Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

কিভাবে দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়

Section 26 27 29 30 31 32 institution of suits and summons - Civil Procedure Code 

ধারার ২৬ ২৭ ২৯ ৩০ ৩১ ৩২ মামলা মোকদ্দমা দায়ের এবং সমন - দেওয়ানী কার্যবিধি আইন

ধারা ২৬। মামলা দায়ের

প্রত্যেক মামলা আরজি উপস্থাপনের দ্বারা বা নির্ধারিত হতে পারে এরকম অন্য কোন পদ্ধতিতে দায়ের করতে হবে।

২৬ ধারার বিশ্লেষণ

মােকদ্দমা কিভাবে আদালতে রুজু করতে হয়, তা এই ধারায় বলা হয়েছে। আদালতে আরজি দাখিল করে মােকদ্দমা রুজু করতে হয়। যে তারিখে আরজি দাখিল করা হয় সেই তারিখে মােকদ্দমা আরম্ভ হয়। আদালতে মােকদ্দমাকে রেজিস্টারভুক্ত করা হয়। কিন্তু রেজিস্টারভুক্তির সাথে মােকদ্দমার শুরু হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই। যে আদালতের এখতিয়ার নাই, সেই আদালতে যদি আরজি দাখিল করা হয়, তবে তার দ্বারা মােকদ্দমা শুরু হয়েছে বলা যাবে না।

মােকদ্দমা দায়েরকরণ/ কিভাবে দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়

প্রতিটি মােকদ্দমাই যােগ্য আদালতে আরজি উপস্থাপনের মাধ্যমে আরম্ভ করতে হবে। ভুলবশতঃ কোন উচ্চ আদালতে একটি মােকদ্দমা রুজু করার পর উহা অধঃস্তন যােগ্য আদালতে স্থানান্তরিত করা হলে মােকদ্দমাটি বিচারযােগ্যই থাকবে। মােকদ্দমার আরজি দাখিলের দিন থেকেই মােকদ্দমা রুজুর দিন ধরা হয়, মােকদ্দাটি রেজিস্ট্রেশন দিন হতে নয়। যে কার্যক্রম আরজি দাখিলের মাধ্যমে আরম্ভ হয় না তাকে কোনভাবেই মােকদ্দমা বলা যায় না। যদিও এরূপ কার্যধারা রায় কিংবা ডিক্রীর মাধ্যমে শেষ হয়েছে।

আরজি Pleadings (plaint and written reply) কাকে বলে

বাদী মােকদ্দমার কারণ বর্ণনা করে তার প্রার্থিত দাবি প্রতিষ্ঠার লক্ষে আদালতে যে স্মৃতিলিপি প্রেরণ করে তাকে আরজি বলে। পারস্পরিক দায়শােধ সম্বলিত লিখিত জবাবকেও আরজি বলা হয়। নির্বাচন-সংক্রান্ত বিবাদগুলি বিচারের ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার পরােক্ষভাবে বাধাগ্রস্ত। উল্লেখিত বিধি ও নিয়মে পরিচালিত বিষয়গুলিতে দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার পরােক্ষভাবে বারিত। নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মত একটি বিশেষ বিচারালয় যেগুলির নির্বাচনী মােকদ্দমা বা বিবাদগুলাে পরিচালনার স্বতন্ত্র এখতিয়ার থাকে তা গঠনে মনে হয়। সংসদের এই উদ্দেশ্য থাকে যে পরাজিত প্রার্থী নির্বাচনকে অভিযুক্ত করে নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে যে মােকদ্দমা আনেন তিনি সেখানে একটি সুগঠিত নির্বাচনী দরখাস্তে নির্বাচন পূর্ব বিবাদগুলি, যেগুলি নির্বাচনের ফলাফলকে অতি গুরুত্বপূর্ণভাবে প্রভাবিত করেছে। সেগুলির বিবেচনা দুঢ়ভাবে প্রার্থনা করতে সক্ষম হন।

ধারা ২৭। সমন ও আবিষ্কার Summons and Discovery

ধারা ২৭। বিবাদীর প্রতি সমন Summons to defendants

যেখানে মামলা সঠিকভাবে দায়ের হয়ে থাকে, সেখানে বিবাদীকে উপস্থিত এবং দাবির জবাব দেওয়ার জন্য সমন দেয়া যেতে পারে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে জারি করা যেতে পারে।

