Skip to main content

Video Article Preposition Phrase Clause

এডভোকেটশীপ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা তামাদি আইন ১৯০৮ Limitation Act 1908

এডভোকেটশীপ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা

তামাদি আইন ১৯০৮ Limitation Act 1908

এক নজরে তামাদি আইন

তামাদি আইনটি হচ্ছে পদ্ধতিগত আইন। ১৮৫৯ সালে প্রথম তামাদি আইন প্রণয়ন করা হয় এবং ১৮৬২ সালে তা কার্যকর করা হয়। পরবর্তীতে ১৯০৮ সালে বর্তমান তামাদি আইন প্রণয়ন করা হয় এবং ১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হয়। এই আইনটি বিশেষ আইনের তামাদির জন্য এবং ফৌজদারি মূল মামলার ক্ষেত্রে সাধারণত প্রয়ােগ হয় না। তবে ফৌজদারি মামলার আপিলের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হয়।

তামাদি আইনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ

তামাদি আইন সর্ব প্রথম বিধিবদ্ধ হয়---১৮৫৯ সালে

প্রথম তামাদি আইন কার্যকর হয়- -১৮৬২ সালে

বর্তমান তামাদি আইনটি প্রণয়ন হয়-১৯০৮ সালে

বর্তমান তামাদি আইনটি কার্যকর করা হয়---১৯০৯ সালের ১লা জানুয়ারি

মোট ধারা---৩২ টি।

মোট অনুচ্ছেদ -- ১৮৩ টি।

তামাদি আইনের প্রকৃতি- পদ্ধতিগত (Adjective or Procedural Law)

তামাদি আইন কত নং আইন----৯ নং আইন।

তামাদি আইন সর্বশেষ সংশােধন হয়-- ২০০৪ সালে।

তামাদি আইনের মোট তফসিল -- ৩টি

১ম তফসিলে বর্ণিত আছে- -তামাদির মেয়াদ

তামাদি আইনের কোন ২টি ধারা তৎক্ষনাৎ বলবত হয়-- ধারা ১ এবং ৩১

তামাদি আইন বর্তমানে ৩১ ধারা বাতিল করা হয়েছে।

তামাদি আইন সংক্রান্ত সাধারণ আলােচনা

মামলা, আপিল ও দরখাস্ত দায়েরের তামাদি

তামাদি মেয়াদ শেষে মামলা দায়ের। ধারা ৩

১। ৩ ধারায় তামাদির বিষয়বস্তু ৩টি-

ক) মূল মামলা (Original Suit)

খ) আপিল (Appeal)

গ) দরখাস্ত/আবেদনপত্র (Application)

২। নির্ধারিত তামাদি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মামলা, আপিল বা দরখাস্ত দাখিল করলে বিবাদি তামাদির প্রশ্ন উত্থাপন না করলেও আদালত তা খারিজ করে দিবেন।

৩। তামাদির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মামলা করলে তা খারিজ হয়ে যাবে।

৪। মামলা দায়ের করা হয়-

ক) সাধারণ মামলার ক্ষেত্রে আদালতের যথাযথ কর্মকর্তার নিকট আরজি দাখিল করে।

খ) নিঃস্ব হলে (Pauper) নিঃস্বভাবে মামলা করার অনুমতির জন্য দরখাস্ত দাখিল করে।

গ) কোম্পানি আদালতের নির্দেশে গুটিয়ে ফেললে (Winding up), সেক্ষেত্রে কোম্পানির বিরুদ্ধে দাবিদারের দাবি প্রথম যখন অবসায়কের (Liquidator) নিকট প্রেরণ করা হয়।

আদালত বন্ধ থাকা অবস্থায় তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে- ধারা ৪

যেক্ষেত্রে কোন আদালত বন্ধ থাকা অবস্থায় কোন মামলা, আপিল বা আবেদনের জন্য তামাদির নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে আদালত যেদিন খুলবে সেদিন উক্ত মামলা, আপিল বা আবেদন দাখিল করা যাবে।

