- Get link
- X
- Other Apps
Oder 14 Settlement of Issues and Determination of Suit on Issues of Law or on Issues agreed upon.
আদেশ ১৪ বিচার্য বিষয় স্থিরীকরণ এবং আইনগত বিচার্য বিষয় বা সম্মতিক্রমে বিচার্য বিষয় এর উপর মামলা ধার্য
আদেশ ১৪ বিধি ১ বিচার্য বিষয় গঠন
১) ঘটনা বা আইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এক পক্ষ দৃঢ়ভাবে ঘােষণা করে এবং অপরপক্ষ অস্বীকার করে, তখনই বিচার্য বিষয়ের সৃষ্টি হয়।
২) গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি আইন বা ঘটনার সে সকল বিষয়াবলি যা বাদীকে তার মামলা করার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই নালিশ করতে হয় বা বিবাদীতে তার আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হয় ।
৩) একপক্ষ দ্বারা দৃঢ়ভাবে ঘােষিত এবং অপর পক্ষ দ্বারা অস্বীকৃত প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একটি আলাদা বিচার্য বিষয়ের সৃষ্টি করবে।
৪) বিচার্য বিষয় দুই প্রকারেরঃ ক) ঘটনা বিষয়ক বিচার্য বিষয়, খ) আইন বিষয়ক বিচার্য বিষয়।
৫) মামলার প্রথম শুনানীর দিন আদালত বাদীর আরজি এবং লিখিত বর্ণনা, (যদি কোন), পাঠ করার পর এবং প্রয়ােজনমত পক্ষগণের এরূপ পরীক্ষা করার পর ঘটনা বা আইনের কোন গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতির উপর পক্ষগণ এর বিরােধ কি, তা ধার্য করবে এবং এর পর যে সব বিচার্য বিষয়ের উপর মামলা সঠিক সিদ্ধান্ত নির্ভর করে বলে প্রতীয়মান হয়, সে সব বিচার্য বিষয় প্রণয়নে অগ্রসরমান হবে এবং তা লিখিত করবে। তবে শর্ত হল যে, ৪ এবং ৫ বিধির বিধানসমূহ সাপেক্ষে যে কোন ক্ষেত্রে মামলার প্রথম শুনানীর বা লিখিত বর্ণনা দাখিলের পনের দিনের মধ্যে, যাই আগে ঘটে, বিচার্য বিষয় প্রণয়ন এবং লিখিত করতে হবে।
৬) মামলার প্রথম শুনানীর সময় বিবাদী আত্মপক্ষ সমর্থন না করলে এই বিধির কোন বিধানেই আদালত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন এবং লিখিত করবে না।
আদেশ ১৪ বিধি ১ বিধির বিশ্লেষণ
বিচার্য বিষয় প্রণয়নের সংজ্ঞা
দেওয়ানি কার্যবিধির ১৪নং আদেশের ১নং বিধির (১), (২) এবং ৩ নং উপবিধিগুলিতে বিচার্য বিষয় প্রণয়নের সংজ্ঞা সম্পর্কে বর্ণনা হয়েছে। এই আদেশের ১নং বিধির অন্তর্ভূক্ত (১) উপবিধি অনুযায়ী, যখন তথ্য সংক্রান্ত বা আইনগত কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একপক্ষ স্বীকার করে এবং অপর পক্ষ অস্বীকার করে, তখনই বিচার্য বিষয়ের উদ্ভব হয়। এই বিধির (২) নং উপবিধি অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলতে আইনগত বা তথ্যসংক্রান্ত সে সকল বিষয় বুঝাবে, বাদী কর্তৃক তার মামলা করার অধিকার প্রতিপন্ন করার জন্য যে বিষয়ে অভিযােগ আনয়ন করতে হবে, অথবা বিবাদী কর্তৃক আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য যে বিষয়ের উপর নির্ভর করতে হবে। এই বিধির (৩) নং উপবিধি মােতাবেক, এক পক্ষের স্বীকৃতি এবং অপরপক্ষের অস্বীকৃতি প্রত্যকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একটি স্বতন্ত্র বিচার্য বিষয়রূপে গণ্য হবে।
বিচার্য বিষয়ের প্রকরণগুলি (Kinds of issues)
এই আদেশের ১ নং বিধির (৪) নং উপবিধি অনুযায়ী বিচার্য বিষয় দুই প্রকার। ১) তথ্য সংক্রান্ত বিচার্য বিষয় (Issue of fact) এবং ২) আইন সংক্রান্ত বিচার্য সংক্রান্ত বিষয় ( Issue of law).
