরচ নিলাম বিক্রয়ের খরচ বলে গণ্য হবে।
৩) যে ক্ষেত্রে সম্পত্তি আলাদাভাবে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অংশে বিভক্ত করা হয়েছে সেক্ষেত্রে প্রত্যেক অংশের জন্য আলাদা ইশতেহার দরকার হবে না, যদি না বিক্রয় সম্পর্কে সঠিক বিজ্ঞপ্তি অন্যভাবে প্রদান করা যাবে না বলে আদালত মনে করে।

আদেশ ২১ বিধি ৬৮ বিক্রয়ের সময়

৪৩ বিধির শর্তে বর্ণিতরূপ সম্পত্তির ক্ষেত্র ছাড়া নিলাম বিক্রয়ের আদেশ প্রদানকারী বিচারকের আদালত প্রাঙ্গণে ইশতেহারের নকল সংযুক্ত দেয়ার তারিখ হতে স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে অন্ততঃপক্ষে ত্রিশ দিন এবং অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে পনের দিন অতিবাহিত না হওয়া অবধি দায়িকের লিখিত সম্মতি ছাড়া এই আইনের অধীনে কোন নিলাম বিক্রয় অনুষ্ঠিত হতে পারবে না।

আদেশ ২১ বিধি ৬৯ বিক্রয় মূলতবী বা বন্ধ করা

১) আদালত তার ঐচ্ছিক ক্ষমতায় এই আইনের অধীনে কোন বিক্রয় নির্দিষ্ট দিন ও সময় পর্যন্ত মূলতবী রাখিতে পারে এবং উক্তরূপ বিক্রয় পরিচালনাকারী কর্মকর্তা মূলতীর কারণ লিখিত করে তার স্বীয় ইচ্ছায় মূলতবী রাখিতে পারে। তবে শর্ত হল যে, আদালত প্রাঙ্গনে বা তার অঙ্গনের ভিতর যদি নিলাম বিক্রয় অনুষ্ঠিত হয়, তবে আদালতের অনুমতি ছাড়া অনুরূপ কোন মূলতবী করা যাবে না।
২) কোন নিলাম বিক্রয় উপবিধি (১) এর অধীনে ত্রিশ দিনের বেশি মেয়াদের জন্য মূলতবী রাখা হয়, তা হলে ৬৭ বিধির অধীনে নতুন করে ইশতেহার প্রচার করতে হবে, যদি না দায়িক এটা বর্জন করতে সম্মতি দেয়।
৩) নিলাম ডাক পরিসমাপ্তির পূর্বোক্তে যদি পাওনা টাকা এবং মামলার খরচের টাকা (বিক্রয়ের খরচাদিসমেত) নিলাম পরিচালনাকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দেয়া হয়, বা তার কাছে সন্তোষজনকভাবে প্রমাণ দেয়া হয় যে, উক্ত ঋণের টাকা ও মামলার খরচ বিক্রয়ের আদেশদানকারী আদালতে জমা দেয়া হয়েছে, তবে এরূপ প্রত্যেক বিক্রয় বন্ধ করতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৭০ কতিপয় বিক্রয়ে ব্যতিক্রম

কোন ডিক্রী জারির জন্য তা কালেক্টরের কাছে হস্তান্তরিত হয়ে থাকলে ৬৬ হতে ৬৯ বিধিসমূহের কোন কিছুই উক্তরূপ ক্ষেত্রে প্রয়ােগযােগ্য হবে না।

আদেশ ২১ বিধি ৭১ পুনঃ বিক্রয়ের লােকসানের জন্য খেলাপকারী দায়ী হতে হবে

কোনক্ষেত্রে ক্রেতার ত্রুটির কারণে যদি পুনরায় বিক্রয় করতে যে মূল্য হ্রাস পায়, সে নিলাম পরিচালনাকারী কর্মকর্তা বা অপর কোন লােককে হ্রাসের পরিমাণ এবং পুনরায় অনুষ্ঠিত নিলামের খরচা সম্পর্কে আদালতের কাছে বা কালেক্টরের অধঃস্তনের কাছে প্রত্যয়ন করতে হবে এবং ডিক্রীদার বা দায়িকের অনুরােধে উক্ত টাকা অপারগ ক্রেতা বা লেখাপীকারীর কাছ হতে টাকা আদায়ের ডিক্রীজারি সম্পর্কীত বিধানাবলির অধীনে আদায় করা যাবে।

আদেশ ২১ বিধি ৭২ বিনা অনুমতিতে ডিক্রীদারের নিলাম না ডাকা এবং সম্পত্তি খরিদ না করা

১) কোন ডিক্রী জারির দরুণ যে সম্পত্তি বিক্রয় হয়, সেক্ষেত্রে সে ডিক্রীর ধারক আদালতের প্রকাশ্য অনুমতি ছাড়া নিলাম ডাকিতে বা সম্পত্তি খরিদ করতে পারবে না।

