Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

ব্যক্তিগত হাজিরা হতে অব্যাহতি

Miscellaneous - Civil Procedure Law

দেওয়ানী কার্যবিধি আইন ধারা ১৩২ হতে ১৫০

Section 132 Exemption of certain moment from personal appearance

ধারা ১৩২। কতিপয় মহিলার ব্যক্তিগত হাজিরা হতে অব্যাহতি 

১) দেশের প্রথা ও রীতি মােতাবেক যেই সমস্ত মহিলাকে জনসমক্ষে উপস্থিত হওয়ার জন্য বাধ্য করা উচিত নয়, উক্তরূপ মহিলা ব্যক্তিগতভাবে আদালতে হাজির হতে অব্যাহতি পাবে।

২) এই আইন দ্বারা কোন মহিলাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে যেক্ষেত্রে কোন নিষিদ্ধতা নাই, সে ক্ষেত্রে দেওয়ানি পরােয়ানা জারিতে গ্রেফতার হতে উক্তরূপ স্ত্রীলােক অব্যাহতি পাবে বলে এখানে উল্লেখিত কোন কিছু হতে বিবেচনা করা যাবে না।

১৩২ ধারার বিশ্লেষণ

বাংলাদেশে এমন অনেক মহিলা আছে যারা কঠোর পর্দা করে থাকেন। তারা সাধারণতঃ পর-পুরুষের সম্মুখে বাহির হন না। এই সকল মহিলাকে এই বিধি আদালতে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হওয়ার দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দিয়েছে। দেশের প্রচলিত রীতি ও পদ্ধতিকে সম্মান করাই এই ধারার উদ্দেশ্য। এই ধারার অধীনে কোন পর্দানশীন মহিলাকে ব্যক্তিগত উপস্থিতি হতে যে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে আদালত তা অস্বীকার করতে পারেন না। তবে অব্যাহতির মানে এই নয় যে, সে আদালতে কখনও হাজিরা দিবে না। তাকে আদালতে ঠিকই হাজিরা দিতে হবে। তবে পরপুরুষের দৃষ্টি হতে তাকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে, যেমন রেজিস্টারের কামরায় বসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। যেখানে সে পর্দা বাদ দিয়েছে এবং একদা সে আদালতে জনসম্মুখে উপস্থিতও হয়েছিল এমন ক্ষেত্রেও এই ধারার শর্তাবলি প্রয়ােগ করা যেতে পারে।

১৩২ ধারার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ

Firoza Vs. Kojimuddin

দেশের আইন মােতাবেক যে সমস্ত মহিলাকে জনসমক্ষে উপস্থিত হবার জন্য বাধ্য করা যায় না ঐ সমস্ত মহিলাকে আদালতে উপস্থিত হতে বাধ্য করা যায় না। কিন্তু আইনে নিষিদ্ধ না থাকলে আদালতের পরােয়ানা জারিতে ঐ মহিলাকে গ্রেফতার করা যাবে।

ধারা ১৩৩। অপরাপর ব্যক্তিবর্গের অব্যাহতি

১) সরকারের মতে কোন লােকের পদমর্যাদা তাকে অব্যাহতির বিশেষ সুবিধা দান করলে সরকার অফিস গেজেটে বিজ্ঞপ্তির দ্বারা উক্ত লােককে আদালতে ব্যক্তিগত হাজিরা হতে অব্যাহতি দিতে পারে ।

২) অনুরূপভাবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত লােকদের নাম ও ঠিকানা সরকার সময়ে সময়ে হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করবে এবং এরূপ লােকদের একটি তালিকা উক্ত আদালতে রক্ষিত থাকবে, এবং হাইকোর্ট বিভাগের অধীনস্থ প্রত্যেক আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানায় বসবাসকারী অনুরূপ লােকদের একটি তালিকা উক্ত অধীনস্থ আদালতে রাখা হবে।

৩) যেই ক্ষেত্রে উক্তরূপ অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোন লােক উক্তরূপ অব্যাহতি সুবিধা দাবি করেন, এবং ইহার ফলে তাকে কমিশন যােগে জবানবন্দি গ্রহণের প্রয়ােজন হয়, সেক্ষেত্রে কমিশনের খরচ যে পক্ষেও প্রয়ােজন, সে পক্ষ পরিশােধ না করলে তাকেই উক্ত খরচ নির্বাহ করতে হবে।

১৩৩ ধারার বিশ্লেষণ

পর্দানশীন মহিলা ছাড়াও যেই সকল ব্যক্তি সমাজিক মর্যাদায় খুব উচ্চ, তাদেরকে আদালতে ব্যক্তিগত হাজির হতে অব্যাহতি দেয়া যায়। সরকার এই সকল ব্যক্তির নাম হাইকোর্ট বিভাগের কাছে প্রেরণ করেন।

