- Get link
- X
- Other Apps
বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি
প্রাচীনকাল হতে সমসাময়িক কালের ইতিহাস
বাঙালি জাতির উদ্ভব ও বিকাশ
।। বাঙালি জাতির প্রধান অংশ যে মূল জাতিগােষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত– অস্ট্রিক।
।। বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি যে গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লিখিত হয়েছে আইন-ইআকবরী।
।। আর্যজাতি যে দেশ থেকে এসেছিল— ইরান।
।। আর্যদের আদি বাসস্থান ছিল— ইউরাল পর্বতের দক্ষিণে তৃণভূমি অঞ্চলে।
।। নৃতাত্ত্বিকভাবে বাংলাদেশের মানুষ প্রধানত যে নরগােষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত—নর্ডিক।
।। সিন্ধু সভ্যতা প্রথম আবিষ্কার করেন। রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ।
।। আর্যদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের নাম বেদ।
।। বাংলা ভাষা যে ভাষাগােষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত— ইন্দো-ইউরােপীয় ।
বাংলার প্রাচীন জনপদ
।। বাংলার সর্বপ্রাচীন জনপদের নাম— পুণ্ড্র
।। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন জনপদের নাম— পুণ্ড্রবর্ধন।
।। মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত করতােয়া ।
।। প্রাচীন বাংলার সমতট জনপদের বর্তমান অবস্থান কুমিল্লা অঞ্চল ।
।। মহাস্থানগড় মৌর্য আমলে যে নামে পরিচিত ছিল— পুণ্ড্রনগর।
।। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরকেন্দ্র—মহাস্থানগড়
।। তাম্রলিপ্ত—প্রাচীন জনপদ।
।। যে নদীটি বঙ্গ জনপদের উত্তরাঞ্চলের সীমানা ছিল— পদ্মা ।
।। মহাস্থানগড় অবস্থিত— বগুড়া জেলায়।
।। প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ রয়েছে— চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
।। প্রাচীনকালে সমতট' বলতে বাংলাদেশের যে অংশকে বুঝানো হয় - কুমিল্লা ও নােয়াখালী অঞ্চলে।
।। প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন অবস্থিত - মহাস্থানগড়ে।
প্রাচীন জনপদ ও বর্তমান অঞ্চল।
।। গৌড়- উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল, আধুনিক মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ও বর্ধমানের কিছু অংশ, চাপাইনবাবগঞ্জ।
।।বঙ্গ- ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালীর নিম্ন জলাভূমি, বৃহত্তর বগুড়া, পাবনা, ময়মনসিংহ জেলার পশ্চিমাঞ্চল, ঢাকা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, বৃহত্তর কুমিল্লা ও নােয়াখালীর কিছু অংশ।
।। পুণ্ড্র- বগুড়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলা।
।। হরিকেল- সিলেট (শ্রীহট্ট), চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম।
।। সমতট - কুমিল্লা ও নােয়াখালী।
।। বরেন্দ্র- বগুড়া, দিনাজপুর ও রাজশাহী জেলার অনেক অঞ্চল এবং পাবনা জেলা জুড়ে।
বিভিন্ন শাসনামলে বাংলার রাজধানী
।।আলাউদ্দিন হােসেন শাহ বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন— ১৪৯৮-১৫১৯ খৃষ্টাব্দে।
|। প্রাচীন বাংলা মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা - চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ।
।। প্রাচীন বাংলার হরিকেল জনপদ অঞ্চলভুক্ত এলাকা - চট্টগ্রাম ।
।। সুলতানী আমলে বাংলার রাজধানীর নাম— গৌড় । [Note: গৌড় ১৪১৮ থেকে ১৫৬৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার রাজধানী ছিল ।]
।। মহাস্থানগড় এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল, তখন তার নাম ছিল— পুণ্ড্রনগর।
।। ঢাকাকে সর্বপ্রথম রাজধানী ঘােষণা করা হয় ১৬১০ সালে।
বিভিন্ন শাসনামল ও রাজধানী
প্রাচীন বাংলা-মহাস্থানগড়
মৌর্য ও গুপ্ত বংশ- গৌড়
গৌড় রাজ্যের/শশাঙ্কের- কর্ণসুবর্ণ
হর্ষবর্ধন- কনৌজ
মৌর্যযুগ/পুণ্ড্র জনপদ- পুণ্ড্রনগর (বাংলার প্রাদেশিক)
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত- পাটলিপুত্র
সেন আমল /লক্ষ্মণ সেন- নদীয়া বা নবদ্বীপ।
সুলতানী আমল- লখনৌতি (১২০৪-১৩৩৮), সােনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২ খ্রি.), গৌড় (১৪১৮-১৫৬৫ খ্রি.)।
মুঘল আমল- সােনারগাঁও, ঢাকা
আলাউদ্দিন হােসেন শাহ- একডালা।
প্রাচীন বাংলায় বিভিন্ন শাসনামল
।। চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর দীক্ষাগুরু ছিলেন— শিলভদ্র।
।। মহাস্থবির শিলভদ্র যে মহাবিহারের আচার্য ছিলেন—নালন্দা বিহার।
।। মহামতি অশােক যে যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন– কলিঙ্গ যুদ্ধের।
।। বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন—শশাঙ্ক ।
।। যে বংশটি প্রায় চারশ বছরের মতাে শাসন করেছে—পাল বংশ।
।। পরিব্রাজক ফা-হিয়েন যার শাসনামলে বাংলায় আসেন— দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ।
|। বাংলায় প্রথম চৈনিক পরিব্রাজক - ফা হিয়েন।
।। গ্রিক বীর আলেকজান্ডার ভারতবর্ষে যে নদীর তীর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলেন— সিন্ধু।
|। বাংলার পাল রাজবংশের শাসকরা যে ধর্মাবলম্বী ছিলেন—বৌদ্ধ ।
।। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যে শতকে— খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে।
।। 'অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থের রচয়িতা কৌটিল্য।
। মাসান্যায় বাংলার যে সময়কালকে নির্দেশ করে— ৭ম-৮ম শতক।
বাংলায় মুসলিম ও স্বাধীন সুলতানী শাসন প্রতিষ্ঠা
।। বখতিয়ার খলজি বাংলা জয় করেন— ১২০৪ সালে।
।। যে পর্যটক সােনারগাঁও এসেছিলেন— ইবনে বতুতা।
।। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মধ্যযুগীয় মসজিদ— ষাট গম্বুজ মসজিদ।
।। বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তারের সূচনা করেন— ইখতিয়ারউদ্দীন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজি।
।। ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী যে শতাব্দীতে ভারতবর্ষে আসেন— ত্রয়ােদশ ।
।। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা যে দেশের নাগরিক - মরক্কোর
।। প্রথম সিন্ধু বিজয়ী মুসলিম সেনাপতি ছিলেন— মুহাম্মদ বিন কাসিম।
।। বিখ্যাত পর্যটক ইবনে বতুতা সােনারগাঁও ভ্রমণ করেন— ১৩৪৬ সালে।
।। মুহাম্মদ ঘুরী এবং পৃথ্বীরাজ চৌহানের মধ্যে দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধ সংঘটিত হয়— ১১৯২ সালে।
।। যে ব্যক্তি বাংলাদেশকে ‘ধনসম্পদপূর্ণ নরক' বলে অভিহিত করেন—ইবনে বতুতা।
।। বাংলায় স্বাধীন সুলতানী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন— ফখরুদ্দিন মােবারক শাহ।
।। ভারতীয় উপমহাদেশে স্থায়ী মুসলিম শাসনের সূচনা ঘটে—খ্রিষ্টীয় ত্রয়ােদশ শতকে।
।। যে শাসনামলে সমগ্র বাংলা ভাষী অঞ্চল বাঙ্গালা' নামে অভিহিত হয়—মুসলিম।
দিল্লি সালতানাত
।। দিল্লীর সিংহাসনে আরােহণকারী প্রথম মুসলমান নারী সুলতানা রাজিয়া ছিলেন- শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের কন্যা।
।। দিল্লি থেকে রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন-- মুহম্মদ বিন তুঘলক।
।। দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন— শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশ ।
