- Get link
- X
- Other Apps
Order 17 Adjournments Civil Procedure Code
আদেশ ১৭ মুলতবী দেওয়ানী কার্যবিধি আইন
আদেশ ১৭ বিধি ১ আদালত সময় অনুমােদন করতে এবং শুনানী মুলতবী রাখিতে পারে
১) যথেষ্ট কারণ দর্শাইলে আদালত মামলার যেকোন স্তরে পক্ষগণের বা তাদের কোন পক্ষকে সময় অনুমােদন করতে পারে এবং সময় সময় মামলার শুনানী মূলতবী রাখিতে পারে।
২) মূলতবীর খরচ
উক্তরূপ প্রত্যেক ক্ষেত্রে আদালত মামলাটির পরবর্তী শুনানীর জন্য তারিখ নির্দিষ্ট করবে এবং মূলতবী ঘটিত ব্যয় সম্পর্কে আদালত যথাযথ মনে করে এরূপ আদেশ প্রদান করতে পারেন। তবে শর্ত হল যে, একবার শুনানী শুরু হয়ে থাকলে, আদালত কারণ লিখিত করে পরবর্তী দিন ছাড়াইয়া শুনানী মুলতবী রাখার দরকার মনে না করলে মামলার শুনানী হাজির সব সাক্ষীদের পরীক্ষা গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত দিনের পর দিন ক্রমাগতভাবে চলতে থাকবে।
৩) উপ-বিধি (১) এবং (২) এ যা কিছুই থাকুক না কেন, কোন পক্ষের অনুরােধে আদালত কোন মামলায় দোতরফা শুনানীর আগে ছয়টিরও বেশি মূলতবী অনুমােদন করবে না এবং কোন পক্ষের যথাযথ সীমার বাহিরে মূলতবী অনুমােদন করলে উক্ত পক্ষকে এটা দ্বারা নির্ধারিত সময়ের ভিতর অন্যূন দুইশত টাকা এবং অনুর্ধ্ব এক হাজার টাকা খরচ দিতে বাধ্য করবে। বাদী এটা মান্য করতে অপারগ হলে মামলা খারিজ হয়ে যাবে এবং বিবাদীর মান্য করতে অপারগতায় মামলাটি একরতফা সূত্রে নিস্পত্তি হবে। তবে শর্ত হল যে, এই বিধির অধীনে খরচাদি দিলেও আদালত কোন পক্ষকে তিনটির বেশি মূলতবী অনুমােদন করবে না।
৪) এই কোডে যা কিছু থাকুক না কেন, আদালত দোতরফা শুনানীর পর্যায়ে এবং অতঃপর মামলার কোন পক্ষের অনুরােধে মূলতবী অনুমােদন করবে না। তবে শর্ত হল যে, সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে এই বিধির অধীনে কোন পক্ষকে মূলতবী অনুমােদন করলে আদালত এটা দ্বারা নির্ধারিত সময়ের ভিতর ঐ পক্ষকে আনুন্য দুইশত টাকা এবং অনুর্ধ্ব এক হাজার টাকা ব্যায়াদির খরচ অপর পক্ষকে দিতে আদেশ দিবে, বাদি তা মান্য করতে অপারগ হলে মামলা খারিজ হয়ে যাবে এবং বিবাদীর মান্য করতে অপারগতায় মামলাটি একতরফা সূত্রে নিস্পত্তি হবে। আরও শর্ত থাকে যে, যথাযথ শর্তানুসারে আদালত কোন পক্ষকে তিনটির বেশি মূলতবী অনুমােদন করবে না।
৫) উপ-বিধি (৩) বা (৪) এর অধীনে যেক্ষেত্রে উভয় পক্ষ দ্বারা মূলতবীর দরখাস্ত পেশ করা হয় এবং ব্যায়াদির খরচসমেত আদেশগুলাে অনুমােদন করা হয়, সেক্ষেত্রে আদালত প্রতিটি পক্ষকে রাষ্ট্রের রাজস্ব খাতে অনুরূপ খরচাদি জমা প্রদান করার আদেশ দিবে।
৬) কোন কারণ রেকর্ড না করে আদালত এই বিধির অধীনে নিজের ক্ষেত্রে মূলতবীর আদেশ প্রদান করবে না।
৭) উপ-বিধি (৩) বা (৪) এর অধীনে মামলা একতরফা নিস্পত্তি হলে তা শুনানির জন্য পুনর্বহাল করা যাবে না, যদি না যার অমান্যের কারণে মামলাটি খারিজ হয় বা একতরফা নিস্পত্তি হয়, তিনি খারিজ বা একতরফা নিস্পত্তির ত্রিশ দিনের ভিতর তা পুনর্বহালের দরখাস্তের সঙ্গে আদালতে দুই হাজার টাকা ব্যায়াদির খরচা জমা প্রদান করেন; এবং অনুরূপ দরখাস্তের প্রেক্ষিতে অপর কর্মধারা ছাড়াইয়া মামলাটি পুনর্বহাল করা হবে এবং জমাকৃত খরচা অপর পক্ষকে দিতে হবে। (২০০৩ সালের ৪০নং আইন দ্বারা সংশোধিত)
আদেশ ১৭ বিধি ১ বিধির বিশ্লেষণ
