- Get link
- X
- Other Apps
বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান কাকে বলে?
বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান সম্পর্কিত সাক্ষ্য আইনের বিধান।
রাষ্ট্র বিশেষ সুবিধা দায়মুক্তির অধিকার রাখে, যা নাগরিকদের জন্য প্রযােজ্য নয়।
বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান (Privileged Communication) কাকে বলে?
বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান কাকে বলে? বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান সম্পর্কিত সাক্ষ্য আইনের বিধান। রাষ্ট্র বিশেষ সুবিধা দায়মুক্তির অধিকার রাখে, যা নাগরিকদের জন্য প্রযােজ্য নয়।
বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান (Privileged Communication) কাকে বলে :
সাক্ষ্য আইনে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদানের কোন সংজ্ঞা দেয়া হয়নি। তবে ১২১ থকে ১৩১ ধারা পর্যালােচনা করে বলা যায়- কোন গােপনীয় তথ্য প্রকাশ না করার ব্যাপারে আইনগত অধিকার প্রদান করাকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান বা Privileged Communication বলে। কোন তথ্য আদান-প্রদান যদি অপরাধমূলক না হয় বা প্রতারণামূলক না হয় তাহলে উত্ত তথ্য প্রকাশ করতে কোন পক্ষকেই বাধ্য করা যায় না। যেমন : কোন মক্কেল তার আইনজীবীর সাথে কি পরামর্শ করেছেন সেই সম্পর্কে উক্ত আইনজীবীকে প্রশ্ন করা যাবে না। এটি হলাে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান বা Privileged Communication.
বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান সম্পর্কিত সাক্ষ্য আইনের বিধান :
সাক্ষ্য আইনৈর ১২১ থকে ১৩১ ধারা অনুযায়ী নিম্নোক্ত বিষয়কে সম্পূর্ণরূপে বিশেষ সুবিধাপ্রপ্ত
আদান-প্রদান বলা যায় :
(১) বিচারকের রায় : কোন বিচারক যদি সাক্ষী হন তাহলে তিনি বিচারকার্য পরিচালনার সময়
তাঁর আচারণ বা তার বিচার সম্পর্কীয় কোন প্রশ্নের উত্তর প্রদানে তাঁকে বাধ্য করা যায় না। [ধারা-১২১]
(২) স্বামী-স্ত্রীর পত্রালাপ : বিবাহ বলবৎ থাকাকালীন সময়ে স্বামী-স্ত্রীর কোন তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় না। (ধারা-১২২]
(৩) রাষ্ট্রীয় চিঠি-পত্র : রাষ্ট্রীয় কোন গােপন চিঠি-পত্র সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা যায় না। [ধারা-১২৩, ১২৪]
(৪) পুলিশের কাজ : পুলিশের সংগৃহীত তথ্যের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় না। (ধারা-১২৫)
(৫) ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাজ : ম্যাজিষ্ট্রেট এর সংগৃহীত তথ্যের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় না। [ধারা-১২৫)
(৬) রাজস্ব অফিসারের কাজ : রাজস্ব অফিসারের সংগৃহীত তথ্যের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় না। ধারা-১২৫]
(৭) পেশা সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান : অ্যাডভােকেট, ব্যারিস্টার, এ্যাটর্নি ইত্যাদি আইনজীবী হিসেবে তাদের মক্কেলদের নিকট থেকে যে সকল তথ্য পেয়ে থাকেন তা মক্কেলের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারেন না। ধারা-১২৬]
(৮) দোভাষীর সাথে তথ্য আদান-প্রদান : দোভাষীর ক্ষেত্রেও ১২৬ ধারা প্রযােজ্য হবে। অর্থাৎ দোভাষী যে সকল তথ্য পেয়ে থাকেন তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারেন না। (ধারা-১২৬]
(৯) আইন উপদেষ্টার সাথে তথ্য আদান-প্রদান : কোন মক্কেল তার আইনজীবীর সাথে কি পরামর্শ করেছেন বা উক্ত মক্কেলের নিকট থেকে আইনজীবী যে সকল দলিল দেখেছেন মক্কেলের অনুমতি ছাড়া সেই সম্পর্কে উক্ত আইনজীবীকে প্রশ্ন করা যায় না। তবে বেআইনী সংবাদ বা কোন অপরাধ বা প্রতারণা পরিলক্ষিত হলে আইনজীবী তা প্রকাশ করতে পারেন । [ধারা-১২৯]