বিলম্ব মওকুফ (Condonation of Delay )। ধারা ৫

১। ৫ ধারার তামাদির বিষয়বস্তু হচ্ছে ৫টি।

ক) আপিল

খ) রায় পুনর্বিচার বা রিভিশন

গ) রায় পুনঃপরিক্ষনের দরখাস্ত বা রিভিউ

ঘ) আপিল করার অনুমতি প্রার্থনার দরখাস্ত (Leave to appeal)

ঙ) অন্য কোন দরখাস্ত

২। ৫ ধারার অধীনে আপিল বা রিভিশন বা রিভিউ দায়েরকারী বা দরখাস্তকারি তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরও যুক্তিযুক্ত কারণ দেখিয়ে আদালত কে সন্তুষ্টি করতে পারলে আদালত বিলম্ব মওকুফ করতে পারে।

৩। ৫ ধারাটি মূল মামলার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য নয়। মূল মামলার ক্ষেত্রে অবশ্যই তামাদি আইনের ৩ ধারা অনুসরণ করতে হবে। যেমনঃ স্বত্ব ঘােষণার মামলা, চুক্তির সুনির্দিষ্ট কার্যসম্পাদনের মামলা, স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা গুলাে হচ্ছে মূল মামলার উদাহরণ। এই মামলাগুলা নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে ৩ ধারা অনুসারে খারিজ হয়ে যাবে। ৫ ধারা অনুসারে বিলম্ব মওকুফ এর আবেদন করা যাবে না।

আইনগত অপারগতার তামাদি মেয়াদ। ধারা ৬-৯

আইনগত অপারগতা (Legal Disability)। ধারা ৬

আইনগত অপারগতা হচ্ছে ৩টিঃ

১। নাবালকত্ব (Minor)

২। উন্মাদ (Insane)

৩। জড়বুদ্ধি বা হতবুদ্ধি (Idiot)

> মােকদ্দমা করার অধিকারী ব্যক্তি যে সময়ে মামলা করার অধিকারী হয়, তখন সে নাবালক উন্মাদ বা জড়বুদ্ধি সম্পন্ন থাকলে, তার মামলা দায়ের করার ও তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে, যে সময় থেকে তার আইনগত অপারগতার অবসান ঘটবে।

> যদি উক্ত ব্যক্তির একটি আইনগত অপারগতা থাকাকালীন সময়ে আরাে একটি অপারগতায় আক্রান্ত হয়, সেক্ষেত্রে দুটি আইনগত অপারগতার অবসান হওয়ার পর তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে।

> যদি উক্ত ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত তার অপারগতা অব্যাহত থাকে, সেইক্ষেত্রে তার আইনানুগ প্রতিনিধি, যদি তার আবার কোন অপারগতা না থাকে, তাহলে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে।

একাধিক বাদী বা দরখাস্তকারীর মধ্যে একজনের অপারগতার ক্ষেত্রে তামাদি মেয়াদ। ধারা ৭

কোন মামলা দায়ের বা ডিক্রি জারির জন্য দরখাস্ত দাখিল করার যৌথভাবে অধিকারী একাধিক ব্যক্তির মধ্যে একজন ব্যক্তি যদি আইনগত অপারগতায় ভােগে এবং ঐ একজন ব্যক্তিকে বাদ দিয়েও অন্যরা দায়িত্ব সম্পাদনে যােগ্য থাকে, তবে তাদের সকলের বিরুদ্ধে তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হতে থাকবে। তবে যদি দায়িত্ব সম্পাদনের মত যােগ্য কেউ না থাকে তাহলে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে না।

তামাদি আইনের ৬ এবং ৭ ধারার ব্যতিক্রম। ধারা ৮

১। ৬ অথবা ৭ ধারা অগ্রক্রয়ের অধিকার বলবৎ করার মামলার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য নয়।