২) ডিক্রীদার খরিদ করলে ডিক্রীর টাকা পরিশোধিত বলে গ্রহণ করা যেতে পারে

যেক্ষেত্রে ডিক্রীদার আদালতের অনুমতিতে খরিদ করবে সেক্ষেত্রে ৭৩ ধারার বিধানসমূহ সাপেক্ষে ডিক্রীর টাকার সঙ্গে নিলামের খরিদ মূল্য একটি অন্যটির সঙ্গে দাবি-সমন্বয় করা যাবে এবং ডিক্রী নির্বাহী আদালত তদানুসারে সামগ্রিক বা আংশিকভাবে ডিক্রী মিটানাে সম্পর্কে লিখিত করবে।
৩) যেক্ষেত্রে ডিক্রীদার নিজে বা অপর লােকের দ্বারা অনুরূপ অনুমতি ছাড়া খরিদ করে, সেক্ষেত্রে আদালত যদি দায়িক বা নিলাম বিক্রয়ের দরুণ স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়া অপর কোন লােকের আবেদনে যথাযথ মনে করেন, তবে আদেশ দিয়ে উক্ত নিলাম রদ করতে পারবেন, এবং উক্ত দরখাস্ত ও আদেশের খরচা এবং পুনঃবিক্রয়ের ফলে কোন মূল্য হ্রাস হয়, তা এবং তার যাবতীয় খরচ ডিক্রীদারকে পরিশােধ করতে হবে ।

আদেশ ২১ বিধি ৭৩ কর্মকর্তাগণ দ্বারা নিলাম ডাকা বা খরিদে বাধা-নিষেধ

কোন নিলাম বিক্রয় সম্পর্কীত অনুষ্ঠানে কর্তব্যরত কোন কর্মকর্তা বা লােক প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে নিলাম ডাকিতে পারবে না বা উক্ত বিক্রীত সম্পত্তিতে কোন স্বার্থ অর্জন বা অর্জনের চেষ্টা করতে পারবে না।

অস্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয়

আদেশ ২১ বিধি ৭৪ কৃষিজাত দ্রব্যের বিক্রয়

১) যেক্ষেত্রে সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় হবে তা যদি কৃষিজাত দ্রব্য হয় সেক্ষেত্রে-
ক) যদি উক্ত দ্রব্য উৎপাদিত শস্য হয়, তা হলে যে ভূমির উপরে উক্ত শস্য উৎপাদিত হয়েছে, তার উপর বা নিকটে; কিংবা
খ) যদি উক্ত দ্রব্য কর্তিত বা সংগৃহীত হয়ে থাকে, তা হলে খামারে বা শস্য মাড়াইবার স্থানে বা অনুরূপ কাজের স্থানে বা উহাদের কাছে বা গাে-মহিষাদির শুষ্ক খাদ্যের স্তুপের উপরে বা যেখানে তা সংগ্রহ করা আছে, সেখানে নিলাম বিক্রয় অনুষ্ঠিত হবে। তবে শর্ত হল যে, আদালত যদি মনে করে যে, নিকটবর্তী কোন সর্ব সাধারণের গমনাগমনের নিকটতম স্থানে নিলাম বিক্রয় অনুষ্ঠিত হলে উক্ত দ্রব্য বৃহদাকার সুবিধায় বিক্রয় হওয়ায় আংশকা আছে, তা হলে আদালত অনুরূপ স্থানে নিলাম সম্পন্নের নির্দেশ দিতে পারে।
২) যেক্ষেত্রে কৃষিজাত দ্রব্যটি বিক্রয়ের জন্য হাজির রাখা হলে-
ক) নিলামে বিক্রয় পরিচালনাকারী লােকের বিবেচনায়, তার জন্য সঠিক মূল্য ডাকা হয় নাই; এবং
খ) কৃষিজাত দ্রব্যের মালিক বা তৎপক্ষে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন লােক পরবর্তী দিবসের জন্য বা নিলাম বিক্রয়ের স্থানে কোন হাট বসিলে পরবর্তী হাটের দিন পর্যন্ত নিলাম বিক্রয় স্থগিত রাখার দরখাস্ত করে, এরূপক্ষেত্রে তদানুসারে নিলাম বিক্রয় স্থগিত রাখা হবে এবং তৎপর সেদিন কৃষিজাত দ্রব্যের জন্য যে মূল্যেই ডাক হােক, সে মূল্যে বিক্রয় সমাপ্ত করতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৭৫ উৎপাদিত ফসল সম্পর্কিত বিশেষ বিধান 

১) যেক্ষেত্রে যে সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় হবে তা যদি উৎপাদিত শস্য হয়ে থাকে এবং উক্ত শস্য যদি তার প্রকৃতিগত কারণে গােলাজাত করে রাখার উপযােগী হয়, তার নিলাম বিক্রয়ের জন্য তদ্রুপ বিক্রয়ের তারিখ ধার্য করতে হবে যাতে উক্ত তারিখ আগমনের আগে গােলাজাত করণের জন্য প্রস্তুত করা যেতে পারে, এবং উক্ত শস্য কর্তন সংগৃহীত না হওয়া এবং গােলাজাত করার জন্য প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত নিলাম বিক্রয় অনুষ্ঠিত হবে না।
২) যেক্ষেত্রে ফসলটি তার প্রকৃতিগত কারণে গােলাজাত করার উপযােগী নয়, সেক্ষেত্রে তা কর্তন করার এবং সংগ্রহ করার আগে তার নিলাম বিক্রয় অনুষ্ঠিত হবে এবং ক্রেতা ভূমিতে প্রবেশ করে উক্ত শস্যের রক্ষণাবেক্ষণ করার এবং তা কর্তন বা সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে দরকারি যাবতীয় কিছু করার অধিকারী হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৭৬ হস্তান্তরযােগ্য দলিলাদি এবং কর্পোরেশনের অংশগুলাে