বিচার্য বিষয় কিভাবে গঠিত হয়? (How issues are framed):
এই আদেশের ১নং বিধির (৫) নং উপবিধি অনুযায়ী, মামলার প্রথম শুনানির দিন আদালত বাদীর আরজি ও বিবাদীর জবাব (যদি দিয়ে থাকে) পাঠ করবেন এবং প্রয়ােজনমতে পক্ষগণের জবানবন্দি গ্রহণ করবেন এবং তথ্য বা আইন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কোন কোন বিষয়ে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিরােধ রয়েছে তা নির্ধারণ করবেন। অতঃপর যে সকল বিচার্য বিষয়ের উপর মামালাটি সঠিক নিষ্পত্তি নির্ভর করছে বলে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হবে সেগুলি প্রণয়ন ও লিপিবদ্ধ করবেন। তবে, এব বিধির (৬) নং উপবিধি অনুযায়ী, মামলার প্রথম শুনানীর দিনে যদি বিবাদী আত্মপক্ষ সমর্থন না করে, তবে অত্র বিধি অনুসারে বিচার্য বিষয় প্রণয়ন ও লিপিবদ্ধ করা আদালতের প্রয়ােজন হবে না। এই আদেশের (২) নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যেক্ষেত্রে একই মামলায় আইনগত ও তথ্য সংক্রান্ত বিচার্য-বিষয়ের উদ্ভব হয়, এবং আদালত মনে করেন যে, মামলাটি সামগ্রিক অথবা আংশিকভাবে কেবলমাত্র আইন সংক্রান্ত বিষয়ের ভিত্তিতে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তথ্য সংক্রান্ত বিচার্য বিষয় নির্ধারণ করা স্থগিত রাখিতে পারবেন।
একই আদেশের (৩) নং বিধিতে বলা হয়েছে যে,আদালত নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সমস্ত বা কতকগুলির ভিত্তিতে বিচার্য বিণয় প্রণয়ন করতে পারবেন। ক) পক্ষগণ কর্তৃক বা তাদের পক্ষে অপর কোন ব্যক্তি পক্ষগণের উকিলগণ কর্তৃক শপথের মাধ্যমে উত্থাপিত অভিযােগ, খ)মামলা প্রসঙ্গে যে সকল দরখাস্ত দাখিল করা হয় তাতে বা প্রশ্নমালার যে উত্তর দেওয়া হয় তাতে উত্থাপিত দলিলসমূহের বিষয়বস্তু।গ)কোন পক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত দলিলসমূহের বিষয়বস্তু।
একই আদেশের (৪) নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, আদালত যেক্ষেত্রে মনে করেন যে, আদালতে উপস্থিত নাই এমন কোন ব্যক্তির জবানবন্দী গ্রহণ ব্যতীত অথবা আদালতে দাখিল করা হয় নাই এমন কোন একটি দলিল পরিদর্শন করা ব্যতীত মামলার বিচার্য বিষয় সঠিকভাবে প্রণয়ন করা যাবে না। সেক্ষেত্রে আদালত আগামী কোন দিন পর্যন্ত বিচার্য বিষয় প্রণয়নের কার্য স্থগিত রাখিতে পারবেন এবং সমন বা পরােয়ানার সাহায্যে উক্ত ব্যাক্তিকে আদালতে উপস্থিত হতে বা উক্ত দলিল যার হস্তগত বা আয়ত্বাধীন আছে তাকে উহা আদালতে উপস্থিত করতে (বর্তমানে প্রচলিত কোন আইন সাপেক্ষে) বাধ্য করতে পারবেন।
একই আদেশের ৫(১) নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, ডিক্রী দেওয়ার পূর্বে যে কোন সময় আদালত প্রয়ােজন অনুসারে বিচার্য বিষয় সংশােধন বা অতিরিক্ত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে পারবেন, এবং পক্ষগণের মধ্যে যে বিষয়ে বিরােধ রয়েছে সেগুলি নিষ্পত্তি করার জন্য আদালত বিচার্য প্রয়ােজনীয় সকল সংশােধন ও সংযােজন করবেন।