২। আইনগত অপারগতা শেষ হওয়ার পর ৩ বছরের বেশি সময় তামাদির মেয়াদ থাকবে না।

তামাদি গণনা শুরু। ধারা ৯

একবার তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হলে পরবর্তী কোন অপারগতা বা অক্ষমতা দ্বারা তা বন্ধ হবে না।

ব্যতিক্রম

যেক্ষেত্রে পাওনাদারের (Creditor) সম্পত্তির ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেনাদারের (Debtor) উপর পরিচালনার পত্ৰনামার (Letters of Administration) মাধ্যমে অর্পন করেছে, সেইক্ষেত্রে যতদিন উক্ত দায়িত্ব ন্যাস্ত থাকবে ততদিন উক্ত দেনার টাকা আদায়ের মামলার তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হওয়া স্থগিত থাকবে।

ট্রাস্টি/অছি এবং তাদের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে মামলা। ধারা ১০

যার উপর ট্রাস্ট সম্পত্তির পরিচালনার ভার অর্পন করা হয়, সে যদি ঐ সম্পত্তির স্বত্ব আত্মসাত করে, তার বিরুদ্ধে যেকোন সময় মামলা করা যায়।

বৈদেশিক চুক্তির মামলার তামাদি মেয়াদ। ধারা ১১

বিদেশে সম্পাদিত চুক্তির উপর বাংলাদেশে যেসব মামলা দায়ের করা হয়, সেইগুলাের ক্ষেত্রে তামাদির বিধান অনুসরণ করা হবে।

কিভাবে তামাদির মেয়াদ গণনা করা হয়। ধারা- ১২

যে ভাবে তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হয়-

১। মামলা, আপিল বা দরখাস্তের ক্ষেত্রে নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হয়। যেদিন থেকে উক্ত মেয়াদ গণনা শুরু হবে এ দিন বাদ যাবে।

২। আপিল, আপিলের অনুমতির দরখাস্ত এবং রায় পুনপরীক্ষণের দরখাস্তের ক্ষেত্রে নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হয়-রায় ঘােষণার দিন এবং ডিক্রি, আদেশ বা দণ্ডাদেশ সম্পর্কে আপিল বা রিভিউ প্রার্থনা করা হবে তার নকল পেতে যে সময় ব্যয় হবে তা বাদ যাবে অর্থাৎ রায় ঘােষণার দিন। নকল সংগ্রহের জন্য যে সময় ব্যয় হবে তা বাদ যাবে

৩। ডিক্রি সম্পর্কে আপিল বা পুনঃপরীক্ষণের দরখাস্তের ক্ষেত্রে নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হয়, উক্ত ডিক্রি যে রায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত সেই রায়ের নকল সংগ্রহ করতে যে সময় লাগে, তা বাদ দিয়ে ।

৪। কোন রােয়েদাদ রদ (Set aside of an award) করার দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করতে হয় রােয়েদাদের নকল সংগ্রহ করতে যে সময় লাগে, তা বাদ যাবে।

ধারা ১৩

বাদীর মামলা করার অধিকার যখন জন্মায় তখন বিবাদী যদি বাংলাদেশের বা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রশাসিত এলাকার বাইরে থাকে, তবে বিবাদীর অনুপস্থিত কাল বাদ যাবে।

ধারা ১৪

এখতিয়ারবিহীন আদালতে সৎ উদ্দেশ্যে (Bonafide) মূল মামলা ৰা আপিল, দায়ের করার ফলে যে সময় ব্যয় হয়, তা তামাদির মেয়াদ গণনা থেকে বাদ যাবে। তবে ২টি শর্তপূরণ করতে হবে-

১। এখতিয়ারবিহীন আদালতে মূল মামলা অথবা আপিলটি দায়ের করা হয়েছে।

২। মূল মামলা বা আপিলটি সৎ উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছিল। মনে রাখুন যে, ১৪ ধারার বিষয়বস্তু ২টি-