যেক্ষেত্রে যে সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় হবে, তা যদি হস্তান্তরযােগ্য দলিল হয় বা কোন কর্পোরেশনের শেয়ার হয় সেক্ষেত্রে আদালত প্রকাশ্য নিলাম বিক্রয়ের পরিবর্তে উক্ত দলিল বা শেয়ার দালালের দ্বারা নিলাম বিক্রয়ের ক্ষমতা প্রদান করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৭৭ প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয়

১) যেক্ষেত্রে অস্থাবর সম্পত্তি প্রকাশ্য নিলামে বিক্রয় হয়, সেক্ষেত্রে তার প্রতিটি অংশের মূল্য, বিক্রয় হবার সময় বা নিলাম পরিচালনাকারী কর্মকর্তা বা অপর কোন লােককে পরে যথাশীঘ্র নির্দেশ অনুযায়ী পরিশােধ করতে হবে এবং পরিশোধ করতে অপারগ হলে তৎক্ষণাৎ সম্পত্তিটি পুনরায় নিলাম বিক্রয় করা হবে।
২) খরিদ মূল্য পরিশােধ করা হলে নিলাম পরিচালনাকারী কর্মকর্তা বা অপর লোক তার রশিদ অনুমােদন করবে এবং নিলাম বিক্রয় পূর্ণভাবে বহাল হবে ।
৩) যেক্ষেত্রে বিক্রয় হবার অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় হবে, তা যদি দায়িক ও কোন শরীকের মালিকানাধীন জিনিসের অংশ হয়, সেক্ষেত্রে দুই বা ততােধিক লােক যদি উক্ত সম্পত্তি বা তার কোন অংশের জন্য এবং তাদের একজন যদি উক্তরূপ শরীকদার, তবে উক্ত ডাক সে শরীকদারের ডাক বলে গণ্য হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৭৮ অনিয়মের কারণে নিলাম বিক্রয় রহিত হয় না, কিন্তু কোন লােক ক্ষতিগ্রস্থ হলে মামলা করতে পারে

অস্থাবর সম্পত্তি নিলাম বিক্রয়ের প্রচার বা পরিচালনায় কোন অনিয়মের কারণে নিলাম বিক্রয় অকার্যকর হবে না; কিন্তু উক্ত অনিয়মের কারণে কোন লােক অপর লােকের হাতে কোন ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের জন্য বা (যদি উক্ত অপর লােক ক্রেতা হয়) নির্দিষ্ট সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য এবং অনুরূপ উদ্ধারে ব্যর্থতার জন্য ক্ষতিপূরনের মামলা করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৭৯ অস্থাবর সম্পত্তি ঋণ এবং শেয়ার অর্পণ

১) যেক্ষেত্রে প্রকৃত আটকের দ্বারা নিলাম বিক্রীত সম্পত্তি অস্থাবর হয়, সেক্ষেত্রে তা ক্রেতা বরাবর অর্পণ করতে হবে।
২) যেক্ষেত্রে নিলামে বিক্রীত সম্পত্তি যদি দায়িক ছাড়া অপর কোন লােকের দখলস্থিত হয় সেক্ষেত্রে তা দখলকারী লােককে উক্ত সম্পত্তি ক্রেতা ভিন্ন অপর কোন লােকের কাছে অর্পণ করা নিষিদ্ধ করে নােটিশ প্রদান করার দ্বারা তার অর্পণ কর্ম সমাপ্ত করতে হবে।
৩) যেক্ষেত্রে বিক্রীত সম্পত্তি কোন হস্তান্তরযােগ্য দলিল দ্বারা জামানতবিহীন ঋণ নয় এমন কোন ঋণ বা কর্পোরেশনের শেয়ার হয় সেক্ষেত্রে তা অর্পণের জন্য আদালত লিখিতভাবে পাওনাদারকে উক্ত ঋণ বা তার উপর প্রাপ্য কোন সুদ গ্রহণ করতে নিষেধ করে এবং দেনাদারকে ক্রেতা ছাড়া অপর কোন লােক বরাবরে উক্ত টাকা পরিশােধ করতে নিষিদ্ধ করে বা যে লােকের নামে শেয়ার আছে, সে লােক দ্বারা ক্রেতা ছাড়া অপর কোন লােকের কাছে উক্ত শেয়ার হস্তান্তরকরণ করতে বা তার লভ্যাংশ বা সুদ গ্রহণ করতে নিষিদ্ধ করে এবং কর্পোরেশনের ম্যানেজার, সচিব বা অপর কোন যথাযথ
কর্মকর্তাকে ক্রেতা ছাড়া অপর কোন লােকের বরাবরে অনুরূপ কোন হস্তান্তর বা কোন পরিশােধ করতে অনুমতি দেয়া হতে বিরত থাকার জন্য লিখিতভাবে আদেশ প্রদান করবে।