একই বিধির ৫ (২) বিধিতে বলা হয়েছে যে, ডিক্রী দেওয়ার পূর্বে যে কোন আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন একটি বিচার্য বিষয় ভ্রান্তভাবে প্রণীত বা উপস্থাপিত হয়েছে, তবে আদালত তা কেটে দিতে পারবেন। এই আদেশের ৬নং বিধির মতে, যেক্ষেত্রে মামলার পক্ষগণ তাদের মধ্যে তথ্য ও আইন সংক্রান্ত যে সকল প্রশ্নের নিষ্পত্তির প্রয়ােজন সে সম্পর্কে একমত থাকে, সেক্ষেত্রে তারা একটি বিচার্য বিষয়ের অনুরূপভাবে তা বিবৃত করতে পারবে এবং এই মর্মে একটি লিখিত চুক্তি করতে পারবে যে, উক্ত বিচার্য বিষয়টি সম্পর্কে আদালতের সিদ্ধান্ত সম্মতিসূচক বা নেতিবাচক হলে-
ক)এক পক্ষ অপর পক্ষকে উক্ত চুক্তিতে উল্লিখিত পরিমাণ টাকা অথবা আদালত যে পরিমাণ টাকা নির্ধারণ করবেন তা অথবা আদালত অন্য যে নির্দেশ দান করবেন তদানুযায়ী টাকা দিবে, অথবা এক পক্ষ অপর পক্ষকে চুক্তিতে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে অধিকারী বা দায়ী বলে ঘােষণা করতে পারবে;
খ) চুক্তিতে উল্লিখিত এবং মামলায় জড়িত কোন সম্পত্তি এক পক্ষ অপর পক্ষকে দিবে বা উক্ত অপর পক্ষ যেরূপ নির্দেশ দেয় তা করবে; অথবা
গ) চুক্তিতে উল্লিখিত এবং মামলায় অর্পিত কোন কার্য এক বা একাধিক পক্ষ সম্পন্ন করবে বা তা হতে বিরত থাকবে।
পরিশেষে এই আদেশের (৭) নং বিধিতে বলা হয়েছে যে, যথাবিহিত অনুসন্ধানের পর আদালত যেক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়ে সন্তুষ্ট হবেন:
ক) চুক্তিটি উভয় পক্ষ কর্তৃক যথারীতি সম্পাদিত হয়েছে,
খ) উক্ত প্রশ্নের সিদ্ধান্তের উপর উভয় পক্ষের স্বার্থ নিহিত রয়েছে, এবং
গ) প্রশ্নটি বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তির যােগ্য,
সেইক্ষেত্রে আদালত এরূপভাবে উক্ত বিচার্য বিষয়টি লিপিবদ্ধ করবেন এবং উহার বিচার ও নিষ্পত্তি করে সিদ্ধান্ত ঘােষণা করবেন, যেন বিচার্য বিষয়টি আদালত কর্তৃক প্রণীত হয়েছিল; এবং উক্ত বিচার্য বিষয়ে উপনীত সিদ্ধান্ত অনুসারে আদালত পক্ষগণের চুক্তিতে শর্ত মােতাবেক রায় দান করবেন ও প্রদত্ত রায় অনুসারে ডিক্রী দান করবেন। এইভাবে, উপরে উল্লেখিত আদেশ, বিধি এবং উপবিধির বিধান সাপেক্ষে, বিচার্য বিষয়গুলি গঠিত হয়ে থাকে।
আদেশ ১৪ বিধি ২ আইন বিষয়ক বিচার্য বিষয় এবং ঘটনা বিষয়ক বিষয়
যেক্ষেত্রে একই মামলায় আইন ও ঘটনা উভয়ের বিচার্য বিষয়ের সৃষ্টি হয় এবং আদালত এই মত পােষণ করে যে, কেবলমাত্র আইন বিষয়ক বিচার্য বিষয়ের উপর মামলাটি বা তার কোন অংশ নিস্পত্তি করা যেতে পারে, সেক্ষেত্রে আদালত প্রথমে সে বিচার্য বিষয় সম্পর্কে বিচার করবে এবং সে উদ্দেশ্যে আদালত যথার্থ মত দিলে আইন বিষয়ক বিচার্য বিষয় নির্ণীত হওয়া অবধি ঘটনা বিষয়ক বিষয়ের ধার্য স্থগিত রাখিতে পারে।
আদেশ ১৪ বিধি ৩ যে সব বিষয় হতে বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করা যায়
আদালত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির সব বা যে কোনটি হতে বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে পারেন-