১। মূল মামলা।

২। আপিল

কার্যধারা স্থগিত থাকাকালীন সময় বাদ যাবে। ধারা ১৫

১। কোন মামলা বা ডিক্রি জারির দরখাস্ত কোন নিষেধাজ্ঞা বা আদেশ দ্বারা স্থগিত বা মূলতবী করলে তামাদির মেয়াদ গণনা কালে যে সময়ের জন্য স্থগিত বা মুলতবী ছিল সে সময়টি বাদ যাবে।

২। যে সকল মামলার ক্ষেত্রে পূর্ব নোটিশ দিতে হয়, সে সকল ক্ষেত্রে নিদৃষ্ট তামাদি মেয়াদ থেকে নােটিশের সময়টি বাদ যাবে

ধারা ১৭

যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি জীবিত থাকলে একটি মামলা বা দরখাস্ত দাখিল করার অধিকারী হত, সেই ক্ষেত্রে উক্ত অধিকার সৃষ্টি হওয়ার পূর্বেই সে মৃত্যু বরণ করলে তার আইনানুগ প্রতিনিধি উক্ত মামলা ৰা দরখাস্ত দাখিল করার যােগ্যতাসম্পন্ন হওয়ার সময় থেকে তামাদি মেয়াদ গণনা শুরু হবে।

মামলা বা দরখাস্ত দাখিলের ক্ষেত্রে প্রতারণার ফলাফল (Effect of Fraud)। ধারা ১৮

যেক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি একটি মামলা বা দরখাস্ত দাখিলের অধিকারী, কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে তাকে সেই অধিকারের বিষয়ে বা যে স্বত্বের উপর উক্ত অধিকার প্রতিষ্ঠিত তা জানতে দেয়া হয় নাই অথবা উক্ত অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে দলির প্রয়োজন তা প্রতারণা করে গােপন রাখা হয়েছে, সেই সকল ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে বাদী যেদিন-

১। সর্বপ্রথম প্রতারণার কথা জানতে পারে সেদিন থেকে অথবা

২। যেদিন গােপন রাখা দলিল উত্থাপন করতে পারবে অথবা

৩। অপর পক্ষের কাছে থাকা দলিলটি যেদিন হাজির করতে বাধ্য করতে পারবে।

লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের ফলাফল। ধারা-১৯

যেক্ষেত্রে কোন সম্পত্তি বা অধিকার সম্পর্কে মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করার জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই, যে পক্ষের নিকট থেকে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার দাবি করা হচ্ছে সেই পক্ষ নিজে লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের মাধ্যমে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার সম্পর্কে দায় স্বীকার কারন, সেই ক্ষেত্রে উক্তরূপ স্বীকৃতি স্বাক্ষরিত হওয়ার দিন থেকে নতুন করে মেয়াদ গণনা করতে হবে।

শর্তসমূহঃ

১। তামাদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই প্রাপ্তি স্বীকার করতে হবে।

২। প্রাপ্তি স্বীকার লিখিত হবে।

৩। লিখিত প্রাপ্তি স্বীকার স্বাক্ষরিত হবে সংশ্লিষ্ট পক্ষ কর্তৃক ।

দেনা পরিশােধের ফলাফল। ধারা- ২০

দেনা পরিশােধ ৰা সুদ প্রদানের ফলাফল, উক্ত অর্থ প্রদানের তারিখ থেকে নতুন করে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে।

অক্ষম ব্যক্তির প্রতিনিধি। ধারা-১১

১। আইনগত অভিভাবক বা
২ কমিটি বা ম্যানেজার বা
৩ অনুরূপ অভিভাবক বা কমিটি বা ম্যানেজার কর্তৃক স্বীকৃত ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি।

নতুন বাদী বা বিবাদী পক্ষভূক্ত করার ফলাফল। ধারা- ২২

মামলা দায়ের করার পর নতুন কোন বাদী বা বিবাদীকে কারাের স্থলাভিষিক্ত (Substituted) বা পক্ষভুক্ত (Added) করা হলে, যে বাদী বা বিবাদী যে তারিখে পক্ষভুক্ত হয়েছে, তার জন্য মামলাটি সেই তারিখে দায়ের করা হয়েছে বলে গণ্য হবে।