।। যে সুলতান মূল্যনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করেন— আলাউদ্দিন খলজি ।
।। রক্তপাত ও কঠোর নীতি’ যার শাসনের বৈশিষ্ট্য ছিল— গিয়াসউদ্দীন বলবন ।
বাংলায় ইলিয়াস শাহী শাসন
।। প্রাচীন বাংলার সবগুলাে জনপদই একত্রে বাংলা নামে পরিচিতি লাভ করে যার আমল থেকে- সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
।। বাংলার প্রথম মুসলমান সুলতান ছিলেন - ইলিয়াস শাহ।
।। বাঙ্গালাহ নামের প্রচলন করেন ইলিয়াস শাহ।
হুসেন শাহী যুগ
।। গৌড়ের সােনা মসজিদ যার আমলে নির্মিত হয়—হুসেন শাহ।
।। যে আমলে বাংলা গজল ও সুফী সাহিত্য সৃষ্টি হয়—হুসেন শাহী ।
।। বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপােষকতার জন্য বিখ্যাত শাসক আলাউদ্দিন হুসেন শাহ।
মুঘল শাসনামল
।। প্রতাপ আদিত্য ছিলেন বাংলার বারাে ভূঁইয়াদের একজন।
।। মুঘল সম্রাটদের মধ্যে যিনি প্রথম আত্মজীবনী লিখেছিলেন— বাবর।
।। বাংলার নববর্ষ পহেলা বৈশাখ চালু করেছিলেন - সম্রাট আকবর।
।। যে মুঘল সম্রাট বাংলার নাম দেন 'জান্নাতাবাদ'—হুমায়ুন ।
।। বাংলা সন প্রবর্তন করেন - সম্রাট আকবর।
।। প্রাচীন বাংলার গৌরব মসলিন কাপড়' ঢাকায় তৈরি হয়—মুঘল আমলে।
।। লালবাগ দুর্গের অভ্যন্তরের সমাধিতে সমাহিত শায়েস্তা খানের কন্যার আসল নাম— ইরান দুখত।
।। দিল্লির যে সম্রাট বাংলা থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়িত করেন— শের শাহ।
।। সম্রাট বাবর রচিত আত্মজীবনী— তুযুক-ই-বাবর বা বাবরনামা ।
সুবাদারদের শাসনামলে বাংলা
।। ঢাকার ‘ধােলাই খাল খনন করেন— ইসলাম খান।
।। লালবাগের কেল্লা স্থাপন করেন— শায়েস্তা খান।
।। ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপনের সময় মুঘল সুবেদার ছিলেন ইসলাম খান।
।। যে মুঘল সুবাদার চট্টগ্রাম দখল করে এর নাম রাখেন ইসলামাবাদ— শায়েস্তা খান।
।। পরী বিবি ছিলেন—শায়েস্তা খানের কন্যা।
।। ঢাকায় সর্বপ্রথম কবে রাজধানী স্থাপিত হয়—১৬১০ খ্রি.।
বাংলায় নবাবী শাসন
।। পলাশির যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল—জুন ২৩, ১৭৫৭।
।। বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন নবাব মুর্শিদকুলী খান।
।। যে মােগল সুবেদার বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন— মুর্শিদকুলী খান।
।। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন সিরাজ-উদ-দৌলা ।
।। বক্সারের যুদ্ধ হয়— ২২ অক্টোবর ১৭৬৪।
উপমহাদেশে ইউরােপীয়দের আগমন
।। ইউরােপীয় বণিকদের মধ্যে বাংলায় প্রথম এসেছিলেন পর্তুগীজরা ।
।। যে সম্রাট ইংরেজদের বঙ্গদেশে কুঠি নির্মাণের অনুমতি দেয়— সম্রাট জাহাঙ্গীর।
।। সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারের প্রথম ইংরেজ দূত-- ক্যাপ্টেন হকিন্স।
।। ইউরােপ থেকে সমুদ্রপথে ভারতবর্ষে আসার পথ আবিস্কৃত হয়- ১৪৯৮ সালের ১৪ মে।
।। পর্তুগিজরা চট্টগ্রাম বন্দরের নাম দিয়েছিল- পাের্টো গ্রান্ডে।
।। ওলন্দাজরা যে দেশের নাগরিক - হল্যান্ড ।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারত শাসন (১৭৫৭-১৮৫৮)
।। বাংলার ছিয়াত্তরের মন্বন্তর'-এর সময়কাল–১৭৭০ খ্রিষ্টাব্দ (১১৭৬ বঙ্গাব্দে)।
।। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের সময় বাংলার গভর্নর ছিলেন- কার্টিয়ার ।
।। লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম যে ব্যবস্থা চালু করেন— পুলিশ ব্যবস্থা।
।। বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করা হয়— ১৭৯৩ খ্রি.।
।। ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করে— ১৭৬৫ সালে ।
।। বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমিব্যবস্থা প্রবর্তন করেন— কর্নওয়ালিস ।
।। 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' বলা হয় বাংলা—১১৭৬ সালকে।
।। বাংলাদেশে স্থানীয় শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন করেন— লর্ড কার্জন।
।। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' নামক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ইংরেজি যে সালে হয়েছিল ১৭৭০ খ্রি.।
।। কলকাতার ১ম রঙ্গমঞ্চ তৈরি হয়— ১৭৫৩ সালে।
।। ফকির আন্দোলনের নেতা ছিলেন— মজনু শাহ।
।। লর্ড ক্লাইভ আত্মহত্যা করেন—১৭৭৪ সালে।
।। সতীদাহ প্রথা কবে রহিত হয়—১৮২৯ সালে।
।। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' নামক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ - বাংলা ১১৭৬ সনে।
ব্রিটিশ সরকারের ভারত শাসন (১৮৫৮-১৯৪৭)
।। ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন - লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
।। উপমহাদেশের সর্বশেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড ক্যানিং ।
।। উপমহাদেশের প্রথম কাগজের মুদ্রা চালু করেন—লর্ড ক্যানিং।
উপমহাদেশে বিভিন্ন বিদ্রোহ ও সংস্কার আন্দোলন
।। বাংলায় ফরায়েজী আন্দোলনের উদ্যোক্তা ছিলেন— হাজী শরীয়তউল্লাহ।
।। ব্রিটিশ বণিকদের বিরুদ্ধে একজন চাকমা জুমিয়া নেতা বিদ্রোহের পতাকা উড়িয়েছিলেন, তার নাম-জান বখশ খাঁ ।
।। জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থী’-এটি ঘােষণা করেন—দুদু মিয়া ।
।। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন— সৈয়দ নিসার আলী ।
।। সিপাহী বিদ্রোহের নেতা ছিলেন— মঙ্গল পান্ডে।
।। তেভাগা আন্দোলনের নেত্রী - ইলা মিত্র।
। হাজী মােহাম্মদ মহসীনের বাড়ি হুগলী ।
।। লর্ড রিপন কর্তৃক গঠিত শিক্ষা কমিশনের নাম - হান্টার কমিশন ।
।। ইয়ং বেঙ্গল' আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন - ডিরােজিও।
।। যে মনীষী সর্বপ্রথম বিধবা বিবাহের পক্ষে আন্দোলন করেন— ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ।
জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বঙ্গভঙ্গ ও তৎকালীন রাজনীতি
।। বঙ্গভঙ্গ’ কালে ভারতের ভাইসরয় ছিলেন - লর্ড কার্জন ।
।। বঙ্গভঙ্গ রদ হয়— ১৯১১ সালে।
।। বঙ্গভঙ্গ হয়— লর্ড কার্জনের সময়ে।
।। বঙ্গবিভাগ রদ ঘােষণা করা হয়—১২ ডিসেম্বর ১৯১১।
।। যে বাঙালি নেতার নামের আগে নেতাজী বলা হয়—সুভাসচন্দ্র বসু।
।। বঙ্গভঙ্গের সুপারিশ করেন- লর্ড কার্জন ।
বিভাগ-পূর্ব রাজনীতি
।। পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ গঠনকালে ব্রিটিশ ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় ছিলেন— লর্ড
কার্জন।
।। অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন— হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী।
।। লাহাের প্রস্তাব গৃহীত হয়—১৯৪০ সালে।
।। এ. কে. ফজলুল হক পূর্ব বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন- ১৯৫৬ সালে।
বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি
।। মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে নির্মিত চলচ্চিত্র - জীবনঢুলী ।
।। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম- ওরা ১১ জন ।
।। বাংলাদেশের জাতীয় নাট্যশালা অবস্থিত— সেগুনবাগিচা।
।। ‘গম্ভীরা' বাংলাদেশের যে অঞ্চলের লােক সংগীত-- চাঁপাইনবাবগঞ্জ/রাজশাহী ।
