- Get link
- X
- Other Apps
আপীল কাকে বলে? কে কখন আপীল দায়ের করতে পারেন? আপীল পর্যায়ে কি অতিরিক্ত সাক্ষ্য নেয়া যায়?
মূল ডিক্রির বিরুদ্ধে কখন কিভাবে আপীল করা যায়? একতরফা, দোতরফা ডিক্রি ও সোলেনামা ডিক্রির বিরুদ্ধে কি আপিল চলে?
রিভিউ কি, কখন এবং কিভাবে করা হয়? রিভিউ নাকচ হলে আপিল চলে কিনা?
আপিল কাকে বলে?
১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধিতে আপিলের কোন সংজ্ঞা দেয়া হয়নি। তবে দেওয়ানী কার্যবিধির ৯৬ ধারা থেকে ১১২ ধারা এবং ৪১ থেকে ৪৫ আদেশে আপিলের বিধান উল্লিখিত হয়েছে। উল্লিখিত বিধান অনুযায়ী নিম্ন আদালতের রায় কোন পক্ষ সম্পূর্ণ বা আংশিক পরাজিত হলে সেই পক্ষ আপিল এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে অধস্তন আদালতের রায় বাতিল বা সংশোধন চেয়ে যেআবেদন করে তাকে আপিল বলে।
যিনি আপিল দায়ের করতে পারেন
যে সকল ব্যক্তি আপিল দায়ের করতে পারেন তারা হলেন নিম্নরূপ:
আদালতের রায় বা আদেশে যিনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তিনি উক্ত রায় বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে বা অক্ষম হলে তাহলে তার বৈধ প্রতিনিধি আপিল দায়ের করতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির হস্তান্তর গ্রহীতা আপিল দায়ের করতে পারেন। ডিক্রি জারির নিলাম ক্রেতা প্রতারণার অজুহাতে আপিল দায়ের করতে পারেন। কোন মোকদ্দমার বাদী বা বিবাদী যদি একাধিক হয় তাহলে তাদের মধ্য থেকে যে কোন একজন আপিল দায়ের করতে পারেন।
আপিল কখন দায়ের করা যায়
এই আইনে বা অন্য কোন আইনে ভিন্ন কোনো বিধান না থাকলে মূল এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের রায়ের ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যায়। যদি এক তরফা ডিক্রি হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যায়। অধস্তন আদালত যদি রীতিবিরুদ্ধ কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে। অধস্তন আদালত যদি কোন ভুল করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যায়। তবে সম্মতি মূলক বা সোলেনামা ডিক্রি হলে অর্থাৎ উভয় পক্ষের সম্মতিতে কোন ডিক্রি হলে তার বিরুদ্ধে আপিল করা যায় না।
আপিল আদালতের ক্ষমতা কতটুকু
দেওয়ানী কার্যবিধির ১০৭ ধারা এবং ৪১ আদেশ অনুযায়ী আপিল আদালতের ক্ষমতা নিম্নরূপ:
আপিল আদালত যদি মনে করেন যে আদি আদালত যার ভিত্তিতে বিচার নিষ্পত্তি করেছেন তা যথেষ্ট, তাহলে উক্ত মোকদ্দমা ফেরত না পাঠিয়ে আপিল আদালত মোকদ্দমা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করতে পারেন। আপিল আদালত যদি মনে করেন যে আদি আদালত যার ভিত্তিতে বিচার নিষ্পত্তি করেছেন তা যথেষ্ট নয় তাহলে আপিল আদালত উক্ত পুনর্বিচার করার জন্য নিম্ন আদালতে প্রেরণ করতে পারেন। আপিল আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে যে কোনো পক্ষকেই অতিরিক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে হাজির করার অনুমতি প্রদান করতে পারেন। আপিল আদালত অতিরিক্ত সাক্ষ্য দেয়ার অনুমতি প্রদান করলে তার কারণ মোকদ্দমা নথিতে লিপিবদ্ধ করবেন। মৌলিক এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের ন্যায় আপিল আদালতের ও একই ক্ষমতা থাকে। আপিল আদালত কোন সাক্ষীর জবানবন্দি নেয়া প্রয়োজন মনে করলে সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের অনুমতি প্রদান করতে পারেন। আপিল আদালত অতিরিক্ত প্রমাণ দাখিলের অনুমতি প্রদান করলে তার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন। আপিল আদালত নিজে অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারেন অথবা নিম্ন আদালত দ্বারা অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ করাতে পারেন। আপিল আদালত আইন সঙ্গত যেকোনো ডিক্রি বা আদেশ দান করতে পারেন। প্রয়োজন মনে করলে অতিরিক্ত যে কোন ডিক্রি বা আদেশ দান করতে পারেন।