- Get link
- X
- Other Apps
ভিডিও শর্ট নোটস্ অন ল - চার্জ ও চার্জ গঠন কাকে বলে?
চার্জ গঠনের উদ্দেশ্যে ও চার্জে কি কি বিষয় উল্লেখ থাকে?
কখন বিভিন্ন অপরাধের চার্জ ও বিচার একসাথে করা যায় ও কখন করা যায় না?
ত্রুটিপূর্ণ চার্জ গঠনের ফলাফল কি?
চার্জশিট ব্যাতিত বিচার বৈধ কিনা।
কখন আসামিকে অব্যহতি দেয়া হয়?
Video Short Notes on Law.
What is charge and what is framing of charge?
What is the aim of framing of charge?
What things are included in the charge?
When several charges can be framed and tried at the same time and when not possible?
What is the result of faulty charge?
Whether trial is valid without charge sheet.
When the defendant is discharged from guilt.
প্রশ্ন: চার্জ (charge) কাকে বলে?
উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধির ৪ (১) (সি) ধারা অনুযায়ী-কোন চার্জ একাধিক দফা সম্বলিত হলে সেই দফা সমূহের যে কোন একটি দফা চারজন অন্তর্ভুক্ত হবে। (Charge includes any head of charge when the charge contains more its than one.)
অন্যভাবে বলা যায় -কোন অপরাধীকে তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের জন্য প্রাথমিকভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হলে তাকে চার্জ বলে। অভিযুক্ত ব্যক্তি যে অপরাধ সংগঠিত করেছেন, সেই অভিযোগ চার্জে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে এবং আইনে সেই অপরাধে কোন নির্দিষ্ট নাম থাকলে তাও উল্লেখ করতে হবে। সুতরাং বলা যায়, চার্জ হল কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সংক্ষিপ্ত বিবরণ যার প্রকৃতি সম্পর্কে অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রাথমিক স্তরে জানার অধিকারী।
প্রশ্ন: চার্জ গঠন কাকে বলে? What is framing of charge?
উত্তর: অভিযুক্ত ব্যক্তি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির হলে বা হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট মামলার যাবতীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজন মনে করলে অভিযুক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং ফরিয়াদী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন মনে করলে তাকে অব্যাহতি দিবেন এবং অব্যাহতি প্রদানের কারণ লিপিবদ্ধ করবেন। ধারা ২৪১ (এ)। উপরোক্ত ক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগ ভিত্তিহীন মনে না করে যদি অপরাধ আছে বলে মনে করেন, তাহলে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করবেন। অতঃপর আসামিকে ওই অপরাধ স্বীকার করে কিনা তা জিজ্ঞাসা করবেন। ধারা ২৪২
এটি হল চার্জ গঠন বা framing of charge.
প্রশ্ন: চার্জ গঠনের উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: ১) চার্জ গঠনের মাধ্যমে তিনি অভিযোগ করেন তার পরিচয় জানা যায়।
২) চার্জ গঠনের মাধ্যমে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তার পরিচয় জানা যায়।
৩) চার্জ গঠনের মাধ্যমে মূল অভিযোগ সম্পর্কে জানা যায়।
৪) চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলা একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে চলতে। থাকে যার ফলে জটিলতা পরিহার করা যায়।
৫) চার্জ গঠনের মাধ্যমে অভিযোগকেই কিভাবে সংঘটিত হয়েছিল তা জানা যায়।
৬) যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেই অপরাধী সম্পর্কে আইন কি বলে, তা চার্জ গঠনের মাধ্যমে জানা যায়।
৭) চার্জ গঠনের পর কোন ব্যক্তি অভিযুক্ত হলে তখন তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ লাভ করেন।
প্রশ্ন: একটি চার্জে কি কি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে?
উত্তর: ১) অপরাধের বিবরণ
২) অপরাধের নাম
৩) অপরাধের নাম না থাকলে এমন বিবরণ লিখতে হবে যাতে আসামি তার অভিযোগ সম্পর্কে বুঝতে পারে
৪) কত ধারায় অপরাধ তা উল্লেখ করতে হবে
৫) অপরাধ সংগঠনের স্থান
৬) অপরাধ সংগঠনর সময়
৭) যার বিরুদ্ধে অপরাধ করা হয়েছে তার নাম
৮) কোন বস্তুর বিরুদ্ধে অপরাধ করা হলে তার নাম
৯) আসামি পূর্বে দণ্ডিত থাকলে তার বিবরণ
১০) অর্থ আত্মসাৎ হলে অর্থের পরিমাণ
১১) চার্জটি বাংলা ভাষায় অথবা ইংরেজি ভাষায় লিখতে হবে।
প্রশ্ন: প্রত্যেক স্বতন্ত্র অপরাধের জন্য কি আলাদা চার্জ গঠন করতে হবে?
উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধির ২৩৪ থেকে ২৩৬ ধারা অনুযায়ী যখন বিভিন্ন অপরাধের চার্জ একত্রিত করা যায় তা উল্লেখ করা হলো: ১) এক বছরের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি একই ধরনের একাধিক অপরাধ করে তাহলে সর্বোচ্চ তিনটি অপরাধের জন্য একটি চার্জ গঠন করে বিচার করা যাবে ধারা ২৩৪
২) পরপর সংঘটিত কাজ যদি এরূপ সম্পর্কযুক্ত হয় যে কাজগুলি একটি বিষয়ের শামিল এবং একই ব্যক্তি সেই ব্যাপারে একাধিক অপরাধ করে, তাহলে প্রত্যেক অপরাধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন চার্জ গঠন করা যাবে এবং একত্রে বিচার করা যাবে ধারা ২৩৫
যেমন: যদি 'ক' ব্যভিচারের উদ্দেশ্যে দিনের বেলা 'খ' এর ঘর ভেঙ্গে তার ঘরে প্রবেশ করে তার স্ত্রীর সাথে ব্যভিচার করে, তাহলে 'ক' এর বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪৫৪ এবং ৪৯৭ ধারার অধীনে অভিযোগ গঠন করে দণ্ডিত করা যাবে।
৩।) পরপর সংঘটিত কাজ যদি এমন অপরাধ হয় যে তা দুই বা ততোধিক পৃথক সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে প্রত্যেক অপরাধের জন্য অভিযোগ গঠন করা যাবে এবং একই মামলায় বিচার করা যাবে। ধারা ২৩৫
যেমন: যদি 'ক' অন্যায় ভাবে 'খ' কে বেত্রাঘাত করে তাহলে 'ক' এর বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৩২৩ ও ৩৫২ ধারার অধীনে অভিযোগ গঠন করে দণ্ডিত করা যাবে।
৪) পরপর সংঘটিত কাজের একটি যদি একক ভাবে অথবা একাধিক কাজ একত্রে করলে পৃথক অপরাধ গঠন করে, তাহলে একটি অপরাধের জন্য চার্জ গঠন করা যাবে এবং একই মামলায় তার বিচার করা যাবে। ধারা ২৩৫
যেমন: 'ক' যদি 'খ' এর উপর দস্যুতা করে এবং ইচ্ছাকৃত আঘাত করে তাহলে 'ক' এর বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৯২ এবং ৩৯৪ ধারার অধীনে অভিযোগ গঠন করে দণ্ডিত করা যাবে।
৫) যদি এক বা একাধিক কাজের প্রকৃতি এমন হয় যে, তার দ্বারা কি অপরাধ সংঘটিত হবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে একই মামলায় তার বিচার করা যাবে। ধারা ২৩৬
প্রশ্ন: একটি ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগ কি সাজার জন্য বিপজ্জনক হবে:
উত্তর: চার্জ গঠনের সময় কোন ভুল-ভ্রান্তি হলে সাধারণত মামলার কোনো ক্ষতি হয় না। তবে ফৌজদারি কার্যবিধির ২২৫ ধারা অনুযায়ী চার্জ গঠনের ক্ষেত্রে কোনো অপরাধ বর্ণনা বা কোনো তথ্য পরিবেশনের সময় কোন ভুল হলে অথবা কোন কিছু বাদ পড়লে তা যদি আসামিকে বিভ্রান্ত না করে এবং ন্যায়বিচার ব্যাহত না হয়, তাহলে তা মামলার কোনো পর্যায়ে গুরুতর বলে গণ্য হবে না। সুতরাং বলা যায়, ত্রুটিপূর্ণ অভিযোগ যদি কোনো মামলার ন্যায়বিচারকে ব্যাহত না করে তাহলে তার জন্য বিপদজনক হবে না।
প্রশ্ন: চার্জ গঠন না করে বিচার করা কি বৈধ?
উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধির 232 ও 535 ধারা অনুযায়ী চার্জ গঠন করে বিচার করা কি বৈধ বা চার্জগঠন ব্যতীত বিচারের বৈধতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ১) ফৌজদারী কার্যবিধি ২৭ অধ্যায়ের ক্ষমতা প্রয়োগকালে আপিল আদালত বা হাইকোর্ট বিভাগ যদি মনে করেন যে, চার্জগঠন না হওয়ায় দণ্ডিত ব্যক্তি তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থনের ব্যাপারে বিভ্রান্ত হয়েছে, তাহলে উক্ত আদালত যেরূপ উপযুক্ত মনে করবেন সেইরূপ চার্জ গঠন করে নতুন বিচারের নির্দেশ দিবেন ধারা ২৩২
২) আদালত যদি মনে করেন যে, মামলার ঘটনা এমন যে, প্রমাণিত তথ্যগুলির ভিত্তিতে অপরাধীর বিরুদ্ধে বৈধ চার্জ গঠন করা যেত না, তাহলে আদালত উক্ত দন্ড রদ করে দিবেন। ধারা ২৩২
৩) যদি আপিল বা রিভিশন আদালত মামলার ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে বলে মনে না করেন, তাহলে কেবলমাত্র চার্জ গঠন করা হয়নি বলে কোন দন্ড অবৈধ বলে গন্য হবেনা। ধারা ৫৩৫
৪) যদি আপিল বা রিভিশন আদালত মামলার ন্যায়বিচার ব্যাহত হয়েছে বলে মনে করেন, তাহলে পুনরায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করার আদেশ দিবেন। ধারা ৫৩৫
প্রশ্ন: কখন একজন আসামীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়?
উত্তর: ফৌজদারী কার্যবিধি ২৪১ (এ) এবং ২৬৫ (সি) ধারা অনুযায়ী নিম্মোক্ত ক্ষেত্রে একজন আসামীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
১) অভিযুক্ত ব্যক্তির ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট হাজির হলে বা হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট মামলার যাবতীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে প্রয়োজন মনে করলে অভিযুক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি গ্রহণ করে এবং ফরিয়াদী ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন মনে করলে তাকে অব্যাহতি দিবেন এবং অব্যাহতি প্রদানের কারণ লিপিবদ্ধ করবেন। ধারা ২৪১(এ)
২) দায়রা আদালত মামলার নথি এবং অন্যান্য দলিল বিবেচনা করে আসামি পক্ষ ও সরকার পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ করে যদি মনে করেন যে, আসামির বিরুদ্ধে মামলা চালানোর কোনো কারণ নেই, তাহলে দায়রা আদালত আসামিকে অব্যাহতি দিবেন এবং এই অব্যাহতি দেয়ার কারণ লিপিবদ্ধ করবেন। ধারা ২৬৫ (সি)