আদেশ ২১ বিধি ৮০ হস্তান্তরযােগ্য দলিলাদি এবং শেয়ারগুলাে হস্তান্তর

১) যেক্ষেত্রে দলিলের সম্পাদন বা যে পক্ষের নামে কোন হস্তান্তরযােগ্য দলিল আছে তার পৃষ্ঠাঙ্কন বা কোন কর্পোরেশনের শেয়ার হস্তান্তরের দরকার হলে, উক্ত হস্তান্তরযােগ্য দলিল বা শেয়ার বিচারক বা তার পক্ষে এতদকর্তৃক নিযুক্ত কোন কর্মকর্তা অনুরূপ দরকারি দলিল সম্পাদন বা পৃষ্ঠাঙ্কন করতে পারে এবং অনুরূপ সম্পাদন বা পৃষ্ঠাঙ্কন পক্ষ দ্বারা স্বাক্ষরের ন্যায় একই রূপ কার্যকর হবে ।
২) উক্ত সম্পাদন বা সহি নিম্নবর্ণিত নমুনায় হতে পারে, যথা: 'ক' 'খ' এর বিরুদ্ধে ‘ঙ', 'চ' দ্বারা রুজুকৃত মামলায় ‘ক', 'খ'-এর পক্ষে ‘গ’, ‘ঘ’ আদালতের বিচারক (কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে অপর কোন লােক)।
৩) অনুরূপ হস্তান্তরযােগ্য দলিল বা শেয়ার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত আদালত উহাদের প্রাপ্য সুদ বা লভ্যাংশ গ্রহণের জন্য এবং তার জন্য প্রাপ্তি রশিদ স্বাক্ষর করতে আদেশ দিয়ে নিয়ােগ করতে পারে; এবং অনুরূপ স্বাক্ষরিত কোন রশিদ সব উদ্দেশ্যে এরূপ বৈধ এবং কর্মকরী হবে যেরূপ পক্ষ দ্বারা স্বয়ং স্বাক্ষরিত হলে হত ।

আদেশ ২১ বিধি ৮১ অপর সম্পত্তির ক্ষেত্রে ন্যস্তকারী আদেশ

ইতঃপূর্বে বিধান দেয়া হয় নাই এরূপ অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে আদালত একটি আদেশ দ্বারা উক্ত সম্পত্তি ক্রেতা বরাবর বা যে রূপ নির্দেশ প্রদান করা হয় তজ্জন্য ন্যস্ত করতে পারে এবং উক্ত সম্পত্তি তদানুযায়ী ন্যস্ত হবে।

স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয়

আদেশ ২১ বিধি ৮২ কোন কোন আদালত বিক্রয় করার আদেশ প্রদান করতে পারে

ক্ষুদ্র বিষয়ক আদালত ছাড়া অপর যে কোন আদালত ডিক্রী জারিতে স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয়ের আদেশ প্রদান করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৮৩ দায়িককে ডিক্রীর টাকা সংগ্রহ করার সুযােগ দিতে নিলাম বিক্রয় স্থগিতকরণ

১) যেক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি নিলাম বিক্রয়ের আদেশ দেয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে দায়িক যদি আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করতে পারে যে, উক্ত স্থাবর সম্পত্তি বা তার কোন অংশ বা দায়িকের অপর কোন স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক, ইজারা বা ব্যক্তিগত বিক্রয় দ্বারা ডিক্রীর টাকা সংগ্রহ হতে পারে বলে এরূপ বিশ্বাস করার কারণ আছে, তবে সেক্ষেত্রে যাতে এইভাবে টাকা সংগ্রহ করতে পারে সেজন্য আদালত তার আবেদনে তার বিবেচনা অনুযায়ী শর্ত এবং সঠিক মেয়াদের আদেশে বর্ণিত সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় স্থগিত রাখতে পারে ।

২) এরূপ ক্ষেত্রে আদালত দায়িককে-প্রত্যয়নপত্রে বর্ণিত সময়ের ভিতর এবং ৬৪ ধারায় নিহিত কোন বিধান থাকা সত্ত্বেও তার প্রস্তাবিত বন্ধক, ইজারা বা নিলাম বিক্রয়ের ক্ষমতা দিয়ে একটি প্রত্যয়নপত্র অনুমােদন করবে। তবে শর্ত হল যে, অনুরূপ বন্ধক, ইজারা বা নিলাম বিক্রয়ের অধীনে প্রদেয় সব টাকা দায়িককে পরিশােধ করা যাবে না, কিন্তু ডিক্রীদার ৭২ বিধির অধীনে যে পরিমাণ টাকা দাবি-সমন্বয়ের অধিকারী, তা ব্যতিরেকে আদালতে জমা করতে হবে। তবে আরও শর্ত থাকে যে, আদালত দ্বারা বহাল না হওয়া অবধি এই বিধির অধীনে কোন বন্ধক, ইজারা বা নিলাম বিক্রয় পূর্ণভাবে বহাল হবে না ।

