- Get link
- X
- Other Apps
Section 11 Civil Procedure Code 1908 Res Judicata ধারা ১১ দেওয়ানী কার্যবিধি আইন ১৯০৮ প্রাক্ সিদ্ধান্ত
Section 11 - Civil Procedure Code 1908 Res Judicata
ধারা ১১- দেওয়ানী কার্যবিধি আইন ১৯০৮ প্রাক্ সিদ্ধান্ত বা দোবারা দোষ।
ধারা ১১। প্রাক্ সিদ্ধান্ত বা দোবারা দোষ বা Res Judicata কাকে বলে
কোনো আদালত এমন কোন মামলা বা প্রশ্নের বিচার করবেন না, যার প্রত্যক্ষ বা বিচার্য বিষয়বস্তু পূর্ববর্তী কোন মামলার প্রত্যক্ষ এবং মূল বিচার্য বিষয়বস্তু ছিল, এবং মামলাটি একই পক্ষগুলোয় ভিতর হয়েছে, যাদের সূত্রে বা যাদের ভিতর একজনের সূত্রে পরবর্তী মামলায় পক্ষগুলাের বা পক্ষগুলাের ভিতর একজন স্বত্ব দাবি করেন, এবং মামলাটি এমন একটি আদালতে শ্রুত ও চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি হয়েছে, যে আদালত পরবর্তী যামলা বা যে মামলায় পরবর্তী বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে, তার বিচার করতে এখতিয়ারসম্পন্ন।
ব্যাখা ১: "পূর্ববর্তী মামলা” বলতে সে মামলা বুঝাবে, যার বিচার বর্তমান মামলার পূর্বেই হয়ে গিয়েছে, উহা পূর্বে দায়ের করা হয়েছে কি-না, সে সম্পর্কে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
ব্যাখ্যা ২: উক্ত ধারার উদ্দেশ্য কোন আদালতে বিচার করার ক্ষমতা, উহার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার অধিকার বিষয়ক ব্যবস্থা বাদ দিয়ে বিবেচনা করতে হবে;
ব্যাখ্যা ৩: উপরে উল্লেখিত বিষয়টি পূর্ববর্তী মামলায় একপক্ষ দ্বারা দাবিকৃত এবং অপরপক্ষ দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে স্বীকৃত হয়ে থাকতে হবে;
ব্যাখ্যা ৪: পূর্ববর্তী মামলায় যে বিষয়টি আত্মপক্ষ সমর্থন বা বিপক্ষের যুক্তি খন্ডনের জন্য ব্যবহৃত হতে পারিত বা হওয়া উচিত ছিল, তা উক্ত মামলার প্রত্যক্ষ ও মূল বিবেচ্য বিষয় ছিল বলে ধরে নিতে হবে।
ব্যাখ্যা ৫: আরজীতে যে প্রতিকার প্রার্থনা করা হয়েছে, ডিক্রীতে তা সুস্পষ্টভাবে মন্জুর না হয়ে থাকলে উক্ত ধারার উদ্দেশ্যে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে;
ব্যাখ্যা ৬: যখন একাধিক লোক কোন সাধারণ অধিকার বা সকলের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোন ব্যাক্তিগত অধিকারের জন্য সরল বিশ্বাসে মামলা করে, তখন উক্ত স্বার্থের সাথে সংশিষ্ট সমস্ত লােক উক্ত ধারার উদ্দেশ্যে মামলাকারীদের সূত্রে স্বত্ত্ব দাবি করছে বলে ধরিতে হবে।
রেস-জুডিকেটা দ্বারা কি বুঝায়? যে যে ক্ষেত্রে এরূপ আপত্তি উত্থাপন করা যায়। সহ-বাদীদের সধ্যে রেস-জুডিকেটা।
Meaning of Res-Judicata:
প্রচলিত অর্থে, “রেস-জুডিকেটা” দ্বারা দোবারা দোষকে বুঝায়। অর্থাৎ, যার বিচার একবার হয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে আদালতকে পুনর্বার উত্যক্ত না করাকেই বলা হয় “রেস জুডিকেটা”। “রেস-জুডিকেটা” বলতে কোন আদালত কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তিকৃত এমনতর বিচার্য-বিষয়কে বুঝায়, যা একই আদালতে পুনরায় উথাপন করা হতে পরাজিত পক্ষকে নিবৃত্ত করে। অর্থাৎ, যে মামলাটি একবার নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে, সে মামলাটির পরাজিত পক্ষদ্বয়ের মধ্যে যদি কেউ বাদী হয়ে একই আদলতে এবং একই বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে নতুনভাবে কোন মামলা আনয়ন করে, তবে সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বাদীকে উক্ত আদালত ১৯০৮ সনের দেওয়ানি কার্যবিধির ১১ ধারার বিধান সাপেক্ষে, নতুন মামলা আনয়ন করা হতে বিরত রাখে। এরূপ কোন নিষ্পত্তিকৃত মামলা পুনরায় একই আদালতে উত্থাপন করা হলেও, তবে তা দোবারা দোষের কারণে অচল বলে গণ্য হবে। অতএব, “রেস-জুডিকেটা” হল জনস্বার্থের নীতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত এমন একটি মতবাদ, যে মতবাদের ভিত্তিতে আদালতকে কোন পূর্ববর্তী মামলার নিষ্পত্তিকৃত বিষয়কে পুনরায় বিচারের জন্য আনয়নের ব্যাপারে এখতিয়ার বহির্ভূত করে ।
‘রেস-জুডিকেটা মতবাদের উদাহরণস্বরুপ বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, দাম্পত্য স্বত্ব উদ্ধারের জন্য জনৈক মজিদ তার স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বিরুদ্ধে সাব-জজ কোর্টে একটি মামলা রুজু করল । এই মামলার আরজিতে এই মর্মে অভিযােগ উত্থাপন করেন যে, মর্জিনা বেগম তার বিবাহিতা স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কোন প্রকার যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে তাকে তার সঙ্গদান করা হতে বঞ্চিত রাখতেছে এবং আদালত যেন এই মর্মে মর্জিনা বেগমের উপর নির্দেশ জারি করেন যে, মর্জিনা বেগম যেন মজিদের সাথে সংসার-ধর্ম পালন করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। এই মামলার জবাব দানকালে মর্জিনা বেগম সুস্পষ্টভাবে মাননীয় সাব-জজ কোর্টকে জ্ঞাত করে যে, বাদী কর্তৃক তাহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি দোবারা দোষে অচল। বিবাদী মর্জিনা বেগম তার জবাবদান কালে সাব-জজ কোর্টকে জানায় যে, বাদীর মামলাটি এই কারণে চলতে পারে না যে, কিছু দিন পূর্বে মর্জিনা বেগম স্থানীয় সহকারী জজ আদালতে মজিদের বিরুদ্ধে বিবাহ-বিচ্ছেদের জন্য একটি মামলা দায়ের করেছিল, এবং সে মামলায় সহকারী জজ আদালত কর্তৃক সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, মজিদের সাথে তার বিবাহ বৈধ নয় ।এই মামলায়, বিবাদীর যুক্তি হল এই যে, মজিদ যেহেতু তাকে স্ত্রী হিসাবে দাবি করার অধিকার রাখে না, সেহেতু মর্জিনা বেগম কোন অবস্থাতেই মজিদের স্ত্রী হতে পারে না এবং মর্জিনার উপর মজিদের স্ত্রী অধিকার নাই বলেই দাম্পত্য স্বত্ব উদ্ধারের মামলা চলে না।
এই ক্ষেত্রে মর্জিনা বেগম কর্তৃক তথ্যাদি সাক্ষী প্রমাণ সাপেক্ষে, সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত হলেই মজিদ মামলাটি ' দোবারা দোষে’ (barred by Res-Judicata) অচল বলে গণ্য হবে। এই উদাহরণটির দ্বারা ‘রেস-জুডিকাটার প্রতিবন্ধকতার জন্য নিম্নলিখিত পাঁচটি উপাদান বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায়। যেমন:
(১) মজিদ তার কথিত স্ত্রী মর্জিনা বেগমের বিরুদ্ধে যে মামলাটি উত্থাপন করেছিল, তা ছিল ‘দোবারা দোষে’ (Res-judicata) অচল।
(২) সংশ্লিষ্ট মামলাটি এমন একটি আদালতে ছিল, যার উহা বিচার করার এখতিয়ার ছিল।
(৩) এই মামলার বাদী মজিদ এবং বিবাদী মর্জিনা বেগমের মধ্যে বৈধভাবে বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়েছিল কিনা তাই ছিল এই মামলাটির প্রধান বিবেচ্য-বিষয়।
(৪) পূর্ববর্তী মামলায় আদালত একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন।