১৩৩ ধারার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ

Farnanda Vs. Bornabash

এই ধারায় রাষ্ট্রে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণকে আদালতে হাজিরা দেয়া হতে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যারা অব্যাহতি পেতে পারেন তাদের ক্রম বিবরণ উক্ত ধারায় বিদ্ধৃত রয়েছে। খ্রীষ্টান ধর্মগুরু তার পদাধিকার দাবি করে আদালতে উপস্থিত না হয়ে কমিশনের আবেদন করতে পারেন না।

ধারা ১৩৪। ডিক্রী জারি ছাড়া গ্রেফতার

এই আইনের আওতায় গ্রেফতারকৃত সমস্ত লােকের ৫৫, ৫৭ ও ৫৯ ধারার বিধানাবলি যথারীতি প্রয়ােগযােগ্য হবে।

১৩৪ ধারার বিশ্লেষণ

পূর্বে দুইটি ধারায় আদালতে ব্যক্তিগত উপস্থিতি হতে অব্যাহতি পাওয়ার যােগ্য কিছু ব্যক্তির উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এ সকল ব্যক্তি গ্রেফতার হতে অব্যাহতি পাওয়ার যােগ্য নয়। ডিক্রী জারি ছাড়াও অন্যভাবে এই কার্যবিধির আওতায় কোন ব্যক্তি গ্রেফতার হতে পারে। সকল ব্যক্তির জন্য এই বিধির ধারা ৫৫, ৫৭ এবং ৫৯ প্রযােজ্য হবে।

ধারা ১৩৫। দেওয়ানি পরােয়ানার আওতায় গ্রেফতার হতে অব্যাহতি

১) কোন জজ, ম্যাজিষ্ট্রেট বা অপরাপর বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাকে আদালতে যেতে, আদালতে মামলা পরিচালনা করতে বা তার আদালত হতে প্রত্যাবর্তন করার সময় কোন দেওয়ানি পরােয়ানার আওতায় গ্রেফতার হবে না।

২) এখতিয়ার সম্পন্ন বা এরূপ এখতিয়ার আছে হিসাবে সরলভাবে বিশ্বাস করেন, এরূপ ট্রাইব্যুনালে কোন বিষয় বিচারের আওতাধীন থাকলে তৎবিষয়ের সংগে সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ, তাদের উকিলগণ, মােক্তারগণ, রাজস্ব প্রতিনিধিগণ এবং স্বীকৃত প্রতিনিধিগণ এবং সমনে আজ্ঞানুযায়ী কার্যরত তাদের সাক্ষীগণ অনুরূপ বিষয়ের উদ্দেশ্যে ট্রাইব্যুনালে গমনকালে, উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে এবং সে স্থল হতে প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে আদালত অবমাননার দোষে উক্ত ট্রাইব্যুনাল দ্বারা পরােয়ানা জারি ছাড়া অন্য কোন দেওয়ানি পরােয়ানার আওতায় গ্রেফতার হতে অব্যাহতি পাবে।

৩) যদি কোন দায়িককে অবিলম্বে গ্রেফতার করার আদেশ দেয়া হয়ে থাকে, বা ডিক্রীজারির জন্য তাকে কেন কারাগারে নিক্ষিপ্ত করা হবে না, তার কারণ দর্শানাের জন্য বলা হয়ে থাকে, তখন সে ব্যক্তি (২) উপ-ধারানুসাওে অব্যাহতি দাবি করতে সমর্থ হবে না।

১৩৫ ধারার বিশ্লেষণ

আদালতে যাওয়ার এবং আদালত হতে ফিরার এবং আদালতে কাজ করার সময় কোন বিচারককে এই বিধির কোন ধারা মােতাবেক গ্রেফতার করা যায় না। উকিল, মােক্তার এবং সাক্ষীদের প্রতিও এই নিয়ম প্রযােজ্য।

ধারা ১৩৫ক। দেওয়ানি পরােয়ানায় আইন পরিষদের সদস্যগণের গ্রেফতার ও আটক আদেশ হতে অব্যাহতি

১) দেওয়ানি পরােয়ানাধীনে কোন লােককেই গ্রেফতার বা কারাগারে আটক রাখা যাবে না-

ক) যদি উক্ত লােক সংসদের সদস্য হন, তবে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন সময়ে;

খ) যদি উক্ত লােক সংসদের কোন কমিটির একজন সদস্য হন, তবে এরূপ কমিটির অধিবেশন চলাকালীন সময়ে;

(গ) বিলুপ্ত

এবং এরূপ অধিবেশন বা বৈঠকের পূর্বের বা পরের চৌদ্দ দিন সময় পর্যন্ত ।

২) উপ-ধারা (১) অনুসারে আটকাদেশ হতে মুক্ত কোন লােককে এই উপ-ধারায় উল্লেখিত বিধান সাপেক্ষে পুনঃ গ্রেফতার করা যাবে এবং তিনি (১) উপ-ধারার বিধান এর আওতায় মুক্ত না হলে আরও যতদিন আটকের জন্য দায়ী থাকতে হত, ততদিন তাকে আটক রাখা যাবে।

