- Get link
- X
- Other Apps
Section 15 & 16 Civil Procedure Code
ধারা ১৫ এবং ১৬ কোথায় মামলা করতে হয়
ধারা ১৫। যে আদালতে মামলা করতে হবে
প্রত্যেকটি মামলা উহার বিচার করার যােগ্যতাসম্পন্ন সর্বনিম্ন পর্যায়ের আদালতে দায়ের করতে হবে।
১৫ ধারার বিশ্লেষণ
সর্বনিম্ন আদালতে মামলা করার বিধান রয়েছে। এছাড়া ও উচ্চাদালতের মামলা করা হলে আদালত তা স্ববিবেচনাক্রমে বিচার করতে পারেন বা সংশ্লিষ্ট আদালতে আরজি দাখিল করার জন্য ফেরৎ দিতে পারেন। আদালতের বিচার করার এখতিয়ার না থাকলে তদকর্তৃক প্রদত্ত ডিক্রী বাতিল বলে পরিগণিত হবে। কোন আদালতে দেওয়ানি মােকদ্দমা দাখিল করতে হবে, সে বিষয়ে এই ধারায় নিয়ম-কানুন দেয়া হয়েছে।
১৫ ধারার পরিধি ও উদ্দেশ্য
দেওয়ানি কার্যবিধর ধারা ১৫ এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, উচ্চ আদালতকে নিম্ন আদালত দ্বারা বিচারযােগ্য মােকদ্দমার বিচার করা থেকে বিরত রাখা। ধারাটি প্রকৃতপক্ষে পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণ করে, অধিক্ষেত্র নয়। মােকদ্দমা কোন আদালতে সর্ব প্রথম রুজু করবে উহার একটি মূলনীতি প্রদান করাই এই ধারার উদ্দেশ্য। যখন উচ্চ ও নিম্ন দুইটি আদালতই একটি মােকদ্দমা গ্রহণ করার সমসাময়িক ক্ষমতা রাখে, তখন যেই আদালত নিম্নস্তরের উহাকেই মোকদ্দমা টি গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় অনেক ক্ষেত্রে এই বিধিতে বর্ণিত আপিল এর শর্তসমূহ প্রয়োগের ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি হবে এবং উচ্চ আদালতের ঝামেলা বাড়বে।
আদালতের বিচার ক্ষমতা নির্ণয়
শুধুমাত্র যোগ্য আদালতে কোন মোকদ্দমা রুজু করা চলে। আদালতের কোন মোকদ্দমা বিচার করার যোগ্যতা আছে কিনা তা আরজিতে বর্ণিত দাবি ও প্রতিকারের ভিত্তিতে নির্মিত হবে।
ধারা ১৬। যেখানে মামলার বিষয়বস্তু অবস্থিত, সেখানে মামলা করতে হয়
যে কোন আইনে নির্ধারিত আর্থিক বা অপরাপর সীমাবদ্ধতা সাপেক্ষে,
ক) খাজনা বা মুনাফাসহ বা ব্যতিরেকে স্থাবর সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা,
খ) স্থাবর সম্পত্তি বাটোয়ারার জন্য মামলা,
গ) স্থাবর সম্পত্তি বন্ধকের ক্ষেত্রে বা ইহার উপর দায়ের ক্ষেত্রে উদ্ধারের অধিকার হরণ, বিক্রয় বা বন্ধক মুক্তির জন্য মামলা,
ঘ) স্থাবর সম্পত্তিতে অন্য কোন প্রকার স্বত্ব বা অধিকার নির্ণয়ের জন্য মামলা,
ঙ) স্থাবর সম্পত্তি অনিষ্টের জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা,
চ) আটক বা ক্রোককৃত অস্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য মামলা,
উপরােল্লিখিত বিষয়ে আনিত মামলাগুলাে যে সমস্ত আদালতের স্থানীয় সীমারেখার ভিতর সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অবস্থিত, বা, ‘গ’ দফায় উল্লেখিত মামলার ক্ষেত্রে যেই স্থানে মামলার কারণ পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে উদ্ভব হয়েছে সে সকল আদালতেই রুজু করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে, বিবাদী দ্বারা দখলীয় কোন স্থাবর সম্পত্তি বিষয়ক ক্ষতিপূরণ বা অন্য কোন প্রকার প্রতিকারের মামলার ক্ষেত্রে প্রার্থিত প্রতিকার যদি শুধুমাত্র বিবাদীর ব্যক্তিগত আনুগত্যের ফলেই পাওয়া সম্ভব হয়; তবে যে আদালতের স্থানীয় সীমানার
ভিতর সম্পত্তি অবস্থিত বা ‘ঙ' দফায় উল্লেখিত ক্ষেত্রে যেই স্থলে পূর্ণ বা আংশিকভাবে মামলার কারণ উদ্ভব হয়েছে বা যে আদালতের স্থানীয় এখতিয়ারের সীমারেখার ভিতর প্রকৃতপক্ষে এবং স্বেচ্ছায় বিবাদী বাস করে বা ব্যবসা বাণিজ্য করে বা ব্যক্তিগতভাবে লাভের জন্য কাজ করে সে আদালতে দায়ের করা যাবে।
১৬ ধারার ব্যাখ্যা
এই ধারার সম্পত্তি বলতে বাংলাদেশে অবস্থিত সম্পত্তি বুঝায়।
১৬ ধারার বিশ্লেষণ
যে আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমায় সম্পত্তি অবস্থিত ঐ আদালতেই স্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারের মামলা বা অস্থাবর সম্পত্তিতে মামলা বা স্বার্থ নির্ধারণের মামলা বা প্রকৃতভাবে আবদ্ধ বা ক্রোককৃত অস্থাবর সম্পত্তি উদ্ধারের মামলা রজু করতে হয়। এ ধারার উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্পত্তি সম্পর্কে আদালতের এখতিয়ার সীমাবদ্ধ করা এবং যাতে এ ধারায় আদালতগুলাে তাদের এখতিয়ার সীমা বহির্ভূত সম্পত্তির স্বত্ব স্বার্থ বিচার করতে না পারে। [4 BLD (HCD) 24 Mst. Rahel Khatun & others Vs. Saraj Sarkar & another] অত্র ধারার উদ্দেশ্য হচ্ছে স্থাবর সম্পত্তি আটক এবং ক্রোককৃত অস্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলার বিচার যে সমস্ত আদালত করতে পারে এবং স্থানীয় অধিক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে অনুরূপ আদালতসমূহের বিচারের ক্ষমতা নির্দেশ করা।
অর্থাৎ এই ধারার উদ্দেশ্য হল সম্পত্তি সংক্রান্ত আদালতের স্থানীয় অধিক্ষেত্রের সীমাবদ্ধতা নির্দেশ করা। স্থাবর সম্পত্তি বা উহার অন্তর্নিহিত স্বার্থ অথবা অধিকার আদায় বা আটক অথবা ক্রয়কৃত সম্পত্তি ফেরত পাওয়ার জন্য অনুরূপ সম্পত্তি যে সমস্ত আদালতের আওতায় রয়েছে সে সমস্ত আদালতে মামলা রুজু করতে হবে।