(৫) বর্তমান মামলার বিচার্য বিষয়টি পূর্ববর্তী মামলার বিচার্য-বিষয়ের ন্যায় প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে একই প্রকৃতির।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য যে, পূর্ববর্তী মামলার বিচার্য-বিষয় বে আইনিভাবে কিংবা ভুলবশতভাবে নিষ্পত্তি হওয়া সত্বেও পরবর্তী মামলাটি রেস-জুডিকাটার দোষে বারিত হবে। যেমন, কোন একটি মামলার বিচার্য-বিষয় একতরফা বিচারে নিষ্পত্তি হলেও সে বিষয়ে পক্ষগণের মধ্যে পুনরায় মামলা করা চলবে না বিধায় উহা দোবার দোষের আওতাভুক্তি হবে। দোতরফা ডিক্রী বা আদেশ যেভাবে রেস-জুডিকেটা হবে, অনুরূপভাবে একতরফা ডিক্রী বা আদেশও রেস-জুটিকেটা হবে। উদাহরণ স্বরূপ, কলিকাতা হাইকোর্ট কর্তৃক সিদ্ধান্তিত হর বনাম বিপিন, শিব বনাম রাম লক্ষী, প্রিয়বালা বনাম জহুরী, বলদেব বনাম মােহন এবং রাজওয়ান্ত বনাম রাম রতন মামলার উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ সমূহের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে।
যে যে ক্ষেত্রে রেস-জুটিকেটার আপত্তি উত্থাপন করা যায়
রেস-জুডিকেটার আপত্তি উত্থাপন কেবল সেক্ষেত্রেই করা যায় যেক্ষেত্রে একটি মামলা বে-আইনিভাবে নিস্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও আপিলের মাধ্যমে তা সংশােধন করা না হয়। অর্থাৎ, যার বিচার একবার হয়ে গিয়েছে, তা শুদ্ধভাবেই হােক, কিংবা ভ্রান্তভাবেই হােক, সে একই বিষয় নিয়ে পুনর্বার আদালতকে উত্যক্ত করা হলেই রেস-জুডিকেটার আপত্তি উত্থাপন করা যেতে পারে। প্রসঙ্গক্রমে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, কোন একটি মামলা যদি সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে অথবা স্পষ্টত আইনের অপব্যাখ্যা করে বিচারে নিস্পত্তি হয়ে থাকে এবং আপিল করে যদি ভুল রায় ও ডিক্রী সংশােধন করা না হয়, তবে সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে নিষ্পত্তিকৃত বিচার্য-বিষয়গুলি ও পক্ষগণের মধ্যে পরবর্তী মামলা রেস-জুডিকাটা বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ কোন বাদী কর্তৃক আনীত পূর্বের নিস্পত্তি বিচার্য-বস্তু পরবর্তী মামলায় রেস-জুডিকাটা হবে। কিন্তু যেক্ষেত্রে, কোন মামলায় এক বা একাধিক বিচার্য বিষয়-থাকে, সেক্ষেত্রে আদালত যদি মূল বিচার্য বিষয়গুলির সাথে সংশ্লিষ্ট আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে কোন অভিমত প্রকাশ না করে থাকে এবং সে আনুষঙ্গিক বিষয়াদি যদি পরবর্তী কোন মামলার মূল বিচার্যবিষয় হয়ে পড়ে, তবে, সেক্ষেত্রে উক্তরূপ বিষয়ে পূর্বের মামলায় আদালত কর্তৃক যে কোন অভিমতই প্রকাশ করা হয়ে থাকুক না কেন, সে অজুহাতে পরবর্তী মামলায় রেস-জুডিকেটার আপত্তি উত্থাপন করা যাবে না। একইভাবে, পূর্ববর্তী মামলাটি যে আদালতে বিচার হয়েছে, সে আদালতের ঐ মামলা বিচারের কোন আইনগত এখতিয়ার ছিন না এই অজুহাতে ঐ বিষয়ে এখতিয়ারবিহীন আদালতের বিচার ও রায় দ্বারা পরবর্তী মামলায় দোবারা দোষ হবে না বিধায় রেস জুডিকাটার আপত্তি উত্থাপন করা যাবে না। কারন, এখতিয়ার-বিহীন আদালতের বিচার যেহেতু আইনের দৃষ্টিতে কোন বিচার নয়, সেহেতু ইহার কোন আইনগত মূল্য নাই বিধায় এইক্ষেত্রে রেস-জুডিকাটার আপত্তি উত্থাপনযােগ্য নয়।