২৭ ধারার বিশ্লেষণ

এই ধারায় বিবাদীগণের প্রতি সমনজারির বিধান দেয়া হয়েছে। মামলার আরজি পেশ করার পর তা বালামভুক্ত তথা রেজিস্ট্রি করার পর মামলা বলে পরিগণিত হয়। আরজির নিবন্ধনকার্য সমাপ্ত হওয়ার পর আদালত অবশ্যই বিবাদীকে প্রথম তফসিলের পরিশিষ্ট খ এর ১নং বা ২নং ফরম মােতাবেক আদালতে উপস্থিত হয়ে বাদীর উত্থাপিত দাবির জবাব প্রদান করার জন্য সমন জারি করবে। বাদী নিঃস্ব ব্যক্তি হিসাবে প্রমাণিত হওয়ার পর এবং মামলাটির নিবন্ধন কার্য সমাপ্ত হওয়ার পর বিবাদীগণকে ধারা ২৭ এবং ৫নং আদেশের ১নং নিয়মের আওতায় নিময়মাফিক সমন দিতে হবে। এরূপ সমন ব্যতীত বিবাদীর বিরুদ্ধে কোন একতরফা ডিক্রী জারি হলে তা অবাঞ্চিত বলে পরিগণিত হবে।

ধারা ২৯। বিদেশি সমন জারি

বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন দেওয়ানি বা রাজস্ব আদালতের সমন এবং অপরাপর পরােয়ানা বাংলাদেশের আদালতসমূহে প্রেরণ করা যেতে পারে এবং উক্ত সমন অনুরূপ আদালত মারফত প্রদত্ত সমন হিসাবে জারি করা যেতে পারে। তবে শর্ত থাকে যে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারি করে অনুরূপ আদালত সমূহে এই ধারার বিধানগুলােকে প্রয়ােগযােগ্য বলে ঘােষণা করবে।

২৯ ধারার বিশ্লেষণ

বিদেশি সমন বা পরােয়ানা কিভাবে জারি করতে হয় তা এই ধারায় বলা হয়েছে। সরকার কোন কোন দেশের সমন বাংলাদেশের আদালত জারি করবে তা গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এই সকল দেশের সমন ও পরােয়ানা বাংলাদেশে আসলে এগুলাে বাংলাদেশের আদালতে সমন ও পরােয়ানা যেভাবে জারি হয় সেভাবেই জারি হবে। এই ধারাটি ৫ আদেশের ২১ ও ২৩ নিয়মের সাথে সদৃশ।

ধারা ৩০। দলিল উদঘাটন ও অনুরূপ বিষয়ের উপর আদেশ দিবার আদালতের ক্ষমতা

নির্ধারণ হতে পারে এরূপ শর্ত এবং সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে কোন আদালত যে কোন সময় স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বা কোন পক্ষের আবেদনক্রমে-

ক) প্রশ্নাবলি প্রদান এবং জবাবদান, দলিল এবং তথ্যাবলির স্বীকৃতি, এবং উদ্ঘাটন, পরিদর্শন, দাখিল, দলিল অন্তরীণ বা ফেরত সম্পর্কে বা সাক্ষ্য হিসাবে দাখিলযােগ্য অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি বিষয়ক সমস্ত বিষয়ে প্রয়ােজনীয় ও যুক্তিপূর্ণ হতে পারে এরূপ আদেশ দান করতে পারেন;

খ) সাক্ষ্যদান, বা দলিল দাখিল বা উপরিউক্ত অন্য উদ্দেশ্যে যাদের হাজির হওয়ার প্রয়ােজন, তাদের প্রতি সমন প্রেরণ করতে পারেন;