১৩৫ক ধারার বিশ্লেষণ

সংসদ সদস্য বা সংসদের কমিটি সদস্যকে সংসদ চলাকালে বা সংসদের কমিটির কাজ চলাকালে গ্রেফতার বা আটক করা যায় না।

ধারা ১৩৬। জেলার বাহিরে অবস্থিত লােকের গ্রেফতার বা সম্পত্তি ক্রোকের কার্যপদ্ধতি-

যেক্ষেত্রে ডিক্রীজারি ছাড়া এই আইনের অপর কোন বিধানের আওতায় কোন লােককে গ্রেফতার করা হবে বা সম্পত্তি ক্রোক করা হবে বলে আবেদন করা হয় এবং যেই আদালতে আবেদন করা হয় উক্ত আদালতে এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানার বহির্ভূত উক্ত লােক অবস্থান করে বা সে সম্পত্তি অবস্থিত, সেক্ষেত্রে আদালত তার বিবেচনায় গ্রেফতারী পরােয়ানা বা ক্রোকের আদেশনামা জারি করতে পারে, এবং গ্রেফতার বা ক্রোক সংক্রান্ত খরচের সম্ভাব্য অংকসমেত পরােয়ানা বা আদেশনামার এক কপি যে জেলা আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমানায় উক্ত লােক অবস্থান করে বা সম্পত্তি অবস্থিত সেখানকার আদালতে প্রেরণ করতে পারেন।

২) এই জেলা আদালত উক্ত আদেশের নকল এবং অংক প্রাপ্তির পর উহার নিজস্ব কর্মকর্তার দ্বারা বা তার অধঃস্তন কোন আদালতের দ্বারা গ্রেফতার বা ক্রোক করাবেন,‌ এবং যে আদালত গ্রেফতার বা ক্রোকের অনুরূপ পরােয়ানা বা আদেশ জারি প্রেরণ বা প্রদান করেছে সেখানকার আদালতকে অবগত করবেন।

৩) গ্রেফতারকৃত লােক যদি তাকে গ্রেফতারী পরােয়ানা প্রেরণকারী আদালতে প্রেরন‌ করা হবে না কেন গ্রেফতারকারী আদালতের সন্তোষ বিধানের দ্বারা কারণ দর্শাতে না পারে বা উক্ত লােক যদি পরােয়ানা প্রদানকারী আদালতে তার হাজিরার জন্য বা উক্ত আদালত দ্বারা প্রদত্ত হতে পারে এরূপ কোন ডিক্রী ও টাকা পরিশােধের জন্য পর্যাপ্ত জামানত না প্রদান করে, এবং যার প্রত্যেক ক্ষেত্রে গ্রেফতারকারী আদালত তাকে মুক্তি দান করবেন, তবে এই ধারার আওতায় গ্রেফতারকারী আদালত যে আদালত হতে গ্রেফতারী পরােয়ানা পাঠিয়েছিল সে আদালতে গ্রেফতারকৃত উক্ত লােককে প্রেরণ করবেন।

৪) বিলুপ্ত ।

১৩৬ ধারার বিশ্লেষণ

আদালতের এলাকার বাইরে গ্রেফতার এবং ক্রোক করার বিধান এই ধারায় বলা হয়েছে। এমনও হতে পারে যে, যে আদালতে মােকদ্দমা হয়েছে সে আদালতের বাইরের এলাকার মানুষকে গ্রেফতার করার প্রয়ােজন পড়ে ।এমতাবস্থায় যে আদালতে মােকদ্দমা হয়েছে সেই আদালত ঐ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য যে জেলা আদালতে উক্ত ব্যক্তি রয়েছে সে জেলা আদালতে গ্রেফতার করার জন্য অনুরােধ করতে পারেন। ক্রোকের ক্ষেত্রেও এই বিধান প্রযােজ্য। যে জেলা আদালতের কাছে অনুরােধ প্রেরিত হয় সেই জেলা আদালত গ্রেফতার এবং ক্রোক করার অধিকার রাখেন।

ধারা ১৩৬(১) এর লক্ষ্য হচ্ছে, মােকদ্দমার একপক্ষকে অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ কার্যকরী করার জন্য অন্য পক্ষকে বিচারকারী আদালতে এখতিয়ারের বাইরে থাকতে হবে। হাইকোর্ট আদিম এখতিয়ার প্রয়ােগের বেলায় ইহার অধিক্ষেত্রের বাহিরে বসবাসকারী কোন ব্যক্তিকে নিষেধাজ্ঞা আদেশ অমান্য করার জন্য গ্রেফতার করতে পারেন। এই ধারার শর্তাবলি যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে উহা মাত্র একটি পদ্ধতিগত ত্রুটি বলে পরিগণিত হবে। এর জন্য কোন ক্রোক অবৈধ হবে না।

ধারা ১৩৭। অধঃস্তন আদালতের ভাষা

১) এই আইন বলবৎ হওয়ার সময় কোন হাইকোর্ট বিভাগের অধস্তন কোন আদালতে ভাষা যা ছিল, সরকার অন্যভাবে নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তাই উক্ত অধঃস্তন আদালতে ভাষা হিসাবে চলতে থাকবে।