৩) উক্ত সম্পত্তিতে বন্ধক বা তার উপর দায় কার্যকর করার সময় ডিক্রীজারিতে সম্পত্তি নিলাম বিক্রয়ের আদেশ হয়ে থাকলে, সেক্ষেত্রে এই বিধির কোন বিধানই প্রয়ােগযােগ্য হবে না।

আদেশ ২১ বিধি ৮৪ ক্রেতা দ্বারা জমা এবং ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে পুনঃ বিক্রয়

১) স্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রয়ের সময় খরিদ্দার বলে ঘােষিত লােক বিক্রয় পরিচালনাকারী কর্মচারী বা অপর লােকের কাছে উক্ত ঘােষণা অব্যবহিত পরই তার ক্রয়মূল্যের টাকার শতকরা পঁচিশ ভাগ টাকা জমা প্রদান করবে এবং অনুরূপ প্রদানে ব্যর্থ হলে সম্পত্তিটি তখনই পুনরায় নিলামে বিক্রয় করা হবে।

২) যেক্ষেত্রে ডিক্রীদার ক্রেতা এবং ৭২ বিধির অধীনে ক্রয় মূল্যের দাবি সমন্বয়ের অধিকারী, সেক্ষেত্রে আদালত এই বিধির প্রয়ােজনীয়তা পরিত্যাগ করতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৮৫ ক্রয় মূল্যের পুরো টাকা পরিশোধের জন্য

ক্রয়মূল্যের দেয় সম্পূর্ণ টাকা সম্পত্তি নিলাম বিক্রয়ের দিন হতে পনেরতম দিবসে। আদালত বন্ধ হওয়ার আগে ক্রেতা দ্বারা আদালতে জমা দিতে হবে। তবে শর্ত হল যে, এরূপ আদালতে জমা দেয়া টাকার পরিমাণ হিসাব করার সময় এই বিধির অধীনে ক্রেতা কোন দাবি সমন্বয়ের অধিকারী হলে এর সুবিধা লাভ করবে।

আদেশ ২১ বিধি ৮৬ পরিশােধে ব্যর্থ হলে কর্মপদ্ধতি

শেষ পূর্ববর্তী বিধিতে বর্ণিত মেয়াদের ভিতর পরিশােধ করতে ব্যর্থ হলে আদালত যদি যথাযথ মনে করে, তা হলে জমা দেয়া টাকা হতে নিলাম বিক্রয়ের খরচা নির্বাহ করার পর সরকার বরাবরে তা বাজেয়াপ্ত হতে পারে এবং সম্পত্তি পুনরায় নিলাম বিক্রয় হবে এবং ব্যর্থ ক্রেতা উক্ত সম্পত্তির উপর বা তার পরবর্তী বিক্রয়ের টাকার কোন অংশে সব প্রকার দাবির অধিকার হতে বঞ্চিত হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৮৭ পুনঃবিক্রয়ের বিজ্ঞপ্তি

ক্রয়মূল্য পরিশােধের জন্য প্রদত্ত মেয়াদের ভিতর পরিশােধে ব্যর্থ হওয়ার জন্য স্থাবর সম্পত্তির প্রতিটি পুনঃবিক্রয় নিলাম বিক্রয়ের জন্য এতদপূর্বে নির্ধারিত পদ্ধতি এবং মেয়াদের জন্য নুতন করে ইশতেহার প্রদানের পর করতে হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৮৮ নিলাম ডাকে শরীকদের অগ্রাধিকার

যেক্ষেত্রে নিলাম বিক্রীত সম্পত্তি কোন অবিভক্ত স্থাবর সম্পত্তির অংশ হয় এবং দুই বা ততােধিক লােক উক্ত সম্পত্তির বা কোন অংশের নিলাম ডাকে যাদের একজন যথাক্রামে শরীকদার, সেক্ষেত্রে নিলামে ডাকটি উক্ত শরীকদারের ডাক বলে পরিগণিত হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৮৯ জমা দিয়ে নিলাম বিক্রয় রদের দরখাস্ত

 ১) যেক্ষেত্রে ডিক্রী জারিতে স্থাবর সম্পত্তি নিলামে বিক্রয় হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তির মালিক বা নিলাম বিক্রয়ের আগে তথায় অর্জিত কোন স্বত্বের অনুবলে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিক্রয় রদের জন্য

ক) ক্রয় মূল্যের শতকরা পাঁচ ভাগের সমান অংক ক্রেতাকে প্রদানের জন্য; এবং

খ) নিলাম বিক্রয়ের উক্ত ইশতেহারের তারিখ হতে ডিক্রীদার কোন পরিমাণ টাকা গৃহীত হয়ে থাকলে তা বিয়ােজনপূর্বক যে পরিমাণ টাকা আদায়ের জন্য নিলাম বিক্রয়ের আদেশ হয়েছে বলে নিলাম বিক্রয়ের ইশতেহারে নির্দেশ দেয়া আছে, তা ডিক্রীদারকে প্রদানের জন্য আদালতে জমা দিয়ে আবেদনপত্র পেশ করতে পারে।

