- Get link
- X
- Other Apps
Order 10 Examination of Parties by the Court Civil Procedure Code
আদেশ ১০ আদালত দ্বারা উভয় পক্ষের জবানবন্দী গ্রহণ দেওয়ানী কার্যবিধি আইন
Examination of Parties by the Court
আদালত দ্বারা উভয় পক্ষের জবানবন্দী গ্রহণ
আদেশ ১০ বিধি ১ আরজি জবাবের অভিযােগাদি স্বীকৃত না অস্বীকৃত তা ধার্য
আদালত মামলার প্রথম শুনানীতে প্রত্যেক পক্ষ বা পক্ষের আইনজীবী হতে ধার্য করবে যে, একপক্ষ অপর পক্ষের আরজিতে বা লিখিত বিবৃতিতে (যদি থাকে) রচিত তথ্যগত উক্তি গুলাে স্বীকার না কি অস্বীকার করে, এবং যা সংশ্লিষ্ট পক্ষ দ্বারা প্রকাশ্য বা দরকারি অর্থে স্বীকৃত বা অস্বীকৃত হয় নাই। আদালত একই ধরনের স্বীকৃতি বা অস্বীকৃতিগুলাে রেকর্ড করবে।
আদেশ ১০ বিধি ২ পক্ষ বা পক্ষের সহযােগীর মৌখিক জবানবন্দী
মােকদ্দমার প্রথম শুনানীতে বা পরবর্তী কোন শুনানীতে স্বয়ং হাজির কোন পক্ষ বা আদালতে হাজির কেউ বা পক্ষ বা পক্ষের আইনজীবীর সাথে অবস্থানরত এমন কোন লােক মামলা সম্বন্ধে যদি কোন দরকারি প্রশ্নের উত্তর প্রদানে সক্ষম হয়, তবে মৌখিকভাবে তার জবানবন্দী আদালত দ্বারা গ্রহণ করা যাবে, এবং উক্তরূপ জবানবন্দী গ্রহণ করার সময়ে, আদালত যদি সঙ্গত মনে করেন, তবে যে কোন পক্ষের সুপারিশ অনুযায়ী যে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ।
আদেশ ১০ বিধি ৩ জবানবন্দীর সারমর্ম লিখিত হতে হবে
পরীক্ষার সারমর্ম বিচারক দ্বারা লিখিত হবে, এবং তা নথির অংশে পরিণত হবে।
আদেশ ১০ বিধি ৪ আইনজীবীর উত্তর দানে অস্বীকার বা অসামর্থ্যতার ফলাফল
১) যে ক্ষেত্রে কোন পক্ষ আইনজীবীর দ্বারা হাজিরা দিয়েছে, উক্ত পক্ষের আইনজীবী বা ২নং বিধিতে বর্ণিত আইনজীবীর সঙ্গে হাজির কোন লােক যদি মামলা সংক্রান্ত কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করে, বা অসমর্থ হয়, এবং ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞাসিত হলে উত্তর দিতে সমর্থ হওয়ার আংশকা থাকে তদক্ষেত্রে আদালত ভবিষ্যতে কোন তারিখের জন্য মামলা শুনানী স্থগিত রাখিতে পারে এবং নির্দেশ দিতে পারে যে, উক্ত দিবসে উক্ত পক্ষ ব্যক্তিগতভাবে হাজির হবে।
২) যদি সে পক্ষ নির্ধারিত দিনে আইনসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে হাজির হতে ব্যর্থ হয়, তা হলে আদালত তার বিরুদ্ধে রায় ঘােষণা করতে পারে বা মামলা সম্পর্কে আদালত যথাযথ ভাবিয়া এরূপ আদেশ প্রদান করতে পারে।
আদেশ ১০ বিধি ৪ বিশ্লেষণ
দেওয়ানি মামলার চতুর্থ পর্যায়
চতুর্থ পর্যায় (Fourth stage)
দেওয়ানি মামলা রুজু কারার চতুর্থ পর্যায় হল, প্রথম শুনানী এবং বিচার্য বিষয় নির্ধারণ। এই পর্যায়ে একটি দেওয়ানি মামলা রুজু করার দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়। দেওয়ানি মামলায় কিভাবে অগ্রসর হবে তা এই পর্যায়েই নির্ধারিত হয়ে থাকে।
প্রথম শুনানীর এবং বিচার্য বিষয় নির্ধারণ (First Hearing and settlement of issues)
১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ১০নং আদেশের ১নং বিধি, ২২ বিধি ৩নং বিধি এবং ৪ (২) নং বিধিতে আদালত কর্তৃক কোন মামলার প্রথম শুনানী গ্রহণ এবং একই আইনের ১৪ নং আদেশের ১নং বিধি, ৩ নং বিধি প্রথম শুনানী গ্রহণ এবং একই আইনের ১৪নং আদেশের ১নং বিধি, ৩নং বিধি এবং ৭নং বিধিতে বিচার্য বিষয় নির্ধারণ এবং উহার ভিত্তিতে আদালত কর্তৃক রায় বা ডিক্রী প্রদানের বিধান সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রথম শুনানী (First hearing) সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধির ১০নং আদেশের ১নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, মামলার প্রথম শুনানীতে আদালত প্রত্যেক পক্ষ কিংবা তার মনােনীত আইনজীবীর নিকট জানিয়া লইবেন যে, সে পক্ষ তার অপর পক্ষের আরজিতে বা লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখিত অভিযােগটি স্বীকার করে না অস্বীকার করে। (The Court shall at the first hearing of a suit ascertain, whether allegations of a party in the pleadings are to be admitted or denied by the other). একই আদেশের ২নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, মামলার প্রথম শুনানীতে বা পরবর্তী কোন শুনানীতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির কোন পক্ষ কিংবা উপস্থিত অপর কোন পক্ষ বা পক্ষের উকিলের সাথে উপস্থিত অপর কোন ব্যক্তি মামলা সম্পর্কে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দানে সমর্থ হলে, আদালত মৌখিকভাবে তার জবানবন্দী গ্রহণ করতে পারবেন। একই আদেশের ৩নং বিধি মতে, আদালত উপরিউক্ত জবানবন্দীর সারমর্ম লিপিবদ্ধ করবেন এবং তা নথির অংশরূপে গণ্য হবে।
এই আদেশের ৪(২) নং বিধি মতে, যদি সংশ্লিষ্ট পক্ষ নির্ধারিত তারিখে কোন আইনসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে হাজির না হয়, তবে আদালত সে পক্ষের বিরুদ্ধে রায় দিতে পারবেন অথবা মামলাটি সম্পর্কে উপযুক্ত অন্য কোন আদেশ দিতে পারবেন।
বিচার্য-বিষয় নির্ধারণ সম্পর্কে দেওয়ানি কার্যবিধির ১৪নং আদেশের ১নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যখন তথ্য সংক্রান্ত বা আইনগত কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক পক্ষ অস্বীকার করে এবং অপর পক্ষ স্বীকার করে, তখনই বিচার্য বিষয়ের উদ্ভব ঘটে। একই আদেশের ৩নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, আদালত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির সমস্ত বা কতকগুলির ভিত্তিতে বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে পারবেন।
ক) পক্ষগণ কর্তৃক বা তাদের পক্ষে অপর কোন ব্যক্তি পক্ষগণের মাননীয় আইনজীবীগণ কর্তৃক শপথের মাধ্যমে উত্থাপিত অভিযােগ।
খ) মামলা প্রসঙ্গে যে সকল দরখাস্ত দাখিল করা হয় তাতে কিংবা প্রশ্নমালায় যে উত্তর দেওয়া হয় তাতে উত্থাপিত অভিযােগ।
গ) কোন পক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত দলিলসমূহের বিষয়বস্তু।
পরিশেষে, এই আদেশের ৭নং বিধিতে বিশেভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যথাবিহিত অনুসন্ধানের পর আদালত যেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়ে সন্তুষ্ট হবেন
ক) চুক্তিটি উভয় পক্ষ কর্তৃক যথারীতি সম্পাদিত হয়েছে;
খ) উক্ত প্রশ্নের সিদ্দান্তের উপর উভয় পক্ষের স্বার্থ নিহিত রয়েছে, এবং
গ) প্রশ্নটি বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তিযােগ্য।
সেইক্ষেত্রে আদালত এরূপভাবে উক্ত বিচার্য বিষয়টি লিপিবদ্ধ করবেন এবং উহার বিচার নিষ্পত্তি করে সিদ্ধান্ত ঘােষণা করবেন, যেন বিচার্য-বিষয়টি আদালত কর্তৃক প্রণীত হয়েছিল এবং উক্ত বিচার্য বিষয়ে প্রণীত সিদ্ধান্ত অনুসারে, আদালত পক্ষগণের চুক্তিতে শর্ত মােতাবেক রায় প্রদান করবেন এবং প্রদত্ত রায় অনুসারে ডিক্রী দান করবেন।
দেওয়ানি কার্যবিধির ১৫নং আদেশের ১নং বিধির বিধান মতে, মামলার প্রথম শুনানীর দিন যদি প্রতীয়মান হয় যে, পক্ষদ্বয়ের মধ্যে তথ্য সংক্রান্ত বা আইনগত কোন বিষয়ে কোন বিরােধ নাই তবে, আদালত তৎক্ষণাৎ মামলার রায় দান করতে পারবেন।