কিন্তু কোন একটি মামলার বিচার্য-বিষয় যদি পক্ষগণের মধ্যে একতরফা ডিক্রী বা আদেশের মাধ্যমে নিস্পত্তি হয়, তবে সে বিয়য়ে উক্ত পক্ষগণের মধ্যে পুনরায় মামলা করা চলবে না। এরূপ একতরফা ডিক্রী বা আদেশ পরবর্তী মামলার ক্ষেত্রে দেবারা দোষে দোষণীয় হবে বিধায় রেস-জুডিকাটার আপত্তি উত্থাপন করা যাবে। (Hiram Vs Ramgan, 20 C.W.N.48)
এইভাবে, উপরে উল্লেখিত বিবরন সাপেক্ষে,আদালত তার পূর্ববিচার সিদ্ধান্তকে অখণ্ডনীয় রাখার উদ্দেশ্যে একজন বাদীকে নতুন মামলা করা হতে বিরত রাখতে পারে।
সহ-বাদীদের মধ্যে রেস-জুডিকেটা (Res-Judicata between Co-Plaintifs);
সহ-বাদীদের মধ্যে যদি কোন বিষয়ে বিচার নিষ্পত্তি করা একান্তই আবশ্যকীয় বলে প্রতীয়মান হয়, এবং তদানুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রশ্নটি বিচারে নিস্পত্তি হয়, তবে সেক্ষেত্রে সহবাদীদের মধ্যে রেস-জুডিকেটার মতবাদটি প্রযােজ্য হবে। সহ-বাদীদের মধ্যে রেস-জুডিকেটা মতবাদের উদাহরণস্বরূপ বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, জনৈক হাশেম ও কাশেম হলেন দুই সহােদর ভাই। তারা প্রত্যেকে দাবির ভূমির চার আনা অংশ দাবি করিযা একটি বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। উক্ত বাটোয়ারা মামলার আরজিতে হাশেম ও কাশেম এই মর্মে যুক্তি প্রদর্শণ করেন যে, দাবিকৃত ভূমিটির অবশিষ্ট আট আনা অংশের শরিকী হলেন এই মামলার অবশিষ্ট চারজন বিবাদী।
কিন্তু এই মামলার ১ নম্বর বিবাদী এবং ২ নম্বর বিবাদী আদালতে হাজির হয়ে এই মর্মে একটি লিখিত জবাব প্রদান করে যে, প্রকৃতপক্ষে, হাশেম ও কাশেমের প্রত্যেকের দাবির ভূমিতে মাত্র দুই আনা অংশ রয়েছে। অপরদিকে ১নং বিবাদী এবং ২নং বিবাদীর প্রত্যেকের দাবির ভূমিতে চার আনা অংশ এবং অবশিষ্ট চার আনা অংশের মালিক হলেন ৩নং বিবাদী এবং একই ভূ-স্বত্বের বিবাদী।
এইক্ষেত্রে, আদালতের বিবেচ্য-বিষয় হল এই যে, দাবিকৃত এজমালী ভূমিতে প্রত্যেক শরীকের কাহার কত অংশ হবে, তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা। এককভাৰে সহ-বাদীদের কাহার ভাগে কত অংশ নির্ধারিত হবে, তা বিস্তারিতভাবে না শুনিয়া আদালতের পক্ষে বাটোয়ারা করার জন্য নির্দেশ দান করা যথার্থ হবে না । এমতাবস্থায়, মহামান্য আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ করার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, সংশ্লিষ্ট দাবিকৃত এজমালী সম্পত্তিতে সহ-বাদীদের এবং ১নং বিবাদী ও ২নং বিবাদীর প্রত্যেকের তিন আনা অংশ এবং অনুপস্থিত ৩নং বিবাদী এবং ৪নং বিবাদীর প্রত্যকের জন্য দুই আনা অংশ ধার্য করা হল । উল্লেখিত বিষয়টি যেহেতু আদালত কর্তৃক একবার চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে, সেহেতু বিবাদীগণ পুনরায় তাদের মধ্যে আর কোন মামলা করা চলবে না। এইরূপ পরিস্থিতিতে, পূর্বের মামলার রায় ও ডিক্রী পরে ১নম্বর বাদী এবং ২নং বাদীর বিরুদ্ধে পূর্বে উভয়ের ডিক্রী প্রাপ্ত ছয় আনা অংশের চার আনা অংশ দাবি করে কোন মামলা করা চলবে না। এইক্ষেত্রে, সহ-বাদীরে মধ্যে রেস-জুডিকেটার মতবাদটি বাধার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এইভাবে, রেস-জুডিকেটার বাধা সৃষ্টির জন্য সহ-বাদীরের মধ্যে যেসব শর্তাবলির প্রয়ােজন অনুভূত হয়, অনুরূপভাবে, সহ-বিবাদীরের ক্ষেত্রেও একইরূপ শর্তাবলির প্রয়ােজন ও বিশেষভাবেই অপরিহার্য।