- Get link
- X
- Other Apps
দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮। ধারা ৪ এর সংজ্ঞা ও বিশ্লেষণ।
ধারা ৪ সংজ্ঞা
(১) বিপরীত সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকলে, বর্তমানে চলমান কোন বিশেষ আইন বা ন্যস্তকৃত কোন বিশেষ এখতিয়ার ক্ষমতা, বা বর্তমানে বলবৎ অপর কোন আইন এর অধীনে বা দ্বারা নির্ণীত কোন বিশেষ আকারের প্রক্রিয়া এই আইনের কোন বিধান দ্বারা সীমিত বা অন্যভাবে প্রভাবিত হবে বলে পরিগণিত হবে না।
(২) বিশেষতঃ এবং (১) উপধারায় উল্লেখিত সাধারণ নীতিকে ক্ষুন্ন না করে বর্তমানে বলবৎ কোন আইনের অধীন চাষের জমির জন্য উক্ত জমির ফসল হতে খাজনা আদায়ের ব্যাপারে কোন জমিদারের কোন প্রতিকার থাকলে এই আইনের কোন বিধান তা সীমাবদ্ধ বা প্রভাবিত করবে না।
দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮। ৪ ধারার বিশ্লেষণ
সাধারণভাবে সকল দেওয়ানি মামলা সকল দেওয়ানি আদালতে দেওয়ানি কার্যবিধিতে বিধৃত পদ্ধতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত হয় এটাই নিয়ম। কিন্তু এই ধারায় বলা হয়েছে যে, বর্তমানে চলমান কোন বিশেষ আইন বা ন্যস্তকৃত কোন বিশেষ এখতিয়ার ক্ষমতা, বা বর্তমানে বলবৎ অপর কোন আইন এর অধীনে বা দ্বারা নির্ণীত কোন বিশেষ আকারের প্রক্রিয়া বিপরীত কোন সুনির্দিষ্ট বিধান না থাকলে, এই আইনের কোন বিধান দ্বারা সীমিত বা অন্যভাবে প্রভাবিত হবে বলে পরিগণিত হবে না। বিশেষতঃ এবং (১) উপধারায় উল্লেখিত সাধারণ নীতিকে ক্ষুন্ন না করে বর্তমানে বলবৎ কোন আইনের অধীন চাষের জমির জন্য উক্ত জমির ফসল হতে খাজনা আদায়ের ব্যাপারে কোন জমিদারের কোন প্রতিকার থাকলে এই আইনের কোন বিধান তা সীমাবদ্ধ বা প্রভাবিত করবে না।
দেওয়ানী কার্যবিধি ১৯০৮। ৪ ধারার উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসমূহ
"K.P.M Trade Union Vs. Register of Trade Union"
ট্রেড ইউনিয়নের নির্বাচনে যাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি বিষয়ক বিষয়াদি, যেহেতু দর-কষাকষির এজেন্ট দ্বারা শিল্প সংক্রান্ত বিবাদর সংজ্ঞা অনুযায়ী শ্রম আদালতে মামলা উথাপিত হয় নাই, যার ফলে শ্রম আদালতের এখতিয়ারভুক্ত হয় নাই, সেহেতু দেওয়ানি আদালতের উপর এই মামলা পরিচালনা করার এখতিয়ারভুক্ত হবে।
"Jalal Uddin Ahmed Vs. Motiur Rahman Khan”
বিশেষ আইনের বিধান, দেওয়ানি কার্যবিধি আইন কর্তৃক খর্ব হতে পারে না। বিশেষ আইন অন্যান্য আইনের উর্ধে। দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ৯ অনুযায়ী যেই সমস্ত মামলা বিচার এখতিয়ার প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে বিচারার্থে গ্রহণ নিষিদ্ধ রয়েছে সে সমস্ত মামলা ছাড়া যেকোন প্রকার দেওয়ানি প্রকৃতির সকল মামলা বিচার করার এখতিয়ার দেওয়ানি আদালতগুলাের অধীনে থাকবে। দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ৪ এর নিয়মে প্রদত্ত যে, বিপক্ষে কোন বিশেষ বিধান না থাকলে এই বিধির কোন কিছুই বর্তমানে প্রচলিত বিশেষ আইনকে সীমাবদ্ধ বা অপরভাবে প্রভাবিত করবে বলে পরিগণিত হবে না। তা ছাড়া বিশেষ এখতিয়ার বা প্রদত্ত ক্ষমতা বা কোন বিশেষ প্রকারের আইন যা নির্দিষ্ট কোন মেয়াদকালের জন্য ধার্য করা হয়েছিল সে সমস্ত প্রচলিত ক্ষমতা কর্তৃক এইগুলি সীমিত বা প্রভাবান্বিত করা হবে না।
PLD 1966 (SC) 984]
যখন এই আইনের কোন বিধান অন্য কোন বিশেষ বা আঞ্চলিক আইনের বিধানের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তখন এই আইনের যতটুকু অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে ততটুকু ঐ বিশেষ আইনের ক্ষেত্রে প্রয়ােগ করবে না।
[AIR 1937 All. 129 (FB)]
কোন বৈধ বিশেষ ৰা আঞ্চলিক আইন দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার খর্ব করে কোন বিধান প্রণয়ন করলে ইহা এই বিধির সাথে অসমঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে বলে পরিগণিত করা যায় না।
[AIR 1937 All. 365]
এই ধারা হতে এটাই অনুসৃত হয় যে, কোন বিশেষ বা আঞ্চলিক আইনের বর্তমানে দেওয়ানি আদালত ৯ ধারার আওতায় প্রার্থিত দাবিটি দেওয়ানি প্রকৃতির শুধুমাত্র এর ভিত্তিতে কোন মামলা ইহার এখতিয়ারাধীন করতে পারবে না।
[41 DLR 77]
অত্র ধারা দেওয়ানি কার্যবিধি আইন এবং চলমান স্থানীয় বা বিশেষ আইনের ক্ষমতা সম্বলিত আইনের বিতর্ককে মীমাংসা করণের বিধান। বিশেষ আইনের কোনরূপ বিধানকে অত্র আইন খর্ব করতে পারে না। বিশেষ আইন অপর আইনসমূহের উর্ধ্বে।
[53 DLR 488]
চট্টগ্রাম পাবর্ত্য অঞ্চল প্রবিধান বিশেষ আইন হওয়ার কারণে এবং কার্যবিধির ধারা বর্তমান থাকার কারণে অত্র দেওয়ানি কার্যবিধির বিধান প্রযােজ্য নয়।
[41 DLR 777]
ধারা ৪ হতে ইহা পরিদৃষ্ট হয় যে, অত্র দেওয়ানি কার্যবিধির ধারা ৪ এর বিধানের আওতায় বিশেষ আইনের বিধান প্রভাবযুক্ত নয় এবং বিপরীত কোন বিধান বর্তমান থাকলে বিশেষ আইনের বিধান অবশ্যই রক্ষা পাবে।