।। একটি ফুলকে বাঁচাবাে বলে যুদ্ধ করি' গানটির রচয়িতা গােবিন্দ হালদার।
।। বাংলাদেশের একটি আঞ্চলিক নৃত্যত জারি হলাে— ঢাকা অঞ্চলের।
।। সংস্কৃতি বলতে বােঝায়— প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিগত আচরণ সমষ্টি।
।। বাংলা সনে ৩১ দিনের মাস— ৫টি (Note : বর্তমানে বাংলা সনে ৩১ দিনের মাস ৬টি)।
।। বাংলার আদি জনগােষ্ঠী যে ভাষী ছিল— অস্ট্রিক।
।। লালন শাহের আখড়া অবস্থিত— কুষ্টিয়া ।
।। ঢাকা শহরের বেনারসি শাড়ি তৈরি হয়— মিরপুরে।
।। জাতীয় নাট্যশালা’ অবস্থিত – ঢাকার শিল্পকলা একাডেমীতে ।
।। ঐতিহাসিক গ্রন্থ 'আইন-ই-আকবরী'-এর রচয়িতা— Abul Fazal ৷
।। আইন-ই-আকবরী’ যে গ্রন্থের শেষ তথা তৃতীয় খণ্ড- আকবরনামা।
ধর্মীয় ও সামাজিক রীতি
।। সতীদাহ প্রথা বিলুপ্ত করেন—লর্ড বেন্টিঙ্ক ।
।। ‘কৌলীন্য প্রথা বাংলায় প্রবর্তন করেন— বল্লাল সেন ।
।। আকবর প্রবর্তিত ধর্মের নাম ছিল— দীন-ই-ইলাহী।
।। সতীদাহ প্রথা বিলােপ করেন— লর্ড বেন্টিংক।
।। সতীদাহ প্রথা রহিত হয়— ১৮২৯ সালে।
লােকসাহিত্য
।। ভাণ্ডারী’ যে অঞ্চলের লােকগান— চট্টগ্রাম ।
।। বাড়ির কাছে আরশীনগর, সেথায় এক পড়শী বসত করে । - এই পঙক্তিটি কার লেখা—লালন শাহ।
।। 'আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম' এ গানটির সুরকার— শাহ আবদুল করিম।
।। ময়মনসিংহ অঞ্চলের জনপ্রিয় লােকনাট্য— গীতিকা ।
।। 'দেওয়ানা মদীনা’ যার অসামান্য সৃষ্টি— মনসুর বয়াতি
।। পাঁচালি গানের শক্তিশালী কবি–দাশরথি রায় ।
।। ঠাকুরমার ঝুলি’-এর লেখক–দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
সঙ্গীত ও নৃত্য
।। চাঁপাইনবাবগঞ্জ (বৃহত্তর রাজশাহী) অঞ্চলের গান—গম্ভীরা।
।। বাংলাদেশের বিখ্যাত মণিপুরী নাচ যে অঞ্চলের - সিলেট ।
।। গম্ভীরা যে অঞ্চলের সঙ্গীত— রাজশাহী।
।। মােদের গরব মােদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা’ গানের রচয়িতা কে? – অতুল প্রসাদ সেন।
।। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে একুশে ফেব্রুয়ারি' গানটির গীতিকার—আবদুল গাফফার চৌধুরী।
।। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা'- গানটি লিখেছেন—গােবিন্দ হালদার।
।। নৌকাবাইস প্রতিযােগিতার সময় পরিবেশিত গান— সারি ।
।। ঢাকা-ময়মনসিংহ অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের নাম— জারি ।
।। রংপুর, রাজশাহী অঞ্চলের নৃত্য— ঝুমুর।
।। 'চটকা’ ও ‘ভাওয়াইয়া’ বাংলাদেশের - রংপুর অঞ্চলের গান।
।। বাংলাদেশের যে সঙ্গীতজ্ঞ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন - ওস্তাদ আয়াত আলী খান।
।। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পল্লীগীতির গায়ক— আব্বাস উদ্দিন ও আবদুল আলীম।
।। বাংলাদেশের সর্বজনস্বীকৃত প্রাচীন সংস্কৃতির ধারক- বৈশাখী মেলা।
।। দেশের প্রথম আদিবাসী মেলা অনুষ্ঠিত হয়– কক্সবাজারে।
।। উপজাতীয় বর্ষবরণ উৎসবে সামগ্রিকভাবে বলা হয়— বৈসাবি (বৈসুক, সাংগ্রাই ও বিঝুর সংক্ষিপ্ত রূপ)।
।। জলকেলি যাদের উৎসব— রাখাইন।
।। রাখাইনদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব— বুদ্ধপূর্ণিমা।
।। ত্রিপুরাদের ভােজানুষ্ঠানকে বলে— সামৌং (Samwng)।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
।। সােনা মসজিদ অবস্থিত – চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
।। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অবস্থিত – মানিকগঞ্জ জেলায় ।
।। ময়নামতিতে যে সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় – বৌদ্ধ সভ্যতা।
।। মহাস্থানগড়’ কোন নদীর তীরে অবস্থিত-করতােয়া ।
।। শালবন বিহার অবস্থিত কুমিল্লা ।
।। 'কান্তজীউ মন্দির’ অবস্থিত - দিনাজপুর।
।। মহাস্থানগড় অবস্থিত—বগুড়া ।
।। বরেন্দ্র জাদুঘর—রাজশাহী জেলায়।
।। বরেন্দ্র অঞ্চল বলতে বর্তমানে বােঝায়—রাজশাহী অঞ্চল।
।। উয়ারী-বটেশ্বর যে কারণে আলােচিত—প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ।
।। আনন্দ বিহার অবস্থিত— ময়নামতি।
।। বরেন্দ্র মিউজিয়াম অবস্থিত— রাজশাহী।
।। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার-এর নির্মাতা– ধর্মপাল।
।। পাহাড়পুর অবস্থিত – নওগাঁ জেলায়।
।। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর রয়েছে—১৮টি।
।। বাংলাদেশের একমাত্র লােকশিল্প জাদুঘরটি—নারায়ণগঞ্জের সােনারগাঁয়ে।
।। লােকশিল্প জাদুঘরের বর্তমান নাম— জয়নুল লােক ও কারুশিল্প জাদুঘর।
।। বৈরাগীর চাল অবস্থিত - গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে।
।। সােমপুর বিহার নওগাঁর - পাহাড়পুরে।
।। সীতাকোট বিহার -দিনাজপুরে।
।। সুম্বা মসজিদ অবস্থিত - নওগাঁয়, বাঘা মসজিদ অবস্থিত-- রাজশাহীতে ।
।। রামু মন্দির অবস্থিত – কক্সবাজারের রামু থানায় ।
শিল্পকর্ম ও শিল্পী
।। বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিন কন্যা’ এর চিত্রকর— কামরুল হাসান।
।। 'মনপুরা-৭০' হলাে— একটি চিত্রকর্ম।
।। বাংলার ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের ওপর ছবি এঁকে বিখ্যাত হন— জয়নুল আবেদিন।
।। সংগ্রাম’ চিত্রকর্মের শিল্পী- জয়নুল আবেদিন।
।। বাংলায় শিক্ষামূলক কার্টুন সিরিজ 'মীনা’ যে শিল্পীর সৃষ্টি— মুস্তফা মনােয়ার ।
।। 'ম্যাডােনা-১৯৪৩' ছবিটি এঁকেছেন— শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ।
।। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী - বুলবুল চৌধুরী ।
।। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী - শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ।
।। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ কাঠ খােদাই শিল্পী– অলক রায় ।
।। নড়াইলে অবস্থিত শিল্পী এস এম সুলতানের প্রতিষ্ঠিত চিত্রাঙ্কন প্রতিষ্ঠানের নাম– শিশুস্বর্গ ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস
ভাষা আন্দোলন
।।পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন হয়েছিল যার ভিত্তিতে - বাঙালি জাতীয়তাবাদ।
।। সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়– ৩০ জানুয়ারি ১৯৫২।
।। বাংলাভাষাকে পাকিস্তান গণপরিষদ অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়— ৭ মে ১৯৫৪।
।। পাকিস্তানের গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রথম দাবি উত্থাপন করেন— ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
।। ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা দেয়– ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯।
।। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে ২১ ফেব্রুয়ারি' গানের রচয়িতা—আবদুল গাফফার চৌধুরী ।
।। ১৯৫২ সালে তৎকালীন ভাষা আন্দোলন জন্ম দিয়েছিল - এক নতুন জাতীয় চেতনার ।
।। বাংলাদেশের বাইরে প্রথম শহীদ মিনার স্থাপিত হয় যে দেশে - যুক্তরাজ্য ।
।। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানাে একুশে ফেব্রুয়ারি' গানটির সুরকার আলতাফ মাহমুদ। [Note : প্রথমে গানটির সুরারােপ করেন আব্দুল লতিফ, দ্বিতীয় দফা সুর দেন আলতাফ মাহমুদ। আর আব্দুল গাফফার চৌধুরী ছিলেন গানটির গীতিকার।]
।। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি সম্বলিত ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে – যুক্তরাষ্ট্র ।