২) যেক্ষেত্রে কোন লােক তার স্থাবর সম্পত্তি নিলাম বিক্রয় রদের জন্য ৯০ বিধির অধীনে দরখাস্ত করে, সেক্ষেত্রে সে তার দরখাস্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত এই বিধির অধীনে কোন দরখাস্ত করতে বা পরিচালনা করতে অধিকারী হবে না।

৩) মামলার ব্যায়াদি এবং নিলাম বিক্রয়ের ইশতেহারে অনুল্লিখিত না হওয়া কোন খরচা এবং সুদ সম্পর্কিত কোন দায় হতে দায়িককে এই বিধির কোন বিধানই অব্যাহতি দিবে না।

আদেশ ২১ বিধি ৯০ অনিয়মতা বা প্রতারণার কারণে নিলাম বিক্রয় রদের দরখাস্ত

যেক্ষেত্রে কোন স্থাবর সম্পত্তি ডিক্রীজারিতে নিলাম বিক্রয় হয়েছে, সেক্ষেত্রে ডিক্রীদার বা সম্পত্তির বন্টনে আনুপাতিক অংশের অধিকারী কোন লােক বা উক্ত নিলাম বিক্রয়ের কারণে যার স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় ঐ লােক নিলাম বিক্রয় রদের জন্য তা প্রচার বা পরিচালনার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ অনিয়ম বা প্রতারণার অজুহাতে আদালতে দরখাস্ত করতে পারে। তবে শর্ত হল যে, অনুরূপ অনিয়ম বা তঞ্চকতার কারণে কোন নিলাম বিক্রয় রদ হবে না, যদি না প্রমানিত তথ্যসমূহের উপর আদালত এই মর্মে পরিতুষ্ট হয় যে, দরখাস্ত কারী উক্ত অনিয়মতা বা তঞ্চকতার অজুহাতে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আদেশ ২১ বিধি ৯১ দায়িকের বিক্রয়যােগ্য স্বার্থ না থাকার অজুহাতে ক্রেতা দ্বারা বিক্রয় রদের দরখাস্ত

ডিক্রী জারিতে অনুরূপ কোন নিলাম বিক্রয়ের ক্রেতা উক্ত নিলাম বিক্রয় রদের জন্য আদালতে এই কারণে দরখাস্ত করতে পারে যে, নিলামে বিক্রীত সম্পত্তিতে দায়িকে কোন বিক্রয় যােগ্য স্বার্থ ছিল না।

আদেশ ২১ বিধি ৯২ নিলাম বিক্রয় কখন চূড়ান্ত বা রদ করা হবে

১) যেক্ষেত্রে ৮৯, ৯০ বা ৯১ বিধির অধীনে কোন দরখাস্ত করা হয় না, বা যেক্ষেত্রে অনুরূপ দরখাস্ত করা হয়েছিল এবং তা অগ্রাহ্য হয়েছে, সেক্ষেত্রে আদালত নিলাম বিক্রয় বহাল করে একটি আদেশ দিবে এবং তজ্জন্য নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হবে।

২) যেক্ষেত্রে অনুরূপ দরখাস্ত করা হয়েছিল এবং তা অনুমােদন করা হয়েছে এবং যেক্ষেত্রে ৮৯ বিধির অধীনে কোন দরখাস্ত করা হলে ঐ বিধির অধীনে দরকারি অংক নিলাম বিক্রয়ের তারিখ হতে ত্রিশ দিনের ভিতর জমা দেয়া হয় সেক্ষেত্রে আদালত নিলাম রদ করে একটি আদেশ প্রদান করবে। তবে শর্ত হল যে, তজ্জন্য ক্ষতিগ্রস্থ সব লােকের বরাবরে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়ে থাকলে কোন আদেশ দেয়া চলবে না।

৩) এই বিধির অধীনে যার বিরুদ্ধে অনুরূপ কোন আদেশ প্রদত্ত হয়েছে, সেরূপ কোন লােক দ্বারা এই বিধির অধীনে আদেশ রদের জন্য কোন মামলা করা যাবে না।

আদেশ ২১ বিধি ৯৩ কতিপয় ক্ষেত্রে ক্রয়মূল্য ফেরত

যেক্ষেত্রে ৯২ বিধির অধীনে কোন স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় রদ হয়েছে, সেক্ষেত্রে খরিদ্দার, তার খরিদ মূল্য যাকে দিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সুদ সহ বা ছাড়া তা ফেরতের জন্য উক্ত লােকের বিরুদ্ধে একটি আদেশের অধিকারী হবে।

আদেশ ২১ বিধি ৯৪ ক্রেতাকে প্রত্যয়ন পত্র প্রদান

যে ক্ষেত্রে কোনো স্থাবর সম্পত্তির নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয়েছে, সেক্ষেত্রে আদালত নিলামে বিকৃত সম্পত্তি এবং নিলাম বিক্রয়ের সময় খরিদ্দার হিসেবে ঘোষিত হয়, তার সবিস্তারে বিবৃতি প্রদান পূর্বক একটি প্রত্যয়ন পত্র অনুমোদন করবে। অনুরূপ প্রত্যয়ন পত্রের যেদিন নিলাম বিক্রয় চূড়ান্ত হয়েছে তা উল্লেখ থাকবে।