ক) পক্ষগণ দ্বারা বা তাদের পক্ষে হাজির কোন লােকগণ দ্বারা বা উক্তরূপ লােকদের আইনজীবীগণ দ্বারা শপথের দ্বারা উত্থাপিত অভিযােগগুলাে;
খ) আরজি জবাবে বা মামলায় প্রদত্ত প্রশ্নমালার উত্তরে রচিত অভিযােগগুলাে;
গ) কোন পক্ষ দ্বারা দাখিলকৃত দলিল পত্রের বিষয়বস্তু।
আদেশ ১৪ বিধি ৩ বিধির বিশ্লেষণ
কোন কোন বস্তুর উপর নির্ভর করে বিচার্য বিষয় নিরূপণ করা হয়
দেওয়ানি কার্যবিধির ১৪নং আদেশের ৩নং বিধিতে উল্লেখ আছে যে, আদালত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির সমস্ত বা কতকগুলির ভিত্তিতে বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে পারবেন;
(ক) পক্ষগণ কর্তৃক বা তাদের পক্ষে অপর কোন ব্যক্তি, বা পক্ষগণের উকিলগণ কর্তৃক শপথের (oath) মাধ্যমে উত্থাপিত অভিযােগ;
(খ) মামলা সম্পর্কে উভয় পক্ষের pleadings এ উত্থাপিত মূল বিরােধপূর্ণ বিষয়বস্তু; বা প্রশ্নমালার যে উত্তর দেওয়া হয় তাতে উত্থাপিত অভিযােগ;
(গ) কোন পক্ষ কর্তৃক উপস্থাপিত দলিলসমূহের বিষয়বস্তু |
বাস্তব ক্ষেত্রে সাধারণতঃ pleadings অর্থাৎ বাদীর আরজি ও বিবাদীর জবাবে উত্থাপিত মূল বিরােধপূর্ণ বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে বিচার্য বিষয় নির্ধারিত হয়।
আদেশ ১৪ বিধি ৪ বিচার্য বিষয় গঠনের আগে আদালত সাক্ষী বা দলিলপত্র পরীক্ষা করতে পারে
যেক্ষেত্রে ইহা আদালত মনে করে যে, আদালতের সামনে হাজির নাই এমন কোন ব্যক্তির জবানবন্দী ছাড়া বা মামলায় পেশ করা হয়নি এমন কোন দলিল পরদর্শন ছাড়া মামলার বিচার্য বিষয় নির্ভুলভাবে প্রণয়ন করা যাবে না, সেক্ষেত্রে আদালত পনের দিনের কম নয় এমন তারিখ পর্যন্ত বিচার্য বিষয় প্রণয়নের জন্য স্থগিত রাখতে পারে এবং সময়কালীন কার্যকর কোন আইন সাপেক্ষে সমন বা অপর পরােয়ানা দ্বারা যে কোন ব্যক্তিকে হাজির হতে বা যে ব্যক্তির হস্তগত বা আয়ত্তাধীন কোন দলিল থাকে, সে ব্যক্তি দ্বারা উক্ত দলিল আদালতে পেশ করাতে বাধ্য করতে পারেন। [২০১২ সনের ৩৬নং আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত]
আদেশ ১৪ বিধি ৫ বিচার্য বিষয় সংশােধন এবং কর্তনের ক্ষমতা
১) আদালত ডিক্রী প্রদানের আগে যে কোন সময় আদালত যথাযথ মনে করে এরূপ শর্তে বিচার্য বিষয় সংশােধন বা অতিরিক্ত বিচার্য বিষয় গঠন করতে পারে এবং পক্ষগণের ভিতর বিরােধীয় বিষয়াবলি নির্ণয় করতে দরকারি হতে পারে উক্তরূপ সংশােধনী বা অতিরিক্ত বিচার্য বিষয় সেভাবে প্রণীত হবে।
২) ডিক্রী দেয়ার আগে আদালত আরাে তার কাছে ভ্রান্তভাবে গঠিত বা প্রবর্তিত হয়েছে বলে পরিদৃষ্ট হলে কোন বিচার্য বিষয় কর্তন করতে পারে ।
আদেশ ১৪ বিধি ৫ বিধির বিশ্লেষণ
বিচার্য বিষয় ঠিকমত প্রণয়ন না হলে তার ফলাফল
