- Get link
- X
- Other Apps
Section 12 and 13, Civil Procedure Code 1908
ধারা ১২ এবং ১৩ দেওয়ানী কার্যবিধি আইন
ধারা ১২- পুনরায় মামলা করার বাধা।
যখন কোন বিধি মোতাবেক কোন বিশেষ আইনে বাদী দ্বারা পুনরায় মামলা করা হতে বারিত করা হয়, তখন যে আদালতের প্রতি এই আইন গ্রহণযোগ্য, সেরুম কোন আদালতে তিনি সে একই কারণে পুনরায় মামলা করতে পারবেন না।
ধারা ১২ বিশ্লেষণ
কোন বিশেষ কারণে একজন বাঁদিকে নতুন মামলা করা হতে বিরত করা সম্পর্কিত বিধি-নিষেধ অর্থাৎ কোন বাদী একই কারণে যাতে পুনরায় মামলা দায়ের করতে না পারে (Bar to further suit) এরূপ নিষিদ্ধতা সম্পর্কে ১৯০৮ দেওয়ানী কার্যবিধির ১২ নম্বর ধারায় সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে। পুনরায় মামলা দায়ের করার বাধা সম্পর্কে দেওয়ানী কার্যবিধির ১২ নং ধারায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যখন কোন বিধি অনুসারে কোন বিশেষ কারণে বাদী কর্তিক পুনরায় মামলা দায়ের করা নিষিদ্ধ হয়ে থাকে, তখন যে আদালতের প্রতি এই আইন প্রযোজ্য সেরূপ কোন আদালতে তিনি সে একই কারণে পুনরায় মামলা দায়ের করতে পারবে না।
ধারা ১৩। কখন বিদেশি রায় চূড়ান্ত নয়
কোন বিদেশি আদালত কোন বিষয়ে বিচার করলে ও তা একই পক্ষগুলাে বা তাদের সূত্রে এক বা একের অধিক স্বত্ব দাবিকারীর ভিতর একই বিষয় বিষয়ক মামলা হলে বিদেশি আদালত এর রায় চূড়ান্ত বলে পরিগণিত হবে; তবে নিম্নলিখিত ক্ষেত্র ছাড়া
ক) যেক্ষেত্রে উপযুক্ত এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত দ্বারা রায় ঘােষিত হয় নাই;
খ) মামলার গুণাগুণ এর ভিত্তিতে রায় দেয়া না হলে;
গ) আন্তর্জাতিক আইনের ভ্রান্ত ব্যাখ্যা বা মামলাটির প্রতি প্রয়ােগযােগ্য বাংলাদেশের আইন অস্বীকার করে রায় দেয়া হয়েছে বলে কার্যব্যবস্থা হতে প্রতীয়মান হলে;
ঘ) যে রায় আইনগত ব্যবস্থার দ্বারা দেয়া হয়েছে, তাতে অনুসৃত পদ্ধতি ও কার্যব্যবস্থা ন্যায়বিচারের বহির্ভূত হলে;
ঙ) প্রতারণা মারফত রায় লাভ করা হলে;
চ) বাংলাদেশে প্রচলিত কোন আইনের পরিপন্থী কোন দাবি রায়ে বজায় রাখা হলে ।
১৩ ধারার বিশ্লেষণ
বিদেশি রায় বলতে কি বুঝায়
বিদেশি রায় (Foreign Judgement) বলতে বিদেশি আদালতের রায়কে বুঝায়। অর্থাৎ যে আদালত বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত এবং যা বাংলাদেশ সরকার স্থাপন করেন নাই, এবং যে আদালতের উপর বাংলাদেশের কোন কর্তৃত্ব নাই, সে আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায়কেই বলা হয় বিদেশি রায় । তবে, বিদেশী আদালত হতে ডিক্রী প্রাপ্ত ব্যাক্তি বাংলাদেশের যে কোন আদালতে ডিক্রী দাখিল করে সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রেরণের জন্য আবেদন করতে পারেন। অতএব বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত এমন কোন আদালতের রায়কেই বিদেশি রায়’ বলা হয়, এবং যা বাংলাদেশ সরকারের কর্তৃত্ব বলে প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। বিদেশি আদালতের রায়ের উপর বাংলাদেশ সরকারের কোন কর্তৃত্ব নাই।
১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ২(৬) ধারায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিদেশি রায় বলতে বিদেশি আদালতের রায়কে বুঝায়। অর্থাৎ, বিদেশি রায় হল অন্য রাষ্ট্রে অবস্থিত কোন আদালতের রায়, যার উপর বাংলাদেশের কোন কর্তৃত্ব নাই। বাংলাদেশ যেহেতু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, সেহেতু বাংলাদেশের কোন বিষয়াদির উপর বিদেশি আদালতের কোন এখতিয়ার নাই। কোন বিদেশি ডিক্রী জারি করে বাংলাদেশে অবস্থিত কোন বাংলাদেশ নাগরিকের মালামাল ক্রোক করা যাবে না।
বিদেশি রায় বাংলাদেশ কতটুকু প্রতিবাদ করা যায়
বিদেশি রায় বাংলাদেশের জন্য একটি প্রতিবাদযােগ্য বিষয়। কারণ বিদেশি আদালতের রায়সমূহ ডিক্রীজারির কার্যধারা বলে বলবৎযােগ্য নয়। একটি নিয়মিত মামলা রুজুর মাধ্যমে বিদেশি রায়কে কার্যকরী করা যেতে পারে। বিদেশি রায় ঘােষিত হওয়ার তারিখ হতে ছয় মাসের মধ্যেই বাংলাদেশের এখতিয়ার সম্পন্ন কোন আদালতে উক্ত রায়ে ঘােষিত দাবির স্বপক্ষে অবশ্যই একটি নিয়মিত মামলা রুজু করতে হবে।
এইরুপ মামলায়, বিবাদী কর্তৃক উত্থাপিত প্রতিবাদ মূখর বিষয়গুলি বিশেষভাবে গ্রহণীয় বিষয় বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। অতএব, বিদেশি রায় সকল অবস্থাতেই কোন চুড়ান্ত রায়ের পর্যায়ে পড়ে না। প্রসঙ্গক্রমে, ১৯০৮ সসের দেওয়ানি কার্যবিধির ১৩ নম্বর ধারার বিধানসমূহের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। অত্র আইনের ১৩ ধারার বিধান অনুযায়ী নিম্নলিখিত বিষয়ে বিদেশি রায় (Foreign Judgment) চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে না। দেওয়ানি কার্যবিধি আইনের ১৩ ধারায় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোন বিদেশি আদালত কোন বিষয় বিচার করলে, এবং তা একই পক্ষসমূহ অথবা তাদের সুত্রে এক বা একাধিক স্বত্ব দাবিকারীর মধ্যে একই বিষয় সম্পর্কিত মামলা হলে বিদেশি আদালতের রায় চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
বিদেশি রায় কখন চুড়ান্ত নয়
ধারা ১৩ তে বর্নিত কখন বিদেশি রায় চূড়ান্ত নয় ক্ষেত্র সমূহ উল্লেখ করা হয়েছে।