।। “এখানে যারা প্রাণ দিয়েছে রমনার উধ্বমুখী কৃষ্ণচূড়ার নিচে সেখানে আমি কাঁদতে আসিনি” এর রচয়িতা মাহবুব আলম চৌধুরী ।
।। ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে— UNESCO।
।। রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন হয়— ১৯৪৭ সালে।
।। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়—১৯৫৬ সালে ।
।। জাতিসংঘের কততম সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন—২৯তম।
।। ভাষার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের একজনের নাম- সালাম।
।। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস - ২১ ফেব্রুয়ারি।
।। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবিতে প্রথম ধর্মঘট হয়— ১১ মার্চ ১৯৪৮।
।। সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়— ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি ।
।। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থাপতি - হামিদুর রহমান।
।। ভারতের যে রাজ্যে বাংলা ভাষাকে দ্বিতীয় সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে— ঝাড়খণ্ড।
I। ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র– সাপ্তাহিক সৈনিক।
।। ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু' পুস্তিকার লেখক—৩ জন (অধ্যাপক আবুল কাসেম, ড. কাজী মােতাহার হােসেন ও আবুল মনসুর আহমদ)।
।। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার বিরুদ্ধে এবং রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ পুনঃগঠিত হয়— ২ মার্চ ১৯৪৮।
।। তমদ্দুন মজলিস গঠিত হয় ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর।
।। বাংলা পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায়— ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬।
।। প্রথম শহীদ মিনার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়— ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি (উচ্চতা ১২ ফুট ও নকশাকার বদরুল আলম)।
।। প্রথম তৈরি শহীদ মিনার উন্মোচন করেন— শহীদ শফিউরের পিতা মাহবুবুর রহমান (২৩ ফেব্রুয়ারি)।
।। একুশের প্রথম গান ভুলব না, ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’-এর রচয়িতা— ভাষাসৈনিক আ ন ম গাজীউল হক।
।। নূরুল আমীন ১৪৪ ধারা জারি করেন—২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।
।। ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক গভর্নর ছিলেন— ফিরােজ খান নূন।
।। উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ (Urdu and only Urdu shall be the state language of Pakistan). এ ঘোষণা দেন মােহম্মদ আলী জিন্নাহ, ২১ মার্চ ১৯৪৮, ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সােহরাওয়ার্দী উদ্যান); ২৪ মার্চ তিনি কার্জন হলে পুনরায় একই কথা বলেন।
।। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন 'উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা' ঘোষণা দেন– ২৭ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে, ঢাকা ।
।। তৎকালীন পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগােষ্ঠীর মাতৃভাষা ছিল— বাংলা (৫৬%)।
।। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বাংলায় বক্তৃতা দেন— অধ্যাপক আবুল কাসেম ।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে গঠিত সগ্রাম পরিষদ
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ - ১ অক্টোবর ১৯৪৭
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ (পুনর্গঠিত)- ২ মার্চ ১৯৪৮
বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ- ১১ মার্চ ১৯৫০
সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ- ৩০ জানুয়ারি ১৯৫২
[সূত্র : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র, প্রথম খণ্ড (পৃষ্ঠা ২৩০); একুশে ফেব্রুয়ারী সংকলন (পৃষ্ঠা ১৯) এবং জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-১৯৭৫; লেখক- ভাষা সৈনিক অলি আহাদ (পৃষ্ঠা ১৩০)।]
১৯৫৪ সালের নির্বাচন
।। ১৯৫৪ সালের পূর্ববাংলা প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্ত ছিলেন না— নবাব স্যার সলিমুল্লাহ।
।। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের প্রতীক ছিল— নৌকা ।
।। ঐতিহাসিক ২১-দফা দাবির প্রথম দাবিটি ছিল— বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা।
।। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল— ২১ দফা ।
।। ১৯৫৪ সালের পূর্বে বাংলার প্রাদেশিক নির্বাচনের ২১ দফায় ১ম দফা ছিল - বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি দেয়া ।
।। তৎকালীন পাকিস্তানের শিক্ষা আন্দোলন হয়— ১৯৬২ সালে।
।। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হন— এ কে ফজলুল হক।
।। পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম লীগের বিপক্ষে সমমনা চারটি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়— ৪ ডিসেম্বর ১৯৫৩।
।। যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়— আওয়ামী মুসলিম লীগ (মওলানা ভাসানী), কৃষক শ্রমিক পার্টি (এ কে ফজলুল হক), নেজাম-এ ইসলাম (মওলানা আতাহার আলী) ও বামপন্থী গণতন্ত্রী দল (হাজী দানেশ) নিয়ে।
।। ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানে প্রাদেশিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়— ৮-১২ মার্চ। সূত্র : বাংলাপিডিয়া
।। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট আসন লাভ করে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত ২৩৭টি আসনের মধ্যে ২২৩টি।
।। ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক নির্বাচনে প্রভাব পরিলক্ষিত হয়— মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণির।
।। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল যুক্তফ্রন্ট ২৩৬টি, মুসলিম লীগ ১টি, খেলাফত রব্বানী ১টি ও স্বতন্ত্র চারটি।
।। গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলে পরিচিত - হােসেন শহীদ সােহরাওয়ার্দী ।
।। যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়—১৯৫৪ সালে ।
।। যুক্তফ্রন্ট সরকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন— ১৪ মে ১৯৫৪ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার কৃষি, বন, সমবায় ও পল্লীমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৫৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম ও দুর্নীতিদমন দপ্তরের মন্ত্রী নিযুক্ত হন।
।। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ঘােষণা করে— ২১ দফা ইশতেহার।
ছয়দফা আন্দোলন ১৯৬৬
।। আওয়ামী লীগের ৬-দফা পেশ করা হয়েছিল - ১৯৬৬ সালে।
।। ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘােষণা করা হয় - ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
।। ঐতিহাসিক ৬ দফাকে তুলনা করা হয়— ম্যাগনাকার্টার সাথে ।
।। ৬-দফা দাবি উত্থাপিত হয়— লাহােরে ।
।। ছয়দফা ঘােষিত হয়— লাহােরে।