২) অনুরূপ আদালতের ভাষা কি হবে এবং কোন রীতিতে অনুরূপ আদালতের সমীপে দরখাস্ত এবং আদালতের কার্যধারা লিখিত হবে তা সরকার ঘােষণ করতে পারবে।

৩) যেই ক্ষেত্রে অনুরূপ কোন আদালতে সাক্ষীর জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করা ছাড়া অন্য কিছু লিখিতরূপে নিরূপণ করার জন্য এই আইন আদেশ প্রদান করে বা অনুমতি প্রদান করে, সেক্ষেত্রে অনুরূপ লিখন ইংরেজিতে হতে পারে; কিন্তু কোন পক্ষ বা তার আইনজীবী যদি ইংরেজির সংগে অপরিচিত হন, তবে তার অনুরােধে আদালতের ভাষায় উক্ত ইংরেজীর অনুবাদ তাকে সরবরাহ করা হবে, এবং এরূপ ক্ষেত্রে আদালত যেইরূপ উপযুক্ত মনে করেন, অনুবাদের খরচ প্রদানের ব্যাপারে সেরূপ আদেশনামা প্রদান করবে।

১৩৭ ধারার বিশ্লেষণ

হাইকোর্টের অধিকার আছে এটা বলার যে, আপিলযোগ্য মােকদ্দমার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় সাক্ষীর জবানবন্দি লিখতে হবে। এই প্রসঙ্গে এই বিধির ১৮ আদেশের ৭ নিয়ম বিবেচনা করতে হবে।

১৩৭ ধারার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত

Syed Alam Vs. Abdul

ভিন্ন ভাষায় আরজি জবাব দাখিল করা হলে পক্ষকে এর অনুবাদ দাখিলের নির্দেশ দেয়া যায়।

ধারা ১৩৮। সাক্ষ্য ইংরেজিতে রেকর্ড করাতে হাইকোর্ট বিভাগ দ্বারা নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা

১) সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তির দ্বারা হাইকোর্ট বিভাগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত বা তাতে বর্ণিত বর্ণনার আওতায় কোন বিচারকের ক্ষেত্রে নির্দেশ প্রদান করতে পারে যে, যেই সমস্ত মামলায় আপিল চলে সে সমস্ত মামলায় তাকে ইংরেজি ভাষায় এবং নির্দিষ্ট পদ্ধতি মােতাবেক সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করতে হবে।

২) কোন বিচারক (১) উপ-ধারার আওতায় নির্দেশ মেনে চলতে বাধাপ্রাপ্ত হন, তবে তিনি উহার কারণ রেকর্ড করবে এবং প্রকাশ্য আদালতে তার শ্রুতলিপি হতে সাক্ষ্য রেকর্ড করাবে।

আরা ১৩৯। হলফনামার শপথ যার দ্বারা পরিচালিত হবে

এই আইনের আওতায় কোন এফিডেভিটের ক্ষেত্রে

ক) যে কোন আদালত বা ম্যাজিষ্ট্রেট, কিংবা

খ) যে কোন অফিসার বা অন্য কোন লােক যাকে সুপ্রীমকোর্ট এতদুদ্দেশ্যে নিয়ােগ করতে পারেন, কিংবা

গ) সরকার দ্বারা সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য কোন আদালতে যে লােককে এতদুদ্দেশ্যে নিযুক্ত করতে পারেন, তারা সাক্ষ্য দাতার শপথ পরিচালনা করেন।

১৩৯ ধারার বিশ্লেষণ

কোন কিছু শপথ করে লিখতে বা কিছু প্রকাশ করার নাম এফিডেভিট । আদালতের বিভিন্ন কাজে এফিডেভিট ব্যবহার করা হয়। যিনি এফিডেভিট করেন তাকে শপথ দেওয়াইতে হয়। এই শপথ দেওয়ার অধিকার কার আছে তা এই ধারায় বর্ণনা করা হয়েছে।

এফিডেভিট সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ

Ahmed Vs. Abdul

নােটারি পাবলিকের নিকট প্রদত্ত হলফ বৈধ হবে। এও কমিশনার অফ এ্যাফিডেভিট দ্বারা কৃত বলে পরিগণিত হবে।

ধারা ১৪০। উদ্ধার মূল্য, ইত্যাদি বিষয়ে ন্যায় নির্ধারক

১) উদ্ধার মূল্য, গুনটানা মঞ্জুরী বা সংঘর্ষ জনিত যে কোন নৌ বিভাগ, উপ নৌবিভাগ বিষয়ে আদালত উহার মূল্য বা আপিল এখতিয়ার প্রয়ােগকালে উপযুক্ত মনে করলে তদৃবিষয়ে যে কোন পক্ষেও অনুরােধক্রমে উহার নির্দেশিত বা নির্ধারিত পদ্ধতিতে দুইজন যােগ্যতাসম্পন্ন ন্যায় নির্ধারককে উহার সাহায্যার্থে যথাবিহীত সমন দিতে পারেন; এবং অনুরূপ ন্যায় নির্ধারকগণ তদনুযায়ী হাজির হবে ও সাহায্য করবে।