অবিরাম চুক্তিভঙ্গ এবং অন্যায় করার ক্ষেত্রে তামাদি মেয়াদ। ধারা -২৩

যতবার চুক্তিভঙ্গ এবং অন্যায় করা হবে ততবার নতুন করে তামাদির মেয়াদ গণনা শুরু হবে।

দলিলে উল্লিখিত সময় গণনা। ধারা- ২৫

এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যাবতীয় দলিল গ্রেগরীয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে প্রণীত বলে বিবেচনা করা হবে।

দখলে মালিকানা স্বত্ব অর্জন। ধারা ২৬, ২৭, ২৮

সুখাধিকার বা বর্তস্বত্ব অধিকার কাকে বলে। (What is Easement Right)

তামাদি আইনের ২ ধারায় সুখাধিকারের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এটা একধরনের অধিকার যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি অন্যকোন ব্যক্তির জমি ব্যবহার করে।

কিভাবে সুখাধিকার অর্জন করা হয়। (Acquisition of rights to easements)। ধারা -২৬

১। কোন দালানে আলাে বা বাতাসের প্রবেশ ও ব্যবহার সুখাধিকার হিসেবে এবং অধিকার হিসেবে নিরবিচ্ছিন্ন ২০ বছর যাবত শান্তিপূর্ণ ভােগ করার মাধ্যমে সুখাধিকার অর্জন করা যায়।
২। কোন পথ বা জলস্রোত বা কোন পানির ব্যবহার বা ইতিবাচক-নেতিবাচক সুখাধিকার, যদি সুখাধিকার এবং অধিকার হিসেবে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে ২০ বছর যাবত শান্তিপূর্ণ ভােগ করার মাধ্যমে সুখাধিকার অর্জন করা যায়।

স্বত্ব দাবি করে মামলা-

বর্তস্বত্ব অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে ২০ বছর অতিবাহিত হয়ে যাবার পর ২ বছরের মধ্যে মামলা করতে হয়।

সম্পত্তির অধিকার বিলুপ্তি। ধারা ২৮

কোন ব্যক্তি যদি অন্যের সম্পত্তি প্রকাশ্যভাবে মালিকের সামনে ১২ বছরের বেশি সময় দখল করে, তবে সেক্ষেত্রে দখলকারীর স্বত্ব পাকা হয় এবং আসল মালিকের স্বত্ব নষ্ট হয়। সরকারের সম্পত্তির ক্ষেত্রে ১২ বছরের স্থলে ৬০ বছর হবে।

কোন ক্ষেত্রে তামাদি আইন প্রযােজ্য হয় না। ধারা-২৯

১। তামাদি আইন ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের ২৫ ধারাকে প্রভাবিত করবে না।
২। কোন বিধান বিবাহ বিচ্ছেদ আইন, ১৯৬৯ দায়ের করার মামলার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে না।
৩। যেখানে ১৮৮২ সালের Easement Act, 1882 অনুসরণ করা হবে সেক্ষেত্রে ২৬, ২৭ এবং ২ ধারার সুখাধিকার সংজ্ঞা প্রযােজ্য হবে না।