মূলতবী (Adjournment) কাকে বলে
মূলতবীঃ বিধি ১, আদেশ ১৭
আদালত মামলার যে কোন স্তরে সময় মঞ্জুর এবং মামলা মূলতবি রাখতে পারে ।
চুড়ান্ত শুনানী বা দোতরফা শুনানীর আগে মূলতবী (Before Peremptory Hearing)।
১। দোতরফা শুনানীর আগে আদালত ৬টির বেশি মূলতবি অনুমােদন করবে না।
২। তবে অন্যূন ২০০ টাকা (২০০ টাকার কম না) এবং অনুর্ধ্ব ১০০০ টাকা (১০০০ টাকার বেশি না) খরচসহ আদালত কোন পক্ষকে ৩টির বেশি মূলতবি অনুমােদন করবে না।
৩। মূলতবির খরচ যদি বাদী দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে মামলা খারিজ হবে। কিন্তু খরচ বিবাদী দিতে ব্যর্থ হলে মামলা একতরফা নিষ্পত্তি হবে।
দোতরফা শুনানীর সময় বা চূড়ান্ত শুনানীর সময়ঃ বিধি-১, আদেশ-১৭ At Peremptory Hearing
১। সুষ্ঠু বা ন্যায় বিচারের স্বার্থে অন্যূন ২০০ টাকা এবং অনুর্ধ্ব ১,০০০ টাকা খরচসহ আদালত কোন পক্ষকে ৩টির বেশি মূলতবি অনুমােদন করবে না।
২। মূলতবির খরচ যদি বাদী দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে মামলা খারিজ হবে। কিন্তু খচর বিবাদী দিতে ব্যর্থ হলে মামলা এক তরফা নিষ্পত্তি হবে।
মামলা খারিজ বা এক তরফা নিষ্পত্তি হলে প্রতিকার
যদি বিধি ১ এর উপবিধি ৩ এবং ৪ এর অধীনে মামলা খারিজ বা এক তরফা নিষ্পত্তি হয় তবে যে পক্ষের কারনে মােকদ্দমা খারিজ বা একতরফা নিষ্পত্তি হয়, সেই পক্ষ ৩০ দিনের মধ্যে ২,০০০ টাকা ব্যয়সহ খরচ জমা দিয়ে মামলাটি পূর্নবহালের আবেদন করতে পারেন।
সংক্ষেপে মনে রাখুন
১। দোতরফা শুনানীর আগে আদালত সর্বোচ্চ ৬টি মূলতবি অনুমােদন দিতে পারেন।
২। আদালত দোতরফা শুনানীর আগে খরচসহ সর্বোচ্চ ৩টি মূলতবি মঞ্জুর করতে পারে।
৩। আদালত দোতরফা শুনানীর সময় শুধুমাত্র খরচসহ সর্বোচ্চ ৩টি মূলতবি মঞ্জুর করতে পারে।
৪। মামলা শুনানী মূলতবি রাখার পর নির্ধারিত তারিখে যদি
> বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষ অনুপস্থিত তাহলে মামলা খারিজ হবে।
> শুধু বাদী উপস্থিত বিবাদী অনুপস্থিত তাহলে মামলা একতরফা নিষ্পত্তি হবে।
> শুধু বিবাদী উপস্থিত বাদী অনুপস্থিত তাহলে মামলাটি খারিজ হবে।
> অথবা আদালত ন্যায়সঙ্গত অন্য কোন আদেশ দিতে পারেন। [বিধি ২, আদেশ২৭]
এই ক্ষেত্রে আদেশ ৯ এর বিধান অনুসরন করতে হবে।
আদেশ ১৭ বিধি ২ পক্ষগণ নির্ধারিত দিনে হাজির না হলে কর্মপদ্ধতি
যেক্ষেত্রে যে তারিখ পর্যন্ত কোন মামলার শুনানী মূলতবী রাখা হয় সে তারিখে যদি পক্ষগণ বা তাদের যে কেউ হাজির হতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে আদালত তৎপক্ষে নবম আদেশে নির্দেশিত পন্থায় কোন একটিতে মামলার নিষ্পত্তি করতে পারে, বা আদালত সঙ্গত মনে করে এরূপ অপর কোন আদেশ দান করতে পারবে।
আদেশ ১৭ বিধি ৩ যেকোন পক্ষ সাক্ষ্য প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও আদালত মামলার কর্মধারা গ্রহণ করতে পারে
যেক্ষেত্রে যে পক্ষকে সময় অনুমােদন করা হয়েছে, সে পক্ষ সাক্ষ্য দিতে বা তার সাক্ষীসমূহের হাজির করাতে বা আরাে অগ্রগতির জন্য দরকারি যে কর্ম সমাধান করবার জন্য যে সময় অনুমােদন করা হয়েছে সেরূপ কর্ম সমাধান করতে ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে আদালত অনুরূপ ক্রটি সত্ত্বেও তৎক্ষণাৎ মামলাটির সিদ্ধান্তের জন্য কর্মক্রম গ্রহণ করতে পারে।