২) এরূপ প্রত্যেক ন্যায় নির্ধারক তাদের উপস্থিতির জন্য আদালত নির্দেশ প্রদান করতে পারে বা নির্ধারিত হতে পারে এরূপ উক্ত পক্ষগণ প্রদেয় অনুরূপ ফি পাবে।

ধারা ১৪১। বিবিধ কার্যক্রমগুলাে

এই আইনে মামলা সম্পর্কে উল্লেখিত কর্মের প্রক্রিয়া দেওয়ানি এখতিয়ারসম্পন্ন যে কোন আদালতে যাবতীয় কার্যক্রমের বেলায় যথাসম্ভব প্রয়ােগযােগ্য অনুসরণ করতে হবে।

১৪১ ধারার বিশ্লেষণ

দেওয়ানি মােকদ্দমা সম্পর্কে এই বিধিতে যে সকল বিধান প্রদত্ত হয়েছে সে সকল বিধান সকল দেওয়ানি এখতিয়ার সম্পর্কে আদালতের উপর প্রযুক্ত হয়। তবে ঐ সকল আদালতর ডিক্রী জারিতে এই বিধান প্রযুক্ত হয় না। প্রবেট, গার্জিয়ানশীপ প্রভৃতি বিষয়ের বিচারকে দেওয়ানি‌ এখতিয়ারযুক্ত বিচার বলা যায় । এই ধারা জারি কার্যক্রমের বেলায় প্রযােজ্য হয় না। এইজন্য মামলা সম্পর্কে এই বিধিতে উল্লিখিত কার্যক্রম ডিক্রী জারির আবেদনপত্রের ক্ষেত্রেও প্রযােজ্য হয় না।‌ দেওয়ানি এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতের কার্যধারা বলতে এই ধারায় মামলার মত মৌলিক বিষয়সমূহের কথা বুঝানাে হয়েছে, যেমন প্রবেট কার্যক্রম, অভিভাবকত্ব সম্পর্কিত কার্যক্রম ইত্যাদি।

ধারা ১৪২। আদেশ ও নােটিশ লিখিত হবে

অত্র আইনের বিধানানুযায়ী কোন লােকের প্রতি জারি বা প্রদত্ত সমস্ত আদেশ এবং নােটিশ লিখিত ভাবে হবে।

১৪২ ধারার বিশ্লেষণ

এই বিধিতে নানাবিধ আদেশ ও নােটিশ দিবার বিধান রয়েছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, এই সকল নােটিস ও আদেশ লিখিতভাবে দিতে হবে।

ধারা ১৪৩। ডাকমাশুল

এই আইনের আওতায় যে সমস্ত নােটিশ, সমন বা চিঠি প্রেরণ করতে হবে, সেগুলির উপর ডাকমাশুল এবং নিবন্ধনের জন্য ফি, সেগুলি পূর্বেই নির্ধারিত সময়ের ভিতর প্রদান করতে হবে। তবে শর্ত এই যে, সরকার অনুরূপ ডাকমাশুল, বা ফি বা উভয়টিই মওকুফ করতে পারেন বা তৎপরিবর্তে কোন নির্ধারিত হারে কোর্ট ফি ধার্য করতে পারে।

ধারা ১৪৪। Restitution বা পুনরুদ্ধারের জন্য আবেদন

১) যেইক্ষেত্রে ডিক্রীও যে পরিমিত পরিবর্তন বা রদ করা হয়, সে ক্ষেত্রে সে পরিমিত পুনঃরুদ্ধারের বা অন্য কোনভাবে কোনরূপ সুবিধা পাওয়ার অধিকারী কোন পক্ষের আবেদনক্রমে যথাসম্ভব প্রাথমিক আদালত এরূপ ভাবে পুনঃরুদ্ধার করাবে, যা পক্ষদের‌ এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠিত করবে যার ভিতর পরিবর্তন বা রদ হয়েছে এরূপ ডিক্রী বা তার এরূপ অংশ প্রদত্ত না হলে তাদের দখলে থাকিত; এবং এই লক্ষ্যে আদালত অনুরূপ পরিবর্তন বা রদের জন্য আবিষ্কৃত মামলার খরচ ফেরতের জন্য এবং সুদ, খেসারত ও ক্ষতিপূরণ এবং মধ্যবর্তীকালীন মুনাফা পরিশােধের আদেশসহ যে কোন আদেশ দিতে পারে।

২) (১) উপ-ধারার আওতায় আবেদন দ্বারা লাভ করা যেত, এরূপ কোন পুনঃরুদ্ধারের বা কোন প্রতিকার পাওয়ার জন্য কোন মামলা করা চলবে না।