তামাদি আইনের অনুচ্ছেদ -মামলার ধরণ - তামাদি মেয়াদ

অনুচ্ছেদ ২- ক্ষতিপূরণের মামলা -৯০ দিন
অনুচ্ছেদ ৩ - সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারায় দখল পুনরুদ্ধারের মামলা। - ৬ মাস
অনুচ্ছেদ ১০ - অগ্রক্রয়ের অধিকার বলতের মামলা - ১ বছর
অনুচ্ছেদ ১২ - বিক্রয় রদের মামলা - ১ বছর
অনুচ্ছেদ ১৮ - ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা - ১ বছর
অনুচ্ছেদ ৯১ - কোন দলিল রদ বা বাতিল করার জন্য, যে ক্ষেত্রে অন্যকোন বিধান নেই - ৩ বছর।
অনুচ্ছেদ ৯২ - ইস্যুকৃত বা রেজিস্ট্রিকৃত কোন দলিল জাল বলে ঘােষণার জন্য মামলা - ৩ বছর।
অনুচ্ছেদ ৯৫ - প্রতারণামূলকভাবে যে ডিক্রি নেওয়া হয়েছে, তা রদ করার জন্য মামলা - ৩ বছর।
অনুচ্ছেদ ১০৪ - মৃত্যু বা তালাক দ্বারা যখন বিবাহ বিচ্ছেদ হয় তখন বিলম্বিত দেনমােহরের জন্য একজন মুসলিম মহিলা মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে তামাদির সময়কাল - ৭ দিন।
অনুচ্ছেদ ১১৩ - সুনির্দিষ্ট চুক্তি প্রবলের জন্য মামলা -১ বছর
অনুচ্ছেদ ১১৪ - চুক্তি প্রত্যাহার করার মামলা -১ বছর
অনুচ্ছেদ ১১৬ - লিখিত ও রেজিস্ট্রিকৃত চুক্তি ভঙ্গের জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা - ৬ বছর
 অনুচ্ছেদ ১২০ - যে মামলার তামাদির মেয়াদ সম্পর্কে অত্র তফসীলে কোন বিধান না থাকলে মামলার মেয়াদ - ৬ বছর
অনুচ্ছেদ ১৪২ - স্বত্ব এর দখলের মামলা - ১২ বছর
অনুচ্ছেদ ১৪৫ - আমানত গ্রহীতা বা বন্ধক গ্রহীতার থেকে বন্ধকী সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য মামলা - ৩০ বছর
অনুচ্ছেদ ১৫০ - দায়রা আদালত কর্তৃক অথবা মূল ফৌজদারি এখতিয়ার, প্রয়ােগকাল হাইকোর্ট কর্তৃক প্রদত্ত মৃত্যু দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি অনুসারে আপিল - ৭ দিন
অনুচ্ছেদ ১৫১ - হাইকোর্ট কর্তৃক মূল দেওয়ানি মূল এখতিয়ার প্রয়ােগকাল প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল - ১০ দিন
অনুচ্ছেদ ১৫২ - ১৯০৮ সালের দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসারে জেলা জজের আদালতে আপিল - ৩০ দিন
অনুচ্ছেদ ১৫৪ - হাইকোর্ট ভিন্ন যেকোন আদালতে আপিল - ৩০ দিন
অনুচ্ছেদ ১৫৫ - ১৫০ ও ১৫৭ অনুচ্ছেদে যে সকল মামলা  সম্পর্কে বিধান আছে সেগুলি ছাড়া অন্যান্য - ৬০ দিন
অনুচ্ছেদ ১৫৭ - খালাস আদেশের বিরুদ্ধে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আপিল - ৬ মাস

অনুচ্ছেদ ১৭৬

 ও 

অনুচ্ছেদ ১৭৭ - মৃত বাদী বা বিবাদীর বৈধ প্রতিনিধি পক্ষভুক্ত করা - ৯০ দিন

অনুচ্ছেদ ১৮১ - অত্র তফসীল ৰা দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৮ ধারার দরখাস্তের তামাদির বিধান না থাকলে দরখাস্ত - ৩ বছর

অনুচ্ছেদ ১৮২ - দেওয়ানি আদালতের যে ডিক্রি জারি বা আদেশ কার্যকরী সম্পর্কে ১৮৩ অনুচ্ছেদ বা দেওয়ানি কার্যবিধির ৪৮ ধারার বিধান নাই তা জারি বা কার্যকর করার জন্য দরখাস্ত - ৩ বছর বা ডিক্রি বা আদেশটি সহিমোহরকৃত নকল রেজিস্ট্রি হলে - ৬ বছর

