- Get link
- X
- Other Apps
মোকদ্দমায় পক্ষভূক্ত না করা এবং ভূল পক্ষভূক্তি কাকে বলে ও পার্থক্য কি?
এ সম্পর্কিত বিধিগুলি কি?
মোকদ্দমায় কারনসমূহ সংযোজন কি?
মোকদ্দমায় শুনানির সময় কিভাবে হাজির হবে?
পক্ষগণের হাজিরার বিধি ও গরহাজিরার ফলাফল কি?
গরহাজিরার ফলে মোকদ্দমা খারিজ হলে প্রতিকার কি?
গরহাজিরার উপযুক্ত কারন কি কি?
Video Short Notes on Law. ভিডিও শর্ট নোটস্ অন ল
পক্ষভূক্তি না করা বা নন জয়েন্ডার কাকে বলে?
কোন মোকদ্দমায় কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ যদি প্রয়োজনীয় পক্ষ হওয়া সত্ত্বেও তাকে বা তাদেরকে কক্ষ হিসেবে যুক্ত করা না হয় তাহলে তাকে পক্ষভুক্তি না করা বলে। এক্ষেত্রে যার বা যাদের নাম সংযোজন করা উচিত ছিল কিন্তু করা হয়নি তাদেরকে সংযোজন করা সঙ্গত মনে করলে আদালত সংযোজন করতে পারেন। এরূপ সংযোজন করলে দেওয়ানী কার্যবিধির ১ আদেশের ৯ বিধি অনুযায়ী মোকদ্দমা হবে না।
ভুল পক্ষ ভুক্তি বা মিস জয়েন্ডার কাকে বলে?
কোন মোকদ্দমা কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ যদি বাদী-বিবাদী হিসেবে পক্ষ হওয়ার কোনো কারণ না থাকে, অথচ তাকে বা তাদেরকে পক্ষ হিসেবে সংযোজিত করা হয়েছে তাহলে তাকে ভূল পক্ষভুক্তি বলা হয়। এক্ষেত্রে যার বা যাদের নাম বাদ দেওয়া উচিত তাকে বা তাদেরকে সঙ্গত মনে করলে আদালত পক্ষ থেকে বাদ দিতে পারেন।
পক্ষগণের অপসংযোগ বিধি কাকে বলে বা মিসজয়েন্দার অফ পার্টি কাকে বলে?
দেওয়ানী আইন অনুযায়ী-যে পক্ষ দায়ের করে তাকে বলে বাদী এবং যে পক্ষের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করা হয় তাকে বলে বিবাদী। পক্ষে অপসংযোগ দুইভাবে হতে পারে।
১। বিবাদীর বিরুদ্ধে বাদী গণের পরস্পর দাবি যদি ভিন্ন প্রকৃতির হয় তাহলে এই ধরনের অপসংযোগ ঘটতে পারে।
২। বাদী যদি বিবাদী গনের বিরুদ্ধে ভিন্ন ভিন্ন দাবী করে তাহলে এই ধরনের অপ সংযোগ ঘটতে পারে।
মোকদ্দমার শুনানির সময় পক্ষগণ কিভাবে হাজির হবে?
দেওয়ানী কার্যবিধির নয় আদেশের এক বিধি অনুযায়ী-বিবাদীকে আদালতে হাজির হয়ে মোকদ্দমার জবাব দেওয়ার জন্য সমন প্রদান করা হয়। সামনে যে তারিখ নির্ধারিত থাকে সেই তারিখে পক্ষগণ নিজে অথবা উকিল এর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা প্রদান করবেন। এছাড়া আদালত কর্তৃক নির্ধারিত কোন তারিখ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখা না হলে সেদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
পক্ষগণের হাজিরার বিধি এবং গরহাজির আর ফলাফল কি?
বিবাদীকে আদালতে হাজির হয়ে মোকদ্দমার জবাব দেওয়ার জন্য সমন প্রদান করা হয়। সামনে যে তারিখ নির্ধারিত থাকে সেই তারিখে পক্ষগণ নিজে অথবা উকিল এর মাধ্যমে আদালতে হাজিরা প্রদান করবেন। এছাড়া আদালত কর্তৃক নির্ধারিত কোন তারিখ পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রাখা না হলে সেইদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বাদীর গর হাজিরার কারণে মোকদ্দমা খারিজ হলে প্রতিকার কি?
দেওয়ানী কার্যবিধির আদেশ অনুযায়ী বাদীর গরহাজিরার কারণে মোকদ্দমা খারিজ হলে তার প্রতিকার হচ্ছে মোকদ্দমা শুনানির জন্য ডাকা হলে কোনো পক্ষই যদি হাজির না হয় তাহলে আদালত উক্ত মোকদ্দমা খারিজের আদেশ দিতে পারবেন। মোকদ্দমা শুনানির দিন বিবাদী হাজির কিন্তু বাদী অনুপস্থিত থাকলে বিবাদী যদি তাদের দাবি সম্পূর্ণ অংশবিশেষ মেনে না নেই তাহলে আদালত মোকদ্দমার খারিজের আদেশ দিবেন। আর যদি বিবাদী বাদীর দাবি সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ মেনে নেয় তাহলে সেই অনুপাতে আদালত বিভাগের বিরুদ্ধে ডিক্রি দান করবেন। আর অবশিষ্ট দাবি সম্পর্কে মোকদ্দমার খারিজের আদেশ দেবেন।
Video মোকদ্দমায় পক্ষভূক্ত না করা এবং ভূল পক্ষভূক্তি কাকে বলে ও পার্থক্য কি?