আদেশ ২১ বিধি ৯৫  দায়িকের দখলীয় সম্পত্তির অর্পণ

যেক্ষেত্রে বিক্রীত স্থাবর সম্পত্তি দায়িকের বা তার পক্ষে অপর কোন লােকের অধিকারে আছে বা ক্রোকের পর দায়িক দ্বারা সৃষ্ট কোন স্বত্ব অনুযায়ী দাবিদার কোন লােকের অধিকারে আছে এবং তা সম্পর্কে ৯৪ বিধির অধীনে কোন প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে ক্রেতার আবেদনে আদালত ক্রেতাকে বা তৎদ্বারা তার পক্ষে সম্পত্তির দখল গ্রহণের জন্য নিযুক্ত কোন লােককে দখল প্রদানের জন্য এবং কেউ তা পরিত্যাগ করতে অস্বীকার করলে দরকার বােধে তাকে অপসারণ করতে আদেশ প্রদান করবে।

আদেশ ২১ বিধি ৯৬ প্রজার দখলীয় সম্পত্তি অর্পণ

যেক্ষেত্রে বিক্রীত সম্পত্তি কোন প্রজার বা তা দখল করার অধিকারী কোন লােকের দখলস্থিত হয় এবং তা সম্পর্কে ৯৪ বিধির অধীনে কোন প্রত্যয়ন পত্র অনুমােদন হয়েছে, সেক্ষেত্রে ক্রেতার আবেদনে আদালত আদেশ দিবে যে, নিলাম বিক্রয়ের প্রত্যয়ন পত্রের একটি নকল সম্পত্তির কোন প্রকাশ্য স্থানে সংযুক্ত করে এবং ঢােল-শহরত বা অপর কোন প্রচলিত পদ্ধতিতে কোন সুবিধাজনক স্থানে দায়িকের স্বার্থ ক্রেতার হস্তান্তরিত হয়েছে বলে দখলকারীর কাছে প্রচারের দ্বারা অর্পণ করা হােক।

ডিক্রীদার বা ক্রেতাকে দখল অর্পণে বাধাদান

আদেশ ২১ বিধি ৯৭ স্থাবর সম্পত্তি দখলে বাধা দান

১) যেক্ষেত্রে স্থাবর সম্পত্তি দখলের জন্য প্রদত্ত ডিক্রীর মালিক বা ডিক্রী জারিতে নিলাম বিক্রয়ের অনুরূপ সম্পত্তির ক্রেতা উক্ত সম্পত্তির দখল লাভ করার ব্যাপারে কোন লােক দ্বারা প্রতিবন্ধ বা বাধা প্রাপ্ত হয় সেক্ষেত্রে সে উক্ত প্রতিবন্ধ বা বাধা সম্পর্কে নালিশ করে আদালতে একটি দরখাস্ত পেশ করতে পারে।

২) আদালতে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি দিন ধার্য করবে এবং যে পক্ষের বিরুদ্ধে দরখাস্ত করা হয়েছে সে পক্ষকে হাজির হওয়ার এবং তার জবাব প্রদানের জন্য সময় প্রদান করবে।

আদেশ ২১ বিধি ৯৮ দায়িক দ্বারা প্রতিবন্ধ বা বাধাদান

যেক্ষেত্রে আদালতের কাছে এটা সন্তোষজনক হয় যে, দায়িক বা তার প্ররােচনায় অপর কোন লােক কোন ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া প্রতিবন্ধ বা বাধাদান করেছিল, সেক্ষেত্রে আদালত দরখাস্তকারীকে সম্পত্তির দখলে রাখার নির্দেশ দিবে এবং যেক্ষেত্রে দরখাস্ত কারীকে এতদসত্ত্বেও দখল পাবার প্রতিবন্ধ বা বাধাদান করেছিল, সেক্ষেত্রে আদালত দরখাস্তকারী কে সম্পত্তি দখলে রাখার আদেশ প্রদান করবে এবং যে ক্ষেত্রে দরখাস্তকারী কে এতৎসত্ত্বেও দখল পাবার প্রতিবন্ধ বা বাধা দান করা হয়, সে ক্ষেত্রে আদালত দরখাস্তকারীর অনুরোধে দায়ীক কে বা তার প্ররোচনায় কর্মকরী লোককে ৩০ দিন পর্যন্ত মেয়াদের জন্য দেওয়ানী কারাগারে আটকের এর আদেশও দিতে পারে।

আদেশ ২১ বিধি ৯৯ প্রকৃত দাবিদার দ্বারা প্রতিরােধ বা বাধাদান

যেক্ষেত্রে আদালতের কাছে এটা সন্তোষজনক হয় যে, কোন লােক দ্বারা (দায়িক ব্যতীত) সরল বিশ্বাসে সম্পত্তির দাবিদার হিসেবে দাবি করে তার নিজের জন্য বা দায়িক ছাড়া অপর কারাে পক্ষে প্রতিরােধ বা বাধার সৃষ্টি হয়েছিল সেক্ষেত্রে আদালত দরখাস্ত খারিজ করে একটি আদেশ প্রদান করবে।