দেওয়ানি কার্যবিধির ১৪ আদেশের ৫ বিধির (১) (২) উপবিধিতে বলা হয়েছে যে, ডিক্রী দেওয়ার পূর্বে যে কোন সময় আদালত প্রয়ােজনবােধে বিচার্য বিষয় সংশােধন, অতিরিক্ত বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে পারবেন এবং পক্ষগণের মধ্যে যে বিষয়ে বিরােধ রয়েছে, সেগুলি নিষ্পত্তি করার জন্য, বিচার্য বিষয়ের প্রয়ােজনীয় সকল সংশােধন ও সংযােজন করতে করার জন্য, বিচার্য বিষয়ের প্রয়ােজনীয় সকল সংশােধন ও সংযােজন করতে পারবেন। ডিক্রী দেওয়ার পূর্বে যে কোন সময় আদালতের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, কোন একটি বিচার্য বিষয় ভ্রান্তভাবে প্রণীত বা উপস্থাপিত হয়েছে, তবে আদালত তা কেটে দিতে (strike out) পারবেন। আদালত যদি যথাযথভাবে বিচার্য বিষয় প্রণয়ন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তা অনিয়ম বা ত্রুটিপূর্ণ বলে গণ্য হবে। প্রসঙ্গক্রমে, ঢাকা হাইকোর্টের একটি মামলার রায়ে বলা হয় যে, সঠিকভাবে বিচার্য, বিষয় প্রণয়ন না করা হল, একটি নিছক অনিয়ম ব্যাপার।
৬ ঘটনা বা আইনের প্রশ্নাবলি সম্মতিক্রমে বিচার্য বিষয় এর নমুনায় বর্ণনা করা যেতে পারে
যেক্ষেত্রে মামলার পক্ষগণ তাদের ভিতর নিস্পত্তির জন্য ঘটনা বা আইনের প্রশ্নে একমত পােষণ করেন, সেক্ষেত্রে তারা একটি বিচার্য বিষয়ের নমুনায় তা বিবৃত করতে পারবে এবং লিখিত চুক্তিতে প্রবেশ করতে পারবে যে, অনুরূপ বিচার্য বিষয়ে আদালতের সম্মতিসূচক বা নেতিবাচক পর্যবেক্ষণীর উপর
ক) চুক্তিতে বর্ণিত বা আদালত দ্বারা নির্ধারিত বা আদালত নির্দেশ দিতে পারে এরূপ প্রক্রিয়ায় টাকার অংক পক্ষদের এক পক্ষ চুক্তিতে বর্ণিত নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে অধিকারী বা কোন দায় এর অধীনে বলে ঘােষিত হবে;
খ) চুক্তিতে নির্ধারিত এবং মামলার বিরােধীয় কিছু সম্পত্তি পক্ষদের এক পক্ষ তাদের অপর পক্ষকে বা অপর পক্ষ যেরূপ নির্দেশ দেয় সেরূপ প্রদান করা হবে; বা
গ) পক্ষদের এক বা একাধিক পক্ষ চুক্তিতে নির্ধারিত এবং বিরােধীয় বিষয় সম্পর্কিত কোন কর্ম করবে বা তা হতে বিরত হবে।
আদেশ ১৪ বিধি ৭ সরল বিশ্বাসে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল বলে আদালত সন্তুষ্ট হলে রায় ঘােষণা করতে পারে
যেক্ষেত্রে আদালত যথাযথ মনে করে এরূপ অনুসন্ধানের পর সন্তুষ্ট হন যে,
ক) চুক্তিটি পক্ষগণ দ্বারা যথারীতি সম্পাদিত হয়েছিল,
খ) পূর্বোক্তরূপ প্রশ্নের সিদ্ধান্তের উপর তাদের মৌল স্বার্থ আছে, এবং
গ) তা বিচার ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার উপযােগী,
সেক্ষেত্রে বিচার্য বিষয় আদালত দ্বারা প্রণীত হয়েছিল গণ্যে আদালত একইরূপভাবে লিখিত করবে এবং তাতে এর রায় বা সিদ্ধান্ত বিবৃত করবে যে বিচার্য বিষয়টি আদালত দ্বারা গঠিত হয়েছিল এবং উক্ত বিচার্য বিষয়ের রায় বা সিদ্ধান্তের উপর চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আদালত রায় ঘােষণা করবে এবং এভাবে ঘােষিত রায় অনুযায়ী একটি ডিক্রী তৈরি করতে হবে।
আদেশ ১৪ বিধি ৮ চূড়ান্ত শুনানীর তারিখ স্থিরীকরণ
বিচার্য বিষয়াবলি প্রণয়নের পর একশত বিশ দিনের ভিতর আদালত সে মামলার শুনানীর তারিখ স্থিরীকৃত করবে।