গ) কোন তথ্য এফিডেভিট (শপথ পত্র) দ্বারা প্রমাণের আদেশ করতে পারেন।

৩০ ধারার বিশ্লেষণ

ঘটনা বা দলিল উদ্ঘাটন এবং পরিদর্শন সংক্রান্ত দেওয়ানি কার্যবিধির ১ম তফসীলের ১১, ১২, ১৬ এবং ১৯ আদেশগুলাের বিধানমতে আবিষ্কার ও পরিদর্শনের বিধান করা হয়েছে। মামলায় বিচার্য বিষয় বা ইস্যু গঠনের পর আবিষ্কারের জন্য ৩০ ধারার বিধানমতে একটি দিন ধার্য করা হয়। ধার্য তারিখ আবিষ্কার না করলেও সাক্ষ্য শুরুর পর এরূপ উদঘাটন তথা আবিষ্কার করা যেতে পারে। সাক্ষীর উপর দ্বিতীয়বার সমন জারি করতে বাধা নেই।

ধারা ৩১। সাক্ষীর প্রতি সমন

সাক্ষ্য দান বা দলিলাদি বা অপরাপর প্রয়ােজনীয় বিষয় দাখিল করার জন্য সমনের ক্ষেত্রে ২৭, ২৮ ও ২৯নং ধারার বিধানগুলাে প্রয়ােগযােগ্য হবে।

ধারা ৩২। অমান্যের জন্য সাজা (penalty for default)

৩০ ধারা মােতাবেক যাকে সমন দেয়া হয়েছে আদালত তাকে হাজির হতে বাধ্য করতে পারে এবং এই উদ্দেশ্যে

ক) গ্রেফতারী পরােয়ানা প্রেরণ করতে পারেন;

খ) তার সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় করতে পারেন;

গ) তার উপর অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করতে পারেন;

ঘ) তার হাজিরার জন্য তাকে জামানাত দেওয়ার আদেশ করতে পারেন ও জামানত না দিলে তাকে কারাগারে পাঠাতে পারেন।

৩২ ধারার বিশ্লেষণ

কোন ব্যক্তির উপর সমন জারি হলে কিভাবে আদালত তাকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বাধ্য করতে পারেন , এ বিষয়ে দেওয়ানি কার্যবিধি, ১৯০৮ এর ধারা-৩২ এ বিধান রাখা হয়েছে। উক্ত ধারা অনুযায়ী, ৩০ ধারা অনুসারে যাকে সমন প্রদান করা হয়েছে আদালত তাকে হাজির হতে বাধ্য করতে পারে এবং এই উদ্দেশ্যে-

ক) গ্রেফতারী পরােয়ানা প্রেরণ করতে পারেন;

খ) তার সম্পত্তি ক্রোক ও বিক্রয় করতে পারেন;

গ) তার উপর অনধিক পাঁচশত টাকা জরিমানা করতে পারেন;

ঘ) তার হাজিরার জন্য তাকে জামানত দেওয়ার আদেশ করতে পারে ও জামানত না দিলে তাকে কারাগারে পাঠাতে পারেন।

৩২ ধারার উপর উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ

U Kanowar Vs. L. R of Ramsharop

কোন লােক বা মামলার পক্ষকে কোন দলিল বা সাক্ষ্য হাজির করার নির্দেশ দেয়া হলে সংশ্লিষ্ট পক্ষ বা লােক তা পরিপালন করতে বাধ্য। এর ব্যর্থতায় বা গাফিলতি দেখা দিলে আদালত ১৫১ ধারার বিধান প্রয়ােগ দ্বারা কর্তব্য পালনে বাধ্য করতে পারেন।

U Kanowar Vs. L. R of Ramsharop173

আদালত কোন পক্ষ তলব করার সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকলে ৩২ ধারা এবং ১৬ আদেশের ১০ এবং ১২ বিধি মােতাবেক তার উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন। 

AIR 1994 (Punj) 382

দেওয়ানি কার্যবিধির ৩০ এবং ৩২ ধারার বিধানানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আদালত ১৫১ ধারার অধীনে কাৰ্যব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন, যদি দেখা যায় যে কোন পক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে দলিল পেশ করা হতে বিরত রয়েছে।

PLD 1960/Lah. 90

অত্র ধারা সমন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরােয়ানা জারিকরণ করে বা তার সম্পত্তি ক্রোক করে বা বিক্রয়পূর্বক বা তার উপস্থিতির জন্য জামানত জমাগ্রহণপূর্বক সাক্ষীর উপস্থিতি বাধ্যকর করার জন্য আদালতকে ক্ষমতা প্রদান করেছে। 

Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a