- Get link
- X
- Other Apps
Section 34 35 35A 35B Cost of Suit Civil Procedure Code
ধারা ৩৪ ৩৫ ৩৫ক ৩৫খ মামলার খরচ দেওয়ানী কার্যবিধি আইন
ধারা ৩৪। সুদ
১) যেখানে ও যতদূর সম্ভব ডিক্রীটি টাকা পরিশােধ বিষয়ক হলে, সেখানে আদালত তার ডিক্রীতে মামলা দায়েরের পূর্বে কোন সময়ের জন্য আসল টাকার উপর বিচার প্রাপ্ত কোন সুদের অতিরিক্ত, বিচারপ্রাপ্ত আসল টাকার উপর মামলার তারিখ হতে ডিক্রীর তারিখ পর্যন্ত প্রদেয় আদালত যুক্তিসঙ্গত বিবেচনা করে এরূপ হারে সুদ, এবং ডিক্রীর তারিখ হতে টাকা পরিশােধের তারিখ পর্যন্ত বা আদালত সঠিক মনে করে এরূপ আরাে পূর্বের তারিখ হতে টাকা পরিশােধের পূর্ণ টাকার উপর আদালত যুক্তিসঙ্গত বিচার বিশ্লেষণ করে এরূপ হারে আরাে অধিক সুদ দেওয়ার জন্য আদেশ দিতে পারে।
২) যেখানে ডিক্রীর তারিখ হতে টাকা পরিশােধের তারিখ পর্যন্ত বা আরাে পূর্বের তারিখ হতে উপরিউক্ত সকল টাকার উপর অধিক সুদ পরিশােধ বিষয়ক ডিক্রী নীরব থাকে সেখানে আদালত উক্ত সুদ অগ্রাহ্য করেছে বলে পরিগণিত হবে ও এইজন্য পৃথক মামলা চলবে না।
৩৪ ধারার বিশ্লেষণ
অর্থের মামলার ক্ষেত্রে মামলার তারিখ থেকে ডিক্রীর তারিখ পর্যন্ত যে সুদ হয়, তা প্রদানের জন্য আদালত ডিক্রীতে উল্লেখ করে দিতে পারেন। তবে আদালত ডিক্রীর মধ্যে সুদ সম্পর্কে উল্লেখ না করলে বা নিরব থাকলে আদালত সুদ অগ্রাহ্য করেছে বলে বিবেচিত হবে। এই ধারায় সুদের বিধান নেওয়া হয়েছে। বাদী মােকদ্দমা দায়ের করার পূর্বের প্রাপ্য সুদ দাবি করতে পারে, আদালত এই দাবি মঞ্জুর করতে পারেন । যেইদিন মােকদ্দমা রুজু হলো ও যেইদিন মােকদ্দমার ডিক্রী হলাে, এই দুইটি দিনের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য আদালত সুদ মঞ্জুর করতে পারেন। যেইদিন ডিক্রী হল এবং যেইদিন প্রাপ্য টাকা আদায় করা হলাে, এই দিনের মধ্যবর্তী সময়ের জন্যও আদালত সুদ মঞ্জুর করতে পারেন। বাদী যে সুদ দাবি করবেন তার ভিত্তি থাকা চাই। সুদের পরিমাণ কত হবে তা সাধারণভাবে পক্ষগণের চুক্তির উপর নির্ভরশীল। তবে প্রদেয় সুদের হার খুব বেশি হলে আদালত Usurious Loans Act, ১৯১৮ মােতাবেক তা কমিয়ে দিতে পারেন।
৩৪ ধারার পরিধি ও প্রযােজ্যতা
এই ধারার অধীনে আদালত তিন ধরনের সুদ মঞ্জুর করতে পারেন। যথা
(১) মােকদ্দমা রুজুর দিন থেকে ডিক্রী প্রদানের দিন পর্যন্ত সময়ের উপর সুদ, ইহা সম্পূর্ণরূপে সংসদীয় আইনের ক্ষমতাবলে প্রদেয় যা আদালত পরিশােধ করতে নির্দেশ দিতে পারেন।
(২) মােকদ্দমা রুজুর পূর্ববর্তীকালীন সময়ের উপর সুদ, ইহা মৌলিক আইনের ক্ষমতাবলে এবং ইহা এই ধারার পরিধির বাইরে।
(৩) ডিক্রী পাস করার পর থেকে টাকা পরিশােধের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের সুদ, ইহা বাদীর ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হয়। এই ধারার অধীন সুদ অন্তবর্তীকালীন মুনাফার মত কোন দাবি বা প্রতিকারের অঙ্গ নয়।
ধারা ৩৫। খরচাদি
