- Get link
- X
- Other Apps
গ্রেফতারি পরোয়ানা
গ্রেফতারি পরোয়ানা কি? গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া কখন একজন পুলিশ অফিসার গ্রেফতার করতে পারে? পুলিশ ব্যাতিত কোন ব্যাক্তি কখন গ্রেফতার করতে পারে?
What is Arrest and what is warrant for Arrest? When does a police officer may arrest without warrant? When can a general public arrest without warrant. Section 54 of Arrest and arrest warrant of Criminal Procedure Code 1898.
গ্রেপ্তার Arrest
কোন ব্যক্তিকে আইন দ্বারা পাকড়াও করা হলে তাকে গ্রেপ্তার বলে অর্থাৎ কোন ব্যক্তি কোন অপরাধ সংঘটন করলে বা অপরাধ সংঘটন করতে উদ্যত হলে তাকে বিচারের জন্য আইন দ্বারা পাকড়াও করা হলে তাকে গ্রেফতার বলে আবার কোন ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করলে তাকে হেফাজতে গ্রহণ করলেও তা গ্রেফতার হিসেবে পরিগণিত হয়। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬ ধারায় গ্রেফতার এর পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে, উক্ত ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তি তার কথায় বা কাজে আত্মসমর্পণ করতে পারেন। আসামি তা করতে ব্যর্থ হলে তাকে শারীরিকভাবে ধরবেন অথবা অন্যকোন ভাবে আটক করবেন। কোন ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ না করলে তাকে আটকের জন্য এতো দূর পর্যন্ত যাওয়া যাবে না যাতে তার মৃত্যু হতে পারে।
প্রশ্ন: গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কাকে বলে?
উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধিতে গ্রেফতারি পরোয়ানার সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা প্রদান করা হয়নি তবে বিভিন্ন পর্যালোচনায় বলা যায় কোন ব্যক্তিকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের জবাব দানের নিমিত্তে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য গ্রেফতারের আদেশ নামা কে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বলে। কোন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করতে প্রথমেই সমন জারি করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উক্ত ব্যক্তি হাজির না হলে বা হাজির করতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী আদালত নিম্নোক্তভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।
১। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা লিখিত এবং প্রিজাইডিং অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও আদালতের সীলমোহর যুক্ত হবে - ধারা ৭৫
২। গ্রেফতার কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত অথবা গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুকারী আদালত কর্তৃক বাতিল না করা পর্যন্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা বলবৎ থাকবে। ধারা ৭৫
৩। আদালত জামিন দার সহ কোন ব্যক্তিকে জামানত গ্রহণপূর্বক হেফাজত থেকে মুক্তি প্রদানের আদেশ দিতে পারেন। ধারা ৭৬
৪। ৭৬ ধারা অনুযায়ী জামানত গ্রহণ করা হলে যে অফিসারের উপর পরোয়ানা নির্দেশিত হয়েছিল তিনি মুচলেকা টি আদালতে প্রেরণ করবেন ৭৬ (৩)
৫। এক বা একাধিক পুলিশ অফিসারের উপর পরোয়ানা নির্দেশিত হবে তবে পরোয়ানা দ্রুত কার্যকর করার প্রয়োজন হলে এবং অবিলম্বে কোন পুলিশ অফিসার পাওয়া না গেলে আদালত অন্য এক বা একাধিক ব্যক্তির উপর নির্দেশিত করতে পারেন। ধারা ৭৭
৬। কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা এক বা একাধিক ব্যক্তির উপর নির্দেশিত হলে তারা সকলেই বা তাদের যেকোনো একজন উক্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারেন ধারা ৭৭ (২)
৭। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নির্দেশিত পুলিশ অফিসার বা নির্দেশিত বক্তি যখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবেন, তখন তাকে গ্রেফতার করা হবে। তাকে গ্রেফতারি পরোয়ানার সারমর্ম জানাবেন এবং প্রয়োজন হলে তাকে গ্রেফতারি পরোয়ানা টি দেখাবেন ধারা ৮০
৮। নির্দেশিত পুলিশ অফিসার বা নির্দিষ্ট ব্যক্তি যখন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করবেন তখন গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করবেন ধারা ৮১
৯। বাংলাদেশের যেকোন স্থানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা যাবে। ধারা ৮২
১০। গ্রেফতারি পরোয়ানা যখন স্থানীয় সীমার বাইরে কার্যকর করার প্রয়োজন হয়, তখন আদালত যে এলাকায় তা কার্যকর করতে হবে সেই এলাকায় গ্রেফতারি পরোয়ানাটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট, মহানগর এলাকা হলে পুলিশ কমিশনারের নিকট ডাকযোগে বা অন্য কোনোভাবে প্রেরণ করবেন। যার প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রেরণ করা হবে তিনি যথানিয়মে সে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ধারা ৮৩
১১। ৮৩ ধারা অনুযায়ী যিনি পরোয়ানার জন্য নির্দেশিত হয়েছিলেন তিনি গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে সংশ্লিষ্ট আদালতের এক হাজতে প্রেরণ করতে নির্দেশ দিবেন। ধারা ৮৬
১২। ৮৬ ধারা অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির অপরাধ জামিনযোগ্য হলে সন্তুষ্টি বিধানের সাপেক্ষে উক্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা পুলিশ সুপার ইনটেনডেন্ট, পুলিশ কমিশনার আসামির জামানত গ্রহণ করতে পারবেন এবং মুচলেকা টি পরোয়ানা দানকারী আদালতে প্রেরণ করবেন। ধারা ৮৬
প্রশ্ন: গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া একজন পুলিশ অফিসার কখন কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারেন?
উত্তর: ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারা অনুযায়ী নয়টি ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসার কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া গ্রেফতার করতে পারেন। নয়টি ক্ষেত্র হচ্ছে, আমলযোগ্য অপরাধের জড়িত ব্যক্তি, কারণ ছাড়া যার নিকট ঘর ভাঙার যন্ত্র পাওয়া যায়, সরকার কর্তৃক ঘোষিত অপরাধী, চোরাই মাল যার নিকট পাওয়া যায়, পুলিশের সরকারি কাজে বাধাদানকারী বা পুলিশের নিকট থেকে পলায়নকারী, প্রতিরক্ষা বাহিনী থেকে পলায়নকারী, প্রত্যর্পণ আইনের বাংলাদেশের বাইরে কৃত অপরাধী, পূর্বে দণ্ডিত ব্যক্তি মুক্তির পর স্থায়ী ঠিকানা গোপনে পরিবর্তন করলে, এবং যাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অফিসারের নিকট থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ধন্যবাদ।
Shameem Sarwar
shameem.sarwar@yahoo.com