১৪৪ ধারার বিশ্লেষণ

এই ধারায় প্রত্যর্পণের বিধান প্রদত্ত হয়েছে। রহিম একখানি স্বত্ব ঘােষণার এবং দখল পাওয়ার জন্য মােকদ্দমা করল। মুন্সেফের আদালতে রহিম ডিক্রী পেল ও সেই ডিক্রী দিয়ে জমিখানিতে দখল নিল। বিবাদী করিম সাব-জজ আদালতে আপিল করলে, সেই আপিলে রহিমের মােকদ্দমা ডিসমিস হলাে। অর্থাৎ ঐ জমিতে রহিমের কোন স্বত্ব নেই ও সে দখল পাওয়ার উপযুক্ত নহে, এরূপ ঘােষণা সাব-জজ দিলেন। এই অবস্থায় করিম এই ধারায় আদালতে আবেদন করতে পারে। করিম আবেদন করলে মুন্সেফ তাকে ঐ জমিখানি প্রত্যর্পণ করবেন। যে ব্যক্তি আহত কেবল সে ব্যক্তিই এই ধারায় আবেদন করতে পারে। প্রত্যর্পণের জন্য কোন মােকদ্দমা করা যায় না।

পুনরুদ্ধার বা Restitution কাকে বলে

 সাধারণভাবে পুনরুদ্ধার বলতে কোন কিছু যা কোন ব্যক্তির কাছ থেকে আদালতের পূর্বের কোন ভ্রমাত্মক রায় দ্বারা নেয়া হয়েছিল, ইহা তার কাছে প্রত্যপর্ণ করা বুঝায়। যখন আদালতের ভ্রমাত্মক রায় পরিবর্তণ, রদবদল বাতিল করা হয়, তখনই পুনরুদ্ধারের প্রশ্ন উঠে। ১৪৪ ধারার বক্তব্য হলাে, যখন কোন ডিক্রী পরিবর্তণ বা রদবদল হয়, তখনই উক্ত ধারার বিধান মােতাবেক পুনরুদ্ধার করা যায়। ভ্রমাত্মক রায় না হলে পক্ষগণ যে অবস্থায় দখল করত, পুনরুদ্ধার দ্বারা সেই পুনঃস্থাপন করা হয়। আপিলের বাধা ১৪৪ ধারা মােতাবেক কোন আদেশকে ডিক্রী হিসেবে পরিগণিত করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে না বা স্বল্প এখতিয়ারসম্পন্ন আদালতে উহার প্রয়ােগ ব্যাহত করবে না।

পুনরুদ্ধার বা Restitution বিষয়ে আদালতের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা

আদালত দ্বারা সম্পাদিত কোন ডিক্রী বাতিল করা হলে, ধারা ১৪৪ নির্বিশেষে আদালত অন্তর্নিহিত ক্ষমতাবলে উহার প্রত্যর্পণের আদেশ দিতে পারেন।

Restitution বা প্রত্যর্পণের নীতি

যে নীতির উপর প্রত্যর্পণ প্রতিষ্ঠিত তা হলাে, আদালতের ভ্রমাত্মক রায়, আদেশ বা ডিক্রীর ফলে যদি কেউ তার প্রাপ্য অধিকার বা সম্পত্তি হতে বঞ্চিত হয় তা হলে ডিক্রী বা আদেশ পরিবর্তন বা বাতিল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তির কাছে তার সম্পত্তি বা অধিকার প্রত্যার্পত করতে হবে।

Restitution বা প্রত্যর্পণের আপিল

ধারা ১৪৪ এ আদালত ভ্রমাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে মনে হলেও আপিল করা যাবে। ধারা ১৫১ এর অধীনে আদালত কোন প্রত্যর্পণের আদেশ প্রদান করলে উহার বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।

ধারা ১৪৫ জামিনদার এর দায়িত্ব কার্যকরকরণ

যে ক্ষেত্রে কোনরূপ জামিনদার হিসেবে-

ক) কোন ডিক্রী বা তার কোন অংশ সম্পন্ন করার জন্য কিংবা

খ) ডিক্রি জারির ফলে কোন সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য কিংবা

গ) কোন মামলায় বা উহার ফলস্বরূপ কোন কার্যধারায় আদালতের আদেশের অধীন টাকা পরিশােধের জন্য বা কোন লােকের উপর আরােপিত কোন শর্ত পালনের জন্য জামিনদার হিসাবে দায়ী হয়েছে, সেইক্ষেত্রে সে লােকের বিরুদ্ধে ডিক্রী বা আদেশ, যে পরিমাণ সে নিজে অত্র নির্ধারিত পদ্ধতিতে ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সে পরিমাণের জন্য, ডিক্রী জারির জন্য এখানে বর্ণিত রীতি অনুসাওে জারি করা যাবে এবং আপিলের উদ্দেশ্যে ঐ লােককে ৪৭ ধারার অর্থ মােতাবেক পক্ষ বলে পরিগণিত হবে। তবে শর্ত থাকে যে, আদালত এরূপ প্রত্যেক ক্ষেত্রে যেইরূপ পর্যাপ্ত মনে করেন, জামিনদারকে সেরূপ নােটিশ প্রদান করবেন।

