- Get link
- X
- Other Apps
অপরাধ স্বীকার কাকে বলে? ১৬৪ ধারা অনুযায়ী কে স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন ও স্বীকারোক্তির সাক্ষ্যগত মূল্য কি?
What is Confession? Who will take Confession according to Section 164 of Criminal Procedure Code 1898 and what is the procedure for confession? What is the evidential value of confession. Video short notes on law.
স্বীকারোক্তি প্রদান করতে বাধ্য নন
অপরাধীর কার উক্তি লিপিবদ্ধ করার জন্য যে সকল আনুষ্ঠানিকতা অবশ্যই পালন করতে হবে তা উল্লেখ করা হলো ফৌজদারি কার্যবিধির 164 ধারা অনুযায়ী অপরাধী লিপিবদ্ধ করার পূর্বে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে বুঝিয়ে দিবেন যে তিনি স্বীকারোক্তি প্রদান করতে বাধ্য নন এবং তিনি যদি অপরাধ স্বীকার করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে এছাড়া স্বীকারোক্তি নিজের ইচ্ছায় স্বীকারোক্তি প্রদান করছে বলে যতক্ষণ ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট প্রতীয়মান না হবে ততক্ষণ তিনি উক্ত স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করবেন না।
ফৌজদারি কার্যবিধির 364 এক ধারা অনুযায়ী যখন কোন ম্যাজিস্ট্রেট বা হাইকোর্ট ব্যতীত অন্য কোন আদালত কোন অপরাধের জবানবন্দি গ্রহণ করেন তখন তাকে যে প্রশ্ন করা হয় সেই প্রশ্ন এবং তার জবাব যে ভাষায় প্রদান করা হয় সেই ভাসায় লিপিবদ্ধ করতে হবে। তাছাড়া যদি সম্ভব না হয় তাহলে আদালতের ভাষায় অথবা ইংরেজীতে লিপিবদ্ধ করতে হবে।
অপরাধ স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার পর
অতঃপর তাকে দেখাতে হবে বা পড়ে শোনাতে হবে সে উক্ত ভাষা বুঝতে না পারলে যে ভাষা জানে সেই ভাষায় বুঝিয়ে দিতে হবে । সে তার জবাব ব্যাখ্যা করতে পারবে বা তাতে নতুন কিছু যোগ করতে পারবে।অপরাধী যখন সম্পূর্ণ জবানবন্দি স্বীকার করবে তখন তাতে স্বাক্ষর করবে। অপরাধ স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার পর তার পাদদেশে ম্যাজিস্ট্রেট একটি স্মারক মন্তব্য লিপিবদ্ধ করবে যা নিম্নে দেয়া হল। আমি---- (আসামির নাম) কে বুঝিয়ে দিয়েছি যে তিনি অপরাধ স্বীকারোক্তি প্রদান করতে বাধ্য নন এবং তিনি যদি অপরাধ স্বীকার করেন তাহলে তা তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং আমি বিশ্বাস করি এই স্বীকারোক্তি প্রদান করা হয়েছে এটি আমার উপস্থিতিতে এবং আমার শ্রুতিগোচর গ্রহণ করা হয়েছে এবং স্বীকারোক্তি পড়ে শোনানো হয়েছে। তিনি এটিকে নির্ভুল বলে স্বীকার করেছেন এবং তিনি যে বিবৃতি দিয়েছেন এতে তার পূর্ণাঙ্গ স্বত্ব বিবরণী রয়েছে ---
স্বাক্ষর।
অপরাধ স্বীকারোক্তির সাক্ষ্যগত মূল্য
অপরাধ স্বীকারোক্তির সাক্ষ্যগত মূল্য সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী যুক্তি দ্বারা কোনো অপরাধ সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে বা আংশিকভাবে দোষ স্বীকার করা হয় তাকে অপরাধ স্বীকারোক্তি বলে অর্থাৎ কোনো অপরাধের দায়ে কোন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করলে সেই ব্যক্তি যদি তার স্বীকার করে স্বীকারের ইঙ্গিত করে তাহলে তাকে অপরাধ স্বীকারোক্তি বলে।বিচারিক দোষ স্বীকার বিচারবহির্ভূত দোষ স্বীকার।
অপরাধ স্বীকারোক্তি দুই ধরনের হতে পারে (ক) বিচারিক দোষ স্বীকার (খ) বিচারবহির্ভূত দোষ স্বীকার।কোন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত যদি কোন ব্যক্তির অভিযোগ স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করেন তাকে বিচারিক দোষ স্বীকার বলে যেমন 164 ধারায় ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট স্বীকারোক্তি। বিচারবহির্ভূত কোন আদালতের নিকট ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির নিকট অভিযোগ স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করে তাকে বিচারবহির্ভূত দোষ স্বীকার বলে যেমন 161 ধারায় পুলিশ অফিসারের
নিকট স্বীকারোক্তি।