আদেশ ২১ বিধি ১০০ ডিক্রীদার বা ক্রেতা দ্বারা বেদখল

১) যেক্ষেত্রে দায়িক ছাড়া কোন লােক, স্থাবর সম্পত্তির দখলের জন্য প্রাপ্ত ডিক্রীর মালিক দ্বারা বা যেক্ষেত্রে উক্ত সম্পত্তি ডিক্রী জারিতে নিলামে বিক্রয় হয়েছে, সেক্ষেত্রে তার খরিদ্দার দ্বারা উক্ত সম্পত্তি হতে দখলচ্যুত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে অনুরূপ বেদখলের নালিশ করে আদালতে একটি দরখাস্ত করতে পারে।

২) আদালত বিষয়টি তদন্ত করতে দিন ধার্য করবে। এবং যে পক্ষের বিরুদ্ধে দরখাস্ত করা হয় সে পক্ষকে হাজির হতে এবং উত্তর দিতে তলব করবে।

আদেশ ২১ বিধি ১০১ প্রকৃত দাবিদারকে দখল প্রত্যর্পণ

যেক্ষেত্রে আদালতের কাছে সন্তোষজনক হয় যে, দরখাস্তকারী উক্ত সম্পত্তিতে তার নিজের পাওনায় বা দায়িক ছাড়া অপর কোন লােকের কারণে উক্ত সম্পত্তির দখলে ছিল সেক্ষেত্রে আদালত দরখাস্তকারীকে উক্ত সম্পত্তির দখলে রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করবে।

আদেশ ২১ বিধি ১০২ মামলা চলাকালে হস্তান্তর গ্রহীতার ক্ষেত্রে বিধিগুলাে প্রয়ােগযােগ্য নয়

যে মামলায় ডিক্রী দেয়া হয়েছে, তা রুজুর পর দায়িক স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করেছে, ডিক্রী জারির কারণে সম্পত্তি দখলে উক্ত লােক দ্বারা প্রতিবন্ধ বা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে বা উক্ত লােককে বেদখলের ক্ষেত্রে ৯৯ এবং ১০১ বিধির কোন বিধানই প্রয়ােগযােগ্য হবে না।

আদেশ ২১ বিধি ১০৩ নিয়মিত মামলা সাপেক্ষে আদেশাবলি চূড়ান্ত

দায়িক নয় এরূপ লােকের বিরুদ্ধে ৯৮, ৯৯ বা ১০১ বিধির অধীনে কোন আদেশ প্রদত্ত হলে সম্পত্তির বর্তমান দখল যে অধিকারে সে দাবি করে, তার স্বত্ব সাব্যস্তের জন্য সে মামলা করতে পারবে, কিন্তু অনুরূপ মামলার (যদি কোন) ফলাফল সাপেক্ষে আদেশটি চূড়ান্ত হবে।

Popular posts from this blog

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha...

Write a paragraph on environment pollution পরিবেশ দূষণ

Write a paragraph on environment pollution (পরিবেশ দূষণ) Environment Pollution Environment pollution means the pollution of air, water, sound, odour, soil and other elements of it. We need safe and clean environment. Pollution of it has tremendous bad effects. Any sort of pollution may bring the doom of life. At present, our environment is being polluted at an alarming rate, Air, the most important element of environment is polluted by smoke from railway engines and power-houses, or the burning of coal and oil or the making of bricks. Water, another vital element is being polluted by the use of chemicals and insecticides or oil seeping from damaged super tankers or by industrial discharge. Sound pollution is caused by the use of microphones and loud speakers. All these pollutions may wipe out our existence from the earth. The destruction of forest also causes environment imbalance that makes the wild animals wipe out. So, it is our moral duty to prevent environment pollution. We must ...

Ecotourism -Read the passage and answer the questions Unit 9 Lesson 3c English For Today

Read the passage and answer the questions Ecotourism is a booming business that many tour operators cite as being helpful to nature.(পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প একটি দ্রুত সমৃদ্ধিময় ব্যবসা যা পর্যটন পরিচালনাকারীবৃন্দ প্রকৃতির জন্য সহায়ক বলে আখ্যায়িত করেন) Every year, millions of people descend on protected and pristine natural areas to observe rare species. (প্রতি বছর, লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্লভ প্রজাতির প্রাণীগুলোকে দেখতে সংরক্ষিত এবং বিশুদ্ধতা বিরাজমান আছে এমন প্রাকৃতিক অঞ্চল ভ্রমণ করে থাকে।) However, a new report casts doubt on the value of this form of tourism.(যাহোক, একটি নতুন ধরণের পর্যটনের উপকারিতাকে সন্দেহের নজরে দেখছে।) In fact, it suggests that ecotourism is more damaging than helpful to nature. (বাস্তবে, এটি পরামর্শ দিচ্ছে যে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রকৃতির জন্য সহায়কের চেয়ে অধিকতর ক্ষতিকর।) Details are in a report published in the journal Trends in Ecology and Evolution’. (‘ট্রেন্ডস ইন ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন’ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়...