১৪৫ ধারার বিশ্লেষণ

ডিক্রীর জন্য খাতক বা দেনাদারের পক্ষে অন্য ব্যক্তি জামিনদার হতে পারে। আদালত কোন ব্যক্তিকে টাকা দেওয়ার জন্য আদেশ দিতে পারেন বা অন্য কোন কিছু করার আদেশ ও দিতে পারেন। এই সকল ক্ষেত্রে আদালত দ্বারা আদিস্ট ব্যক্তির পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি জামিন হতে পারে না। আদালত দ্বারা প্রদত্ত ডিক্রীর কোন কাজ করার জন্য কোন ব্যক্তি জামিন হতে পারে। ডিক্রী জারিমূলে সম্পত্তি দখল নেয়া হয়ে থাকলে উহা প্রত্যর্পণের জন্যও জামিন হওয়া যায়। ঐ জামিনদারের বিরুদ্ধে ডিক্রী বা আদেশ জারি করা যায়। এই বিধির ধারা ৫৬ এর গ্রেফতারকৃত দেনাদারের পক্ষে জামিন হওয়ার ব্যবস্থা আছে; ২৫ আদেশের ১ নিয়মের, ৩৮ আদেশের ২ নিয়মে, ৩৮ আদেশের ৫ নিয়মে, ৪১ আদেশের ১০ নিয়মে এবং ৪৫ আদেশের ৭ নিয়মে জামিনের ব্যবস্থা আছে।

ধারা ১৪৬। প্রতিনিধিদের দ্বারা বা তাদের বিরুদ্ধে কার্যব্যবস্থা

অত্র আইনের বা সমকালীন বলবৎ কোন আইনে অন্যরূপ বিধান থাকলে, তা‌ ব্যতিরেকে যেই ক্ষেত্রে কোন লােক দ্বারা বা তার বিরুদ্ধে কোন কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বা আবেদনপত্র দাখিল করা হয়, সে ক্ষেত্রে তার আওতায় দাবিদার কোন লােক দ্বারা বা তার বিরুদ্ধে কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে বা আবেদনপত্র দাখিল করা যেতে পারে।

১৪৬ ধারার বিশ্লেষণ

যে ব্যক্তি কোন ফায়দা লাভের অধিকারী হয়েছে, সে ব্যক্তির আওতায় দাবিদার ব্যক্তি ঐ ফায়দা পেতে পারে। যার বিরুদ্ধে কোন দরখাস্ত করা যায় বা কার্যক্রম আরম্ভ করা যায়, সে ব্যক্তির অধীনে দাবিদার ব্যক্তির বিরুদ্ধে অণুরূপ দরখাস্ত বা কার্যক্রম আরম্ভ করা যায়।

ধারা ১৪৭। অক্ষম লােক দ্বারা সম্মতি বা চুক্তি

যেই সমস্ত মামলায় কোন অক্ষম লােক পক্ষ হয় সে সমস্ত মামলায় কোন কার্য যার সম্পর্কে মামলার নিকট হিতৈষী বা অভিভাবক দ্বারা আদালতের প্রকাশ্য অনুমতিক্রমে তার পক্ষে কোন সম্মতিদান বা চুক্তি করে, তা হলে উহা ঐ লােক যদি অক্ষম না হত এবং অনুরূপ সম্মতি দান বা অনুরূপ চুক্তি করত, তবে তা একই প্রকার বলবৎ বা বাস্তবসম্মত হবে।

১৪৭ ধারার বিশ্লেষণ

যারা নাবালক বা উন্মাদ বা অন্য কোন প্রকার অক্ষমতার শিকার, তারা আইনতঃ কোন সম্মতি দেওয়ার অধিকারী নয়। তাদের পক্ষে আদালতের অনুমতিমূলে অভিভাবক সম্মতি দিলে উহা বৈধ হবে।

ধারা ১৪৮। সময় বৃদ্ধিকরণ

যেক্ষেত্রে এই আইনে নির্ধারিত বা অনুমােদিত কোন কার্য করার জন্য আদালত পর্যায়কাল নির্ধারণ বা মঞ্জুর করেন, সে ক্ষেত্রে আদালত সময়ে সময়ে ঐচ্ছিক ক্ষমতায় উক্ত পর্যায়কাল বাড়াতে পারেন, যদিও প্রথমে নির্ধারিত বা মঞ্জুরীকৃত পর্যায়কাল উত্তীর্ণ হয়ে থাকে।

১৪৮ ধারার বিশ্লেষণ

এই বিধির অধীন কোন বিষয়ে আদালত সময় মঞ্জুর করে থাকলে, পরবর্তীকালে আদালত সেই সময়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে পারেন। এই বিধির ৬ আদেশের ১৮ নিয়ম, ৭ আদেশের ১১ নিয়ম, ৮ আদেশের ৯ নিয়ম, ২১ আদেশের ১৭ নিয়ম, ২৫ আদেশের ২ নিয়ম এবং ৪১ আদেশের ১০ নিয়ম প্রাসঙ্গিক। যেই মােকদ্দমায় পক্ষগণের মধ্যে কোন চুক্তি হতে উদ্ভূত একটি দায়িত্ব পালনের জন্য ডিক্রী দ্বারা কোন আদালত সময় নির্দিষ্ট করে দেয়, সেক্ষেত্রে ধারাটিতে অভিপ্রেত সময় বৃদ্ধি প্রযােজ্য নয়। যখন কোন ডিক্রীতে কোন কাজ করার কথা স্পষ্টভাবে অঙ্গীভূত থাকে সেক্ষেত্রে ধারা ৪৮ এ আদালত দ্বারা দেয়া সময়ের ভিতর কোন কাজ করার অনুমতি প্রদানের যে বিধান আছে তা প্রযােজ্য নয়।

ধারা ১৪৮। সময় বৃদ্ধিকরণ উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ।

চুক্তি প্রবলের মামলায় আদালত ডিক্রী প্রদানক্রমে বাদীকে টাকা জমা দেয়ার দিন ধার্য করলেও পরবর্তীকালে সময় বৃদ্ধি করতে পারে। [50 DLR (AD) 161 Idrishi Shaikh Vs. Jilamon Bewa]

ধারা ১৪৯। কোর্ট ফির ঘাটতি পুরণের ক্ষমতা

যেক্ষেত্রে কোর্ট ফি বিষয়ক সময়কালীন বলবৎ আইনের দ্বারা কোন দলিলের জন্য নির্ধারিত ফি এর সারা বা কোন অংশ দেয়া হয় নাই, সে ক্ষেত্রে আদালত ইচ্ছা করলে যে কোন পর্যায়ে যেই লােক দ্বারা অনুরূপ কোর্ট ফি প্রদেয়, এরূপ লােককে ক্ষেত্র বিশেষ অনুরূপ কোর্ট ফি এর সামগ্রীক বা আংশিক প্রদান করার জন্য অনুমতি দিতে পারে; তবে অনুরূপ প্রদান করার দরুণ প্রথমেই যেন অনুরূপ ফি প্রদত্ত হয়েছিল এরূপ গণ্যে যে দলিল সম্পর্কে অনুরূপ ফি প্রদেয় সেরূপ দলিল একই প্রকার বলবৎ এবং বাস্তবসম্মত হবে।

১৪৯ ধারার বিশ্লেষণ

কোর্ট ফি দেয়ার জন্য সময় বৃদ্ধি করার ক্ষমতা এই ধারায় আদালতকে দেয়া হয়েছে। এই ধারার সাথে ৭ আদেশের ১১ নিয়ম মিলিয়ে পড়তে হবে। এই ধারায় মােকদ্দমার বাদীকে একটি বিশেষ সুবিধা দিয়েছে। করিম, রহিমের বিরুদ্ধে তার পাওনা টাকা আদায়ের মােকদ্দমা করল। ১১ পৌষ তারিখে মােকদ্দমা না করলে তার দাবি তামাদি হয়ে যেত। সে ১১ পৌষ তারিখে মােকদ্দমা করল। কিন্তু যেখানে তার আরজিতে পাঁচশত টাকার কোর্ট ফি দেয়ার কথা ছিল, সেখানে সে ১১ পৌষ তারিখে মাত্র দুইশত টাকা কোর্ট ফি দিল। ১১ পৌষের ভিতর সে সকল কোর্ট ফি দেয় নাই, এই কারণে তার মােকদ্দমা তামাদি হলাে না। পরবর্তী সময় আদালতের আদেশমত বকেয়া কোর্ট ফি দিতে হবে। কোন মােকদ্দমার যেকোন পর্যায়ে আদালত দ্বারা চিহ্নিত বলে দাবিকৃত কোন অংকের অর্থের কোর্ট ফি-র ঘাটতি প্রদানের আদেশ দেয়া যায়।

ধারা ১৫০। এক আদালত প্রতি অন্য আদালতে কার্য হস্তান্তর

অন্যরূপ কোন বিধান ব্যতিরেকে যখন এক আদালতের কার্যব্যবস্থা অন্য আদালতে স্থানান্তরিত হয়, সে ক্ষেত্রে এই আইনের দ্বারা বা মােতাবেক এরূপ হস্তান্তরকারী আদালতের উপর এই বিষয়ের উপর যেই ক্ষমতা এবং কর্তব্য অর্পিত ছিল, যেই আদালতের নিকট হস্তান্তরিত হয়েছে, উহার প্রতিও সেরূপ ক্ষমতা এবং কর্তব্য আরােপিত হবে।

১৫০ ধারার বিশ্লেষণ

এক আদালত হতে অন্য আদালতে মােকদ্দমা স্থানান্তরিত হতে পারে। এইভাবে স্থানান্তরিত হলে নূতন আদালত পুরাতন আদালতের মতই ক্ষমতাসম্পন্ন হবে। স্থানান্তরতি আদালত দ্বারা পাসকৃত কোন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আদেশ প্রদানের একই এখতিয়ার ১৫০ ধারার বিধান মতে স্থানান্তরিত আদালতের আছে।


Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a