অনুচ্ছেদ ১৮৩ - হাইকোর্ট কর্তৃক সাধারণত আদি দেওয়ানি এখতিয়ার প্রয়ােগকালে প্রদত্ত রায় ডিক্রি বা আদেশ অথবা সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বলবৎ করার জন্য দরখাস্ত - ১২ বছর



Popular posts from this blog

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ Evidence Act (Amendment) 2022

সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০২২ ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ড কি? ডিজিটাল রেকর্ড বা ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডের প্রমাণ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ কি? প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ কি? ধারা ৪৫: বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৫ক: শারীরিক বা ফরেনসিক প্রমাণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের মতামত ধারা ৪৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষর সম্পর্কে মতামত যেখানে প্রাসঙ্গিক। ধারা-৬৫ক: ডিজিটাল রেকর্ড সম্পর্কিত প্রমাণের জন্য বিশেষ বিধান ধারা-৬৫খ: ডিজিটাল রেকর্ডের গ্রহণযোগ্যতা ধারা-৬৭ক: ডিজিটাল স্বাক্ষরের প্রমাণ ধারা-৭৩ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান ধারা-৭৩খ:- অন্যদের সাথে শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য তুলনা, স্বীকৃত বা প্রমাণিত ধারা-৮১ক। ডিজিটাল আকারে গেজেট হিসাবে অনুমান ধারা-৮৫ক: ডিজিটাল আকারে চুক্তির অনুমান। ধারা-৮৫খ: ডিজিটাল রেকর্ড এবং ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুমান ধারা ৮৭গ: ডিজিটাল স্বাক্ষর সনদ সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৮ক: ডিজিটাল কমিউনিকেশন সম্পর্কে অনুমান ধারা-৮৯ক: শারীরিক বা ফরেনসিক সাক্ষ্য হিসাবে অনুমান। ধারা-৯০ক: পাঁচ বছরের পুরনো ডিজিটাল রেকর্ডের অনুমান। ধারা-১৪৬: জেরায় আইনসঙ্গত প্রশ্ন। সাক্ষ্য আইন (সংশোধন), ২০

Write a paragraph on Pahela Baishakh পহেলা বৈশাখ

Write a paragraph on Pahela Baishakh (পহেলা বৈশাখ) Pahela Baishakh Pahela Baishakh is the part of our culture. It is the first day in Bangla calendar. This day is celebrated throughout the country. The main programme of this day is held in Ramna Botamul. Different socio-cultural organizations celebrate this day with due solemnity. People of all sorts of ages and lives attend this function. Colourful processions are brought out. Watery rice and hilsha fish are served during this function. Women and children put on traditional dresses. The whole country wears a festive look. Different cultural programmes are arranged where singers sing traditional bangla songs. Discussion meetings are held. Radio and television put on special programmes. Newspapers and dailies publish supplementary. Fairs are held here and there on this occasion. Shopkeepers and traders arrange ‘halk hata’ and sweet-meats are distributed. In villages, people go to others’ houses and exchange greetings. Thus Pahela Baisha

Most Important Preposition List of Appropriate Prepositions A to Z

The Most Important Prepositions List of Appropriate Prepositions A to Z Appropriate Prepositions starting with the letter "A" The Most Important Appropriate Prepositions starting with A Abide by (মেনে চলা): I shall abide by the rules of this country. Abound in / Abound with ( প্রচুর) : Tigers abound in the African forests. This jungle abounds with (Or, in) tigers. Absent from (a place) (অনুপস্থিত থাকা): He was absent from the parents meeting called by the principal. Absorbed in (মগ্ন): He is absorbed in writing his biography. Abstain from (বিরত থাকা): I shall abstain from doing any wrong with others. Abide with (সঙ্গে থাকা): He abides with his parents in the USA. Abide in (বাস করা): I abide in Narayangonj. Abound with (পূর্ণ থাকা): The Padma abounds with hilsa, a very tasty fish. Abhorance of (ঘৃণা): A sinner has no abhorance of sin. Abhorent to (ঘৃণা): Smoking is abhorent to me. Access to (প্রবেশাধিকার): I have free access to the manager of this company. Accompanied by a