(১০) মামলার পক্ষ নয় এমন ব্যক্তির দলিল উপস্থাপন : মামলার পক্ষ নয় এমন ব্যক্তিকে বা তার প্রতিনিধিকে দলিল দাখিল করতে বাধ্য করা যায় না। তবে যিনি দলিল দাখিল করাতে চান তার সাথে লিখিত কোন সম্মতিপত্র থাকলে উক্ত দলিল দাখিল করতে বাধ্য করা যায়। [ধারা-১৩০]
(১১) বিশেষ দলিল উপস্থাপন : কান ব্যক্তির নিকট যদি এমন দলিল থাকে যে, উক্ত দলিল অন্যের নিকট থাকলেও তা দাখিল করতে তিনি অস্বীকার করার অধিকারী হতেন, তাহলে শেষের ব্যক্তি সম্মতি প্রদান না করলে উক্ত দলিলটি দাখিল করার জন্য প্রথম ব্যক্তিকে (অর্থাৎ যার নিকট দলিল রয়েছে) বাধ্য করা যাবে না। ধারা-১৩১]
যেমন : A এর নিকট এমন একটি দলিল রয়েছে যে, যদি উক্ত দলিলটি B এর নিকটও থাকতাে তাহলেও A উক্ত দলিল দাখিল করতে অস্বীকার করার অধিকারী হতেন।
এক্ষেত্রে B এর সম্মতি ছাড়া A কে উক্ত দলিল দাখিল করার জন্য বাধ্য করা যাবে না।
রাষ্ট্র বিশেষ সুবিধা ও দায়মুক্তির অধিকার রাখে, যা নাগরিকদের জন্য প্রযােজ্য নয় :
সাক্ষ্য আইনের ১২৩ এবং ১২৪ ধারা অনুযায়ী 'রাষ্ট্র বিশেষ সুবিধা ও দায়মুক্তির অধিকার রাখে যেগুলি সাধারণ নাগরিকগণ পায় না। নিশ্নে তা আলােচনা করা হলাে :
১২৩ ধারা : ১২৩ ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় কোন গােপন চিঠি-পত্র সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তিকে সাক্ষ্য প্রদান করতে অনুমতি দেওয়া যাবে না। সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পরস্পর মামলা চলার সময় তাদের কোন্দলে সরকারি কোন গােপন তথ্য আনা যাবে না এটি হলাে এই ধারার মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
১২৪ ধারা ; ১২৪ ধারা অনুযায়ী যদি কোন গােপন তথ্য প্রকাশ করলে গণস্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা থাকে তাহলে উক্ত সরকারি তথ্য প্রকাশ করার জন্য কোন সরকারি কর্মচারিকে বাধ্য করা যাবে না। সরকারি কোন গোপন তথ্য প্রকাশ করলে গণস্বার্থ বিঘ্নিত হবে কি না তা বিচার করার ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানের। এই বিষয় বিচার করার এখতিয়ার আদালতের নেই। সাধারণ নিয়ম হলাে কোন মামলার বিচারকালে উভয় পক্ষকে যুক্তি প্রমাণের জন্য তাদের দখলে থাকা প্রাসঙ্গিক সকল দলিল আদালতে উপস্থাপন করতে হয়। তা না হলে যে পক্ষ ব্যর্থ হয় তাদের বিরুদ্ধে রায় হয়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় বিষয় সম্পর্কিত নথিপত্র সাক্ষ্য হিসেবে পেশ করা না হলে এই জাতীয় ব্যর্থতা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায় না। সুতরাং বলা যায়- রাষ্ট্র কিছু বিশেষ সুবিধা ও
দায়মুক্তির অধিকার রাখে যেগুলি সাধারণ নাগরিকগণ পায় না।
সাক্ষ্য আইনে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদানের কোন সংজ্ঞা দেয়া হয়নি। তবে ১২১ থকে ১৩১ ধারা পর্যালােচনা করে বলা যায়- কোন গােপনীয় তথ্য প্রকাশ না করার ব্যাপারে আইনগত অধিকার প্রদান করাকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান বা Privileged Communication বলে। কোন তথ্য আদান-প্রদান যদি অপরাধমূলক না হয় বা প্রতারণামূলক না হয় তাহলে উত্ত তথ্য প্রকাশ করতে কোন পক্ষকেই বাধ্য করা যায় না। যেমন : কোন মক্কেল তার আইনজীবীর সাথে কি পরামর্শ করেছেন সেই সম্পর্কে উক্ত আইনজীবীকে প্রশ্ন করা যাবে না। এটি হলাে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান বা Privileged Communication.
বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান সম্পর্কিত সাক্ষ্য আইনের বিধান :
সাক্ষ্য আইনৈর ১২১ থকে ১৩১ ধারা অনুযায়ী নিম্নোক্ত বিষয়কে সম্পূর্ণরূপে বিশেষ সুবিধাপ্রপ্ত
আদান-প্রদান বলা যায় :
(১) বিচারকের রায় : কোন বিচারক যদি সাক্ষী হন তাহলে তিনি বিচারকার্য পরিচালনার সময়
তাঁর আচারণ বা তার বিচার সম্পর্কীয় কোন প্রশ্নের উত্তর প্রদানে তাঁকে বাধ্য করা যায় না। [ধারা-১২১]
(২) স্বামী-স্ত্রীর পত্রালাপ : বিবাহ বলবৎ থাকাকালীন সময়ে স্বামী-স্ত্রীর কোন তথ্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় না। (ধারা-১২২]
(৩) রাষ্ট্রীয় চিঠি-পত্র : রাষ্ট্রীয় কোন গােপন চিঠি-পত্র সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধান কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা যায় না। [ধারা-১২৩, ১২৪]
(৪) পুলিশের কাজ : পুলিশের সংগৃহীত তথ্যের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় না। (ধারা-১২৫)
(৫) ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাজ : ম্যাজিষ্ট্রেট এর সংগৃহীত তথ্যের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় না। [ধারা-১২৫)
(৬) রাজস্ব অফিসারের কাজ : রাজস্ব অফিসারের সংগৃহীত তথ্যের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করা যায় না। ধারা-১২৫]
(৭) পেশা সম্পর্কিত তথ্য আদান-প্রদান : অ্যাডভােকেট, ব্যারিস্টার, এ্যাটর্নি ইত্যাদি আইনজীবী হিসেবে তাদের মক্কেলদের নিকট থেকে যে সকল তথ্য পেয়ে থাকেন তা মক্কেলের অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারেন না। ধারা-১২৬]
(৮) দোভাষীর সাথে তথ্য আদান-প্রদান : দোভাষীর ক্ষেত্রেও ১২৬ ধারা প্রযােজ্য হবে। অর্থাৎ দোভাষী যে সকল তথ্য পেয়ে থাকেন তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করতে পারেন না। (ধারা-১২৬]
(৯) আইন উপদেষ্টার সাথে তথ্য আদান-প্রদান : কোন মক্কেল তার আইনজীবীর সাথে কি পরামর্শ করেছেন বা উক্ত মক্কেলের নিকট থেকে আইনজীবী যে সকল দলিল দেখেছেন মক্কেলের অনুমতি ছাড়া সেই সম্পর্কে উক্ত আইনজীবীকে প্রশ্ন করা যায় না। তবে বেআইনী সংবাদ বা কোন অপরাধ বা প্রতারণা পরিলক্ষিত হলে আইনজীবী তা প্রকাশ করতে পারেন । [ধারা-১২৯]
(১০) মামলার পক্ষ নয় এমন ব্যক্তির দলিল উপস্থাপন : মামলার পক্ষ নয় এমন ব্যক্তিকে বা তার প্রতিনিধিকে দলিল দাখিল করতে বাধ্য করা যায় না। তবে যিনি দলিল দাখিল করাতে চান তার সাথে লিখিত কোন সম্মতিপত্র থাকলে উক্ত দলিল দাখিল করতে বাধ্য করা যায়। [ধারা-১৩০]
(১১) বিশেষ দলিল উপস্থাপন : কান ব্যক্তির নিকট যদি এমন দলিল থাকে যে, উক্ত দলিল অন্যের নিকট থাকলেও তা দাখিল করতে তিনি অস্বীকার করার অধিকারী হতেন, তাহলে শেষের ব্যক্তি সম্মতি প্রদান না করলে উক্ত দলিলটি দাখিল করার জন্য প্রথম ব্যক্তিকে (অর্থাৎ যার নিকট দলিল রয়েছে) বাধ্য করা যাবে না। ধারা-১৩১]
যেমন : A এর নিকট এমন একটি দলিল রয়েছে যে, যদি উক্ত দলিলটি B এর নিকটও থাকতাে তাহলেও A উক্ত দলিল দাখিল করতে অস্বীকার করার অধিকারী হতেন।
এক্ষেত্রে B এর সম্মতি ছাড়া A কে উক্ত দলিল দাখিল করার জন্য বাধ্য করা যাবে না।
Video বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত আদান-প্রদান (Privileged Communication) কাকে বলে