১) নির্ধারিত হতে পারে এরূপ শর্তাবলি ও সীমাবদ্ধতা এবং বর্তমানে বলবৎ কোন আইনের বিধান সাপেক্ষে মামলার খরচ এবং আনুসঙ্গিক ব্যয় আদালতের ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে, এবং কাহার দ্বারা বা কোন সম্পত্তি হতে ও কি পরিমাণ খরচ দিতে হবে তা নির্ধারণ করার, এবং উক্ত সম্পর্কে প্রয়ােজনীয় নির্দেশ প্রদানের ব্যাপারে আদালতের পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে। এরূপ ক্ষমতা প্রয়ােগে মামলা বিচারে আদালতের এখতিয়ার নাই বলে কোন বাধা সৃষ্টি হবে না।
২) যখন কোন আদালত নির্দেশ দেন যে মামলার ফলে কোন খরচ দেয়া হবে না, তখন আদালত উহার কারণ লিখিতভাবে বর্ণনা করবে।
৩) আদালত মামলার খরচের উপর অনধিক শতকরা বার্ষিক ৬% হারে সুদ প্রদানের নির্দেশ দিতে পারে এবং এই সুদ খরচের সাথে যোগ হবে ও যথারীতি আদায়যােগ্য হবে।
ধারা ৩৫ক। মিথ্যা বা বিব্রতকর দাবি বা আত্মপক্ষ সমর্থন সম্পর্কে ক্ষতিপূরণমূলক খরচ
(১) যদি কোন মামলা ৰা জারির কর্মপদ্ধতি সমেত অন্য কার্যক্রমে, কিন্তু আপিলে নয়, কোনপক্ষ দাবিতে বা জবাবে এই জন্য আপত্তি প্রদান করে যে, দাবি বা জবাব, বা উহার কোন অংশ, মিথ্যা বা বিরক্তিকর, এবং তৎপরবর্তীতে উক্তরূপ দাবি বা জবাবকে মিথ্যা বা বিরক্তিকর হিসাবে ধারণা প্রদান করার কারণ লিপিবদ্ধ করার পর ক্ষতিপূরণ হিসাৰে আপত্তিকারীকে খরচা প্রদান করার আদেশ দিবে, যা আদালতের আর্থিক এখতিয়ারের পরিসীমা অতিক্রান্ত না করে বিশ হাজার টাকা অবধি হবে।
(২) এই ধারার আওতাধীন তাতে উল্লেখিত কারণে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদেশ দেয়া হলে সে দাবি বা জবাব সম্পর্কে তাকে ফৌজদারি দায় থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে।
৩) মিথ্যা বা বিরক্তিকর দাবি ৰা জবাবের জন্য উক্ত ধারার আওতাধীন মন্জুরীকৃত খরচার পরিমাণ পরবর্তী খেসারত বা ক্ষতিপূরণের মামলায় উক্তরূপ দাবি বা জবাব সম্পর্কে বিবেচনায় রাখিতে হবে। (২০০৩ সনের ৪০নং আইন দ্বারা সংশােধিত)
ধারা ৩৫ খ। অন্তবর্তী বিষয়গুলি সমন্ধে আনীত দরখাস্ত ইত্যাদিতে বিলম্বের জন্য খরচা।
১) কোন মামলা বা কর্মপ্রক্রিয়ার যে কোন স্তরে আদালত দ্বারা নির্দিষ্ট সময়কালের ভিতর দরখাস্ত বা লিখিতভাবে কোন আপত্তি পেশ করা না হলে অনূর্ধ্ব দুই হাজার টাকা উক্ত পক্ষ অন্য পক্ষকে খরচা না প্রদান করলে সে দরখাস্ত বা লিখিত আপত্তি শুনানীর জন্য গ্রহণকৃত হবে না।
২) যদি লিখিত জবাব পেশের পরবর্তীতে মামলার কোন পক্ষ কোন বিষয়ে দরখাস্ত পেশ করেন, যা আদালতের মতানুযায়ী পূর্বেই পেশ করতে পারিতেন বা পেশ করা সমীচীন ছিল এবং তাতে মূল মামলার কার্যক্রমে দেরি হবার সম্ভাবনা আছে, তদকারণে আদালত দরখাস্ত নিবে কিন্তু তা শুনানী এবং নিস্পত্তি করবে না, যদি না সে পক্ষ আদালত যেরূপে নির্দিষ্ট এবং নির্দেশ করবে এবং সেরূপে অপরপক্ষকে অনুর্ধ্ব তিন হাজার টাকা খরচা দিবে, এবং উক্ত খরচা দিতে না পারিলে দরখাস্ত তাৎক্ষণিকভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
(২০০৩ সনের ৪০নং আইন দ্বারা সংশােধিত)