।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে তারিখে ছয় দফা কর্মসূচি ঘােষণা করেন। – ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ।
।। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা ঘােষণা করেন— ১৯৬৬ সালে লাহােরে।
।। ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি প্রথম উত্থাপন করা হয়— লাহােরে।
।। ছয়দফা দিবস—৭ জুন।
I। ছয়দফা কর্মসূচি ঘােষণা করেন - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
।। ৬ দফা আনুষ্ঠনিকভাবে ঘোষণা করা হয়- ২০ মার্চ ১৯৬৬।
।। ঐতিহাসিক ছয় দফার প্রথম দফা - প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন
।। পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতারা সম্মেলন করে—১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি।
।। ঐতিহাসিক ছয় দফায় প্রাধান্য পায়— জনগণের আশা-আকাক্ষা আর পূর্ব পাকিস্তানের মহাযুক্তি সনদে পূর্ণ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি।
।। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা ঘােষণা করেন– ২০ মার্চ ১৯৬৬
গণঅভ্যুত্থান ১৯৬৮-৬৯ ও আগরতলা মামলা
।। বঙ্গবন্ধুসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মােট আসামী সংখ্যা ছিল ৩৫ জন ।
।। মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত করা হয়—১৯৬৯।
।। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়— ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮।
।। শেখ মুজিবুর রহমানকে 'বঙ্গবন্ধু’ খেতাবে ভূষিত করা হয়— ২৩-২-১৯৬৯ খ্রি.।
।। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যে কয়জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযােগ আনা হয় বঙ্গবন্ধু সহ ৩৫ জন।
।। আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করা হয়-- ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯।
।। 'আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার' যে আসামিকে পুলিশ হেফাজতে গুলি করে হত্যা করা হয়— সার্জেন্ট জহুরুল হক।
।। শহীদ আসাদ দিবস কবে– শহীদ আসাদ দিবস ২০ জানুয়ারি ।
।। গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়— ২৪ জানুয়ারি ।
।। 'সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' গণঅভ্যুত্থানে ঘােষণা করে - এগার দফা ।
।। শহীদ শামসুজ্জোহা ছিলেন একজন - শিক্ষক ।
।। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস – চিলেকোঠার সেপাই ।
।। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার নতুন নামকরণ 'বাংলাদেশ’ করেন— ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৯
।। আসাদ গেট যে স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত–১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ।
।। ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য’ এ মামলা থেকে ১৯৬৯ সালের যে তারিখে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেয়—২২ ফেব্রুয়ারি ।
।। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি সার্জেন্ট জহুরুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয়— ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
।। আসাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিভাগের ছাত্র ছিলেন– ইতিহাস ।
।। শহীদ আসাদের বাড়ি - নরসিংদী জেলার হাতিরদিয়ায় ।
।। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী— রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শামসুজ্জোহা
।। ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনের সময় পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেন— জুলফিকার আলী ভুটে।
।। ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ আইয়ুব খান ক্ষমতা হস্তান্তর করেন - আগা মুহম্মদ ইয়াহিয়া খানের হাতে।
।। কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়—৫ জানুয়ারি ১৯৬৯।
।। সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ এগার দফা কর্মসূচি ঘােষণা করে— ১৯৬৯ সালের ৬ জানুয়ারি।
।। '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান হয়— আওয়ামী লীগের ছয় দফা, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এগার দফা 'গণতান্ত্রিক সংগ্রাম পরিষদের’ আট দফার ভিত্তিতে।
।। বর্তমান আসাদ গেটের পূর্ব নাম ছিল— আইয়ুব গেট।
।। আসাদকে নিয়ে যে কবি কবিতা রচনা করেন এবং কবিতার নাম—শামসুর রাহমান- আসাদের শার্ট।
।। যেসব ছাত্র সংগঠন মিলে এগার দফা প্রণয়ন করে—ছাত্রলীগ (তােফায়েল), ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া), ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) এবং এন এস এফ (বিদ্রোহী গ্রুপ)।
।। '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যক্ষ ফলাফল ছিল— আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং আইয়ুব খানের ক্ষমতা হস্তান্তর।
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন
।। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদে জয়লাভ করেছিল— মােট ১৬৭টি আসনে।
।। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়- ৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ (কিছু আসন ১৭ জানুয়ারি ১৯৭১)।
।। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের মােট আসন সংখ্যা ছিল ৩১৩টি (এর মধ্যে সংরক্ষিত ছিল ১৩টি)।
।। পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের আসন সংখ্যা ছিল- ১৬৯টি (এর মধ্যে সংরক্ষিত ৭টি)।
।। পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের ফলাফল ছিল আওয়ামী লীগ ১৬৭ (সংরক্ষিত ৭টিসহ), পিডিপি ১টি ও স্বতন্ত্র ১টি আসনে জয়লাভ করে ।
।। পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় – ১৭ ডিসেম্বর ।
।। পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে আসন সংখ্যা ছিল ৩১০টি (এর মধ্যে সংরক্ষিত ১০টি)।
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা
অসহযােগ আন্দোলন ১৯৭১
।। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় নির্মিত 'ধীরে বহে মেঘনা' চলচ্চিত্রের নির্মাতা - আলমগীর কবির।
।। বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের সময়কালে পূর্ব পাকিস্তানে যে আন্দোলন চলছিল— পূর্ব পকিস্তানের অসহযােগ আন্দোলন।
।। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২ মার্চ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র সভায়)।
।।বাংলাদেশের জনতার ইশতেহার ঘােষণা করা হয় - ১৯৭১ এর ৩ মার্চ ১৯৭১ সালে।
।। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ কর হয়- ৩ মার্চ ১৯৭১, পলটন ময়দান।
।। ১৯৭১ সালের অসহযােগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল—২ মার্চ।
।। ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন শেষ হয়েছিল ২৫ মার্চ ।
।। ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে ‘স্বাধীনতার ইশতেহার ঘােষণা করে - ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ
।। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ' পাকিস্তান দিবসের পরিবর্তে 'প্রতিরােধ দিবস' পালন করে– ২৩ মার্চ
।। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক ঘােষণা করা হয়—৩ মার্চ।
।। অসহযােগ আন্দোলনের শুরুতেই ২মার্চ ছাত্রসংগঠনগুলাে যে পরিষদ গঠন করেছিল - স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
। ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন-১ মার্চ ১৯৭১।
।। 'আমার সােনার বাংলা আমি তােমায় ভালোবাসি' সঙ্গীতটি পর্ব পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত হয় - ৩ মার্চ ১৯৭১।
।। “লােকটি এবং তার দল পাকিস্তানের শত্রু, এবার তারা শান্তি এড়াতে পারবে না" উক্তিটি করেছিল - জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
৭ মার্চের ভাষণ
।। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দাবি পেশ করেন – ৪ দফা ।
।। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ যে তারিখে ইউনেস্কোর “মেমােরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল
রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে—৩০ অক্টোবর ২০১৭।
।। ৭ মার্চ ১৯৭১-এর বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মূল বক্তব্য ছিল - স্বাধীনতা সগ্রাম তথা মুক্তি সংগ্রামের ঘােষণা।
।। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন— তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে)।
।। ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস' হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়— ২৫ জুলাই ২০২০।
।। ৭ মার্চ ভাষণ প্রদানকালে যে আন্দোলন চলছিল— অসহযােগ আন্দোলন ।
।। ৭ মার্চের ভাষণের মূল বিষয় ছিল— ৪টি।
।। অসহযােগ আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছিল—৭ মার্চ ভাষণের পর ।
।। অহিংস ও অসহযােগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘােষণা করা হয়— ৭ মার্চ ভাষণে ।
স্বাধীনতা ঘােষণা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণা
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘােষণা। (অনূদিত)
“ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাহা নিয়েই রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরােধ করে। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।
শেখ মুজিবুর রহমান
২৬ মার্চ ১৯৭১"
।। ২৬ মার্চ ১৯৭১-এর স্বাধীনতা ঘােষণা বঙ্গবন্ধু জারী করেন— ওয়্যারলেসের মাধ্যমে।
।। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র জারি করা হয়—১০ এপ্রিল ১৯৭১।
।। ১৯৭১ সালের যে তারিখে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়- ২৬ মার্চ।
।। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণা বার্তাটি কোন সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্থানে প্রচারিত হয়েছিল - ইপিআর।
।। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র প্রথম প্রচার শুরু করে - কালুরঘাট থেকে।
।। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে— ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
।। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র (অস্থায়ী সরকারের) পাঠ করেন— অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
।। স্বাধীনতার ঘােষণা ও মুক্তিযুদ্ধের শুরু - ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত বারােটার পর অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘােষণার পর।
।। স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র সংবিধানে সংযােজন হয়— পঞ্চদশ সংশােধনীতে ।
।। ২৬ মার্চ অপরাহ্ন ২টা ৩০ মিনিটে কালুরঘাট কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘােষণা করেন- চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান।
।। ২৭ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘােষণা কবেন-- মেজর জিয়াউর রহমান।
বাংলাদেশের প্রথম সরকার/মুজিবনগর সরকার
।। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়- ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
।। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি - বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
।। বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত নারীর সংখ্যা - ২ জন।
।। স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য বীর প্রতীক উপাধি দেয়া হয়—২ জন নারীকে।
।। আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ঘােষণা দেয়া হয়— ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
।। সরকার কর্তৃক 'মুজিব বর্ষ ঘােষণা করা হয় – ২০২০ সালকে।
।। বাংলাদেশে খেতাবপ্রাপ্ত বীরবিক্রম—১৭৫ জন।
।। মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘােষণা করা হয়েছে – ২০২০-২১ সালকে।
।। মুজিবনগর অবস্থিত – মেহেরপুর ।
।। বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার যেখানে গঠিত হয়— মুজিবনগর ।
।। মুজিবনগর সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন– এ, এইচ, এম কামারুজ্জামান।
।। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দুই নারীকে “বীর প্রতীক” উপাধিতে ভূষিত করা হয়—তারামন বিবি ও সিতারা বেগম।
।। বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর যে বাহিনীতে চাকুরীরত ছিলেন— সেনাবাহিনী।
।। বাংলাদেশের প্রথম সরকারের নাম—মুজিবনগর সরকার।
।। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রথম দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন - জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ।
।। কোন বিদেশি মিশনে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়-- কলকাতা।
।। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষণাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা হয়— ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে।
।। মুজিবনগরের পূর্ব নাম ছিল— বৈদ্যনাথতলা।
।। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার ঘােষণা করা হয়— পল্টন ময়দানে।
।। ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন— তাজউদ্দীন আহমদ।
।। মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেন—১৭ এপ্রিল, ১৯৭১।
।। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গঠিত প্রবাসী সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন - ক্যাপ্টেন এম মনসুর
আলী।
।। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার-এর সচিবালয় পরিচালিত হয় যে স্থান থেকে – ৮নং থিয়েটার রােড, কলকাতা ।
।। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের চিফ অব স্টাফ ছিলেন— কর্নেল (অব.) এম. এ রব ।
।। মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক ছিলেন— এ. কে. খন্দকার।
।। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন- সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
।। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ অবস্থিত – মেহেরপুর জেলায়।
মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল
।। মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ-কমান্ড গঠিত হয় যে সেক্টর নিয়ে - ১০নং সেক্টর।
।। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
।। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি ছিলেন জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী।
।। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়েছিল ১১টি সেক্টরে ।
।। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর যে সেক্টরের অধীনে ছিল— দুই নম্বর সেক্টর ।
।। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে ভাগ করা হয়েছিল— এগারােটি সেক্টরে ।
।। মুক্তিযুদ্ধের যে সেক্টরটি ছিল ব্যতিক্রমধর্মী– ১০ নং ।
।। 'মুজিব বাহিনী’ যাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল— যুবকদের।
।। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৌ কমান্ডাে সেক্টর— সেক্টর ১০।
।। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌপথ যত নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল— ১০ নম্বর ।
।। মুক্তিযােদ্ধা তারামন বিবি যুদ্ধ করেছেন - ১১ নং সেক্টরে ।
।। মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশাল যে সেক্টরের অধীনে ছিল— ৯নং সেক্টর ।
।। মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরােধ গড়ে তােলেন— ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট।
।। মুক্তিযুদ্ধের সময় 'মুজিবনগর’ অন্তর্ভুক্ত ছিল— ৮ নং সেক্টরের।
।। মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ২-এর অধিনায়ক ছিলেন মেজর খালেদ মােশাররফ।
।। মুক্তিযুদ্ধের যে সেক্টরে কোনাে নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিল না— ১০ নং সেক্টর।
।। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ‘জেড ফোর্স ব্রিগেডের প্রধান ছিলেন - জিয়াউর রহমান।
।। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী যে সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল তা হল— ৭।
।। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অপারেশন জ্যাকপটে নৌ-কমান্ডারদের আক্রমণের সাংকেতিক
নির্দেশ দেয়া হতাে— স্বাধীন বাংলা বেতারের গানে।
।। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী গঠিত হয়— ২১ নভেম্বর ১৯৭১।
।। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ডের সেনাধ্যক্ষ ছিলেন জেনারেল জগজিৎ সিং অরােরা।
।। পাকিস্তানি পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী (এ কে খান)।
।। জেনারেল ওসমানী বাংলাদেশের সেনাপ্রধান নিযুক্ত হন— ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
।। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একজন ইতালির নাগরিক মৃত্যুবরণ করেন, তার নাম— মাদার মারিও ভেরেনজি।
।। বাংলাদেশের প্রতি প্রথম আনুগত্য প্রকাশ করেন পাকিস্তানের হাইকমিশন অফিস প্রধান— এম হােসেন আলী।
।। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পান— ৮ জানুয়ারি ১৯৭২।
।। রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন— তাজউদ্দীন আহমদ।
।। মুক্তিযুদ্ধকালীন ফোর্স ছিল— ৩টি । (কে ফোর্স, এস ফোর্স ও জেড ফোর্স)।
।। মুক্তিযুদ্ধকালীন যে তারিখে বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়— ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১।
।। এম এ জি ওসমানীকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ঘােষণা করা হয় - তেলিয়াপাড়া হেডকোয়ার্টার, সিলেটে।
মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা ও স্বীকৃতি
।। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘে যে দেশ বাংলাদেশের পক্ষে 'ভেটো' প্রদান করেছিল—সােভিয়েত ইউনিয়ন।
।। বাংলাদেশেকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম অনারব মুসলিম দেশ— সেনেগাল।
।। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম ইউরােপীয় দেশ— পূর্ব জার্মানি।
।। যে বিখ্যাত ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজনীতির কবি (Poet of Politics) আখ্যা দিয়েছিল - নিউজ উইকস।
।। দ্য ব্লাড টেলিগ্রাম (The Blood Telegram) গ্রন্থটির লেখক—গ্যারি জে ব্যাস।
।। বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ - ভুটান।
[Note: ভুটান ও ভারত ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ স্বীকৃতি দিলেও ভারতের কয়েক ঘণ্টা আগে ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।]
।। যে আরব দেশ সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে— ইরাক ।
।। বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী দ্বিতীয় দেশের নাম— ভারত।
।। স্বাধীন বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতিদান করে— ৪ এপ্রিল ১৯৭২।
।। বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী ১ম আফ্রিকান দেশ— সেনেগাল ।
।। কনসার্ট ফর বাংলাদেশ' খ্যাত বাদক দলের নাম— বিটলস্।
।। বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম অনারব দেশ— [Note : বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম অনারব
মুসলিম দেশ সেনেগাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২। ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া স্বীকৃতি দেয় ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২। মালদ্বীপ স্বীকৃতি দেয় ১২ এপ্রিল ১৯৭২ আর পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ ]
।। বাংলাদেশকে চীন যে সালে স্বীকৃতি দেয়—১৯৭৫।
।। যে বিদেশি সাংবাদিক ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি বর্বরতার খবর বহির্বিশ্বে প্রকাশ করেন—সাইমন ড্রিং।
।। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তৎকালীন সােভিয়েত ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন— আলেস্কি কোসিগিন।
।। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন— সমর সেন ।
।। ১৯৭১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহায্য করেছিলেন -অজয় মুখােপাধ্যায় ।
।। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন উ থান্ট।
।। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ছিল - ভারত ও সােভিয়েত ইউনিয়ন।
।। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল - বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে।
।। অন্ত্র, সেনা ও সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল - ভারত।
।। যৌথ বাহিনী গঠন হয়েছিল - মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বয়ে
।। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র যে নৌবহর প্রেরণ করেছিল - সপ্তম নৌবহর ।
।। জাতিসংঘের সদস্যপদ না পেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে যে রাষ্ট্র ভেটো দিয়েছিল - চীন
।। সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল - ভিয়েতনামের টংকিং উপসাগর থেকে।
পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়
মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধন ইতিহাসের নৃশংসতম ও বর্বরােচিত হত্যাযজ্ঞ । ১৪ ডিসেম্বর রাতে বাঙালি বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদগণ এই সুপরিকল্পিত নিধনযজ্ঞের শিকার হন।
আত্মসমর্পণের পূর্বে বুদ্ধিজীবী হত্যা
।। মুক্তিযুদ্ধকালীন বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়-১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১।
।। বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস- ১৪ ডিসেম্বর।
।। মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শক্রমুক্ত জেলা হলাে - যশাের।
।। বাংলাদেশ সফরকারী প্রথম বিদেশী সরকার প্রধান— ইন্দিরা গান্ধী।
।। মুক্তিযুদ্ধের আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়— সােহরাওয়ার্দী উদ্যান।
।। পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর নেতৃত্বে অন্যূন দশ জনের একটি কমিটি কর্তৃক প্রণীত হয়—বুদ্ধিজীবী নিধনের নীলনকশা ।
।। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে শােকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়— ১৪ ডিসেম্বর।
।। ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান বধ্যভূমি ছিল— আলেকদি, কালাপানি, রাইনখােলা, মিরপুর বাংলা কলেজের পশ্চাদ্ভাগ, হরিরামপুর গােরস্তান, মিরপুরের শিয়ালবাড়ি, মােহাম্মদপুর থানার পূর্বান্ত ও রায়ের বাজার।। প্রাপ্ত তথ্যসূত্র থেকে বুদ্ধিজীবী শহীদদের মােটামুটি যে সংখ্যা দাঁড় করানাে যায়, তা হলাে : ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবী, ৯ জন সাহিত্যিক ও শিল্পী, ৫ জন প্রকৌশলী এবং অন্যান্য ২ জন। (তথ্যসূত্র : বাংলাপিডিয়া ৯ম খণ্ড)
আত্মসমর্পণ ও চূড়ান্ত বিজয়
।। বাংলাদেশে মর্যাদা অনুসারে ৩য় বীরত্বসূচক খেতাব - বীরবিক্রম ।
।। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন— গ্রুপ ক্যাপ্টেন ।এ কে খন্দকার ।
।। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে— ঢাকার তকালীন রেসকোর্স ময়দানে।
।। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব – বীরশ্রেষ্ঠ ।
।। স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য যে কয়জন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধি দেয়া হয়— ২ জন।
|। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন— ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ |
।। ১৯৭১ সনের ১৬ ডিসেম্বর বাংলা সন - ১৩৭৮।
।। '৭১-এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য সােহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণআদালত অনুষ্ঠিত হয়েছিল---১৯৯২ সালে।
।। প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা - যশাের, ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১।
।। যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে - ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য ।
।। বেসরকারি পর্যায়ে মুক্তিযােদ্ধা দিবস পালিত হয় -১ ডিসেম্বর।
।। নিয়াজী যে দূতাবাসের সাথে আত্মসমর্পণের জন্য আলােচনা করে - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
।। দু’বাহিনীর (বাংলাদেশ-ভারত) আক্রমণে পাকিস্তানের সবকটি বিমান ধ্বংস হয়ে যায় - ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১।
।। যে পাক সেনানায়ক প্রথম আত্মসমর্পণ করেন - মেজর জেনারেল জামশেদ।
।। বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে বঙ্গভবনে আসেন - ইন্দিরা গান্ধী (ভারত)।
।। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয় - ১২ মার্চ ১৯৭২।
জাতীয় প্রতীক, পতাকা, সংগীত, দিবস ও অন্যান্য
।। মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের যে কটি জেলার সীমান্ত রয়েছে ৩ টি।
।। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা গৃহীত হয়- ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২।
।। কোনাে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীতের বাজানাে হয় - প্রথম ৪টি চরণ ।
|। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার দৈর্ঘ্য-প্রস্থের অনুপাত - ১০ঃ ৬।
।। বাংলাদেশের জাতীয় দিবস - ২৬ মার্চ।
।। বাংলাদেশের জাতীয় ফল - কাঁঠাল।
।। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মনােগ্রামে তারকা চিহ্ন রয়েছে- ৪টি।
।। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার-- কামরুল হাসান।
।। বাংলাদেশের জাতীয় পাখি - দোয়েল।
।। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতে যে বিষয়টি প্রধান্য পেয়েছে— বাংলার প্রকৃতির কথা ।
।। বাংলাদেশে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ১৪ ডিসেম্বর।
।। বাংলাদেশের জাতীয় খেলা - কাবাডি ।
।। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি - ঐক্য ও সংহতি।
।। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ঢাকার যে এলাকায় অবস্থিত – আগারগাঁও।
।। জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয় - ১৭ মার্চ।
।। জাতীয় শােক দিবস - ১৫ আগস্ট।
।। ১৭ এপ্রিল তারিখ পালিত হয়— মুজিবনগর দিবস ।
।। বাংলাদেশের রণসংগীতের রচয়িতা- কাজী নজরুল ইসলাম।
।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস— ১০ জানুয়ারি ।
।। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীকের ডিজাইনার - এ এন সাহা ।
।। মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রকাশিত ডাকটিকিটের ডিজাইনার ছিলেন— বিমান মল্লিক।
।। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
।। বাংলাদেশের জাতীয় বৃক্ষ— আম বৃক্ষ ।
।। বাংলাদেশ ছাড়া আর যে দেশ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচিত করেছে - ভারত।
এক নজরে জাতীয় বিষয়।
জাতীয় ভাষা -বাংলা
জাতীয় সঙ্গীত (Anthem) - আমার সােনার বাংলা (প্রথম ১০ চরণ)
জাতীয় পাখি -দোয়েল (Magpie Robin)
জাতীয় ফুল -শাপলা (Water Lily)
জাতীয় পণ্ড -রয়েল বেঙ্গল টাইগার
জাতীয় বন -সুন্দরবন
জাতীয় বৃক্ষ -আম গাছ (Mango Tree)
জাতীয় চিড়িয়াখানা- ঢাকা চিড়িয়াখানা (মিরপুর)।
জাতীয় সংবাদ সংস্থা -বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (BSS বা বাসস)।
জাতীয় ফল - কাঁঠাল (Jack fruit)
জাতীয় মাছ - ইলিশ (Hilsha)
জাতীয় মসজিদ - বায়তুল মােকাররম
জাতীয় বিমানবন্দর -হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর
জাতীয় গ্রন্থাগার - শেরেবাংলা নগর, আগারগাঁও, ঢাকা।
জাতীয় জাদুঘর (Museum) - জাতীয় জাদুঘর, শাহবাগ, ঢাকা
জাতীয় পতাকা - সবুজের মাঝে লাল বৃত্ত
জাতীয় কবি -কাজী নজরুল ইসলাম
জাতীয় পার্ক - শহীদ জিয়া শিশু পার্ক
জাতীয় খেলা - কাবাডি
জাতীয় স্মৃতিসৌধ - সম্মিলিত প্রয়াস
জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস - ২৬ মার্চ
জাতীয় স্টেডিয়াম - বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম
জাতীয় প্রতীক (Emblem) - উভয় পাশে ধানের শীষবেষ্টিত পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা। তার মাথায় পাট গাছের পরস্পর সংযুক্ত তিনটি পাতা এবং উভয় পাশে দুটি করে তারকা
Video বিসিএস প্রিলিমিনারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলি